Categories
কবিতা

স্কাইপে বসেছে অবসরেরা : প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

দুর্বিসহ এক অসহ্য অজানা যন্ত্রনা-
রাতভরে জোনাকির আলোয় পথ খোঁজে গৃহস্থের বুকে,
করোনা আজ অদৃশ্য দেহে কালো মেঘে এলিয়ে –
নিভৃতে রমন সুখে তৃপ্ত বংশবিস্তারে।
আমি জীবন নদীর চড়ায় স্বস্তি খুঁজি –
নিত্য ভয়ংকর ভাঙ্গনের দুইকুলে।

বেগবতী নির্মম অভিশাপ পোয়াতি হয়,আরে-বহরে বাড়ে,
মাঠে,ঘাটে, রণে,বনে,জঙ্গলে প্রসব করে মহাধ্বংস ।
বেলা,অবেলায় দুসংবাদ চিঠিতে গুঁজে ত্রস্তে-
রাতের অন্ধকারে ছুটে চলেছি অসহায়-
আমি এক অনাহুত হরকরা, মিথ্যা সুখের –
প্রতিশ্রুতি বয়ে বয়ে পৌঁছে দিচ্ছি অন্তরঙ্গের চলচিত্রে।

হয়তো কোন এক প্রভাতে নিদ্রাভেঙে-
আমাকেই ডেকে পাঠাবে সর্পবিষ হরি ,এ খাণ্ডবে-
বয়সের কপাট অসমর্থ প্রতিরোধে , দুঃস্বপ্নে মাতাল অশনি ।
নীল কাগজের নৌকায় রেখে যাবো হৃদয়ের কবিতা
একদিন-প্রতিদিন ,নিত্যদিন সকাল,সন্ধ্যা,রাতভর…….

এতদিনের অমূল্য সঞ্চয়ের প্রাণপ্রিয়রা পরে রবে সন্ধ্যা সবিতায়,
ফের যদি ফিরে আসি ,যেন আরো তেজ নিয়ে আসি।
আটান্নবছরের টাইমজোনে বসে আজ সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়,
বারবেলার এ দেহের মনিটার স্ক্রল করতে করতে হটাৎ দেখি-
হৃদয়ের স্কাইপে বসেছে অবসরেরা নিশ্চিন্তের আড্ডায়।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

রতন টাটা শুধু শিল্পপতিই নন , তিনি একজন সমাজসেবী , মানব দরদি ও দূরদর্শী মানুষ ।

ভারতের অন্যতম সফল শিল্পপতি স্যার রতন টাটা। রতন টাটা দেশের প্রিয় শিল্পপতিদের মধ্যে এমনই এক মুখ, যাকে সবাই চেনেন। তিনি একজন বিখ্যাত ভারতীয় শিল্পপতি এবং টাটা গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রতন টাটা শুধু শিল্পপতিই নন , তিনি একজন সমাজসেবী , মানব দরদি ও দূরদর্শী মানুষ । তিনি ১৯৯১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ -তে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন, কিন্তু টাটা গ্রুপের দাতব্য ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল রয়েছেন।তার নেতৃত্বে, টাটা গ্রুপ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং গ্রুপের আয়ও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতের অন্যতম সফল শিল্পপতি স্যার রতন টাটা ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটার দত্তক পৌত্র এবং নেভাল টাটার পুত্র। তাঁর মায়ের নাম সুনি টাটা। রতন টাটার বাবা মা যখন পৃথক হয়ে যান যখন তাঁর দশ বছর বয়স ছিল।যদিও মা বাবার ডিভোর্স নিয়ে তাঁকে ও তাঁর দাদাকে অনেক টিটকারির সম্মুখীন হতে হয়েছিল।  রতন টাটা গুজরাটের অন্যতম ধনী পরিবারের ছেলে হলেও তার শৈশব খুব একটা ভালো কাটেনি। তার কারণ ছিল রতনের বাবা-মা, বিচ্ছেদের কারণে তাঁরা আলাদা থাকতেন। দাদির সঙ্গে বেড়ে ওঠার ফলে তাঁর দাদি তাঁকে জীবনের মূল্যবোধ শিখিয়েছিলেন।

