Categories
কবিতা

কালবেলায় অবগাহন ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

আজানুলম্বিত বাহু মেলে মস্তিষ্কে হাত রাখে বিধাতা
হস্তনির্গত বিষধর সাপ যেন বহুফনায় করে দংশন
নীলকণ্ঠ নহি,নীলাক্রান্ত মৃত্যুই প্রাত্যহিক উপসংহার।
ভক্তি বিনত নত মাথা,মিথ্যা অভিশাপে ভরাও হে কালকূট।

কালবেলার সরিয়ে চাদর ঘুমন্ত দাবনায় রাখে মাথা,
কামনায় আবৃত চোখে প্রস্ফুটিত স্তন পান করে জিঘাংসায়।
নগ্নতায় ভরায় এ ধরণীর নির্মল সিঁথির সিঁদুর,
তারপর বেশ্যাদ্বারের মাটি শুষে নেয় সহস্র সতীর অশ্রুবিন্দু।

শুস্ক নদীতে পচা, গলা,ফোলা প্রাণহীন শবেদের অবগাহন,
বালুকায় অষ্টপ্রহর ভাঙা গড়ার চিরাচরিত ইতিহাস।
অগ্নিদগ্ধ দক্ষিণা বাতাসের তৃপ্তিহীন দীর্ঘশ্বাস বাতায়নে,
শতসহস্র পরিযায়ী ফিরে যায় ক্ষত বিক্ষত ডানা মেলে।

ঝরা পাতার দীর্ঘশ্বাস ,দূষণ,শোষণ আর লোভে মৃত্যু হাসে
প্রতি প্রভাতে গণিকার ঘুম ভাঙে শত ব্যথা বয়ে পাঁজরে ।
পুরুষের প্রতিস্পধী দেবী মাটি খোঁজে কুমারের টুলিতে, টুলিতে,
অনুশোচনায় চোখ মোছে স্বাধীনতা,অদৃশ্য বেড়ি পায়ে ক্লান্ত যৌবন।

সোনালী ধান প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়ায় সবুজ শস্য ক্ষেতে,
প্রাণহীন কাকতাড়ুয়া মহাশূন্যে হাত মেলে দীর্ঘ তপস্যায়।
আজ হয়তো কোন পোয়াতির গর্ভে অপেক্ষায় নির্ভীক-
পুরুষাকার, হয়তো দেশাত্ববোধের আগামী রূপকার।

সংরক্ষিত/ প্রবীর কুমার চৌধুরী।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *