Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

কমনওয়েলথ দিবস : একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।।

এই বিশেষ দিনে, সমস্ত মানুষ আসে এবং সমস্ত প্রতিকূলতা এবং নেতিবাচকতা সহ্য করার জন্য এবং কমনওয়েলথের গুরুত্ব জানতে একসাথে কাজ করে। কমনওয়েলথ দিবস ২০২৫ সম্পর্কে আমরা এখানে যে নিবন্ধটি প্রদান করছি তা আগ্রহীরা পড়তে পারেন। এই নিবন্ধটি আপনাকে কমনওয়েলথ দিবসের ইতিহাস, কমনওয়েলথ দিবস ২০২৫ থিম, কমনওয়েলথ দিবস ২০২৫ এর তাৎপর্য, কমনওয়েলথ দিবস ২০২৪ এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে সাহায্য করবে।
কমনওয়েলথ দিবসের ইতিহাস-
সাম্রাজ্য দিবস প্রথম ১৯০৪ সালে ইউকে রেজিনাল্ড ব্রাবাজন দ্বারা পালন করা হয়। এই দিনটি রানি এলিজাবেথের জন্মবার্ষিকীতে পালন করা হয়। ১৯৭৭ সালের যুগে, মার্চ মাসের দ্বিতীয় সোমবার কমনওয়েলথ দিবস পালিত হয়েছিল। এই দিনটি কমনওয়েলথ অফ নেশনস দ্বারা পালন করা হয়। ১৮৯৮ সালে, কানাডিয়ান নেতা ক্লেমেন্টিনা ট্রেনহোলমে রানী ভিক্টোরিয়ার জন্মদিনে অন্টারিও স্কুলগুলিতে একটি সাম্রাজ্য দিবস প্রবর্তন করেছিলেন। ব্রিটিশ এম্পায়ার লিগ এই কমনওয়েলথ দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে প্রচার করেছে যা আগে এম্পায়ার ডে নামে পরিচিত ছিল। সাধারণত, সারা বিশ্বে, প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় সোমবার কমনওয়েলথ দিবস পালন করা হয় । ভারতে, কমনওয়েলথ দিবস ২৪ মে অন্য দিনে পালিত হয়।

কমনওয়েলথ দিবস ২৫ থিম–

কমনওয়েলথ দিবস ২০২৫ উদযাপন এবং থিম

কমনওয়েলথ দিবস সারা বিশ্বে বিভিন্ন তারিখে পালিত হয়। যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া মার্চ মাসের দ্বিতীয় সোমবার এই দিবসটি পালন করে। অন্যদিকে, ভারত, বেলিজের মতো দেশগুলির সাথে মিলে ২৪শে মে কমনওয়েলথ দিবস পালন করে। প্রতি বছর, কমনওয়েলথ দিবসের একটি অনন্য থিম থাকে। এই থিমটি যুক্তরাজ্য এবং বাকি কমনওয়েলথে সম্মানিত এবং প্রবর্তিত হয়।
২০২৫ সালের জন্য, কমনওয়েলথ দিবসের প্রতিপাদ্য হল “একসাথে আমরা সমৃদ্ধ হই” , যা কমনওয়েলথ পরিবারের স্থায়ী চেতনা উদযাপন করে – ৫৬টি স্বাধীন সদস্য দেশ কমনওয়েলথ সনদে অন্তর্ভুক্ত ভাগ করা মূল্যবোধের দ্বারা ঐক্যবদ্ধ।
এটি এর গুরুত্ব তুলে ধরে:

আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা

যুব ক্ষমতায়ন

টেকসই উন্নয়নের প্রচার

মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করা।

এই প্রতিপাদ্যটি শক্তিশালী এবং সংযুক্ত সম্প্রদায়গুলিকে গড়ে তোলার গুরুত্বের উপর জোর দেয় যা তাদের সদস্যদের সমর্থন এবং ক্ষমতায়ন করে, অর্থপূর্ণ অগ্রগতি সক্ষম করে। এটি ঐক্য, শান্তি এবং সহযোগিতার উপর জোর দেয়, কীভাবে সম্মিলিত শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা সদস্য দেশগুলিকে একসাথে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে তা তুলে ধরে।

 

 

কমনওয়েলথ দিবস ২৫ তাৎপর্য-
কমনওয়েলথ দিবস সারা বিশ্বে পালিত হয় মানুষের সম্পদ, শান্তি ও ঐক্য, একতা, মানবতা এবং সংহতি পালন করার জন্য। এই দিনটি মানুষের জন্য তাদের নিজস্ব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার এবং একে অপরকে সমর্থন করার একটি সুযোগ তৈরি করে। ১৯৫৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড ম্যাকমিলান প্রথম কমনওয়েলথ দিবস উদযাপন করেছিলেন। কমনওয়েলথ দিবস অনেক দেশে পতাকা উত্তোলন, সামরিক কুচকাওয়াজ, বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা ইত্যাদির মাধ্যমে পালিত হয়।

কমনওয়েলথ ডে ২৫ ক্রিয়াকলাপ এবং উদযাপন-

কমনওয়েলথ দিবস অনেক সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। এটি কমনওয়েলথের বৈচিত্র্য এবং সদস্য দেশগুলোকে একত্রে আবদ্ধকারী অনন্য ঐক্য প্রদর্শনের দিন। কমনওয়েলথ দিবস দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সংঘাতের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা ও সহযোগিতার গুরুত্বের প্রতি প্রতিফলিত করার সুযোগও দেয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৩ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ২৩ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব কচ্ছপ দিবস

আজ যাদের জন্মদিন—- .

১৭০৭ – কার্ল লিনিয়াস, প্রখ্যাত সুয়েডীয় উদ্ভিদবিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও প্রাণীবিজ্ঞানী।

১৭৯৯ – ফরাসি সাহিত্যিক অনোরে দ্য বালজাক।

১৮০৬ – ইংরেজ দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ জন স্টুয়ার্ট মিল।
১৮২৯ – (৯ জ্যৈষ্ঠ ১২৩৬ বঙ্গাব্দ) মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ।

১৮৮৩ – ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কস, মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।

১৮৯৪ – ভারতে ফলিত গণিতের জনক বাঙালি বিজ্ঞানী নিখিলরঞ্জন সেন।

১৯০৮ – জন বারডিন, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯১৮ – (ক)  গোবিন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়, মহামহোপাধ্যায় উপাধি ও রাষ্ট্রপতি সম্মানে ভূষিত সংগীত শিল্পী।

(খ) ডেনিস কম্পটন, বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯২০ – মণি কুমার ছেত্রী কলকাতার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ।
১৯২৩ – রণজিত গুহ প্রখ্যাত বাঙালি ইতিহাসবিদ।
১৯২৫ – জোসুয়া লেডারবার্গ, মার্কিন অণুজীববিদ।
১৯২৮ – প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি তবলিয়া রাধাকান্ত নন্দী।
১৯৩১ – বারবারা ব্যারি, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৪৩ – রোমুলাস হুইটাকের, একজন সরীসৃপবিদ, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণবাদী, এবং মাদ্রাজ সর্প উদ্যানের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৪৭ – বার্নার্ড কম্‌রি, ব্রিটিশ ভাষাবিজ্ঞানী।
১৯৫১ – আনাতোলি কারপভ, দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
১৯৮৫ – নায়েন আবিদি, পাকিস্তানী নারী ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১২৯৩ – জাপানের কামাকুরাতে ভূমিকম্পে ত্রিশ হাজার লোকের মৃত্যু হয়।
১৪৯৮ – পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ভারতের কালিকট বন্দরে এসেছিলেন।
১৬০৯ – শেক্সপিয়ারের সনেট প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডনে।
১৮১৮ – প্রথম বাংলা সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ আজকের দিনে প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
১৯০২ – কিউবা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এই দিনে সকল মার্কিন সেনা কিউবা ত্যাগ করে।
১৯১০ – টোকিও সরকার কোরীয় উপদ্বীপকে জাপানের অংশ বলে ঘোষণা করে।
১৯৩২ – ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন।
১৯৩৪ – সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সৌদী আরব ও ইয়েমেনের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হবার পর পরাজিত ইয়েমেন সরকার তায়েফ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৯৩৯ – আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজের বিমান চলাচল শুরু হয়।
১৯৮৩ – এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম প্রকাশিত হয় সায়েন্স ম্যাগাজিনে।
২০০৬ – চীনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঐতিহাসিক থ্রি গর্জেস বাঁধ (Three Gorges Dam) নির্মাণ সমাপ্ত হয়। এর কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালে।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭০১ – উইলিয়াম কিড, স্কটিশ নাবিক।
১৮৫৭ – অগুস্তাঁ লুই কোশি, ফরাসি গণিতবিদ।
১৯০৫ – (৯ জ্যৈষ্ঠ ১৩১২) মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ।
১৯০৬ – হেনরিক ইবসেন, নরওয়েজীয় নাট্যকার।
১৯৩০ – রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালী প্রত্নতত্ত্ববিদ।
১৯৩৭ – জন রকফেলার, বিখ্যাত মার্কিন তেল শিল্পস্থপতি, উদ্যোক্তা ও জনদরদী।
১৯৪০ – সুইডেনের নোবেলজয়ী (১৯১৬) কথাসাহিত্যিক কার্ল গুস্তাফ ভন হাইডেনস্টম।
১৯৭১ – ভারতীয় বাঙালি সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও অভিনেতা গঙ্গাপদ বসু।
১৯৯১ – প্রভাস রায় স্বদেশী ও খিলাফত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
২০০২ – কাজী আবদুল বাসেত, বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী এবং চারুকলা বিষয়ের শিক্ষক।
২০১৬- বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত এবং সাহিত্যিকে নূরজাহান বেগম।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম দুই নারী বিপ্লবী, অগ্নিকন্যা শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরী ।।।

বিং শ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে ভারতের স্বাধীনতার যুদ্ধটি ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করা শক্তিশালী মহিলা সহ অনেকের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ দ্বারা চিহ্নিত হয়েছিল। এই মহিলাদের মধ্যে, সুনীতি চৌধুরী ঘোষ ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব হিসাবে দাঁড়িয়ে আছেন।

কারণ এর প্রতি তার প্রতিশ্রুতি গভীর ছিল, উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিল যা ভারতের চূড়ান্ত স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করেছিল। সুনীতি চৌধুরী ঘোষ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী বিপ্লবী। অপরদিকে শান্তি ঘোষ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী। শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরীকে তাদের সহপাঠী প্রফুল্লনলিনী ব্রহ্ম প্রথম বিপ্লবের পথ দেখান।

জন্ম——

শান্তি ঘোষের জন্ম ২২ নভেম্বর, ১৯১৬ সালে ও সুনীতি চৌধুরীর জন্ম ২২ মে, ১৯১৭ সালে। দুজনেই কুমিল্লার ফয়জুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। তাদের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায়। শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরী
স্টিভেন্স হত্যা কান্ড——
তাদের সহপাঠী প্রফুল্লনলিনী ব্রহ্ম র দ্বারা শান্তি ঘোষ এবং সুনীতি চৌধুরী প্রথম বিপ্লবের পথে পরিচালিত হয়েছিল। কুমিল্লার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ স্টিভেনসকে ১৯৩১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিপ্লবী সুনীতি চৌধুরী এবং শান্তি ঘোষ কর্তৃক হত্যা করা হয়। নাবালিকা এই দাবির বিচারে শান্তি ও সুনীতি চৌধুরীকে নির্বাসনে সাজা দেওয়া হয়। তারা হাসিমুখে বন্দী হন। যদিও তাদের মেদিনীপুর জেলে তৃতীয় শ্রেণীর বন্দি হিসেবে রাখা হয়েছিল। সুনীতি চৌধুরী ঘোষের বাবার সরকারি পেনশন বন্ধ হয়ে যায়। তার পরিবারকে এক অবর্ণনীয় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়। তার দুই দাদাকে জেলে পাঠানো হয়। ছোট ভাই না খেয়ে মারা মায়। পরে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গোপাল দেব দুটি রিভলবারসহ ধরা পড়েন। বিচারে, গোপাল দেবকে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে স্থানান্তরের শাস্তি দেওয়া হয়।

পরবর্তী জীবন——-

সুনীতি চৌধুরী ঘোষ হিজলী বন্দী নিবাসে তিনি বন্দী ছিলেন। ১৯৩৯ সালে শান্তি ঘোষের সাথে গান্ধীর চেষ্টায় সেখান থেকে মুক্তি পান। তিনি অধ্যয়ন করেন এবং এমবি পাস করেন এবং ডাক্তার হিসাবে জনহিতকর কাজে নিযুক্ত হন। তাঁর ব্রত ছিল নিঃস্বার্থভাবে দরিদ্র ও দরিদ্র মানুষের সেবা করা। ১৯৪৭ সালে, তিনি শ্রমিক নেতা প্রদ্যোত কুমার ঘোষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

মৃত্যু——–

সুনীতি চৌধুরী মারা যান ১২ জানুয়ারি, ১৯৮৮ সালে এবং ২৭ মার্চ, ১৯৮৯ সালে মারা যান শান্তি ঘোষ।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জীবন বদলে দেওয়া রাজা রামমোহন রায়ের উল্লেখযোগ্য কিছু উক্তি।।।

রামমোহন রায়ের উক্তিগুলি তার চিন্তাভাবনা ও দর্শনের প্রতিফলন ঘটায়। রামমোহন রায়ের উক্তিগুলি আজও প্রাসঙ্গিক। তার উক্তিগুলি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, মানুষের মর্যাদা ও অধিকার সর্বোচ্চ, ধর্ম ও নারী শিক্ষার গুরুত্ব এবং শিক্ষার মাধ্যমেই জাতির উন্নতি সম্ভব। তাঁর ধারণাগুলি আমাদের সমাজকে আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করতে পারে।

তার উল্লেখযোগ্য উক্তি ও উদ্ধৃতি গুলি হল:
(ক) ঈশ্বর মানুষকে যে বোধ (মনন) শক্তি প্রদান করেছেন, তার অভিপ্রায় হলো এই যে, স্বজাতীয় অন্যান্য অধিকাংশ মানুষের মতো সে পশুবৎ অনুকরণ না করে নিজের অর্জিত জ্ঞানের সহায়তায় প্রত্যেক ব্যাপারে শুভ-অশুভ বিবেচনায় নিজের বোধশক্তিকে প্রয়োগ করবে। (বস্তুতঃ) তখনই এই ঈশ্বরদত্ত (ক্ষমতা) বোধশক্তি সার্থকতা লাভ করবে।
(খ) এক জাতীয় লোক আছে, যারা অন্যদের সমর্থন আকর্ষণ করতে আপন ইচ্ছানুযায়ী ধর্মের নাম দিয়ে মতবাদ তৈরি করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকের মধ্যে উত্তেজনা ও বিবাদের সৃষ্টি করে। অপরদিকে আর এক ধরনের লোক আছে যারা কোনরকম বিবেচনা না করেই পূর্বোক্ত লোকেদের আনুগত্য স্বীকার করে। তৃতীয় আর এক দল লোক আছে যারা অন্যদেরও নিজেদের দলে (জোর করে) টানতে চায়। চতুর্থ শ্রেণীতে আছেন তাঁরা যারা মহামহিম ঈশ্বরের করুণায় প্রতারক নন, প্রতারিতও নন।…সংস্কারমুক্ত ও ন্যায়সঙ্গত দৃষ্টিভঙ্গীসহ বিচার করে চলাই শ্রেষ্ঠ জীবনাদর্শ।
(গ) আত্মা এক। তার মায়াভাবে (বিভিন্ন দেহরূপ) প্রপঞ্চেও নানাবিধ চেতনাত্মক জীব পৃথক পৃথক রূপে আচরণ ও কর্মফলভোগ করে, পুনরায় (দেহ) প্রপঞ্চ ভঙ্গ হলে প্রতিবিম্বের ন্যায় আর ক্ষণমাত্রও পৃথকরূপে থাকে না। জীব যদিও (স্বরূপতঃ) একক আত্মা হতে ভিন্ন নয়, তথাপি জীবের ভোগে আত্মার ভোগ হয় না।
(ঘ) মিথ্যা ও প্রবঞ্চনার বেশি অধর্ম আর নেই। মিথ্যাবাদী যদি কখনো সত্যও বলে, তাহলেও কেউ তা বিশ্বাস করে না। আবার এক মিথ্যাকে বজায় রাখতে আরও মিথ্যা দিয়ে তা সাজাতে হয়। এর বেশি প্রবঞ্চনা আর কী আছে।
(ঙ) কোনো বিষয়ের দুই দিক দেখে কদাচ বিরোধ করো না। বাদী, প্রতিবাদী এই উভয়ের যথার্থ অভিপ্রায় না বুঝে একপক্ষের প্রশংসা ও অন্যপক্ষের নিন্দা করা মহতের কাছে কেবল হাস্যাসম্পদের লক্ষণ হয়।
(চ) এই জগতে বিদ্যমান প্রতিটি বস্তু পৃথক পৃথকভাবে কয়েকটি কারণ, পরম্পরা ও নিয়মের অনুবর্তী। এমনকি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সেই কারণ, পরম্পরা ও নিয়মগুলি গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, প্রতিটি পদার্থের অস্তিত্ব একটি অখণ্ড পরিকল্পনায় বাঁধা।
(ছ) কৃত (লোকাচার ও দেশাচার) অনুষ্ঠানকে যদি কোনো মানুষ পালন করে, তার (মানসিক অবস্থানের) প্রতি পণ্ডিত (জ্ঞানী)-গণ ‘গড্ডালিকা প্রবাহ’ শব্দের প্রয়োগ করে থাকেন।….(এখন বিশেষ ভাবে) প্রয়োজন কুসংস্কার ও গোঁড়ামিকে আক্রমণ।

।।সংগৃহীত।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব কচ্ছপ দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় ও গুরুত্ব।।।

বিশ্ব কচ্ছপ দিবস প্রতি বছর ২৩ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় কচ্ছপদের বেঁচে থাকতে এবং তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থানে উন্নতি করতে সহায়তা করার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে। এই বিশেষ দিনটি আমেরিকান কচ্ছপ রেসকিউ (ATR), একটি অলাভজনক সংস্থা দ্বারা ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ATR একটি স্বামী এবং স্ত্রী জুটি, সুসান টেলেম এবং মার্শাল থম্পসন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

