এখন সময় বিনামূল্যে বিলায় নীতি ও আদর্শ,
সকাল,সাঁঝে লাইন পড়ে যায় গ্রহণে।
বাধ্যতার আর দম্ভোক্তির। অনুশাসন গ্রহণ করে-
প্রতিদানে চিন্তারাশি ধরে অসি, কোপায় মাথার ব্রহ্ম তলে।
ছাউনি ফাটা ছাদনা তলায় জীর্ণ জীবন হলুদ মাখে।
ভার বহনের অযোগ্য পরিযায়ী শরীর আর মস্তিষ্কে-
নিত্য সন্ধ্যায় দাঁত ও নখের ধারালো প্রতিফলন ।
দাবাগ্নিতে ডুবে যায় কোমল জীবন, লোভের ফাতনায়-
উত্তরোত্তর দম্ভোতর্জন । কর্মন্দ্রিয় ঢাকা পড়ে কাফনে ।
সচল পৃথিবী কম্পানিত্ব ,অচল চলনে প্রতিটি শ্বাসই দীর্ঘশ্বাস।
মা আমায় কেন আনলি এ ধরাতলে ? এ যেন পরবাস ,
কেন, কেন দ্বিগমণ্ডল ঘুমহীন অভিশপ্ত অবকাশে ?
এখন অন্ধকার রান্নাঘরে ধর্মঘটের মিছিল,
আমার দুধের টানে তোর যৌনজ্বালা-
অভাবঘরে নিষ্প্রদীপ সন্ধ্যা । হায়রে অদৃশ্যে দাদরা বাজে।
আমার বয়স কালের বাসর ঘরে,দেহে যে আগুন ধরে,
পণ্যসম বিপনী করে কেন রাখিস ভাঁড়ার ঘরে ?
অখ্যাতযোনী লঙ্কা পেষে চরম জ্বালায় ডিম্বাণু কাঁদে-
যন্ত্রনাতে,গুটিয়ে যায় গর্ভনেশা,কপাল পোড়ায় সর্বনাশা
ছুটে যায় মাতৃত্বের নেশা,মৃত্যু হাসে- গর্ভপাতে।
আশাহীন সকাল,সাঁঝে বাসর পাতা,সাজাই শুধু ছল, ছলনায়,
এখন আমার বসত অন্ধকারে রেড লাইট এলাকায়।
হাসি মুখের হাজার ক্রেতা,প্রেম আমার বহ্নিশিখা,
চাহিদার পাহাড় চূড়ায় উঠেছে দেহের প্রচ্ছদ।
ভুলে গেছি মধুচন্দ্রিমা,বিতৃষ্ণায় দেখছি পাড় ভাঙার দৃশ্য।
প্রনিধির দীর্ঘ অপেক্ষা ,খুলে রাখে বাতায়ন,
মৃত্যুর প্রণোদন হাতছানি দেয় ,যেন শান্তির আয়োজন।
মাটিতে লুটায় ব্যর্থতা,বিদায়ের অভিবাদন,
প্রগলভ ,প্রগাঢ় শুনি মৃত্যুর পদধ্বনি,
শুনি আশা হীনতার জয়গান। চিরসত্যের ধ্বনি –
“মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান …..”।
সংরক্ষিত/০৫-০৬-২০১৯