Categories
কবিতা

কালবেলায় অবগাহন ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

আজানুলম্বিত বাহু মেলে মস্তিষ্কে হাত রাখে বিধাতা
হস্তেনির্গত বিষধর সাপ যেন বহুফনায় করে দংশন
নীলকণ্ঠ নহি,নীলাক্রান্ত মৃত্যুই প্রাত্যহিক উপসংহার।
তোমার আলিঙ্গনে নত মাথা, মিথ্যা অভিনয়ে শৃঙ্খল পরাও হে কালকূট।

এ কালবেলা সরিয়ে চাদর ঘুমন্ত দাবনায় রাখে মাথা,
কামনায় আবৃত চোখে প্রস্ফুটিত স্তন পান করে জিঘাংসায়
নগ্নতায় ভরায় এ ধরণীর নির্মল সিঁথির সিঁদুর
তারপর বেশ্যাদ্বারের মাটি শুষে নেয় সহস্র সতীর অশ্রুবিন্দু।

শুস্ক নদীতে পচা, গলা,ফোলা প্রাণহীন শবেদের অবগাহন,
বালুকায় অষ্টপ্রহর ভাঙা গড়ার চিরাচরিত ইতিহাস।
অগ্নিদগ্ধ দক্ষিণা বাতাসের তৃপ্তিহীন দীর্ঘশ্বাস বাতায়নে,
শতসহস্র পরিযায়ী পাখি ফিরে যায় ক্ষত বিক্ষত ডানা মেলে।

গাছের ঝরা পাতার দীর্ঘশ্বাস ,দূষণ,শোষণ আর লোভে মৃত্যুর দিন গোনে ,
প্রতি প্রভাতে গণিকার ঘুম ভাঙে শত ব্যথার পাঁজরে,
পুরুষের প্রতিস্পধী দেবী মাটি খোঁজে কুমারের টুলিতে, টুলিতে,
অনুশোচনায় চোখ মোছে পরাধীন,অদৃশ্য বেড়ি পায়ে নব্য সতী।

সোনালী ধান প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়ায় সবুজ শস্য ক্ষেতে,
প্রাণহীন কাকতাড়ুয়া মহাশূন্যে হাত মেলে দীর্ঘ তপস্যায়।
আজ হয়তো কোন পোয়াতির গর্ভে অপেক্ষায় নির্ভীক-
পুরুষাকার, হয়তো দেশাত্ববোধের আগামী রূপকার।

সংরক্ষিত/ প্রবীর কুমার চৌধুরী।

Share This
Categories
কবিতা

তোমাকে চাই : : প্রবীর কুমার চৌধূরী।।।

পথে পথে,মিছিলে মিছিলে,প্রাত্যহিক সংগ্রামে,শুধু তোমাকে চাই
বঞ্চিত,শোষিত,রক্তাক্ত আর বুভুক্ষায় কঠোর প্রতিজ্ঞা বুকে চেপে
শেষশীতে কম্বলহীন,দাঁতে, দাঁত চেপে ছাই চাপা নিভন্ত মনের
আগুনের সন্ধ্যানে দিন রাত এককরা শেষ বিকেলের সূর্যস্নাত
দুর্বিনীত অভিশাপ বুকে শুধু তোমাকে চাই।

” ঊষর ধূসর ” হিংস্র হিংলাজে সময়কে চেপে দুইহাতে
প্রতিস্পর্ধি হওয়ার শেষ বাসনাতে,মৃত্যুর বুকে পা রেখে আসুক-
বজ্রসম মনোবল, প্রতিবাদের দ্রোহকাল ছিনিয়ে আনার সংকল্পে
জানি অজাতশত্রু কেহ নয়, সবারি আছে প্রাণে ভয়
তবুও মুক্তির খোঁজে নির্ভয়ে অধিকারের নিশান আঁকড়ে ধরবো- দুইহাতে।

এ আহবকাল দুরমুশ করে শান্ত জীবন,স্বপ্নগুলো ছিনিয়ে নেয়
তাই আজ আগামীর মিছিলে মিছিলে মুখে থাক সাম্যের শ্লোগান।
ব্যথিত হৃদয়ে থাক কঠোর প্রতিজ্ঞা,সবকিছু হারানোর প্রজ্বলিত ক্রোধের শিখায় এসো করাঘাতে জাগিয়ে তুলি,শপদে আশা
আর যেন কেউ কোত্থাও কারোর মুখের ভাত ছিনিয়ে না খায়।

সংরক্ষিত /প্রবীর কুমার চৌধুরী

Share This
Categories
কবিতা

তোমাকে চাই ::: প্রবীর কুমার চৌধূরী।।।

পথে পথে,মিছিলে মিছিলে,প্রাত্যহিক সংগ্রামে,শুধু তোমাকে চাই
বঞ্চিত,শোষিত,রক্তাক্ত আর বুভুক্ষায় কঠোর প্রতিজ্ঞা বুকে চেপে
শেষশীতে কম্বলহীন,দাঁতে, দাঁত চেপে ছাই চাপা নিভন্ত মনের
আগুনের সন্ধ্যানে দিন রাত এককরা শেষ বিকেলের সূর্যস্নাত
দুর্বিনীত অভিশাপ বুকে শুধু তোমাকে চাই।

” ঊষর ধূসর ” হিংস্র হিংলাজে সময়কে চেপে দুইহাতে
প্রতিস্পর্ধি হওয়ার শেষ বাসনাতে,মৃত্যুর বুকে পা রেখে আসুক-
বজ্রসম মনোবল, প্রতিবাদের দ্রোহকাল ছিনিয়ে আনার সংকল্পে
জানি অজাতশত্রু কেহ নয়, সবারি আছে প্রাণে ভয়
তবুও মুক্তির খোঁজে নির্ভয়ে অধিকারের নিশান আঁকড়ে ধরবো- দুইহাতে।

এ আহবকাল দুরমুশ করে শান্ত জীবন,স্বপ্নগুলো ছিনিয়ে নেয়
তাই আজ আগামীর মিছিলে মিছিলে মুখে থাক সাম্যের শ্লোগান।
ব্যথিত হৃদয়ে থাক কঠোর প্রতিজ্ঞা,সবকিছু হারানোর প্রজ্বলিত ক্রোধের শিখায় এসো করাঘাতে জাগিয়ে তুলি,শপদে আশা
আর যেন কেউ কোত্থাও কারোর মুখের ভাত ছিনিয়ে না খায়।

সংরক্ষিত /প্রবীর কুমার চৌধুরী

Share This
Categories
কবিতা

জাগুগ চেতনা ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

এসো ঈগলডানার অন্ধকারে
চোখের মুক্ত আলোয়
মাটিতে ছড়ানো যত কবিতার উর্ন-কঙ্কাল সরিয়ে
একটা আস্তানা গড়ে তুলি
যেখানে পরম সুখে বাস করবে আগামীর কবিতা
তারপর নিভৃতে,অন্তরালে সৃষ্টি করুক সত্যের অভিধান।

শৈশব থেকে উৎক্ষিপ্ত দীর্ঘশ্বাস-
আকাশ,বাতাস কাঁপায় একটাই প্রশ্ন
তাদের মুখরেখায় শান্ত নীল দীপ্ত প্রতিবাদের বর্ণছটা-
দুহাতে কেন অদৃশ্য শৃঙ্খল, কেন পবিত্র মাটিতে এত শব?
নীরব সময়ের সান্ত্রী,জিভহীন ,বাকরোহিত মুখবিবর
অসহায় মানবতা ককিয়ে ওঠে – আমরাই দায়ী।

আশে পাশের স্তরে,স্তরে তমসায় স্তাবকের কোলাহলে-
বন্ধ ঘড়ির হাতদুটি দুঃসহ নতজানু
আজ এসো আবেগহীন পথচলি, আবেগ যেন জন্মশত্রু
চেতনা প্রবাহের ভিতর জেগে উঠুক ক্রোধ, প্রতিবাদ
অগণিত সবুজপত্রে উচ্চারিত হোক অমোঘ সত্য
পাহাড় কেটেই শুরু হোক নবজীবনের চলার পথ।

নতজানু মাথারা উঠুক আকাশে
মৃত্যুর কোলে মাথা রেখে,বার,বার বলবো-
এ পৃথিবী আমাদের,আমরাই গড়বো
অকালে যাঁরা চলে গেলেন, সেই মৃত্যুর দায় বইবো।

সংরক্ষিত।

Share This
Categories
কবিতা

এখনও প্রতীক্ষায় ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

তোমার দংস্ট্র,বিষিয়েছে প্রেম ,
বিষুবরেখা থেকে সূর্যের দক্ষিণে –
বাঁচার আকুল আর্তনাদে ভেসে যাই আমি ,
দণ্ডপাণি এসেছে ,হেসেছে অকালেই ।

তোষামোদি যত চাটুকার –
স্বার্থের অন্বেষণে ঘুরে মরে পথময় ,
ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য নেই আছে শুধু ত্রিপাপ।
ত্রিদিব বিষিয়েছে ত্রিদোষ অনুকার ।

আছে কি কোন ত্রিকালজ্ঞ –
বলে দেবে আগামী ভবিষ্যত ?
অক্ষমতার দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে –
এখন প্রতিবাদহীন প্রতিবন্দি আমরা ।

স্নেহ,মায়া,মমতা দুয়ারের বাইরে অপেক্ষা রত-
প্রবেশ নিষেধ নোটিশ হাতে অনুপরিবার ,
আজকের শিশুর মুখের হারানো নিষ্পাপ হাসি –
ফিরবে কি ঠাকুমার ঝুলি হাতে,বৃদ্ধ,বৃদ্ধার প্রবেশাধিকার?

সংরক্ষিত / প্রবীর কুমার চৌধুরী ২৩-১১-১৮

Share This
Categories
প্রবন্ধ

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়; আধুনিক বাংলা কবিতার জীবনানন্দ-পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বা সুনীল গাঙ্গুলী ছিলেন একজন ভারতীয় কবি, ইতিহাসবিদ এবং ঔপন্যাসিক।  সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন একজন বিশ শতকের শেষভাগে সক্রিয় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। বাংলাভাষী এই ভারতীয় সাহিত্যিক একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসাবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন।
Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

মোল ডে 2024: ইতিহাস, তাৎপর্য এবং আপনার যা জানা দরকার।

মোল ডে হল অ্যাভোগাড্রোর সংখ্যা এবং রসায়নে মোল ধারণার একটি বার্ষিক উদযাপন। এটি ছাত্র, শিক্ষাবিদ এবং রসায়ন উত্সাহীদের জন্য রসায়ন সম্পর্কিত মজাদার এবং শিক্ষামূলক কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার একটি সুযোগ।

এটি 23 অক্টোবর পালিত হয়, এবং এটি একইভাবে শিক্ষাবিদ, ছাত্র এবং বিজ্ঞান উত্সাহীদের জন্য নির্দিষ্ট তাৎপর্য বহন করে।
স্কুল এবং রসায়ন উত্সাহীরা উত্তেজনাকে বাঁচিয়ে রেখে প্রতি বছর বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কার্যকলাপের সাথে মোল দিবস উদযাপন করে।
2024-এর জন্য, থিম হল ‘EncantMole’, উৎসবে একটি সৃজনশীল মোড় যোগ করা। “দ্য মোল দ্য মেরিয়ার” এবং ‘মোলার ওডিসি’-এর মতো আগের থিমগুলিও মোল-সম্পর্কিত ইভেন্ট এবং প্রকল্পগুলিকে অনুপ্রাণিত করেছে৷

মোল ডে জাতীয় রসায়ন সপ্তাহের সাথে মিলে যায়, অংশগ্রহণকে আরও প্রচার করে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই বিষয়ে আগ্রহ জাগিয়ে তোলে।
রসায়ন ক্লাব এবং শিক্ষকরা মোল ট্রিভিয়া, মোল জোকস এবং মোল-থিমযুক্ত শিল্পের মতো ইভেন্টগুলি সংগঠিত করে, যা শেখার অভিজ্ঞতাকে আনন্দদায়ক এবং অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে।

তারিখ——

তিল দিবস প্রতি বছর 23 অক্টোবর সকাল 6:02 টা থেকে 6:02 পর্যন্ত পালিত হয়। এই তারিখ এবং সময় তাৎপর্যপূর্ণ কারণ 6.02 x 10²³ হল অ্যাভোগাড্রোর সংখ্যা, রসায়নে একটি মৌলিক ধ্রুবক।

তিল দিবস কি?

মোল ডে হল অ্যাভোগাড্রোর সংখ্যা এবং রসায়নে মোল ধারণার একটি বার্ষিক উদযাপন।
এটি ছাত্র, শিক্ষাবিদ এবং রসায়ন উত্সাহীদের জন্য রসায়ন সম্পর্কিত মজাদার এবং শিক্ষামূলক কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার একটি সুযোগ।

মোল দিবসের ইতিহাস —-

ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করার এবং রসায়নের প্রতি ভালোবাসা জাগানোর প্রয়াসে রসায়ন শিক্ষকদের একটি দল 23শে অক্টোবর, 1980-এ মোল ডে প্রথম পালিত হয়েছিল।

তারিখ এবং সময় সকাল 6:02 টা থেকে 6:02 পিএম Avogadro এর সংখ্যা (6.02 x 10²³) প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল, যা একটি মৌলিক ধ্রুবক যা একটি মোলের কণার সংখ্যা বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়।
মোল দিবসের পিছনের ধারণাটি হল শিক্ষার্থীদের মজাদার এবং ইন্টারেক্টিভ ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে রসায়নের ধারণাগুলি অন্বেষণ করার জন্য একটি আকর্ষক পরিবেশ তৈরি করা।
বছরের পর বছর ধরে, উদযাপনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বাইরের স্কুলগুলিতে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি বার্ষিক ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।
উদযাপনটি বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে, শিক্ষকরা রসায়নকে আরও সহজলভ্য এবং আনন্দদায়ক করার লক্ষ্যে গেম, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সৃজনশীল প্রকল্পের মতো বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করে।
মোল ডে বিজ্ঞান ক্যালেন্ডারে একটি স্বীকৃত উপলক্ষ হয়ে উঠেছে, আমাদের চারপাশের বিশ্বকে বোঝার ক্ষেত্রে রসায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে।

এই বছরের গুরুত্ব সম্পর্কে এখানে কিছু মূল বিষয় রয়েছে:

অ্যাভোগাড্রোর সংখ্যা সম্পর্কে সচেতনতা: এই বছর, মোল ডে অ্যাভোগ্যাড্রোর সংখ্যাকে (6.02 x 10²³) রসায়নের ভিত্তি হিসাবে জোর দিয়ে চলেছে, যা ছাত্রদের বিষয়টি পরিমাপ এবং পরিমাণ নির্ধারণে এর প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে সহায়তা করে৷

STEM ব্যস্ততাকে উত্সাহিত করা: STEM শিক্ষার উপর ক্রমবর্ধমান জোর দিয়ে, মোল ডে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণামূলক আগ্রহের জন্য একটি অনুঘটক হিসাবে কাজ করে। এটি শিক্ষার্থীদেরকে একটি সম্ভাব্য ক্যারিয়ারের পথ হিসাবে রসায়ন অন্বেষণ করতে উত্সাহিত করে।

ইন্টারেক্টিভ শেখার সুযোগ: মোল ডে 2024 হ্যান্ডস-অন ক্রিয়াকলাপ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং আলোচনার একটি সুযোগ প্রদান করে যা রসায়নের ধারণাগুলিকে বাস্তব এবং স্মরণীয় করে তোলে। এই সক্রিয় অংশগ্রহণ বোঝা এবং ধারণ বাড়ায়।

সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা: স্কুল এবং স্থানীয় সম্প্রদায়গুলি বিজ্ঞান উদযাপন করতে, ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে একত্রিত হতে পারে। ইভেন্টগুলিতে বিজ্ঞান মেলা, প্রতিযোগিতা এবং বিষয়ভিত্তিক কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা সম্প্রদায়ের অনুভূতি তৈরি করে।

সৃজনশীলতা এবং অভিব্যক্তি: মোল ডে সৃজনশীল প্রকল্প এবং উপস্থাপনাকে উত্সাহিত করে, শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী উপায়ে রসায়ন সম্পর্কে তাদের বোঝার প্রকাশ করতে দেয়। এর মধ্যে শিল্প, স্কিট বা এমনকি রান্নার বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা বিষয়টিকে আরও সম্পর্কিত করে তোলে।

বাস্তব-বিশ্বের অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে হাইলাইট করা: উদযাপনটি রান্না থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান পর্যন্ত রসায়ন কীভাবে দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে তার উপর ফোকাস করতে পারে। এই সংযোগ শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের বাইরে বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতা উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।

বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতার প্রচার: মোল ডে 2024 একটি দ্রুত অগ্রসরমান বিশ্বে বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতার গুরুত্বকে শক্তিশালী করে। এটি সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং জ্ঞাত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত করে, আজকের সমাজে প্রয়োজনীয় দক্ষতা।

।। সংগৃহীত।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিদেশ ভ্রমণের কিছু বিশেষ বিশেষ জায়গা।

আপনি কি বিদেশে একটি অবিস্মরণীয় যাত্রা শুরু করতে প্রস্তুত? অগণিত বিকল্পগুলির মধ্যে থেকে বেছে নেওয়ার জন্য, নিখুঁত গন্তব্য নির্বাচন করা অপ্রতিরোধ্য হতে পারে। এখানে বিদেশ ভ্রমণের জন্য কিছু বিশেষ স্থানের জন্য একটি বিস্তৃত নির্দেশিকা রয়েছে, বিভিন্ন ল্যান্ডস্কেপ, সংস্কৃতি এবং অভিজ্ঞতা কভার করে।

*প্রাকৃতিক বিস্ময়*

1. *হা লং বে, ভিয়েতনাম*: পান্না জল এবং চুনাপাথরের কার্স্টের মধ্য দিয়ে ক্রুজ করুন।
2. *গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, USA*: বিশ্বের সবচেয়ে আইকনিক প্রাকৃতিক আশ্চর্যের একটিতে বিস্মিত।
3. *অরোরা বোরিয়ালিস, আইসল্যান্ড*: শ্বাসরুদ্ধকর নর্দার্ন লাইটের সাক্ষী।
4. *গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, অস্ট্রেলিয়া*: প্রাণবন্ত প্রবাল এবং সামুদ্রিক জীবনের মধ্যে স্নরকেল বা ডুব।
5. *ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, জাম্বিয়া/জিম্বাবুয়ে*: আফ্রিকার শক্তিশালী জলপ্রপাতের বিস্ময়কর শক্তি অনুভব করুন।

*সাংস্কৃতিক হটস্পট*

1. *টোকিও, জাপান*: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং প্রাচীন ঐতিহ্যের অভিজ্ঞতা নিন।
2. *রোম, ইতালি*: চিরন্তন শহরে ইতিহাস এবং শিল্পকলার উন্মোচন করুন।
3. *মারাকেচ, মরক্কো*: প্রাণবন্ত বাজার এবং ইসলামিক স্থাপত্যে নিজেকে নিমজ্জিত করুন।
4. *নতুন দিল্লি, ভারত*: সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং মশলাদার খাবার আবিষ্কার করুন।
5. *রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল*: কার্নিভাল ভাইব এবং অত্যাশ্চর্য সৈকত ভিজিয়ে রাখুন।

*শহুরে আনন্দ*

1. *নিউ ইয়র্ক সিটি, ইউএসএ*: যে শহরটি কখনও ঘুমায় না তা আইকনিক ল্যান্ডমার্ক এবং বৈচিত্র্য প্রদান করে।
2. *প্যারিস, ফ্রান্স*: আলোর শহরে রোমান্স এবং কমনীয়তা।
3. *সিডনি, অস্ট্রেলিয়া*: আইকনিক অপেরা হাউস এবং হারবার ব্রিজ উপভোগ করুন।
4. *ব্যাংকক, থাইল্যান্ড*: ব্যস্ত রাস্তা, রাতের বাজার এবং রাস্তার খাবার ঘুরে দেখুন।
5. *দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত*: ভবিষ্যতের আকাশচুম্বী ভবন এবং বিলাসবহুল কেনাকাটায় বিস্মিত।

*অ্যাডভেঞ্চার হাব*

1. *কুইন্সটাউন, নিউজিল্যান্ড*: বিশ্বের অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল, বাঞ্জি জাম্পিং এবং স্কিইং সহ।
2. *ইন্টারলেকেন, সুইজারল্যান্ড*: সুইস আল্পসে হাইক, প্যারাগ্লাইড বা স্কি।
৩।
4. *উটাহ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র*: হাইক জিয়ন ন্যাশনাল পার্ক, আর্চেস এবং ক্যানিয়নল্যান্ডস।
5. *কোস্টা রিকা*: জঙ্গলের মধ্য দিয়ে জিপ লাইন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় সৈকতে আরাম করুন।

*পিটানো পথের বাইরে*

1. *কিরগিজস্তান*: যাযাবর ঐতিহ্য এবং অত্যাশ্চর্য পর্বত দৃশ্য অন্বেষণ করুন।
2. *মিয়ানমার*: প্রাচীন মন্দির এবং শান্ত হ্রদ আবিষ্কার করুন।
3. *জর্জিয়া*: মদের দেশ, পর্বত এবং কৃষ্ণ সাগর উপকূল উপভোগ করুন।
4. *পেরু*: মাচু পিচু, কুসকো এবং প্রাণবন্ত টেক্সটাইল পরিদর্শন করুন।
5. *স্লোভেনিয়া*: এই লুকানো ইউরোপীয় রত্নটিতে হাইক, বাইক বা স্কি।

*খাদ্য এবং ওয়াইন*

1. *টাস্কানি, ইতালি*: ঘূর্ণায়মান পাহাড়ে ওয়াইন, পনির এবং পাস্তার স্বাদ নিন।
2. *বোর্দো, ফ্রান্স*: সূক্ষ্ম ওয়াইন এবং রন্ধনপ্রণালীতে লিপ্ত হন।
3. *স্পেন*: বার্সেলোনা এবং তার বাইরে তাপস, পায়েলা এবং সাংরিয়া।
4. *থাইল্যান্ড*: মশলাদার রাস্তার খাবার এবং রাতের বাজার।
5. *জাপান*: সুশি, রামেন এবং অনন্য ডাইনিং অভিজ্ঞতা।

*উৎসব এবং অনুষ্ঠান*

1. *রিও কার্নিভাল*: প্রাণবন্ত প্যারেড এবং সঙ্গীত।
2. *টোমাটিনা*: স্পেনের বিখ্যাত টমেটো নিক্ষেপ উৎসব।
3. *হোলি*: ভারতের রঙিন প্রেমের উৎসব উদযাপন করুন।
4. *লোই ক্রাথং*: থাইল্যান্ডের লণ্ঠন উৎসব।
5. *মার্ডি গ্রাস*: নিউ অরলিন্সের আইকনিক প্যারেড।

*টিপস এবং প্রয়োজনীয়*

1. গবেষণা ভিসার প্রয়োজনীয়তা এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা.
2. আবাসন এবং পরিবহনের জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করুন।
3. জলবায়ু এবং সাংস্কৃতিক নিয়ম অনুসারে প্যাক করুন।
4. স্থানীয় ভাষায় মৌলিক বাক্যাংশ শিখুন।
5. সাংস্কৃতিক পার্থক্য এবং ঐতিহ্যকে সম্মান করুন।

একটি আন্তর্জাতিক যাত্রা শুরু জীবন পরিবর্তন হতে পারে. প্রাকৃতিক বিস্ময় থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক হটস্পট, শহুরে আনন্দ এবং অ্যাডভেঞ্চার হাব, প্রত্যেক ভ্রমণকারীর জন্য কিছু না কিছু আছে। কৌতূহলী থাকতে মনে রাখবেন, খোলা মনের, এবং সারাজীবনের যাত্রার জন্য প্রস্তুত।

Share This
Categories
কবিতা

দিতে পার কি যতটুকু চাই ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

আলো খুঁজতে খুঁজতেই আকাশে অন্ধকার আসে,
সূর্য হাসে,একসময় ছুট দেয় পশ্চিমে ।
ফাল্গুনের যৌবনপ্রাপ্ত বসন্ত প্রেম খোঁজে-
অলি,গলির ফাঁক, ফোকরে,তীক্ষ্ণ নজরে।
পোকায় ধরা ক্ষয়াটে কালচে দাঁতের ফাঁকে নির্লজ্জ হাসি।

সময়ের ঝড়ে এলোমেলো সবকিছু,
দিগন্ত থেকে দিগন্তে আলো মাখে ধুলো,
হাড় বের করা বুকে দুর্বল ধুকপুক, বুড়ি ছুঁয়ে থাকে-
কোনমতে। সবলের আস্ফালন শুনতে শুনতে
হেঁটে যায় প্রতীক্ষা,লালা বয়ে বাসা বাঁধে দামি, দামি গুটিপোকা।

তবুও দীপ্ত পায়েই হেঁটে চলা, কথা বলা,ছলাকলা,
প্রাত্যহিক কাস্তেতে শান দিয়ে দিয়েই দীর্ঘ অপেক্ষা,
বুকের কোন থেকে রিনিরিনি শব্দে সুরে সুরে গান গায় স্বপ্ন।
দীর্ঘ ধৈর্য আর অপেক্ষারা পাশা খেলে সময় কাটায় হৃদয় চত্বরে।
মাঝে মাঝেই মনে পড়ে চরকা কাটা বুড়ির চুল ,ফেলে আসা বাল্য।

রবীন্দ্রনাথ জেগে ওঠেন করুন সুরে,,জীবনানন্দের বনলতা সেন
ক্ষয়াটে শরীরে কোনমতে বুকে চেপে রাখেন একতাল মাংসপিন্ড।
ছেঁড়া গেঞ্জির উচ্ছাসের বুকপকেটেখুচরো পয়সা আওয়াজ তোলে- আর বলে ,আমিই প্রেম,আয়ু,মহাজীবন কিছুক্ষণ বেঁচে থাকা।
আমিই লাঠির মাথার ঝান্ডা,মিছিলের গতিপ্রকৃতি,দিকনিরূপন ।

একে একে ঘুরে যায় কাল চক্রের চাকা,
সত্যি,মিথ্যা,মিথ্যা,সত্যি পাক খায় ক্রমান্বয়ে ।
সময়ের ঝড়ে এলোমেলো আজ বিশ্বাস শেষ ফাগুনের বিকালে,
রক্তাক্ত পদাতিক,মিছিলে মিছিলে শ্লোগান তোলে –
একমুঠো আলো দাও, ফিরিয়ে দাও বিশ্বাস ,হাসতে দাও নিশ্চিন্তে …….।

Share This
Categories
কবিতা

চিরদিনের ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

এ দেশ আমার চিরদিনের সুখের ছেলেবেলা ,
পিতৃপুরুষের চরণচিহ্ন ,শুধুই স্মৃতির মেলা।
এদেশ আমার লাজুক প্রিয়ার সোহাগভরা মুখ –
এদেশ আমার শত যুদ্ধের জয়ে বিভোর বুক।

এদেশ আমার চিরদুখী মায়ের মুখের হাসি ,
হাজার দুঃখেও ফিরে ফিরে আসা,ভালোবাসি শুধু ভালোবাসি ।

সংরক্ষিত/প্রবীর কুমার চৌধুরী।

প্রবীর কুমার চৌধুরী

Share This