Categories
প্রবন্ধ

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব – দীনবন্ধু চার্লস ফ্রিয়ার এন্ড্রুজ – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

চার্লস ফ্রিয়ার অ্যান্ড্রুস, যিনি স্নেহপূর্ণভাবে দীনবন্ধু নামে পরিচিত, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৮৭১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী, ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল আপন টাইনে জন্মগ্রহণকারী অ্যান্ড্রুজের জীবন একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয় যখন তিনি ২০ মার্চ, ১৯০৪ সালে ভারতে আসেন। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজে দর্শনের শিক্ষক হিসাবে তাঁর প্রাথমিক ভূমিকা ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। ব্রিটিশ শাসনের অনাচারে গভীরভাবে বিরক্ত হয়ে ভারতের সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামোতে গভীরভাবে জড়িত হয়ে পড়েন।

 

অ্যান্ড্রুজের গভীর বিশ্বাস এবং তার পিতার ধর্মীয় প্রভাব তার নৈতিক কম্পাসকে আকার দিয়েছে। তার বাবা ছিলেন বার্মিংহামের ক্যাথলিক অ্যাপোস্টলিক চার্চে একজন ‘এঞ্জেল’ (বিশপ)। বার্মিংহামের কিংস এডওয়ার্ড স্কুলে অ্যান্ড্রুজের শিক্ষা এবং পরে কেমব্রিজের পেমব্রোক কলেজে, যেখানে তিনি একটি প্রবন্ধের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ‘বুনিয়ান’ পুরস্কার জিতেছিলেন, সমাজ সংস্কারের জন্য তার আজীবন প্রতিশ্রুতির ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

 

১৯১২ সালে ইংল্যান্ডে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে তার সাক্ষাত একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এই বৈঠকের সময়ই অ্যান্ড্রুস ভারতের সেবায় তার জীবন উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে তার সম্পৃক্ততা এবং ১৯১৩ সালের মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই) মিল শ্রমিকদের ধর্মঘট সমাধানে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তার প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।

 

১৯১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, অ্যান্ড্রুস প্রথম শান্তিনিকেতনে যান, যা পরে তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে ওঠে। এখানে, তিনি ঠাকুরের বড় ভাই দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শের সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন, ১৯২১ সালে প্রথম উপাচার্য হন।

 

ভারতীয় অধিকারের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রামেও অ্যান্ড্রুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। গোপাল কৃষ্ণ গোখলের অনুরোধে, তিনি ১৯১৪ সালে গান্ধীকে সহায়তা করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা যান, জেনারেল জান ক্রিশ্চিয়ান স্মাটসের সাথে সফল আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

 

সারা জীবন, অ্যান্ড্রুজ জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং ভারতে হোক বা বিদেশে, নির্যাতিতদের উন্নতির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ফিজিতে ভারতীয় শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতির জন্য তার প্রচেষ্টা ১৯১৭ সালে তাকে “দরিদ্রের বন্ধু” বা “দ্বীনবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করে।

 

১৯১৯ সালে মর্মান্তিক জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর, অ্যান্ড্রুজ ক্ষতিগ্রস্তদের সেবা করার চেষ্টা করেছিলেন এবং ব্রিটিশদের দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার জন্য প্রকাশ্যে সমস্ত ভারতীয়দের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। শান্তিনিকেতনের প্রতি তাঁর ভালবাসা এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাঁর উৎসর্গ ছিল গভীর।

 

রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল-

 

মহাত্মা গান্ধীজ আইডিয়াজ, মহাত্মা গান্ধী অ্যাট ওয়ার্ক, হোয়াই আই ও (owe) টু ক্রাইস্ট, ইন্ডিয়া অ্যান্ড ব্রিটেন, ইন্ডিয়া অ্যান্ড দি প্যাসিফিক, ‘ট্রু ইন্ডিয়া।

 

চার্লস ফ্রিয়ার অ্যান্ড্রুজ ১৯৪০ সালের ৫ এপ্রিল কলকাতায় তৎকালীন প্রেসিডেন্সি জেনারেল হাসপাতালে (বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতাল) মারা যান। তাঁর জীবন নিঃস্বার্থ সেবা এবং সমতা ও ন্যায়ের নীতির প্রতি উৎসর্গের আলোকবর্তিকা, ভারতের ইতিহাসে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছে।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৫ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৫ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  জাতীয় সামুদ্রিক দিবস, ভারত।

(খ) জাতীয় অটিজম দিবস, বাংলাদেশ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫৮৮ – টমাস হব্‌স, ইংরেজ দার্শনিক।

১৮২৭ – জোসেফ লিস্টার, ব্রিটিশ শল্যচিকিৎসক এবং আধুনিক শল্যচিকিৎসার জনক।

 

১৮৮২ – অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী।

১৮৯৫ – চার্লি হ্যালোস, ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান।

 

১৯০০ – স্পেন্সার ট্রেসি, মার্কিন অভিনেতা।

 

১৯০১ – মেলভিন ডগলাস, মার্কিন অভিনেতা।

 

১৯০৫ – শিল্পপতি একে খান।

১৯০৮ – বেটি ডেভিস, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯১৬ – গ্রেগরি পেক, মার্কিন অভিনেতা।

 

১৯২৯ – গোলাম সামদানী কোরায়শী, বাংলাদেশের বিশিষ্ট সহিত্যিক, গবেষক ও অনুবাদক।

 

১৯৩৮ – কলিন ব্ল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

১৯৪৭ – গ্লোরিয়া মাকাপাগাল আরোইয়ো, ফিলিপাইনের ১৪তম রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৫৫ – আকিরা তোরিয়ামা, জাপানি মাঙ্গা চিত্রশিল্পী ও ভিডিও গেম শিল্পী।

 

১৯৬৮ – মহান মহারাজ নামে পরিচিত স্বামী বিদ্যানাথানন্দ, ভারতীয় গণিতবিদ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৫৩ – বৃটিশ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৭৯৪ – ফরাসি বিপ্লবের অন্যতম নায়ক হিসেবে পরিচিত জর্জ ডাটনকে গিলোটিনের মাধ্যমে প্রাণদন্ড কার্যকর করা হয়।

১৮৮০ – শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৯৯ – দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫ রানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অল আউট হয়।

১৯১৮ – জার্মান বাহিনী তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশন মাইকেলের সমাপ্তি ঘোষণা করে।

১৯৩১ – ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ও মহাত্মা গান্ধীর মধ্যে চুক্তি সই হয়েছিল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও গরিবের জন্য লবণের অধিকার সংরক্ষণের।

১৯৪৪ – সুভাষচন্দ্র বসু রেঙ্গুনে আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্ক স্থাপন করেন।

১৯৪৫ – যুগোশ্লাভিয়ায় সোভিয়েত সৈন্যদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে দেশটির নেতা টিটো ক্রেমলিনের সাথে একটি চু্‌ক্তি স্বাক্ষর করেন।

১৯৪৭ – গ্লোরিয়া মাকাপাগাল আরোইয়ো ফিলিপাইনের ১৪তম রাষ্ট্রপতি হন।

১৯৫১ – তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে পরমাণু বিষয়ক গোপন তথ্য পাচারের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী দম্পতি জুলিয়াস এবং ইথেল রোজেনবার্গকে প্রাণদন্ড প্রদান করা হয়।

১৯৬০ – কিউবান ফটোগ্রাফার আলবার্তো কোবা মার্কসিস্ট বিপ্লবী চে গুয়েভারার বিখ্যাত ছবিটি তুলেছিলেন।

১৯৬৪ – লন্ডনে প্রথম চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় পাতালরেল চালু হয়।

১৯৭১ – সিসিলিতে এটসা আগ্নেয়গিরি অগ্নুৎপাতে প্রচুর লাভা উদগিরণ হয়।

১৯৯৫ – বার্লিনে জলবায়ু সংক্রান্ত জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯৩২ – প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বাঙালী সাহিত্যিক।

১৯৩৮ – ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটকিপার কিরিল ক্রিশ্চিয়ানি।

 

১৯৩৯ – উইলিয়াম কুপার, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

 

১৯৪০ – দীনবন্ধু চার্লস ফ্রিয়ার এন্ড্রুজ, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একনিষ্ঠ সেবক।

১৯৭৫ – চীনা রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা চিয়াং কাই শেক।

 

১৯৮০ – প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সাঁতারু প্রফুল্ল ঘোষ।

 

২০০০ – (ক)  কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।

(খ) অমর গঙ্গোপাধ্যায়, বাংলা রঙ্গমঞ্চের বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব।

 

২০০৭ – লীলা মজুমদার, ভারতীয় বাঙালি লেখিকা।

২০০৮ – চার্লটন হেস্টন, মার্কিন অভিনেতা ও রাজনৈতিক কর্মী।

২০০৯ – জর্জ ট্রাইব, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৪ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৪ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) শিশু দিবস (হংকং, তাইওয়ান)।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৮৯ – মাখনলাল চতুর্বেদী, ভারতীয় কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার এবং সাংবাদিক।

 

১৯২৯ – আবুল খায়ের, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ও নাট্য অভিনেতা।

১৯৩২ – অ্যান্থনি পারকিন্স, মার্কিন অভিনেতা।

 

১৯৩৩ – সনজীদা খাতুন, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং শিক্ষক।

১৯৪১ – জিয়া উদ্দিন, দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালীম বাংলাদেশের সভাপতি, জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরের মহাপরিচালক।

 

১৯৪২ – চিত্রশিল্পী কালাম মাহমুদ।

১৯৬০ – হুগো ওয়েভিং, নাইজেরীয়-অস্ট্রেলীয় অভিনেতা।

১৯৬৫ – রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, মার্কিন অভিনেতা।

১৯৭৯ – হিথ লেজার, অস্ট্রেলীয় অভিনেতা।

 

১৯৮৭ – সামি খেদিরা, জার্মান ফুটবলার।

 

১৯৮৯ – স্টিভেন ফিন, ইংরেজ ক্রিকেটার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৯৮ – বাংলা চলচ্চিত্রের জনক হীরালাল সেন কর্তৃক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী : স্থান ক্লাশিক থিয়েটার, কলকাতা।

১৯৪৯ – ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৬০ – ইতিহাসের এই দিনে সেনেগাল স্বাধীনতা লাভ করে। সেনেগাল পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ। এর রাজধানীর নাম ডাকার। সেনেগাল নদী থেকে দেশটির নামকরণ করা হয়।

১৯৬৮ – মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিং আততায়ীর হাতে নিহত হন।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৭৫ – মার্কিন তথ্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বিল গেটস ও পল অ্যালেন মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭৯ – পাকিস্তানি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো এর ফাঁসি। তিনি পাকিস্তান পিপলস্‌ পার্টির প্রধান ছিলেন। হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭৯ সালে সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত করে।

১৯৮৪ – ভারতীয় নভোচারী রাকেশ শর্মা সোভিয়েত সহযোগিতায় মহাকাশ অভিযান করে। তিনি ভারতীয় প্রথম নভোচারী। রাকেশ ছিলেন ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের পাইলট। তিনি সারা বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯২৮ – অনুরূপচন্দ্র সেন, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।

 

১৯৩২ – উইলহেম অসওয়াল্ড, নোবেল বিজয়ী (১৯০৯) জার্মান রসায়নবিদ।

১৯৩৯ – গাজি বিন ফয়সাল, ইরাকের দ্বিতীয় বাদশাহ।

 

১৯৫০ – (ক)  সুন্দরীমোহন দাস, বাঙালি চিকিৎসক, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং লেখক।

 

(খ) উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী ও সাংবাদিক।

 

১৯৭১ – যোগেশচন্দ্র ঘোষ, প্রখ্যাত আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বিশারদ এবং শিক্ষাবিদ। তিনি সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।

 

১৯৭৯ – জুলফিকার আলী ভুট্টো, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

১৯৮৩ – গ্লোরিয়া সোয়ানসন, মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

১৯৯০ – মোহাম্মদ জাকারিয়া, বাঙালি অভিনেতা ও টেলিভিশন প্রযোজক।

 

২০০৪ – সুখেন দাস, বাংলার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক।

২০১৩ – রজার ইবার্ট, মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার।

 

২০২১ – দীপা চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় : ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজ সংস্কারক।।।

ভূমিকা——

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু শহীদ ভগৎ সিং-এর মতই নয় বরং শক্তিশালী নারীদের দ্বারা প্রশস্ত হয়েছিল যারা তাদের মাটিতে দাঁড়িয়েছিল এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করেছিল। কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা ছিলেন  কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় ।বকমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন বিশিষ্ট নেত্রী ।  স্বাধীনতার পর ভারতীয় হস্তশিল্প, থিয়েটারকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টা অবিস্মরণীয়।

 

শৈশব—

 

কমলাদেবী ৩ এপ্রিল ১৯০৩ সালে ম্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পিতামাতার চতুর্থ এবং কনিষ্ঠ কন্যা সন্তান। তার বাবার নাম আন্নানথায়া ধারেশ্বর ও মায়ের নাম গিরিজাবা। কামালদেবী একজন ব্যতিক্রমী ছাত্রী ছিলেন এবং অল্প বয়স হতে তিনি দৃঢ়চেতা এবং সাহসী ছিলেন। তার বাবা-মা’র মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, গোপাল কৃষ্ণ গোখলে এবং রামাবাই রানাডে এবং অ্যানি বেসন্তের মতো মহিলা নেতাসহ অনেক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের সাথে বন্ধুত্ব ছিল। যা তরুণ কমলাদেবীকে স্বদেশী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জন্য উৎসাহী করে তুলেছিল।

 

বৈবাহিক জীবন—-

 

কমলাদেবী ১৯০৩ সালের ৩ এপ্রিল ম্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি তার পিতামাতার চতুর্থ এবং কনিষ্ঠ কন্যা।  তাঁর পিতার নাম অন্নথায় ধরেশ্বর এবং মাতার নাম গিরিজাবা।  কমলদেবী একজন ব্যতিক্রমী ছাত্রী ছিলেন এবং ছোটবেলা থেকেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও সাহসী ছিলেন।  তার বাবা-মা মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, গোপাল কৃষ্ণ গোখলে এবং রমাবাই রানাডে এবং অ্যানি বেসান্তের মতো মহিলা নেত্রী সহ অনেক বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বুদ্ধিজীবীদের বন্ধু ছিলেন।  যা তরুণ কমলাদেবীকে স্বদেশী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে উৎসাহী করে তুলেছিল।

 

লন্ডন গমন—

বিয়ের কিছুদিন পর, হরিন্দ্রনাথ লন্ডন ভ্রমণে চলে যান এবং কয়েক মাস পরে কমলদেবী তার সাথে যোগ দেন।  সেখানে, তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেডফোর্ড কলেজে ভর্তি হন এবং পরে সমাজবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

 

স্বাধীনতা আন্দোলনের আহ্বান—-

 

লন্ডনে থাকাকালীন, কমলাদেবী ১৯২৩ সালে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন সম্পর্কে জানতে পারেন এবং অবিলম্বে গান্ধীর সংগঠন সেবাদল, দেশের সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠনে যোগ দিতে ভারতে ফিরে আসেন।
১৯২৬ সালে তিনি অল ইন্ডিয়া উইমেনস কনফারেন্স (AIWC) এর প্রতিষ্ঠাতা মার্গারেট ই ক্যাসিনের সাথে দেখা করেন, মাদ্রাজ প্রাদেশিক পরিষদে যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত হন।  এইভাবে তিনি ভারতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রথম মহিলা নেতা হয়েছিলেন।  কয়েকদিন প্রচারণা চালাতে পারলেও ৫৫ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি। পরের বছর তিনি অল ইন্ডিয়া উইমেনস কনফারেন্স (AIWC) প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক হন।  পরের কয়েক বছরে, এআইডব্লিউসি একটি সম্মানিত জাতীয় সংস্থায় পরিণত হয়, যার শাখা এবং স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচি ছিল এবং এর মাধ্যমে আইনি সংস্কারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে।

 

ভারত সরকার ১৯৫৫ সালে পদ্মভূষণ এবং ১৯৮৭ সালে পদ্মভুবন প্রদান করে, যা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ বেসামরিক পুরস্কার।  তিনি ১৯৬৬ সালে কমিউনিটি লিডারশিপের জন্য র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে, তাঁর জীবনের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ, তিনি সঙ্গীত নাটক একাডেমি ফেলোশিপ রত্ন সাদাস্যে ভূষিত হন।

 

তাঁর লেখা বইসমুহ—-

 

ভারতীয় নারীর সচেতনতা (The Awakening of Indian women)

জাপান-এর দুর্বলতা ও শক্তি (Japan-its weakness and strength)

স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় নারী যুদ্ধ (Indian Women’s Battle for Freedom)

ভারতীয় কার্পেট এবং মেঝে কভার (Indian Carpets and Floor Coverings)

ভারতীয় সূচিকর্ম (Indian embroidery)

ভারতীয় লোক নৃত্যের ঐতিহ্য (Traditions of Indian Folk Dance)

এছারাও আরও অনেক বই তিনি লিখেছেন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মহিমচন্দ্র দাস, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সংগ্রামীকর্মী।

মহিমচন্দ্র দাস, ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে তার অগ্রণী ভূমিকার জন্য পরিচিত, অবিভক্ত বাংলার ইতিহাসে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৮৭১ সালের ২৯শে জানুয়ারি চট্টগ্রামের (বর্তমানে বাংলাদেশ) পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইনে জন্মগ্রহণ করেন, একজন মেধাবী ছাত্র থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতা হয়ে দাশের যাত্রা উৎসর্গ ও দেশপ্রেমের গল্প। তার প্রাথমিক শিক্ষা তাকে ১৮৯০ সালে পটিয়া হাই ইংলিশ স্কুলে নিয়ে যায়, পরবর্তী অধ্যয়ন ১৮৯৪ সালে কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বিএ পাস করে। দাসের একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব তার প্রথম বছর থেকেই স্পষ্ট ছিল, যা তার ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

 

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে অল্প সময়ের অধ্যাপনা করার পর, দাস আইনের অনুসরণ করেন, ১৮৯৭ সালে চট্টগ্রামের জেলা আদালতে একজন আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। তবে, তার প্রকৃত আবেগ ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রামে নিহিত ছিল। তিনি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন, ১৯২১ সালে আইন পেশা ছেড়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। দাস চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন, ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রতি তার অঙ্গীকার প্রদর্শন করেন।

 

দাসের অবদান শুধু রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। ১৯১১ সালে, তিনি সাপ্তাহিক পাঁচজন্য শুরু করেন, যদিও ব্রিটিশ সরকারের বিরোধিতার কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। নিরুৎসাহিত না হয়ে দাস ১৯২১ সালে জ্যোতিয়া পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন, এটি কলকাতার বাইরে প্রকাশিত প্রথম দৈনিক এবং আধুনিক বাংলাদেশের প্রথম বাংলা দৈনিকে পরিণত হয়। চট্টগ্রাম আন্দোলনে দেশপ্রেমিক যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের পাশাপাশি তার নেতৃত্ব চট্টগ্রামকে বিপ্লবের একটি বিখ্যাত কেন্দ্রে পরিণত করেছিল। লবণ সত্যাগ্রহ পরিচালনা করার জন্য ১৯৩০ সালে দাসের কারাবাস তার উত্সর্গের আরও উদাহরণ দেয়।

 

দাস তার সারাজীবন ধরে ‘পাথরঘাটা গার্লস স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করে বস্ত্রশিল্প ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছিলেন। সমবায় আন্দোলনে তার কাজ এবং চট্টগ্রামের ধর্মীয়, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে তাকে চট্টল গৌরব উপাধি দেওয়া হয়। দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমকারী নীরব কর্মী হিসেবে দাসের উত্তরাধিকার অবিস্মরণীয়। মহিমচন্দ্র দাস ১৯৪০ সালের ৩ এপ্রিল কলকাতার আইডিয়াল হোমে মারা যান, তিনি স্থিতিস্থাপকতা এবং দেশপ্রেমের উত্তরাধিকার রেখে যান।

 

দাসের জীবন কাহিনী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ব্যক্তিদের একটি প্রমাণ। শিক্ষা, আইন পেশা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি তাঁর নিবেদন, মুক্তিযোদ্ধাদের বহুমুখী অবদানকে তুলে ধরে। মহিমচন্দ্র দাস বাংলার ইতিহাসে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়ে গেছেন, ভারতের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতি তার অটল প্রতিশ্রুতির জন্য স্মরণীয়।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম ফিল্ড মার্শাল – শ্যাম মানেকশ।

ফিল্ড মার্শাল স্যাম হরমুসজি ফ্রামজি জামশেদজি মানেকশ, যিনি “স্যাম বাহাদুর” নামে পরিচিত, ৩এপ্রিল, ১৯১৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৭ জুন, ২০০৮-এ মারা যান। তিনি ভারতীয় সামরিক ইতিহাসে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি ভারতীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৭১ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী। এই সংঘাতের ফলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়। মানেকশ প্রথম ভারতীয় সেনা অফিসার যিনি ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হন। তার সামরিক কর্মজীবন চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত ছিল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে পাঁচটি যুদ্ধে অংশগ্রহণের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

 

মানেকশের সামরিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৩২ সালে যখন তিনি দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে প্রথম ইনটেক যোগ দেন। তিনি ৪র্থ ব্যাটালিয়ন, ১৩তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার সাহসিকতার জন্য, তাকে সামরিক ক্রস প্রদান করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পরে, মানেকশকে ৮ ম গোর্খা রাইফেলসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এবং হায়দ্রাবাদ সংকটের সময় তিনি একটি কৌশলগত ভূমিকা পালন করেছিলেন কিন্তু যুদ্ধে কখনও পদাতিক ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দেননি। মিলিটারি অপারেশন ডিরেক্টরেটের দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি অবশেষে একজন ব্রিগেডিয়ার হন এবং ১৯৫২ সালে ১৬৭ তম পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ড নেন।

 

ইম্পেরিয়াল ডিফেন্স কলেজে একটি কোর্স শেষ করার পর, মানেকশ ২৬ তম পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডিং জেনারেল অফিসার হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৩ সালে, তিনি সেনাবাহিনীর কমান্ডার পদে উন্নীত হন এবং ১৯৬৪ সালে ওয়েস্টার্ন কমান্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়, তিনি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীকে জয়ের দিকে নিয়ে যান, যার ফলে ৯৩০০০ পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে।

 

তার সেবার জন্য, মানেকশ ভারতের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার, পদ্মবিভূষণ এবং পদ্মভূষণে ভূষিত হন। তার কর্মজীবনের মাইলফলকগুলির মধ্যে রয়েছে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসাবে তার কমিশন, ১৯৩৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করার পর ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ তারিখে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মানেকশ ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন যখন তার রেজিমেন্ট পাকিস্তানে বরাদ্দ করা হয়, কিন্তু তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অষ্টম গোর্খা রাইফেলসে পুনরায় নিয়োগ করা হয়।

 

১৯৪৭ সালের শুরুর দিকে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন এবং সামরিক অপারেশন ডিরেক্টরেটে জেনারেল স্টাফ অফিসার 1 (GSO 1) ভূমিকা গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে, তিনি একজন ভারপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং একটি ব্যাটালিয়নের কমান্ড গ্রহণ করেন। পদে তার দ্রুত উত্থান অব্যাহত ছিল, তিনি একজন কর্নেল এবং তারপর একজন ব্রিগেডিয়ার হয়েছিলেন, অবশেষে ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল ডিফেন্স কলেজে অধ্যয়নরত ছিলেন।

 

ভারতে ফিরে, মানেকশ ১৯৫৭ সালে একজন ভারপ্রাপ্ত মেজর-জেনারেল হয়েছিলেন, জেনারেল কে এস থিমায়ার অধীনে ২৬ তম ডিভিশনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৯ সালে তিনি স্থায়ীভাবে মেজর-জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং তামিলনাড়ুর স্টাফ কলেজের দায়িত্ব নেন। ১৯৬২ সালের মধ্যে, তিনি একজন ভারপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট-জেনারেল হয়েছিলেন, আসামের তেজপুরে ৪র্থ কর্পসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং তৎকালীন সেনাপ্রধানের সাথে সীমিত সৈন্য সংখ্যার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তার দৃঢ় নেতৃত্ব এবং প্রশাসনিক দক্ষতা জেনারেল পরমশিব প্রভাকর কুমারমঙ্গলম দ্বারা স্বীকৃত হয়েছিল, যার ফলে ৮ জুন, ১৯৬৯-এ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন।

 

মানেকশের উত্তরাধিকার কেবল তার সামরিক অর্জনেই নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিক কাঠামো এবং কৌশল গঠনে তার অবদানের মধ্যেও রয়েছে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় তার নেতৃত্ব দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত করে, যা এই অঞ্চলের ইতিহাসে একটি সংজ্ঞায়িত মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত করে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৩ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৩ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস, বাংলাদেশ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৮১ – স্বামীনারায়ণ , ভারতীয় যোগী, সন্ন্যাসী এবং ধর্মীয় নেতা।

 

১৭৮৩ – ওয়াশিংটন আরভিং, মার্কিন ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, জীবনীকার, ইতিহাসবেত্তা ও কূটনীতিক।

১৮৮১ – ইতালীয় সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ও ৩০ তম প্রধানমন্ত্রী আল্কিডে ডি গাস্পেরি।

১৮৮৪ – জিমি ম্যাথুজ, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

১৮৯৩ – লেসলি হাওয়ার্ড, ইংরেজ অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক।

 

১৯০৩ – কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজ সংস্কারক।

১৯১৪ – শ্যাম মানেকশ’ পারস্য বংশোদভূত ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম ফিল্ড মার্শাল।

১৯২২ – ডরিস ডে, মার্কিন অভিনেত্রী, সঙ্গীতশিল্পী, ও প্রাণি-কল্যাণকর্মী।

১৯২৪ – মার্লোন ব্রান্ডো, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৯২৫ – ইংরেজ পাইলট, রাজনীতিবিদ ও উদ্ভাবন অ্যান্থনি নীল ওয়েজউড টনি বেন।

১৯২৯ – ফজলুর রহমান খান, বাংলাদেশী স্থপতি ও পুরকৌশলী।

১৯৪৮ – ওলন্দাজ শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক ও কূটনীতিক জাপ ডি হুপ শেফার।

 

১৯৫০ – আলমগীর, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৯৬১ – মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার এডি মারফি।

১৯৭৩ – ভারতীয় অভিনেতা, পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার প্রভু দেব।

১৯৭৮ – টমি হাস, জার্মান টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৮২ – কানাডীয় অভিনেত্রী কবিয়ে স্মুল্ডেরস।

১৯৮৩ – ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় বেন ফস্টার।

 

১৯৮৫ – ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও প্রযোজক লিওনা লুইস।

১৯৮৬ – মার্কিন অভিনেত্রী অ্যামান্ডা লরা বাইন্স।

১৯৮৮ – ওলন্দাজ ফুটবলার তিম ক্রুল।

১৯৯২ – রুশ সাঁতারু জুলিয়া আন্দ্রেইভানা ইফিমোভা।

১৯৯৫ – তাসকিন আহমেদ, বাংলাদেশী ক্রিকেটার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১০৪৩ – ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে এডওয়ার্ডের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।

১৩১২ – ভিয়েনার দ্বিতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

১৫৫৯ – স্পেন ও ফ্রান্স দ্বিতীয় চুক্তি করে।

১৬৬১ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া, অস্ত্র নির্মাণ ইত্যাদির অধিকারসংক্রানৱ সনদ লাভ করে।

১৭৮৩ – সুইডেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করে।

১৮৫৭ – রানী ভিক্টোরিয়াকে ‘ভারত সম্রাজ্ঞী’ ঘোষণা করা হয়।

১৮৬০ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ঘোড়ার ডাক চালু হয়।

১৮৯০ – ইউরোপের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি ও প্রথম চ্যান্সেলর অটো ভন বিসমার্ক পদচ্যুত হন।

১৯৩৯ – ডেনমার্ক ও নরওয়েতে জার্মান বাহিনী অনুপ্রবেশ করে।

১৯৪১ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ইরাকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা রশিদ আলী আল গিলানী বাগদাদ দখল করে নেন।

১৯৫৪ – শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুক হক চার সদস্য বিশিষ্ট যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী সভা গঠন করেন।

১৯৯৫ – ভিয়েতনাম মার্কিন বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধে জয়লাভের ২০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করে।

২০০২ – ইসরাইলী সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত জেনিন শহরে ভয়াবহ হামলা শুরু করে।

২০০৫ – বাংলাদেশী অভিনেতা সিয়াম আহমেদ খাঁ এর জন্মদিন ।

২০১৩ – আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেস ও লা প্লাতায় রেকর্ড বৃষ্টির পর বন্যায় ৫০ জন নিহত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৮০ – ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ, ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।

১৬৮২ – স্পেনীয় চিত্রশিল্পী ও শিক্ষাবিদ বারটলমে এস্তেবান মুড়িলও।

১৮৯৭ – জার্মান পিয়ানোবাদক ও সুরকার জোহানেস ব্রামস।

১৯০৯ – প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক ও শিক্ষাব্রতী নগেন্দ্রনাথ ঘোষ।

 

১৯৩২ – বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রসিদ্ধ বাঙালি চিত্রশিল্পী ।

 

১৯৪০ – স্বাধীনতা সংগ্রামী চট্টল গৌরব মহিমচন্দ্র দাস ।

১৯৪১ – হাঙ্গেরীয় শিক্ষাবি, রাজনীতিবিদ ও ২২ তম পাল টিলেকি প্রধানমন্ত্রী।

১৯৪৩ – জার্মান অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক কনরাড ভেইডট।

১৯৬৯ – প্রথম ভারতীয় সবাক চলচ্চিত্র যন্ত্র স্থাপয়িতা মধু শীল।

 

১৯৭৫ – ভারতে জ্যোতির্বিজ্ঞানচর্চায় অন্যতম পথিকৃৎ রাধাগোবিন্দ চন্দ্র।

 

১৯৭৭ – জ্যাক রাইডার, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

১৯৭৯ – সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ, বাংলাদেশী প্রখ্যাত বিচারপতি।

 

১৯৮৬ – সাহিত্যিক সাংবাদিক অসীম রায়।

 

১৯৯১ – গ্রাহাম গ্রিন, খ্যাতিমান ইংরেজ ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও সমালোচক।

 

১৯৯৮ – মেরি কার্টরাইট, ব্রিটিশ গণিতবিদ

২০১৩ – জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক ও চিত্রনাট্যকার রুথ প্রাওয়ের ঝাবভালা।

 

২০১৭ – কিশোরী আমোনকর, ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের, খেয়াল, ঠুমরি ও ভজন ইত্যাদির গায়িকা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০২ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০২ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস

(খ) বিশ্ব শিশুতোষ বই দিবস

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮০৫ – হান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন, ডেনীয় লেখক এবং কবি।

১৮৪০ – এমিল জোলা, ফরাসি ঔপন্যাসিক।

১৮৬২ – নিকোলাস মরি বাটলার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ।

 

১৮৯৮ – হরীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কবি, নাট্যকার ও অভিনেতা।

 

১৯০২ – বিখ্যাত হিন্দুস্তানী খেয়াল সঙ্গীতজ্ঞ বড়ে গুলাম আলী খান।

১৯০৩ – ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী।

১৯১৪ – আলেক গিনেজ, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯২৭ – পুশকাস, হাঙ্গেরীয় ফুটবল খেলোয়াড়।

 

১৯৪১ – ববি মুর, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৪৩ – বিন্দেশ্বর পাঠক, ভারতীয় সমাজবিজ্ঞানী, সামাজিক উদ্যোক্তা এবং সুলভ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৪৮ – মোহাম্মদ নাসিম, বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

১৯৫৩ – দেব্রালি স্কট, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৬৩ – কার্ল বিটটিয়ে, ইংরেজ পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯৭৩ – দিমিত্রি লিপারটভ, রাশিয়ান ফুটবল খেলোয়াড়।

 

১৯৭৫ – অ্যাডাম রদ্রিগেজ, মার্কিন অভিনেতা ও পরিচালক।

১৯৮০ – গেভিন হাফেরনান, কানাডীয় পরিচালক ও চিত্রনায়ক।

১৯৮৩ – পোল কেপডেভিল, চিলির টেনিস খেলোয়াড়।

 

১৯৮৬ – ইব্রাহীম আফেলায়, ডাচ ফুটবলার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮০০ – বিটোফেন তার প্রথম সিম্ফনির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন ভিয়েনায়।

১৮২৭ – যুক্তরাষ্ট্রে জোসেপ ডিক্সন প্রথম লিড পেন্সিল নির্মাণ করেন। তিনি ম্যাচাচুসেটস অঙ্গ রাজ্যের সালেমে পেন্সিল নির্মানের কারখানা স্থাপন করেন।

১৮৪৫ – সুর্যের প্রথম আলোকচিত্র গ্রহণ করা হয়েছিলো।

১৮৫১ – রামা (সপ্তম) থাইল্যান্ডের রাজা হন।

১৯১২ – ইল্ল-ফাটেড আরএমএস টাইটানিক সমুদ্রের ট্রায়াল শুরু করে।

১৯১৭ – তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি আহবান জানান।

১৯৪১ – মরু শিয়াল হিসেবে খ্যাতিমান জার্মানীর বিখ্যাত লেফটেনেন্ট জেনারেল এডউইন রোমেল লিবিয়া পুনঃদখলের অভিযান শুরু করেন।

