দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- চিকিৎসা জগতে মাঝে মাঝেই এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বিজ্ঞানকেও অবাক করে দেয়। ঠিক তেমনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী থাকলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সরকারী হাসপাতাল, যেখানে অতিরিক্ত মদ্যপানে মৃত্যুর মুখে পতিত এক রোগীকে অবিশ্বাস্যভাবে জীবনের আলোয় ফিরিয়ে আনলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডক্টর শান্তনু দাস।
ঘটনাটি ঘটে কয়েকদিন আগে। এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও রোগীর শরীরের জটিলতা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না। ক্রমে তাঁর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস থেমে যায়—সব দিক থেকেই মনে হচ্ছিল, মৃত্যু তাঁকে গ্রাস করেছে। কর্তব্যনিষ্ঠ চিকিৎসকেরা তখন আনুষ্ঠানিকভাবে রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিন্তু তখনই দৃশ্যে প্রবেশ করেন ডক্টর শান্তনু দাস, হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক । দীর্ঘ চিকিৎসাজীবনের অভিজ্ঞতা ও দৃঢ় মানসিকতার জোরে তিনি হাল ছাড়েননি। তিনি রোগীর দেহের প্রতি ক্ষুদ্রতম সাড়া পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। নিজের তৈরি বিশেষ চিকিৎসা-পদ্ধতি, ওষুধ প্রয়োগ এবং আধুনিক জীবনরক্ষাকারী যন্ত্রের ব্যবহার করে তিনি টানা প্রায় কয়েক মাস ধরে লড়াই চালিয়ে যান—জীবনের জন্য, মানবতার জন্য।
অবশেষে ঘটে অবিশ্বাস্য ঘটনা! মৃত ঘোষিত সেই রোগীর শরীরে দেখা যায় ক্ষীণ নড়াচড়া, হৃদস্পন্দন ফের জেগে ওঠে। উপস্থিত চিকিৎসক, নার্স এবং রোগীর পরিবারের সদস্যরা স্তব্ধ হয়ে যান—যেন মৃত্যু থেকে ফিরে এলো এক জীবন! ধীরে ধীরে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বর্তমানে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
ডক্টর শান্তনু দাস বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, যতক্ষণ একটিও আশার আলো থাকে, ততক্ষণ মৃত্যু নিশ্চিত নয়। চিকিৎসা শুধু বিজ্ঞানের নয়, এটি মানবতারও বিষয়।”