মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ — পঞ্চায়েতের মিটিং চলাকালীন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। আর বিবাদের জেরে ঝরল রক্ত। গুরুতর আহত হলেন তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। তাদের লাঠিসোটা, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি বিধানসভার রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গেছে, আক্রান্তদের নাম ফেকু মোমিন এবং নাসির আহমেদ। তাদের দুজনেরই স্ত্রী রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। তারা বৃহস্পতিবার তৃণমূলের উপপ্রধান সবিতা চৌধুরীর স্বামী গোপাল চৌধুরীর ডাকা পঞ্চায়েতের মিটিং-এ অংশ নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মিটিং চলাকালীন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হঠাৎ করেই বচসা ও বিবাদ বাধে। সেই বিবাদের জেরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শামসুন নেহারের স্বামী নাসির আহমেদ সাগর দলবল নিয়ে ফেকু মোমিন এবং নাসির আহমেদকে লাঠিসোটা এবং লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই মারধরের জেরে দুজনেই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাতেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানেই আক্রান্ত দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। যদিও রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান শামসুন নেহার তার স্বামীকে নির্দোষ বলে দাবী করেছেন। তার বক্তব্য, ফেকু মোমিন এবং নাসির আহমেদকে তার স্বামী মারধর করেন নি। তারা তার স্বামীকে মারধর করে আমবাগানের মধ্যে লুকিয়েছিল। ওই সময় গ্রামবাসীরা তাদের চোর সন্দেহে মারধর করেছেন। তবে সঠিক কি ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Categories
মালদায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রক্তক্ষয়, পঞ্চায়েত মিটিং চলাকালীন বচসা থেকে মারধর।