এই সংস্থায়, তারা কচ্ছপ এবং কচ্ছপের সমস্ত প্রজাতিকে উদ্ধার ও পুনর্বাসন করে, যারা ঝুঁকিপূর্ণ, বিপন্ন বা সমালোচনামূলকভাবে বিপন্ন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে, ATR কেয়ার হোমে প্রায় ৪০০০ কাছিম এবং কচ্ছপের যত্ন নিয়েছে। তারা অসুস্থ, অবহেলিত বা পরিত্যক্ত কচ্ছপদের তথ্য সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
বিশ্ব কচ্ছপ দিবস হল একটি বার্ষিক ইভেন্ট যা ২০০০ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এটি আমেরিকান কচ্ছপ রেসকিউ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
বিশ্ব কচ্ছপ দিবসের উদ্দেশ্য হল কচ্ছপ এবং কাছিমের আবাসস্থল রক্ষা করতে তারা কী করতে পারে সে সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা। এই সরীসৃপগুলি দৈনিক ভিত্তিতে এত লোকের জন্য যে আনন্দ নিয়ে আসে তারও এটি একটি উদযাপন।
সারা বিশ্বে দিনটি নানাভাবে পালিত হয়। অনেক লোক আছে যারা কচ্ছপের মতো পোশাক পরে আবার অন্যরা কেবল সবুজ কিছু পরার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। লোকেরা এমন প্রকল্পগুলিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকে যা তাদের স্থানীয় এলাকায় বসবাসকারী কচ্ছপদের উদ্ধার করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও এমন অনেক সংস্থান রয়েছে যা স্কুলগুলিতে উপলব্ধ করা হয়েছে যা শিক্ষকরা বিশ্ব কচ্ছপ দিবসকে ঘিরে পাঠ তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারেন। কচ্ছপ এবং কাছিম যে হুমকির সম্মুখীন হয় সে সম্পর্কে ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি এমন কিছু যা শিশুরা এতে জড়িত হওয়া উপভোগ করে।
আমেরিকান টর্টোইস রেসকিউ (এটিআর) ১৯৯০ সালে স্বামী এবং স্ত্রীর দল সুসান টেলেম এবং মার্শাল থম্পসন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যা সমস্ত প্রজাতির কাছিম এবং কচ্ছপকে উদ্ধার করে এবং পুনর্বাসন করে। এই প্রাণীগুলি যে পরিবেশে বাস করে সেগুলিকে রক্ষা করার জন্য এটি অনেক কাজ করে। তারা সর্বদা প্রাণীদের জন্য নতুন বাড়ি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে কিন্তু যদি এটি সম্ভব না হয় তবে তারা এটিআর-এর যত্নে থাকবে।
5টি বিপন্ন কচ্ছপ প্রজাতি—
১। বিকিরিত কচ্ছপ- দক্ষিণ মাদাগাস্কারের স্থানীয় বিকিরিত কাছিম। একসময় সমগ্র দ্বীপ জুড়ে প্রচুর পরিমাণে, প্রজাতিটি এখন আইইউসিএন দ্বারা গুরুতরভাবে বিপন্ন। আগামী ৫০ বছরের মধ্যে প্রজাতিটি সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হতে পারে।
২। অ্যাঙ্গোনোকা কচ্ছপ- অ্যাঙ্গোনোকা কাছিম শুধুমাত্র উত্তর-পশ্চিম মাদাগাস্কারের উপসাগরীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। সমালোচনামূলকভাবে বিপন্ন হিসাবে তালিকাভুক্ত, অ্যাঙ্গোনোকা কচ্ছপের বর্তমান বন্য জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ২০০ প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে বলে অনুমান করা হয়।
৩। ফিলিপাইন ফরেস্ট টার্টল- এই প্রজাতিটি শুধুমাত্র ফিলিপিনো দ্বীপ পালাওয়ানে পাওয়া যায়। সমালোচনামূলকভাবে বিপন্ন হিসাবে তালিকাভুক্ত, ফিলিপাইন ফরেস্ট কচ্ছপ বহিরাগত প্রাণী সংগ্রাহকদের দ্বারা অত্যন্ত মূল্যবান।
৪। পেইন্টেড টেরাপিন- এগুলি ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ায় পাওয়া যায়। পেইন্টেড টেরাপিন শুধুমাত্র সমালোচনামূলকভাবে বিপন্ন নয় বরং পৃথিবীর সবচেয়ে বিপন্ন ২৫ টি স্বাদু পানির কচ্ছপের মধ্যে একটি হিসেবেও তালিকাভুক্ত।
৬। হলুদ মাথার বাক্স কচ্ছপ- এরা মধ্য চীনের আনহুই প্রদেশের অধিবাসী। আইইউসিএন দ্বারা সমালোচিতভাবে বিপন্ন হিসাবে তালিকাভুক্ত, হলুদ মাথার বক্স কচ্ছপকে বিশ্বের ২৫টি সবচেয়ে বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপের মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
জাতীয় কাছিম দিবস/ কচ্ছপ দিবস সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—-
জাতীয় কাছিম দিবস/ কচ্ছপ দিবস কি?
জাতীয় বিশ্ব কচ্ছপ দিবস, কখনও কখনও বিশ্ব কাছিম দিবস বা জাতীয় কাছিম দিবসও বলা হয়, এমন একটি দিন যা কচ্ছপ এবং কাছিম উদযাপনের জন্য তৈরি করা হয়। এটি প্রতি বছর ২৩শে মে সারা বিশ্বের দেশে পালিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হল এই সুন্দর প্রাণীদের মুখোমুখি হওয়া সমস্যাগুলি সম্পর্কে আরও বেশি লোককে সচেতন করা, কচ্ছপ এবং কচ্ছপদের রক্ষা করতে এবং বন্যের মধ্যে তাদের বেঁচে থাকার হার বাড়ানোর জন্য আরও মানবিক পদক্ষেপকে অনুপ্রাণিত করা। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যা সমস্ত প্রজাতির কাছিম এবং কচ্ছপকে উদ্ধার ও পুনর্বাসন করে। বিশ্বজুড়ে মানুষ বিভিন্ন উপায়ে বিশ্ব কচ্ছপ দিবস উদযাপন করে।
বিশ্ব কচ্ছপ দিবস প্রথম কবে পালিত হয়?
বিশ্ব কচ্ছপ দিবস ১৯৯০ সালে আমেরিকান কচ্ছপ উদ্ধার (ATR) দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর দল সুসান টেলেম এবং মার্শাল থম্পসন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত একটি প্রাণী উদ্ধার সংস্থা যারা কচ্ছপ এবং কাছিম সংরক্ষণে নিবেদিত।
ATR প্রতি বছর ২৩শে মে বিশ্ব কচ্ছপ দিবসকে স্পনসর করেছে এবং এটি এখন সারা বিশ্বের কচ্ছপদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রজাতি সচেতনতা দিবসগুলির মধ্যে একটি।
প্রথম জাতীয় কাছিম/কচ্ছপ দিবস কবে?
২০০২ সালে এটিআর (আমেরিকান কচ্ছপ উদ্ধার) দ্বারা প্রথম বিশ্ব কচ্ছপ দিবস পালিত হয়।
কেন আমরা বিশ্ব কচ্ছপ দিবস উদযাপন করি?
আমরা কচ্ছপ এবং কাছিম সম্পর্কে আরও মনোযোগ আকর্ষণ এবং জ্ঞান বাড়াতে জাতীয় কাছিম দিবস উদযাপন করি। কচ্ছপগুলি উজ্জ্বল প্রাণী যা বেশিরভাগই বসে থাকা মনে হতে পারে তবে খুব আকর্ষণীয়। তারা বিশ্বের প্রাচীনতম সরীসৃপ গোষ্ঠীগুলির মধ্যে একটির অন্তর্গত – যা তাদের সাপ, কুমির এবং কুমিরের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বয়স্ক করে তোলে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা কচ্ছপ এবং কচ্ছপের জনসংখ্যার গবেষণা ও সুরক্ষা করি, কারণ তারা আমাদের সমুদ্র সৈকতকে পরিষ্কার রাখে মৃত মাছগুলিকে খাওয়ানোর মাধ্যমে যা উপকূলে ধুয়ে যায় এবং আমাদের মহাসাগরে পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখে।
এই প্রাণীগুলি ২০০ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরের সময়কালের। সমগ্র বিশ্বে মোট ৩০০ প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে, যার মধ্যে ১২৯ প্রজাতিই বিপন্ন। তাই, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কচ্ছপদের তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে বেঁচে থাকতে এবং উন্নতি করতে সাহায্য করার জন্য, প্রতি বছর বিশ্ব কচ্ছপ দিবস পালিত হয়।
আমি কিভাবে শিশুদের সাথে বিশ্ব কচ্ছপ দিবস উদযাপন করতে পারি?
বিশ্বজুড়ে মানুষ বিভিন্ন উপায়ে বিশ্ব কচ্ছপ দিবস উদযাপন করে। মানুষ কচ্ছপ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং কার্যক্রমের আয়োজন করে। কিছু মানুষ এই দিনে রাস্তা-মহাসড়ক থেকে কচ্ছপদের উদ্ধার করে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ফিরিয়ে দেয়। আপনি শিশুদের সাথে বিশ্ব কচ্ছপ দিবস বা জাতীয় কাছিম দিবস পালন করতে পারেন এমন অনেক মজার এবং সহজ উপায় রয়েছে!
কচ্ছপের মতো সাজানো বা গ্রীষ্মের সবুজ পোশাক পরা থেকে শুরু করে, মহাসড়কে ধরা কচ্ছপগুলিকে বাঁচানো, গবেষণা কার্যক্রম পর্যন্ত, উদযাপন করার অনেক উপায় রয়েছে।
দিনটি উদযাপনের একটি মজার উপায় হল কচ্ছপ বা কাছিমের মতো সাজানো। অথবা, একটি সহজ ড্রেস-আপ বিকল্পের জন্য, আপনি দিনটি স্মরণ করতে এবং সচেতনতা বাড়াতে আপনার ক্লাস বা স্কুলের বাচ্চাদের সবুজ কিছু পরতে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।
বিশ্ব কচ্ছপ দিবসে আরেকটি দুর্দান্ত জিনিস হল এমন একটি দাতব্য সংস্থার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা যা একটি বেক সেল নিক্ষেপ করে বা স্পনসরড হাঁটার মাধ্যমে কচ্ছপদের সাহায্য করে, উদাহরণস্বরূপ।
বিশ্ব কচ্ছপ দিবসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হল কচ্ছপ সম্পর্কে আরও তথ্য জানা এবং প্রজাতি সম্পর্কে মানুষের সম্মান এবং জ্ঞান বাড়াতে অন্যদের সাথে তথ্য ভাগ করা। এটি করার জন্য, কেন আমাদের একটি দুর্দান্ত বিশ্ব কচ্ছপ দিবসের শিক্ষার সংস্থান ব্যবহার করবেন না, শিশুদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত?
কচ্ছপ এবং কচ্ছপের কার্যকলাপ প্যাক – বড় বাচ্চাদের সাথে বিশ্ব কচ্ছপ দিবস উদযাপন করতে এই আকর্ষক কার্যকলাপ প্যাকটি ব্যবহার করুন। এটি কারুশিল্প, রঙিন শীট এবং ওয়ার্কশীটগুলিতে পূর্ণ যাতে বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখা যায় যখন তারা মহিমান্বিত প্রাণীগুলি সম্পর্কে শেখে।
ওয়ার্ল্ড টার্টল ডে ফ্যাক্ট শীট – এই ফ্যাক্ট শীটটি প্রিন্ট করার জন্য প্রস্তুত এবং বয়স্ক বাচ্চাদের সাথে কচ্ছপ সংরক্ষণের জ্ঞান সম্প্রসারিত করার জন্য এবং তাদের সুরক্ষার জন্য আমরা কী করতে পারি তা জানাতে।
মহাসাগরের দূষণ: একক ব্যবহার প্লাস্টিক পাওয়ারপয়েন্ট – এই পাওয়ারপয়েন্টটি শিশুদের (৭ থেকে ১১ বছর বয়সী) সাথে শেয়ার করার জন্য আদর্শ যা তাদের সারা বিশ্বে প্লাস্টিক দূষণের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলি বুঝতে সাহায্য করে এবং এটি কীভাবে কচ্ছপকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। আপনার স্থানীয় এলাকায় প্রকৃত পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত করার জন্য, আপনি এমনকি শিশুদের তাদের স্থানীয় এমপিকে লিখতে উত্সাহিত করতে প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে এই চিঠির টেমপ্লেটটি ব্যবহার করতে পারেন।
আমাদের সমস্ত টুইঙ্কল সংস্থানগুলি আমাদের ডিজাইনারদের বিশেষজ্ঞ দল দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এবং শিক্ষকদের দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মানে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে তারা শ্রেণীকক্ষে জড়িত এবং পাঠ্যক্রম অনুসরণ করছে।
কচ্ছপের চেয়ে মানবতার প্রিয় প্রাণী খুব কমই আছে। এই খোলসযুক্ত প্রাণীগুলি বিশ্বের কার্যত সমস্ত কোণে পাওয়া যেতে পারে এবং উপমা, পৌরাণিক কাহিনী এবং সমস্ত ধরণের জনপ্রিয় মিডিয়াতে তাদের পথ খুঁজে পেয়েছে।
বিশ্ব কচ্ছপ দিবস শুধুমাত্র কচ্ছপদের প্রতি ভালবাসা এবং ভক্তি দেখানোর জন্য নয় বরং আমরা তাদের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন আবাসস্থল রক্ষা করতে পারি তাও নিশ্চিত করা।
কচ্ছপ এবং কাছিম এর মধ্যে পার্থক্য কী তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও তারা উভয়ই একই পরিবারের অন্তর্গত, কচ্ছপরা তাদের সময় জলের কাছাকাছি বা জলে কাটায় যখন কচ্ছপ প্রাথমিকভাবে স্থল প্রাণী।
কচ্ছপ এবং কাছিম উভয়ই এমন প্রাণী যারা তাদের নিজ নিজ বাস্তুতন্ত্রে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। অন্যান্য প্রাণীর বাসযোগ্য গর্ত খনন করা হোক বা সৈকত থেকে মৃত মাছ পরিষ্কার করা হোক না কেন, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

