Categories
রিভিউ

সন্দীপ মহেশ্বরীর বিখ্যাত কিছু উক্তি।

(১) যার যত সচেতনতা বেশি, তার সম্ভাবনাও তত বেশিই বৃহত্তর।

 

 

(২) যদি কোনো বোরিং জায়গায় আমাদের মনকে আমরা একাগ্র করতে সক্ষম হই, তাহলে ইন্টারেস্টিং জায়গা তো শুধু একটা খেলার সমান হয়ে যাবে।

 

(৩) কোনো কাজে যদি তুমি নিজের ১০০% দাও, তাহলে তুমি সাফল্য পাবেই।

 

(৪) তুমি দুনিয়াকে যেমন নজরে দেখবে, তেমনটাই তুমি হয়ে যাবে।

 

(৪) ব্যর্থতা এটাই প্রমান করে যে, আপনি চেষ্টা করছেন।

 

(৫) সর্বদা মনে রেখো, যা হয় তা ভালোর জন্যই হয়।

 

 

(৬) অর্থ ততটুকুই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা গাড়িতে পেট্রোল | না কম না বেশি।

 

(৭) যদি আপনি মহান হতে চান, তাহলে বারবার অনুমতি নেওয়া বন্ধ করুন।

 

(৮) জীবনে যদি কিছু করতে চাও তাহলে সত্যিটা বলো, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কথা বলোনা।

 

(৯) তুমি এটাই ভাবছো না যে; তোমার বাড়ির লোক কী ভাববে, তোমার আত্মীয়রা কি ভাববে? ভালোই তো ভেবেই যাও তবে।

 

(১০) শেখার উপর মনোযোগ দাও, উপার্জনের উপর নয়। উপার্জন সর্বদা ভবিষ্যতে হওয়া সম্ভব কিন্তু শেখা শুধু বর্তমান মুহূর্তেই হয় | তাই শেখার উপরেই মনোযোগ দাও, উপার্জনের উপর নয়।

 

(১১) ময়দান ছেড়ে চলে যেওনা; প্রতীক্ষাও করোনা, শুধু চলতে থাকো।

 

(১২) মনে রাখবে, প্রত্যেক বড় কিছুর শুরুটা ছোট দিয়েই হয়।

 

(১৩) কোনো কাজ করতে গিয়ে যদি তুমি বার বার হতাশ হয়ে যাও তাহলে সেই কাজের প্রতি তুমি অনুপ্রাণিত হবে কি করে? তুমি যত সেই কাজের সম্বন্ধে জানতে শুরু করবে ততই তুমি অনুপ্রাণিত হতে থাকবে | যতই তুমি সেই কাজের পসিটিভ দিকগুলোকে অনুসন্ধান করতে থাকবে ততই তুমি অনুপ্রাণিত হবে।

(১৪) সর্বদা শিখে যেতে হবে | যে শিখে যাচ্ছে সে জীবিত আছে আর যে শেখা বন্ধ করে দিয়েছে, সে একটা জ্যান্ত মৃতদেহ।

 

(১৫) মধ্যস্থতা একটা খুবই বিপজ্জনক জায়গা, আমরা এরমধ্যেই আটকে থেকে যাই | এরফলে আমরা উপরতলার মানুষদেরকে দেখে ঈর্ষা করে থাকি আর নিচেরতলার মানুষদেরকে দেখে খুশি হই।

 

 

(১৬) তোমায় শক্তিশালী হতে হবে, এইজন্য না যে তুমি কারোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারো বরং এইজন্যই যাতে তোমার উপর কেউ চাপ সৃষ্টি করতে না পারে।

 

 

(১৭) সবসময় মনে রাখবে তুমি তোমার সমস্যার থেকে অনেক বেশি বড়।

 

(১৮) যেইসব মানুষরা তাদের নিজেদের চিন্তাভাবনা বদল করেন না, তারা কোনো কিছুই বদলাতে পারবেন না।

 

(১৯) সফল ব্যক্তিরা অন্যদের থেকে মোটেই আলাদা নয়, শুধু তাদের চিন্তাভাবনা অন্যদের থেকে আলাদা।

 

(২০) চিন্তা না করে করা কাজ এবং কাজ না করে শুধু চিন্তা করা, আপনাকে ১০০% অসফলতা দেবে।

 

(২১) আপনি যদি সেই ব্যক্তির সন্ধানে থাকেন যে আপনার জীবন পরিবর্তন করে দেবে, তাহলে একবার আয়নার সামনে তাকিয়ে দেখুন।

 

———-‐—-‐————-সন্দীপ মহেশ্বরী।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতীয় বিমান বাহিনীর জনক – এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখার্জী – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখার্জী ওবিই, ছিলেন বিমান বাহিনীর প্রথম ভারতীয় প্রধান ছিলেন;  তার পূর্বসূরিরা সবাই ব্রিটিশ।  তিনি একটি বিশিষ্ট বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি ভারত ও ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন।  তিনি প্রথমে রয়াল এয়ার ফোর্সে যোগদান করেন এবং পরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রাথমিক সদস্য ছিলেন।  তিনি তার বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।  তিনি 1960 সালে একটি দুর্ঘটনায় মারা যান। তাকে “ভারতীয় বিমান বাহিনীর জ”নক বলা হয়। তার স্মৃতিতে বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে দিল্লিতে একটি পার্ক নামাংকিত আছে।

 

