Categories
কবিতা

ধর্মের মানদণ্ড ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

সবার মাঝে ভালোই আছি আমি ,
তুমি ? কি বললে ,জানেন অন্তর্যামী ?
কবে নিলে এই মৌনব্রত,
মুখে তো ফুলঝুরি ছুটতো শত,শত
কবিতায় খুঁজি লিখছো কই?
দেখছি নাতো তোমার উল্লসিত হৈচৈ।
এখন ভীষণ হট্টগোল,
এবার লেখায় তোলো শোরগোল ।

স্বর্গের সিঁড়ি ভেঙেছে,
সুখের গানগুলিও থেমেছে ,
এখন স্বপ্নগুলো দুঃস্বপ্নের কোলে দোল খায়-
ছদ্মবেশী বর্গির আনাগোনায়।
অহংকার আর দর্পের ছবি একই ফ্রেমে-
আমি দেখি জানালায় বসে। জানিনা কোন ভ্রমে-
বিধাতার হিসাবের খাতা ভুলে ভরা,
ধর্মের মানদন্ডে মানুষকে মাপছে এ ধরা।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

ঘুম ভেঙে এসো ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

অবক্ষয়ের করাল ছায়ায়-
আজ সব কবলিত, তবুও মায়ায় নিরুপায় ।
সীমাহীন আস্পর্ধায়-
কলঙ্কিত এ অধ্যায়,
তুমি চুপ কেন দুঃসময়ে, শিক্ষার দম্ভ?
এইতো সময় দক্ষযজ্ঞের,হয় হোক আরম্ভ।

চাতকের মতো অপেক্ষার জল না চেয়ে
কলমে রক্ত ভরে বিদ্রোহে এসো ধেয়ে।
সবলা, অবলা,যত নিচের তলা, হোক উত্থান,
সূর্যের আগুনে ঝলসিয়ে করব মহাপ্রস্থান।
ইতিহাস কথা বল,আর নয় চোখ ছলছল,
অমৃত ছেঁচে অশনিকে দেব হলাহল।

সংরক্ষিত/ প্রবীর কুমার চৌধুরী

Share This
Categories
কবিতা

থাক আহ্বান  :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

তোমার মনের বারান্দায় আশ্রয় দিও
চাইনিত কিছু ,তোমার অলোক রাশির চোয়ানো জলে তৃষা নিবারণ আর-
গোধূলির সন্ধ্যায় পাখির কলরবে বাসায় ফিরে মিলন-
ব্যাস এইটুকুই নিরীক্ষণ করবো।
কারোর দোরে চাইনিত ঠাঁই, শুধু তোমারই চৌকাঠে ছড়ানো ভালোবাসাটুকু তুলে নেবো এ বুকে।

সহস্র টন ভারে,তোমার হৃদমহলে কে বসে আছে
তুমি কার অনুগামিনি আমি তো জানতে চাইনি
আমি তো জানতে চাইনি কখনও, কোনখানে,
আমি তো কখনও প্রকাশ করেনি কতটা রক্ত ক্ষরণ-
বিদ্রুপে হাসে স্বপ্নের দুচোখে,আমায় কেবলি শেষের পথে হাঁটায়।

দ্বীপ নেভানো রাতে সাথীহীন আমার পরিক্রমা
দুঃখের কোন সাথী খুঁজিনি, প্রয়োজনও বুঝিনি
শুধু ঘুম ভাঙানোর গান গেয়েছি, মিছিলে,মিছিলে
দুপায়ে রক্ত ঝড়িয়েছি ,শ্লোগান তুলেছি
নাৎসির বিরুদ্ধে, হিটলারদের পতনের উদ্দেশ্যে…..

বিদায় বেলায় একটাই প্রার্থনা তোমার নগ্নতা ঢাকো
শুদ্ধ প্রেমের রেণু মুখে মাখো, তারপর শান্তির সাদা পায়রা ওরাও হৃদ আকাশে।
পবিত্র ভাষায় আকাশ ভরিয়ে দাও, পবিত্রায় বুক ভরাও
মানবিকতার ভরে যাক পথের দুইধার
ছোট ছোট শিশু যারা আগামীর ভবিষ্যৎ-
তোমার স্তনদুগ্ধ পানকরে সম্মান করুক মাতৃত্বকে।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

ঘুরবে কি চাকা ::: দেবদাস চৌধুরী।।।

হৃদয়ের বীনায় যে সুর বাজে-
দক্ষিণা বাতাসে ভেসে পৌঁছাবে তোমার কাছে।
মনের নীল লেফাফায় সোহাগের আতর মাখিয়ে-
কিছু সংলাপ পাঠিয়েছিলাম তোমার নিভৃত অন্দরমহলে,
এখনও অজানা তোমার দুচোখের স্নেহধন্য কিনা।

দীর্ঘ অপেক্ষায় ফিরে আসবে সময়
ফিরে আসবে একদিন ঘুরতে ,ঘুরতে চাকা।

জনতার স্রোতে নিত্য ভেসে যাই
খাঁটি মানুষের সন্ধানে ,সন্ধানে দিবস কাটাই,
সত্যের ইতিহাস জানি চাপা থাকার নয়, কোন আগুন্তুফে।
নিত্য যুদ্ধে রণক্লান্ত সময় তবুও সূর্যে আবর্তনে পোড়ে,
এই ভিটার মাটির আবর্তনে আজও তোমার অবয়ব গড়ে।

কিযে হবের আতঙ্কের জাল বিছায় নিষ্ঠুর পৃথিবী
তবুও না বোঝার ভান, রীতি ভাঙছে পর্বতারোহী।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

পাল্টে গেছে সাধের জীবন ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

সকাল হলেই রান্নাঘরে ভাত চাপানোর তাড়া
মাছের ঝোলের মশলা দেখায় সাধের শীলনোড়া।
ফ্যান ঝরাতে হাত পুড়ছে এই কপালে ছিল?
কাজের লোক লুডো খেলে কেন প্রভু বলো।
বাটির চা উথলে ওঠে ককিয়ে ওঠে কাপ
কবিতার খাতা শিকেয় তোলা মনে মনে অনুতাপ।
কড়ার তেল ছিটকে এসে পোড়ায় সাধের মুখ,
খুন্তি হাতে নৃত্য করি জ্বলে সারা বুক।
পেঁয়াজ কুচি কাঁদায় আমায় লঙ্কায় জ্বলে হাত
রসিয়ে খেয়ে সবাই বলে কেয়াবাত, কেয়াবাত।

এক করোনা পাল্টে দিলো সাধের এ জীবন,
আবডালে সব মুচকি হাসে কোথায় প্রিয়া আপন,
বাপের বাড়ি কাঁদছে সেও, বাস,ট্রেন সব বন্ধ-
কতদিন দেখিনি তারে ,হারিয়ে গেছে আনন্দ।
পথহারা পাখির মতো কেঁদে, কেঁদে সাড়া
কেউ যে আজ লুটছে ওগো ,কেউ যে মনোহরা
বাহুবলির দম্ভে আজ বিশ্বমাতা কাঁদে –
চিরদিন সমান না যায়,পড়বে দ্রুতই ফাঁদে ।
এতো মৃত্যু, চোখের জল , স্বজনহারার ব্যাথা
আগামী দিনের ইতিহাস লিখবেই এ কথা।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

ওম শান্তি ওম :: প্রবীর কুমার চৌধরী।।।

যুগসন্ধিক্ষনের এই নৈশব্দ ভেঙে এস
পায়ে পায়ে সব দ্বিধা মাড়িয়ে
আমার ভগ্নকুঁড়ের এক চিলতে দাওয়ায়
পরম শান্তির ঘন জ্যোৎস্না মাখতে ।
চাঁদনীর গভীর রাতে কোন উপাখ্যান আমি শোনাতে চাইনি
কিংবা তোমার নরম বুকের গভীর খাদের উষ্ণতা ।

আমি সাগর পারের চঞ্চল ঢেউ গুনতে-গুনতে
তোমাতেই বিলীন হতে চেয়েছি অনাদিকাল ধরে
আর তখনই তুমি নগ্নহয়ে দাঁড়িয়ে ছিলে সূর্যের গায়
আমার এ তনু,মন শিউরে উঠেছিল ,অনাগত অভিশাপ
আকাশ, বাতাস মথিত করে লীন হল তোমার গর্ভে
সেদিন থেকেই শুরু হলো পৃথিবীর দুঃস্বপ্নের রাত।

নদী হয়ে প্রবাহিত হতে চেয়েছি তোমার মরুপ্রায় গহন মনে
আমি চেয়েছি আমার শীতল তরঙ্গ মালায় তুমি-
নৈঃশব্দের অবগাহনে নির্মল ,পবিত্র হয়ে
পাঞ্চজন্য হাতে আজীবন ব্রতী হবে সাধনায়
তোমার গর্ভজাতর সৌম্যকান্তি অবয়ব
উচ্চারণ করবে ” ওম শান্তি ওম, শান্তি,শান্তি ওম …”।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

স্কাইপে বসেছে অবসরেরা : প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

দুর্বিসহ এক অসহ্য অজানা যন্ত্রনা-
রাতভরে জোনাকির আলোয় পথ খোঁজে গৃহস্থের বুকে,
করোনা আজ অদৃশ্য দেহে কালো মেঘে এলিয়ে –
নিভৃতে রমন সুখে তৃপ্ত বংশবিস্তারে।
আমি জীবন নদীর চড়ায় স্বস্তি খুঁজি –
নিত্য ভয়ংকর ভাঙ্গনের দুইকুলে।

বেগবতী নির্মম অভিশাপ পোয়াতি হয়,আরে-বহরে বাড়ে,
মাঠে,ঘাটে, রণে,বনে,জঙ্গলে প্রসব করে মহাধ্বংস ।
বেলা,অবেলায় দুসংবাদ চিঠিতে গুঁজে ত্রস্তে-
রাতের অন্ধকারে ছুটে চলেছি অসহায়-
আমি এক অনাহুত হরকরা, মিথ্যা সুখের –
প্রতিশ্রুতি বয়ে বয়ে পৌঁছে দিচ্ছি অন্তরঙ্গের চলচিত্রে।

হয়তো কোন এক প্রভাতে নিদ্রাভেঙে-
আমাকেই ডেকে পাঠাবে সর্পবিষ হরি ,এ খাণ্ডবে-
বয়সের কপাট অসমর্থ প্রতিরোধে , দুঃস্বপ্নে মাতাল অশনি ।
নীল কাগজের নৌকায় রেখে যাবো হৃদয়ের কবিতা
একদিন-প্রতিদিন ,নিত্যদিন সকাল,সন্ধ্যা,রাতভর…….

এতদিনের অমূল্য সঞ্চয়ের প্রাণপ্রিয়রা পরে রবে সন্ধ্যা সবিতায়,
ফের যদি ফিরে আসি ,যেন আরো তেজ নিয়ে আসি।
আটান্নবছরের টাইমজোনে বসে আজ সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়,
বারবেলার এ দেহের মনিটার স্ক্রল করতে করতে হটাৎ দেখি-
হৃদয়ের স্কাইপে বসেছে অবসরেরা নিশ্চিন্তের আড্ডায়।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

কবিতায় কান্না ::: প্রবীর কুমার চৌধুর।।।

কবিতার নিচে চাপাপড়া অব্যক্ত কান্না-
তুমি শুনেছ কি ?
জানালার নীচে জমে থাকা কালোর মধ্যে
অসংখ্য ভাইরাস মোহচ্ছব করে
তুমি দেখছো কি ,?

জীবনের ধারাপাত ঝড়ে পরে শূন্যতার দেওয়ালে
ঝাপসা চোখদুটো অন্ধকারেই নিশ্চিন্ত।
কবিতার এখনও কি সময় হয়নি ঘুম ভাঙার ?
রক্তাক্ত শরীর ব্যবচ্ছেদের ঘৃন্যজীবন –
এর পরেও কি ঈশ্বর্তুল্যের সম্মান প্রত্যাশায় ?

আচরণ বিধি সাইনবোর্ডে জ্বলজ্বল নক্ষত্রের মতো
আচরণ বিধি ভাঙার প্রতিযোগিতায় দোষারোপ
আমি তো অনুধাবন করি বাধ্যবাধকতায়-
নিষ্পেষিত জনজীবন।
তুমি দেখেছো কি সময়ের প্রহসন?

এসো মাটি কিনি দুইগজ, তারপর –
ছাইমেখে মেখে হই নির্লোভ ভোলানাথ
ভস্মীভূত হওয়ার আগে একবার তোমাকে ছুঁয়ে-
দেখতে চাই নব্য বিশ্বরূপ
করোনা,আমফান,নিঃস্বর্গ ত্রাসে -ত্রাসে ঈশ্বর।

Share This
Categories
কবিতা

জীবন নগরী :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

এখন সময় বিনামূল্যে বিলায় নীতি ও আদর্শ,
সকাল,সাঁঝে লাইন পড়ে যায় গ্রহণে।
বাধ্যতার আর দম্ভোক্তির। অনুশাসন গ্রহণ করে-
প্রতিদানে চিন্তারাশি ধরে অসি, কোপায় মাথার ব্রহ্ম তলে।
ছাউনি ফাটা ছাদনা তলায় জীর্ণ জীবন হলুদ মাখে।

ভার বহনের অযোগ্য পরিযায়ী শরীর আর মস্তিষ্কে-
নিত্য সন্ধ্যায় দাঁত ও নখের ধারালো প্রতিফলন ।
দাবাগ্নিতে ডুবে যায় কোমল জীবন, লোভের ফাতনায়-
উত্তরোত্তর দম্ভোতর্জন । কর্মন্দ্রিয় ঢাকা পড়ে কাফনে ।
সচল পৃথিবী কম্পানিত্ব ,অচল চলনে প্রতিটি শ্বাসই দীর্ঘশ্বাস।

মা আমায় কেন আনলি এ ধরাতলে ? এ যেন পরবাস ,
কেন, কেন দ্বিগমণ্ডল ঘুমহীন অভিশপ্ত অবকাশে ?
এখন অন্ধকার রান্নাঘরে ধর্মঘটের মিছিল,
আমার দুধের টানে তোর যৌনজ্বালা-
অভাবঘরে নিষ্প্রদীপ সন্ধ্যা । হায়রে অদৃশ্যে দাদরা বাজে।

আমার বয়স কালের বাসর ঘরে,দেহে যে আগুন ধরে,
পণ্যসম বিপনী করে কেন রাখিস ভাঁড়ার ঘরে ?
অখ্যাতযোনী লঙ্কা পেষে চরম জ্বালায় ডিম্বাণু কাঁদে-
যন্ত্রনাতে,গুটিয়ে যায় গর্ভনেশা,কপাল পোড়ায় সর্বনাশা
ছুটে যায় মাতৃত্বের নেশা,মৃত্যু হাসে- গর্ভপাতে।

আশাহীন সকাল,সাঁঝে বাসর পাতা,সাজাই শুধু ছল, ছলনায়,
এখন আমার বসত অন্ধকারে রেড লাইট এলাকায়।
হাসি মুখের হাজার ক্রেতা,প্রেম আমার বহ্নিশিখা,
চাহিদার পাহাড় চূড়ায় উঠেছে দেহের প্রচ্ছদ।
ভুলে গেছি মধুচন্দ্রিমা,বিতৃষ্ণায় দেখছি পাড় ভাঙার দৃশ্য।

প্রনিধির দীর্ঘ অপেক্ষা ,খুলে রাখে বাতায়ন,
মৃত্যুর প্রণোদন হাতছানি দেয় ,যেন শান্তির আয়োজন।
মাটিতে লুটায় ব্যর্থতা,বিদায়ের অভিবাদন,
প্রগলভ ,প্রগাঢ় শুনি মৃত্যুর পদধ্বনি,
শুনি আশা হীনতার জয়গান। চিরসত্যের ধ্বনি –
“মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান …..”।

সংরক্ষিত/০৫-০৬-২০১৯

Share This
Categories
কবিতা

চাপা থাক অলিন্দে :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

আজকাল ডানাদুটো ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ে,
স্বপ্নের পাহাড় ডিঙাতে অপারগ হয়ে-
নেমে আসি আচেনা আঙিনায়।
অপরিচিত চোখগুলো অপার বিস্ময়ে জরিপ করে,
ঠিক তখনই তুমি হয়তো আমাতেই নদী খোঁজ-
তোমার শুস্ক,রুক্ষ সময়ের অবগাহনে।

চাঁদের রূপের বহিঃপ্রকাশ জ্যোৎস্নার বিভাবরী,
সেই মুহূর্তে তোমার অষ্টাদশী এলোচুলে-
আমার হারানো যৌবন স্মৃতির পথ ধরে হাঁটে,
অশান্ত বেলার অন্বেষণে প্রখর রৌদ্রে ।
এপাশ-ওপাশ ঠেলেঠুলে রক্তমাংসের কিছুটা দলা উঠে আসে,
খুশির মেহেন্দি মাখা দুটি হাতে খুঁজি হারানো চিরশ্বাশত প্রেম।

উৎস থেকে বিচ্যুত বেদনায় মেঘমালা ঝড়ে পড়ে,
এসো সেই বৃষ্টিতে ভিজে,ভিজেই চোখের জল লুকাই।
অনভিপ্রেত বিধ্বংসী পতনের বাধা পেড়িয়ে,পেড়িয়ে-
আজ কোত্থাও না থেমে অতৃপ্তির কাঁটা তুলি প্রতিটি হৃদয়ের।
কবিতা যা লিখেছি সব জমা থাক আগামীর দেরাজে,
অন্তর্নিহিত অক্ষরমালায় বিদ্রোহ রেখে গেলাম আগামীর সঞ্চয়ে।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This