ওগো বধূ, তোমাকে দেবার মতো আছে তো কিছু কৃত্রিম গহনা–
আমি ধনহীন, তা তো তুমি জানোই-
যা আছে তাই নিয়ে কেনো খুশি থাকোনা;
তোমার কণ্ঠে এখন আর সেই সুমধুর ধ্বনি নেই- তুমি খুশি নও, তাই না?
আমার ঘরে পাবেনা সুখ, এই জীবনে
তোমায় ভীষণ ভালোবাসি, পড়ে নাকি মনে?
তুমি গৃহবধূ, কেনো তুমি যাও- আমার বন্ধুরে বাঁধতে, ঘুরে ঘুরে বেড়াও এ বনে ও বনে।
সোহাগের ভেলায় ভাসছ,
অন্তরে যে ব্যথা আছে- সেকি ভুলতে পেরেছ?
নিজের যাকিছু আছে তাই নিয়ে থাকো,
কি লাভ করে এনেছ?
কত সুন্দর ছিলো আমাদের সংসার,
অবহেলায় কেনো করছো পরিহার,
পরে কী হবে- ভেবেছো কি একবার?
তুমি হলে রূপজীবী, আমার সঙ্গে করলে ছলনা-
আমার কি ভুল ছিলো? ধনহীন তাই না?
যতই ভেলায় ভাসো, সফল তুমি হবে না!
দ্বিতীয়জন কখনো ভালো হয় না-
মধু খেয়ে পাপড়ি করে ছিন্নবিচ্ছিন্ন- এখন তুমি অচেতন, তাই বোঝালেও বুঝবে না!
মন উড়তে উদ্যত, শাসনে পারবে না আনতে, কেমনে থাকবে সংসারে?
পর্যুষিত ফুলে গৃহ দেবতার পূজা হবে কিকরে?
তুই বারনারী তোকে দিয়ে নিত্য পূজা হবে নারে-
বদগন্ধ ফুল জল নির্গমনের পথে অবিন্যস্ত হয় রে।