Categories
বিবিধ

রামলাল নামক দাঁতালের গ্রামভ্রমণ, আতঙ্কিত গড়বেতার লক্ষণপুর এলাকা।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- শুক্রবার সকালে লোকালয়ে ঢুকে পড়ল জঙ্গলমহলের অতি পরিচিত রামলাল নামক দাঁতাল হাতি, আর লোকালয়ে প্রবেশ করায় যথেষ্ট আতঙ্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা এক নম্বর ব্লকের ৮ নম্বর অঞ্চলের লক্ষণপুর এলাকায়,স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই দিন সকাল নাগাদ হঠাৎই জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতিটি,অন্যদিকে গ্রামের যুবকরা হাতিটিকে পুনরায় জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে, ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের তরফ থেকে এলাকার মানুষজনকে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাতিটির গতিবিধির উপর নজর রেখেছে বনদপ্তর।

Share This
Categories
বিবিধ রিভিউ

‘প্রতি শুক্রবার হাট বসবে’— দোমুয়ানীতে শাকসবজি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- শুক্রবার থেকে শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনারোড শহর সংলগ্ন দোমুয়ানী এলাকায় শুরু হয়েছে হাট, জানা গিয়েছে প্রত্যেক শুক্রবার সকাল থেকে বসবে হাট-বাজার, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহ পাওয়া যাবে শাকসবজি, জানা গিয়েছে দোমুয়ানী ইসলামিয়া ক্লাবের সহযোগিতায় এবং স্থানীয় মানুষজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রথম দিনে যথেষ্ট ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে হাট বাজারে।

Share This
Categories
বিবিধ

নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘিরে বিতর্ক, তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যেই মতভেদ।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- মেয়াদ পূরণের আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এই নিয়ে তমলুক পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ন রায়কে ইতিমধ্যেই মৌখিক ভাবে অবগত করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজিত রায়।প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন পূর্বেই তমলুক সংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল দীপেন্দ্র নারায়ন রায়কে।শুক্রবার দুপুর নাগাদ লিখিত নির্দেশ চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেবেন জেলা সভাপতি সূত্রের খবর।শুক্রবার পদত্যাগ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন দিপেন্দ্র নারায়ন রায়। দীপেন্দ্র নারায়ন রায় বলেন তিনি দীর্ঘদিন স্বচ্ছতার সাথে কাজ করেছেন।প্রায় ৬ কোটি টাকার কাজ তিনি করেছেন।দল আরো যোগ্য ব্যক্তি পেয়েছে তাই তাকে সরানো হলো।তবে তিনি নিজেকে অনেকের থেকে যোগ্য বলেও দাবি করেছেন।আমি অন্যদের মত নয় চেয়ার আঁকড়ে পড়ে থাকবো।তাই লিখিত নির্দেশের আগেই পদ ছাড়ার জন্যে তৈরি হয়ে গেলাম এমনটাই দাবি দ্বীপেন্দ্র নারায়ন রায়ের।তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি আরো আশ্চর্জনক।জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছায়িত বলেন দিপেন্দ্র নারায়ণ রায় কালীঘাটে টাকা পৌঁছতে পারছিলেন না। তার রাজনৈতিক জীবন অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন না, তাই জন্যই তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হলো।তবে তমলুকের তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশর ও একই মত। তারাও দাবি করেছেন দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় স্বচ্ছতার সাথে কাজ করেছেন। তবে যে দুজনের নাম উঠে আসছে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে তারা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। তমলুকের মানুষ তাদের ভালো চোখে নিচ্ছে না।

Share This
Categories
বিবিধ

দেশপ্রেমের আবহে ভেসে উঠল দক্ষিণ দিনাজপুর, বন্দেমাতরমের সুরে একত্রিত জনতা।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বন্দেমাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপির মিছিল
বন্দেমাতরম গানের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সর্বমোট ২৬টি মন্ডলে আজ বিজেপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। দেশপ্রেমের আবহে ভেসে ওঠে গোটা জেলা।
বালুরঘাট নগর মন্ডলের পক্ষ থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয় বিজেপির জেলা কার্যালয় থেকে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে হিলিমোর পর্যন্ত পৌঁছে। হাতে জাতীয় পতাকা, কণ্ঠে ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনি— দেশপ্রেমে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব, কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “বন্দেমাতরম শুধু একটি গান নয়, এটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণার উৎস। এই দিনটি আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক হিসেবে স্মরণীয়।”
জেলাজুড়ে বিজেপির এই উদ্যোগে দেশপ্রেমের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

Share This
Categories
বিবিধ

BDO অফিস থেকে শহর পরিক্রমা, “বন্দেমাতরম” উদ্‌যাপনে উচ্ছ্বাস চন্দ্রকোনারোডে।

পশ্চিম মেদিনীপুর , নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- জাতীয় সংগীত “বন্দেমাতরম”এর সার্ধশত বর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনারোড শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করল BJP র নেতাকর্মীরা। এই দিন BDO অফিস প্রাঙ্গন থেকে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা গোটা শহর পরিক্রমা করে, এই দিন জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে কয়েকশ কর্মী সমর্থক পা মিলিয়েছেন এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়।এইদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব ধীমান কোলে,জেলা নেতৃত্ব গৌতম কৌড়ি, মন্ডল সভাপতি পলাশ সেন সহ অন্যান্য বিজেপির নেতাকর্মীরা।

Share This
Categories
বিবিধ রিভিউ

হাইকোর্টের নির্দেশে সচেতনতা প্রচার ও নিয়ন্ত্রিত বলি, জানালেন বোল্লা কালী মন্দির ট্রাস্টের আইনজীবী।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- উত্তরবঙ্গের প্রসিদ্ধ বোল্লা রক্ষাকালী মাতার পুজোর সময় পাঁঠা বলি নিয়ে গত ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ (মঙ্গলবার) কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া অর্ডারের বিষয় নিয়ে প্রেস বিবৃতি দিলেন বোল্লা ঈশ্বরী শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মাতা মন্দির ট্রাস্টের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ড. বিনয় ব্রত ভৌমিক, এই দিন তিনি বোল্লা কালী মাতা মন্দির ট্রাস্টের অফিস ঘরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান “গত ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫,মহামান্য কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি শ্রী সুজয় পাল এবং মহামান্য বিচারপতি শ্রী পার্থ সরথি সেন কর্তৃক প্রদত্ত আদেশে কলিকাতা উচ্চ ন্যায়ালয় নির্দেশ প্রদান করেন যে, গত ৩রা শে নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বালুরঘাট সদর Sub-Divisional Officer সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো কঠোরভাবে মেনে চলে এবং নিশ্চিত করে যে কোনো গণবলি অনুষ্ঠিত না হয়। বলিদান শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্থানে হতে হবে, অন্য কোথাও নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বোল্লা মন্দিরের বলি ঘরে কোন কালেই গণ বলি অনুষ্ঠিত হয় না। প্রতিটা পশু এক এক করে সরকারি পশু চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষিত হওয়ার পর অনুমোদিত লাইসেন্স প্রাপ্ত বলির স্থানে শুধুমাত্র মানবজাতিকে আহার পরিবেশন করার জন্য বলি হয়। এখানে কোন গর্ভবতী পশু বা বাচ্চাসহ পশু, তিন মাসের কম বয়সী বাচ্চা পশু অথবা অসুস্থ প্রাণীকে বলি দেওয়া হয় না। এগুলো আমাদের শাস্ত্রেও বারণ আছে। পশুগুলিকে কখনোই একে অপরের সামনে বলি দেওয়া হয় না। এই প্রসঙ্গে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট লক্ষীনারায়ণ বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য ২০২৩ মামলার সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী মেনে বলি দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেন যে,এই আদেশটি সাধারণ মানুষের নিকট সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সরকার এবং বোল্লা কালী পূজা ট্রাস্টের কর্তৃপক্ষ গত ৫ই নভেম্বর তারিখের মধ্যে সকল স্তরে, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে উক্ত আদেশ প্রচারের চেষ্টা করবে।
মা বোল্লা কালী মাতার কৃপায় মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে অনুমোদিত লাইসেন্স প্রাপ্ত বলি ঘরেই এবারে বোল্লা কালী মাতা মন্দিরের বলি সুসম্পন্ন হবে।”

Share This
Categories
বিবিধ

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাজসেবামূলক উদ্যোগ।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে বালুরঘাট শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে বিশেষ কর্মসূচি পালিত হলো। শুক্রবার বালুরঘাটের বুড়া কালী মন্দিরে পুজো অর্চনা দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে দুঃস্থ ও প্রয়োজনীয় মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। ছাত্র পরিষদের সদস্যরা জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ ও সমাজসেবার পথ অনুসরণ করেই তারা এই কর্মসূচি আয়োজন করেছেন।

Share This
Categories
বিবিধ

মেলাকে সফল করতে সক্রিয় প্রশাসন— উপস্থিত মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ও রুমেলা দে রায়।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ দিন রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর হাইস্কুল মাঠে।সেই মেলাকে সাফল্যমন্ডিত করার উদ্দেশ্যে বুধবার বুনিয়াদপুর সার্কিট হাউসে প্রস্তুতি সভা করলেন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র।এদিন প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রুমেলা দে রায় সহ গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসক অভিষেক শুক্লা, পুলিশ,দমকল,পরিবহন, ব্লক প্রশাসন এবং অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিক বৃন্দ।জানা গেছে,দক্ষিন দিনাজপুর,উওর দিনাজপুর এবং মালদা জেলাকে নিয়ে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে এবং আর্থিক সহযোগীতায় ৩ দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।এদিনের প্রস্তুতি সভায় মেলাকে সর্ব্বাঙ্গীন রুপ দিতে এবং নির্ব্বিগ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নিজস্ব দপ্তর এবং অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন আলোচনা করেন দপ্তরের বিশেষ সচিব রুমেলা দে রায়। ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র মেলাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নিজস্ব দপ্তর এবং অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিক এবং বিডিওদের মাঠে নামার নির্দেশ দেন।

Share This
Categories
প্রবন্ধ বিবিধ

ছাগ বলি বিতর্কে ফের আদালতের দ্বারস্থ পশুপ্রেমীরা, তবুও ঐতিহ্য ধরে রাখছে বোল্লা কালী পুজো।

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা : – প্রত্যেক বছর মত এবছরও রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার বালুরঘাটের বোল্লা এলাকায় উত্তরবঙ্গের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ এবং প্রাচীন ঐতিহ্যবাহি বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো অনুষ্ঠিত এদিন শুরু হল। এই বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো। পুজোর পাশাপাশি চারদিন মেলাও বসে। প্রতি বছর বোল্লা মায়ের পুজো ও মেলায় লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়।মেলা উপলক্ষে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প । মহিলা পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার, সাদা পোশাকের পুলিশ, পুলিশ আধিকারিক-সহ প্রায় দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়ে থাকে এই কদিন মেলাকে ঘিরে।স্বাভাবিক ভাবেই, মন্দির কমিটি এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশ মেলার নিরাপত্তা-সহ আগত ভক্তদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে ।পাশাপাশি প্রচুর সিসি ক্যামেরার মধ্যমে এই মেলাকে মুড়ে ফেলে

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। জেলার সদর শহর বালুরঘাট শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে বোল্লা গ্রামে অবস্থিত ঐতিহ্য ও মাহাত্ম্য সমৃদ্ধ রক্ষা কালী মাতা মন্দির। যা উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বোল্লা কালী পুজো ও মন্দির। এই মাতা বোল্লা কালী মাতা বলেই সুপ্রসিদ্ধ।

রাসপূর্ণিমার পরবর্তী শুক্রবারে মায়ের বাৎসরিক পুজো অনুষ্ঠিত হয় ও সোমবারে মায়ের বিসর্জন হয়। এই কয়েকদিন যাবত মায়ের পুজোকে ঘিরে বিশাল মেলা হয়।উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের রাস মেলার পর এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা হিসেবে বিবেচিত।দুই দিনাজপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা ও রাজ্য, এমনকি বাংলাদেশ থেকেও বহু মানুষ এই পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মেলা দেখতে আসেন। পজোর দিন সারাদিন সারা রাত জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুন্যার্থীদের বোল্লাতে আসার জন্য বেসরকারি পরিবহন চলাচল করে থাকে।এর পাশাপাশি রেলের তরফে বালুরঘাট থেকে কলকাতাগামী ও শিলিগুড়িগামী এক্সপ্রেস ট্রেন গুলি অস্থায়ী ভাবে বোল্লার পাশ দিয়ে যাওয়া রেল লাইনে স্টপেজ দেওয়া হয়।সোমবার বিসর্জনের দিন বিশেষ করে পুজোকে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় বউ মেলা।

কথিত আছে, জনৈক এক ব্যক্তি মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুকুর থেকে মায়ের শিলাময় রূপটি উদ্ধার করেন ও প্রতিষ্ঠা করে নিত্য পূজা শুরু করেন। এই সময়ে মাকে ‘মরকা কালী’ বলে অভিহিত করা হত। প্রতি জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যায় হত মায়ের বিশেষ পূজা। এরপর ইংরেজ আমলে স্থানীয় জমিদার মুরারিমোহন চৌধুরী ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ঘটনাক্রমে বহু গ্রামবাসী সহ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তিনি মড়কা কালী মায়ের কাছে প্রার্থনা করেন। তিনি বেকসুর খালাস পান। জ্যৈষ্ঠ মাস আসতে দেরি থাকায়; সেই সময় তিনি ধার্য করেন যে, রাস পূর্ণিমার পরবর্তী শুক্রবারে মায়ের পুজো করবেন। সেই থেকে দেবীর বাৎসরিক পুজো ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

বর্তমানে সাড়ে সাত হাত মাতৃমূর্তি পূজিত হন। কয়েক হাজার পাঁঠাবলি ও একটি মহিষ বলি হয়। প্রায় ১৪ কেজি সোনার গহনায় মায়ের প্রতিমা সজ্জিত হয়।মায়ের হাতের খড়গ থেকে পুরো শরীর পর্যন্ত সোনার গয়নায় মোড়া থাকে। পাশাপাশি বহুমুল্যের হীরের গহনাও মায়ের অংগে শোভা পায়।সোনা হীরে গহনা সব ভক্তদের দান।এছাড়াও বহু ভক্ত মানত করা ছোট ছোট কালী মূর্তিতে পূজা দেন ও বাতাসা নৈবেদ্য অর্পণ করেন। স্থানীয় মুসলিমরাও হিন্দুদের সাথে মায়ের উদ্দ্যেশ্যে পুজো দেন। বল্লভ মুখোপাধ্যায় বলে কোনো জমিদারের নাম থেকে অঞ্চলটির নাম হয় বোল্লা। বোল্লা গ্রামে অবস্থিত রক্ষা কালী মাতা ‘বোল্লা রক্ষা কালী’ বা ‘বোল্লা কালী’ নামে ভক্ত মহলে সুপ্রসিদ্ধ। আর সে থেকেই বোল্লা কালী মাতার পুজো হয়ে আসছে ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহ।

বোল্লা পুজোর অন্যতম ভোগ বাতাসা বা মিষ্টান্ন ভোগ। পুজোর কয়েক দিনে কয়েক হাজার কুইন্টাল বাতাসা বিক্রি হয়। জেলা সহ বাইরে থেকে বাতাসা বিক্রেতারা বোল্লা মেলায় পসরা সাজিয়ে বসেন।বোল্লার রক্ষাকালী মাতার পুজো উপলক্ষ্যে চলে বিশেষ কদমা ও বাতাসা লুট । বোল্লার বিখ্যাত-বাতাসা, কদমা, চিনির তৈরি বিভিন্ন পুতুল লুটের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন ভক্তরা । লুটের সময় আঘাত থেকে বাঁচতে হেলমেট দিয়ে মাথা ঢেকে রাখে পুজো কমিটির সদস্যরা।
তবে বোল্লা মায়ের পুজোতে ভক্তরা মায়ের কাছে মানত করা মনের কামনা পুরন করার জন্য ছাগ বলি মানত করে থাকেন। পুজোর দিন কয়েক বছর আগেও হাজারের উপর ছাগ বলি দেওয়া হতো। কিন্তু বিগত তিন চার বছর আগে পুশুপ্রেমীরা মন্দির কমিটি ও ভক্তদের কাছে ছাগ বলি না দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তারপরেও অনেক ভক্ত তা না মানায় পশু প্রেমীদের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। কিন্তু তারপরেও পশু বলি বন্ধ করা যায় নি। এবারও পশুপ্রেমীরা ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।এখন দেখার এবার কি হয়।যদিও এই বিষয়ে মেলা কমিটির সদস্য গৌতম চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি নিয়ে মন্দির কমিটিও উদ্বিগ্ন। তারা আদালতের নির্দেশ মেনেই সব করে থাকবেন।কিন্তু সব চেয়ে দরকার ভক্তদের এব্যাপারে সচেতন করা।

Share This
Categories
বিবিধ

“যতক্ষণ আশা আছে, মৃত্যু নয়” — কথাটির জীবন্ত প্রমাণ ডক্টর শান্তনু দাস।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- চিকিৎসা জগতে মাঝে মাঝেই এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বিজ্ঞানকেও অবাক করে দেয়। ঠিক তেমনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী থাকলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সরকারী হাসপাতাল, যেখানে অতিরিক্ত মদ্যপানে মৃত্যুর মুখে পতিত এক রোগীকে অবিশ্বাস্যভাবে জীবনের আলোয় ফিরিয়ে আনলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডক্টর শান্তনু দাস।
ঘটনাটি ঘটে কয়েকদিন আগে। এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও রোগীর শরীরের জটিলতা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না। ক্রমে তাঁর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস থেমে যায়—সব দিক থেকেই মনে হচ্ছিল, মৃত্যু তাঁকে গ্রাস করেছে। কর্তব্যনিষ্ঠ চিকিৎসকেরা তখন আনুষ্ঠানিকভাবে রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিন্তু তখনই দৃশ্যে প্রবেশ করেন ডক্টর শান্তনু দাস, হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক । দীর্ঘ চিকিৎসাজীবনের অভিজ্ঞতা ও দৃঢ় মানসিকতার জোরে তিনি হাল ছাড়েননি। তিনি রোগীর দেহের প্রতি ক্ষুদ্রতম সাড়া পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। নিজের তৈরি বিশেষ চিকিৎসা-পদ্ধতি, ওষুধ প্রয়োগ এবং আধুনিক জীবনরক্ষাকারী যন্ত্রের ব্যবহার করে তিনি টানা প্রায় কয়েক মাস ধরে লড়াই চালিয়ে যান—জীবনের জন্য, মানবতার জন্য।

অবশেষে ঘটে অবিশ্বাস্য ঘটনা! মৃত ঘোষিত সেই রোগীর শরীরে দেখা যায় ক্ষীণ নড়াচড়া, হৃদস্পন্দন ফের জেগে ওঠে। উপস্থিত চিকিৎসক, নার্স এবং রোগীর পরিবারের সদস্যরা স্তব্ধ হয়ে যান—যেন মৃত্যু থেকে ফিরে এলো এক জীবন! ধীরে ধীরে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বর্তমানে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।

ডক্টর শান্তনু দাস বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, যতক্ষণ একটিও আশার আলো থাকে, ততক্ষণ মৃত্যু নিশ্চিত নয়। চিকিৎসা শুধু বিজ্ঞানের নয়, এটি মানবতারও বিষয়।”

Share This