একটি ছোট্ট শহরে দুই যুবক ছিল, তাদের নাম ছিল রাহুল এবং প্রিয়া। তারা একই কলেজে পড়াশোনা করত। রাহুল একজন খেলাধুলাপ্রিয় ছেলে ছিলেন, যখন প্রিয়া একজন সৃজনশীল এবং সংগীতপ্রিয় মেয়ে ছিলেন।
একদিন, কলেজের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, রাহুল এবং প্রিয়া প্রথমবারের মতো একে অপরের সাথে কথা বলেন। তাদের মধ্যে একটি বিশেষ বন্ধন গড়ে ওঠে। তারা একে অপরের সাথে কথা বলতে শুরু করেন এবং তাদের মধ্যে একটি গভীর বন্ধন গড়ে ওঠে।
রাহুল এবং প্রিয়া একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তারা একে অপরের সাথে সময় কাটাতে শুরু করেন এবং তাদের মধ্যে একটি গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কিন্তু তাদের সুখের জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। রাহুলের পরিবার প্রিয়ার পরিবারের সাথে মতবিরোধ করে। তারা রাহুল এবং প্রিয়ার প্রেমের সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেনি।
তারপর রাহুল এবং প্রিয়ার মধ্যে একটি কঠিন সময় শুরু হয়। তারা একে অপরের সাথে দেখা করতে পারতেন না। তাদের পরিবারের লোকেরা তাদের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে বাধা দিতে থাকে।
রাহুল এবং প্রিয়া একে অপরের প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং আস্থার কারণে এই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে সক্ষম হন। তারা একে অপরের সাথে চিঠি লিখতেন এবং ফোনে কথা বলতেন।
কিন্তু একদিন, রাহুলের পরিবার তাকে বিয়ের জন্য বাধ্য করে। রাহুল তার পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে পারেনি। তিনি বিয়ে করেন, কিন্তু তার হৃদয় প্রিয়ার সাথেই ছিল।
প্রিয়া রাহুলের বিয়ের খবর শুনে হৃদয়বিদারক হয়ে পড়ে। তিনি রাহুলকে ভুলে যেতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হৃদয় রাহুলের সাথেই ছিল।
রাহুল এবং প্রিয়ার বিরহের গল্প একটি কঠিন এবং হৃদয়বিদারক গল্প। এটি একটি গল্প যা আমাদের বলে যে প্রেম সবসময় সহজ নয়, এবং এটি আমাদের প্রতি প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা এবং আত্মত্যাগের প্রয়োজন হতে পারে।