Categories
প্রবন্ধ

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও সমাজসেবী মেজর সত্য গুপ্ত।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে  মেজর সত্য গুপ্ত ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী।মেজর সত্য গুপ্ত  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।  মেজর সত্য গুপ্ত ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং সুভাষচন্দ্র বসুর বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের মেজর।

সংক্ষিপ্ত জীবনী—

সত্য গুপ্তর জন্ম ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ই জুলাই বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার তেজগাঁও। পিতা প্যারীমোহন গুপ্ত। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। কিন্তু অশ্বিনীকুমার দত্তের নির্দেশে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি আই.এ পরীক্ষা দেন নি। আগে থেকেই তিনি বিশিষ্ট বিপ্লবী ও মুক্তি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা হেমচন্দ্র ঘোষের গুপ্ত সমিতির সভ্য ছিলেন। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে গুপ্ত বিপ্লবী দলের নির্দেশে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। এখানে সুভাষচন্দ্র বসু ও শরৎচন্দ্র বসুর সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে স্বাধীনতাকামী তরুণদের নিয়ে গঠিত হল বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স বা B.V.। সামগ্রিক নেতৃত্বে থাকলেন সত্য গুপ্ত ‘মেজর’ হিসাবে। সর্বাধিনায়ক (GOC – General Officer commanding ) সুভাষচন্দ্র বসু স্বয়ং। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্টে লোম্যান হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে পরে মুক্তি পান। কিন্তু ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই ডিসেম্বর বিনয় বসু বাদল গুপ্ত এবং দীনেশ গুপ্ত কর্তৃক রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণের ঘটনায় রাজবন্দি হন। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্টেট প্রিজনাররূপে আলিপুর, বক্সার, মিনওয়ালি (পাঞ্জাব), যারবেদা (পুনা) জেলে অতিবাহিত করেন। পরে হিজলি জেল থেকে মুক্তির পর নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর একনিষ্ঠ সহকারীরূপে সমস্ত কাজের সঙ্গী হন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের মহানিস্ক্রমন হয়। আর তখন হতেই ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি রাজবন্দিই থাকেন। মুক্তির পর বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাগু গ্রামে সমাজ সেবার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বাগু সপ্তগ্রামের পল্লী নিকেতনের সভাপতি ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই পল্লী নিকেতনের সম্পাদকও ছিলেন আর এক বিপ্লবী – তিনি হলেন নিকুঞ্জ সেন।

মেজর সত্য গুপ্ত ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে র ১৯ শে জানুয়ারি প্রয়াত হন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *