Categories
কবিতা

ফিরে এসো পুনর্বার :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

আজ সহসা মাতাল হলাম ক্ষণিক আশায়
তৃপ্তি আনে শ্রাবণ ধারায়, স্তব্ধ ভাষায়।
চকিত চাহুনি ঝড় তুলে হৃদয় করে তোলপাড়-
পথমাঝে হটাৎ দেখা, একি ললাট লিখন দুর্নিবার ,
ফিরে পাওয়ায় পুনর্বার – খুলে গেল হৃদয়ের রুদ্ধ দ্বার ?

দৃঢ়নিশ্চিত ফিরবে তোমার তমস মুখের হাসি
জ্যোৎস্না ধোয়া এ মধু রাত ভালোবাসি ওগো ভালোবাসি।

হাতখানি তাই বাড়িয়ে দিলাম,হাতটি তোমার রাখো
দেওয়া-নেওয়ার হিসাব নহে ,পুনর্মিলনে থাকো।
তোমার নয়ন ভরা চোখের জলে নিঃস্ব অহংকার
ওই মুখেতে দেখছি কেবল চরম হাহাকার,
রজনী এখনো বাকি ,আকাশভরা চন্দ্র-তারা কি চমৎকার।

নাই বা ঘুমালে ,আঁখি মেলে দেখো জ্যোৎস্নার হাসি
এ ধরণীর বুকে অমৃত প্রেম ভরে আছে রাশি-রাশি।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

মূল্যবান মনুষ্য জীবনে দুর্গাপূজা :: স্বামী আত্মভোলানন্দ (পরিব্রাজক)।

ॐ সর্বমঙ্গল- মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ -সাধিকে।
শরণ‍্যে ত্র‍্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তু তে।।

শ্রীশ্রী চণ্ডী এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুসারে ও রামায়ণ অনুযায়ী ত্রেতা যুগে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র অকালে দেবীকে আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধারের জন্য। কিন্তু, আসল দূর্গা পূজা হলো বসন্তে, সেটাকে বাসন্তি পূজা বলা হয়। শ্রীরামচন্দ্র অকালে-অসময়ে পূজা করেছিলেন বলে এই শরতের পূজাকে দেবির অকাল-বোধন বলা হয়। বোধন অর্থ জাগরণ। তাই মহালয়ার পর দেবীপক্ষের (শুক্লপক্ষের) প্রতিপদে ঘট বসিয়ে শারদীয়া দুর্গা পুজার সূচনা করা হয়। প্রসঙ্গতঃ শ্রাবণ থেকে পৌষ ছয় মাস দক্ষিণায়ন, দক্ষিণায়ন দেবতাদের ঘুমের কাল। তাই বোধন অবশ্যই প্রয়োজন হয়। ভগবান শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা বিজয়ের আগে এমনই অকাল-বোধন করেছিলেন। তবে সাধারণত আমরা ষষ্ঠি থেকে পূজার প্রধান কার্যক্রম শুরু হতে দেখি যাকে বলা হয় ষষ্ঠাদিকল্পরম্ভা। কিছু প্রাচীন বনেদী বাড়ি এবং কিছু মঠ মন্দিরে প্রতিপদ কল্পরম্ভা থেকে ও পুজো হয়। যদিও প্রতিপদ কল্পরম্ভা থেকে শুরু পুজোতেও আনুষ্ঠানিক মূল কার্যক্রম শুরু হয় ষষ্ঠি থেকেই এবং সপ্তমী থেকে বিগ্রহতে। প্রতিপদ থেকে শুধু ঘটে পূজো ও চণ্ডী পাঠ চলে।

সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে “দুর্গাষষ্ঠী”, “দুর্গাসপ্তমী”, “মহাষ্টমী”, “মহানবমী” ও “বিজয়াদশমী” নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় “দেবীপক্ষ”। শ্রীশ্রী চণ্ডী এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুসারে মেধস মুনির আশ্রমেই পৃথিবীর প্রথম দুর্গাপুজো আয়োজিত হয়েছিল। এটি পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমার কাঁকসার গড় জঙ্গলে অবস্থিত। দুর্গাপুর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে গড় জঙ্গল। জঙ্গলের মধ্যে ২-৩ কিলোমিটার গেলেই পাওয়া যাবে মেধসাশ্রম। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের নিকটবর্তী গড় জঙ্গলে মেধসাশ্রমে ভূভারতের প্রথম দুর্গাপূজা হয়। এখানেই রাজা সুরথ বাংলা তথা মর্তে প্রথম দুর্গাপূজা করেছিলেন। কাঁকসার গড় জঙ্গলের গভীর অরণ্যের মেধাশ্রম বা গড়চণ্ডী ধামে কোনও এক সময়ে রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ‍্য পুজো শুরু করেন। বসন্তকালে সূচনা হয় পুজোর৷ বসন্তের নবরাত্রির পূজা বাসন্তিক বা বসন্তকালীন দুর্গাপূজা নামে পরিচিত। তারপর থেকেই বাংলা তথা ভূভারতে দুর্গাপুজোর প্রচলন হয়।

মহর্ষি মেধস মুনি বলিলেন, “মহামায়া পরমা জননী অর্থাৎ আদিমাতা৷ যখন এই জগৎ ছিল না, তখন তিনি ছিলেন। যখন সূর্য্য ছিল না, চন্দ্র ছিল না, তারা নক্ষত্র এই পৃথিবী কিছুই ছিল না, তখন তিনি ছিলেন। তাঁহা হইতেই এই জগৎ সৃষ্ট হইয়াছে৷ তিনি এই জগৎকে মোহিত করিয়া রাখিয়াছেন বলিয়া তাঁহার নাম মহামায়া। জগৎকে তিনি সৃষ্টি করিয়াই ক্ষান্ত হন নাই। সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জগৎকে ধরিয়া আছেন, এই জন্য তাঁহার আর এক নাম জগদ্ধাত্রী। তিনি ধারণ করিয়া না থাকিলে উৎপত্তির সঙ্গে সঙ্গেই এ জগতের- লয় হইয়া যাইত।শক্তিরূপা সনাতনী আপনার বিশ্ব বিমোহিনী মায়া দ্বারা আপনাকে আচ্ছাদিত করিয়া নানারূপে আমাদের মধ্যে লীলা করিতে আসেন। কখনও তিনি পিতা মাতার কাছে নন্দিনী, ভ্রাতার কাছে ভগিনী, পতির কাছে জায়া, পুত্র কন্যার কাছে জননী। কখনও তিনি দীনের কাছে দয়া; তৃষিতের কাছে জল, রোগীর কাছে সেবা, ক্ষুধিতের কাছে ফল। কখন কত মূর্তিতে যে মা আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হন তাহা আর কি বলিব ? তাঁহার গুণ বর্ণনা করিয়া শেষ করিতে পারে, এমন শক্তি এ জগতে কার আছে ? তিনি আসিলেই জীবের সকল দুর্গতির অবসান হয়। এইজন্য তাঁহার আর এক নাম দুর্গা। দুর্গতিনাশিনী শ্রীদুর্গাই ভুবনমোহিনী ত্রিজগৎ প্রসবিনী আদ্যাশক্তি মহামায়া।

দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব হল দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত একটি প্রধান উৎসব। বর্তমানে এটি সারা বিশ্বে পালিত হয়, তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ওড়িশা, বিহার, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ (পূর্বাঞ্চল) এবং বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। এটি বাংলা বর্ষপঞ্জির আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গাপূজা মূলত দশ দিনের উৎসব, যার মধ্যে শেষ পাঁচটি দিন সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। আশ্বিনের নবরাত্রির পূজা শারদীয় পূজা এবং বসন্তের নবরাত্রির পূজা বাসন্তিক বা বসন্তকালীন দুর্গাপূজা নামে পরিচিত।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার দুর্গাপূজা ইউনেস্কোর (UNESCO) অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করা হয়। কলকাতা শহর এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবকে (UNESCO) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।

দুর্গাপুজোর সপ্তমীতে মাদুর্গার আগমন আর গমন দশমীতে। এই দুই দিন সপ্তাহের কোন বারে পড়ছে, তার উপরই নির্ভর করে দেবী কিসে আসবেন বা কিসে যাবেন। শাস্ত্রে বলা হয়েছে “রবৌ চন্দ্রে গজারূঢ়া,ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ, গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং নৌকায়াং বুধ বাসরে।।” শুরুতেই বলা হচ্ছে, ‘রবৌ চন্দ্রে গজারূঢ়া’ অর্থাৎ, সপ্তমী যদি রবিবার বা সোমবার হয়, তাহলে দুর্গার আগমন হবে গজে বা হাতিতে। একই ভাবে, দশমীও রবি বা সোমে পড়লে দুর্গার গমন বা ফেরা হবে গজে। এরপর বলা হচ্ছে, ‘ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ’ অর্থাৎ শনি বা মঙ্গলবার সপ্তমী পড়লে দেবীর আগমন হবে ঘোটকে বা ঘোড়ায়। দশমীও শনি বা মঙ্গলে পড়লে ফিরবেন ঘোড়ায়। তারপর রয়েছে, ‘গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং’ অর্থাৎ বৃহস্পতি বা শুক্রবারে সপ্তমী পড়লে দেবী দোলায় আসবেন আর দশমী পড়লে দেবী দোলায় ফিরবেন। সব শেষে বলা হচ্ছে, ‘নৌকায়াং বুধবাসরে’ অর্থাৎ, বুধবার সপ্তমী পড়লে দেবীর নৌকায় আগমন এবং দশমী পড়লে নৌকায় গমন। এই হল সপ্তাহের সাত দিনের নিয়ম। যেমন, এই বছর দুর্গাপুজোর সপ্তমী পড়েছে বৃহস্পতি, অর্থাৎ হিসেব মতো এ বার দেবীর আগমন দোলায়। আবার, দশমী পড়েছে শনিবার, ফলে দেবীর গমন হবে ঘোটকে।

দুর্গাপুজোর সন্ধিপূজা মহাঅষ্টমীর শেষদন্ড ও মহানবমীর প্রথমদণ্ডে অনুষ্ঠিত খুব গুরুত্বপূর্ণ। এত গুরুত্বপূর্ণ হবার কারণ পুরাণে পাওয়া যায়। অষ্টমীতিথির শেষ ২৪মিনিট ও নবমীতিথির প্রথম ২৪মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮মিনিট সময়ের যে মহাসন্ধিক্ষণ সেই সময়ে সন্ধিপূজা করা হয়। বলা হয়ে থাকে ঠিক এই সময়েই দেবী দুর্গা চন্ড ও মুন্ড নামে দুই ভয়ঙ্কর অসুরের নিধন করেছিলেন। এই ঘটনাটি মনে রাখার জন্যই প্রতি বছর অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপূজা করা হয়। দুর্গা পুজোর এই মহাসন্ধিক্ষনে মহাশক্তিশালী “চামুন্ডা কালিকা” দেবীরই আরাধনা করা হয়। সন্ধিপূজায় ১০৮টি পদ্ম এবং ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার নিয়মটি চিরাচরিত, এর কোনো অন্যথা করা হয় না। বলা হয় পদ্ম হল ভক্তির প্রতীক এবং প্রদীপ জ্বালানো জ্ঞানের প্রতীক। আর এই যে চণ্ড এবং মুণ্ড হল যথাক্রমে মানুষের মনের প্রবৃত্তি বা নিবৃত্তি এর প্রতীক। প্রবৃত্তি অর্থে ভোগ এবং নিবৃত্তি অর্থে ত্যাগ। মোক্ষলাভের জন্য এই দুইকেই বধ করার মাধ্যমে দেবী চণ্ডীর পূজা করা হয় এবং তা করা হয় এই সন্ধিপূজায়।

দুর্গাপুজোর যেটি বহুল প্রচলিত রূপ- তা হল ষষ্ঠাদি কল্প। এই নিয়ম অনুযায়ী মহানবমীর পুজা অন্তিম পুজা। সংকল্পে ‘মহানবমী যাবৎ’ এর সংকল্প গ্রহণ করা হয়। চণ্ডিপাঠ, দুর্গানাম জপ মহানবমী অবধি অনুষ্ঠানের সংকল্প নেওয়া হয় বোধনের দিন। সেই মতো হোমের মাধ্যমে মহানবমীতে দেবীর সংকল্পিত মহাপুজার ইতি ঘটে। এরপর দশমী পুজা শুধুমাত্র দেবী বিদায়ের আচরিত সংক্ষিপ্ত পুজা। মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয়া দশমী হিসেবে পরিচিত। তবে বিজয়া দশমীর দিন চারিদিকে বাজে বিষাদের সুর। কারণ উমার ফিরে যাওয়ার পালা। বিজয়া দশমী দুর্গাপুজোর উৎসবের শেষ দিন। প্রতিমাগুলি বরণ করে মহিলারা ‘সিঁদুর খেলা’-এ মেতে ওঠেন। এরপর জলাশয়ে বিসর্জন দেওয়ার হয় প্রতিমাগুলি। ঘট বিসর্জনের অর্থ, পুজো সমাপ্তি। বিসর্জনের সময় লম্বা শোভাযাত্রা বের করে। যেখানে নাচে-গানে, হাসি-কান্না মুখে সকলে বিদায় জানান উমাকে। এদিন বরণ, সিঁদুর খেলা, বিসর্জনের মাধ্যমে দুর্গাপুজোর ও বিজয়া উৎসবের সমাপ্তি হয়।

আবার বারো ইয়ার বা বন্ধু মিলে ওই পুজো ‘বারোইয়ারি’ বা ‘বারোয়ারি’ পূজা নামে খ্যাত হয়। সেই থেকেই আজকের বারোয়ারি পুজোর বিবর্তন। সেদিনের সেই ‘বারোয়ারি’ কথাটি ধীরে ধীরে বর্তমানে আপামর বাঙালির ‘সর্বজনীন’ কিংবা ‘সার্বজনীন’ এ রূপান্তরিত। সার্বজনীন পূজা ছাড়া ও বর্তমানে রাজবাড়ী, জমিদার বাড়ি, কিছু প্রাচীন বনেদী বাড়ি এবং কিছু মঠ মন্দিরে এছাড়া ও বিভিন্ন আশ্রম, মঠ ও মিশনে সন্ন্যাসীরা দুর্গাপূজার আয়োজন করেন। কিন্তু, *বাংলায় অসুরদের দ্বারা মা অভয়ার মর্মান্তিক পরিণতির জন্য এই বছর সব যেন কেমন বিষণ্ণ, মলিন, কোথাও যেন প্রাণের ছোঁয়া নেই।* আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আর মা দূর্গার মর্ত্যে অবতরণ সকল মর্ত্যবাসীর জন্য সুসংবাদ ও আনন্দ নিয়ে আসুক, অসুরদের বধ হোক, জয় মা দুর্গা-জয় মা দূর্গা-জয় মা দূর্গা দূর্গতিনাশিনী… জগৎ জননী মাদূর্গা তোমার আশির্বাদ সকলের মস্তকে বর্ষিত হোক। জগৎ গুরু ভগবান স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের শুভ ও মঙ্গলময় আশির্বাদ আপনাদের সকলের শিরে বর্ষিত হোক, পিতা-মাতার আশির্বাদ সকলের শিরে বর্ষিত হোক, এই প্রার্থনা করি.!
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ।l
স্বামী আত্মভোলানন্দ (পরিব্রাজক)

Share This
Categories
কবিতা

স্বাধীনতার স্বপ্ন : প্রবীর কুমার চৌধুরী।

(গদ্য -1)
স্বাধীনতার চুয়াত্তর বছরে অনেক কিছুই ব্রাত্য ,
স্বপ্ন আর উন্মাদনা থিতিয়ে গেছে অভাবে ,
মূল্যবোধটিকে খুঁজতে হয় পুরানো পাতায় –
যা হারিয়ে গেছে সমাজ থেকে।
এখন নজরহীন শালীনতা,বেপরোয়া বেয়াদপি –
হয়তো তুমি ছদ্মবেশী ! হয়তো মুখোশের আড়ালে ।

( পদ্য -1)
স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতা খুলে –
দেখি কতই বিস্ময়,আত্মত্যাগী শহীদদের গেছে ভুলে ,
সাজান বাগানে কর্পোরেটরা হাসে,তাদের এখন পৌষমাস ,
দারিদ্রসীমার ভুখা পেট করে চিৎ্কার, বারমাস শোষিত, সর্বনাশ।
নব্বই শতাংশ সম্পদ দশ শতাংশের হাতে –
ভুখার মিছিলে অধিকারের দাবী,অন্ন নেই পাতে ।

(গদ্য -2)
স্বাধীনতা চুপি চুপি বলি-
তুমি আজও অদেখা, অধরা ।
নিস্পৃহ যত আবেগ ,যত ভালোবাসা –
তোমার মিথ্যা ছায়ায় পদভারে মানবিকতার মস্তক ।ব্যক্তিস্বাতন্ত্র ,অধিকারবোধ ,আজ –
দেওয়ালে টাঙ্গানো তৈলচিত্র মাত্র ,
প্রতিশ্রুতিগুলো লিপিবদ্ধ শুধু অসত্যের নামাবলি আজ।
আজও ক্ষুদিরাম কেঁদে যায় রাজপথে –
বিপ্লবীদের আশাভঙ্গ,মিথ্যা স্বপ্ন,স্বাধীনতার এই মানে,
প্রফুল্ল চাকির চোখভরা জল ,বৃথাগেল রণাঙ্গনে ।
আজও রয়ে গেছে রহস্য ,তবু অনেকে সহাস্য –
কৌতুহল মেটেনি,সমাধানহীন নেতাজী মৃত্যু।

(পদ্য -2)
পরাধীনতা নতুন মুখোশে আজও আঘাত হানে ,
প্রাত্যহিক জীবনের হালখাতা আশাভঙ্গের অভিমানে ।
শহরে ,গ্রামে ,অফিসে ,কলে ,কারখানায় –
প্রাত্যহিক সংসারে শোষণ, বঞ্চনা আর
ব্যথাভরা ব্যর্থতায় সময় কাটে প্রহর গোনার।
চেয়ে দেখো দূষিত বাতাস ভরা দুই ফুসফুসে –
স্বাধীনতা তুমি বিভীষিকা জাগাও রক্ত শুষে শুষে ।
মিছিলে মিছিলে প্রতিবাদ দেখি ,প্রতিবাদ মায়ের বুকেও-
ধর্ষণ ,পণপ্রথায় বিদ্ধ আকুল প্রতিবাদ নারীর চোখে ।
প্রতিটি রাতে স্বপ্ন ভাঙ্গে ,ভাঙ্গে বেকারের মন ,
প্রতিটি প্রহরে ব্যর্থতার আঘাতে বিপথে যায় যৌবন।

(গদ্য -3)
স্বাধীনতা তুমি এসেছিলে বহু আত্মবলিদানে-
মৃত্যুর মিছিল ডিঙ্গিয়ে,রক্তনদীতে স্নান করে,
বঞ্চিত ,নিপীড়িত মানুষের মুখের হাসি ফেরাবার-
দৃঢ় প্রতিজ্ঞায়,আজ দেখি উল্টোপুরান –
অতৃপ্ত আত্মার কান্না শুনে তুমি ক্রোধান্বিত,রক্তচক্ষু-
দাম্ভিকতার পরাকাষ্ঠে শাসন চলে নিষ্ঠুর বীজমন্ত্রে।
দেশের যত মহান সন্তান করেছিল আত্মদান ,
আকাশে বাতাসে কাঁদে তাদের অতৃপ্ত আত্মা ।
নীলাকাশে উড্ডীন পতাকার রং ফিকে ,
জাতপাত,অসাম্য,শোষণ,জীবণযন্ত্রনার দংশন ,
ব্যর্থতার প্রতিধ্বনি,স্বাধীনতাতো আমরা পাইনি ,
এমন নির্লজ্জ ,বেহায়া ,পাপেদীর্ণ দেশ কেউ চাননি ।

(পদ্য -3)
স্বাধীনতা ফিরিয়ে দাও ভারতবাসীর হাসি
বুকভরা প্রেম,বাঁচার আশা,মায়ের মনের খুশি ।
স্বাধীনতার চুয়াত্তর বছরে দূর হোক্ যত অসাম্য ,
গরীব খেটেখাওয়া মানুষ যেন না হয় বিপন্ন ।
সকল ধর্মের মহামিলনের দূর হোক্ জাতপাত ,
একতার আহ্বানে ধ্বংস হোক্ উগ্র জাতীয়তাবাদ।
নতুন সূর্যোদয়ে জাগুক শান্তির সকাল,
এদেশ আমার এদেশ তোমার এখনেই ইন্তেকাল ।
দূর হোক্ যত কালশিরা পড়া আলো –
এক জাতি,এক প্রান,আমার স্বদেশ ভালো ।
সুখ শান্তি ,প্রেমানুভূতি ,নিশ্চিন্তের একটু জীবন,
আর তো চাইনি কিছু ,চাইনি বিত্তের প্লাবন ।

স্বদেশপ্রীতির নব জাগরণ জাগুক সবার প্রাণে,
ভালোবাসার মূলমন্ত্র বাজুক স্বাধীনতার গানে ।

( গদ্য ও পদ্যের মেলবন্ধন ঘটিয়ে একটি সম্পূর্ণ কবিতা। )

Copyright @প্রবীর কুমার চৌধুরী/১৪/০৮/২০১৮

Share This
Categories
কবিতা

দুটি পরমাণু কবিতা।

আত্মজন
প্রবীর কুমার চৌধুরী

মনমন্দিরের সেজন-
বিরাজমান আত্মজন,
সর্বধর্মের সমন্বয়-
অটুট থাকুক নির্ণয় ।

চেতনায় ( শব্দ সংখ্যা -৯)
প্রবীর কুমার চৌধুরী

হৃদয়ে আল্লা- ভগবান,
বিশ্বাসের আহ্বান,
ভুলেছি অপমান-
মান-অভিমান ।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

ত্যাগ : শীলা পাল।

 

আম্রপালীর রূপে সমস্ত রাজা মহারাজ যখন তাকে পাবার আকাঙ্ক্ষায়
নিজেদের বিকিয়ে দিতে চাইতেন ,
অতুল ঐশ্বর্য নিয়ে তিনি সম্রাজ্ঞীর
মতো জীবন যাপনে ব্যস্ত সুন্দরী
একরাত্রের বেশী কেউ তাকে পায় নি।

কী করে একজন বৌদ্ধ শমন তার হৃদয়
জয় করেছিল এর বিনিময়ে নিজের সমস্ত ত্যাগ করে বুদ্ধের চরণে নিজেকে সমর্পণ করে ছিলেন,
ত্যাগের মহিমায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন
নিঃস্ব ভিক্ষুকের মতো।

এই অপার শান্তি তাকে কোনও রাজা বা রাজ ঐশ্বর্য দিতে পারে নি।
জীবন তাই বলে তুমি ভোগ করে কত সুখ পাবে?
একজন বাউল একজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর
যে শান্তি আছে আমাদের কণা টুকু ও
নেই।

আমরা চাই চাই আরও চাই
যখন চলে যেতে হবে একা তখন তো সেই
ভিখারী ,তোমার আপন বলে কেউ নেই
একা একদম একা।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং এর গুরুত্ব।।।

১৯৯৫ সাল থেকে, প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়।  শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করতে এই দিনটি পালন করা হয়।
ইউনেস্কোর মতে, শিক্ষা ও উন্নয়নে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি দিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়।
বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়।  এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল এবং এর ৪০১টি সদস্য সংস্থা এই দিবসটি উদযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  দিবসটি উপলক্ষে, জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশার অবদান স্মরণ করতে ইআই প্রতি বছর একটি থিম নির্বাচন করে।
ইতিহাস—
৫ অক্টোবর, 1966-এ UNESCO/ILO শিক্ষকদের মর্যাদা বিস্তারিত করার জন্য ফ্রান্সের প্যারিসে একটি আন্তঃসরকারি সম্মেলনের আয়োজন করে এবং সম্মেলনের শেষে ইউনেস্কো এবং ILO-এর প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনের সুপারিশে স্বাক্ষর করেন।  প্রথমবারের মতো, এই সুপারিশটি বিশ্বজুড়ে শিক্ষকদের অধিকার, এবং দায়িত্ব এবং শিক্ষকতা পেশার বিভিন্ন দিক বর্ণনা করেছে।
১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর, UNESCO শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ও উন্নয়নে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার জন্য এবং শিক্ষার বিষয়ে শিক্ষকদের সমস্যা এবং অগ্রাধিকারগুলি তুলে ধরার জন্য প্রথম বিশ্ব শিক্ষক দিবস তৈরি করে।  ৫অক্টোবর তারিখটিকে আন্তর্জাতিকভাবে শিক্ষক দিবস উদযাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল কারণ এটি ছিল ১৯৬৬ ILO/UNESCO সুপারিশ গ্রহণের বার্ষিকী।  এই সুপারিশ গ্রহণ করার সময়, সরকার যোগ্য, যোগ্য এবং অনুপ্রাণিত শিক্ষকের গুরুত্ব উপলব্ধি করে।
১১ নভেম্বর, ১৯৯৭-এ, ইউনেস্কোর ২৯ তম অধিবেশন চলাকালীন, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষকতা ও গবেষণা কর্মীদের কভার করার জন্য একটি সুপারিশ গৃহীত হয়েছিল।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৩ থিম—
এই বছর, বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপনের মূল প্রতিপাদ্য কেন্দ্রীভূত হবে, ‘আমাদের যে শিক্ষার জন্য শিক্ষক প্রয়োজন: শিক্ষক ঘাটতি দূর করার জন্য বিশ্বব্যাপী অপরিহার্য।’  থিমটির লক্ষ্য বিশ্বে শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের ক্রমহ্রাসমান সংখ্যার উন্নতি করা।
শিক্ষক দিবসের গুরুত্ব—-
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের সেবা এবং শিক্ষায় তাদের অবদানকে স্বীকৃত করা হয় এবং ছাত্র ও সমাজের উন্নয়নে তাদের ভূমিকা ও গুরুত্বের প্রশংসা করা হয়।
শিক্ষক দিবস এমন একটি উপলক্ষ যা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং তাদের পেশা সম্পর্কিত কিছু সমস্যা সমাধানের প্রবণতা রাখে এবং তাই এই পেশার প্রতি উজ্জ্বল তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে।
বিভিন্ন সংস্থা যেমন UNESCO, Education International (EI), UNICEF, UNDP, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO), ইত্যাদি এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রচারাভিযান এবং সম্মেলনের আয়োজন করে।  ইউনেস্কো প্রতি বছর এই দিবসের জন্য একটি থিম বরাদ্দ করে এবং এই থিমের উপর প্রচারণা চালায়।
UNESCO হামদান বিন রশিদ আল-মাকতুম পুরস্কার বিশ্ব শিক্ষক দিবসে প্রতি দুই বছর পর পর অসাধারণ শিক্ষকদের জন্য US$300,000 প্রদান করা হয়।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৩  বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩—-
শিক্ষক দিবস একটি বিশ্বব্যাপী পালনীয় এবং এটি সরকারি ছুটির দিন নয়।  বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপনের তারিখ দেশ অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।  উদাহরণস্বরূপ, জাতিসংঘ (UN) বেশ কয়েকটি দেশের সাথে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর এই দিনটি উদযাপন করে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার মে মাসের প্রথম পূর্ণ সপ্তাহে এবং অস্ট্রেলিয়া অক্টোবরের শেষ শুক্রবার এটি পালন করে।
১০০ টিরও বেশি দেশ বিশ্ব শিক্ষক দিবসকে স্মরণ করে এবং প্রতিটি দেশ এই অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য নিজস্ব তারিখ রাখে।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—-
বিশ্ব শিক্ষক দিবস একটি বিশ্বব্যাপী পালন।  এটা সরকারি ছুটির দিন নয়।
ইউনেস্কো প্রতি বছর এই দিবসের জন্য একটি থিম বরাদ্দ করে।
১০৯ টিরও বেশি দেশ বিশ্ব শিক্ষক দিবসকে স্মরণ করে এবং প্রতিটি দেশ নিজস্ব উদযাপন করে।
প্রথম বিশ্ব শিক্ষক দিবস ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর, শিক্ষকদের মর্যাদা সম্পর্কিত ILO/UNESCO সুপারিশের ১৯৬৬ সালের বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  এই সুপারিশটি শিক্ষকদের অধিকার, দায়িত্ব, মান, নিয়োগ, এবং শিক্ষাদান ও শেখার শর্ত বর্ণনা করে।
১৯৯৭ সালে, ইউনেস্কোর ২৯ তম অধিবেশন চলাকালীন, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষকতা ও গবেষণা কর্মীদের কভার করার একটি সুপারিশ গৃহীত হয়েছিল।
ইউনেস্কো সু-প্রশিক্ষিত এবং যোগ্য শিক্ষকের সরবরাহকে তার শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।
ইউনেস্কোর মতে, একজন প্রশিক্ষিত শিক্ষক হলেন সেই ব্যক্তি যার নির্ধারিত যোগ্যতা রয়েছে এবং তিনি ন্যূনতম সংগঠিত শিক্ষাগত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, যা একটি প্রদত্ত দেশে প্রাসঙ্গিক স্তরে শিক্ষাদানের জন্য প্রয়োজনীয়।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষকতা পেশাকে প্রচার করার একটি সুযোগ।
২০০২ সালে, কানাডা একটি ডাকটিকিট জারি করে বিশ্ব শিক্ষক দিবসকে সম্মানিত করে।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য কী?
শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের অবদানের জন্য শিক্ষকদের সম্মান ও প্রশংসা করার জন্য বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়।  এদিন স্কুল-কলেজে শিক্ষকদের সম্মানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
কবিতা

কালবেলায় অবগাহন ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

আজানুলম্বিত বাহু মেলে মস্তিষ্কে হাত রাখে বিধাতা
হস্তনির্গত বিষধর সাপ যেন বহুফনায় করে দংশন
নীলকণ্ঠ নহি,নীলাক্রান্ত মৃত্যুই প্রাত্যহিক উপসংহার।
ভক্তি বিনত নত মাথা,মিথ্যা অভিশাপে ভরাও হে কালকূট।

কালবেলার সরিয়ে চাদর ঘুমন্ত দাবনায় রাখে মাথা,
কামনায় আবৃত চোখে প্রস্ফুটিত স্তন পান করে জিঘাংসায়।
নগ্নতায় ভরায় এ ধরণীর নির্মল সিঁথির সিঁদুর,
তারপর বেশ্যাদ্বারের মাটি শুষে নেয় সহস্র সতীর অশ্রুবিন্দু।

শুস্ক নদীতে পচা, গলা,ফোলা প্রাণহীন শবেদের অবগাহন,
বালুকায় অষ্টপ্রহর ভাঙা গড়ার চিরাচরিত ইতিহাস।
অগ্নিদগ্ধ দক্ষিণা বাতাসের তৃপ্তিহীন দীর্ঘশ্বাস বাতায়নে,
শতসহস্র পরিযায়ী ফিরে যায় ক্ষত বিক্ষত ডানা মেলে।

ঝরা পাতার দীর্ঘশ্বাস ,দূষণ,শোষণ আর লোভে মৃত্যু হাসে
প্রতি প্রভাতে গণিকার ঘুম ভাঙে শত ব্যথা বয়ে পাঁজরে ।
পুরুষের প্রতিস্পধী দেবী মাটি খোঁজে কুমারের টুলিতে, টুলিতে,
অনুশোচনায় চোখ মোছে স্বাধীনতা,অদৃশ্য বেড়ি পায়ে ক্লান্ত যৌবন।

সোনালী ধান প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়ায় সবুজ শস্য ক্ষেতে,
প্রাণহীন কাকতাড়ুয়া মহাশূন্যে হাত মেলে দীর্ঘ তপস্যায়।
আজ হয়তো কোন পোয়াতির গর্ভে অপেক্ষায় নির্ভীক-
পুরুষাকার, হয়তো দেশাত্ববোধের আগামী রূপকার।

সংরক্ষিত/ প্রবীর কুমার চৌধুরী।

Share This
Categories
কবিতা

নখের দৈর্ঘ্য সেন্টিমিটার স্কেল ::: নিমাই জানা।।।

স্টেনলেস স্টিলের বোতামে জং ধরছেনা
ব্লেড এর দুটি ধারে পা পিছলে যাচ্ছে শামুকের রেলিং এর পাশে আলপিনের ভয় গা ছমছম
রাত এখন শুধু অপেক্ষার , প্রতিটি জাহাজ ফিরে যাচ্ছে সমুদ্রের তলদেশে
কসবা নামে উর্বর ভূমি পড়ে আছে মন খারাপ নিয়ে

এক্সপোনেনশিয়াল ভূমি বড় সরলরৈখিক প্রতিটি অংকেই অগণিত যোগ চিহ্ন আছে
জিলেট গার্ড রাতের সব অবাঞ্ছিত লোম দূর করে, পিয়ানো বাজায় কোন ঐতিহাসিক
গভীর রাতে কেউ সান্দ্রতার ভ্যাকুয়াম টিউব খায়নি
নক্ষত্র থেকে বৃষ্টি পড়তে জাস্ট ২ মিনিট সময় লাগে

পৃথিবীর আয়ু কতবার মেপে নিয়েছি নিরক্ষীয় দৈর্ঘ্যৈ , ভাঁজ করা ব্লেড রেখেছি নখের ভেতর
মেঘকে সাদা আয়ু ভেবে ,
সাপের স্বপ্ন দেখেছি অনেক বার ।হাইগ্রোমিটার ভিজিয়ে যাচ্ছে অতীতের ডেভিল সম্পর্কগুলো
সোলার ল্যাম্পে সোডিয়াম হলুদ সন্ন্যাসী হেঁটে যাচ্ছে আশ্রমের দিকে
জামার হাতার নিচে একটা নরখাদক লুকিয়ে আছে

