Categories
রিভিউ

আজ ০৯ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ০৯ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিজয় দিবস ( রাশিয়া)।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫৪০ – মেওয়ারের শিশোদিয়া রাজবংশের হিন্দু রাজপুত রাজা মহারাণা প্রতাপ সিং।

১৮০০ – আমেরিকার দাস বিদ্রোহের নেতা জন ব্রাউন।
১৮৬৬ – ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক গোপালকৃষ্ণ গোখলে।

১৮৯৫ – রিচার্ড বার্থেলমেস, মার্কিন অভিনেতা।
১৯০৭ – জ্যাকি গ্র্যান্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধর্মপ্রচারক।
১৯৩২ – কনরাড হান্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৩৬ – গ্লেন্ডা জ্যাকসন, ইংরেজ অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ।
১৯৪৩ – মরিস ফস্টার, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৫১ – কেভিন কিগান – ইংরেজ ফুটবলার ও ম্যানেজার।
১৯৫৯ – অ্যান্ড্রু জোন্স, নিউজিল্যান্ডীয় সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৮৬ – জেনি গান, ইংরেজ আন্তর্জাতিক প্রমীলা ক্রিকেটার।
১৯৮৭ – মুশফিকুর রহিম, বাংলাদেশী উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫০২ – ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার চতুর্থ অভিযাত্রা শুরু করেন।
১৫০৯ – নতুন পৃথিবীর সন্ধানে কলম্বাসের কাদিজ থেকে চতুর্থ এবং সর্বশেষ অভিযাত্রা শুরু।
১৫৭৩ – ডিউক হেনরি পোল্যান্ডের রাজা নির্বাচিত।
১৭৮৮ – ব্রিটেনের ক্রীতদাস প্রথা বিলোপের জন্য পার্লামেন্টে বিল পাস।
১৮৭৪ – বোম্বেতে প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চালু হয়।
১৮৭৯ – নারী সচেতনতা প্রসারকল্পে কেশবচন্দ্র সেন আর্য নারী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৩৬ – ইতালি-ইথিওপিয়া একত্রীভুক্ত। রাজা তৃতীয় ভিক্টর এমানয়েল নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করেন।
১৯৪৫ – নাৎসি জার্মনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অবসানে বিশ্বে বিজয়োৎসব পালিত হয়।
১৯৫৫ – ঠাণ্ডাযুদ্ধ বা স্নায়ুযুদ্ধের সময় পশ্চিম জার্মানি ন্যাটোতে যোগদান করে এই দিনে।
১৯৬০ – বিশ্বখাদ্য ও ড্রাগ প্রশাসন ঘোষণা করে যে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বড়ি ব্যবহার করা যাবে।
১৯৬৬ – চীন তৃতীয়বারের মত পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৯৬৭ – জাকির হোসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
১৯৮৪ – অক্সিজেন না নিয়েই এভারেস্ট জয় করেন ফু দোর্।
১৯৯২ – আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের উপর হামলা চালিয়েছিলো।
১৯৯৪ – নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণবৈষম্যহীন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ – ১৫ বছর পর উগান্ডায় প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।
১৯৯৭ – জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লিবীয় নেতা গাদ্দাফির নাইজেরিয়া গমন।
২০০৪ – চেচেন প্রেসিডেন্ট আখমাদ কাদিরভকে হত্যা করা হয় ভিআইপি স্টেজের নিচে মাইন পেতে রেখে। যখন তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবসে সেনা কুচকাওয়াজ দেখছিলেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮০৫ – জার্মান লেখক কবি নাট্যকার ইহুয়ান ফেডারিক শিলার।

১৯০৩ – পল গোগাঁ, প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর।

১৯৩১ – আলবার্ট আব্রাহাম মাইকেলসন, মার্কিন পদার্থবিদ।
১৯৭১ – পূর্ণেন্দু দস্তিদার, লেখক ও রাজনীতিবিদ।
১৯৮৫ – এডমন্ড ওব্রায়েন, মার্কিন অভিনেতা।
১৯৮৬ – তেনজিং নোরগে নেপালী শেরপা পর্বতারোহী ও এডমন্ড হিলারির সাথে প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ী।
১৯৯৮ – তালাত মাহমুদ, ভারতীয় গজল গায়ক।
২০০৯ – এম এ ওয়াজেদ মিয়া, বাংলাদেশি পরমাণুবিজ্ঞানী।
২০১৩ – ইন্দ্রনাথ মজুমদার, কলকাতার সুবর্ণরেখা প্রকাশন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের সংগ্রাহক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে দুটি কথা : দিলীপ রায়।

বাংলা সাহিত্য জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ কবি আমাদের সকলের প্রিয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । আমরা জানি রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য, “ভাবগভীরতা, চিত্ররূপময়তা, আধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোমান্টিক, সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা ।“ তাঁর লেখা অসাধারণ সব কবিতা ও গান, আজও প্রত্যেকটা বাঙালীর মন কাঁড়ে । তিনি শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠ কবি বা গল্পকারই ছিলেন না, সেইসাথে ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিকও । রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক । ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল । কথা সাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন । সমাজ কল্যাণের উপায় হিসাবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষকে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন এবং পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরূদ্ধে তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন । রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় মনুষ্য সেবার কথাই বলা হয়েছে । রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে মানুষ ঈশ্বরের পুজার কথা বলেছিলেন । সঙ্গীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন । রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি । তিনি দুই হাজারের উপর গান রচনা করেছেন । তাঁর রচিত “জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে” — ভারতে এবং “আমার সোনার বাংলা” — বাংলাদেশে জাতীয় সঙ্গীত ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ৭ই মে ১৮৬১ সালে ( ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ ) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে অবস্থিত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে | তাঁর বাবার নাম ছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি কিনা ছিলেন তদানীন্তনকালের ব্রাহ্মসমাজের একজন ধর্মগুরু এবং তাঁর মায়ের নাম সারদাসুন্দরী দেবী । অনেকেই জেনে অবাক হবেন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর বাবা মায়ের ১৪তম সন্তান । বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয় শিক্ষা গ্রহণ করেননি । গৃহ শিক্ষক রেখে বাড়িতেই তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল । মাত্র আট বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু । ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তাঁর “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশ পায় । এটিই তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা ।
১৮৭৮ সালে মাত্র সতের বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান । ১৮৮৩ সালে ৯ই ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথের বিয়ে হয় বেণীমাধব রায়চৌধুরী নামে ঠাকুরবাড়ির এক অধস্তন কর্মচারীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে । বিয়ের সময় ভবতারিণীর পুনরায় নামকরণ করা হয় এবং তাঁর নাম পাল্টে রাখা হয় মৃণালিনী দেবী । ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন । ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মাচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন । সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন । ১৯০২ সালে তাঁর পত্নী বিয়োগ হয় । ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন । ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “নাইট” উপাধিতে ভূষিত করেন । ১৯১৫ সালে জালিনওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন । ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয় । দীর্ঘজীবন তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন ।
অবশেষে দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট , জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর । (তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত)

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং পালনের গুরুত্ব।।।

৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস হিসেবে পরিচিত একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এটি এমন একটি দিন যা থ্যালাসেমিয়া নামক একটি জেনেটিক সমস্যা সম্পর্কে মানুষকে শেখানোর জন্য। এই সমস্যাটি শরীরের পক্ষে হিমোগ্লোবিন নামক একটি অত্যাবশ্যক জিনিস তৈরি করা কঠিন করে তোলে, যা আমাদের রক্তে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে।

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের পিতামাতার কাছ থেকে এই সমস্যাটি পান এবং এর অর্থ তাদের রক্তে অক্সিজেন বহন করার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন নেই। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হল এই রক্তের সমস্যাকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করা এবং যাদের এটি আছে তাদের প্রতি সমর্থন জানানো।

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের থিম ২০২৫—

২০২৫ সালের বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের প্রতিপাদ্য হল “থ্যালাসেমিয়ার জন্য একসাথে: সম্প্রদায়গুলিকে একত্রিত করা, রোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া”। এই প্রতিপাদ্যটি রোগী-কেন্দ্রিক পদ্ধতির উপর জোর দেয়, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সামগ্রিক যত্ন এবং সুস্থতা প্রচার করে। এর লক্ষ্য স্বাস্থ্যসেবা নীতিতে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চাহিদাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়গুলিকে একত্রিত করা।

এছাড়াও, আরেকটি সূত্র থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার গুরুত্ব তুলে ধরে “মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে জীবনকে ক্ষমতায়ন করা” থিমটি উল্লেখ করেছে। তবে, থ্যালাসেমিয়া আন্তর্জাতিক ফেডারেশন “থ্যালাসেমিয়ার জন্য একসাথে: সম্প্রদায়গুলিকে একত্রিত করা, রোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া” থিমটি আরও ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এবং ব্যবহৃত বলে মনে হচ্ছে।

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ২০২৫ এর তাৎপর্য—

এই দিনটি অত্যাবশ্যক কারণ এটি থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে লোকেদের বলার উপর ফোকাস করে, এটির কারণ কী এবং কী লক্ষণগুলি সন্ধান করা উচিত। থ্যালাসেমিয়া এড়াতে সবাইকে সুস্থ জীবনযাপনে উৎসাহিত করার একটি সুযোগ। এছাড়াও, এটি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা কী সমস্যার মুখোমুখি হয় এবং কেন তাদের সঠিক যত্ন এবং সহায়তা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরে। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আমরা থ্যালাসেমিয়াকে কীভাবে চিকিত্সা করি তা উন্নত করার জন্য চলমান গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথাও সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের ইতিহাস—

থ্যালাসেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন (টিআইএফ) নামে একটি গ্রুপকে ধন্যবাদ ১৯৯৪ সালে প্রথম বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস হয়েছিল। এই গ্রুপটি, যেটি বিশ্বব্যাপী থ্যালাসেমিয়া মোকাবেলা করা ব্যক্তি এবং পরিবারকে সাহায্য করে, ১৯৮৬ সালে মিঃ প্যানোস এঙ্গেলোজস এবং যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রীস, ইতালি এবং সাইপ্রাসের পরিবারগুলি দ্বারা শুরু হয়েছিল। থ্যালাসেমিয়ায় মারা যাওয়া মিঃ প্যানোসের ছেলে জর্জকে স্মরণ করার জন্য তারা এই দিনটি তৈরি করেছিলেন। সেই থেকে, থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে এবং কীভাবে এটি সর্বত্র মানুষ ও পরিবারকে প্রভাবিত করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা প্রতি বছর ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করি।
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ। যদি বাবা ও মায়ের দু’জেনই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন, তা হলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
থ্যালাসেমিয়া একটি ব্লাড ডিজঅর্ডার যার ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। প্রধানত তিন ধরনের থ্যালাসেমিয়া হয়। আলফা থ্যালাসেমিয়া, বিটা থ্যালাসেমিয়া ও থ্যালাসেমিয়া মাইনর। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা ও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অতিরিক্ত মাত্রায় কমে যায়। যার ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেয়।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ—

ক্লান্তি, হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ফ্যাকাশে ত্বক, শরীরে আয়রন জমা হওয়া, হার্টের সমস্যা প্রভৃতি বিষয়।
চিকিৎসকদের মতে, এ রোগের ফলে আক্রান্তের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি হয় না, যার ফলে অন্যের রক্ত ট্রান্সফিউশন নিয়ে তাদের জীবন চালাতে হয়। বাবা-মা উভয়ই ত্রুটিযুক্ত জীন বহন করলে সে ক্ষেত্রে প্রতি গর্ভাবস্থায় সন্তানের ২৫ শতাংশ থেলাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ২৫ শতাংশ সুস্থ্য এবং ৫০ শতাংশ বাহক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের পেছনে বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়া বাহক হওয়ার কারণ রয়েছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ বিয়ের আগে অবশ্যই থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করানো উচিত। যাতে বাবা-মা বাহক হলেও ৭৫ শতাংশ রোগী ও বাহক কমিয়ে আনা সম্ভব।
তাই রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সারাবিশ্বে দিনটি পালিত হয়ে আসছে ।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব রেডক্রস দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।

বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৪ বিশ্ব রেড ক্রস দিবস প্রতি বছর ৮ মে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত এবং সংকট দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিদের সম্মান জানাতে এবং রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মানবিক নীতির উপর জোর দেওয়ার জন্য পালিত হয়। এই দিনটি সংস্থাগুলির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্টের জন্মদিনকে স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মানবিক প্রচেষ্টার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

প্রতি বছর ৮ মে বিশ্ব রেড ক্রস দিবস পালিত হয়। ইতিহাস, তাৎপর্য, থিম এবং কার্যক্রম জানুন।

বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৫—

প্রতি বছর ৮ই মে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিবর্গ বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালনে একত্রিত হয়। এই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মৌলিক নীতিগুলি তুলে ধরা হয়। এটি রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারের উদ্বোধনী প্রাপক হেনরি ডুনান্টের প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে কাজ করে। একটি বার্ষিক থিম্যাটিক ফোকাস সহ, সবাইকে শান্তির দিকে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৫: তারিখ—

৮ মে শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ এটি রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্টের জন্মবার্ষিকী। প্রথম ‘আন্তর্জাতিক রেড ক্রস দিবস’, যেমনটি পরিচিত ছিল, ১৯৪৮ সালের ৮ মে পালিত হয়েছিল।

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস ২০২৫: থিম—

২০২৫ সালের বিশ্ব রেড ক্রস দিবসের প্রতিপাদ্য হল “মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখা”, যা বৈষম্য, স্বাস্থ্য সমস্যা এবং সংঘাতের মতো চ্যালেঞ্জিং সময়ে মানবিক আদর্শকে সমুন্নত রাখার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। এই প্রতিপাদ্যটি দয়া, শান্তি এবং আশাবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান হিসাবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে ত্রাণ সরবরাহকারী রেড ক্রসের স্বেচ্ছাসেবকদের নিঃস্বার্থ সেবাকে সম্মান জানায় ।

এছাড়াও, অন্য একটি সূত্রে এই প্রতিপাদ্যটি “মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখা: আশা, সাহায্য, নিরাময়” হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা মানব জীবন এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য সংস্থার লক্ষ্য তুলে ধরে ।

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস: তাৎপর্য—-

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সংগঠনের নীতি, মিশন এবং ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। এটি সংকটের সময় মানবতা, সহানুভূতি এবং সংহতির তাৎপর্য তুলে ধরে। বিশ্ব রেড ক্রস দিবস পালন করা ব্যক্তিদের রেড ক্রসের গুরুত্বপূর্ণ মানবিক প্রচেষ্টা এবং বিশ্বব্যাপী মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সমর্থন প্রদর্শনের অনুমতি দেয়।

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস ২০২৫ : ইতিহাস——

বিশ্ব রেড ক্রস দিবসের উৎপত্তি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পাওয়া যায়, যেখানে রেড ক্রস শান্তির প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৩৪ সালে, টোকিওতে ১৫ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রেড ক্রস ট্রুস রিপোর্ট প্রবর্তন করা হয়েছিল, সংঘাতের সময় আহত সৈন্যদের সুরক্ষার নীতিগুলি উপস্থাপন করে। এই নীতিগুলি ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাস্তবায়িত হয়েছিল। পরবর্তীকালে, “লীগ অফ দ্য রেড ক্রস সোসাইটিজ (এলওআরসিএস)”-এর বোর্ড অফ গভর্নরস হেনরি ডুনান্টের জন্মদিনের সম্মানে 8 মে একটি বার্ষিক স্মরণের প্রস্তাব করেছিল। রেড ক্রসের স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীদের প্রতিশ্রুতি এবং বীরত্বকে সম্মান জানাতে বিশ্ব রেড ক্রস দিবস উদযাপন উপলক্ষে এই প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৪৮ সালে গৃহীত হয়েছিল।

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস ২০২৫ : কার্যক্রম—

বিশ্ব রেড ক্রস দিবস মানবিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য এবং রেড ক্রসের জন্য অনুদান সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করে। এই কার্যক্রমগুলি রক্তদান ইভেন্ট, প্রাথমিক চিকিৎসা কর্মশালা, তহবিল সংগ্রহের ড্রাইভ, সচেতনতামূলক উদ্যোগ এবং ব্যতিক্রমী স্বেচ্ছাসেবক এবং মানবিক কৃতিত্বের স্বীকৃতি অন্তর্ভুক্ত করে। এই ইভেন্টগুলিতে জড়িত হওয়া ব্যক্তিদের রেড ক্রসের দুর্বলদের সাহায্য করার লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেয়।

স্বাস্থ্য এবং সচেতনতার উপর ফোকাস করুন—-

বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস শান্তিকে স্মরণ করে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচার করে। সঙ্গীত এবং টেলিভিশন বার্তার মাধ্যমে, ব্রিটিশ রেড ক্রসের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে যক্ষ্মা, H.I.V./AIDS, এবং ম্যালেরিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়ে শিক্ষিত করা হয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ০৮ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৮ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক)  বিশ্ব রেডক্রস দিবস ৷
(খ) বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৮৪ – হ্যারি এস. ট্রুম্যান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি।
১৮৯৫ -এডমন্ড উইলসন, মার্কিন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও কবি ।
১৮৯৯ – ফ্রিড্রিখ হায়েক, একজন অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ।
১৯০৩ – আলভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি।
১৯০৬ – রোবার্তো রোসেলিনি, ইতালীয় চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯১১ – আ. ন. ম. বজলুর রশীদ, বাংলাদেশী সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
১৯১৬ – জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ, ব্রাজিলীয় ব্যবসায়ী এবং ক্রীড়া কর্মকর্তা।
১৯২৪ – কলিম শরাফী, বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী।
১৯২৬ – জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ, প্রখ্যাত ব্রিটিশ সম্প্রচারক, লেখক এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা।
১৯২৯ – গিরিজা দেবী, সেনিয়া ও বারাণসী ঘরানার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ।
১৯৩৭ – থমাস পিনচন, আমেরিকান উপন্যাসিক।
১৯৩৮ – জাভেদ বার্কি, পাকিস্তানের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক।
১৯৪২ – রবিন হবস, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৪৪ – চলপতি রাও, ভারতীয় অভিনেতা।
১৯৪৭ – এইচ রবার্ট হরভিটস, মার্কিন জীববিজ্ঞানী।
১৯৪৭ – শর্মিলী আহমেদ, বাংলাদেশী টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৫৭ – রিনো কাতাসে, জাপানি অভিনেত্রী।
১৯৬০ – ফ্রাংকো বারেসি , ইতালীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৬১ – বিল ডি ব্লাজিও মার্কিন রাজনীশাহিত।
১৯৭০ – মাইকেল বেভান, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
১৯৭০ – লুইস এনরিকে, স্পেনীয় ফুটবল ম্যানেজার এবং প্রাক্তন খেলোয়াড়।
১৯৭৫ – এনরিক ইগলেসিয়াস, স্প্যানিশ-আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা এবং সংগীত প্রযোজন।
১৯৮১ – স্টিফেন এমেল, কানাডিয়ান অভিনেতা।
১৯৯৩ – প্যাট কামিন্স, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৯৪ – ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল।
১৮৬৩ – ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়।
১৮৮৪ – হ্যারি এস. ট্রুম্যান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি।
১৯০২ – দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
১৯০৩ – আলভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি।
১৯১১ – আ. ন. ম. বজলুর রশীদ, বাংলাদেশী সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
১৯২১ – রুমানিয়ায় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২৪ – কলিম শরাফী, বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী।
১৯৪৫ – সোভিয়েত লাল ফৌজের বার্লিন বিজয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্যাসিস্ট জার্মানির পরাজয় ঘটে।
১৯৬২ – রবীন্দ্রনাথের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
১৯৯৬ – দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭৮৮ – জিওভান্নি আন্তোনিও স্কোপোলি, তাইরলীয় চিকিৎসক ও প্রকৃতিবিদ।
১৭৯৪ – অঁতোয়ান লাভোয়াজিয়ে, ফরাসি অভিজাত এবং রসায়নবিদ।
১৮৭৩ – রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ জন স্টুয়ার্ট মিল।
১৮৮০ – ফরাসি ঔপন্যাসিক গুস্তাভ ফোবের।
১৯০৩ – পল গোগাঁ, ফরাসি চিত্রকর।
১৯৬৫ – ওয়ালি হার্ডিঞ্জ, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও ফুটবলার ছিলেন।
১৯৮১ – কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তী।
১৯৮৮ – রবার্ট এ হাইনলাইন, মার্কিন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক।
১৯৯৩ – দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ভারতের একজন প্রখ্যাত মার্কসবাদী দার্শনিক।
১৯৯৯ – ডার্ক বোগার্ড, ইংরেজ অভিনেতা ও লেখক।
২০০৮ – জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব।
২০২৩ – প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি : দিলীপ রায়। ।।

বাংলা সাহিত্য জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ কবি আমাদের সকলের প্রিয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । আমরা জানি রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য, “ভাবগভীরতা, চিত্ররূপময়তা, আধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোমান্টিক, সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা ।” তাঁর লেখা অসাধারণ সব কবিতা ও গান, আজও প্রত্যেকটা বাঙালীর মন কাঁড়ে ।