রতন টাটা ছোট বেলা থেকেই বেশ মেধাবী ছিলেন।রতন টাটা কেম্পিয়ন স্কুলে (মুম্বাই) শিক্ষা জীবন শুরু করেন। পরে তিনি ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড জন কনন স্কুল-এ তিনি স্কুল শিক্ষা শেষ করেন। স্কুল শিক্ষা শেষ করার পর তিনি ১৯৬২ সালে কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেচার বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়তে বাণিজ্য ও অ্যাডভেঞ্চেড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।

বিশ্বের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী রতন টাটার শুরুটা হয়েছিল ছোটখাট চাকরি দিয়ে। পড়াশুনা শেষ করে রতন টাটা (Ratan Tata) আমেরিকার জোনস এ্যান্ড ইমনস নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে কিছুদিন কাজ করেন। তারপর ১৯৬১ সালে তিনি টাটা গ্রুপে টাটা স্টিলের কর্মচারী হিসেবে রতন টাটার (Ratan Tata) ক্যারিয়ার শুরু করেন। যেখানে তাঁর প্রথম দায়িত্ব ছিল বিস্ফোরণ চুল্লি এবং চাউলের পাথর পরিচালনা করা। ১৯৯১ সালে জে আর ডি টাটা রতন টাটার মেধা পরিশ্রম ও মানসিকতার মূল্য দিতেই টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হয়ে তিনি টাটা গ্রুপের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনেছিলেন। ধীরে ধীরে কোম্পানীকে বিরাট এক আন্তর্জাতিক কোম্পানীতে পরিনত করেন। ২১ বছরের মিশনে পৃথিবীর ৬টি মহাদেশের ১০০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা। রতন টাটা আসলে মানবিক হৃদয় এবং ক্ষুরধার বৈষয়িক বুদ্ধির জীবন্ত প্রতীক। যে কারণে Tata Group-এর চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অক্লান্তভাবে ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের পরিধি বাড়িয়েছেন। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের একাধিক অধিগ্রহণ রয়েছে। যেমন Land Rover Jaguar-এর সঙ্গে Tata Motors, Tetly-র সঙ্গে Tata Tea এবং Corus-এর সঙ্গে Tata Steel। সবক’টি অধিগ্রহণই কোম্পানির মুনাফা কয়েকগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
রতন টাটাই এ দেশের একমাত্র শিল্পপতি যাঁর গ্যারাজে যেমন Ferrari California, Cadillac XLR, Land Rover Freelander, Chrysler Sebring, Honda Civic, Mercedes Benz S-Class, Maserati Quattroporte, Mercedes Benz 500 SL, Jaguar F-Type, Jaguar XF-R-সহ আরও অনেক বিলাসবহুল, আভিজাত্যে ভরা নিজস্ব গাড়ি রয়েছে, আবার যাবতীয় প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে যিনি ভারতকে উপহার দেন মাত্র এক লক্ষ টাকার ন্যানো।তিনি ২০০৭ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে F-16 Falcon-এর পাইলট হয়েছিলেন
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে, রতন টাটা মাত্র এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা গাড়ি “ন্যানো” চালু করেছিলেন। আসলে, রতন এই স্বপ্নটি দেখেছিলেন ১৯৯৭ সালে, যাতে একজন সাধারণ মানুষ মাত্র এক লক্ষ টাকায় একটি গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।

রতন টাটা শুধু শিল্পপতিই নন , তিনি একজন সমাজসেবী , মানব দরদি ও দূরদর্শী মানুষ । মানুষের পাশে থেকে মানব সমাজের কল্যাণের জন্য ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠা করে এ যেন এক নতুন উদ্যম সৃষ্টি করেছেন , যা আগামীদিনে নতুন প্রজন্মকে পথ দেখতে পারবে। রতন টাটা (Ratan Tata) সারাজীবন ধরে প্রমান করেন দৃঢ় সংকল্প , জেদ আর মানুষের কল্যাণকামী মানসিকতা থাকলে বিশ্ব জয় করা সম্ভব।২০০৮ সালে মুম্বাই তাজ হোটেলে জঙ্গি হামলা হলে অনেক পরিবার স্বজন হারিয়ে , আহত হয়ে , কর্মচ্যুত বিপন্ন হয়ে পড়েছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে রতন টাটা তখন সেই সব কর্মীদের পাশে থেকেছেন, আর্তের সহায় হয়েছেন। এমনকি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজে উপিস্থিত থেকে সাহায্য করেছিলেন ।

রতন টাটা ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হন।
এছাড়াও রতন টাটা (Ratan Tata) অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন।

৬ অক্টোবর ২০২৪-এ রতন টাটাকে শারীরিক অসুস্থতার জন্য মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৭ অক্টোবর তার এনজিওগ্রাফি করা হয়েছিল। তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা বিফল হয়। ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তার মৃত্যুতে মহারাষ্ট্র সরকার এক দিনের শোক ঘোষণা করে।
।।তথ্য: সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট ।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব ডাক দিবস, জানুন দিনটির ইতিহাস।

বিশ্ব ডাক দিবস ২০২৪: পোস্ট হল চিঠি লেখা এবং পার্সেল পাঠানোর একটি পদ্ধতি।  পোস্ট হল একটি যোগাযোগ যা লিখিত আকারে।  লিখিত চিঠি বা অন্য কোন পার্সেল যা অন্য ব্যক্তির কাছে পাঠানোর প্রয়োজন তা পোস্ট অফিসে পোস্ট করা হয়।  পোস্টম্যান পোস্ট অফিস থেকে চিঠিপত্র এবং পার্সেল সংগ্রহ করে সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়।  পোস্ট অফিসের প্রাথমিক কাজ হল চিঠি বা পার্সেল সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, প্রেরণ এবং বিতরণ।  এটি যোগাযোগ করতে দীর্ঘ দূরত্বে থাকা লোকেদের সাহায্য করে।  রোমে অগাস্টাস সিজারের (62 BCE – 14 CE) সময়ে প্রথম ডাক পরিষেবা সংগঠিত হয়েছিল।  অধিকন্তু, সারা বিশ্বে ডাক ব্যবস্থা খুব দ্রুত বিকশিত হয়েছে।  এখন স্কটল্যান্ডের সানকুহারের হাই স্ট্রিটে সবচেয়ে পুরানো পোস্ট অফিস।  ব্রিটিশ পোস্টাল মিউজিয়াম অনুসারে, এই ডাকঘরটি ১৭১২ খ্রিস্টাব্দ থেকে কাজ করছে।  প্রতি বছর ৯ই অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়।  এই নিবন্ধটি আপনাকে বিশ্ব ডাক দিবসের ইতিহাস, বিশ্ব ডাক দিবস ২০২৪ থিম, বিশ্ব ডাক দিবস ২০২৪ এর তাৎপর্য, বিশ্ব ডাক দিবস ২০২৪ উদ্ধৃতি এবং বিশ্ব ডাক দিবস ২০২৪ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ FAQs এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে সাহায্য করবে।

বিশ্ব ডাক দিবস 2023: ইতিহাস

১৯৬৯ সালে জাপানের টোকিওতে ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) কংগ্রেস কর্তৃক বিশ্ব ডাক দিবস প্রথম ঘোষণা করা হয়। ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয় কারণ এই দিনে ১৮৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডে সার্বজনীন ডাক দিবস শুরু হয়েছিল। ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন যোগাযোগে বিশ্বব্যাপী বিপ্লব শুরু করে এবং এটি বিশ্বের অন্যদের চিঠি লেখার ক্ষমতা শুরু করে। বিশ্ব ডাক দিবস শুরু হওয়ার পর থেকে, সারা বিশ্বের দেশগুলি এই দিনটি উদযাপনে অংশ নেয়।
বিশ্ব ডাক দিবসের থিম ২০২৪

বিশ্ব ডাক দিবসের থিম 2024 তার যাত্রা জুড়ে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক উদযাপন করে, যার থিম ” যোগাযোগ সক্ষম করার 150 বছর এবং সারা দেশে মানুষের ক্ষমতায়ন” । এই থিমটি ডাক ব্যবস্থার রূপান্তরমূলক ভূমিকাকে সম্মান করে যেখানে ডাক পরিষেবাগুলি বিশিষ্ট এবং বিগত দেড় শতাব্দিতে সারা বিশ্বে মানুষ, ব্যবসা এবং সরকারকে সংযুক্ত করে ভূমিকা পালন করেছে৷
থিমটি চিঠির মাধ্যমে মৌলিক যোগাযোগ সহজতর করা থেকে আজকাল বৈশ্বিক ই-কমার্স এবং আর্থিক পরিষেবাগুলিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে ওঠার যাত্রাকে তুলে ধরে ৷ আমরা যখন বিশ্ব ডাক দিবস 2024 উদযাপন করছি , তখন এই থিমটি দূরত্ব কমিয়ে, সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রচার করার সময় ডাক পরিষেবার স্থিতিস্থাপকতা, অভিযোজনযোগ্যতা এবং উদ্ভাবনকে স্বীকার করে।

বিশ্ব ডাক দিবস ২০২৪: তাৎপর্য

ডাক খাত সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব ডাক দিবস পালন করা হয়।  এই দিনটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ডাক সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কেও স্মরণ করিয়ে দেয়।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ডাক খাতের অবদান জানার জন্য বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়। ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন তরুণদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক চিঠি লেখার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।  প্রতি বছর এই দিনে, ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন বছরের সেরা পোস্ট পরিষেবা ঘোষণা করে।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
কবিতা

কবিতায় কান্না ::: প্রবীর কুমার চৌধুর।।।

কবিতার নিচে চাপাপড়া অব্যক্ত কান্না-
তুমি শুনেছ কি ?
জানালার নীচে জমে থাকা কালোর মধ্যে
অসংখ্য ভাইরাস মোহচ্ছব করে
তুমি দেখছো কি ,?

জীবনের ধারাপাত ঝড়ে পরে শূন্যতার দেওয়ালে
ঝাপসা চোখদুটো অন্ধকারেই নিশ্চিন্ত।
কবিতার এখনও কি সময় হয়নি ঘুম ভাঙার ?
রক্তাক্ত শরীর ব্যবচ্ছেদের ঘৃন্যজীবন –
এর পরেও কি ঈশ্বর্তুল্যের সম্মান প্রত্যাশায় ?

আচরণ বিধি সাইনবোর্ডে জ্বলজ্বল নক্ষত্রের মতো
আচরণ বিধি ভাঙার প্রতিযোগিতায় দোষারোপ
আমি তো অনুধাবন করি বাধ্যবাধকতায়-
নিষ্পেষিত জনজীবন।
তুমি দেখেছো কি সময়ের প্রহসন?

এসো মাটি কিনি দুইগজ, তারপর –
ছাইমেখে মেখে হই নির্লোভ ভোলানাথ
ভস্মীভূত হওয়ার আগে একবার তোমাকে ছুঁয়ে-
দেখতে চাই নব্য বিশ্বরূপ
করোনা,আমফান,নিঃস্বর্গ ত্রাসে -ত্রাসে ঈশ্বর।

Share This
Categories
কবিতা

জীবন নগরী :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

এখন সময় বিনামূল্যে বিলায় নীতি ও আদর্শ,
সকাল,সাঁঝে লাইন পড়ে যায় গ্রহণে।
বাধ্যতার আর দম্ভোক্তির। অনুশাসন গ্রহণ করে-
প্রতিদানে চিন্তারাশি ধরে অসি, কোপায় মাথার ব্রহ্ম তলে।
ছাউনি ফাটা ছাদনা তলায় জীর্ণ জীবন হলুদ মাখে।

ভার বহনের অযোগ্য পরিযায়ী শরীর আর মস্তিষ্কে-
নিত্য সন্ধ্যায় দাঁত ও নখের ধারালো প্রতিফলন ।
দাবাগ্নিতে ডুবে যায় কোমল জীবন, লোভের ফাতনায়-
উত্তরোত্তর দম্ভোতর্জন । কর্মন্দ্রিয় ঢাকা পড়ে কাফনে ।
সচল পৃথিবী কম্পানিত্ব ,অচল চলনে প্রতিটি শ্বাসই দীর্ঘশ্বাস।

মা আমায় কেন আনলি এ ধরাতলে ? এ যেন পরবাস ,
কেন, কেন দ্বিগমণ্ডল ঘুমহীন অভিশপ্ত অবকাশে ?
এখন অন্ধকার রান্নাঘরে ধর্মঘটের মিছিল,
আমার দুধের টানে তোর যৌনজ্বালা-
অভাবঘরে নিষ্প্রদীপ সন্ধ্যা । হায়রে অদৃশ্যে দাদরা বাজে।

আমার বয়স কালের বাসর ঘরে,দেহে যে আগুন ধরে,
পণ্যসম বিপনী করে কেন রাখিস ভাঁড়ার ঘরে ?
অখ্যাতযোনী লঙ্কা পেষে চরম জ্বালায় ডিম্বাণু কাঁদে-
যন্ত্রনাতে,গুটিয়ে যায় গর্ভনেশা,কপাল পোড়ায় সর্বনাশা
ছুটে যায় মাতৃত্বের নেশা,মৃত্যু হাসে- গর্ভপাতে।