সুব্রত মুখার্জী ১৯১১ সালের ৫ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা নিবারণ চন্দ্র মুখার্জি ছিলেন সেই সময়ের একজন প্রখ্যাত সামাজিক ও শিক্ষাকর্মী ও ব্রাহ্মসমাজের সদস্য।  বাবা সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন বিখ্যাত আইসিএস এবং মা চারুলতা মুখার্জি ছিলেন প্রথম মহিলা ‘ঈশান স্কলার’ এবং অক্লান্ত সমাজকর্মী।  তার মাতামহ ডঃ  প্রসন্নকুমার রায় ছিলেন একজন ভারতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রথম ভারতীয় অধ্যক্ষ।  তাঁর মাতামহী সরলা রায় ছিলেন গোখলে মেমোরিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা।  চার সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সুব্রত তিন মাস বয়সে ইংল্যান্ডে চলে যান।  বড় বোন রেণুকা রায়, সাংসদ, কেন্দ্রীয় কেবিনেট মন্ত্রী এবং সমাজকর্মী।  শৈশব কেটেছে কৃষ্ণনগর ও চুঁচুড়া এলাকায়।

 

সুব্রত মুখার্জী ১৯৩৯ সালে শারদা পণ্ডিত নাম্নী এক মহারাষ্ট্রীয় মহিলাকে বিবাহ করেন। তাদের একপুত্র সঞ্জীব। পত্নী শারদা মুখার্জি অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাতের রাজ্যপাল হয়েছিলেন।

 

সুব্রত মুখার্জী ১৯৬০ সালের ৮ নভেম্বর ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন বন্ধুর সাথে টোকিওর একটি রেস্তোরাঁয় আহার করার সময় খাবারের একটি টুকরা তার গলায় আটকে শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।

 

।।  তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে,বাঙালি বৈদিক পণ্ডিত ও বৈদিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা – শৈলেন্দ্র নারায়ণ ঘোষাল শাস্ত্রী।

শৈলেন্দ্র নারায়ণ ঘোষাল শাস্ত্রী একজন বৈদিক পণ্ডিত এবং দ্য বৈদিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন।  শৈলেন্দ্র নারায়ণ ১৯২৮ সালের ৫ মার্চ ব্রিটিশ ভারতের বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কালিয়ারা গ্রামে একটি ধর্মীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পিতা ছিলেন অগ্নিহোত্রী ব্রাহ্মণ শশিভূষণ ঘোষাল এবং মাতা প্রভাবতী দেবী।

 

শৈলেন্দ্র নারায়ণ ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন।  বিএইচ ইনস্টিটিউট মেদিনীপুর থেকে মেদিনীপুর জেলার ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন।  তিনি মেদিনীপুর কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন।  পরে তিনি কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে সংস্কৃতে অনার্সসহ স্নাতক হন।  তিনি তার পিতার কাছ থেকে বৈদিক সাহিত্য শিখেছিলেন।  ভারতে ভ্রমণকালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃত ও দর্শনে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

 

স্নাতক হওয়ার পর তিনি নর্মদা পরিক্রমায় বের হয়ে পদব্রজে নর্মদা নদীর তীরের তীর্থ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিনি বহু ঋষির সাথে সাক্ষাতে বহু অসাধারণ অভিজ্ঞতাও অর্জন করেন। পিতার ইচ্ছানুসারে তিনি চারবার ভারতে ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি কেদার-বদ্রী, কৈলাস মানস-সরোবর, শতপন্থ,বারাণসী, তথা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত সমগ্র ভারতবর্ষ পরিভ্রমণে বহু ঋষির সঙ্গী হন। দীর্ঘ ছয় বৎসর ধরে পরিক্রমান্তে ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত তার প্রথম বই “অলোক তীর্থ”। তিনি মূর্তিপূজা, রামায়ণ, মহাভারত, ভগবদ প্রভৃতিতে ধর্মজীবনের সমস্ত কুসংস্কার, গোঁড়ামিসহ বহু ভুল ধারণা নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেন।১৯৬৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন – বৈদিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

 

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ—-

 

 

তপোভূমি নর্মদা , অলোক তীর্থ (১৯৫৮), অলোক বন্দনা (১৯৫৯), পিতারৌ (১৯৮০)।

 

অপ্রকাশিত গ্রন্থ—

 

পতঞ্জলি যোগদর্শন, বৈদিক ভারত, সায়েন্স ইন ভেদাজ, প্রাচীন ভারতের যুদ্ধবিদ্যা, বেদান্তসার।

 

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে, বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া এক বিদুষী কবি – তরু দত্ত।

তরু দত্ত র জন্ম  মার্চ ৪, ১৮৫৬ সালে। তিনি এক ভারতীয় বাঙালি কবি , অনুবাদক ও ঔপন্যাসিক ছিলেন, যিনি ইংরেজি এবং ফরাসিতে রচনা করেছিলেন ।  বোন অরু ও ভাই আবজুর পর তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ সন্তান।  লেখক এবং ভারতীয় বেসামরিক কর্মচারী রমেশ চন্দ্র দত্ত ছিলেন তার খুড়তুত ভাই।  তাদের পরিবার ১৮৬২ সালে খ্রিস্টান হয়ে ওঠে।

 

তিনি ইংল্যান্ডে ফরাসি ভাষায় উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন।  তিনি 1871 – 1873 সাল কেমব্রিজে কাটিয়েছিলেন এবং সেই সময় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে “হায়ার লেকচারস ফর উইমেন” তে অংশ নিয়েছিলেন।  এই সময়ে তরু দত্ত সিডনির সাসেক্স কলেজের রেভারেন্ড জন মার্টিনের মেয়ে মেরি মার্টিনের সাথে দেখা করেন এবং তাদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।  দেশে ফিরেও তারা চিঠি আদান-প্রদান করতে থাকে।  ইংল্যান্ড থেকে আগত আত্মীয়দের কাছে তরু দত্তের চিঠিগুলি তাঁর চিঠির সংগ্রহের অন্তর্ভুক্ত।  তার মৌলিক কবিতাগুলো ছোট হলেও মানব জীবনের নানা সমস্যা নিয়ে কাজ করে।  লা জার্নাল নামে একটি ফরাসি উপন্যাস এবং বিয়াঙ্কা নামে একটি ইংরেজি উপন্যাস রয়েছে।

 

তাঁর সংকলন ‘এ শেফ গ্লানড ফরাসি ফিল্ডস’-এ তাঁর ফরাসি কবিতা এবং প্রাচীন গীতিনাট্য এবং ‘লিজেন্ড অফ হিন্দুস্তান’-এর ইংরেজি অনুবাদ রয়েছে যা তাঁর সংস্কৃত সাহিত্যের অনুবাদ ও রূপান্তরগুলি সংকলন করে।  তিনি ”এ সি অব ফলিএজ” কবিতাটিও লিখেছেন।  তিনি একটি সুন্দর কবিতাও লিখেছেন লোটাস।  এতে কবি ফুল সম্পর্কে তার ধারণা উপস্থাপন করেন।  তিনি মানুষের আকারে ফুলের প্রতিনিধিত্ব করেন।  কবি পদ্ম গোলাপকে চিত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

 

 

 

অগাস্ট ৩০, ১৮৭৭ সালে তিনি প্রয়াত হন।

 

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৫ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৫ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১১৩৩ – ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় হেনরি।

 

১৩২৪ – স্কটল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় ডেভিড জন্মগ্রহণ করেন।

১৩২৬ – হাঙ্গেরির রাজা লুই আই জন্মগ্রহণ করেন।

 

১৫১২ – ফ্লেমিশ গণিতজ্ঞ, মানচিত্রাঙ্কনবিদ ও দার্শনিক গেরারডুস মেরকাটর জন্মগ্রহণ করেন।

১৬৯৬ – ইতালীয় চিত্রশিল্পী জিওভান্নি বাতিস্তা টিয়েপলো জন্মগ্রহণ করেন।

 

১৮৭১ – পোলীয় রুশ অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক রোসা লুক্সেমবুর্গ জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৮৭ – ব্রাজিলীয় সুরকার আতোর ভিলা-লোবোস।

১৮৯৮ – চীনা রাষ্ট্রনেতা চৌ এন-লাই।

১৯০২ – আজাদ আজাদ হিন্দ ফৌজের রানী ঝাঁসি রেজিমেন্টের সৈনিক নীরা আর্য।

১৯০৪ – কথাসাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় জন্মগ্রহণ করেন।

 

১৯০৫ – প্রভাবতী দেবী সরস্বতী বাঙালি ঔপন্যাসিক।

১৯০৮ – ইংরেজ বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেতা ও গায়ক রেক্স হ্যারিসন জন্মগ্রহণ করেন।

 

১৯১১ – এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখার্জী, ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম ভারতীয় চীফ অভ দ্যা এয়ার স্টাফ।

১৯১৮ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেমস টোবিন জন্মগ্রহণ করেন।

১৯২২ – ইতালীয় অভিনেতা, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার জেটি পাওলো পাসোলিনির জন্মগ্রহণ করেন।

 

১৯২৮ – শৈলেন্দ্র নারায়ণ ঘোষাল শাস্ত্রী,বাঙালি বৈদিক পণ্ডিত ও বৈদিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৩৪ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইসরাইলের অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কানেমান জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৩৭ – নাইজেরিয়ার সাবেক জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও ৫ম প্রেসিডেন্ট ওলুস্যাগুন অবাসাঞ্জ জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৩৯ – দিব্যেন্দু পালিত ভারতীয় বাঙালি লেখক।

১৯৪২ – স্পেনীয় আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফেলিপে গনসালেস জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৪৩ – ইতালীয় শিল্পী, তিনি গীতিকার ও গিটার লুচো বাত্তিস্তি জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৬৮ – হাঙ্গেরীয় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও ৭ম প্রধানমন্ত্রী গর্ডন বাজনাই জন্মগ্রহণ করেন।

 

১৯৭৪ – মার্কিন অভিনেত্রী এভা মেন্ডেস জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৮৭ – রুশ টেনিস খেলোয়াড় আন্না চাকভেতাদজে জন্মগ্রহণ করেন।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৩৯৭ – অক্সফোর্ডের নতুন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।

১৫৫৮ – ইউরোপে প্রথম ধূমপানে তামাক ব্যবহার শুরু হয়।

১৬৮৪ – তুরস্কের বিরুদ্ধে রোম পোল্যান্ড ও ভেনিসের লিঞ্জলীগ গঠন।

১৭৭০ – বোস্টনে (যুক্তরাষ্ট্র) জনতার ওপর গুলি চালিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যরা গণহত্যা ঘটায়।

১৭৯৩ – ফ্রান্সের সেনাবাহিনী অস্ট্রিয়ার কাছে পরাজিত হয়।

১৮২২ – ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ প্রকাশিত হয়।

১৮২৪ – ইঙ্গ-বার্মা যুদ্ধ শুরু হয়।

১৮৩৩ – অবিভক্ত ভারতের প্রথম দুই মহিলা কাদিম্বিনী ও চন্দ্রমুখী বসু স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

১৮৩৬ – মেক্সিকো আলামো আক্রমণ করে।

১৮৯৬ – ইতালির প্রধানমন্ত্রী ক্রিসপি পদত্যাগ করেন।

১৮৯৭ – মার্কিন নিগ্রো অ্যাকাডেমি গঠিত হয়।

১৯১২ – স্পেনে স্টিমারডুবিতে ৫০০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

১৯১৮ – মস্কোকে রাশিয়ার রাজধানী করা হয়।

১৯৩৩ – জার্মানিতে নির্বাচনে এডলফ হিটলার ও তার নাৎসী পার্টির বহু আসনে জয়লাভ। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এর কিছুদিন পরই এক নায়কতন্ত্র ঘোষণা।

১৯৬৬ – জাপানের ফুজি পর্বতে ব্রিটিশ এয়ার লাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১২৪ যাত্রী নিহত।

১৯৮৪ – ভূটানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৮৭ – সিলেটের ওসমানী জাদুঘর উদ্বোধন।

১৯৯৮ – ব্রিটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ড ‘উত্তর আয়ারল্যান্ড’ চুক্তিতে উপনীত হয়।

২০০১ – হজ্বের সময় মিনায় পদদলিত হয়ে ৩৫ হাজীর মৃত্যু।

২০০৭ – ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা সেক্টরে ইলেকট্রনিক টিকেটিং (ই-টিকেটিং) পদ্ধতি চালু।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৩৪ – আন্তোনিও ডা করেগিও, ইতালীয় চিত্রশিল্পী।

 

১৬২৫ – ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস।

১৮১৫ – ‘প্রাণী চুম্বকত্বের’ (ম্যাসমেরিজম) প্রবক্তা ফ্রানৎস ম্যাসমের।

১৮২৭ – ইতালীর বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলেসান্দ্রো ভোল্টা।

১৮২৭ – পিয়ের লাপ্লাস, বিখ্যাত ফরাসি গণিতবিদ।

 

১৮৭৮ – হরিচাঁদ ঠাকুর, বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৪৪ – ম্যাক্স জেকব, ফরাসি কবি ও লেখক।

১৯৫৩ – সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা ও হিটলার বধের নায়ক জোসেফ স্টালিন।

 

১৯৬১ – নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত।

 

১৯৬৬ – রুশ মহিলা কবি আন্না আখমা তোভা।

১৯৬৭ – ইরানি রাজনৈতিক বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ ও ৬০তম প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৭৩ – অমূল্যকুমার দাশগুপ্ত, বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ।

১৯৮২ – জন বেলুশি, মার্কিন অভিনেতা, গায়ক ও চিত্রনাট্যকার ।

 

১৯৯৬ – খন্দকার মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।

২০০৮ – জোসেফ ওয়েইযেনবাউম, জার্মান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও লেখক।

 

২০১৩ – হুগো চাভেজ, ভেনেজুয়েলার কর্নেল, রাজনীতিবিদ ও প্রেসিডেন্ট।

২০১৬ – রে টমলিনসন, মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী।

২০২০ – হাভিয়ের পেরেজ ডে কুয়েইয়ার, পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের ৫ম মহাসচিব

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে খ্যাতনামা বাঙালি সাহিত্যিক শৈলবালা ঘোষজায়া।

শৈলবালা ঘোষজায়া একজন খ্যাতনামা বাঙালি সাহিত্যিক। বাংলায় বহু উপন্যাস, ছোটগল্প রচনা করেছিলেন তিনি।

শৈলবালা ২ মার্চ, ১৮৯৪ সালে বাংলাদেশের কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তার বাবা কাজ করতেন।  পরে বাবা, ডাক্তার কুঞ্জবিহারী নন্দী অবসর গ্রহণ করেন এবং বর্ধমান জেলায় চলে আসেন।   তিনি বর্ধমান রাজ গার্লস স্কুলের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন।  পিতা ও বড় ভাইয়ের কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।  বিয়ের পর লেখাপড়ার কোনো পরিবেশ না থাকলেও গোপনে রাতের বেলা পড়া-লেখা করতেন।  শেখ আন্দু উপন্যাসটি লিখে স্বামীর হাত ধরে প্রবাসী পত্রিকায় পাঠান।  এই রচনাটিই তাকে খ্যাতি এনে দেয়।  বাংলা নারী প্রগতিশীল সাহিত্যে শৈলবালা ঘোষজায়া একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

 

১৯০৭ সালে, বর্ধমানের মেমারি গ্রামের নরেন্দ্রমোহন ঘোষের সাথে বাল্যকালে তার বিয়ে হয়।  শ্বশুরগৃহে সাহিত্যচর্চা প্রায় নিষিদ্ধ ছিল, তার স্বামী নরেন্দ্রমোহন তার সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নরেন্দ্রমোহন উন্মাদ রোগাক্রান্ত হয়ে যান ও তার আক্রমনে শৈলবালা নিজে এক চোখের দৃষ্টি হারান। স্বামী মারা গেলে তিনি একটি আশ্রমে থেকে লেখালিখি চালিয়ে গিয়েছিলেন দীর্ঘকাল অবধি।

 

