Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে বিখ্যাত ভারতীয় গজল গায়ক “শাহানশাহ-ই-গজল”, তালাত মাহমুদ।।।।

অবিভক্ত ভারতের উত্তর প্রদেশের লখনৌ-এ পিতা মঞ্জুর মাহমুদের সন্তানরূপে তার জন্ম। শৈশবেই তিনি সংগীতের প্রতি তার অভিনিবেশ প্রদর্শন করেন। সমস্ত রাত জেগে তিনি নিবিষ্ট চিত্তে তৎকালীন বিখ্যাত ভারতীয় শাস্ত্রীয় গায়কদের গান শ্রবণ করতেন। তিনি ছিলেন এমন এক রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের সন্তান যেখানে সংগীত চর্চাকে উৎসাহিত করা হত না। চলচ্চিত্রে কাজ করবেন না বাড়িতে অবস্থান করবেন এর মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার বিষয়ে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। পিতার আপত্তি সত্ত্বেও তিনি চলচ্চিত্রকেই বেছে নেন। তবে চলচ্চিত্র শিল্পে সম্মানজনক অবস্থান অর্জন করলে এক যুগ পর তার পরিবার বিষয়টিকে মেনে নেয়।
তালাত মাহমুদ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৪ – লক্ষনৌয়ে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ভারতীয় গজল গায়ক ছিলেন।

তাকে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা পুরুষ অ-শাস্ত্রীয় ও অর্ধ-শাস্ত্রীয় গায়করূপে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তিনি ছিলেন একজন সংগীতশিল্পী, যাঁর ছিল সহজাত প্রতিভা, অনুপম সৌন্দর্যচেতনা, ও মাধুর্য। একজন প্লে-ব্যাক কণ্ঠশিল্পী হলেও তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন, যদিও অভিনয়ে তিনি সফলতা পাননি। ১৯৩৯ সালে ষোল বছর বয়সে অল ইন্ডিয়া রেডিও, লখনৌ-এ দাগ, মির, জিগর গজল গেয়ে তার সংগীতজীবনের সূচনা । তার কণ্ঠস্বর অন্য গায়কদের চেয়ে স্বতন্ত্র প্রকৃতির ছিল। তার এই স্বাতন্ত্র্য লক্ষ্য করে এইচএমভি গ্রুপ ১৯৪১ সালে গানের ডিস্ক বের করার প্রস্তাব দেয়, যাতে ছিল ‘সব দিন সামান নেহি থা’, ‘বান জাঁও গিয়া কিয়া সে কিয়া মেঁ’, ‘ইস্কা তো কুচ ধিয়ান নেহিঁ থা’-র মতো গান।
১৯৪৯ সালে হিন্দি চলচ্চিত্রে গান করার জন্যে তালাত মাহমুদ বোম্বে চলে যান। আগে থেকেই তার খ্যাতি ছিল ছিল ছড়ানো, বোম্বে যাবার সাথে সাথে অনেক কাজের প্রস্তাব আসতে থাকল। ‘আরজু’ ছায়াছবিতে অনিল বিশ্বাসের পরিচালনায় তার গাওয়া ‘এই দিল মুঝে এইসি জাগাহ্‌ লে চল যাঁহা কোয়ি না হো’ গানটি তাকে বিশাল সফলতা এনে দেয়। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তিনি কলকাতা ও বোম্বের ১৬টির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এর মধ্যে তিনটি চলচ্চিত্র সাফল্য পায়। প্রথম দিকে তিনি ‘তপন কুমার’ নামে অনেক বাংলা গান পরিবেশন করেন। তার গাওয়া কিছু বাংলা গান ছিল সুপার হিট এবং এখনো বেতারে বাজে। তিনি ’৫০ ও ’৬০-্এর দশকে অনেত বিখ্যাত সংগীত পরিচালকের সুরে গান করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—কমল দাশগুপ্ত (দুটি পাখি দুটি তীরে), সুধীন দাশগুপ্ত (এই রিমঝিমঝিম বরষা), রবিন চট্টোপাধ্যায় (চাঁদের এত আলো), হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (এ যদি আকাশ হয়) এবং ভি বালসারা (তুমি সুন্দর যদি নাহি হও)।
১৯৫০-এর দশকে ভারত উপমহাদেশের জনপ্রিয় তিন পুরুষ গায়কের একজনরূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বাদ-বাকীরা হচ্ছেন মোহাম্মদ রফি ও মুকেশ। তারা তিনজন উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বাধিক সময় দাপটে রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। সহজাত প্রতিভার বিকাশ ঘটেছিল তার গজলের মধ্যে। পঙ্কজ উদাস তাকে সর্বদাই শাহানশাহ-ই-গজল উপাধিতে সম্বোধন করতেন। ১৯৯২ সালে চলচ্চিত্রে তার সুরের অপূর্ব ব্যবহার ও গজলে সবিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত হন।
৯ মে, ১৯৯৮ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৪ ফেব্রুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ২৪ ফেব্রুয়ারী । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–

(ক) কেন্দ্রীয় শুল্ক দিবস (ভারত)
আজ যাদের জন্মদিন—-
১১০৩ – জাপানের সম্রাট তোবা।

১৩০৪ – বিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতা জন্মগ্রহণ করেন।

১৫০০ – রোমান সম্রাট পঞ্চম চার্লস জন্মগ্রহণ করেন।
১৫৫৭ – রোমান সম্রাট মাটিয়াস জন্মগ্রহণ করেন।
১৬১৯ – ফরাসি চিত্রশিল্পী ও তাত্ত্বিক চার্লস লি ব্রুন জন্মগ্রহণ করেন।

১৭৮৬ – ভিলহেল্ম গ্রিম, জার্মান লেখক।

১৮৩১ – জার্মান জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও চ্যান্সেলর লিও ভন কাপরিভি জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৩৭ – রোসালিয়া ডি কাস্ত্রো, স্প্যানিশ কবি।
১৮৪২ –   ইতালীয় সাংবাদিক, লেখক ও সুরকার আরিগ বইটো জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৬৭ – স্যার কেদারনাথ দাস, কলকাতার খ্যাতনামা স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসাশাস্ত্রের শিক্ষক।
১৮৯২ – রুশ লেখক কনস্তানতিন ফেদিন জন্মগ্রহণ করেন।
১৯২৪ – তালাত মাহমুদ, বিখ্যাত ভারতীয় গজল গায়ক।
১৯২৭ – ফরাসি অভিনেত্রী ইমানুয়েল রিভা জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৩১ – ইংরেজ ক্রিকেটার ও কোচ ডেনিস ব্রায়ান ক্লোজ জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৩১ – তরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়, বাংলার বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ও মঞ্চাভিনেতা মহানায়ক উত্তম কুমারের অনুজ।
১৯৩৯ – জামাল নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতবিদ।
১৯৪০ – ডেনিস ল, স্কটল্যান্ডের একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কটিশ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৪৩ – বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন জনপ্রিয় গায়ক ও গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৫৫ – স্টিভ জবস, অ্যাপল কম্পিউটার এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৫৬ – জুডিথ বাটলার, আমেরিকান দার্শনিক, তাত্ত্বিক ও লেখক।
১৯৬৭ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রেলিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী ব্রায়ন পি. শেমিডিট জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৮১ – মোহাম্মদ সামি, পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
১৯৮১ – অস্ট্রেলিয়ান টেনিস খেলোয়াড় লেইটন হিউইট জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৮২ – ইমানুয়েল ভিলা, আর্জেন্টাইন ফুটবলার।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৭৩৯ – কারণালের যুদ্ধ: ইরানের শাসক নাদির শাহর বাহিনী মুঘল সম্রাট মুহাম্মদ শাহর বাহিনীকে পরাজিত করে।
১৮২১ – মেক্সিকোর স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায় সংঘটিত হয়।
১৮৪৮ – ফ্রান্সের রাজা লুই ফিলিপের ক্ষমতাত্যাগ।
১৮৭৩ – আজকের দিনে প্রথম কলকাতার আর্মেনিয়া ঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রামগাড়ি চালু হয়।
১৮৭৬ – অবিভক্ত বাংলার প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রামগাড়ি কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন হতে চালু হয়।
১৮৯১ – ব্রাজিলে ফেডারেল পদ্ধতির সংবিধান চালু হয়।
১৮৯৫ – কিউবা স্পেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৯১৮ – এস্তোনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা।
১৯২০ – নাৎসি পার্টি গঠন করা হয়।
১৯৩৮ – যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নাইলনের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়।
১৯৩৯ – আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে উরুগুয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৪৫ – সংসদে একটি ডিক্রি পাঠ করার পর মিশরের প্রধানমন্ত্রী আহমাদ মাহির পাশা নিহত হন।
১৯৪৮ – লুই ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসন ত্যাগ করেন।
১৯৪৯ – মিশর এবং দখলদার ইসরাইল রোডস দ্বীপে যুদ্ধ-বিরতি ও অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৯৫২ – ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ঢাকায় প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। কয়েক দিন পরেই এটি পুলিশ ধ্বংস করে দেয়।
১৯৬৩ – জে. আঙ্কারা কর্তৃক ঘানার প্রেসিডেন্ট নক্রুমা বিতাড়িত হন।
১৯৬৬ – ঘানায় সামরিক অভ্যুত্থান হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ফিলিপাইন।
১৯৭৫- জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান “বাকশাল” প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯১ – মার্কিন নেতৃত্বাধীন মিত্রবাহিনী কুয়েত শহর দখল করে নেয়।
১৯৯৭ – উড়িষ্যায় ধর্মসভায় অগ্নিকান্ডে দুইশত জন মৃত্যুবরণ করে।
২০০৮ – ফিদেল কাস্ত্রো কিউবার রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসর নেন। তিনি কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে আরো ৩ বছর বহাল ছিলেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৬৬ – নিকোলাস লানিয়ার, ইংরেজ সুরকার ও চিত্রশিল্পী।
১৭১৪ – এডমন্ড এন্ড্রুজ, ইংরেজ রাজনীতিবিদ, নিউ ইয়র্কের চতুর্থ কর্নেল গভর্নর।
১৭৭৭ – পর্তুগালের রাজা প্রথম জোসেফ।
১৮১০ – ইংরেজ পদার্থবিদ স্যার হেনরি ক্যাভেনডিস মৃত্যুবরণ করেন।

১৮১৫ – রবার্ট ফুলটন, আমেরিকান প্রকৌশলী।
১৮৫৬ – নিকোলাই লেবাচেভস্কি, রুশ গণিতবিদ।
১৮৭৬ – আমেরিকান বংশোদ্ভূত লাইবেরিয়ার রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি জোসেফ জেনকিনস রবার্টস মৃত্যুবরণ করেন।
১৯১০ – উসমান হামদি বে, উসমানীয় প্রশাসক, বুদ্ধিজীবী, শিল্প বিশেষজ্ঞ।

১৯১৪ – জোশুয়া চেম্বারলেইন, আমেরিকান জেনারেল ও রাজনীতিবিদ, মাইনের ৩২তম গভর্নর।
১৯২৫ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ রাজনীতিবিদ ও ১৬ তম প্রধানমন্ত্রী কার্ল ইয়ালমার ব্রান্তিং মৃত্যুবরণ করেন।

১৯২৭ – এডওয়ার্ড মার্শাল হল, ইংরেজ আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।
১৯৬৭ – নিজাম স্যার মীর উসমান আলি খান হায়দ্রাবাদ ও বেরার রাজ্যের শেষ নিজাম।
১৯৯০ – ইতালীয় সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ও ৭ম সভাপতি সান্ড্রো পেরটিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৯৩ – ববি মুর, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৯৮ – ললিতা পাওয়ার ভারতীয় চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়ালের খ্যাতনামা অভিনেত্রী।
১৯৯৯ – ড. আহমদ শরীফ, বাংলা সাহিত্যের গবেষক ও অধ্যাপক।
২০০১ – ক্লদ শ্যানন, মার্কিন গণিতবিদ, তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী।
২০১৪ – আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার হ্যারল্ড রামিস মৃত্যুবরণ করেন।
২০১৬ – আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া, বাংলাদেশি প্রত্নতাত্ত্বিক, গবেষক ও লেখক।

২০১৮ – শ্রীদেবী, ভারতীয় নায়িকা।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

জীবন বদলে দেওয়া রাজা রামমোহন রায়ের উল্লেখযোগ্য কিছু উক্তি।।।।

রামমোহন রায়ের উক্তিগুলি তার চিন্তাভাবনা ও দর্শনের প্রতিফলন ঘটায়। রামমোহন রায়ের উক্তিগুলি আজও প্রাসঙ্গিক। তার উক্তিগুলি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, মানুষের মর্যাদা ও অধিকার সর্বোচ্চ, ধর্ম ও নারী শিক্ষার গুরুত্ব এবং শিক্ষার মাধ্যমেই জাতির উন্নতি সম্ভব। তাঁর ধারণাগুলি আমাদের সমাজকে আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করতে পারে। তার উল্লেখযোগ্য উক্তি ও উদ্ধৃতি গুলি হল:
(ক) ঈশ্বর মানুষকে যে বােধ (মনন) শক্তি প্রদান করেছেন, তার অভিপ্রায় হলাে এই যে, স্বজাতীয় অন্যান্য অধিকাংশ মানুষের মতাে সে পশুবৎ অনুকরণ না করে নিজের অর্জিত জ্ঞানের সহায়তায় প্রত্যেক ব্যাপারে শুভ-অশুভ বিবেচনায় নিজের বােধশক্তিকে প্রয়ােগ করবে।

(বস্তুতঃ) তখনই এই ঈশ্বরদত্ত (ক্ষমতা) বােধশক্তি সার্থকতা লাভ করবে।
(খ) এক জাতীয় লােক আছে, যারা অন্যদের সমর্থন আকর্ষণ করতে আপন ইচ্ছানুযায়ী ধর্মের নাম দিয়ে মতবাদ তৈরি করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লােকের মধ্যে উত্তেজনা ও বিবাদের সৃষ্টি করে। অপরদিকে আর এক ধরনের লােক আছে যারা কোনরকম বিবেচনা না করেই পূর্বোক্ত লােকেদের আনুগত্য স্বীকার করে। তৃতীয় আর এক দল লােক আছে যারা অন্যদেরও নিজেদের দলে (জোর করে) টানতে চায়। চতুর্থ শ্রেণীতে আছেন তাঁরা যারা মহামহিম ঈশ্বরের করুণায় প্রতারক নন, প্রতারিতও নন।…সংস্কারমুক্ত ও ন্যায়সঙ্গত দৃষ্টিভঙ্গীসহ বিচার করে চলাই শ্রেষ্ঠ জীবনাদর্শ।
(গ) আত্মা এক। তার মায়াভাবে (বিভিন্ন দেহরূপ) প্রপঞ্চেও নানাবিধ চেতনাত্মক জীব পৃথক পৃথক রূপে আচরণ ও কর্মফলভােগ করে, পুনরায় (দেহ) প্রপঞ্চ ভঙ্গ হলে প্রতিবিম্বের ন্যায় আর ক্ষণমাত্রও পৃথকরূপে থাকে না। জীব যদিও (স্বরূপতঃ) একক আত্মা হতে ভিন্ন নয়, তথাপি জীবের ভােগে আত্মার ভােগ হয় না।
(ঘ) মিথ্যা ও প্রবঞ্চনার বেশি অধর্ম আর নেই। মিথ্যাবাদী যদি কখনো সত্যও বলে, তাহলেও কেউ তা বিশ্বাস করে না। আবার এক মিথ্যাকে বজায় রাখতে আরও মিথ্যা দিয়ে তা সাজাতে হয়। এর বেশি প্রবঞ্চনা আর কী আছে।
(ঙ) কোনাে বিষয়ের দুই দিক দেখে কদাচ বিরােধ করাে না। বাদী, প্রতিবাদী এই উভয়ের যথার্থ অভিপ্রায় না বুঝে একপক্ষের প্রশংসা ও অন্যপক্ষের নিন্দা করা মহতের কাছে কেবল হাস্যাসম্পদের লক্ষণ হয়।
(চ) এই জগতে বিদ্যমান প্রতিটি বস্তু পৃথক পৃথকভাবে কয়েকটি কারণ, পরম্পরা ও নিয়মের অনুবর্তী। এমনকি প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষ সেই কারণ, পরম্পরা ও নিয়মগুলি গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, প্রতিটি পদার্থের অস্তিত্ব একটি অখণ্ড পরিকল্পনায় বাঁধা।
(ছ) কৃত (লােকাচার ও দেশাচার) অনুষ্ঠানকে যদি কোনাে মানুষ পালন করে, তার (মানসিক অবস্থানের) প্রতি পণ্ডিত (জ্ঞানী)-গণ ‘গড্ডালিকা প্রবাহ’ শব্দের প্রয়ােগ করে থাকেন।….(এখন বিশেষ ভাবে) প্রয়ােজন কুসংস্কার ও গোঁড়ামিকে আক্রমণ।
।।সংগৃহীত।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৩ ফেব্রুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।।

আজ ২৩ ফেব্রুয়ারী । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক) পিতৃভূমি দিবসের ডিফেন্ডার ( রাশিয়া )।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৬৮৫ – জার্মান বংশোদ্ভূত ইংরেজ অর্গানবাদক ও সুরকার জর্জ ফ্রিডেরিক হান্ডেল জন্মগ্রহণ করেন।

১৭২৩ – রিচার্ড‌ প্রাইস, ওয়েলশ-ইংরেজ মন্ত্রী ও দার্শনিক।

১৮৪০ – কালীপ্রসন্ন সিংহ, বাঙালি সাহিত্যিক, মহাকাব্য মহাভারতের বাংলায় অনুবাদক।
১৮৪০ – কার্ল মেনগের, অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৮৫০ – সিজার রিটজ, সুইস ব্যবসায়ী।
১৮৬৮ – আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ ও সমাজ সেবী ডব্লিউ. ই. বি. ডু বইস জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৭৪ – এস্তোনিয়া আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি কনস্টানটিন পাটস জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৮৩ – জার্মানি সুইস মনোবিজ্ঞানী ও দার্শনিক কার্ল জাস্পেরস জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৮৯ – ভিক্টর ফ্লেমিং, মার্কিন পরিচালক।
১৮৯৭ – রাধারমণ মিত্র মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও সাহিত্য একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি সাহিত্যিক।
১৮৯৯ – এরিক কাস্টনার, জার্মান লেখক ও কবি।
১৯১৩ – প্রতুল চন্দ্র সরকার, পি সি সরকার নামে সুপরিচিত ভারতের প্রখ্যাত জাদুকর ।
১৯২৪ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান পদার্থবিদ অ্যালান ম্যাকলিয়ড করমাক জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪০ – পিটার ফন্ডা, মার্কিন অভিনেতা।
১৯৪৮ – ইংরেজ পরিচালক ও প্রযোজক বিল আলেকজান্ডার জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫৪ – ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রেসিডেন্ট ভিক্টর য়ুশ্চেনকো জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫৯ – ক্লেটন এন্ডারসন, মার্কিন প্রকৌশলী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১৯৬০ – অ্যালেন গ্রিফিন, অস্ট্রেলীয় রাজনীতিবিদ।
১৯৬৫ – আমেরিকান ব্যবসায়ী ও ডেল প্রতিষ্ঠিত মাইকেল সল ডেল জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৪ – দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হার্শেল গিবস জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৮১ – ইংরেজ ফুটবলার গ্যারেথ ব্যারি জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮৩ – এমিলি ব্লান্ট, মার্কিন ইংরেজ অভিনেত্রী ও গায়িকা।
১৯৯২ – ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার সাসেমিরো জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৯৪ – ডাকোটা ফ্যানিং, মার্কিন অভিনেত্রী।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৭৯৯ – ফরাসী সেনা কমান্ডার নেপোলিয়ান বোনাপার্ট মিশর দখলের পর শ্যামে হামলা চালায়।
১৮৩১ – সাপ্তাহিক ‘সংবাদ সুধাকর’ প্রকাশিত হয়।
১৮৫৪ – অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
১৮৭১ – লন্ডনে ইউরোপীয় সরকারগুলোর প্রতিনিধিদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।
১৮৮৬ – বিশিষ্ট রসায়নবিদ চার্লস মার্টিন হল মূল্যবান এ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের সুত্র আবিষ্কার করেন ।
১৮৮৭ – ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরায় ভূমিকম্পের ফলে প্রায় ২,০০০ জন নিহত হয়।
১৮৯৮ – একটি খোলা চিঠি লেখার দায়ে ফ্রান্সে এমিল জোলাকে কারাবাস দেওয়া হয়।
১৯১৭ – রাশিয়ার পিটার্সবার্গে প্রথম আন্দোলনের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়।
১৯১৮ – সোভিয়েত লাল ফৌজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৩ – মেক্সিকোর পদচ্যুত রাষ্ট্রপতি ফ্রান্সিসকো মাদেরো গুলিতে নিহত হন।
১৯১৯ – বেনিতো মুসোলিনি ইতালিতে ফ্যাসিবাদী দল গঠন করে।
১৯৪২ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: জাপানি সাবমেরিন ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারার নিকট উপকূলে গোলাবর্ষণ করে।
১৯৪৪ – সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক চেচেন ও ইংগুশদেরকে উত্তর ককেসাস থেকে মধ্য এশিয়ায় জোরপূর্বক স্থানান্তর শুরু হয়।
১৯৪৭ – দি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যানডারডাইজেশন (ISO)তথা আন্তর্জাতিক মান সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৮ – ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তান গণপরিষদে উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ব্যবহারের দাবি জানান। তার দাবি অগ্রাহ্য হয়। এমনকি গণপরিষদের অনেক বাঙালি সদস্যও তার বিরোধিতা করেন।
১৯৫২ – ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ শুরু করে রাত্রির মধ্যে তা সম্পন্ন।
১৯৬৬ – সিরিয়ায় বাথ পার্টির সদস্য সালাহ জাদিদ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। এর ফলে জেনারেল আমিন আল-হাফিজের নেতৃত্বাধীন পূর্বের বাথপন্থি সরকার অপসারিত হয়।
১৯৬৯ – সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে।
১৯৬৯ – গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান পদত্যাগে বাধ্য হন।
১৯৯১ – উপসাগরীয় যুদ্ধ: স্থল সেনারা সৌদি আরবের সীমানা অতিক্রম করে ইরাকে প্রবেশ করে ফলে যুদ্ধের স্থল পর্যায় শুরু হয়।
১৯৯৭ – স্কটল্যান্ডের ইডেনবার্গের রোর্সালন ইনস্টিটিউটের গবেষকগণ সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ ক্লোন ভেড়া ডলির জন্মের কথা প্রকাশ করেন ।
১৯৯৯ – কুর্দি বিদ্রোহী নেতা আবদুল্লাহ ওজালান আঙ্কারায় রাষ্ট্রোদ্রোহীতার অভিযোগে অভিযুক্ত হন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭৬৬ – পোলিশ রাজা স্টানিস্লাও লেসযচয্য়ন্সকি মৃত্যুবরণ করেন।
১৭৯২ – ইংরেজ চিত্রশিল্পী জশুয়া রেনল্ডস মৃত্যুবরণ করেন ।
১৮২১ – ইংরেজ কবি জন কিটস মৃত্যুবরণ করেন ।
১৮৪৮ – জন কুইন্সি এডাম্‌স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি।
১৮৫৫ – কার্ল ফ্রিড্‌রিশ গাউস, জার্মান গণিতবিদ এবং বিজ্ঞানী।

১৯০৪- মহেন্দ্রলাল সরকার ভারতীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সমাজ সংস্কারক ও ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সাইন্স এর প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৩৪ – এডওয়ার্ড ইলগার, ইংরেজ সুরকার ও শিক্ষাবিদ।
১৯৪৫ – আলেক্সেই‌ নিকলাইয়েভিচ তল্‌স্তোয়, সোভিয়েত রুশ লেখক।

১৯৪৭ – হাকিম হাবিবুর রহমান, বাংলার বিশিষ্ট চিকিৎসক, লেখক, রাজনীতিবিদ।
১৯৫৫ – ফরাসি কবি, লেখক ও নাট্যকার পল ক্লাউডেল মৃত্যুবরণ করেন ।

১৯৬২ – সুনয়নী দেবী,স্বশিক্ষিত খ্যাতিমান ভারতীয় চিত্রশিল্পী ।
১৯৬৫ – ইংরেজ কমিক অভিনেতা, লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক স্ট্যান লরেল মৃত্যুবরণ করেন ।

১৯৬৯ – মধুবালা, ভারতীয় অভিনেত্রী।
১৯৭৩ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান ডাক্তার ডিকিনসন ডাব্লিউ রিচার্ডস মৃত্যুবরণ করেন ।
১৯৭৬ – নোবেলশান্তি পুরস্কার বিজয়ী রানে কাস্যাঁ মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৯৬ – পল সাগপাক, এস্তোনীয় ভাষাবিদ।