তিনি শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠ কবি বা গল্পকারই ছিলেন না, সেইসাথে ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিকও । রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক । ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল । কথা সাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন । সমাজ কল্যাণের উপায় হিসাবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষকে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন এবং পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরূদ্ধে তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন । রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় মনুষ্য সেবার কথাই বলা হয়েছে । রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে মানুষ ঈশ্বরের পুজার কথা বলেছিলেন । সঙ্গীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন । রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি । তিনি দুই হাজারের উপর গান রচনা করেছেন । তাঁর রচিত “জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে” – ভারতে এবং “আমার সোনার বাংলা” – বাংলাদেশে জাতীয় সঙ্গীত ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ৭ই মে ১৮৬১ সালে ( ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ ) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে অবস্থিত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে | তাঁর বাবার নাম ছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি কিনা ছিলেন তদানীন্তনকালের ব্রাহ্মসমাজের একজন ধর্মগুরু এবং তাঁর মায়ের নাম সারদাসুন্দরী দেবী । অনেকেই জেনে অবাক হবেন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর বাবা মায়ের ১৪তম সন্তান । বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয় শিক্ষা গ্রহণ করেননি । গৃহ শিক্ষক রেখে বাড়িতেই তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল । মাত্র আট বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু । ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তাঁর “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশ পায় । এটিই তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা ।
১৮৭৮ সালে মাত্র সতের বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান । ১৮৮৩ সালে ৯ই ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথের বিয়ে হয় বেণীমাধব রায়চৌধুরী নামে ঠাকুরবাড়ির এক অধস্তন কর্মচারীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে । বিয়ের সময় ভবতারিণীর পুণরায় নামকরণ করা হয় এবং তাঁর নাম পাল্টে রাখা হয় মৃণালিনী দেবী । ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন । ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মাচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন । সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন । ১৯০২ সালে তাঁর পত্নী বিয়োগ হয় । ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন । ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “নাইট” উপাধিতে ভূষিত করেন । ১৯১৫ সালে জালিনওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন । ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয় । দীর্ঘজীবন তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন ।
অবশেষে দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট , জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর ।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জীবন বাঁচান : বিশ্ব হাঁপানি দিবসে অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর গুরুত্ব।।।।

বিশ্ব হাঁপানি দিবস (WAD) প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালন করা হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত। এটি গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা (GINA) দ্বারা সংগঠিত। জিআইএনএ অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করার চেষ্টা করে যাতে তারা তাদের অবস্থা কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারে।

হাঁপানি থেকে অব্যাহত এড়ানো যায় এমন অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার সম্পর্কে স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যও এই দিবসটি।
হাঁপানি সবচেয়ে সাধারণ দীর্ঘস্থায়ী অসংক্রামক রোগগুলির মধ্যে একটি যা বিশ্বব্যাপী ২৬০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে প্রভাবিত করে। এটি প্রতি বছর ৪,৫০০০০ এরও বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী। যাইহোক, সঠিক যত্ন এবং মনোযোগের সাহায্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মৃত্যু এড়ানো যায়। হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এবং সংস্থাগুলি যেগুলি হাঁপানি শিক্ষার প্রচার করে তারা বিশ্ব অ্যাজমা দিবসে এবং মে মাস জুড়ে এই অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং সমস্ত রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে একত্রিত হয়।

বিশ্ব হাঁপানি দিবস ২০২৫ তারিখ–

বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার স্বীকৃত হয়। এই বছর, এটি ৭ মে ২০২৫ মঙ্গলবার পালিত হবে।

বিশ্ব হাঁপানি দিবস ২০২৫ থিম–

২০২৫ সালের বিশ্ব হাঁপানি দিবসের প্রতিপাদ্য হল “সকলের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে চিকিৎসা সহজলভ্য করুন”। এই প্রতিপাদ্যটি হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্তর্নিহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং আক্রমণের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় শ্বাস-প্রশ্বাসের ওষুধের অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাজমা (GINA) জোর দেয় যে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া কর্টিকোস্টেরয়েডযুক্ত ওষুধগুলি প্রদাহের চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁপানির আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এবং ডাক্তারদের জন্য হাঁপানিতে আক্রান্ত প্রতিটি ব্যক্তির জন্য এই প্রমাণ-ভিত্তিক ওষুধগুলি লিখে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ব হাঁপানি দিবসের ইতিহাস–

বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রথম ১৯৯৮ সালে পালিত হয়েছিল। বার্সেলোনা, স্পেনে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব হাঁপানি সভা এর সহযোগিতায় ৩৫ টিরও বেশি দেশে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং তারপর থেকে, এটি তাৎপর্য এবং পরিধিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ, বিশ্ব হাঁপানি দিবসটি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাঁপানি সচেতনতা এবং শিক্ষা ইভেন্ট হিসাবে স্বীকৃত, যার লক্ষ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে হাঁপানি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বিশ্বব্যাপী হাঁপানি ব্যবস্থাপনা ও যত্ন উন্নত করা।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস উপলক্ষে, নীতিনির্ধারক, স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার, সরকার এবং ওষুধ কোম্পানিগুলিকে অত্যন্ত কার্যকর নিয়ন্ত্রণ চিকিত্সার উপলব্ধ থাকা সত্ত্বেও এই প্রচলিত রোগের সর্বদা বিদ্যমান বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত, যা শ্বাসনালীগুলির একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক অবস্থা যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে।
বিশ্ব হাঁপানি দিবসের তাৎপর্য–
বিশ্ব হাঁপানি দিবসের মূল তাৎপর্য হল হাঁপানি, এর লক্ষণ, চিকিৎসা এবং ব্যবস্থাপনার কৌশল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই দিবসটির লক্ষ্য হল অবস্থার সাথে যুক্ত কলঙ্ক কমানো, স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রচার, হাঁপানি শিক্ষাবিদ এবং রোগীদের জন্য এবং বিশ্বব্যাপী হাঁপানি যত্নের উন্নতির জন্য নীতি পরিবর্তনের পক্ষে সমর্থন করা।
রোগী-কেন্দ্রিক যত্নের উপর জোর দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হাঁপানির ফলাফল উন্নত করার জন্য নতুন থেরাপি, প্রযুক্তি এবং হস্তক্ষেপের বিকাশের জন্য প্রমাণ-ভিত্তিক গবেষণার প্রচারের দিকেও এই দিনটি মনোনিবেশ করে। বিশ্ব হাঁপানি দিবসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল হাঁপানি এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই দিনটি এই রোগটিকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের গুরুত্ব, উপযুক্ত চিকিত্সা এবং স্ব-ব্যবস্থাপনার কৌশল সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস তাৎপর্যপূর্ণ, এবং হাঁপানি সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনাকে উত্সাহিত করে এবং এই অবস্থার সাথে বসবাসকারী লোকেদের জন্য গ্রহণযোগ্যতা এবং সমর্থন প্রচার করে এই অবস্থার সাথে যুক্ত কলঙ্ক কমানোর চেষ্টা করে। এই দিনটি হাঁপানি গবেষণা, স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো এবং ব্যক্তি ও সমাজের উপর হাঁপানির বোঝা কমাতে জনস্বাস্থ্য উদ্যোগে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানায়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বাংলা আবৃত্তির জগতে পার্থ ঘোষের অসামান্য যাত্রা ও তার অবিস্মরণীয় কৃতিত্ব।।।।