শৈলবালা ঘোষজায়ার প্রকাশিত ৩৮ টি গ্রন্থ ছাড়াও বিভিন্ন মাসিকপত্রে উপন্যাস, আত্মজীবনী ছোটগল্প ইত্যাদি প্রকাশিত ও সমাদৃত হয়েছে। শিশুদের জন্যে রহস্য উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে নমিতা, জন্ম অপরাধী, জন্ম অভিশপ্তা, মঙ্গল মঠ, মনীষা, ইমানদার, মুচি, বিনির্ণয়, গঙ্গাজল, তেজস্বতী, চৌকো চোয়াল, জয়পতাকা, স্মৃতিচিহ্ন, অন্তরের পথে ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। কবিকঙ্কন চন্ডীর ওপর গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখে সরস্বতী উপাধি পান তিনি।

 

কলকাতা  স্নাতক মহিলা সংস্থা  এবং সাহিত্যকারের যৌথ উদ্যোগে লীলা মজুমদার এবং মহাশ্বেতা দেবীর নেতৃত্বে আয়োজিত একটি সাহিত্য সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে সম্মানিত করা হয়। তার সাহিত্যসেবার জন্যে নদীয়ার মানদ মন্ডলী তাকে ‘সাহিত্য ভারতী’ ও ‘রত্নপ্রভা’ উপাধি প্রদান করে।

 

মৃত্যু—‐—

 

২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে মারা যান শৈলবালা ঘোষজায়া।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

বাংলা চলচ্চিত্রের নির্বাক ও সবাক দুই যুগেরই স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় নায়িকা – নিভাননী দেবী, নৃত্য ও সঙ্গীতে সমান পারদর্শী ছিলেন।

নিভানানী দেবী বাংলা চলচ্চিত্রের নির্বাক ও সবাক- উভয় যুগেরই একজন সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় নায়িকা।  মঞ্চে অভিনয় শুরু করে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন।  তিনি নৃত্য ও সঙ্গীতে সমান পারদর্শী ছিলেন।

 

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন—–

 

নিভানানী দেবীর জন্ম ২ মার্চ, ১৮৯৫-এ পিতা যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী ব্রজরাণী দেবীর ঘরে।  তিনি নয় বছর বয়সে তার মাকে এবং ১৫ বছর বয়সে তার বাবাকে হারান। এই পরিস্থিতিতে নিভানানিকে তার ছয় ভাইবোনের সাথে তার মামার বাড়িতে থাকতে হয়েছিল।  সেখানে তাদের লালন-পালন করেন বিখ্যাত অভিনেত্রী চুনিবালা, তাদের মায়ের বন্ধু, এবং তার হাত ধরে ৬ বছর বয়সে বাংলার মঞ্চে প্রবেশ করেন।  অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফি পরিচালিত “সমাজ” নাটকে ছোট ছেলে হিসেবে তার প্রথম অভিনয়।  নাচ-গানেও পারদর্শী ছিলেন।  অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফি, অভিনেত্রী তারাসুন্দরী এবং পরে নরেশ মিত্রের কাছ থেকে তাঁর অভিনয়ের প্রথম শিক্ষা নেওয়া হয়েছিল।

 

অভিনয় জীবন——

 

তিনি প্রথম ‘বলিদান’ নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি পান।  ন্যাশনাল থিয়েটারে থাকাকালীন, তিনি যশোরের ধনী জমির মালিক এবং নাট্যপ্রেমী হেমেন্দ্রনাথ রায়চৌধুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।  বিয়ের পর তিনি মঞ্চ ছেড়ে চলে যান, কিন্তু পরে অপরেশচন্দ্র মজুমদার এবং প্রবোধ গুহের অনুরোধে তিনি স্টার থিয়েটারে ‘অযোধ্যার বেগম’ নাটকে প্রথমে গুজরি চরিত্রে এবং পরে তারাসুন্দরী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রধান রাণীর চরিত্রে অভিনয় করেন।  সে সময় বার্মা আর্ট থিয়েটারের সঙ্গে রেঙ্গুনেও অভিনয় করেন।  মিনার্ভা থিয়েটারে থাকাকালীন, আকাশবাণী ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বেতার কেন্দ্রের সাথেও যুক্ত হন।

 

প্রায় পঞ্চাশ বৎসরের অভিনেত্রী জীবনে মঞ্চ ছাড়া চলচ্চিত্রে ৩৫০ টি ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন। শঙ্করাচার্য, বিষবৃক্ষ, নিষিদ্ধ ফল, প্রহ্লাদ প্রভৃতি নির্বাক ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

 

নিভাননী অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল –

চিরকুমার সভা,  কপালকুণ্ডলা,  মীরাবাঈ,  পরপারে,  ইম্পস্টার,  প্রভাস মিলন,  জীবন মরণ,  বামনাবতার, বড়দিদি।

 

তার অভিনীত আরো ছায়াছবিগুলি হল –

 

‘প্রতিশোধ’, ‘শ্রীরাধা’,  ‘যখের ধন’, ‘অমরগীতি’, ‘শাপমুক্তি’, ‘ব্যবধান’, ‘কবি জয়দেব’, ‘জননী’,  ‘দেশের দাবি’ ‘রামপ্রসাদ’, স্বয়ংসিদ্ধা’  ‘সহধর্মিণী’, মানে না মানা’, ‘সাত নম্বর বাড়ি’, প্রভৃতি।

 

নিভাননী দেবী এক শৌখিন নাট্যদলের হয়ে ‘বিপ্রদাস’ নাটকে শেষ অভিনয় করেন এবং তার শেষ অভিনীত ছায়াছবি ছিল ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত “রাতের রজনীগন্ধা”। ওই ছবিতে তার সঙ্গে উত্তমকুমার, অপর্ণা সেন ,অজয় ব্যানার্জি, বঙ্কিম ঘোষ প্রমুখেরাও ছিলেন।

মৃত্যু—‐–

১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে ডিসেম্বর তিনি পরলোক গমন করেন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০২ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০২ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস, বাংলাদেশ।

(খ) ভোটার দিবস, বাংলাদেশ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৬০ – ক্যামিল ডেস্মউলিন্স, ফরাসি সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ।

 

১৭৯৩ – স্যাম হাউস্টন, মার্কিন সৈনিক, রাজনীতিক, টেক্সাস প্রজাতন্ত্রের ১ম রাষ্ট্রপতি।

১৮২০ – মুলতাতুলি, ডাচ লেখক।

 

১৮৮১ – অতুলচন্দ্র ঘোষ, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী, লোকসেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ও পুরুলিয়া জেলার বঙ্গভূক্তি আন্দোলনের মূখ্যস্থপতি।

 

১৮৯৪ – প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক শৈলবালা ঘোষজায়া।

 

১৮৯৫ – বাঙালি অভিনেত্রী নিভাননী দেবী।

১৮৯৮ – মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, সাহিত্যিক।

১৯১৯ – জেনিফার জোনস, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯২৩ – রিচার্ড উইলিয়াম টিম, রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার বিজয়ী জীববিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ।

 

১৯৩১ – মিখাইল গর্বাচেভ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সোভিয়েত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট।

 

১৯৩৩ – আনন্দজি ভিরজি শাহ, ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক ও কল্যাণজি-আনন্দজির জুটি।

১৯৩৭ – আব্দেল-আজিজ বউটেফ্লিকা, আলজেরীয় সৈনিক, রাজনীতিক ও ৫ম প্রেসিডেন্ট।

১৯৪২ – মীর হোসেইন মুসাভি, ইরানীয় স্থপতি, রাজনীতিবিদ ও ৭৯ তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৫৫ – শোকো আসাহরা, জাপানের নতুন ধর্মীয় সংগঠন ওম শিনরিকিও’র প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৬২ – জন ফ্রান্সিস বনজিওভি জুনিয়র, মার্কিন গায়ক, গীতিকার, গিটারবাদক ও প্রযোজক।

১৯৬৮ – ড্যানিয়েল ক্রেইগ, ইংরেজ অভিনেতা।

 

১৯৭৭ – অ্যান্ড্রু জন স্ট্রস, দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইংরেজ ক্রিকেট খেলোয়াড়।

১৯৭৯ – ডেমিয়েন ডাফ, আইরিশ ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৮২ – কেভিন কুরানয়ি, জার্মান ফুটবল খেলোয়াড়।

1994- সুমেধা ভৌমিক এর জন্মদিন

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪৯৮ – ভাস্কো দা গামা মোজাম্বিক দ্বীপপুঞ্জ পরিভ্রমণ করেন।

১৫২৫ – হাঙ্গেরীর রাজধানী বুদাপেস্ট ওসমানীয় সেনারা দখল করে নেয় ।

১৮০১ – স্পেন ও পর্তুগালের মধ্যে ‘কমলন যুদ্ধ’ শুরু।

১৮৯৬ – ফরাসী পদার্থ বিজ্ঞানী এন্টনী হেনরী বেকুইরেল প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তার বিষয়টি আবিষ্কার করেন।

১৯১৭ – পুয়ের্তো রিকো মার্কিন অধিকৃত অঞ্চলে পরিণত হয়।

১৯১৯ – মস্কোয় তৃতীয় কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের প্রথম কংগ্রেস শুরু।

১৯৪২ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান ম্যানিলা দখল করে।

১৯৪৪ – নেপলসে ট্রেন দুর্ঘটায় ৫২১ জনের মৃত্যু।

১৯৪৮ – সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত।

১৯৫২ – ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু বিহারের (বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের সিন্ধ্রিতে সার কারখানার উদ্বোধন করেন।

১৯৫৬ – মরক্কো ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা ফিরে পায়।

১৯৭১ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে ছাত্র সমাবেশে প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় গাম্বিয়া।

১৯৭৩ – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়।

১৯৮৫ – আরব লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৯১ – শ্রীলংকায় বোমা বিস্ফোরণে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিজয়সহ ২৯ জন নিহত।

১৯৯৫ – কোপেন হেগেনে সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কিত বিশ্ব সম্মেলন শুরু হয়।

১৯৯৭ – পাকিস্তানে ২০ বছরেরও অধিক সময় পর রোববার সাপ্তাহিক ছুটি পালন শুরু।

১৯৯৯ – ঢাকায় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন সমাপ্তি।

২০০০ – ব্রিটেনে আটক চিলির সাবেক স্বৈরশাসক আগাস্তো পিনোশের মুক্তি লাভ।

২০০১ – আফগানিস্তানে প্রাচীন ও শান্তির দূত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধ মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়।

২০০৪ – ইরাকে যুদ্ধ: আল-কায়েদা ইরাকে আশুরা গণহত্যা চালায়, ১৭০ জন নিহত এবং ৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়।

২০২২ – গণপ্রজাতান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তে জাতীয় স্লোগান হল – জয় বাংলা(২ রা মার্চ ২০২২ তারিখের গেজেট প্রঞ্জাপন অনুসারে)

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

৬৫৪ – আবুজর গিফারী, মহানবী এর বিশিষ্ট সাহাবী।

১৭৯১ – জন ওয়েসলি, পদ্ধতিবাদের জনক।

 

১৭৯৭ – হোরেস ওয়ালপলে, তিনি ছিলেন ইংরেজ ইতিহাসবিদ ও রাজনীতিবিদ।

১৮৪৫ – রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ, অভিধানকার ও পণ্ডিত।

 

১৯৩০ – ডি এইচ লরেন্স, ইংরেজ কথাসাহিত্যিক ও কবি।

 

১৯৩৯ – হাওয়ার্ড কার্টার, ইংরেজ মিশরতত্ত্ববিদ ও চিত্রশিল্পী।

 

১৯৪২ – টিলার ব্রুক, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক।

 

১৯৪৯ – সরোজিনী নাইডু, ভারতীয় বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী।

১৯৮২ – ফিলিপ কে. ডিক, তিনি ছিলেন আমেরিকান লেখক।

১৯৮৩ – বাঙালি সাহিত্যিক গিরিবালা দেবী প্রয়াত হন।

১৯৯১ – সার্জ গাইন্সবউরগ, তিনি ছিলেন ফরাসি গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা ও পরিচালক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০১ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০১ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  বীমা দিবস – জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে পালিত হয়।

(খ) বিশ্ব সিভিল ডিফেন্স দিবস – আন্তর্জাতিক।

(গ) আন্তর্জাতিক যুক্তিবাদী দিবস

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৬১১ – জন পেল, ইংরেজ গণিতবিদ, জ্যামিতি বিশেষজ্ঞ ও জোতির্বিদ।

 

১৮৬১ – অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, বাঙালি ইতিহাসবিদ।

 

১৮৮৩ – কুমুদরঞ্জন মল্লিক, বাঙালি কবি ও শিক্ষাবিদ।

১৮৯২ – রিয়ুনোসুকি অকুতাগাওয়া, সাহিত্যিক, জাপানি ছোট গল্পের জনক।

১৯০৩ – বিষ্ণুপদ মুখোপাধ্যায়, ভারতে ভেষজ সংস্কারের অন্যতম উদ্যোক্তা।

 

১৯০৭ – (ক)  সত্যপ্রিয় রায়, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক ও শিক্ষা আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা।

 

(খ) মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ, সাংবাদিক ও লেখক।

১৯১২ – চীনে কোটনিসের নেতৃত্বে ভারতের মেডিক্যাল মিশনের অন্যতম সদস্য ডাঃ বিজয় কুমার বসু, ভারতে আকুপাংচার চিকিৎসার সূচনাকারী।

১৯১৮ – খন্দকার আবদুল হামিদ, বাংলাদেশের সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ।

 

১৯২৭ – আশরাফ সিদ্দিকী, বাংলাদেশি সাহিত্যিক, লোকগবেষক ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক।

১৯২৯ – সিরাজুদ্দীন হোসেন সাংবাদিক।

 

১৯৩০ – মনু মুখোপাধ্যায়, ভারতের বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের বিখ্যাত অভিনেতা।

১৯৩১ – লামবের্তো দিনি, ইতালীয় রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী।

১৯৪০ – শাফাত জামিল বীর বিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা।

১৯৪৩ -(ক)  সাহারা খাতুন, বাংলাদেশি আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

(খ) শাহজাহান সিরাজ, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী।

১৯৪৫ – প্রবীর ঘোষ, কলকাতাভিত্তিক ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির প্রধান এবং হিউম্যানিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি।

১৯৫৬ – ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট, লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রপতি ও প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ।

১৯৬৫ – মতিউর রহমান মল্লিক, বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪৯৮ – ভাস্কো দা গামা মোজাম্বিক আবিষ্কার করেন।

১৬৪০ – ভারতের কাছ থেকে ব্রিটিশদের মাদ্রাজে বাণিজ্য কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি লাভ।

১৮১১ – মামলুকদের পরাস্ত করে মোহাম্মদ আলীর মিশরের ক্ষমতারোহন।

১৮১৫ – এলবা দ্বীপ থেকে পলায়নের পর নেপোলিয়ন বোনাপার্টের ১০০ দিনের শাসনকাল শুরু হয়।

১৮১৯ – শ্রীরামপুরে উইলিয়াম কেরি, জোশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড “ব্যাংক অফ শ্রীরামপুর” প্রতিষ্ঠা করেন।

১৮৪৮ – ভারতে ভূমিকম্পে ১ হাজার জনের প্রাণহানি।

১৯০১ – অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনী গঠিত হয়।

১৯০৭ – ভারতে সর্বপ্রথম ইস্পাত কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯১২ – আলবার্ট বেরী প্রথম উড্ডীয়মান বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে নামেন।

১৯১৪ – চীন আন্তর্জাতিক পোস্টাল ইউনিয়নে যোগদান করে।

১৯১৯ – কোরিয়ায় জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের সূত্রপাত।

১৯৪৯ – রাশিয়ান বিমান দুর্ঘটনায় ৩৮৫ জন নিহত।

১৯৫০ – তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে চিয়াং কাইশেকের পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ।

১৯৭১ – স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।

১৯৭১ – ইয়াহিয়া খান কর্তৃক পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্ঠকাল স্থগিত ঘোষণা।

১৯৮৫ – বাংলাদেশে জেনারেল এরশাদ কর্তৃক রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ ঘোষণা।

১৯৯০ – লিথুনিয়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৯৭ – বাংলাদেশে প্রথম টেলিফোন ব্যাংকিং সার্ভিস চালু।

২০০১ – প্রধান বিচারপতি পদে মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর শপথ গ্রহণ।

২০০৮ – গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের অব্যাহত বিমান হামলা দুজন মহিলা ও চারটি শিশুসহ অন্তত ৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯১১ – ইয়াকোবুস হেনরিকুস ফান্ট হফ, ডাচ জৈব রসায়নবিদ, রসায়নে প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

 

১৯২৪ – গোপীনাথ সাহা, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বাঙালি বিপ্লবী।

 

১৯৪৩ – আলেকজেন্ডার ইরসিন, ফ্রান্স-সুইস চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিওলজিস্ট এবং ইরসিনিয়া পেস্টিস-এর আবিস্কারক।

 

১৯৮৯ – বসন্তদাদা পাতিল, মহারাষ্ট্রের ৬ষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী এবং ১০ম গভর্নর।

 

১৯৯৪ – মনমোহন দেসাই প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক ।

১৯৯৫ – জর্জেস জে এফ কোহলার, জার্মান জীববিজ্ঞানী, চিকিত্সাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

 

২০১৯ – পলান সরকার, বাংলাদেশি সমাজকর্মী।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে- প্রখ্যাত বাঙালি ইতিহাসবেত্তা ও সমাজকর্মী অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়।

অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় একজন প্রখ্যাত বাঙালি ইতিহাসবিদ এবং সামাজিক কর্মী।  তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার তৎকালীন নেতৃস্থানীয় আইনজীবী।  তিনি মানব জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ করে ইতিহাস, সাহিত্য, ভাষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও প্রত্নতত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।  এটা বিশ্বাস করা হয় যে শরৎকুমার রায় তার প্রজ্ঞা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটি এবং বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

 

মৈত্রেয় ১৮৬১ সালের ১ মার্চ বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার গৌরনাইয়ের বরেন্দ্র বর্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার (বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা) মিরপুর থানার শিমুলিয়া গ্রামে তাঁর মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।  পড়াশোনায় হরিনাথ মজুমদারের সংস্পর্শে আসেন;  কুমারখালীর একজন আদর্শ শিক্ষক, হরিনাথ মজুমদার কাঙাল হরিনাথ নামে পরিচিত ছিলেন।  দশ বছর বয়সে মৈত্রেয় তার বাবার সাথে রাজশাহীতে চলে আসেন।  বাবা মথুরানাথ মৈত্রেয় রাজশাহীতে আইন চর্চা করতেন।

 

অক্ষয় কুমার ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় লিখতেন।  তিনি বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্যে পণ্ডিত ছিলেন।  তিনি উভয় সাহিত্যের উপর অনেক বাগ্মী প্রবন্ধ লিখেছেন।  কিন্তু অক্ষয় কুমারের মূল আগ্রহ ছিল ইতিহাস।  তিনি প্রথম এফএ ক্লাসের ছাত্র থাকাকালীন নিজের দেশের ইতিহাস লেখার গুরুত্ব অনুধাবন করেন।
তিনি বাংলার প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ইতিহাস, শিল্প ও মৃৎশিল্প সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন।  1899 সালে, তিনি সিরাজউদ্দৌলা, মীর কাসিম, রাণী ভবানী, সীতারাম, ফিরিঙ্গি বণিক প্রমুখের ঐতিহাসিক ছবি সম্বলিত ইতিহাস বিষয়ক প্রথম বাংলা ত্রৈমাসিক প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি বঙ্গদর্শন, সাহিত্য, প্রবাসী বিভিন্ন পত্রিকায় লিখতেন।  তিনি বাংলার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ঐতিহাসিক গুরুত্বের স্থান, শিল্প ও মৃৎশিল্পের উপর তথ্যপূর্ণ নিবন্ধ প্রকাশ করেন।

 

ব্রিটিশ ইতিহাসবিদরা নবাব সিরাজ দৌলাকে নির্মম, অহংকারী, স্বেচ্ছাচারী বলে কলঙ্কিত করেছেন।  অক্ষয় কুমার তার সিরাজদ্দৌলা (১৮৯৮) গ্রন্থে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়েছেন।  ১৯১৬ সালের ২৪শে মার্চ এশিয়াটিক সোসাইটির এক সভায় তিনি প্রমাণ করেন যে অন্ধকূপ গণহত্যা ছিল ব্রিটিশ শাসনের একটি আলীক এবং মিথ্যা প্রচার।

 

 

 

প্রকাশিত গ্রন্থ—‐————

 

সমরসিংহ (১৮৮৩), সিরাজদ্দৌলা (১৮৯৮), সীতারাম রায় (১৮৯৮), মীরকাসিম (১৯০৬), গৌড়লেখমালা (১৯১২), ফিরিঙ্গি বণিক (১৯২২), অজ্ঞেয়বাদ (১৯২৮)।

 

সম্মাননা——-

 

“কায়সার-ই-হিন্দ” স্বর্ণপদক (১৯১৫), সি আই ই (কম্পানিয়ন অফ দা অর্ডার অফ দা ইন্ডিয়ান এম্পায়ার) উপাধি (১৯২০)।

 

মৃত্যু——–

 

অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ১৯৩০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This