Categories
বিবিধ

পতিরাম পোস্টার বিতর্কে জল্পনা বাড়ছে! এটি কি নিছক ভাঙচুর, নাকি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র?

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা :- পতিরামে পোস্টারকাণ্ডে রাজনৈতিক তপ্ততা, তৃণমূলের অভিযোগে থানায় লিখিত এফআইআর, তদন্ত দাবি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম রোলার মোড়ে দুর্গাপূজা ও কালীপূজো উপলক্ষে জেলা বাসীর উদ্দেশ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি শুভেচ্ছা পোস্টার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সোমবার সকালেই চাঞ্চল্য ছড়ায় অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতীরা সেই পোস্টার ভাঙচুর করে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে এবং তার জায়গায় বিজেপির শুভেচ্ছা পোস্টার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তপন বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বুধুরাই টুদুর একটি শুভেচ্ছা বার্তা পোস্টার তৃণমূলের পোস্টার এর উপরে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির পোস্টারে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ নতুন বিজেপির রাজ্য সভাপতি , থেকে শুরু করে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের বিরোধী বিজেপি দলের হতে ছবি। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, কিছু “অচেনা বিজেপি সমর্থিত দুষ্কৃতী” ওই কাজের সঙ্গে জড়িত। দলীয় পোস্টার লক্ষ্যভিত্তিকভাবে নষ্ট করা হয়েছে বলে দাবি করে সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস পতিরাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, “এমন নিন্দনীয় কাজ কোনভাবেই রাজনীতির অংশ হতে পারে না। এটি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের সমতুল্য, তাই দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাইরাল ভিডিওতে পোস্টার ছেঁড়া ও নতুন পোস্টার লাগানোর দৃশ্য স্পষ্ট ভাবে দেখা না গেলেও, ঘটনাটি ঠিক কখন ও কীভাবে ঘটেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। এই অজানা ঘিরেই জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। এটি কি কেবল দুষ্কৃতিমূলক কাণ্ড, নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিকল্পনা? তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে, তারা ঘটনাটির প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং পুলিশি তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা দাবি করছে। অন্যদিকে, এলাকাবাসীর একাংশও বলছেন, ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে স্থানীয় রাজনীতিতে দলবদল ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ফলে এই পোস্টারকাণ্ড সেই উত্তাপেরই প্রতিফলন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে, পতিরাম থানার তদন্তের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে আছে জেলা রাজনীতি— কারণ, এখন সবচেয়ে জরুরি হয়ে উঠেছে নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনি জবাবদিহি।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *