Categories
বিবিধ রিভিউ

শতবর্ষের ঐতিহ্যে টিকে আছে পাহাড়েশ্বরের শ্মশান কালী — ভক্তদের ঢল অমাবস্যা থেকে কালীপুজোয়।

বীরভূম, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পাহাড়েশ্বর শ্মশান কালীর মাহাত্ম্য
মাঝে একটি দিন। তারপরেই কালীপুজো।চারিদিকে সাজো সাজো রব।
বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পাহাড়েশ্বরের শ্মশান কালী সর্বজন বিদিত। শতাব্দী প্রাচীন এই কালী মন্দিরের নানান মাহাত্ম্য রয়েছে। কালীপুজোর দিন মায়ের পূজো হলেও বিসর্জন হয় প্রায় এক বছর পর দুর্গাপুজোর পর একাদশীর দিন। স্থানীয় দাস সম্প্রদায়ের মানুষরা বংশ পরম্পরায় বিসর্জন করে থাকেন।পরদিন শুরু হয় কাঠামো তৈরি ও ম্যাড় বাঁধা। ত্রয়োদশীর দিন মাটি লাগানো শুরু হয়। যেহেতু শ্মশান কালী তাই শ্মশানের বাঁশ , মাটি দিয়ে মায়ের প্রতিমা তৈরি হয়। এজন্য যে জলের প্রয়োজন তা মন্দিরের নিকট দু ফুট গর্ত খুঁড়ে পাওয়া যায় যেটা গঙ্গাকুণ্ড নামে খ্যাত। প্রতিমা তৈরি সম্পূর্ণ হলে গঙ্গা কুণ্ডের জল আপনা আপনি শুকিয়ে যায়।এছাড়াও মায়ের নির্ণীয়মান মাটি শুকানোর জন্য শ্মশানের অঙ্গার জ্বালিয়ে সেঁক দেওয়া হয় । সারা বছর মায়ের নিত্য সেবা হয়। তবে অমাবশ্যা তিথিতে ভক্তদের ভীড় বেশি থাকে।আর কালীপুজোর দিন তো ভীড় উপচে পড়ে।কালীপুজোর অমানিশিতে কাঁটার আসনে বসে পুজো করা হয় শ্মশান কালীর। বর্তমানের সেবাইত তন্ময় দাস জানান শতাধিক বছরের শ্মশান কালী তারা বংশ পরম্পরায় পুজো করে আসছেন। এবিষয়ে তিনি বিশদে জানান।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *