Categories
প্রবন্ধ

বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিক্ষক, গবেষক ও সমালোচক সুভাষ চৌধুরী’র প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

জন্ম ও শিক্ষা জীবন——

সুভাষ চৌধুরী ১১ জুলাই ১৯৩৩ সালে ভারতের বিহারের (বর্তমানে ঝাড়খণ্ড) বোজুরিতে জন্মগ্রহণ করেন।   আদি নিবাস দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কলাগাছিয়া গ্রামে।   পিতা নরেন্দ্র নাথ চৌধুরী।   মা লীলাবতী দেবী।   সুভাষ চৌধুরী সারিষা হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনে চলে আসেন।   তিনি সেখানে ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী, শৈলজারঞ্জন মজুমদার, শান্তিদেব ঘোষ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞদের কাছে গান শিখতে যান।  অশেষ মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এসরাজ বাজতে শিখেছেন।সুভাষ চৌধুরী একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিক্ষক, গবেষক ও সমালোচক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

 

কর্মজীবন——-

 

১৯৫৬ সালে সুবীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও পূর্ণিমা ঠাকুরের বড় মেয়ে সুপূর্ণা ঠাকুরকে বিয়ে করেন। । ১৯৫৬ সালে সঙ্গীত ভবন থেকে সঙ্গীতে স্নাতক হওয়ার পর, রবীন্দ্র প্রথমে পুরুলিয়া ট্রেনিং কলেজে এবং পরে সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুলে সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।   অনেক শিল্পীর সাথে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।   কিশোর কুমার মুরলীবালাকৃষ্ণ তাদের একজন।   ১৯৬৫ সালে, তিনি বিশ্বভারতীর গ্রন্থপঞ্জি বিভাগের নোটেশন অফিসে যোগদান করেন।   আর এই সময়েই ইন্দিরা সঙ্গীত স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।   তাঁর শিক্ষায় বহু বিশিষ্ট শিল্পী সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।   সঙ্গীত শিক্ষক ও পরিচালক হিসেবেও যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।   বিশ্বভারতীর সাহিত্য বিভাগের পক্ষ থেকে স্বরবিতানের দায়িত্বে ছিলেন।   রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে নানা গবেষণাকর্মও করেছেন।   সঙ্গীত বিষয়ক সুভাষ চৌধুরীর কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে।   1995 সালে অবসর গ্রহণের সময়, তিনি নোটেশনের সুপারিনটেনডেন্ট ছিলেন।  তিনি রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে গবেষণা ও সমালোচনাও করেছেন।   রবীন্দ্রনাথের গান প্রকাশের ইতিহাস নিয়ে চর্চা করা।

 

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ—-

 

রবীন্দ্রসংগীতায়ন ২ খণ্ড ( সুচিত্রা মিত্রের সঙ্গে) সংকলিত ও সংবলিত (১৯৮২), লিখন আমার, মুক্তির গান, ইন্দিরা দেবী, প্রমথ চৌধুরী পত্রাবলী (১৯৮৭)  গীতবিতানের জগৎ (২০০৪), রবীন্দ্রনাথের গান ও অন্যান্য।

 

মৃত্যু——-

 

সুভাষ চৌধুরী  কলকাতার এক নার্সিংহোমে  ৭৯ বৎসর বয়সে ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই জুন প্রয়াত হন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আজ ৮ জুন, বিশ্ব মহাসাগর দিবস, জানুন দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব।

বিশ্ব মহাসাগর দিবস ২০২৪: মহাসাগরগুলি পৃথিবীর পৃষ্ঠের প্রায় সত্তর শতাংশ জুড়ে এবং আমাদের বেঁচে থাকা এবং অস্তিত্বের জন্য প্রাথমিক।  তারা বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ অক্সিজেন উত্পাদন করে এবং বেশিরভাগ প্রজাতির আবাসস্থল।  তারা জীববৈচিত্র্যের সুস্থ ভারসাম্য এবং মানবতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য দায়ী।  যাইহোক, সময়ের সাথে সাথে, প্রধানত মানুষের কার্যকলাপের কারণে, মহাসাগরগুলি দূষণ এবং অবক্ষয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।  ক্রিয়াকলাপ এবং বিশ্বের মহাসাগরগুলিতে তাদের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।  প্রতি বছর, বিশ্ব মহাসাগর দিবস পালিত হয় সচেতনতা তৈরি করতে এবং বিশ্বের মহাসাগরগুলির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনগণকে আহ্বান জানাতে।  আমরা বিশেষ দিন উদযাপন করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে এখানে কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা আমাদের মনে রাখা উচিত।

 

তারিখ—–

 

প্রতি বছর, বিশ্ব মহাসাগর দিবস ৮ জুন পালন করা হয়। এ বছর, বিশ্ব মহাসাগর দিবস শনিবার পড়ে।

 

ইতিহাস—–

 

১৯৯২ সালে, রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত আর্থ সামিটে বিশ্ব মহাসাগর দিবসের প্রস্তাব করা হয়েছিল।  ৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ তারিখে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতি বছর ৮ জুনকে বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসাবে পালন করার জন্য মনোনীত করে।  সমুদ্রের সাথে মানুষের সংযোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির প্রত্যয়ে দিবসটি পালিত হয়।  প্রতি বছর, ইউএন ডিভিশন ফর ওশান অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড দ্য ল অফ দ্য সি জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ইভেন্টের আয়োজন করে।

 

থিম—–

 

এবারের বিশ্ব মহাসাগর দিবসের থিম হল – নতুন গভীরতা জাগ্রত করুন।  এই বছরের অ্যাকশন থিম হল – আমাদের মহাসাগর এবং জলবায়ুর জন্য অনুঘটক কর্ম।

 

তাৎপর্য্য—–

 

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংকটগুলির মধ্যে একটি হল জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা।  আমরা যখন এই সংকট নিয়ে কাজ করছি, তখন আমাদের সমুদ্রের তাৎপর্য বুঝতে হবে এবং প্রকৃতিতে সুস্থ ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে।  মহাসাগরগুলি বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং খাদ্য ও ওষুধের একটি সমৃদ্ধ উৎস।  মহাসাগরগুলির সাথে দুর্ব্যবহার করা উচিত নয়, এবং এখনই সময় এসেছে যে আমরা সমুদ্রের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে একসাথে কাজ করি।  টেকসই পদ্ধতির মাধ্যমে, আমরা এটি সম্ভব করতে পারি এবং একটি উন্নত বিশ্ব তৈরিতে একসাথে কাজ করতে পারি।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
কবিতা

মনের মানুষ গুরু মহারাজ : রাণু সরকার।

ঘুরিফিরি একতারা হাতে,
বুলি চলে তরঙ্গের সাথে,
অন্তরঙ্গ বন্ধু টুং টাং
চায় বাজতে।

নদীর ঘাটে বসে,
তাকিয়ে থাকি উদাস মনে,
পড়বো তার শ্রীচরণে,
দেখা যদি পাই কোনক্রমে।

ঘুম আসে না রাত্রি হলে,
তাকিয়ে থাকি জানালা খুলে,
সকালসন্ধ্যা জপি তারে,
আসে না সে আমার দ্বারে।

দূর হতে দেখি তারে অস্পষ্ট চোখে,
পাষাণ সে আসে না তবু আমার সম্মুখে।

ওগো, আমার মনের মানুষ
আমি দেখতে চাই তোমায়!
তোমার দেখা না পেলে প্রাণের
পাখি যাবে উড়ে
খাঁচাটি মিশবে কালো ধোঁয়ায়।

প্রাণপাখি যাবো যাবো করছে
স্বজনেরা কে কোথায় আছো
এসো কাছে,
মনের মানুষ,স্মরণ করিয়ে দিও
তোমার নাম মনে করে,
অতি কষ্টে খাঁচার মায়া ত্যাগ করে
পাখি দিলো উড়াল খাঁচা চললো
পালকি চড়ে।

সোনার খাঁচা পুড়ে হলো এক মুঠো ছাই,
কিছু ভুল ছিলো হয়তো আমার দেখা দিলো না তাই।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আজ ০৭ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৭ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস।

(খ) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস, বাংলাদেশ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬৮ – মোহাম্মদ আকরম খাঁ, বাঙালি সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক এবং ইসলামী পণ্ডিত।

১৮৭১ – খাজা সলিমুল্লাহ, ঢাকার নবাব।

১৮৭৩ – প্রখ্যাত বাঙালি চিকিৎসাবিজ্ঞানী স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী।

১৮৭৯ -আর্নেস্ট হার্টসফিল্ড, জার্মানীর বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ ও ইরান-বিশেষজ্ঞ।

 

১৮৯৬ – রবার্ট সেন্ডারসন মুল্লিকেন, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী এবং রসায়নবিজ্ঞানী।

১৮৯৬ – ইমরে নাগি, হাঙ্গেরির বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিবিদ।

১৯০৯ – জেসিকা ট্যান্ডি, ব্রিটিশ অভিনেত্রী।

১৯১৭ – (ক)  রাজেন তরফদার, প্রখ্যাত বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক,অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার ।

(খ) ডিন মার্টিন, আমেরিকান গায়ক, অভিনেতা ও প্রযোজক।

 

১৯২৩ – সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, খ্যাতিমান বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক।

১৯২৮ – জেমস আইভরি, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৩১ – ভার্জিনিয়া ম্যাকেনা, ব্রিটিশ অভিনেত্রী।

১৯৩৫ – শ্যামা, ভারতীয় অভিনেত্রী।

১৯৪৭ – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত বাঙালি লেখক।

১৯৪৮ – জিম ওয়ালটন, আমেরিকান ব্যবসায়ী।

১৯৫২ – ওরহান পামুক, ২০০৬ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তুর্কী সাহিত্যিক।

 

১৯৫২ – লিয়াম নিসন, আইরিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা।

 

১৯৫৫ – রঞ্জন ঘোষাল, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, গায়ক,গীতিকার, লেখক ও নাট্যব্যক্তিত্ব।

১৯৫৮ – প্রিন্স রজার্স নেলসন, বিখ্যাত মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী।

১৯৫৯ – মাইক পেন্স, মার্কিন রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী।

১৯৬৪ – গ্রেইম লেব্রয়, সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

 

১৯৬৫ – মাইক ফোলি, আমেরিকান লেখক, অভিনেতা, এবং সাবেক পেশাদার কুস্তিগির এবং ধারাভাষ্যকার।

১৯৭০ – কাফু, ব্রাজিলীয় ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৭২ – ফেরদৌস, বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪১৩ – নেপলসের রাজা ল্যাডিস্ল রোম দখল করেন।

১৫৪৬ – আরড্রেস শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ফ্রান্স ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ইংল্যান্ডের যুদ্ধাবসান ঘটে।

১৫৫৭ – ইংল্যান্ড ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৬৫৪ – ষোড়শ লুই ফ্রান্সের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।

১৭৬৫ – উত্তর পারস্যে ভূমিকম্পে ৪০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করে।

১৮১০ – নবাব সৈয়দ জিনে উদ্দিন বাংলার মসনদে আরোহণ করেন।

১৮৭৯ – লাতিন আমেরিকার তিনটি দেশ পেরু, চিলি ও বলিভিয়ার মধ্যে পাঁচ বছরের যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯০৪ – সুইডেনের কাছ থেকে নরওয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬৬ – ছয় দফার সমর্থন ও পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পূর্ব বাংলায় হরতাল পালিত হয়। পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিহত ও শত শত আহত হয়।

১৯৭১ – মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ৫শ’ ও ১শ’ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করা হয়।

১৯৭৩ – বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলে সন্তু লারমার নেতৃত্বে শান্তিবাহিনী গঠিত হয়।

১৯৭৫ – ইংল্যান্ডে প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৮০ – ইহুদিবাদী ইসরাইলের জঙ্গীবিমান ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাছে অবস্থিত ইরাকি পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করে।

১৯৮৮ – বাংলাদেশের সংসদে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী গৃহীত হবার মাধ্যমে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়।

১৯৮৯ – সুরিনামে বিমান দুর্ঘটনায় ১৬২ জন মৃত্যুবরণ করে।

১৯৯১ – পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২শ’ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।

১৯৯২ – আজারবাইজানে প্রথম বহুদলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবুলতাজ এলসিব জয়লাভ করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৬৫ – হুসাইন নিজাম শাহ, দাক্ষিণাত্যের রাজা।

 

১৮২৬ – ইয়োসেফ ফন ফ্রাউনহোফার, জার্মান আলোকবিজ্ঞানী।

 

১৮৬৩ – রিচার্ড মার্শ হো, রোটারি ছাপাখানার মার্কিন উদ্ভাবক।

 

১৯৩৭ – জিন হার্লো, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

 

১৯৪৮ – লুই ল্যুমিয়ের, ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্রের অগ্রদূত।

 

১৯৫৪ – অ্যালান টুরিং, ইংরেজ গণিতবিদ, যুক্তিবিদ ও ক্রিপ্টোবিশেষজ্ঞ।

১৯৬৫ – জুডি হলিডে, মার্কিন অভিনেত্রী, কৌতুকাভিনেত্রী ও গায়িকা।

১৯৬৭ – ডরোথি পার্কার, আমেরিকান কবি, লেখক, সমালোচক এবং বিদ্রুপাত্মক রচনাকার।

১৯৭০ – এডওয়ার্ড মরগ্যান ফরস্টার, ইংরেজ ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার ও প্রাবন্ধিক।

১৯৭৮ – রোনাল্ড জর্জ রেফর্ড নোরিশ, ব্রিটিশ রসায়ন বিজ্ঞানী।

১৯৮০ – হেনরি মিলার, আমেরিকান লেখক।

২০০২ – বসপ্পা ধনপ্পা জত্তী, ভারতের পঞ্চম ভারতের উপরাষ্ট্রপতি।

২০১৫ – ক্রিস্টোফার লী, ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, লেখক এবং দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী।

 

২০১৫ – শেখ রাজ্জাক আলী, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক স্পিকার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

বাংলা ছায়া ছবির জগতে ছায়া দেবী এক কিংবদন্তি অভিনেত্রীর নাম।

ভূমিকা—

বাংলা ছায়া ছবির জগতে ছায়া দেবী এক কিংবদন্তি অভিনেত্রীর নাম।ছায়া দেবী একজন প্রতিভাময়ী ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। স্বর্ণ যুগের এই অভিনেত্রী  বহু সিনেমায় তিনি দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে তাঁর অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন।

 

 

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন——-

 

ছায়া দেবীর  পিসিমা ছিলেন অভিনেতা অশোককুমার ও কিশোর কুমারের দিদিমা।ছায়া দেবীর জন্ম ৩ জুন ১৯১৯ সালে এই পিসিমার ( সতীশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী) ভাগলপুরের রাজবাড়ীতে। পিতা হারাধন গঙ্গোপাধ্যায়।

 

প্রাথমিক শিক্ষা ও অভিনয় জীবনে প্রবেশ—-

 

তার প্রাথমিক শিক্ষা ভাগলপুরের মোক্ষদা গার্লস স্কুলে। ভাগলপুর থেকে বাবার সঙ্গে দিল্লি গিয়ে ইন্দ্রপ্রস্থ গার্লস স্কুলে ভর্তি হন এবং সঙ্গীত চর্চা করতে থাকেন। এগারো বৎসর বয়সে রাঁচির অধ্যাপক ভূদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ হয়। কিন্তু এ বিবাহ কার্যকর হয় না। দশম শ্রেণীর ছাত্রী তিনি বাবার সঙ্গে কলকাতায় এসে কৃষ্ণচন্দ্র দে ও পণ্ডিত দামোদর মিশ্রর কাছে সংগীত শিখতে থাকেন। সেই সঙ্গে বেলা অর্ণবের কাছে নাচের তালিম নিতে থাকেন। নাটক-পাগল দুই পিসতুতো দাদা শ্রীশচন্দ্র ও শৈলেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি অভিনয় জগতে আসেন।

 

অভিনয় জীবন——-

 

১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দেই তিনি দেবকী বসুর ‘সোনার সংসার’ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন।  তবে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কনক নামের কিশোরী ছায়া দেবী নাম নিয়ে ‘পথের শেষে’ ছবিতে অন্যতম নায়িকার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি রাঙা বৌ, ছিন্নহার, প্রভাসমিলন, হাল বাঙলা, বিদ্যাপতি (হিন্দি ও বাংলা), রিক্তা,  জীবন মরণ প্রভৃতি। পথের শেষে – এই ছবিটি হিট হওয়ায় তিনি সোনার মেডেল পেয়েছিলেন।

 

গায়িকা হিসেবে—-

 

অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি ছবিতে তিনি গানও গেয়েছেন। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘অভয়ের বিয়ে’ ছবিতে তিনি ৪/৫ খানা গান গেয়েছেন।

 

মুম্বই গমন—

 

এর পরে ছায়া দেবী প্রফুল্ল রায়ের আমন্ত্রণে তিনি মুম্বই গিয়ে সেখানে’মেরাগাঁও ‘ ছবিতে গানে ও অভিনয়ে বিশেষ পারদর্শিতা দেখান। ছায়া দেবী প্রায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা, হিন্দী, তামিল ও তেলুগু ভাষায় শতাধিক ছায়াছবিতে প্রধানত পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে ‘বিদ্যাপতি’ ছায়াছবির জন্য উনি প্রশংসিত হন ও ক্রমে প্রচুর উল্ল্যেখযোগ্য ছবিতে অভিনয় করেন, যেমন বাংলায় পরিচালক তপন সিংহর নির্জন সৈকতে, হাটে বাজারে  এবং আপনজন, সপ্তপদী, মানিক, উত্তর ফাল্গুনী, বা হিন্দীতে অমিতাভ বচ্চনের সাথে আলাপ । বাংলা,হিন্দি ও তামিল তিন ভাষাতেই ‘রত্নদীপ’ ছবিতে তার অভিনয় স্মরণীয়।  ছায়াছবিতে কাজ করার পাশাপাশি বেতার কেন্দ্রে নিয়মিত খেয়াল, ঠুংরি পরিবেশন করেছেন।

তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি সমূহ—

 

প্রায় দু-শোর বেশি ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। সাত পাকে বাঁধা, মুখার্জি পরিবার, অন্তরাল, আরোহী, কাঁচ কাটা হীরে, সূর্যতপা,  থানা থেকে আসছি, মণিহার, গল্প হলেও সত্যি, অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি, হাটেবাজারে, আপনজন’ (রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত), বাঘিনী, কমললতা,  চৌরঙ্গী, কুঁয়াশা, রাতভোর, সাহেব বিবি গোলাম, ত্রিযামা, মায়াবাজার, গলি থেকে রাজপথ, মাণিক, অটলজলের আহ্বান, দেয়ানেয়া, সপ্তপদী, নির্জন সৈকতে, পিতাপুত্র, হারমোনিয়াম, আরোগ্য নিকেতন, রাজা রামমোহন, বাবা তারকনাথ, আলাপ, ধনরাজ তামাং, অরুণ বরণ কিরণমালা, সূর্যসাক্ষী, রঙবেরঙ, প্রায়শ্চিত্ত, রাশিফল, লালগোলাপ, স্বর্ণমণির ঠিকানা, প্রতিকার, বোবা সানাই, প্রতিদান, কলঙ্কিত নায়ক, রাজকুমারী, মুক্তিস্নান, সমান্তরাল, কুহেলী, হার মানা হার, শেষ পর্ব,  পদিপিসির বর্মি বাক্স, দেবীচৌধুরাণী।

 

মৃত্যু—–

 

কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী বহু সিনেমায় রেখে গিয়েছেন তাঁর অভিনয় দক্ষতার সাক্ষর।  ২৫ এপ্রিল ২০০১ সালে তিনি প্রয়াত হন। কিন্তু আজও তিনি অমর হয়ে রয়েছেন মানষের হৃদয়ে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আজ বিশ্ব সাইকেল দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং দিনটি পালনের গুরুত্ব।

বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস ২০২৪—-

বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস প্রতি বছর ৩ রা জুন সারা বিশ্বে পালিত হয় সাইকেলের বহুমুখিতা এবং স্বতন্ত্রতা, সেইসাথে পরিবহনের একটি মাধ্যম হিসাবে এর নির্ভরযোগ্যতা এবং স্থায়িত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।  বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস উদযাপন বাইসাইকেলকে সম্মানিত করে যা লোকেদের একটি স্বতন্ত্র, টেকসই এবং টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থা প্রদান করার জন্য।  শুক্রবার, 3রা জুন, ২০২৪, বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস স্মরণ করা হবে।  এ বছর চতুর্থ বার্ষিক বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস।  বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস ২০২৪-এর জন্য আগ্রহীদেরও বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। অধ্যাপক লেসজেক সিবিলস্কি বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস তৈরি করেছিলেন, যা 3 জুন, ২০১৮-এ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথমবারের মতো স্মরণ করা হয়েছিল। এই দিনের অনন্য দিক  এটি সারা বিশ্বে স্মরণ করা হয়।  সাইকেল চালানো আমাদের জন্য শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকেই ভাল, এবং এটি ঘুরে বেড়ানোর একটি সস্তা এবং সহজ উপায় এবং পরিবহনের একটি পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ মাধ্যম।  সাইকেল চালানো আপনার জীবনধারাকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে এবং আপনি যদি নিয়মিত জিমের ব্যক্তি না হন তবে এটি একটি দুর্দান্ত ওয়ার্কআউট হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস পালন করা হয় মানুষকে তাদের শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে উৎসাহিত করার জন্য।  নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, মানসিক অসুস্থতা, আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও পরিচালনায় সহায়তা করতে পারে।  আপনি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারের সাথে সাইকেল চালানোর মাধ্যমে অনেক অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে পারেন।  জাতিসংঘ অনেক কারণে বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস প্রতিষ্ঠা করে।  এটি যতটা মৌলিক, সমাজে সাইকেলের প্রভাব বেশ রূপান্তরকারী এবং এমনকি সবচেয়ে দরিদ্র মানুষও সাইকেল দিয়ে মৌলিক পরিবহনে অ্যাক্সেস পায়।

 

বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসের থিম ২০২৪—

 

২০২৪-এর বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসের থিম থাকবে “সাইকেল চালানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য, ইক্যুইটি এবং স্থায়িত্বের প্রচার।”“Promoting Health, Equity, and Sustainability through Cycling.”

 

 বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসের ইতিহাস—

 

বাইক চালানো একটি শৈশব মাইলফলক হয়ে উঠেছে যেখানে মজা এবং পতন ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।  কিছু পরিমাণে স্ক্র্যাচ এবং স্মৃতি ধরে রাখে।  ঐতিহাসিক বিবেচনার পাশাপাশি, বাইক চালানো আজ মানুষের জন্য সুবিধা প্রদান করে – শুধুমাত্র ব্যায়ামের একটি ফর্ম হিসাবে নয়, পরিবহনের একটি পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবেও।
বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস তাই সাইকেল চালানোর ধারণাটিকে একটি কার্যকলাপ হিসাবে উদযাপন করতে চায় যা বছরের পর বছর ধরে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি জুড়ে জনপ্রিয়।  ব্যক্তিগত সুখ উপভোগ করা ছাড়াও, এটি স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং স্থায়িত্ব লালন করার জন্য মানুষ এবং পরিবেশে সুখ তৈরি করে।

 

বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস ২০২৪ তাৎপর্য—

 

বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসের পেছনের ধারণাটি হল সাইকেলের বহুমুখিতা এবং স্বতন্ত্রতা, সেইসাথে পরিবহনের একটি মাধ্যম হিসাবে এর নির্ভরযোগ্যতা এবং স্থায়িত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া।  বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস সাইকেল চালানোর সুবিধার একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।  এটি কেবল পেশী শক্তির উন্নতি করে এবং শরীরের চর্বি কমায় না, তবে এটি একটি সুস্থ হৃদয় রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে।  শারীরিক সুবিধা অনেক।  যদিও দিবসটির গুরুত্ব তার স্বাস্থ্যগত সুবিধার চেয়ে অনেক বেশি।  বাইসাইকেল একটি কম খরচে এবং পরিবেশগতভাবে উপকারী পরিবহনের মাধ্যম।  উচ্চ দূষণের সময়ে, এমনকি সাইকেল চালানোর মতো মৌলিক কিছু ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করতে পারে।  এর সহজলভ্যতা এবং সহজলভ্যতা এটিকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের মধ্যে পরিবহনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম করে তুলেছে, যা তাদের পরিবহনের একটি স্বায়ত্তশাসিত মোড প্রদান করে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৩ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৩ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব সাইকেল দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৯১ – ভারতীয় বাঙালি বিপ্লবী ও কমিউনিস্ট নেতা অবনীনাথ মুখোপাধ্যায়।

 

১৯০৬ – জোসেফিন বেকার, আমেরিকান বংশদ্ভুত ফ্রেন্স নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেত্রী।

 

১৯০৬ – ওয়াল্টার রবিন্স, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার।

১৯১০ – পলেট গডার্ড, আমেরিকান অভিনেত্রী এবং মডেল।

১৯১১ – এলেন কর্বি, মার্কিন অভিনেত্রী।

 

১৯১৯ – ছায়া দেবী(চট্টোপাধ্যায়), প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্রাভিনেত্রী।

 

১৯২০ – অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার, বিশিষ্ট অধ্যাপক, গবেষক ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি’র ভূতপূর্ব সভাপতি।

 

১৯২৪ – করুণানিধি মুথুবেল, ভারতীয় রাজনীতিক এবং তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।

১৯২৫ – টনি কার্টিস, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৯২৬ – অ্যালেন গিন্সবার্গ, মার্কিন কবি এবং লেখক।

১৯২৮ – জন রিচার্ড রিড, সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

 

১৯৩১ – রাউল কাস্ত্রো, কিউবার রাষ্ট্রপতি এবং ফিদেল কাস্ত্রোর ভাই।

১৯৬০ – কার্ল রেকেম্যান, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

 

১৯৬৬ – ওয়াসিম আকরাম, সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেট খেলোয়াড়।

১৯৬৮ – সাফ্রন, ইংরেজ গায়িকা।

১৯৮২ – ইয়েলেনা ইসিনবায়েভা, ভলগোগ্রাদে জন্মগ্রহণকারী রাশিয়ার বিখ্যাত প্রমিলা পোল ভল্টার।

১৯৮৫ – উকাশ পিশ্চেক, পোল্যান্ডের একজন পেশাদার ফুটবলার।

 

১৯৮৬ – রাফায়েল নাদাল, স্পেনের একজন পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৯১ – উকাশ তেওদোর্চেক, পেশাদার ফুটবলার।

১৯৯২ – মারিও গোটজে, জার্মান ফুটবলার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫০২ – পর্তুগীজ নৌ অভিযাত্রী ভাস্কো-দা-গামা ভারতের কালিকট বন্দরে এক নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো।

১৬৬৫ – ডিউক অব ইয়র্ক জেমস স্টুয়ার্ট ওলন্দাজ নৌ-রণতরীকে পরাজিত করেন।

১৬৬৫ – লোয়েস্টফটের যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে ওলন্দাজদের পরাজয়।

১৭৮৯ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় লবণ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে।

১৯১৫ – ব্রিটিশ সরকার রবীন্দ্রনাথকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করে।

১৯৩৬ – অবিভক্ত ভারতের সিভিলিয়ান রেডিওর নাম পরিবর্তন করে অল ইন্ডিয়া রেডিও নামকরণ।

১৯৪০ – ব্যাটল্‌ অব ডানকার্ক।

১৯৪০ – জার্মান বিমানবাহিনী ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপর বোমা বর্ষণ শুরু করে।

১৯৪০ – সিঙ্গাপুর বৃটিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৪৬ – ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক নেতারা ব্রিটিশ সরকার প্রস্তাবিত ভারত বিভাজন প্রস্তাব মেনে নেন।

১৯৪৭ – বৃটিশ সরকার ভারত বিভাগের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।

১৯৪৯ – আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৬৯ – ভাষা বিজ্ঞানী অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল হাই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হন।

১৯৭১ – জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে হানাদার বাহিনীর অত্যাচার মানব ইতিহাসের সর্বাধিক বিষাদময় ঘটনা।

১৯৭৮ – বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান বিজয় লাভ করে।

১৯৮৪ – ভারত সরকার শিখদের পবিত্র হরমন্দির সাহিব দখলের জন্য অপারেশন ব্লু স্টার শুরু করে; এটি ৮ জুন পর্যন্ত পরিচালিত হয়।

১৯৮৯ – চীন সরকার তিয়েনআনমেন স্কয়ার থেকে অবরোধকারীদের বিতারণের জন্য সেনা প্রেরণ করে।

১৯৯৯ – যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোভেদান মিলোশোভিচ কোসভো থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে সম্মত হয়।

২০০০ – মন্টেনিগ্রো কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা।

২০১০ – রাজধানী ঢাকার নিমতলি মহল্লায় অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৫৭ – উইলিয়াম হার্ভে, ইংরেজ চিকিৎসক।

১৯০৮ – গোপাল সেনগুপ্ত, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

১৯২৪ – ফ্রান্‌ৎস কাফকা, জার্মান ও চেক উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক।

 

১৯৬১ – কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ ও লেখক।

১৯৬৩ – নাজিম হিকমত, তুর্কি কবি এবং লেখক।

১৯৬৩ – ধর্মগুরু ত্রয়োদশ পোপ জনের মৃত্যু।

 

১৯৬৯ – মুহম্মদ আবদুল হাই, বাংলা ভাষার ধ্বনিবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক।

১৯৭৭ – আর্চিবাল্ড ভি. হিল, ইংরেজ শারীরতত্ত্ববিদ।

১৯৭৫ – এইসাকু সাতো, জাপানী রাজনীতিবিদ।

১৯৮৪ – ঐতিহাসিক আবু মহামেদ।

১৯৮৭ – রুহুল্লাহ্‌ খামেনেই, ইরানি ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ।

 

১৯৯০ – রবার্ট নয়েস, আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী এবং ইন্টেল কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

২০০১ – অ্যান্থনি কুইন, মার্কিন অভিনেতা।

২০১৪ – প্রবীণ সাংবাদিক বেনজীর আহমেদ।

 

২০১৫ – সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী বিজয়া রায়।

 

২০১৬ – মোহাম্মদ আলী, মার্কিন বক্সার।

২০২০ – বলিউডের বিশিষ্ট গীতিকার আনোয়ার সাগর।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

প্রখ্যাত সংবাদ পাঠক আবৃত্তিকার ও বাচিক শিল্পী দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

আবৃত্তিকার তথা কিংবদন্তি বাচিক শিল্পী দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন আকাশবাণীর সংবাদ পাঠক, ঘোষক। আজও তিনি আমর হয়ে আছেন মানুষের মনে।

জন্ম——

 

দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুরে। পিতার নাম নন্দদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতা নীহারবালা।

 

শিক্ষা—–

 

স্কুলের পড়াশোনার পর ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। কিন্তু সংসারের অর্থকষ্ট মেটাতে তিনি বন্ধ করেছিলেন পড়াশুনা।

কর্ম জীবন—

 

রোজগারের জন্য তখন যা পেতেন তাই করতেন। কখনো গৃহশিক্ষকতা, টাইপিস্ট, স্টোরকিপার এবং চায়ের দোকানেও কাজ করতে হয়েছে অর্থকষ্ট এতটাই ভয়াবহ ছিল।সারাদিন চায়ের দোকানে কাজ করতেন।১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঘোষক হিসাবে আকাশবাণীর চাকরিতে প্রবেশ করেন। তারপর একটানা বত্রিশ বছর আকাশবাণীতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন।

 

সংবাদ পাঠক রূপে নিজেকে তুলে ধরা—–

 

অচিরেই কুশলতায় হয়ে ওঠেন আকাশবাণীর সংবাদ ও ভাষ্যপাঠক। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি দিল্লীতে বাংলা বিভাগে সংবাদ পাঠক রূপে নির্বাচিত হন। তারপর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের শেষদিকে ফিরে আসেন কলকাতার বেতার কেন্দ্রে। তার কণ্ঠে ‘ কলকাতার আকাশবাণীতে ‘‘আকাশবাণী কলকাতা, খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’’—ভরাট কণ্ঠের এই সম্ভাষণ যে কি প্রভাবে মানুষকে আচ্ছন্ন করত তা বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে। আর সংবাদ পাঠকে তিনি এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন যে, ঘরে ঘরে সংবাদ পরিক্রমা শোনার জন্য রেডিও খোলা হতো।

 

সম্মাননা—–

 

বাঙলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাঁকে “পদ্মশ্রী” সম্মানে ভূষিত করে।  বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার পর তিনি ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে ১০ ই জানুয়ারি বাংলাদেশে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেন ও সংবর্ধনা জানান।

সম্পাদনা——

 

অবসরের পর যৌথ বা একক ভাবে সম্পাদনা করেছেন বিভিন্ন বিষয়ের বই। সেগুলি হল- বিষয়:আবৃত্তি (অমিয় চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে), বাংলাদেশের গল্প, একাত্তরের যুদ্ধে ভারত-পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।

 

মৃত্যু—–

 

দক্ষিণ কলকাতার ল্যানসডাউনে নিজের বাসভবনে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ২ রা জুন ৭৭ বৎসর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আজ তেলেঙ্গানা গঠন দিবস, জানুন দিনটির গুরুত্ব।

তেলেঙ্গানা গঠন দিবস ২০২৪—

এই চলতি বছরের ২রা  জুন তেলেঙ্গানা গঠন দিবস ২০২৪ তেলেঙ্গানা জনগণ পালন করে।  এটি একটি জাতীয় অনুষ্ঠান যা অন্ধ্র প্রদেশ থেকে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠিত হওয়ার দিনটি উদযাপন করতে প্রতি বছর ২ রা জুন উদযাপন করা হয়।  তেলেঙ্গানা গঠন দিবস তেলেঙ্গানা দিবস নামেও পরিচিত।  অন্ধ্র প্রদেশের বাইরে একটি পৃথক রাজ্য গঠনে জনগণের অবদানকে চিহ্নিত করতে তেলেঙ্গানা তার গঠন দিবস উদযাপন করে।  তেলেঙ্গানা প্রতিষ্ঠা দিবস ভারতের তেলেঙ্গানায় একটি সরকারী ছুটির দিন, যা রাজ্য গঠনের সম্মানে। তেলেঙ্গানার প্রতিষ্ঠা তেলেঙ্গানা আন্দোলনের সাফল্যের ইঙ্গিত দেয়।  এটি অন্ধ্র প্রদেশ থেকে তেলেঙ্গানার আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা চিহ্নিত করে।  তেলেঙ্গানা ভারতের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের সাথে এর উত্তর সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে।  ২রা জুন, ২০১৪-এ তেলেঙ্গানা গঠিত হয় এবং হায়দ্রাবাদ তার রাজধানী হয়।  রাজ্যটি ১,১২,০৭৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে 33টি জেলা নিয়ে গঠিত।  ২ রা জুন, ২০১৪ ছিল যখন ভারতীয় সংসদ একটি নতুন রাজ্যের জন্ম দেওয়ার জন্য একটি সংশোধনী বিল পাস করেছিল – তেলেঙ্গানা৷  “তেলেঙ্গানা” নামটি ত্রিলিঙ্গ দেশা শব্দটিকে বোঝায়, যা কালেশ্বরম, শ্রীশৈলম এবং দ্রাক্ষরামমের তিনটি প্রাচীন শিব মন্দিরের উপস্থিতির কারণে অর্জিত হয়েছিল।  “তেলিঙ্গা” শব্দটি সময়ের সাথে সাথে “তেলেঙ্গানা” তে পরিবর্তিত হয় এবং “তেলেঙ্গানা” নামটি পূর্ববর্তী হায়দ্রাবাদ রাজ্যের প্রধানত তেলুগু-ভাষী অঞ্চলটিকে এর প্রধানত মারাঠি-ভাষী, মারাঠওয়াড়া থেকে আলাদা করার জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।

 

তেলেঙ্গানা গঠন দিবসের ইতিহাস —

 

১ নভেম্বর ১৯৫৬-এ, তেলেঙ্গানা অন্ধ্র প্রদেশের সাথে একীভূত হয়ে একটি একীভূত রাজ্য গঠন করে বিশেষ করে তেলেগু-ভাষী জনগণের জন্য পূর্ববর্তী মাদ্রাজ থেকে সেই রাজ্যটিকে ভাস্কর্য করে।

১৯৬৯ সালে, তেলেঙ্গানা অঞ্চল একটি নতুন রাজ্যের জন্য একটি বিক্ষোভের সাক্ষী হয় এবং ১৯৭২ সালে, একটি স্বতন্ত্র অন্ধ্র প্রদেশ গঠিত হয়।

ফেব্রুয়ারী ২০১৪ সালে, প্রায় ৪০ বছরের আন্দোলনের পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) লোকসভায় তেলেঙ্গানা বিল প্রণয়ন করে।

২০১৪ সালে, ভারতীয় সংসদে বিলটি পেশ করা হয় এবং একই বছর, অন্ধ্র প্রদেশ পুনর্গঠন আইন পাস হয়।  বিল অনুসারে উত্তর-পশ্চিম অন্ধ্র প্রদেশের ১০ টি জেলা নিয়ে তেলেঙ্গানা গঠিত হবে।

 

তেলেঙ্গানা গঠন দিবস ২০২৪ থিম—-

 

তেলেঙ্গানা গঠন দিবস উদযাপন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে ভরা।  প্রকৃতপক্ষে, একাধিক সংস্থার ইভেন্ট এবং সম্মেলন রয়েছে যা তেলেঙ্গানার সংস্কৃতি উদযাপন করে।   রাজ্যের ৩০ টি জেলা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এই দিনটি উদযাপন করে।  লোকেরা তেলেঙ্গানা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র এবং সরকারী কর্মচারীদের স্মরণ করে এবং তাদের শ্রদ্ধা জানায়।  রাজ্য সরকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

 তেলেঙ্গানা গঠন দিবস ২০২৪ তাৎপর্য—

 

অন্ধ্র প্রদেশের বাইরে একটি পৃথক রাজ্য গঠনে জনগণের অবদানকে চিহ্নিত করতে তেলেঙ্গানা তার গঠন দিবস উদযাপন করে।  তেলেঙ্গানার প্রতিষ্ঠা তেলেঙ্গানা আন্দোলনের সাফল্যের প্রতিনিধিত্ব করে।  এটি অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্য থেকে তেলেঙ্গানার আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতাকে চিহ্নিত করে।  2 শে জুন, ২০১৪-এ, একটি ৫৭ বছর বয়সী আন্দোলন সমাপ্ত হয়, যা তেলেঙ্গানার জনগণের ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করে।  প্রচারণাটি শুধুমাত্র এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একটি স্বতন্ত্র পরিচয়ই দেয়নি বরং ভারতের মানচিত্রও পরিবর্তন করেছে, যা এখন রাজ্যের সীমানা প্রতিফলিত করে।  বছরের পর বছর ধরে তেলেঙ্গানা আন্দোলনের জন্য রাজ্যের ইতিহাসে দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ।  তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠন দিবস ২ জুন ২০২০-এ কামারেডি জেলাগুলিতে উদযাপন করা হয়েছিল।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

আজ আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয়, দিনটির ইতিহাস ও ISWD এর মিশন।

আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস বা আন্তর্জাতিক পতিতা দিবস হল একটি বার্ষিক দিবস, এটি প্রতি বছরের ২ জুন পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে যৌনকর্মীদের চ্যালেঞ্জ এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস পালিত হয়।আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস সারা বিশ্বে যৌনকর্মীদের অধিকার এবং কল্যাণ মনে রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।  প্রতি বছর, ২ জুন, আমরা যৌনকর্মীদের কৃতিত্ব উদযাপন করি এবং তাদের অধিকার সমর্থন করার জন্য কাজ করে।
ISWD উদযাপন করার অনেক কারণ রয়েছে।  প্রথমত, যৌনকর্মীদের প্রায়ই প্রান্তিক করা হয় এবং তাদের সাথে অন্যায় আচরণ করা হয়।  তারা প্রায়ই তাদের ক্লায়েন্ট এবং নিয়োগকর্তাদের হাতে সহিংসতা এবং শোষণের সম্মুখীন হয়।  ISWD হল তাদের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং তাদের অধিকারের পক্ষে সমর্থন করার জন্য একসাথে কাজ করার একটি সুযোগ।
মূলত, যৌনকর্মীদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের কণ্ঠস্বর উত্থাপন করার উপায় হিসাবে দিবসটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  সেই সময়ে, অনেক যৌনকর্মীকে শোষণ ও পাচার করা হয়েছিল এবং তারা অনুভব করেছিল যে তাদের কাছে কথা বলার জন্য কোনও কণ্ঠস্বর বা আউটলেট ছিল না।
বর্তমানে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস পালিত হচ্ছে।  যৌনকর্মীদের একত্রিত হওয়া এবং তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা এবং তাদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবসে যৌনকর্মীরা যে বৈচিত্র্যময় পরিসরে কাজ করে তা উদযাপনের জন্য অনেক ঘটনা ঘটছে।  এই ইভেন্টগুলির মধ্যে রয়েছে সমাবেশ, সিম্পোজিয়াম এবং আলোচনা গোষ্ঠী।  তাদের লক্ষ্য যৌনকর্মীদের একত্রিত করা যাতে তারা ধারণা ভাগ করে নিতে পারে এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে।
আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস প্রত্যেকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন যারা মানবাধিকার এবং স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেন।  এটি আমাদের সকলের জন্য যৌনকর্মী সহ যে কোনও ব্যক্তির বৈষম্য এবং শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ।

আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবসের উদ্দেশ্য হল যৌনকর্মীদের এবং তাদের সহযোগীদেরকে সকল যৌনকর্মীদের জন্য অপরাধমুক্তকরণ, সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার দাবিতে একত্রিত করা।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবসও যৌনকর্মীদের জন্য পতিতাবৃত্তি বিরোধী আইন এবং কাজের অবস্থার প্রতিবাদ করার একটি দিন হয়ে উঠেছে।  আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবসের সমর্থকরা যুক্তি দেন যে এই আইনগুলি যৌনকর্মীদের অপরাধীকরণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়, তাদের নির্দিষ্ট এলাকায় বা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করা নিষিদ্ধ করে।  তারা আরও যুক্তি দেয় যে এই আইনগুলি যৌনকর্মীদের শোষণ বা সহিংসতা থেকে রক্ষা করে না।
আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস মানবাধিকার কর্মী এবং যারা সারা বিশ্বে যৌনকর্মীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেন তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।

 

 

১৯৭০-এর দশকে, ফরাসি পুলিশ যৌনকর্মীদের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রেখেছিল। পুলিশের প্রতিশোধমূলক আচরণ যৌনকর্মীদের গোপনে কাজ করতে বাধ্য করে। ফলস্বরূপ, যৌনকর্মীদের সুরক্ষা হ্রাস হতে থাকে এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা আরও বাড়তে থাকে। দুটি হত্যাকাণ্ড হয়ে যাবার পরেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি না হওয়ায় এবং সেই বিষয়ে সরকারের কোন আগ্রহ না থাকায়, লিয়নের যৌন কর্মীরা রুয়ে দে ব্রেস্টের সেন্ট-নিজিয়ার গির্জা দখল করে ধর্মঘট শুরু করে। ধর্মঘটী যৌনকর্মীরা রাজনৈতিক সঙ্গীত গেয়েছিল এবং শালীন কাজের পরিবেশের দাবি করার সাথে সাথে কলঙ্ক অবসানের দাবি জানিয়েছিল।
এই ঘটনা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকস্তরে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছিল, শ্রম এবং নারীবাদীদের মত সংগঠনগুলির কাছ থেকে এই প্রতিবাদ সমর্থন পেয়েছিল। দখলের ৮ দিন পর, ১০ই জুন, পুলিশ জোরপূর্বক গির্জা থেকে মহিলাদের সরিয়ে দেয়, কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমে যৌন কর্মীদের অধিকারের জন্য তাদের একটি আন্তর্জাতিক আন্দোলনের সূচনা হয়।

এর পর থেকে আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস এর সূচনা হয়। এর মাধ্যমে যৌনকর্মীদের সম্মান প্রদান করা হয় এবং তাদের কাজের অবস্থায় যে প্রায়ই তাদের শোষণ হয় তা স্বীকার করে নেওয়া হয়। এই দিবসটি পালনের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় ১৯৭৫ সালের ২রা জুন শতাধিক যৌনকর্মী দ্বারা লিয়নের এগ্লিস সেন্ট-নিজিয়ের দখল। তাঁরা এটি করেছিলেন তাঁদের অমানবিক কাজের অবস্থার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। এটি ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট যৌনকর্মকে পেশা হিসাবে স্বীকার করে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয় যে, যৌনকর্মীদের মর্যাদা এবং সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। ঠিক যেমন ভাবে অন্যান্য যে কোনও পেশার ক্ষেত্রে রয়েছে।

 

 

আসলে যৌনকর্মীরা তাঁদের জীবন যাপনের জন্য এই পেশা বেঁছে নিয়েছে। তাই তাঁদের অন্যান্য কর্মীদের মতোই ভাবুন।
যৌনকর্মীরা টাকার জন্য কাজ করে। তাঁরা কারও কাছে অনুগ্রহ চাই না, নিজেদের মানসিক, শারীরিক শ্রম বিনিময়ে তাঁরা টাকা উপার্জন করে। যৌনকর্মীদের নিয়ে সমাজে সচেনতা বাড়ান।তাঁদের কথা শুনে জেন আপনার মাথা হেট না হয়, বরং তাঁদের অধিকার নিয়ে কথা বলুন যাতে সমাজে তাঁদের প্রতি সজেতনতা গড়ে ওঠে।

 

 

 

 

সর্বপরি দিনটি যৌনকর্মীদের শোষিত কাজের অবস্থার স্বীকৃতি দেয়। কখনও কখনও তারা নিষ্ঠুরতার শিকার হয় এবং তারা সহিংসতারও সম্মুখীন হয়।  যৌনকর্মীরা আইনত তাঁদের  অধিকার পেলেও অন্যান্য কর্মীর মতো সম্মান কি তাঁরা পান! বছরের পর বছর ধরে ওঁরা লড়ে চলছে সমাজে নিজের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার পেতে। যৌনকর্মীদের  সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস (International Sex Workers Day) পালিত হয়। তাই দিনটি সকল মানবজাতিকে তাদের প্রতি সম্মান করতে শেখায়।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This