দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- গত কয়েক বছর ধরে অনলাইন কেনাকাটা ও রেডিমেড পোশাকের রমরমা বাজারে থমকে ছিল বালুরঘাটের ঐতিহ্যবাহী এবং নামী দোকানগুলির পোশাক তৈরির ব্যবসা। তবে এ বছর পুজোকে ঘিরে ফের প্রাণ ফিরে পেয়েছে এই সব দর্জিদের ব্যবসা। ছেলেদের তৈরি পোশাক এবং মেয়েদের তৈরি পোশাক এই দুইয়েরই চাহিদা বেড়েছে এবছর বেশ কিছুটা। তাই তো দর্জিদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো।
বালুরঘাটের বড়বাজার, কুঠি কাছারি, লেলিন সরনী, ডানলপ মোর, পাবলিক বাস স্ট্যান্ড, জেলা হাসপাতাল রোড, চকভৃগু সহ বিভিন্ন এলাকায় দর্জিদের দোকানে চোখে পড়ছে ভিড়। সারা বছর কম বেশি ভিড় থাকলেও দুর্গাপুজোর মরশুমে এই ভিড় সবচেয়ে বেশি হয়। দর্জিরা জানালেন, এই ভিড় চলবে ভাইফোঁটা পর্যন্ত। অর্ডার নেওয়া পোশাক সময়মতো ক্রেতাদের হাতে দেওয়ার জন্য দর্জিরা দিনরাত এক করে কাজ করছেন। তাদের তৈরি পোশাক ইতিমধ্যেই ক্রেতাদের নজর কেড়েছে।
দীর্ঘদিন পর এমন চাহিদা দেখে খুশি তাঁরা। কেউ রাত্রি জেগে আবার কেউ সকাল থেকে রাত অবধি বিভিন্ন পোশাক তৈরি করতে ব্যস্ত। এক দর্জি জানান, আগের মতোই পুজোর মরশুমে এখন পোশাক তৈরির চাপ বেড়েছে। একেক জনের হাতে প্রায় সারাবছরের কাজ জমে গেছে।
স্থানীয়দের মতে, অনলাইন কেনাকাটা বা রেডিমেড পোশাকের চেয়ে হাতে তৈরি পোশাকের চাহিদা এখন অনেকটাই বেশি। বিশেষ করে দুর্গাপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নতুন পোশাক তৈরির হিড়িক পড়েছে। বিভিন্ন কারিগরের মধ্যে দেখা যাচ্ছে প্রতিযোগিতা—কার নকশা কতটা আকর্ষণীয় হয়।
এক দর্জি হাসিমুখে বলেন, পুজো মানেই নতুন পোশাক। আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে এই সময়টাই সারা বছরের রোজগারের ভরসা।