দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- হিলি সীমান্তে রাজনৈতিক তরঙ্গে পুজোর মঞ্চ! বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দেওয়া ‘শারদ সম্মান’ ফিরিয়ে দিল হিলির মানিকো সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। সোমবার কমিটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যই আমাদের যথেষ্ট, সুকান্তবাবুর ১০ হাজার টাকার পুরস্কার আমাদের প্রয়োজন নেই।”যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় রীতিমতো আলোড়ন। প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে কমিটির সম্পাদক সুজন মণ্ডল বলেন, “আমাদের ক্লাবে সাংসদের প্রতিনিধি কখনও আসেননি। তবু কেমন করে আমাদের তৃতীয় স্থান দেওয়া হল, তা বুঝতে পারছি না। তাই এই সম্মান আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।” তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবছর এক লক্ষ টাকার বেশি সহযোগিতা করেন বলেই তাঁদের পুজো নির্বিঘ্নে হয়।
কমিটির অপর এক সদস্যা মালতী মণ্ডলের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া অর্থেই আমরা সন্তুষ্ট। সাংসদের টাকার দরকার নেই।”
অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির জেলা নেতা জয়ন্ত প্রামাণিকের দাবি, “তৃণমূল নেতৃত্বের হুমকিতেই হয়তো তারা পুরস্কার নিতে সাহস পাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে, এই আশঙ্কাতেই হয়তো বয়কট।”
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। একপক্ষ বলছে ‘মমতা ভরসা’, অন্যপক্ষের সুর—‘ভয়েই ফিরিয়ে দিল ক্লাব’। পুজোর উচ্ছ্বাসে তাই ফের মিশে গেল রাজনীতি, সীমান্তের হিলিতে।