পার্থ ঘোষ ছিলেন একজন খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি আবৃত্তিকার তথা বাচিক শিল্পী। বাচিকশিল্পের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তিনি। আজ কিংবদন্তি এই বাচিক শিল্পীর জন্মদিন। তাঁকে নিয়ে কিছু লিখতে গেলে অবধরিত ভাবে চলে তার স্ত্রী গৌরী ঘোষের নাম। করান তিনি ও তার স্ত্রী গৌরী ঘোষ বাংলা আবৃত্তি জগতে ছিলেন অন্যতম জুটি।

এই দম্পত্তি বাঙালিকে অনেক উপভোগ্য আবৃত্তি-সন্ধ্যা উপহার দিয়েছেন। গৌরী দেবী স্বামী পার্থ ঘোষের সঙ্গে মিলে বহু শ্রুতিনাটক উপস্থাপনা করেছেন। তাঁদের যৌথ ভাবে উপস্থাপিত ‘কর্ণকুন্তি সংবাদ’ খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। পার্থ ঘোষ এবং গৌরী ঘোষের ‘কর্ণ-কুন্তী সংবাদ’ এখনও বাঙালির মজ্জায় মজ্জায়। বাংলা কবিতা আবৃত্তিতে এক অন্য ধারা এনেছিলেন পার্থ ঘোষ। রবীন্দ্র কবিতা পাঠে তার কণ্ঠ ছিল অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আবৃত্তিশিল্পী হিসাবে সমাদৃত হয়েছেন দেশে বিদেশে সর্বত্র।
পার্থ ঘোষের জন্ম ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর বৃটিশ ভারতের কলকাতায়। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই বাংলা কবিতা আবৃত্তি তার প্রধান আগ্রহের বিষয় হয়ে যায়।
১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে উপস্থাপক-ঘোষক হিসাবে যোগদানের পর ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের পয়লা জানুয়ারি তিনি স্থায়ী কর্মী হিসাবে নিযুক্ত হন। নিয়মিত অন্যান্য অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি শিশু ও কিশোরদের জন্য “গল্পদাদুর আসর” পরিচালনা করতেন। দীর্ঘ সময় তিনি ছিলেন শিশু ও কিশোরদের ‘গল্পদাদু’। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি আকাশবাণীরই উপস্থাপিকা-ঘোষক আবৃত্তিকার গৌরী মজুমদারকে বিবাহ করেন।১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি আকাশবাণীর “বিবিধ ভারতী” বিভাগে যোগদান করেন এবং ২০০০ খ্রিস্টাব্দে অবসরের আগে পর্যন্ত ওই বিভাগে কর্মরত ছিলেন। প্রায় তিন দশকের বেশী সময় ধরে কলকাতা কেন্দ্র থেকে প্রচারিত আকাশবাণীর অনেক অনুষ্ঠানে বাংলার শ্রোতারা শুনেছেন সুস্নাত ব্যক্তির কণ্ঠে সুরম্য উপস্থাপনা।
১৯৭৩-৭৪ খ্রিস্টাব্দ হতেই তিনি ও তার স্ত্রী গৌরী ঘোষ আবৃত্তিচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। জনপ্রিয় জুটি দীর্ঘ কয়েকদশক ধরে দেশে বিদেশে সুনামের সঙ্গে আবৃত্তি পরিবেশন করেছেন। তারা আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটককে এক অনন্য মাত্রায় পৌছে দেন। তাঁদের কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথেরই ‘দেবতার গ্রাস’, ‘বিদায়’ বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছিল। প্রবাদপ্রতীম এই আবৃত্তি দম্পতি দশকের পর দশক ধরে বাংলার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। এ রাজ্যের পাশাপাশি তাঁদের আবৃত্তি সমাদর কুড়িয়েছে বাংলাদেশেও।
পার্থ ঘোষের কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ বসন্ত’ খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। স্ত্রী গৌরীর সঙ্গে তার শ্রুতিনাটক ‘প্রেম’, ‘স্বর্গ থেকে নীল পাখি’, ‘জীবনবৃত্ত’ বাংলার শ্রোতাদের হৃদয়ে অম্লান। বাংলা কবিতা নিয়ে তাদের একাধিক সিডি-ক্যাসেট রয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যও ছিলেন।
রবীন্দ্র গবেষণায় তার আগ্রহ ছিল। সম্পাদনা করেছেন কবিতা বিষয়ক গ্রন্থ। এছাড়া পার্থ ঘোষের শখ ছিল পুতুল সংগ্রহের। দেশ বিদেশের নানান পুতুল ছিল তার সংগ্রহে।
তার অনবদ্য আবৃত্তি বাংলার শ্রোতাদের হৃদয়ে যে অনুভূতি জাগ্রত করে তারই স্বীকৃতি স্বরূপ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে “বঙ্গভূষণ” সম্মাননা প্রদান করে।
আগেই (২০২১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ আগস্ট) না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁর সহধর্মীনি কিংবদন্তী আবৃত্তিকার গৌরী ঘোষ। ভেঙে গিয়েছিল বিখ্যাত পার্থ ঘোষ-গৌরী ঘোষের জুটি।
স্ত্রী প্রয়াত হলে প্রায়শই অসুস্থতার মধ্যেই ছিলেন পার্থ ঘোষ।গলায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এরপর অকস্মাৎ ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে’র ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি এই বাচিক শিল্পী পার্থ ঘোষ।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

সাহস ও সংগ্রামের প্রতীক – বাসন্তী দেবীর অবদান।।।।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য নাম বাসন্তী দেবী। বাসন্তী দেবী ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ কারাগারে কারারুদ্ধ প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী নারী। বাসন্তী দেবী মন ও মানসিকতায় পৌরাণিক সতীনারীদের চারিত্রিক মহত্বটি যেমন অনুকরণীয় মনে করতেন; তেমনি গার্গী, মৈত্রেয়ীদের মতো চারিত্রিক দৃঢ়তায় বুদ্ধি দিয়ে আপন যুক্তি তুলে ধরার ক্ষমতাও রাখতেন।

এ-দুইয়ের মেলবন্ধনে তিনি অনন্যা।তিনি একাধারে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের পত্নী ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় সংগ্রামী। সংগ্রামের জন্য কারাবরণ করেছেন। অন্দর ছেড়ে অবগুন্ঠণ ছেড়ে উপনিষদের বিদুষীদের মতো পুরুষের সমকক্ষ হয়ে সহকর্মী হয়ে দেশমুক্তির সাধনা করে গেছেন।
বাসন্তী দেবী ২৩ মার্চ ১৮৮০ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বরদানাথ হালদার ও মাতার নাম হরিসুন্দরী দেবী। তার পিতা ছিলেন আসামের বিজনি ও অভয়াপুরী এস্টেটের দেওয়ান। দশ বছর বয়েসে তিনি দার্জিলিংয়ের লরেটে কনভেন্টে শিক্ষার জন্যে ভর্তি হন। ১৮৯৬ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সাথে বিবাহ হয়।
১৮৯৪ থেকে ১৯০১ সালের মধ্যে দুজনের তিনটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল। দেশবন্ধু ও তার তিন সন্তান- দুই কন্যা, অপর্ণা ও কল্যাণী ও একপুত্র চিররঞ্জন।

তার স্বামীর অনুসরণে, বাসন্তী দেবী আইন অমান্য আন্দোলন এবং খিলাফত আন্দোলনের মতো বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ১৯২০ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরের বছর, তিনি দাসের বোন ঊর্মিলা দেবী এবং সুনিতা দেবীর সাথে যোগ দেন। নারী কর্মীদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র “নারী কর্ম মন্দির” প্রতিষ্ঠা করুন। ১৯২০-২১ সালে, তিনি জলপাইগুড়ি থেকে তিলক স্বরাজ ফান্ডের জন্য স্বর্ণের অলঙ্কার এবং ২০০০ টি স্বর্ণমুদ্রা সংগ্রহে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।
১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময়, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ধর্মঘট এবং বিদেশী পণ্য নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানায়। কলকাতায়, পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবকের ছোট দলকে কলকাতার রাস্তায় খাদি, হাতে কাটা কাপড় বিক্রি করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। দাস, যিনি স্থানীয় আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তার স্ত্রী বাসন্তী দেবীকে এমন একটি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সুভাষ চন্দ্র বসুর সতর্কতা সত্ত্বেও দেবী রাস্তায় নেমেছিলেন যে এটি তাকে গ্রেফতার করতে ব্রিটিশদের উস্কে দেবে। যদিও তাকে মধ্যরাতে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তার গ্রেপ্তার ব্যাপক আন্দোলনের প্রেরণা জুগিয়েছিল। কলকাতার দুটি কারাগার বিপ্লবী স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা পূর্ণ ছিল এবং আরও সন্দেহভাজনদের আটক করার জন্য দ্রুত আটক শিবির তৈরি করা হয়েছিল। ১৯২১ সালের ১০ ডিসেম্বর পুলিশ দাস ও বসুকে গ্রেপ্তার করে।

দাসের গ্রেপ্তারের পর, বাসন্তী দেবী তার সাপ্তাহিক প্রকাশনা বাঙ্গালার কথা (বাংলার গল্প) এর দায়িত্ব নেন। তিনি ১৯২১-২২ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ১৯২২ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রাম সম্মেলনে তার বক্তৃতার মাধ্যমে, তিনি তৃণমূল আন্দোলনকে উৎসাহিত করেছিলেন। ভারতের চারপাশে ভ্রমণ, তিনি ঔপনিবেশিকতার বিরোধিতা করার জন্য শিল্পের সাংস্কৃতিক বিকাশকে সমর্থন করেছিলেন।
দাস যেহেতু সুভাষ চন্দ্র বসুর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ছিলেন, বসন্তী দেবীর প্রতি বসন্তের খুব শ্রদ্ধা ছিল। ১৯২৫ সালে দাসের মৃত্যুর পর, বসু দেবীর সাথে তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সন্দেহ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। সুভাষ চন্দ্র বসুর ভ্রাতৃপ্রতিম ভাতিজি কৃষ্ণ বোস বাসন্তী দেবীকে তাঁর “দত্তক মা” এবং তাঁর জীবনের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মহিলার একজন হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন, বাকি তিনজন হলেন তাঁর মা প্রভাবতী, তাঁর ভগ্নিপতি বিভাবতী (শেরতের স্ত্রী) চন্দ্র বসু) এবং তার স্ত্রী এমিলি শেঙ্কল।
তার স্বামীর মতো, বাসন্তী দেবীও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। ১৯২৮ সালে, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী লালা লাজপত রায় তার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হওয়ার কয়েকদিন পর মারা যান। এর পর বাসন্তী দেবী লাজপত রায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় যুবকদের উদ্বুদ্ধ করেন।
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর, বাসন্তী দেবী সামাজিক কাজ চালিয়ে যান। বাসন্তী দেবী কলেজ, কলকাতার প্রথম মহিলা কলেজ যা সরকারের অর্থায়নে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তার নামে নামকরণ করা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে, তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হন।

বাসন্তী দেবী ৭ মে ১৯৭৪ মৃত্যুবরণ করেন।

।।তথ্য ঋণ : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ০৭ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ০৭ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক)  বিশ্ব হাঁপানি দিবস
(খ) প্রকৌশলী দিবস (বাংলাদেশ)

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৪০ – পিওতর ইলিচ চাইকভ্‌স্কি, রাশিয়ান সুরকার ও শিক্ষাবিদ।  .

১৮৬১ -(২৫ শে বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাঙালি সাহিত্যিক (মৃ.

৭/০৮/১৯৪১)।(২২ শে শ্রাবণ,১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)
১৮৬৭ – ভাদিস্লাভ স্ট্যানিশস্লাভ রেইমন্ট, পোলিশ কথাসাহিত্যিক।
১৮৮১ – উইলিয়াম পিয়ার্সন, রবীন্দ্র সাহিত্যের অনুবাদক।
১৮৮৯ – গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল, কবি, কূটনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও নারীবাদী।
১৮৯২ – মার্শাল জোসিপ ব্রজ টিটো, যুগোশ্লাভিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও রাষ্ট্রপ্রধান।

১৮৯৩ – ফিরোজ খান নুন, পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী।
১৯০১ – গ্যারি কুপার, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯১০ – শান্তিদেব ঘোষ ভারতীয় বাঙালি লেখক কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী ও রবীন্দ্র সংগীত বিশারদ।

১৯১৫ – অমিয় বাগচী বাঙালি কবি ও গীতিকার।
১৯১৯ – ইভা পেরন, আর্জেন্টিনার অভিনেত্রী ও ২৫তম ফার্স্ট লেডি।
১৯৩১ – সিদ্দিকা কবীর, বাংলাদেশী পুষ্টিবিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ।

১৯৩৬ – শিশির কুমার দাশ অগ্রণী বাঙালি কবি,নাট্যকার অনুবাদক ও বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য পণ্ডিত।
১৯৩৯ – সিডনি অল্টম্যান, কানাডীয়-মার্কিন আণবিক জীববিজ্ঞানী।
১৯৪৩ – পিটার কেরি – অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার।

১৯৬৫ – নরম্যান হোয়াইটসাইড, সাবেক উত্তর আয়ারল্যান্ডীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৭১ – তোমা পিকেতি, ফরাসি অর্থনীতিবিদ।
১৯৮৪ – কেভিন ওয়েন্স, কানাডীয় পেশাদার কুস্তিগির।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৮০৮ – স্পেনের জনগণ নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে।
১৮৩২ – গ্রিসকে স্বাধীন রাজ্য ঘোষণা করা হয়।
১৯১৫ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা আমেরিকায় “লুসিতানিয়া” জাহাজ ডুবিয়ে দেয়।
১৯২৩ – অমৃতরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু।
১৯২৯ – লাহোরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বহু হতাহত হয়।
১৯৪১ – মিত্রশক্তির কাছে জার্মানি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।
১৯৪৮ – জাতিসংঘের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা।
১৯৫৪ – (ক)  দিয়েন বিয়েন ফু-র পতনের ফলে ভিয়েতনাম ফরাসি শাসন থেকে মুক্ত হয়।
(খ) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান গণপরিষদ।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮২৫ – আন্তোনিও সালিয়েরি, ইতালীয় ধ্রুপদী সুরকার।

১৮৪০ – কাসপার ডাভিড ফ্রিডরিখ, ঊনবিংশ শতকের জার্মানির রোমান্টিক ল্যান্ডস্কেপ চিত্রকর।

১৯০৯ – হের্মান অস্ট্‌হফ, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।
১৯২৪ – আল্লুরি সিতারামারাজু, ভারতীয় বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী।
১৯৪১ – স্যার জেমস ফ্রেজার, স্কটিশ নৃতাত্ত্বিক ও শিক্ষাবিদ।
১৯৫১ – ওয়ার্নার ব্যাক্সটার, মার্কিন অভিনেতা।
১৯৭১ – রণদাপ্রসাদ সাহা, বাংলাদেশের বিখ্যাত সমাজসেবক এবং দানবীর।
১৯৭৪ – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা বাসন্তী দেবী।
১৯৯৩ – অজিতকৃষ্ণ বসু, সঙ্গীতজ্ঞ ও ব্যঙ্গ সাহিত্যস্রষ্টা।
২০০৩ – শিশির কুমার দাশ,অগ্রণী বাঙালি কবি,নাট্যকার অনুবাদক ও বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য পণ্ডিত।
২০১৯ – সুবীর নন্দী, বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী।
২০২২ – পার্থ ঘোষ, ভারতীয় বাঙালি বাচিক শিল্পী তথা আবৃত্তিকার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This