ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে শরৎচন্দ্র বসু ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী। শরৎচন্দ্র বসু ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।
শরৎচন্দ্র বসু ৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বাঙালি জাতীয়তাবাদী, পেশায় ব্যারিস্টার এবং ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী ছিলেন। তিনি জানকীনাথ বসুর পুত্র এবং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মেজ দাদা।। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন এবং পরে অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেন। তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের একজন নৈতিক সমর্থক ছিলেন। তিনি বিনা পয়সায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে আদালতে আবেদন করতেন। তাঁর স্ত্রী বিবাহতি বসুও গান্ধীবাদী আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক কর্মজীবন———-
তিনি ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৪৬ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪৭ সালে ক্যাবিনেট মিশনের পরিকল্পনায় কংগ্রেসের ভূমিকার কারণে তিনি তার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন। একজন দেশপ্রেমিক বাঙালি হিসেবে শরৎচন্দ্র বসু বাংলা বিভাগের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি সমাজ ও ভাষার ভিত্তিতে গঠিত স্বশাসিত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির সমন্বয়ে একটি অখণ্ড ভারত গঠনের পক্ষে ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে তার অনেক মিল ছিল। সোহরাওয়ার্দী এ সময় অখন্ড স্বাধীন বাংলা বাস্তবায়নের পরিকল্পনাও আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেন। অখণ্ড স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে উভয় নেতাই পরবর্তীতে একসঙ্গে কাজ করেন।
মৃত্যু——–
তিনি ১৯৫০ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যু হয়।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।
Categories