আশাহীন সকাল,সাঁঝে বাসর পাতা,সাজাই শুধু ছল, ছলনায়,
এখন আমার বসত অন্ধকারে রেড লাইট এলাকায়।
হাসি মুখের হাজার ক্রেতা,প্রেম আমার বহ্নিশিখা,
চাহিদার পাহাড় চূড়ায় উঠেছে দেহের প্রচ্ছদ।
ভুলে গেছি মধুচন্দ্রিমা,বিতৃষ্ণায় দেখছি পাড় ভাঙার দৃশ্য।

প্রনিধির দীর্ঘ অপেক্ষা ,খুলে রাখে বাতায়ন,
মৃত্যুর প্রণোদন হাতছানি দেয় ,যেন শান্তির আয়োজন।
মাটিতে লুটায় ব্যর্থতা,বিদায়ের অভিবাদন,
প্রগলভ ,প্রগাঢ় শুনি মৃত্যুর পদধ্বনি,
শুনি আশা হীনতার জয়গান। চিরসত্যের ধ্বনি –
“মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান …..”।

সংরক্ষিত/০৫-০৬-২০১৯

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত, ভারতীর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী এবং বিপ্লবী।।

ভূমিকা—

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অক্লান্ত কর্মী।
ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত (৮ অক্টোবর ১৮৯২ – ২৯ ডিসেম্বর ১৯৭৯) ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির একজন কর্মী এবং একজন ব্রিটিশ শক্তি বিপ্লবী।  তিনি স্বাধীন প্রশাসন থেকে যুদ্ধ করেছেন।  বিপ্লবী বিপ্লব হিসেবে স্বাধীনতা আন্দোলনে তার গভীর প্রভাব ছিল।  ১৯১৭ তারিখে বিলাসপুর জেলে তাঁর ৭৮ দিনের ধর্মঘটের একটি প্রতিবেদন রয়েছে।
জীবনের প্রথমার্ধ—
ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত ১৮৯২ সালের ৮ অক্টোবর বাংলাদেশের যশোর জেলার ঠাকুরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  তার পিতা কৈশল চন্দ্র দত্ত পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর জেলার একজন খুচরা ব্যবস্থাপক ছিলেন।  তাঁর মা বিমলাসুন্দরী ছিলেন একজন দানশীল মহিলা।  কমলিনী, যাদুগোপাল, স্নেহলতা, সুপ্রভা নামে তাঁর চার বোন ছিল।
কথিত আছে যে একবার রামায়ণ পড়ার সময় তিনি লক্ষনের বীরত্বের কাহিনী জানতে পেরেছিলেন এবং ব্রহ্মচর্যের বিষয়ে তাঁর ব্যস্ততার কথা পড়েছিলেন।  মায়ের কাছ থেকে ব্রহ্মচর্য সম্পর্কে জানার পর তিনি নিজেই সেই পথ অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন।  এবং সারা জীবন ব্রহ্মচারী হয়ে ভগবানের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।  ফরিদপুর হাইস্কুলে থাকাকালীন তিনি প্র্যাকটিস সোসাইটিতে যোগদান করেন এবং পরে বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ড এবং ১৯০৫ সালের দেশভাগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।  ভগবদ্গীতা পড়া এবং বঙ্কিম চন্দ্র চ্যাটার্জি এবং স্বামী বিবেকানন্দের সাথে কাজ করা তাকে তাদের অনুসারী হতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
লেখা—
ভূপেন্দ্র কুমার দত্ত একজন ক্যালিগ্রাফার ছিলেন।  তাঁর বই ‘বিপ্লব পদচিহনা’, ‘ভারতীয় বিপ্লব এবং গঠনমূলক কর্মসূচি’।  তিনি বহু বিপ্লবীর জীবনীও লিখেছেন।
বিপ্লবী জীবন—
বিপ্লবী বাঘা ছিলেন যতীনের শিষ্য।  তিনি জার্মান অস্ত্রের সাহায্যে ভারতে সশস্ত্র বিপ্লবী অভ্যুত্থানের প্রস্তুতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।  খুলনা ও যশোরে বিপ্লবের দায়িত্ব তার ওপর ন্যস্ত হয়।  যতীনের মৃত্যুর পরও বাঘা আত্মগোপনে কাজ চালিয়ে যান।  আর্মেনীয়রা রাস্তায় ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল।  ১৯১৭ সালে গ্রেফতার হন। বিলাসপুর জেলে ৭৮ দিন অনশন করেন।  ১৯২০ সালে মুক্তি পাওয়ার পর, তিনি গান্ধীজির সাথে দেখা করেন।  গণ যোগাযোগের উদ্দেশ্যে কংগ্রেসে যোগদান।  এরপর তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের স্বরাজ্য পার্টিতে কাজ করেন।  তিনি ১৯২৩ সালে ব্রহ্মদেশে (মিয়ানমার) বন্দী হন। ১৯২৮ সালে মুক্তি পেলেও তিনি সশস্ত্র বিপ্লবের পথ ত্যাগ করেননি।  অস্ত্র সংগ্রহ, বোমা তৈরি ইত্যাদির সাথে জড়িত থাকার জন্য পুলিশ তাকে বহুবার গ্রেফতার করেছিল। ১৯৩০ সালে, যখন তিনি বিপ্লবী সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন সম্পর্কে শ্রী সরস্বতী প্রেসে ‘ধন্য চট্টগ্রাম’ নিবন্ধটি লেখেন।  সরকার তৎক্ষণাৎ পত্রিকাটি বাজেয়াপ্ত করে এবং তাকে আবার কারারুদ্ধ করে এবং ৮ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করে।  ১৯৪১ সালে পুনরায় গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তিনি ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘ফরওয়ার্ড’ সম্পাদনা করেন। দেশভাগের পর তিনি পাকিস্তানের নাগরিক হন এবং সেখানে আন্দোলন সংগঠিত করার চেষ্টা করেন।  তিনি পাকিস্তানের সংসদ সদস্যও হন।  তিনি ১৯৬১ সালে ভারতে ফিরে আসেন এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপ রোধ করার জন্য সামরিক আইন জারি করা হলে সরাসরি রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
কবিতা