১৯৯৮ – রমন লাম্বা, ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়।
২০০১ – রবার্ট এনরিকো, ফরাসি পরিচালক ও চিত্রনাট্যলেখক।
২০০৮ – স্লোভেনীয় অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ ও ২য় প্রেসিডেন্ট জানেয ডরনোভসেক মৃত্যুবরণ করেন।

২০১৫ – রানা ভগবানদাস, পাকিস্তানি আইনজীবী ও বিচারক, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি।

২০১৯ – ক্যাথরিন হেলমন্ড, মার্কিন অভিনেত্রী ও পরিচালক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দরী-আকর্ষণীয় কিংবদন্তি অভিনেত্রী মধুবালা – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।

মুমতাজ জাহান দেহলভি হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি অনেক হিন্দি ধ্রুপদী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।  তার সমসাময়িক নার্গিস এবং মীনা কুমারীর বিপরীতে, তাকে হিন্দি সিনেমার অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দরী-আকর্ষণীয় অভিনেত্রীদের একজন হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
মমতাজ জাহান দেহলভি  একজন অন্যতম ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি অনেক হিন্দি ধ্রুপদী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার সমসাময়িক নার্গিস এবং মীনা কুমারীর বিপরীতে তাকে হিন্দি চলচ্চিত্রের সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়।তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বাধিক সুন্দর-আকর্ষণীয় অভিনেত্রী হিসেবেও গণ্য হন।  .
মমতাজ জাহান নাম দিয়ে অভিনয় শুরু করলেও অভিনেত্রী দেবিকা রাণী তার নাম দেন মধুবালা।

মধুবালা শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে অভিনয় শুরু করলেও মূল নারী চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন ১৪ বছর বয়সে কিদার শর্মার ‘নীলকমল’ ছবিতে রাজকাপুরের নায়িকা হয়ে। ১৯৪৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ২৯ বছরের অভিনয় জীবনে প্রায় ৭০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘মুঘল-ই-আজম’ (১৯৬০) মধুবালার জীবনের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র।
মধুবালা ১৯৩৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  তার বাবা পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি তামাক কোম্পানিতে কাজ করতেন;  কিন্তু সংসারের অভাবের কারণে চাকরি চলে যাওয়ায় মধুবালা অভিনয়ে যোগ দেন।  তিনি এগারো ভাইবোনের মধ্যে পঞ্চম ছিলেন এবং পাঁচজন অল্প বয়সে মারা যান।
মধুবালা অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা—-
মেহলো কি খোয়াব, মুঘল-ই-আজম, দো ওস্তাদ, ইনসান জাগ ওঠা, কাল হামারা হায়, ঘী সিপাহী, জাওলা, শরাবী, হাফ টিকিট, বয়ফ্রেন্ড, ঝুমরু, পাসপোর্ট, বারসাত কি রাত, জালি নোট, হাওড়া ব্রিজ, কালা পানি, ফাগুন, পুলিশ, চলতি কা নাম গাড়ি, এক- সাল, নাতা, তীরন্দাজ, নাকাব, বহুত দিন হুয়া, অমর, রেইল কা ডিব্বা, আরমান, সাংদিল, সাকি, বাদল, খাজানা, নাদান, নাজনীন, সাইয়ান, তারানা, বেকসুর, হাঁসতে আঁসু, মধুবালা, নিরালা, নিশানা, পরদেশ, অপরাধী, দৌলত, দুলারি, ইমতিহান, নেকি আওর বদি, পরশ, সিপাহিয়া, জন্মপত্রী, মহল, অমর প্রেম, লাল দুপাট্টা, পারাই আগ, চিত্তর বিজয় , দিল-কি- রানী, খুবসুরত দুনিয়া, মেরা ভগবান, নীল কমল, ফুলওয়ারী, পূজারী, রাজপুতানী, ধন্য ভগত, মুমতাজ মহল, বসন্ত, স্বস্তিক, গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া, ইয়াহুদি কি লাড়কি , ঢাকা কি মলমল, রাজ হাট, শিরিন ফরহাদ, মি. এন্ড মিসেস ৫৫।
সম্মাননা—‐—-
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে তার ৮৬তম জন্মদিনে গুগল ডুডল তৈরি করে সম্মাননা প্রদান করে।
মৃত্যু —–
মধুবালার হৃৎপিন্ডে জন্মগত ছিদ্র ছিল। মধুবালার ক্যারিয়ারের স্বার্থে পরিবারের পক্ষ থেকেই অসুখটা তখন গোপন করা হয়। কাজের চাপ আর বদ্ধ স্টুডিওয়ে দিনের পর দিন কাটাতে কাটাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। নয় বছর অসুখের সাথে লড়াই করে অবশেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বিপ্লবী ও সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিক রাধারমণ মিত্র।।।।।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে রাধারমণ মিত্র( ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী।রাধারমণ মিত্রভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।
রাধারমণ মিত্র একজন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী এবং সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী লেখক।

১৯২৯ সালের মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার পথপ্রদর্শকদের একজন, দেশের মানুষের মধ্যে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের প্রচারে একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী।  তিনি একসময় মহাত্মা গান্ধীর ‘ডান হাতের মানুষ’ ছিলেন।
রাধারমণ মিত্র ১৮৯৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার শ্যামবাজারে একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  পৈতৃক নিবাস ছিল বর্ধমান।  ১৯১৩ সালে হিন্দু স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯১৫ সালে স্বর্ণপদক সহ I.A. সেন্ট পলস কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
এমএ পড়ার সময় অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন এবং সহ বিপ্লবী বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়ের সাথে উত্তর প্রদেশে চলে যান।  গান্ধীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি উত্তরপ্রদেশের এটাওয়াতে সংগঠক হিসেবে কাজ করেন।  এ সময় তাকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের নৈনি জেলে বন্দী করা হয়।  এক বছর কারাগারে থাকার পর তিনি সবরমতী আশ্রমে যান এবং মহাত্মা গান্ধীর সাথে টানা তিন বছর কাজ করেন।  গান্ধীবাদী আদর্শের অনুসারী হলেও তার সাথে মতপার্থক্যের কারণে তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন এবং একটি কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নেন।  শিক্ষকতা ছাড়াও রাধারমণ মিত্র শ্রমিক আন্দোলন, ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে বহুবার নেতা ছিলেন।  মার্ক্সবাদী দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হলেও তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন না।  ১৯২৯ সালে, তিনি আবার মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক গ্রেফতার হন।  এলাহাবাদ হাইকোর্ট মুক্তি দিয়েছে।  ১৯৪৩-৪৪ সালের মধ্যে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন।  যদিও পরবর্তীতে মতপার্থক্যের কারণে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে এসেছিলেন, তার পাণ্ডিত্য, প্রজ্ঞা এবং বামপন্থী রাজনীতি ও আদর্শের জ্ঞান তাকে সর্বজনীনভাবে সম্মানিত করেছিল।  এছাড়াও তিনি ইন্দো-সোভিয়েত ফ্রেন্ডলি সোসাইটির সদস্য ছিলেন।
কলকাতার ইতিহাস নিয়ে তার প্রবল আগ্রহ ছিল। একসময় সে কারণে কলকাতা শহরের পথে পথে একা ঘুরে বেড়িয়ে তথ্য সংগ্রহ ও লেখালিখির কাজ করেছেন রাধারমণ। তার কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয় তন্মধ্যে কলিকাতা দর্পণ ১৯৮১ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছিল। তার অন্যান্য বইগুলি হল: বাংলার তিন মনীষী, কলিকাতায় বিদ্যাসাগর, ডেভিড হেয়ার: হিজ লাইফ এন্ড ওয়ার্কস, রাধারমণ মিত্রের প্রবন্ধ।
৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে – প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক জাদুকর প্রতুল চন্দ্র সরকার (পি সি সরকার) ।।।।

P. C. সরকার ছিলেন একজন বিখ্যাত ভারতীয় জাদুকর। তাঁর পুরো নাম প্রতুল চন্দ্র সরকার। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক জাদুকরদের মধ্যে একজন যিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তার জাদু প্রদর্শন করেছিলেন। তার প্রদর্শনীগুলির মধ্যে একটি ছিল ইন্দ্রজাল প্রদর্শনী। তিনি প্রথমে মঞ্চে এবং তারপর টেলিভিশনে এই অনুষ্ঠানটি দেখান।

প্রতুল চন্দ্র সরকার ১৯১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বর্তমান বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার আশেকপুর গ্রামে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিবনাথ হাইস্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি গণপতি চক্রবর্তীর কাছ থেকে জাদুর প্রাথমিক ধারণা পেয়েছিলেন। ১৯৩০ সালের দিকে তার জাদু জনপ্রিয় হতে শুরু করে। তিনি কলকাতা, জাপান এবং অন্যান্য অনেক দেশে জাদু প্রদর্শন করেছেন।
প্রতুলচন্দ্র সরকার কলকাতার বাসন্তী দেবীকে বিয়ে করেন। তার তিন ছেলে, মানিক সরকার, পিসি সরকার জুনিয়র এবং পিসি সরকার ইয়াং।
পুরস্কার–
১৯৬৪ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে, ভারত সরকার “জাদু সম্রাট পি.সি সরকার” নামে কলকাতাতে একটি সড়কের নামকরণ করেছে, ১৯৪৬ ও ১৯৫৪ সালে জাদুর অস্কার নামে পরিচিত “দ্য ফিনিক্স” (আমেরিকা) পুরস্কার লাভ করেন, জার্মান মেজিক সার্কেল থেকে “দ্য রয়াল মেডিলিয়ন” পুরস্কার পান, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে ভারতীয় সরকার তার প্রতি সম্মান জানিয়ে একটি ৫ টাকার স্ট্যাম্প চালু করে।
তিনি ৬ জানুয়ারী ১৯৭১ সালে প্রয়াত হন।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।
স্বাস্থ্য & জীবনযাপন

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মূল্যবান মনুষ্য জীবনে ভগবান ও ঈশ্বর :: স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক)।।।

ওঁ নমঃ শ্রী ভগবতে প্রণবায় ।

আমাদের ভারতীয় সত্য সনাতন হিন্দু ধর্মে মূল্যবান সুন্দর মনুষ্য জীবনে *ভগবান ও ঈশ্বর* শব্দদুটি মোটেও এক নয়। *ঈশ্বর* শব্দের অর্থ হল সর্বশক্তিমান। ঈশ্বর হল সয়ম্ভূ, অজ। যার কোন জন্ম নেই, মৃত্যু নেই। যিনি সর্বত্র বিরাজমান, সকলের মুক্তিদাতা, সগুণে সাকার কিংবা নির্গুণে নিরাকার, প্রয়োজনে বহু রূপ ধারণ করতে পারেন, তিনিই হচ্ছেন ঈশ্বর, পরমেশ্বর, পরমাত্মা। ঈশ্বর এক, অবিভক্তে তিনি এক। বিভক্তে তিনি বহু। ঈশ্বর নিজ আনন্দে এই বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেছেন। তিনিই সৎ-চিৎ-আনন্দ বিগ্রহ। তিনিই অনাদি, তিনিই নিত্য, জ্ঞানময়, আনন্দময়। তিনি হচ্ছেন অনাদি, সয়ম্ভূ, এবং সমস্ত কারণের মূল কারণ। ঈশ্বর বলতে বোঝায়, সর্বশ্রেষ্ঠ সত্তা, পরমাত্মা, প্রভু জগৎস্রষ্টা, অধিপতি ইত্যাদি। ঈশ্বরকে ভগবান, পরমেশ্বর, ইষ্টদেবতা, বিশেষ আত্মা ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়।

*ভগবানঃ* ‘জন্মদাস্য যত’- যার থেকে সমস্ত প্রকাশিত হয়। ভাগবদ পুরাণ ১/১ ভগবান শব্দটি সংস্কৃত, এবং এর অর্থ বিশ্লেষণ করেছেন ব্যাসদেবের পিতা পরাশর মুনি (১) সমগ্র ঐশ্বর্য (ধনসম্পদ) (২) সমগ্র বীর্য (৩) সমগ্র যশ (৪) সমগ্র শ্রী (সৌন্দর্য) (৫) সমগ্র জ্ঞান (৬) সমগ্র বৈরাগ্য। যিনি এই ষড়ৈশ্বর্য গুনযুক্ত তিনিই ভগবান পদবাচ্য। আবার ভগবান:- ভ- ভূমি, গ- গগন, ব- বায়ু, অ/আ- অগ্নি, ন- নীর। এই ভূমি, গগন, বায়ু, অগ্নি ও নীর- কে যিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তিনিই ভগবান। ভগবান হলেন ঈশ্বরের উপাধি। ঈশ্বরকে যখন ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান, ও বৈরাগ্যের অধীশ্বর হিসেবে আরাধনা করা হয়, তখন তাকে ভগবান বলা হয়।

*ঈশ্বর, ভগবান, ও দেবতা* এই তিনটি শব্দই ভিন্ন অর্থ বহন করে। ঈশ্বরকে বিশ্বজগতের সর্বোচ্চ স্রষ্টা বলা হয়। ভগবান হলেন ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান, ও বৈরাগ্যের অধীশ্বর। দেবতা হলেন অতিপ্রাকৃত সত্তা। ঈশ্বর,ভগবান, ও দেবতার মধ্যে পার্থক্য:- ঈশ্বর শব্দের অর্থ হল বিশ্ব জগতের সর্বোচ্চ স্রষ্টা। ভগবান হলেন ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান,ও বৈরাগ্যের অধীশ্বর। দেবতা হলেন অতিপ্রাকৃত সত্তা। অতিপ্রাকৃত বলতে এমন ঘটনা বা সত্তাকে বোঝায় যা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে। ঈশ্বরকে পরমেশ্বরও বলা হয়। ঈশ্বরকে পরমাত্মাও বলা হয়। ঈশ্বরকে ইষ্টদেবতাও বলা হয়। ঈশ্বরকে বিশেষ আত্মাও বলা হয়।

যেমন, আমরা বাস্তবে দেখি *অসৎ* লোকের ভাবনায় ঈশ্বর দৈত্য, দানব, রাক্ষস! সে তারা স্বীকার করুন আর নাই করুন। তাইতো তারা ঈশ্বরকে ভয় পায়। অসৎ না হলে ঈশ্বরকে ভয় পাবে কেন?

*লোভী এবং নির্বোধ* ব্যক্তির কাছে ঈশ্বর অলৌকিক এক শক্তি ! কাল্পনিক এই অসীম শক্তির সাথে তারা দেওয়া এবং নেওয়া নীতি (Give and take policy) এর হিসাব করে। কল্পিত ঈশ্বরকে তারা নানারকম উপহার দিয়ে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করে।

*ধর্মব্যবসায়ীদের* কাছে ঈশ্বর হচ্ছে তাদের সম্পত্তি। তাই তারা খরিদ্দার ধরার তাগিদে দোকান খুলে বসে। এসব ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্ম ব্যবসা করে এরা বিরাট সম্পদ গড়ে তোলে।

*নাস্তিকের* কাছে ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব না থাকলেও তারা ঈশ্বর নেই, ঈশ্বর নেই বলে চলে সদা সর্বদা। ঈশ্বরবিশ্বাসীদের ক্রমাগত বাজে মন্তব্য করে সবচাইতে অমানবিক আচরণ করে। তারা ভুলে যায় বিশ্বাসীদের বিশ্বাসে আঘাত করা ঘৃণ্য মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

*আস্তিকের কাছে, আমাদের কাছে, আমার কাছে আত্মাই ঈশ্বর। নিজের মাঝে যে শুভশক্তিটুকু আছে সেটাই ঈশ্বর। নিজের ভেতর থেকে যখন জানার আগ্রহ প্রবল হয়, সেই জ্ঞানতৃষা মেটানোর পথটুকুই ঈশ্বর। কর্মই ঈশ্বর, ঈশ্বর হচ্ছে জ্ঞান, ঈশ্বর যুক্তি, ঈশ্বরই মুক্তি। ঈশ্বর পেতে হলে নিজের ভেতরে অনুসন্ধান চালাতে হয়। শুভ ইচ্ছা নিয়ে নিজের ভেতরে খুঁজে বেড়ালেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। আত্মজিজ্ঞাসাই ঈশ্বর।*

একইভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ভগবান শ্রীরামচন্দ্র
ষড়ৈশ্বর্য যুক্ত ছিলেন তাই তাঁদের কে আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ভগবান শ্রীরামচন্দ্র বলে সম্বোধন করি। ভারতীয় সত্য সনাতন হিন্দু ধর্মের মধ্যে যখন কোন মানুষকে ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য এই ছয়টি গুনের অধীশ্বর রূপে আরাধনা করা হয় তখন তাকে ভগবান বলা হয়। যেমন আদি শঙ্করাচার্য, মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য, ভগবানবুদ্ধ, স্বামী প্রণবানন্দ ইত্যাদি। তাই, আমরা গুরু মহারাজকে জগৎগুরু ভগবান স্বামী প্রণবানন্দজী বলে সম্বোধন করি। আমাদের ভারতীয় সত্য সনাতন হিন্দু ধর্ম হল সেই বিজ্ঞান যেটা বহু বছর ধরে সাধু, সন্ন্যাসী, জ্ঞানী, মহাত্মাদের সঠিক মার্গ দর্শনে আমাদের দেশে ক্রমশ বেড়ে উঠেছে। তাই হিন্দুধর্ম হল একটা বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম যার নাম সনাতন ধর্ম,শাশ্বত চিরন্তন ধর্ম। তাই, আমাদের হিন্দু ধর্মের কোন প্রবর্তক নেই। আমাদের সত্য সনাতন হিন্দু ধর্মে সামাজিক জীবনে ধর্মীয় প্রভাব অপরিসীম। তাই, সনাতন হিন্দু ধর্মে ঈশ্বরকে এক ও অদ্বিতীয় বলা হয়। কারণ, তিনি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ, সর্বত্র বিরাজমান, সর্বজনীন, নিরাকার, এবং সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনিই পরম কারণ এবং সর্বোচ্চ সত্তা।
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ।
স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক)

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রথম যুগের অগ্রণী সঙ্গীত পরিচালক ও নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা পঙ্কজ কুমার মল্লিক – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।।

পঙ্কজ কুমার মল্লিক ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক এবং অভিনেতা।  তিনি বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রাথমিক যুগের একজন শীর্ষস্থানীয় সঙ্গীত পরিচালক এবং প্লেব্যাক গায়ক ছিলেন।  রবীন্দ্রসঙ্গীতেও তার বিশেষ অবদান ছিল।
পঙ্কজ কুমার মল্লিক ১৯০৫ সালের ১০ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পিতার নাম মণিমোহন মল্লিক এবং মাতার নাম মনোমোহিনী দেবী।  সঙ্গীতের প্রতি মণিমোহনের গভীর আগ্রহ ছিল।  পঙ্কজ কুমার দুর্গাদাস ব্যানার্জির অধীনে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন।  তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে শিক্ষা শেষ করেন।  তারপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগ্নে অর্থাৎ দ্বীপেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়।

ফলে তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট হন।  পরে রবীন্দ্রনাথের স্নেহের হয়ে ওঠেন।  খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পঙ্কজ কুমার রবীন্দ্রসংগীতের অন্যতম প্রধান শিল্পীর খ্যাতি অর্জন করেন।১৯২৬ সালে মাত্র একুশ বছর বয়সে তিনি “নেমেছে আজ প্রথম বাদল” গানটি ভিয়েলোফোন কোম্পানি থেকে রেকর্ড করেন।

১৯৩১ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৮ বছর পঙ্কজ কুমার বাংলা, হিন্দি, উর্দু ও তামিল চলচ্চিত্রে অবদান রাখেন। তিনি কুন্দন লাল সায়গল, শচীন দেব বর্মণ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, গীতা দত্ত, আশা ভোঁসলে প্রমুখ সঙ্গীত পরিচালক ও শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্রে তিনি কুন্দন লাল সায়গল, প্রমথেশ বড়ুয়া ও কানন দেবীর মতো শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয়ও করেন। নীতীন বসু ও রাইচাঁদ বড়ালের সঙ্গে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে নেপথ্য কণ্ঠসংগীতের প্রবর্তন করেছিলেন। ১৯৩১ সালে তিনি মহিষাসুরমর্দিনীর অনুষ্ঠানটির সুর দেন।

চলচ্চিত্রের তালিকা——

চাষির মেয়ে, ইহুদি কি লেড়কি, মঞ্জিল, মায়া, কারোড়পতি, গৃহদাহ, দেবদাস, মুক্তি, দিদি, বাড়ি বেহেন, জীবন মরণ, ধর্তি মাতা, দেশের মাটি, অভিজ্ঞান, অভাগিনী, কপালকুণ্ডলা, দুশমন, বড়ি দিদি, জিন্দেগি, নর্তকী, ডাক্তার, মীনাক্ষী, দিক্ষুল, কাশীনাথ, মেরি বেহেন, দুই পুরুষ, রামের সুমতি, প্রতিবাদ, মঞ্জুর, রূপকথা, জলজলা, মহাপ্রস্থানের পথে, যাত্রীক, চিত্রাঙ্গদা, রাইকমল।

১৯৭০ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র সম্মাননা হিসেবে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করে।

১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য: সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৯ ফেব্রুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১৯ ফেব্রুয়ারী । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক) শিবাজী জয়ন্তী (মহারাষ্ট্র, ভারত)।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৪৭৩ – নিকোলাউস কোপার্নিকাস, বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন।

১৬৩০ – ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা যোদ্ধা রাজা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ জন্ম গ্রহণ করেন ।

১৭৩২ – ইংরেজ নাট্যকার রিচার্ড কাম্বারল্যান্ড জন্মগ্রহণ করেন।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৩৮৯ – সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলক (দ্বিতীয়) দিল্লীতে নিহত হন।
১৬১৮ – ডেনিস-অস্ট্রেলিয়া যুদ্ধের অবসান। মাদ্রিদ শান্তি চুক্তি অনুমোদন।
১৮০৩ – সুইজারল্যান্ডে মধ্যস্থতা আইন পাস (যে আইনের অধীনে ক্যান্টনস পুনরায় স্বাধীনতা অর্জন করে)।
১৮৫৫ – লিভারপুলে খাদ্যা দাঙ্গা শুরু।
১৮৭৮ – টমাস আলভা এডিসন ফনোগ্রাফ পেটেন্ট করেন।
১৮৯১ – ‘অমৃত বাজার পত্রিকা’ দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়।
১৯০৪ – ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন ঢাকাতে কার্জন হলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯২৪ – জেনেভায় আন্তর্জাতিক মাদক কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৪১ – কেনিয়ায় অবস্থানরত ব্রিটিশ বাহিনী ইতালীয় সোমালিল্যান্ড দখল করে নেয়।
১৯৪২ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখন্ডে জাপানের প্রথম বিমান হামলা। ২৪৩ কর্মকর্তা নিহত। ২৩ টি বিমান বিধ্বস্ত ৮টি জাহাজডুবি।
১৯৫১ – নেপালে গণঅভ্যুত্থানে ১০৪ বছরের পুরনো রানা শাসনামলের পতন এবং রাজ পরিবারের ক্ষমতায় পুনঃঅধিষ্ঠিত।
১৯৫১ – বিখ্যাত ফরাসি লেখক, নৈতিকতাবাদী, দার্শনিক আন্দ্রে জিঁদ পরলোকগমন করেন।
১৯৬৩ – সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবা থেকে সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহারে সম্মত হয়।
১৯৭৪ – বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা থানার সেগুনবাগিচায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮০ – ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী ইরানের প্রথম অভিভাবক পরিষদের জন্য ইসলাম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বা ফকিহদের মনোনয়ন দান করেন।
১৯৮৮ – ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমানের উপর ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসকের সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হোজ্জাতুল ইসলাম ফাজল্লাহ মাহলাদী শহীদ হন।
১৯৯৩ – হাইতিতে ১৫শ যাত্রীবাহী ফেরীডুবি। জীবিত উদ্ধার মাত্র ২৮৫ জন।
২০১৮ – বাংলাদেশে ফোরজি সেবা চালু হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৬১ – কলকাতার দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ও জন হিতৈষী লোকমাতা রাণী রাসমণি প্রয়াত হন ।

১৯১৫ – গোপালকৃষ্ণ গোখলে, ভারতীয় রাজনীতিবিদ।

১৯৪৭ – সমাজসেবক স্যার আজিজুল হক মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৭৮ – পঙ্কজ কুমার মল্লিক, ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক ও অভিনেতা।

১৯৯০ – মাইকেল পাওয়েল, ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৯৭ – চীনের শীর্ষ নেতা দেন শিয়াও পিং মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৯৯ – ভারতের বাঙালি সাহিত্যিক ও বাংলা সাহিত্য পত্রিকা ‘দেশ’ র প্রখ্যাত সম্পাদক সাগরময় ঘোষ প্রয়াত হন ।

২০১৭ – বনশ্রী সেনগুপ্ত, প্রবাদপ্রতিম ভারতীয় বাঙালি গায়িকা।

২০১৯ – (ক) মুহম্মদ খসরু, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।

(খ) প্রতীক চৌধুরী, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী।
২০২৩ – সাবেক যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This