উত্তরাখন্ডের Valley of Gods – হর কি দুন ভ্যালি ট্রেক, ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ট্রেকিং গুলির মধ্যে অন্যতম।।।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। আসুন ঘুরে আসি ভারতের ই একটি দর্শণীয় স্থান উত্তরাখন্ডের হর কি দুন ভ্যালি ট্রেক ।Valley of Gods, হর কি দুন ভ্যালি ট্রেক যা ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ট্রেকিং গুলির মধ্যে অন্যতম।
আপনি যদি এমন কিছুর সাক্ষী হতে চান যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মানকেও ছাড়িয়ে যায়, তবে হার কি দুন উপত্যকায় একটি দুঃসাহসিক অভিযান আপনার জন্য উপযুক্ত হবে।

প্রাকৃতিক অবস্থান–

হর কি দুন বা হর কি দুন হল ভারতের উত্তরাখণ্ডের গাড়ওয়াল হিমালয়ের একটি দোলনা-আকৃতির ঝুলন্ত উপত্যকা। অঞ্চলটি সবুজ বুগিয়াল (উচ্চ উচ্চতার তৃণভূমি) দিয়ে ঘেরা। এটি তুষার আচ্ছাদিত চূড়া এবং আলপাইন গাছপালা দ্বারা বেষ্টিত। এটি বোরাসু পাসের মাধ্যমে বাসপা ভ্যালির সাথে সংযুক্ত। এই উপত্যকাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 3566 মিটার (১১৭০০ ফু) উপরে এবং অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত তুষারে ঢাকা থাকে। হর কি দুন হল একটি দোলনা আকৃতির উপত্যকা যা তুষারাবৃত চূড়া এবং আলপাইন গাছপালা দ্বারা বেষ্টিত, হার-কি-দুন হল, হ্যান্ডস ডাউন, একটি সবচেয়ে সুন্দর ট্রেকিং গন্তব্য যা উত্তরাখণ্ডের অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রদর্শন করে। হর কি দুন উপত্যকা গাড়ওয়াল হিমালয়ের দূরবর্তী অঞ্চলে অস্পৃশ্য উপত্যকার দর্শনীয় দৃশ্য দেখায়। এটি ভারতের সবচেয়ে সুন্দর স্থানগুলির মধ্যে একটি যা অসংখ্য ট্রেকিং ভ্রমণের প্রস্তাব দেয়।

হর কি দুনের ইতিহাস–

ঐতিহাসিকভাবে, এটি বিশ্বাস করা হয় যে রাজা যুধিষ্ঠিরকে এখানকার একটি চূড়া থেকে একটি কুকুর সহ স্বর্গের আবাসে পাঠানো হয়েছিল। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে হাজার হাজার বছর আগে যারা এখানে বাস করত তারা কৌরবদের পাশাপাশি পাণ্ডবদের শাসনাধীন ছিল। “হর কি দুনের শাব্দিক অর্থ ঈশ্বরের উপত্যকা। বলা হয়ে থাকে পঞ্চপান্ডবের কোন একজন এই উপত্যকা দিয়েই স্বর্গারোহিনী পর্বত অতিক্রম করে স্বর্গে যান। স্বর্গরোহিনী পিকই নাকি স্বর্গের শেষ দ্বার এবং সেই থেকেই এই পাহাড়ের এই নাম। স্বর্গারোহিনী পর্বত এই ভ্যালির পাশেই অবস্থিত। মজার বিষয় হচ্ছে এখানকার আঞ্চলিকেরা মনে করেন এই পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট থেকেও উঁচু।

ঈশ্বরের উপত্যকা–

“ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ট্রেকিং গুলির মধ্যে একটি হলো হর কি দুন ভ্যালি ট্রেক যা Valley of Gods নামেও পরিচিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫৬৬ মিটার (১১৬০০ ফুট) উচ্চতাবিশিষ্ট এই ট্রেককিং রুটটি উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশি রাজ্যের গারোয়াল হিমালয়ের পশ্চিম পারে অবস্থিত। শীত এবং গ্রীষ্ম উভয় সিজনেই যাওয়া যায় এই রুটে। হর কি দুন পিকের পাশাপাশি স্বর্গরোহিনী পর্বতমালা সর্বদা আপনার সাথেই থাকবে মোটামুটি সমস্ত ট্রেকটি জুড়েই। স্বর্গের দ্বার শুধু নয়, স্বর্গেরই এক অংশ যেন হর-কি-দুন (Har ki Dun Trek), এজন্যই এর আরেক নাম ঈশ্বরের উপত্যকা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য-

সমস্ত পথটি জুড়ে রয়েছে পাইন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা এবং বিস্তৃত উপত্যকার মন্ত্রমুগ্ধতা। শীতকালীন বরফাবৃত এলপাইন ম্যাডো, সঙ্গে মেঘ চিরে বেরিয়ে আসা সূর্যকিরণ এবং অন্যদিকে গ্রীস্মকালীন সবুজ উপত্যকা ও সঙ্গে দূরের স্বর্গরোহিনীর মাথার সাদা বরফ জীবনের এক নতুন মানে শেখাবে আপনাকে। তামসা নদীর পাশে ৫ কোটি তারার নিচে ক্যাম্প করে রাত্রি কাটানো আপনার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে রয়ে যাবে। এখান থেকে স্বর্গরোহিনী ১,২,৩, বন্দরপুচ, ব্ল্যাকপিক, রুইনসারা পিক সহজেই দৃষ্টিগোচর হয়। এই ট্রেকটির রুটে কিছু ২০০০ বছর পুরোন গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাবেন আপনি, পরিচিত হবেন সেই সকল প্রাচীন জনগোষ্ঠীর জীবনধারার সাথে।”
হর কি দুনের আশেপাশে প্রধান আকর্ষণ গুলি কি কি তা জেনে নেবো সংক্ষেপে-

গ্রাম পর্যটন–

যখন আপনি এই মনোমুগ্ধকর পর্যটন গন্তব্যে যাওয়ার পথে আছেন উত্তরাখণ্ড, আপনি স্থানীয় গ্রামবাসীদের দ্বারা অধ্যুষিত বিভিন্ন গ্রাম জুড়ে আসতে পেতে. এই সমস্ত কিছুই আপনাকে কেবল একটি ন্যূনতম জীবনযাত্রার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় না বরং আপনাকে তাদের রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যগুলি জানতে সাহায্য করে, আপনার আত্মার উপর একটি অদম্য ছাপ রেখে যায়।

পাখি দেখা এবং ফটোগ্রাফি–

এখানে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্র্য দেখে আপনি আপনার ক্যামেরার লেন্সের মাধ্যমে প্রকৃতির আনন্দের সেই মুহূর্তগুলিকে ক্যাপচার করতে বাধা দেবেন না। এবং যখন আপনি স্ন্যাপ নিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, আপনি সর্বদা একটি ভাল জায়গা খুঁজে পেতে পারেন এবং কেবল বসে বসে পাখিদের কুচকুচে দেখতে পারেন।

ট্রেকিং-

বেশিরভাগ পর্যটক এই অঞ্চলের ক্ষমাহীন টপোগ্রাফিতে ট্রেকিং করে অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ পাওয়ার জন্য হর কি দুন পরিদর্শন করেন। এবং শেষ পর্যন্ত, এটি অবশ্যই ঝুঁকির মূল্য, কারণ আপনি এখানে তুষার-ঢাকা পাহাড়, বন এবং ক্যাসকেডিং জলপ্রপাতের সাক্ষী হতে পারেন।

ক্যাম্পিং-

এখন, এটি প্রকৃতির কোলে আপনার সবচেয়ে আশ্চর্যজনক জীবনের অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে একটি। খাস্তা রাতের আকাশের নীচে আপনার বন্ধুদের সাথে তাঁবু স্থাপনের অনুভূতি সারাজীবনের অবিস্মরণীয় স্মৃতি তৈরি করে।

যাওয়ার সেরা সময়–

সাধারণত সারা বছরই এখানে লোকজনের যাতায়াত দেখা যায়। যাইহোক, এখানে ভ্রমণের সেরা সময় হবে শরৎ এবং শীত ঋতু। গ্রীষ্মকাল (এপ্রিল থেকে জুন) এবং বর্ষার পরেই (সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর) হর কি দুন ট্রেকের জন্য সেরা সময়। এটি একটি Moderate Trek হিসেবে বিবেচিত হয়। ভালো ভাবে সময় নিয়ে ঘুরতে চাইলে ১০ দিন হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।

যাওয়ার উপায়-

হর কি দুনে যেতে গেলে আপনাকে দেরাদুন যেতে হবে প্রথমেই। সেখান থেকে মোটামুটি ১০ ঘন্টার জার্নি করে সানক্রি গ্রাম যা ১৯৫০ মিটার উচুতে অবস্থিত। এটিই হর কি দুন ট্রেকের বেস ক্যাম্প। কেদারকান্থা, বালি পাস, বরাসু পাস ট্রেক করতে গেলেও এই সানক্রি গ্রাম থেকেই যেতে হবে আপনাকে। সানক্রি থেকে অনেক ভাবেই আপনি যেতে পারেন নিজের সুবিধা মতন। এখানে যে রুটটি নিয়ে আলোচনা করা হলো সেটি বেশ প্রচলিত একটি রুট। আপনি গাইডের সাথে কথা বলে নিজেদের মতন রুট বানিয়ে নিতে পারেন।
সানক্রি থেকে আবার গাড়ি ঠিক করে আপনাকে ১২ কিলোমিটার দূরে ২১০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত তালুকা পৌঁছতে হবে, ছোট গাড়ি চলে এখন। এখান থেকে পায়ে হাঁটা রাস্তা শুরু। সেদিনের উদ্যেশ্য ১০ কিলোমিটার দূরের ২৫০০ মিটার উচ্চতার পুয়ানি গড়াত। তালুকা থেকে সময় লাগবে মোটামুটি ৬ ঘন্টা। এখানে আপনি টেন্ট পিচ করে থাকতে পারেন। পরের দিন পুয়ানি গড়াত থেকে ২৯৫০ মিটার উচ্চতার কালকাটতিয়াধার। পরের দিনই পৌঁছে যাবেন ৩৫৬৬ মিটার উচ্চতার হর কি দুন। রাত কাটান হর কি দুন ক্যাম্প সাইটে। এখান থেকে স্বর্গরোহিনীকে সত্যিই মনে হবে যেন পাহাড়টি মাটি ফুঁরে স্বর্গের দিকে উঠে গেছে।”
“হর কি দুন ভ্যালির শেষটি দুটি পৃথক রাস্তা সৃষ্টি করে, একদিকে মনিন্দ্র তাল ও বরাসু পাস, অন্য দিকে যৌনদর গ্লেসিয়ার এবং এই দুইয়ের মাঝে কর্মনাসা নামক ছোট্ট একটি জলধারা। স্বর্গ দেখতে না পেলেও এই জায়গাটিই আপনার কাছে স্বর্গ হয়ে থেকে যাবে। হাতে সময় থাকলে মনিন্দ্র তাল এবং যৌনদর গ্লেসিয়ার দুইই ঘুরে আসতে পারেন, তাতে অবশ্য সমস্ত ট্রেকটি দুদিন বেড়ে যাবে। ফিরতি পথে ওসলা গ্রামে একটি রাত কাটান। এখানেই রয়েছে ৫০০০ বছর পুরোন একটি কাঠের ঘর, এই জায়গাটিকে স্থানীয় লোকেরা দুর্যোধনের মন্দির হিসেবে পূজিত করেন। পরের দিন পৌঁছে যান সানক্রি, যেখান থেকে শুরু করেছিলেন এই দীর্ঘ যাত্রা। সেখান থেকে পুনরায় দেরাদুন। যাওয়া আসা মিলে ৫০ কিলোমিটার হাঁটা। হাঁটতে হবে মোট চারদিন।”

আকাশ পথে-

জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর ওরফে দেরাদুন বিমানবন্দর (DED) নিকটতম বিমানবন্দর। এখানে পৌঁছানোর জন্য দিল্লি এবং চণ্ডীগড় হয়ে সংযোগকারী ফ্লাইট নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে, আপনার থাকার জন্য প্রথমে আপনাকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের কিছু মাধ্যম পেতে হবে এবং সেখান থেকে সানকারি গ্রামে যেতে হবে, যেখানে অ্যাডভেঞ্চার শুরু হয়।
তাই আপনি যদি এমন কিছুর সাক্ষী হতে চান যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মানকেও ছাড়িয়ে যায়, তবে হার কি দুন উপত্যকায় একটি দুঃসাহসিক অভিযান আপনার জন্য।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মহাপ্রভুর বিশ্বরূপ দর্শন দান : রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক।।।।।

সর্বাবতারী নদিয়াবিহারী শ্রীশ্রীগৌরহরি নদীয়ার নবদ্বীপে সর্বদা কীর্তনবিলাস করে চলেছেন । নগরে, চত্বরে, জলে, বনে–যেখানেই তিনি কৃষ্ণনাম শ্রবণ করেন অমনি নিরবধি তাঁর শ্রীনয়ন দিয়ে অশ্রুধারা বয়ে যায় । নবদ্বীপের ভক্তসমাজ তাঁর দশা দেখে বলেন, বিশ্বম্ভর রায় যে ভক্তিরসময় হয়ে গেছেন !

নিমাই পণ্ডিত কারোর মুখে ‘হরি’ শব্দ শ্রবণ করলেই নিজেকে স্থির রাখতে পারেন না আর । অশ্রু-কম্প-পুলক-বৈবর্ণ‍্য আদি অষ্ট সাত্ত্বিক ভাবের প্রকাশ হয় সর্বাঙ্গে তাঁর । ধূলায় বিলুন্ঠিত হন, গড়াগড়ি যান । যে আবেশ দর্শন করলে ব্রহ্মাদি দেবতারা পর্যন্ত ধন্য হন –সেই দেবদুর্লভ দর্শন সৌভাগ্যবান নদীয়াবাসী লাভ করেন ।
একদিন কীর্তনবিলাসী গৌরের ভাবেতে মূর্ছাগ্রস্ত অবস্থা এমন । পার্ষদরা তাঁকে নিয়ে চলে এলেন তাই গৃহে । দ্বার দিয়ে শুরু করলেন কীর্তন । অনন্ত ভাব প্রকট তখন তাঁর অন্তরে । নির্দিষ্ট কোন রসে, কোন ভাবে তিনি যে বিহ্বল হয়ে আছেন –তা কেউ অনুধাবন করতে পারেন না । কখনও তিনি বলছেন –“আমিই তো মদনগোপাল,” কখনও বলছেন– “আমি সর্বকালের কৃষ্ণদাস,” আবার কখনও “গোপী !গোপী !গোপী!” বলে জপ করেন । কখনও কৃষ্ণের নাম শ্রবণ করে কেঁপে ওঠেন তেজে ; বলতে থাকেন– “কোথাকার কৃষ্ণ তোর ! সে তো মহাদস্যু ! শঠ, ধৃষ্ট কৈতব একজন ! কে তাকে ভজনা করবে শুনি ! নারী মন জয় করে নারীদেরই নাক কান কেটে দেয় ! লোভীর মতো বালির প্রাণ কেড়ে নিল ! আমার কোন দরকার নেই চোরের কথায় !” এরপর যদি কারোর মুখে পুনরায় কৃষ্ণ শব্দ শোনেন তো ক্রোধে তাঁকে তিরস্কার করতে থাকেন । আবার “গোকুল গোকুল” বলতে থাকেন ক্ষণে ক্ষণে । কোনদিন বলেন “বৃন্দাবন, বৃন্দাবন” । কখনও বা আনন্দকন্ঠে “মথুরা মথুরা” বলেন । আবার মৃত্তিকায় শ্রীকৃষ্ণের ত্রিভঙ্গ আকৃতি এঁকে, সেদিকে চেয়ে রোদন করতে থাকেন । কখনো বলেন, “এ কী চারিদিকে যে অরণ্য ! এই দেখো অরণ্যে সিংহ, ব্যাঘ্র, ভাল্লুকের গণ সব ।” দিনের বেলাকে রাত্রি বলেন, আবার রাত্রিবেলাকে দিন । –এমন আবেশ সর্বক্ষণ তাঁর শরীরে ; ভক্তিবশ হয়েছেন বিদ্যাহঙ্কারী নিমাই পণ্ডিত এখন । ভক্তরা তাঁর কৃষ্ণপ্রেমাবেশের এমন দশা দেখে ক্রন্দন করতে থাকেন গলা জড়াজড়ি করে । যে আবেশ দর্শন করা ব্রহ্মাদিদেবের অভিলাষ –সে আবেশ দর্শন করেন নবদ্বীপের বৈষ্ণবের দাসেরা ।
গৌরহরি নিজগৃহে আর কতক্ষণই বা থাকেন ! তিনি দিনের বেশীরভাগ সময়ে ভক্তদের গৃহেই পড়ে থাকেন । গৃহে যেটুকু সময় ফিরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন –তা কেবল তাঁর জননীকে প্রবোধ দিতে চেয়ে, মাতৃসুখ প্রদানের কারণে । ওদিকে তাঁকে নিয়ে বৈষ্ণবদের আনন্দ আর ধরে না । এ কী অপরূপ কৃষ্ণপ্রেম ! অনির্বচনীয় ! অদ্বিতীয় ! অভাবনীয় ! এমন ভগবদ্ প্রেম কোন মানুষের মধ্যে হতে পারে তা জানা ছিল না কারোর । ঈশ্বরাংশ না হলে শরীরে এমন প্রেম প্রকট হওয়া তো অসম্ভব !
গৌরহরির অভিন্ন প্রাণ নিত‍্যানন্দ তো মত্ত সিংহ এক ! তিনি সর্বদা ছায়ার মত গৌরাঙ্গের পাশে থাকেন । তাঁকে নিয়ে গোরা রায় অনন্ত লীলায় ঘরে ঘরে মেতে থাকেন । আর থাকেন গদাধর পণ্ডিত, আচার্য অদ্বৈত ও অন‍্যান‍্য ভক্ত মহাজনেরাও ।
একদিনের ঘটনা । গোপীভাব নিয়ে অদ্বৈত নৃত‍্য করছেন শ্রীবাস প্রাঙ্গণে। আর, সকলে মহা অনুরাগের সঙ্গে কীর্তন করছেন । আহা ! অদ্বৈতের নৃত‍্যে সে কী ভাব ! কী আর্তি ! তিনি বারংবার দন্তে তৃণ ধরে দৈন্য করতে করতে বিবশ হয়ে পড়ে যাচ্ছেন । আর তাঁর দশা দেখে ভক্তরা আরও আবেগসহ গীত গাইছেন । দুই প্রহরেও নৃত‍্যের বিরাম হচ্ছে না । অবশেষে ভক্তরা শ্রান্ত হলেন । সকলে মিলে আচার্যকে স্থির করলেন । নৃত্যের বিশ্রাম হল । অদ্বৈতের চারপাশে ভক্তগণ ঘিরে বসলেন । ধীরে ধীরে অদ্বৈত শান্ত হলেন । সবকিছু স্বাভাবিক হলে শ্রীবাস, রামাই আর সকলে গেলেন গঙ্গাস্নান করতে । একলা অদ্বৈত বসে রইলেন শ্রীবাস গৃহেই । কিন্তু, বাইরে তাঁকে স্থির মনে হলেও ভিতরে-ভিতরে, অন্তরে-অন্তরে তাঁর আর্তির এতটুকুও কম হয় নি, বরং বেড়ে চলেছে তা। সে সময় শ্রীগৌরহরি সেখানে ছিলেন না । তিনি ছিলেন নিজের গৃহে অথচ অন্তর্য‍ামী গৌরহরি অন্তরে অনুভব করলেন অদ্বৈতের আর্তি । ভক্ত-আর্তি পূর্ণকারী সদানন্দ রায় চলে এলেন শ্রীবাস গৃহে যেখানে অদ্বৈত এতক্ষণ ধরে গড়াগড়ি দিয়ে এখন বসে আছেন খানিক শান্ত-ভাব দেখিয়ে । প্রাণনাথকে, ইপ্সিত ধনকে নয়ন সম্মুখে পেয়ে আনন্দ আর ধরে না আচার্য‍ের যেন । হৃদয়ের ভাবতরঙ্গ উথলে উঠলো । নয়ন আবেগে অশ্রুপূর্ণ হল । মহাপ্রভু অদ্বৈতের মন বুঝে তাঁকে নিয়ে এলেন শ্রীবাসের বিষ্ণুমন্দিরে । দ্বার ভেজিয়ে দিলেন । তারপর নিজপ্রিয় ভক্তের উদ্দেশ্যে হেসে বললেন– “বলো গো আচার্য‍ ঠাকুর ! কি তোমার ইচ্ছা ? কি তুমি চাইছো বলো তো ? আমার থেকে তোমার কি প্রত্যাশা ?”
অদ্বৈত বললেন, “আমি আর কী চাইবো প্রভু ! আমার সবই তো তুমি ! আমি শুধু তোমাকেই চাই । তুমিই তো সর্ব দেব-সার, সর্ব বেদ-সার ।”
মহাপ্রভু– “আমি তো তোমার সম্মুখে সাক্ষাৎ আছি, এই দেখো । আর কি চাও, সত্য করে বলো তো !”
অদ্বৈত– “হ্যাঁ, প্রভু ! তুমি ঠিকই ধরেছো ! আমার আরও কিছু অভিলাষ আছে । সুসত‍্য বচন তোমায় বলছি এবার শোনো । আমি জানি এ তত্ত্ব যে তুমিই সর্ব বেদ-বেদান্তের সার । তবু আমি তোমার কিছু বৈভব দর্শন করতে চাই ।”
মহাপ্রভু– “কী চাইছো এবার খুলে বলো ।”
অদ্বৈত– “প্রভু, তুমি অর্জুনকে পূর্বে যা দেখিয়েছিলে, আমি তা দেখতে চাই । তুমি নিশ্চয়ই এবার বুঝে গেছ আমার হৃদয়ের অভীপ্সা ! আমি তোমার বিশ্বরূপ দর্শন করতে চাই । তুমি কী আমার এই বাসনা পূরণ করবে না প্রভু !”
অদ্বৈতের কথা শেষ হতে না হতে তিনি দেখলেন তাঁর সম্মুখে বিশাল এক রথ । চতুর্দিকে সৈন্যদল মহাযুদ্ধে রত হয়ে আছে – সমরক্ষেত্র। আর রথের উপর গৌরাঙ্গ র‍য়েছেন শ্যামল সুন্দররূপে । তাঁর চতুর্ভুজ । শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম ধারণ করে আছেন চার ভুজে । মহাপ্রভুর অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড রূপ দেখতে পেলেন অদ্বৈত। চন্দ্র, সূর্য, সিন্ধু, গিরি, নদী, বন-উপবন দেখতে পেলেন তাঁর শরীরে । কোটি কোটি চক্ষু , বহু-বহু মুখ পুনরায় পুনরায় দেখছেন । দেখলেন শ্যামল সুন্দরের চরণের কাছে বসে তাঁকে দর্শন করছেন বিস্মিত নয়নে অর্জুন ও স্তুতি করছেন । প্রভুর মুখে মহা অগ্নি প্রজ্বলিত হয়ে রয়েছে । সেই অগ্নির তেজে সকল পাষণ্ড, দুষ্টগণ পতঙ্গের ন্যায় জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে । যে পাপীষ্ঠ অপরকে নিন্দা করে, অপরের প্রতি দ্রোহ আচরণ করে–শ্যামল সুন্দর শ্রীচৈতন্যের মুখাগ্নিতে পুড়ে মরছে তারা সকলে ।
“বলিতে অদ্বৈত মাত্র দেখে এক রথ।
চতুর্দিকে সৈন্য দল মহাযুদ্ধ পথ।।
রথের উপরে দেখে শ্যামল সুন্দর।
চতুর্ভুজ শঙ্খ চক্র গদা পদ্মধর।।
অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড রূপ দেখে সেই ক্ষণে।
চন্দ্র সূর্য সিন্ধু গিরি নদী উপবনে ।।
কোটি চক্ষু বহুমুখ দেখে পুনঃ পুনঃ ।
সম্মুখে দেখেন স্তুতি করয়ে অর্জুন।।
মহা অগ্নি যেন জ্বলে সকল বদন।
পোড়য় পাষণ্ড পতঙ্গ দুষ্টগণ।।
যে পাপিষ্ঠ পর নিন্দে পর দ্রোহ করে।
চৈতন্যের মুখাগ্নিতে সেই পুরি মরে।।
এই রূপ দেখিতে অন্যের শক্তি নাই ।
প্রভুর কৃপাতে দেখে আচার্য গোঁসাই।।”
(চৈতন্য ভাগবত , মধ্য, ২৪)
এমন দর্শন করার শক্তি কার আছে ! একমাত্র মহাপ্রভুর কৃপা শক্তিতেই আচার্য গোসাঞি দেখতে সমর্থ‍্য হয়েছিলেন । প্রেমসুখে, অচিন্ত‍্যনীয় দৃশ্য দর্শন করে অদ্বৈত তখন ক্রন্দন করছেন । তিনি দন্তে তৃণ ধারণ করে পুনরায় পুনরায় মহাপ্রভুর প্রতি দাস‍্য ভক্তি প্রার্থনা করতে থাকলেন ।
ওদিকে শ্রীনিত্যানন্দ সেসময় পর্য‍্যটন সুখে নদীয়ায় ভ্রমণ করে বেড়াচ্ছেন । মহাপ্রভুর প্রকাশ তাঁর তো অজানা নয় । তিনি অনুভব করে ফেলেছেন যে, প্রাণগৌর তাঁর, বিশ্বরূপ ধারণ করেছেন । তিনি বিলম্ব না করে তৎক্ষণাৎ হাজির হলেন শ্রীবাস গৃহের বিষ্ণুমন্দিরে । এসেই মত্ত হস্তীর ন্যায় দ্বারে দাঁড়িয়ে গর্জন করতে থাকলেন । ভিতরে মহাপ্রভু অনুধাবন করে ফেললেন তাঁর অভিন্ন স্বরূপ, প্রাণের দোসর নিত‍্যানন্দ এসে দাঁড়িয়েছেন । তিনি সত্ত্বর দ্বার উন্মুক্ত করলেন । নিত‍্যানন্দ গৌরাঙ্গের অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড রূপ দর্শন করেই দণ্ডবৎ হয়ে পড়ে গেলেন । আবেশে, আনন্দে তাঁর আঁখি বুজে গেছে । কম্পিত কলেবর । পুলকিত প্রাণ ।
মহাপ্রভু– “ওঠ নিত‍্যানন্দ ! ওঠো ! আমার সকল আখ্যান তোমার তো অজানা নয় কিছুই । তুমি তো সবই জানো ! তবে কেন এমন দৈন্য করছো ! তুমি তো আমার প্রাণ ! যে ব‍্যক্তির তোমাতে প্রীতি– সে আমায় পায় । তোমার থেকে প্রিয়তম আমার যে আর কিছুই নেই । যে তোমাতে আর অদ্বৈতে ভেদ বুদ্ধি করে –তার অবতারবাদ সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান নেই । সে মূর্খ ।”
নিত‍্যানন্দ ও অদ্বৈতকে একসাথে পেয়ে বিশ্বম্ভর বিষ্ণু গৃহের অভ‍্যন্তরে আনন্দে নৃত‍্য করতে থাকলেন । হুঙ্কার গর্জন করছেন আর বলছেন– “দেখ ! দেখ !” আর অদ্বৈত ও নিত‍্যানন্দও প্রভুর বিশ্বরূপ দর্শন করে বিহ্বল বদনে বলছেন, “প্রভু ! প্রভু গো !” এমন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে গেল শ্রীবাস ভবনে অথচ শ্রীনিত‍্যানন্দ ও শ্রীঅদ্বৈত ভিন্ন কেউ টেরও পেলেন না । কারণ, সে কৃপাশক্তি মহাপ্রভু কাউকে দেননি । ওঁনাদের দু’জনকেই শক্তি সঞ্চার করেছিলেন দর্শন করার ।
পরবর্তীতে এসব কথা আচার্য‍ অদ্বৈত সকলকে জানিয়েছিলেন । মনে রাখতে হবে, যার এতে অবিশ্বাস আছে– সে নিশ্চয়ই দুষ্কৃতি, অভক্ত । যে গৌরচন্দ্রকে সর্বমহেশ্বর রূপে না মানে –সে সর্বকালের পাপী । বৈষ্ণবের অদৃশ‍্য সে ।
এরপর মহাপ্রভু নিজের বিশ্বরূপ সম্বরণ করে নিলেন । ততক্ষণে স্নান সেরে সকল ভক্তরা অঙ্গনে এসে হাজির । গৌরাঙ্গ তাঁদের নিয়ে নিজ বাসায় গেলেন । আর এদিকে বিশ্বরূপ দর্শনের আবেশ অদ্বৈত ও নিত্যানন্দকে তখনও মত্ত করে রেখেছে । বৈভব দর্শন সুখে দু’জনাই গরগর তনু তখনও । ধূলায় গড়াগড়ি যাচ্ছেন, কখনও করতালি দিয়ে হাসছেন, কখনও বা নাচছেন, গান করছেন । দুই মহাবলী মহাজন ঢুলে ঢুলে পড়ছেন একে অপরের শ্রীঅঙ্গে । তারপর শেষে একসময় দু’জন গালি দিয়ে কলহ শুরু করলেন । অদ্বৈত বললেন– “এই অবধূত মাতালিয়া কোথাকার ! এখানে কে তোকে ডেকে এনেছে যে তুই এলি ! দুয়ার ভাঙ্গার অবস্থা করে ডাকাডাকি হাঁকাহাঁকি করলি কেন, শুনি ? কে তোকে বলে রে সন্ন্যাসী ! তুই কোথাকার সন্ন্যাসী ! এমন কোন জাতি আছে, যার ঘরে তুই আহার করিস নি ! তাহলে তুই কি করে সন্ন্যাসী হলি রে ! মাতোয়াল এক চলে এসেছে বৈষ্ণব সভায় ! চলে যা, বলে দিচ্ছে এখুনি । পালা এখান থেকে ।”
অদ্বৈতের গালমন্দ দেওয়া শেষ হলে এবার নিত্যানন্দ বলা শুরু করলেন । এতক্ষণ তিনি সব শুনছিলেন বড় বড় চোখ করে । এবার বললেন, “আরে নাড়া ! বসে থাকো চুপ করে । পড়ে কিলাবে । আগে তোমায় আমার প্রতাপ দেখাই ! বুড়ো বামনা ! ভয় করে না, না তোমার ! জানো ,আমি কে ? আমি ঠাকুরের ভাই, মত্ত অবধূত । আর তুমি হলে গিয়ে স্ত্রী-পুত্র সমেত সংসারী মানুষ । জানো, আমি পরমহংসের পথের অধিকারী জন । আমি তোমায় যদি মারিও তাও তোমার অধিকার নেই কিছু বলার । কেন অকারণে আমার সঙ্গে পাল্লা দিতে এসেছো ? বৃথা গর্ব দেখাচ্ছো ! আস্ফালন করছো ! কী ক্ষমতা তোমার !”
নিত্যানন্দের কথা শুনেই অদ্বৈত যেন ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেন । বললেন, “দিগম্বর হয়ে থাকো ! মৎস খাও, মাংস খাও– কোথাকার সন্ন্যাসী এমন করে শুনি ! কোথায় তোমার পিতা, কোথায় মাতা, কোন দেশেই বা তোমার বসতি ? কেউ কী জানে তোমার ব্যাপারে কিছু, কেউ জানে না ! কোথা থেকে এক চোর এসেছে ! –সর্বক্ষণ খাব, গিলবো, সংহার করবো এসব বলে চলেছে ! আরে সন্ন্যাসী তো তাকে বলা হয় যে কিছু চায় না । আর তুমি তো এমন যে একবেলায় তিন-তিনবার খাও। শ্রীবাস পন্ডিতের জাতি-জ্ঞান সব গেছে, কোথাকার এক অবধূতকে ঠাঁই দিয়েছে নিজের গৃহে ! এই অবধূতই সকল জাতি নাশ করলো ওর । কোথা থেকে মদ‍্যপ এসে বসে পড়েছে !” –এভাবে কৃষ্ণপ্রেম সুধারসে কলহমত্ত হলেন দু’জন ।
কলহ করেন সর্বক্ষণ দু’জন-নিত্যানন্দ ও অদ্বৈত । অথচ এঁনাদের একজনের পক্ষ হয়ে কিছু বললে, অন্য জনের নিন্দা করলে তার ভক্তি ক্ষয় হয়– পতন হয় তার । নিত্যানন্দ-অদ্বৈতের কলহ হচ্ছে প্রেমকলহ । এই প্রেমকলহের মর্ম না জেনে একজনের প্রশংসা, অপরজনের বন্দনা করলে– সে পুড়ে মরে নরকে । আবার শুধু তাই নয়, যদি এমনও হয় যে, অদ্বৈতের পক্ষ হয়ে বললো আর গদাধরের নিন্দা করলো –সেক্ষেত্রেও একই ব‍্যাপার ঘটে । সে কখনও অদ্বৈত-কিঙ্কর হতে পারে না । ঈশ্বর ঈশ্বরেরই কলহের পাত্র –এখানে । এসবই তো বিষ্ণু-বৈষ্ণবের বৈভবের লীলা । বিষ্ণু ও বৈষ্ণব সমান দুই । অথচ পাষণ্ডী নিন্দুক যারা, তারা এই বৈভবকে বিপর্য‍য় ভাবে । যাঁরা সকল বৈষ্ণবের প্রতি অভেদ দৃষ্টি দিয়ে শ্রদ্ধা করে তারাই তো ভবতরণী তরতে পারে ।
শ্রীমন্ মহাপ্রভুর এই বিশ্বরূপ দর্শন দান লীলা যাঁরা শোনেন, পাঠ করেন, বিশ্বাস করেন– তাঁরা কৃষ্ণধন প্রাপ্ত হন ।

(সংকলিত)
গ্রন্থ – মহাপ্রভুর মধুময় কথা

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জানুন বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস কেন পালিত হয় এবং এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ।।।

জৈবিক বৈচিত্র্যের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস প্রতি বছর 22শে মে পালিত হয়। আজ (বুধবার) আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস। প্রকৃতিতে, পাখি ও জন্তু থেকে শুরু করে ফুল, পাখি, মাছ ও কীটপতঙ্গ, রঙিন গাছপালা থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র জীবাণু পর্যন্ত সবকিছু নিয়েই আমাদের এই রঙিন এবং সুন্দর পৃথিবী। জীববৈচিত্র্য বিষয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য এটি পালন করা হয়।

এই তারিখটি ২২শে মে ১৯৯২ সালে নাইরোবিতে জৈবিক বৈচিত্র্য সংক্রান্ত সম্মেলনের সম্মত পাঠ গ্রহণের তারিখকে স্মরণ করে।
বন্যপ্রাণীর পরিবেশে দারুন প্রভাব রয়েছে। বাস্তুতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এদেরকে বাদ দিয়ে জীবণ সম্পূর্ন্য হয় না। আমরা সকলেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে একে অপরের ওপরে নির্ভরশীল। এদের ছাড়া জীবন বৃত্ত যে অসম্পূরান তা আজ আমরা ওনেকটাই উপলব্ধি করতে পারছি। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কোটি কোটি মানুষ খাদ্য, শক্তি, উপকরণ, ওষুধ, চিত্তবিনোদন, অনুপ্রেরণা এবং মানুষের কল্যাণে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বন্য প্রজাতির ব্যবহার থেকে প্রতিদিন উপকৃত হয়। ত্বরান্বিত বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য সংকট, এক মিলিয়ন প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণী বিলুপ্তির মুখোমুখি। এর ফলে প্রকৃতি তার বৈষম্য হারিয়ে ফেলছে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ডে (ডব্লিউডব্লিউডি) হল অনেক সুন্দর এবং বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদ উদযাপনের একটি সুযোগ এবং তাদের সংরক্ষণ মানুষের জন্য যে উপকারিতা প্রদান করে সে সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে। একই সময়ে, দিবসটি আমাদেরকে বন্যপ্রাণী অপরাধ এবং মানব-প্ররোচিত প্রজাতির হ্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরদার করার জরুরি প্রয়োজনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যার ব্যাপক অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং সামাজিক প্রভাব রয়েছে। মানুষের জন্য অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সেবার উৎস হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন জীবের জীন, প্রজাতি ও প্রতিবেশ ব্যবস্থা তথা ইকোসিস্টেম সমূহের প্রকারভেদ। পৃথিবীর জৈব-বৈচিত্র্য জেনেটিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষাগত, সাংস্কৃতিক, বিনোদনগত ও সৌন্দৰ্য্যগত বিভিন্ন দিক থেকে অতি মূল্যবান। প্রাণের ক্রম বিবর্তন এবং পৃথিবীতে জীবের বিকাশ লাভের ক্ষেত্রে জৈব-বৈচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য, ঔষধ ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ অথচ জীববৈচিত্রের প্রতি মানুষেরই বিরূপ কর্মকাণ্ড যেভাবে অবাধে চলছে তাতে আশংকা হচ্ছে যে, ২০২৫ সালের মধ্যে ২০-২৫% প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। তাই জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে ও যথার্থ ব্যবহারে তৎপর হওয়ার আহবানেই হচ্ছে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালন। বিশ শতকের ৭০-এর দশক থেকে খাদ্য-বস্ত্রসহ মানুষের নানান ধারার চাহিদার পরিসর বিস্তৃত হওয়ার কারণে লাখ লাখ প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ১৫ হাজার তথ্য সূত্র নিয়ে ৩ বছরের গবেষণা শেষে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ‘সামারি ফর দ্য পলিসিমেকার’ শিরোনামে প্রকাশিত হয় জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনের সারমর্ম। ৪০ পৃষ্ঠার সেই সংক্ষেপ হাজির করতে গিয়ে বলা হয়েছে, মানবজাতি কীভাবে নিজেদের ‘একমাত্র বাড়ি’-কে ধ্বংস করছে; এটাই তার সবচেয়ে শক্তিশালী দলিল।
প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, স্থল, জল কিংবা আকাশ; সবখানেই মানুষের কারণে বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে বিভিন্ন প্রজাতি। জাতিসংঘের ইন্টার গভর্নমেন্টাল সায়েন্স পলিসি প্ল্যাটফর্ম অন বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসের ১৮০০ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে বিশ্বের ১০ লাখ প্রাণী বিলুপ্তির হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়, প্রাণী জগতের ২৫ ভাগ প্রজাতিই মানুষের কারণে বিপন্নতার মধ্যে রয়েছে।
তাই জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে ১৯৯৩ সালের শেষদিকে দিবসটি পালনের জন্য ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশ এ দিবস পালন বন্ধ করে দিলে ২০০২ সালের ২২ মে দিবসটি পুনর্নির্ধারণ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। তখন থেকে প্রতিবছর ২২ শে মে এ দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে।
মূলত ১৯৯২ সালের ২২ মে কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জীববৈচিত্র্য বিষয়ক কনভেনশনে দিনটিকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
মানুষের অপরিণামদশী কর্মকাণ্ডের ফলে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্য হারে অবাধে সংকুচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাসীর উদ্বেগের প্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং তার টেকসই ও সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির উদ্যোগে ১৯৯২ সালে জীববৈচিত্র্য কনভেনশন নামে একটি আন্তর্জাতিক দলিল চূড়ান্ত করা হয়। বর্তমানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা ১৯৫ টি।
দিন দিন রুক্ষ হচ্ছে প্রকৃতি। সময় ও সময়ের গতি ক্রমশ ভিন্ন খাতে বহিছে। আগের সেই প্রকৃতির ধারা সম ভাবে প্রবাহমান নয়। চারদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, নদীভাঙন, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার, বহু বন্য প্রাণীর সংকটাপন্ন অবস্থায় চলে যাওয়া-সব মিলিয়ে এবার দিবসটি বাড়তি গুরুত্ব বহন করছে। সেই শূন্যতা যাতে ভবিষ্যতে আর বৃদ্ধি না ঘটিয়ে বিপর্যয় না ডেকে আনে তার গুরুত্ব তুলে ধরতে দিনটি পালিত হচ্ছে এই লক্ষে।জীব বৈচিত্র্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতেই জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি ২২ মে দিনটি বিশ্ব জীব বৈচিত্র্য দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে।

।।তাত্থ্য ও ছবি : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২২ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ২২ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব জীব বৈচিত্র্য দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—- .

১৭৭০- রাজকুমারী এলিজাবেথ।

১৭৭২ – রাজা রামমোহন রায়, প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক।

১৮২২ – কিশোরীচাঁদ মিত্র, বাঙালী লেখক,সমাজকর্মী।
১৮৫৯ – আর্থার কোনান ডয়েল, স্কটিশ সাহিত্যিক, শার্লক হোম্‌সের গল্পসমূহের জন্য বিখ্যাত।
১৯০৭ – অ্যার্জে, বেলজীয় কমিক্স লেখক ও চিত্রকর।
১৯০৭ – লরন্স অলিভিয়ে, ইংরেজ অভিনেতা ও পরিচালক।

১৯১৭ – সুনীতি চৌধুরী ঘোষ, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী বিপ্লবী।
১৯৪৬ – জর্জ বেস্ট, আইরিশ ফুটবলার।
১৯৫০ – স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, কিংবদন্তি বাঙালি মঞ্চাভিনেত্রী।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৫৪৫ – আফগান সম্রাট শের শাহ নিহত হন।
১৭১২ – ষষ্ঠ ক্যারেল হাঙ্গেরির রাজা হিসেবে অভিষিক্ত
১৭৪৬ – রাশিয়া ও অষ্ট্রিয়া সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর।
১৭৬২ – সুইডেন ও প্রুশিয়া শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর।
১৮০৩ – কানেকটিকাটে প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন।
১৮৯৭ – টেমস নদীর তলদেশে ব্লাক ওয়াল টানেল আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়।
১৯২৭ – চীনের নানশানে প্রচণ্ড ভূমিকম্পে দুই লক্ষ লোকের প্রাণহানি।
১৯৩৯ – জার্মানির বার্লিনে ইতালী ও জার্মানির মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত।
১৯৭২ – সিলোনের নাম শ্রীলঙ্কা রাখা হয় এবং দেশটি প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়।
১৯৯০ – উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ ঘোষণা পত্রে দুই ইয়েমেনকে একত্রীকরণের কথা ঘোষণা করেন।
১৯৯৪ – সম্মিলিত জার্মানীর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রোমান হারজগ।
২০০৪ – ভারতের কংগ্রেস জোটের মনোনীত দেশটির ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ডঃ মনমোহন সিং শপথ গ্রহণ করেছিলেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১১৫৭ – জাপানের সম্রাট গো-রেইজেই।
১৫৪৫ – আফগান সম্রাট শের শাহ।
১৮৮৫ – ভিক্টর হুগো, ফরাসি সাহিত্যক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার কর্মী।
১৮৯৮ – এডওয়ার্ড বেলামি, মার্কিন লেখক এবং সমাজতন্ত্রী।
১৯৬৬ – টম গডার্ড, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯৬৭ – মার্কিন কবি ল্যাংস্টন হিউজ।
১৯৯১ – শ্রীপাদ অমৃত ডাঙ্গে, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ।
২০১১ -চিদানন্দ দাসগুপ্ত, ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র সমালোচক, চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ।
২০১৮ – তাজিন আহমেদ, বাংলাদেশী অভিনেত্রী, সাংবাদিক ও উপস্থাপক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং দিনটির ইতিহাস।।।।।

প্রতি বছর 21 মে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালিত হয়। এই দিনে, চা প্রেমীরা তাদের প্রিয় পানীয় উদযাপনে একত্রিত হয়। আন্তর্জাতিক চা দিবস চায়ের উৎপাদন ও ব্যবহার টিকিয়ে রাখার উপায়ও প্রচার করে। এই দিনে, আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মোকাবেলায় চায়ের গুরুত্ব সম্পর্কেও জানতে পারি। আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে চা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয় পানীয়।

প্রতি সেকেন্ডে, মানুষ 25,000 কাপ চা খায়, যার অর্থ প্রতিদিন দুই বিলিয়ন কাপের বেশি চা খাওয়া হয়। আপনি যদি স্টাইলে উদযাপন করতে চান, চা প্রেমীদের জন্য উপহারের জন্য আমাদের গাইড দেখুন।

আন্তর্জাতিক চা দিবসের ইতিহাস—

2005 সালে, চা উৎপাদনকারী দেশগুলি আন্তর্জাতিক চা দিবস উদযাপনের জন্য একত্রিত হয়েছিল। এই দেশগুলি হল শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া এবং উগান্ডা। 2019 সালে, চায়ের আন্তঃসরকারি গোষ্ঠী 21 মে আন্তর্জাতিক চা দিবস উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। জাতিসংঘ 21 ডিসেম্বর, 2019-এ উদযাপনে হ্যাঁ বলেছিল। 21 মে, 2020-এ প্রথম আনুষ্ঠানিক জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক চা দিবস পালিত হয়েছিল।
অনুমান দেখায় যে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে চা পানকারীদের সংখ্যাও বাড়বে। ভারত ও চীনে চায়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই দুটি দেশ একাই বিশ্বের মোট জনসংখ্যার 37%, অর্থাৎ চা প্রেমীদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারত এবং চীনে বসবাস করে। কিংবদন্তি অনুসারে, চীনের সম্রাট শেন হাং চা আবিষ্কার করেছিলেন যখন একটি গাছের পাতা ফুটন্ত জলের পাত্রে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি গরম তরল পছন্দ করতেন এবং মানবতা কখনই পিছনে ফিরে তাকায়নি।
স্বাদের জন্য এটি পান করার পাশাপাশি, চা পানের বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, হাড়কে রক্ষা করে, দাঁতের ক্ষতি রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে এবং শরীরকে শিথিল করে। অভ্যাসগত চা পানকারীদের অকালে মৃত্যুর সম্ভাবনাও কম। অভ্যাসগত চা পানকারীরা সপ্তাহে অন্তত তিনবার পানীয় পান করেন। সবুজ চায়ে কালো চায়ের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে বলে মনে হয়।

আন্তর্জাতিক চা দিবসের কার্যক্রম—

চা পান করো—

আন্তর্জাতিক চা দিবস উদযাপনের সুস্পষ্ট এবং সর্বোত্তম উপায় হল চা পান করা। আপনার প্রিয় স্বাদ তৈরি করুন এবং সারা দিন সেগুলি পান করুন। একটি লম্বা চা পানীয়ের সাথে আপনার খাবার জুড়ুন।

স্বাদ নিয়ে পরীক্ষা —-

আমাদের সকলেরই আমাদের প্রিয় চায়ের স্বাদ রয়েছে, তবে আন্তর্জাতিক চা দিবসে নতুন স্বাদ নিয়ে পরীক্ষা করার বিষয়ে কীভাবে? আপনি ভেষজ চা, ফুলের চা, ম্যাচা চা এবং আরও অনেক কিছু চেষ্টা করতে পারেন!

একটি উচ্চ চা পরিষেবার আয়োজন করুন—-

আন্তর্জাতিক চা দিবসে একটি উচ্চ চা পরিষেবার আয়োজন করুন। আপনার বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান এবং আপনি একটি ছোট চা-স্বাদ পার্টিও করতে পারেন! কেক, স্কোন এবং স্যান্ডউইচ স্টক আপ করতে ভুলবেন না!

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This