চাপা থাক অলিন্দে :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

আজকাল ডানাদুটো ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ে,
স্বপ্নের পাহাড় ডিঙাতে অপারগ হয়ে-
নেমে আসি আচেনা আঙিনায়।
অপরিচিত চোখগুলো অপার বিস্ময়ে জরিপ করে,
ঠিক তখনই তুমি হয়তো আমাতেই নদী খোঁজ-
তোমার শুস্ক,রুক্ষ সময়ের অবগাহনে।

চাঁদের রূপের বহিঃপ্রকাশ জ্যোৎস্নার বিভাবরী,
সেই মুহূর্তে তোমার অষ্টাদশী এলোচুলে-
আমার হারানো যৌবন স্মৃতির পথ ধরে হাঁটে,
অশান্ত বেলার অন্বেষণে প্রখর রৌদ্রে ।
এপাশ-ওপাশ ঠেলেঠুলে রক্তমাংসের কিছুটা দলা উঠে আসে,
খুশির মেহেন্দি মাখা দুটি হাতে খুঁজি হারানো চিরশ্বাশত প্রেম।

উৎস থেকে বিচ্যুত বেদনায় মেঘমালা ঝড়ে পড়ে,
এসো সেই বৃষ্টিতে ভিজে,ভিজেই চোখের জল লুকাই।
অনভিপ্রেত বিধ্বংসী পতনের বাধা পেড়িয়ে,পেড়িয়ে-
আজ কোত্থাও না থেমে অতৃপ্তির কাঁটা তুলি প্রতিটি হৃদয়ের।
কবিতা যা লিখেছি সব জমা থাক আগামীর দেরাজে,
অন্তর্নিহিত অক্ষরমালায় বিদ্রোহ রেখে গেলাম আগামীর সঞ্চয়ে।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

ফিরে এসো পুনর্বার :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

আজ সহসা মাতাল হলাম ক্ষণিক আশায়
তৃপ্তি আনে শ্রাবণ ধারায়, স্তব্ধ ভাষায়।
চকিত চাহুনি ঝড় তুলে হৃদয় করে তোলপাড়-
পথমাঝে হটাৎ দেখা, একি ললাট লিখন দুর্নিবার ,
ফিরে পাওয়ায় পুনর্বার – খুলে গেল হৃদয়ের রুদ্ধ দ্বার ?

দৃঢ়নিশ্চিত ফিরবে তোমার তমস মুখের হাসি
জ্যোৎস্না ধোয়া এ মধু রাত ভালোবাসি ওগো ভালোবাসি।

হাতখানি তাই বাড়িয়ে দিলাম,হাতটি তোমার রাখো
দেওয়া-নেওয়ার হিসাব নহে ,পুনর্মিলনে থাকো।
তোমার নয়ন ভরা চোখের জলে নিঃস্ব অহংকার
ওই মুখেতে দেখছি কেবল চরম হাহাকার,
রজনী এখনো বাকি ,আকাশভরা চন্দ্র-তারা কি চমৎকার।

নাই বা ঘুমালে ,আঁখি মেলে দেখো জ্যোৎস্নার হাসি
এ ধরণীর বুকে অমৃত প্রেম ভরে আছে রাশি-রাশি।

Share This
Categories
কবিতা

ফিরে এসো পুনর্বার :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

আজ সহসা মাতাল হলাম ক্ষণিক আশায়
তৃপ্তি আনে শ্রাবণ ধারায়, স্তব্ধ ভাষায়।
চকিত চাহুনি ঝড় তুলে হৃদয় করে তোলপাড়-
পথমাঝে হটাৎ দেখা, একি ললাট লিখন দুর্নিবার ,
ফিরে পাওয়ায় পুনর্বার – খুলে গেল হৃদয়ের রুদ্ধ দ্বার ?

দৃঢ়নিশ্চিত ফিরবে তোমার তমস মুখের হাসি
জ্যোৎস্না ধোয়া এ মধু রাত ভালোবাসি ওগো ভালোবাসি।

হাতখানি তাই বাড়িয়ে দিলাম,হাতটি তোমার রাখো
দেওয়া-নেওয়ার হিসাব নহে ,পুনর্মিলনে থাকো।
তোমার নয়ন ভরা চোখের জলে নিঃস্ব অহংকার
ওই মুখেতে দেখছি কেবল চরম হাহাকার,
রজনী এখনো বাকি ,আকাশভরা চন্দ্র-তারা কি চমৎকার।

নাই বা ঘুমালে ,আঁখি মেলে দেখো জ্যোৎস্নার হাসি
এ ধরণীর বুকে অমৃত প্রেম ভরে আছে রাশি-রাশি।

Share This
Categories
কবিতা

এই দুঃসময়ে :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

বড় দুঃসময় ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সমানে
পাঙ্গাস আকাশ শোকাতুর,বিহ্বল ভয়াভয় তুফানে।
বেলাশেষে গোধূলি আজ প্রেমহীন,অপাংতেও,
রক্ষা নেই একান্তেও ,পাকেচক্রে দৈবপাকে নিষ্কৃতি মেলে।

বড় অসহায় তিমিরে মৃত্যুহাসে একনাগাড়ে,
আত্মীয়-পরিজন নিপাত্তা,খোঁজহীন বিবরে,
শ্মশান বন্ধু এখন শুধু ইতিহাস খোঁজে ভয়ে,ত্রাসে।
সকল রোগের নিদানে একই নামাবলি গায়।

এতো কষ্টেও হাসি আসছে,শ্মশান পথেও –
নিজেকে পুরুষ্ট করার নির্লজ্য প্রয়াস, নানা মতেও-
শেষ সময়েও মিথ্যার নিবীত ঢাকা আঙিনায়
কেউ,কেউ প্রকাশে ব্যস্ত দানের খতিয়ান।

পৃথিবী জুড়েই নিস্কৃতির ব্রহ্মাস্ত্র খুঁজতে খুঁজতেও –
ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ে কিছু মানবিক। ঘুমহীন ব্যস্ত কাকভোরেও।
এতো জেনেও উর্ধলোকের কিছু অর্বাচীন অবহেলায় মত্ত-
বেহুশ,বেতাল ,লেখে নিত্য অনিয়ম জীবনের পাঁচালি।

একটু শান্তিতে থাকতে দাও ঈশ্বর,গর্বিত আওয়াজে-
তোমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাভিশ্বাস উঠছে সমাজে।
জানি অনিচ্ছাতেও যেতে হবে ,মৃত্যুদূত দাঁড়িয়ে দরজায়,
আর নিষ্প্রয়োজন সহমর্মিতা,জানি মেঘে বৃষ্টি নেই যতটা গর্জায়।

সংরক্ষিত
গড়িয়া, কলকাতা।

Share This