১৯৬৩ – মোহামেডান লিটারারি সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৮২ – ফকল্যান্ডস যুদ্ধ: আর্জেন্টিনা ফক্‌ল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ আক্রমণ করে।

১৯৮৯ – সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ হাভানায় ভ্রমণ করেন ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে দেখা করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮১৭ – জার্মান লেখক জহান হাইনরিশ জং।

 

১৯১৪ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান লেখক পল হেইসা।

১৯২৮ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ থিওডোর উইলিয়াম রিচার্ডস।

 

১৯৩৩ – আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় ক্রিকেটার রণজিত সিংহ।

 

১৯৫৩ – কবি, সাংবাদিক, রাজনীতিক ও আইনজ্ঞ আসাফ আলী।

 

১৯৫৮ – জাপানি শিক্ষক ও সমাজ কর্মী জসেই টডা।

১৯৬৫ – অতুলচন্দ্র দত্ত, বাঙালি সাহিত্যিক।

 

১৮৭২ – টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার উদ্ভাবক মার্কিন আবিষ্কারক স্যামুয়েল মোর্স।

১৯৮৬ – আইনজীবী ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন।

১৯৯৪ – মার্কিন অভিনেত্রী বেটি ফুরনেসস।

১৯৯৫ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ পদার্থবিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী হানেস উলফ গোস্তা আল্‌ফভেন।

 

২০০৫ – ইংরেজ অভিনেত্রী বেত্তী বলটন।

 

২০১২ – অস্ট্রেলিয়ান এক্সপ্লোরার, লেখক ও প্রকৌশলী ওয়ারেন বন্যথন।

২০১৪ – ইংরেজ অভিনেত্রী ও গায়ক ল্যন্ডসি হল্যান্ড।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে লোকশিক্ষা ও নারীশিক্ষার বিস্তারে অন্যতম ব্যক্তিত্ব – অতুলচন্দ্র সেন।

অতুলচন্দ্র সেন ছিলেন একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব যিনি শিক্ষা, সাহিত্য এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। 1 এপ্রিল, 1870 সালে ব্রিটিশ ভারতের ঢাকা বিক্রমপুরের বাহের্ক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে, সেনের জীবন ছিল সামাজিক অগ্রগতি এবং জাতীয় গর্বের প্রতি তার উত্সর্গের প্রমাণ। তার পিতা, কালিপন্না সেন, নারী শিক্ষার প্রসারে গভীর আগ্রহী ছিলেন, যা স্পষ্টতই অতুলচন্দ্রের জীবন পছন্দকে প্রভাবিত করেছিল।

সেনের একাডেমিক যাত্রা শুরু হয় ঢাকায়, যেখানে তিনি তার স্কুল ও কলেজ শিক্ষা শেষ করেন। 1893 সালে, তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে একটি বৃত্তি নিয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং 1897 সালে সংস্কৃত ও দর্শনে অনার্স সহ বিএ সম্পন্ন করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে এমএ পাস করেন।

১৮৯৯ সালে বিক্রমপুরের স্বর্ণগ্রামের রাধানাথ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে তার পেশাগত জীবন শুরু হয়। যাইহোক, কলকাতার সিটি কলেজ থেকে 1903 সালে আইন পাস করার পর, 1908 সালে বীরভূমের হেতমপুর রাজ কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য পদত্যাগ করার আগে তিনি কুমিল্লার জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। শিক্ষাজীবনে তার কর্মজীবন তাকে বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ পদে নিয়ে যায়, যার মধ্যে রয়েছে পাবনার এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং রিপন কলেজের কলা বিভাগের প্রধান।

স্বদেশী আন্দোলনের প্রতি সেনের প্রতিশ্রুতি এবং শিক্ষার প্রসারে, বিশেষ করে নারী ও সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে তার প্রচেষ্টা ছিল অসাধারণ। তার গ্রামের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান “সত্যশ্রম” এর সাথে তার সম্পৃক্ততা তাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ করে। এছাড়াও তিনি কলকাতায় ‘উমা প্রেস’ এবং ‘সেনগুপ্ত অ্যান্ড কোম্পানি’ প্রতিষ্ঠা করেন, যার মাধ্যমে তিনি “চরিতমালা” এবং “শিক্ষা হে স্বাস্থ্য” এর মতো শিক্ষামূলক বই প্রকাশ করেন।

1926 থেকে 1929 সাল পর্যন্ত বারাণসীতে থাকার সময়, সেন যথাক্রমে বাঙ্গালিটোলা এবং গরুদেশ্বরে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং ‘নারী শিক্ষা মন্দির’কে একটি মধ্যবর্তী কলেজে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ‘গীতার’ মদনপুরার ‘শাস্ত্রপ্রচার কার্যালয়’-এ তাঁর কাজ তাঁকে প্রমথনাথ তর্কভূষণ এবং অন্নদাচরণ চুরামণির মতো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে নিয়ে আসে।

1930-এর দশকে, সেন জ্ঞানাঞ্জন নিয়োগী এবং শরৎ ঘোষের নেতৃত্বে স্বদেশী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ‘প্রবাসী’ পত্রিকার মাধ্যমে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তাঁর পরবর্তী বছরগুলি মুন্সিগঞ্জে তাঁর সমাজসেবামূলক কাজের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল, যেখানে তিনি 1936 সালে ‘ভগবদ গীতা’-এর উপর একটি ব্যাপক ভাষ্য প্রকাশ করেন এবং বিপ্লবী অমূল্য অধিকারীর সাথে ‘কল্যাণ সমিতি’ গঠন করেন। সেনের প্রচেষ্টা বিহারে অব্যাহত ছিল, যেখানে তিনি 1943 সালে বাঙালিদের জন্য একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন এবং 1945 সালে মধুপুরে বাঙালি মেয়েদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে উচ্চ বিদ্যালয় স্তরে উন্নীত করার চেষ্টা করেন।

পুত্রের মৃত্যুর পর সেন কলকাতায় ফিরে আসেন এবং উপনিষদের অবশিষ্ট অংশ টীকা সহ প্রকাশ করেন। অতুলচন্দ্র সেন 10 জুন, 1948-এ মারা যান, শিক্ষাগত এবং জাতীয়তাবাদী অবদানের উত্তরাধিকার রেখে যান যা অনুপ্রাণিত করে চলেছে।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০১ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০১ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) ১ এপ্রিল অনেক দেশে এপ্রিল ফুলস্ ডে বা অল ফুলস্ ডে হিসেবে পরিচিত।
(খ) জাতীয় বিমান বাহিনী দিবস (ভারত)।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫৭৮ – উইলিয়াম হার্ভে, রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক।

 

১৮০৯ – নিকোলাই গোগোল, রুশ ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার।

 

১৮১৫ – জার্মানি পুনর্গঠনের অন্যতম পুরোধা অটো ফন বিসমার্ক।

 

১৮৬৫ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রীয় রসায়নবিদ রিচার্ড আডলফ জিগমন্ডি।

 

১৮৭০ – অতুলচন্দ্র সেন, বাঙালি লেখক।

১৯০৭ – চেক সঙ্গীত রচয়িতা আকাশবাণীর সিগনচার টিউন স্রষ্টা ওয়াল্টার কফম্যান।

১৯০৮ – আব্রাহাম মাসলো, মার্কিন মনোবিজ্ঞানী।

১৯১৯ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন শল্যবিদ জোসেফ এডওয়ার্ড মুর।

 

১৯২৯ – আবেদ হোসেন খান, বাংলাদেশি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার বাদক ও সুরকার।

১৯৩১ – চিকিৎসক, প্রাবন্ধিক ও কথাশিল্পী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা ।

১৯৩২ – রশিদ চৌধুরী, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।

১৯৩৩ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিদ ক্লোদ কহেন-টানউডজি।

 

১৯৩৬ – পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক আবদুল কাদের খান।

১৯৪৭ – মার্কিন লেখক ফ্রান্সিন প্রোস।

১৯৫৩ – সাবেক ইতালীয় ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার আলবের্তো জ্যাকহেরনি।

১৯৭৬ – জাপানি টেনিস খেলোয়াড় ইয়ুকা ইয়োশিদা।

১৯৮৩ – ফ্রাংক রিবেরি, ফরাসি ফুটবল খেলোয়াড়।

 

১৯৮৫ – মার্কিন অভিনেতা জশ জাকারম্যান।

১৯৯৩ – বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার জাহানারা আলম।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৫৫ – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় এর প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয়।

১৮৬৭ – সিঙ্গাপুর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৮৬৯ – এই সময়কালে ভারতে আয়কর চালু হয়।

১৮৬৯ – নদিয়া টাউন কমিটি নামে নবদ্বীপ পৌরসভা স্থাপিত হয়।

১৮৭৮ – কলকাতা জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯১২ – ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নেয়া হয়।

১৯৩৫ – ১৯৩৪ সালের ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক আইন বলে আজকের দিনে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক স্থাপিত হয়েছিল।

১৯৩৬ – ভারতে ওড়িশা রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৩৭ – ভারত আইন অনুযায়ী প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৩৯ – স্পেনের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।

১৯৪২ – ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র জনযুদ্ধ প্রকাশিত হয়।

১৯৪৫ – যুক্তরাষ্ট্র জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে আগ্রাসন শুরু করে।

১৯৫৭ –

অল ইন্ডিয়া এয়ার (AIR) এর অন্যতম নাম রাখা হয় আকাশবাণী।

ভারতে পুরাতন মুদ্রা (৬৪ পয়সায় এক টাকা) বহাল রেখে দশমিক মুদ্রা (১০০ পয়সায় এক টাকা) চালু হয়।

১৯৬০ – যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রথম আবহাওয়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।

১৯৭১ – বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এই দিনে পাকিস্তানি সেনারা কেরানীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় এক হাজার বাঙালিকে হত্যা করে।

১৯৭৯ – ইরান ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

১৯৯২ – বসনিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৯৭ – প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হ্রাস করে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ বিল পাস করা হয়।

১৯৯৮ – জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ পবিত্র ঈদুলফিতর ও ঈদুল-আজহা উপলক্ষে জাতিসংঘের স্টাফদের জন্য ২ দিনের ছুটি বাধ্যতামূলক করে।

২০০১ – নেদারল্যান্ডসে সমকামীদের মধ্যে বিয়ে বৈধ করা হয়। এটি প্রথম দেশ, যেখানে এই আইন প্রণয়ন করা হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬২১ – ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী ক্রিস্টফানো আলোরি।

 

১৯৭৯ – মার্কিন অভিনেত্রী বারবারা লুডডয়।

 

১৯৮৩ – কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমান।

 

১৯৮৪ – ইংরেজ লেখক এলিজাবেথ গউডগে।

১৯৯৪ – ফরাসি ফটোগ্রাফার রবার্ট ডইস্নেয়াউ।

 

২০০০ – একেএম আবদুর রউফ, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী এবং বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের হস্তলেখক।

 

২০১২ – তুর্কি অভিনেতা একরাম বোরা।

২০১৩ – ইরানি অভিনেত্রী আসাল বাদিঈ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This