স্যালাইভার ভেতর কাঁটা ফুল ফুটে আছে শরীরের অবিচ্ছিন্ন সংকর ধাতু পচে যাচ্ছে এখন পিচ্ছিল পদার্থ রাইজোবিয়াম মূলের
সেন্সর কাজ করছে, অনেকটাই দূর সম্পর্কের ।
ফিজিক্যাল মেনটেন্স করছে নিলু দা ।
কাপড়ের দোকানে টুকরো কাপড়ের গন্ধ
বন্য ডিওড্যারান্ট ।আজ এটারই দরকার ।

যাদের আনফ্রেন্ড করেছি তারা এখন রাত্রিবেলার নোটিফিকেশনে আসছে
সিমেন্ট বালি বড় ঋণ করে গেছে ধ্রুপদী গানের কাছে ,দেউলিয়া হয়েছে পলাশ ফুল
আমার পাশে চেয়ার টেবিলে বসে তারা সেলোসিয়া ফুলের কথা বলে , মোরগের ফুল লুটিয়ে পড়েছে চোখে

আমি কেবল বাবার পাকা চুলের ভেতর হিমালয় পর্বত খুঁজে বেড়াচ্ছি এখন
হলুদ কেঁচোর মতো ক্রমশ মাটির গভীরে ঢুকে যাচ্ছে সে
আমরা ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছি ফসলের জন্য
রাংতা খসে খসে পড়েছে পায়ের গাঁট থেকে ।
আমি এখন এক নর্তকী সাজছি

Share This
Categories
কবিতা

চৈতন্য বিহীন কাপালিক ও অতৃপ্ত একোয়ারিয়ামের প্রেতপুরী : নিমাই জানা।

অবৈধ কনটাজিয়াস স্তন , মেগালড্রেট ক্যান্সার ফুলদানির টবের মত দোদুল্যমান প্যান্থারা চামড়ার কারখানা , টু পাই এইট ও স্বস্তিক ছত্রাক ভৃঙ্গের মতো প্রচেত বীজের দাঁতালো পাখিদের ক্যাটায়নিক হাড়ের থেকেও আরো ক্ষুদ্রতম কোন বিমুগ্ধ সরোবরে তিনটি প্রেত মাংস বিক্রি করা ময়ূরী স্নান করছে মেনকা গন্ধের ইবলিশ দাঁতের মার্গ শাস্ত্র দিয়ে , সারারাত তিনটে জবাই নিজেদের পোশাকে কটকটে তৈলাক্ত একটা গলা বন্ধ খুনিকে ধরে রেখেছে ভ্যানিসেবল আরবিয়ান মেন্থল হ্যান্ডওয়াশ বেসিনের উন্মুক্ত তলপেটে, জীবিত মাংস খেয়ে বমি করছি কাইনেটিক মাংসের ,

কটকটে খুনিদের গলা ধোয়া রক্তাক্ত জলের ভেতরে ক্যানবেরি, মার্গার পাখিদের রমন দৃশ্যের অনিষিক্ত ডিম্বকোষের তরল গলাটাকে ডুবিয়ে লাল চৈতন্যের কাপালিকের রোমাঞ্চে পূর্ণ ৩৩ উপপাদ্যের লিঙ্গবর্ধক রক্ত নালিকা আবিষ্কার করি কুকুরদের ধরে ধরে,  কৃত্রিম গলার হাড় তৈরি করি অথচ যজ্ঞের পিতার ডিম্বকোষে কামড়ে ধরে তেরো ডিগ্রি শুক্র মাখানো পিঁপড়ের ফরমিক লেজের ক্ষার বিষয়ক সোডিয়াম সাইট্রেট চামড়ার উপর ন্যাতানো ফেটে যাওয়া ডিমের নেতানো নুলিয়াটি সাঁতারুদের ধরে ধরে গর্ভপাত ঘরে নিয়ে যাচ্ছে , কবরের ভেতর নিঃশব্দে বসে থাকা কালো মাকড়সা হত্যাকারীর জঘন্য অন্ধকারের কার্বোনেট ঈশ্বরের তাপ বিক্রি করা তলপেটের অদ্রবীভূত খণ্ডাংশ , বিজ্ঞাপন বিহীন শৌচাগারে থকথকে শ্যাওলা জেগে ওঠা অতি নাইট্রোজেনঘটিত চিৎকারে নখ ডুবিয়ে লিঙ্গের ভেতরে জমে থাকা স্কোয়াশ ছাড়াচ্ছি , লিঙ্গের ভেতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছি ১২ এম এম ক্যাথিটার ও ব্রাকিয়ালের রক্তের ভেতরে এক একটি ডায়ালিসিস নল সারারাত প্রশমশালায় লাল রঙের তুলোতে মুখ গুঁজে ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ি নিজের রেচনালীর মাংস খাব , কে জান্নাত দেখি রক্তের ফোটা দেখে বমি বন্ধের ঔষধ দেখে ঠোঁটের স্কোয়া মাছ দেখে নৌকা দেখে নৌকার ভিতর লুকিয়ে রাখা প্রেম দ্রব্য দেখে যারা নারীর তলপেটে অদৃশ্য কাজ ভাঙ্গায় আয়নায় মুখ ভেঙ্গে দ্রোণাচার্য ভাঙার কুরুক্ষেত্রে পৃথিবীর নষ্ট নক্ষত্রের বংশধরদের প্রিম্যাচিউ ইজাকুলেশন দেখে ,

হায় চর্বি!  তিন দিন হল আমার মুখের কাছে একটা কালচিতিকা সাপ নষ্ট মলমূত্র আর মুত্রের খনিতে ১৩৩ জোড়া মাথা কাটা ভ্রুণের রোস্টেট বিস্কুট রেখে যাচ্ছে , নিজের দেহটাকেই দেখি উলঙ্গ করে , গোলাপের পাঁপড়ি মাখাই মরচে লাগা স্ক্রু টাইট দেই মাথার ক্রেনিয়ালে পিঠের সপ্তম কক্সিসে ঢুকিয়ে দেই অ্যাবাকাস আর প্লাস্টিক পাইপের ভাঙ্গা টুকরো। ঘুমের ঘোরে পিতার সাথে ভ্রমণ করি ঢেলে দেই পাতলা বীর্য আর একটা পরিতক্ত পুকুরে ফেলি ঘোড়ার ডিম
প্রতিটি হাতে অভিশাপ মাখানো আছে , পিতাকে প্রণাম করতে নেই ছুঁতে নেই ঈশ্বর ভাবতে নেই ছাল ছাড়াতে নেই বায়ুমন্ডলে নিয়ে যেতে নেই বারুদ মাখাতে নেই কঙ্কালের মুখে টক লেবুর জেলিফিকেসন খাওয়াতে নেই অথচ তার দিকে তাক করে রাখতে হয় অর্গাজমোগ্লিপিক লিঙ্গ , হিমায়িত এমব্রোয়ডারি বীজের রক্ত উদ্রেক আগ্নেয়শিলার থেকেও আরো ধ্বংসাত্মক কোন মহাজাগতিক নক্ষত্রের ঋষি পুত্রের ভরদ্বাজ বিধ্বংসী অস্ত্রের নৈঃশব্দ্য শ্বেতাঙ্গ অস্থিসন্ধি থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর নীহারিকায় অজস্র ব্রহ্মাণ্ড খুঁজে বেড়াচ্ছে আমার শরীরের নীলাভ ও মেনকা পুরীতে বাস করা বাদাম রঙের ফুসফুস বিক্রেতা , আমি মাঝরাতে হাসপাতালের মর্গে যাই হাসপাতালে রোডে যাই কুয়াশার কামড় খেতে খেতে এখানে হাঁ করে তাকিয়ে থাকি ব্যালকনির ডিপ লাল পিঙ্গলার সাথে সাথে রমন বিকারক অগ্নুৎপাত অন্তর্বাসে , তরুণ সর্দি ও জাইলেম ফেলা কুকুরের জুতো মুখে করে উঠে যাই সিঁড়ি দিয়ে দেখি রাজহাঁসের চিৎকারে ইলিশ মাছেরা রক্তের স্রাব  চেটে চেটে খাচ্ছে শেষ রাতের যৌন বর্ধক খেয়ে ।

পৃথিবীতে তিনজন লোহার ব্যবসায়ী কোনদিন গ্রেপ্তার হয়নি যাদের জাহাজ ছিল তারা মাঠে ব্রহ্মাকে পুষে রাখত আর কাঠের উনুনে ভাজতে দিত নিজের মালপিজিয়ান নালিকা , গলার ভেতরে টি বি রোগের রোগীরা জরায়ু বিক্রি করে পৃথিবীর জন্য নীলনদ কিনতো , কাঁচের মতো স্ফটিক ও ঘনত্বময় মোমের প্রলেপ মাখিয়ে গেঁথে দেয় জীবিত ও মৃত মানুষের মাথার ব্লেড , পৃথিবীতে ব্রহ্মচর্য জানে না বলে তার তলপেটে আঙ্গুরের সিস্টাইটিস গুলো অহেতুক পলল গন্ধের মহাপ্রাকৃত জননাঙ্গে পুঁতে দিচ্ছে একটা অমৃত মানুষের জীবন ও চরক সংহিতা সমূহ পৃথিবীতেই শুধু আর্থাইটিক মানুষদের নষ্ট বরফের ভেতর ডানাওয়ালা একটি করে গুপ্ত হত্যার মহার্ঘ্য গুদামঘর আছে , গুদাম ঘরে যাই সাবক হত্যাকারীদের ফনা নিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ভেঙে দেই বরফের হিমালয় অদৃশ্য চামড়া গুলো জলে ভিজিয়ে পৃথিবীর জন্য নৌকা বানাচ্ছে আর উলঙ্গ ঈশ্বর তৃতীয়বার হোয়াইট ওয়াসেবল ভি জেল নিয়ে জানালার পাশে একুরিয়াম বানাচ্ছে লবঙ্গের কাঠ দিয়ে।

মাছেদের মতোই আঁশের ভেতরে নিহত পাতালপুরির সব জন্মের পরজন্ম পরজন্মের পর অতি জন্ম অতি জন্মের পরও কারণ জন্ম কারণ জন্মের থেকেও অচ্ছ্যুৎ জন্ম ফেলে স্তনবিহীন নিউট্রিনো রাক্ষসেরা সাতটি কঙ্কালের মাথা নিয়ে জগদীশ্বর গর্তের ভেতর অলৌকিক মহাপ্রদীপ জ্বেলে সঙ্গমশূন্য যক্ষ্মার ঔষধি ও ঔষধালয়ে মৃত তামাক গাছের চাষ করছে , প্রতিটি প্রস্রাব শৌচালয়ের প্রস্রাব ও পায়খানা ত্যাগের বিমুগ্ধ নিউক্লিয় ক্রন্দন বিষয়ক হড়হড়ে গন্ধর্বদেশে আমাদের মৃত পিতার একটি ভয়ংকর স্কেলিটন দাঁড়িয়ে আছে , আমি তৃতীয়বারের জন্য আবারো মৃত্যুর পোশাক পরে জলের অনেক অতলে উড়তে থাকা প্যারাগ্লাইডিং আর সারকো ফেরাস পর্বতের নিঝুম বরফের জিনসেং টুকরোয় নাচতে থাকা নিধুবন অপ্সরাদের ফ্রোজেন শোলডারের তলায় ঘামতে থাকা পাইনের জীবাণু আর লোমবর্ধক স্টেরয়েড লিপগ্লসে বারবার ফিরে আসা কমলালেবুর আত্মহত্যার সব গলার ফাঁস গুলো মৃত্যুর ভিতর ডি constructive আত্মহত্যা তত্ত্ব নিয়ে মেডিকেল সুপারভিশন দিচ্ছে যক্ষা রোগীদের জন্য , আর কোন সিংহাসন রথের বিবিধ অলংকরণ দৃশ্য নেই। জলাধারে জলাধারে অতৃপ্ত সঙ্গমের চর্ম রোগের চক্রাকার স্যুট প্যান্ট গলা কাটা গেজির রোমাঞ্চ পূর্ণ হাত গুলো নাইট্রিক ছত্রাকের মতো ঝুলে আছে। আমি অন্তর্বাসের ভেতরে লাল হলুদ পিত্ত নক্ষত্রের অবৈধ গাণিতিক দৃশ্য গুলো ভাঙতে ভাঙতে একটি ছায়াছন্নের ভিতরে ডুবতে থাকা শ্রমিকদের গায়ে ফুটে ওঠা এক একটা মুখ ঢুকিয়ে দেখি সব নিহত আততায়ীদের এক একটি যৌনাঙ্গে কর্কট রোগ বিষয়ক নিষিদ্ধ প্রবেশ পত্রের সতর্কীকরণ ঝুলে আছে , একাই মধ্যরাতে বিষাক্ত টমেটো ফলের জন্য চিৎকার করি ,

আমার আঙ্গুল থেকে লিঙ্গের অগ্রভাগ পর্যন্ত সব পাখিদের খন্ডিত অক্টোপাসের রোস্টেড দানাদার অ্যালকোহলিক স্নান ঘরের বাথটবে পৃথিবীর উত্তর মেরুর কাপালিকেরা মোমজনিত সাঁতার কাটছে , আমি নেট সিরিয়াল কিলার , খেজুর বাগানে ঢুকে নিজেরই ফোকাসের বিবর্ধিত ম্যাগনিফাইং আত্মহত্যা দেখিয়ে দিচ্ছি শ্বাস রোধ করে যারা ঝুলে পড়ে পৃথিবীর বুক থেকে তাদের যৌনাঙ্গ চোখের কণা স্তনের অগ্রভাগ থেকে রক্তের অতি দ্রবীভূত ঘনত্বহীন মাংসাশীরা জলের অনেক বোতলে ভেসে থাকা সাপেদের চামড়ার তলায় একটি ব্যায়ামাগারে ময়ূরাসন দৃশ্য দেখাচ্ছে , স্ত্রীলিঙ্গ নাবিকদের পিতার দেহ থেকে তাদের জড় পিতাকে চামচে করে নাড়িয়ে নাড়িয়ে ডাকি ,  পতিতা পিতাকে ডাকি পিন্ডের ভিতর ঢুকে যাই ঘৃতাহুতি দিয়ে যজ্ঞ শেষ করি পঞ্চশস্যের মতো আর কোনো আগুন জ্বলে না আমাদের এখানে , দুগ্ধবতী হরিণীরা অলৌকিক দৃশ্যের চিতা সাজানো কোভালামিনকে আত্মসমর্পণের বিবিধ অন্তরীক্ষে এক একটি মহীশূর অন্তর্ঘাতের টু এক্স ডিগ্রী দেখসো মিথাসন খাচ্ছে , পৃথিবীতে কফের দাম সব থেকে বেশি বলে প্রতিটি মৃৎশিল্পীর দোকানের কোণে প্যাকেটজাত বন্দী হয়ে কফেরা এক্সপায়ার ডেটের জন্য দিন গুনছে আর উঁকি মেরে দেখছে জিওল মাছের আছে লেগে থাকা চুম্বক।

আমি কোনদিন মৃত্যুর শরীরে নরম কিসমিস বুলিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত রুদ্রকে ডেকে এনে খাওয়াতে খাওয়াতে সমুদ্রের কলঙ্ক দ্রাঘিমার নিশাচর সেজে যম অন্ধকারে সৌনক রণ নীতিতে সাজিয়ে ফেলছি ম্যাডপাই গাছের বিষধর অ্যান্টিভেনাম টু এম এল সুঁচ , ছুরির মতো তীব্র লিঙ্গ , বারুদের মতো ভূমিজ গলা , ধূপের মতো জাহান্নাম , আর চামড়ায় তৈরি স্বর্গের মতো মণি চক্র , অন্তঃপুরের কারাকোরাম ভেষজ দৃশ্য ,
পৃথিবীতে সব রেডিমেড পোশাকের দোকানে মৃত মানুষ গুলোই আসলে ভাঁজ করে শুয়ে থাকে দিনরাত , যাদের গলার কাছে সরু কফ থাকে বলে নল দিয়ে অক্সিটেটিভ রেডাকশন নিউক্লিয় বিস্ফোরণের থেকেও আরো সালফেট কোন অবৈধ পরজীবীরা জলীয় সংঘাতে পুঁতে দেবে এ জন্মের সব নিশাচর ইউটেরাস রিমুভাল কথা , প্রতিটি ঘরের চৌকাঠে ঝুলে আছে মৃত মানুষের সাতটি কঙ্কাল হাড় , অজৈব সারের কারখানা দুটো বিড়ালের চোখ দুটি বর্ষাতির ঠ্যাং হাফ বোতল এগারিকাস হলুদ জল ,  তাদের ভেতরে পাইন গাছের শ্বেত রক্তকণিকা বেড়ে যায় পাইন গাছে ঝুলে থাকে তরল দৈবক মহাপ্রাচীর মহা ব্যঞ্জন ময় ললিত চন্দ্রভাগা বৈদ্য নারীর বিশ্বামিত্র দাঁত, সেবিকাদের ডান স্তন , তাদের কোন দিন শরীরের ভেতর কালো কুচকুচে গম বাগানের হড়হড়ে ক্ষেত্রফল নেই অসুস্থ উপবৃত্তের মতো ,

আমিও ঘাতক সেজে শুঁয়োপোকার মতো নরম স্তন গাছগুলোকে উপড়ে ফেলি গর্ত করি অর্ধ সলভাসনে , জলজ কমলা লেবু উপড়ে উপড়ে বিধৌত পর্বতের খাঁজে রোপণ করি একটি নির্জন তৈলাক্ত দ্বিতীয় পরজন্মের অনিত্য সংসারে বেড়ে ওঠা কালো কুচকুচে কার্বনিক হাঁসের থেকেও আরো তীব্র তেতো কোন মাংসাশী আপেলের বাগান  , শৈলোৎক্ষেপ ঈশ্বরের রক্তচোষকের নারী আমার গলাটাকে কোনদিনই লাল পাথর গলানো জলে ডুবিয়ে ঈশ্বরের নবম জাহান্নামের পাতলা চামড়া গুলোতে আগুন লাগিয়ে আমাকে কোন মতেই ক্ষত্রিয় হতে দিচ্ছে না , একটা ডলফিন রেস্তোরাঁর নিচে আমি ও শঙ্খলাগা চিনামাটির তৈরি রূপলি মাছেদের সাথে আবহকালীন সঙ্গমের প্লেট গুলো দাঁত দিয়ে কামড়াতেই পৃথিবীর সব মৃত ক্রিয়া পদের হসন্ত স্তনে অদৃশ্য পোকা গুলো কিলবিল করে উঠছে ,  আমি একটি হত্যাকে লাল কৃষকের বাগানে পুঁতে দিচ্ছে আর ধর্মান্ধ ভ্যাজাইনাল ক্যাপসুল খেতে দিচ্ছি অলিখিত ইভিএম পরমাত্মাকে
এ ব্রহ্মাণ্ডে একটা ইলাস্টিক ছেঁড়া স্টেথোস্কোপ আর স্টেপলার হবে ? জনন ছিদ্রের মাথায় পিরামিডের রক্ত ভর্তি বেলুন আর সাদা আমাশা লিখবো !
নিমাই জানা
রুইনান , সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর , ৭২১১৪৪
rudrapakhi1984@gmail.com
9733619088

Share This
Categories
কবিতা

খানিক সময় : শীলা পাল।

যদি কিছু নাইই লিখি
আমার মনের অন্দরে একটা ভালো লাগা
অনবরত মনে করিয়ে দেয়
সে তোমার ই আছে ।
এখন আকাশে সুসময়ের যাপন কথা,
তারায় তারায় বলা বলি
সকালের রোদে প্রেম আর প্রার্থনার সহবাস।
বৃষ্টি ধোওয়া আঙিনায় শিউলি ফুলের আল্পনা,
একটু পা সামলে উঠে এসো
তোমার জন্য সাজানো ঘর অপেক্ষায়,
উৎসব শুরু হয়ে যাবে খানিক পরে
সে সময়টুকু একটু ধৈর্য ধরো।

Share This