Categories
বিবিধ

শহর-গ্রামের সংযোগের ক্যানভাসে ফুটে উঠলো দুই প্রজন্মের শিল্পী সত্ত্বা।

কলকাতা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- গ্রাম থেকে শহরে আসার অনুভূতি শ্রেয়ানের শিল্পী সত্ত্বা গড়ে দিয়েছে। ওর ছবির ভাষাতেও সেই অনুভবের প্রাচুর্য। ‘কলকাতা আর্টিস্ট’ গ্রুপের উদ্যোগে কলকাতার ৯ জন ও দিল্লির ১ জন মোট ১০ জন চিত্রশিল্পীর আঁকা ছবির চিত্রপ্রদর্শনী শুরু হলো শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর। ‘বৈচিত্রময় শরৎ ২০২৫’ শিরোনামের এই চিত্র প্রদর্শনী হ্যারিংটন আর্ট সেন্টারে উদ্বোধন করেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরী। চিত্রপ্রদর্শনী চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। শরৎ ঋতুর স্নিগ্ধতায় আঁকা চিত্রপ্রদর্শনীতে মোট ৭৬ টা ছবি আছে।
প্রবীণ শিল্পী যোগেন চৌধুরীর উদ্যোগে গড়ে উঠেছে নতুন এই গ্রুপ। বলছিলেন, প্রবীণ শিল্পী শিলাজিৎ ঘোষ। বর্ষীয়ান, অভিঞ্জ, তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের মিলন মঞ্চ। যেমন শ্রেয়ান ব্যানার্জির ছবি। অ্যাক্রিলিকে আঁকা ৬৪”× ৪৮” সাইজের আঁকা ক্যানভাস। লোকাল ট্রেনে যাতায়াতের স্পর্শকাতর অভিঞ্জতা। পাশের ছবিটা শ্রেয়ান এঁকেছেন কলকাতা মেট্রো ট্রেনের অভিঞ্জতা থেকে। প্রদর্শনীতে ৭ টা ছবি আছে শ্রেয়ানের। বীরভূমের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলে ও। অত্যন্ত সাধারণ দুই শিল্পীর প্রভাব ওর মধ্যে পড়েছে। বলছিলেন শ্রেয়ান। সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় ও পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুই প্রবীণ শিল্পী সিউড়ি শহরের বিভিন্ন স্কুলের দেওয়ালে ছবি আঁকতেন। এই উদ্যোগে তারা শিশুদের ছবি আঁকতে বলতেন। শ্রেয়ান নিজের ছবি আঁকা ছাড়াও শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চান। এই রকমের উদ্যোগের কথা বলছিলেন সত্যম রায়চৌধুরীও। সত্যমবাবু বলেন, ”ছাত্রছাত্রীদের কর্মশালায় গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রদর্শনীতে প্রবীণ শিল্পীদের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের ছবি আছে। এই ধরণের প্রদর্শনীতে তরুণ প্রজন্মের শিল্পীরা অনুপ্রেরণা পায়। শান্তিনিকেতনের দেওয়ালে গ্রাফিটী করার কথা বলেছিলাম। কমবয়সী ছাত্রছাত্রীরা সেটা করেছে।”
‘কলকাতা আর্টিস্ট’ গ্রুপের উদ্যোগে প্রথম চিত্রপ্রদর্শনীতে শিল্পী রাখী রায়ের ছবি আছে। প্রকৃতি ও মানুষের শিল্প যাত্রা। মমতাময়ী পৃথিবী এঁকেছেন তিনি। ক্যানভাসে আঁকা একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে দু’জন নারী ও চারটে পাখী। রাখী বলছিলেন, ”প্রকৃতি ও নারীর নীরব শক্তি আমাকে পথ দেখায়।” চিত্রশিল্পী হিসেবে রাখীর ২০ বছরের অভিজ্ঞতা। এই প্রদর্শনীতে রাখীর ১০টি ছবি আছে।
প্রদর্শনীতে অন্যান্য যে সব শিল্পীদের ছবি আছে, তারা হলেন যোগেন চৌধুরী, নীরেন সেনগুপ্ত, গৌতম চৌধুরী, অরুণিমা চৌধুরী, মৈত্রেয়ী নন্দী, তমালী দাশগুপ্ত, শিলাজিৎ ঘোষ ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *