Categories
বিবিধ

২৮ বছরে মালদার দশেরা উৎসব, দুর্যোগ উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের ভিড়।

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ – মালদায় অনুষ্ঠিত হলো দশেরার।মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামে বিকেল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়তে থাকে দশেরা উৎসব দেখতে। অশুভ শক্তির প্রতীক রাবণ বধের সাক্ষী হলেন কয়েক হাজার মানুষ। রাম রূপে জীতেন্দ্র জৈন এবং লক্ষণ রূপে শোভন সাহা। রাম লক্ষণ রাবণকে বধ করেন। রাবণ বধের পাশাপাশি ছিল আতশবাজির প্রদর্শনী। দীর্ঘ সময় ধরে চলে রঙিন রকমারি বাজির প্রদর্শনী। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে বিকাল থেকেই বহু মানুষ এসে হাজির হন স্টেডিয়ামে। মালদা দশেরার উদ্যোক্তা ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী। কালিতলা ক্লাবের উদ্যোগে এবার মালদার দশেরা উৎসব ২৮ বছরে পড়ল।

Share This
Categories
বিবিধ

১৭ লক্ষ টাকায় নির্মিত অটোমেটিক হাইড্রোলিক মেশিনে হবে প্রতিমা নিরঞ্জন, স্বস্তিতে পৌরবাসী।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা : – বুনিয়াদপুর পৌরবাসীর বহুদিনের চাহিদা পূরণ, বুনিয়াদপুর পৌরসভার উদ্যোগে টাঙ্গন নদীর ঘাটে বিদ্যুৎ চালিত অটোমেটিক প্রতিমা নিরঞ্জনের হাইড্রোলিক মেশিনের শুভ উদ্বোধন হলো মহা নবমীর দিনে। হাইড্রোলিক মেশিনের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা হরিরামপুর বিধানসভার বিধায়ক বিপ্লব মিত্র। বুধবার দুপুরে নারিকেল ফাটিয়ে এবং ফিতে কেটে এই মেশিনের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

বেশ কয়েক বছর যাবত বুনিয়াদপুর পৌরসভার উদ্যোগে ৯ নাম্বার ওয়ার্ড-এ টাঙ্গন নদীর ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়ে আসছে,তবে এতদিন প্রতিমা নিরঞ্জন করা হতো মানুষের সাহায্যে। বুনিয়াদপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক কমল সরকার ও উপ পৌর প্রশাসক জয়ন্ত কুন্ডুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আনুমানিক ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ চালিত অটোমেটিক প্রতিমা নিরঞ্জনের হাইড্রোলিক মেশিনের শুভ সূচনা হল এদিন। এর ফলে মানুষের সাহায্য ছাড়াই মেশিনের মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে খুব সহজেই।

এদিনের এই অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, বুনিয়াদপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক কমল সরকার, উপ পৌর প্রশাসক জয়ন্ত কুন্ডু, বিশিষ্ট সমাজসেবী শার্দুল মিত্র, বুনিয়াদপুর পৌরসভার আধিকারিকগণ সহ অগণিত পৌরবাসী।

Share This
Categories
বিবিধ

দশমীর বিশেষ ভোগে ভিড় উপচে পড়ল গৌরী পালবাড়ী পূজা মন্ডপে।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বালুরঘাটের গৌরী পালবাড়ী পূজা মন্ডপে বিজয়া দশমীতে বাপের বাড়ি থেকে কৈলাসে ফিরে যাবার আগে দেবীকে পান্তা ভাতের সাথে বোয়াল মাছ ও রাইখোর মাছ ভাজা ভোগ দেওয়া হয় :-

বালুরঘাটের গৌরী পালবাড়ী পূজা মন্ডপে বিজয়া দশমীতে বাপের বাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে কৈলাসে স্বামীর ঘরে ফিরে যাবার আগে দেবীকে পান্তা ভাতের সাথে বোয়াল মাছ ও রাইখোর মাছ ভাজা ভোগ দেওয়া হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাচীন দুর্গাপুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বালুরঘাটের গৌরী পালবাড়ী পূজা মন্ডপের পুজো। আনুমানিক সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি সময় ধরে বালুরঘাটের গৌরী পালবাড়ী পূজা মন্ডপে বিজয়া দশমীতে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে নিষ্ঠা সহকারে পান্তা ভাতের সাথে লেবু লঙ্কা দিয়ে বোয়াল মাছ ও রাইখোর মাছ ভাজা ভোগ দেওয়া হয়। বিজয়া দশমীতে এই পান্তা ভাতের ভোগ পাওয়ার জন্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় করে গৌরী পালবাড়ী পূজা মন্ডপে। এখানে মহানবমীতেও দুপুরে মাকে অন্ন ভোগের সাথে আত্রেয়ী নদীর রাইখোর মাছ ও বোয়াল মাছ ভোগ দেওয়া হয়। এই বিষয়ে সরাসরি শুনে নেব পুজো কমিটির সদস্য মাধব সরকারের কাছ থেকে —

Share This
Categories
বিবিধ

দশমীর সিঁদুর খেলায় মাতলেন কোয়েল মজুমদার, খুশি বালুরঘাটবাসী।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- দুর্গাপূজা মানেই বাঙালির আচার-অনুষ্ঠানের উৎসব। তারই অঙ্গ সিঁদুর খেলা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের ঐতিহ্যবাহী শংকর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই সিঁদুর খেলায় সামিল হলেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল মজুমদার।

বেলা প্রায় বারোটার সময় তিনি মন্দিরে পৌঁছে স্থানীয় গৃহবধূদের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় যোগ দেন। মায়ের চরণে প্রণাম করার পর গৃহবধূদের কপালে সিঁদুর পরিয়ে দুর্গার কাছে সবার মঙ্গল কামনা করেন তিনি।

মন্ত্রী পত্নীকে কাছ থেকে দেখে এবং সিঁদুর খেলায় তাকে অংশ নিতে দেখে স্বভাবতই খুশি এলাকার বাসিন্দারা। অনেকে আবার কোয়েল দেবীর সঙ্গে ছবি তুলে সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেন।

Share This
Categories
বিবিধ

আনন্দ-আড্ডায় পরিণত হলো এক বড় পরিবার, বিদায়ের ক্ষণে হাসিখুশিতে মুখর দিপালী নগর।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বালুরঘাট শহরের দিপালী নগর এলাকার বিনায়ক অ্যাপার্টমেন্টে আজ মহালয়ার পর থেকে চলা আনন্দঘন পুজোর সমাপ্তি ঘটল সিদূর খেলায়। প্রতিবারের মতো এবছরও মায়ের বিদায় বেলায় আবাসনের মহিলারা একে অপরকে সিদূর পরিয়ে মাতলেন আনন্দে। দুই বছর আগে শুরু হওয়া এই পুজো আজ আবাসনের অন্যতম বড় মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। পুজোর চারদিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আড্ডা আর একসঙ্গে কাটানো সময়ে প্রতিবেশীরা যেন পরিণত হয়েছিলেন এক বড় পরিবারে। আজ বিদায়ের ক্ষণেও হাসি-খুশির আবহেই ভেসে উঠল পুরো আবাসন চত্বর। উপস্থিত মহিলারা জানালেন, মায়ের আগমন মানেই আনন্দ আর মায়ের বিদায় মানেই অপেক্ষা—আবার আসার আশায়।

Share This
Categories
বিবিধ

আত্রেয়ী নদীতে নিরাপদ বিসর্জন: হাইড্রোলিক ট্রলি থেকে পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ।

বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :- দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীতে বিসর্জন চলছে। জেলা পুলিশ ও বালুরঘাট পৌরসভার তত্ত্বাবধানে।
এই মুহূর্তে একে একে প্রতিমা আসতে শুরু করেছে নদীর ঘাটে। পৌরসভার হাইড্রোলিক ট্রলি এবং ম্যানুয়ালি প্রতিমা বিসর্জন চলছে।
পরিবেশ দূষণের দিকেও নজর রাখা হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে। ভুল বেলপাতা আলাদা স্থানে সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সাথে সাথেই তুলে ফেলা হচ্ছে সেই প্রতিমা।

Share This
Categories
বিবিধ

দশমীর আনন্দে মাতলেন রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী নেতারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—- বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলায় মাতলেন বিজেপির বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা ও পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুম্পা রাজবংশী সরকার। পুরাতন মালদহের সমাজ কল্যাণ সমিতিতে এই মুহূর্তে চলছে সিঁদুর খেলা ও নাচ।

Share This
Categories
প্রবন্ধ বিবিধ রিভিউ

গোয়ার দুধসাগর জলপ্রপাত – প্রকৃতির এক বিস্ময়।।

গোয়া মানেই সাধারণত বিচ, নাইটলাইফ আর পার্টি কালচার – কিন্তু প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য গোয়ার অন্যতম রত্ন হলো দুধসাগর জলপ্রপাত (Dudhsagar Waterfalls)। পশ্চিমঘাট পর্বতের কোলে অবস্থিত এই জলপ্রপাত যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার, যা প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটককে তার দিকে টেনে আনে।


🏞️ অবস্থান ও সৌন্দর্য

দুধসাগর জলপ্রপাত গোয়া ও কর্ণাটকের সীমান্তে অবস্থিত। এটি ভারতের অন্যতম উঁচু জলপ্রপাত – প্রায় ৩১০ মিটার (১০১৭ ফুট) উঁচু থেকে জল নেমে আসে চার ধাপে। দূর থেকে তাকালে মনে হয় যেন পাহাড় বেয়ে দুধের স্রোত নেমে আসছে, তাই এর নাম “দুধসাগর” – অর্থাৎ দুধের সাগর

বর্ষার সময় যখন মন্ডোভী নদীর জলপ্রবাহ তীব্র হয়, তখন জলপ্রপাতের সৌন্দর্য চরমে পৌঁছায়। চারপাশের সবুজ বন, ঝোপঝাড় আর পাহাড়ের গর্জন মিলিয়ে এক স্বর্গীয় দৃশ্য তৈরি করে।


🚆 যাত্রা ও রোমাঞ্চ

দুধসাগর ভ্রমণের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অংশ হলো সেখানে পৌঁছানো।

  • ট্রেনপথে: মাদগাঁও থেকে কোল্লেম (Kulem) বা কাসেলরক (Castle Rock) পর্যন্ত ট্রেন ধরে তারপর জঙ্গলপথে হেঁটে যাওয়া যায়। অনেকেই ট্রেনের জানলা থেকে জলপ্রপাতের দৃশ্য দেখতে পছন্দ করেন।
  • জিপ সাফারি: কোল্লেম থেকে জিপ সাফারি নিয়ে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।

🐾 প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী

দুধসাগর জলপ্রপাত ভগবান মহাবীর ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারির অংশ। তাই এখানে বানর, হরিণ, পাখি, এমনকি বন্য মোষের ঝাঁকও দেখা যায়। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি এক স্বর্গরাজ্য।


📸 ফটোগ্রাফির স্বর্গ

জলপ্রপাতের কাছাকাছি গেলে চারপাশে জলকণা ছড়িয়ে পড়ে, যা এক অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি করে। এখানে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা, ভিডিও করা এক অনন্য অভিজ্ঞতা – বিশেষত ট্রেন যখন জলপ্রপাতের সামনের সেতু পেরিয়ে যায়, তখন সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধরার জন্য অনেক পর্যটক অপেক্ষা করে।


🏖️ ভ্রমণ টিপস

  • সেরা সময়: জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (বর্ষাকাল) – জলপ্রপাত তখন সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর থাকে।
  • নিরাপত্তা: বৃষ্টির সময় পিচ্ছিল পথ সাবধানে চলতে হবে।
  • প্রস্তুতি: সঙ্গে জলরোধী ব্যাগ, হালকা খাবার ও ক্যামেরা রাখতে ভুলবেন না।

🏁 উপসংহার

দুধসাগর জলপ্রপাত শুধু একটি প্রাকৃতিক বিস্ময় নয়, এটি এক অনন্য অ্যাডভেঞ্চার। জঙ্গলের পথ, পাহাড়ের সৌন্দর্য আর গর্জনরত জলপ্রপাতের দৃশ্য আপনার মনকে পরিপূর্ণ আনন্দ দেবে। গোয়া ভ্রমণে যদি একটু অফবিট অভিজ্ঞতা চান, তাহলে দুধসাগর জলপ্রপাত আপনার ট্রাভেল লিস্টে অবশ্যই থাকা উচিত।

Share This
Categories
প্রবন্ধ বিবিধ রিভিউ

গোয়ার মোলেম ন্যাশনাল পার্ক – প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীর স্বর্গ।।

গোয়ার নাম শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে সমুদ্রসৈকত, পার্টি আর রঙিন রাতের ছবি। কিন্তু যারা প্রকৃতিপ্রেমী, বন্যপ্রাণী দেখতে ভালোবাসেন এবং শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশ খোঁজেন, তাদের জন্য গোয়া একটি আলাদা রত্ন লুকিয়ে রেখেছে – সেটি হলো মোলেম ন্যাশনাল পার্ক (Mollem National Park)। পশ্চিমঘাটের সবুজ অরণ্যের মাঝে অবস্থিত এই পার্ক প্রকৃতি, বন্যপ্রাণী এবং অ্যাডভেঞ্চারের এক অপূর্ব মেলবন্ধন।


📍 অবস্থান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

মোলেম ন্যাশনাল পার্ক গোয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে, কর্ণাটক সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এটি বৃহত্তর ভগবান মহাবীর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অংশ। প্রায় ২৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই পার্কে ঘন অরণ্য, ছোট ছোট নদী, ঝর্ঝর ঝর্ণা এবং পাহাড়ের সারি মিলিয়ে এক অপরূপ দৃশ্য তৈরি করে।

সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো – এখান থেকেই শুরু হয় বিখ্যাত দুধসাগর জলপ্রপাতের ট্রেক


🐾 বন্যপ্রাণীর ভাণ্ডার

এই পার্ক প্রকৃত অর্থেই জীববৈচিত্র্যের এক স্বর্গ। এখানে আপনি দেখতে পাবেন –

  • স্তন্যপায়ী প্রাণী: বন্য মোষ, চিতা, বন্য শূকর, হরিণ, ভারতীয় বাইসন (গৌর), স্লথ বিয়ার
  • পাখি: মালাবার পিয়েড হর্নবিল, কিংফিশার, উল্লুক, প্যারাকিট
  • সরীসৃপ: কিং কোবরা, পাইথন, মনিটর লিজার্ড
  • প্রজাপতি ও পোকামাকড়: নানা রঙের প্রজাপতি ও অদ্ভুত কীটপতঙ্গ

🚙 ভ্রমণের অভিজ্ঞতা

মোলেম ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশ করার জন্য কোল্লেম (Kulem) গ্রাম থেকে জিপ সাফারি বুক করা যায়। জিপে করে ঘন জঙ্গল পেরিয়ে যখন আপনি পার্কের ভেতরে প্রবেশ করবেন, তখন প্রকৃতির রহস্যময়তা আপনাকে ঘিরে ফেলবে।

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য এখানে রয়েছে –

  • ট্রেকিং ট্রেইল
  • বাইক রাইডিং রুট
  • বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফির সুযোগ

🌿 বিশেষ আকর্ষণ

  • দুধসাগর জলপ্রপাত: মোলেম থেকে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে গিয়ে দুধসাগরের ঝর্ণার গর্জন উপভোগ করা এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
  • তাম্বডি সুরলা মহাদেব মন্দির: ১২শ শতকের এই প্রাচীন মন্দিরটি এই পার্কের কাছেই অবস্থিত এবং গোয়ার ঐতিহাসিক স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন।

🏖️ সেরা সময় ও ভ্রমণ টিপস

  • সেরা সময়: অক্টোবর থেকে মার্চ – আবহাওয়া শীতল ও আরামদায়ক থাকে।
  • কি নেবেন: দূরবীন, ক্যামেরা, হালকা খাবার, পর্যাপ্ত জল এবং আরামদায়ক জুতো।
  • নিরাপত্তা: গাইডের নির্দেশ মেনে চলা খুবই জরুরি, কারণ এটি বন্যপ্রাণীর এলাকা।

🏁 উপসংহার

মোলেম ন্যাশনাল পার্ক শুধুমাত্র একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য নয়, এটি প্রকৃতির এক উন্মুক্ত পাঠশালা। এখানে এসে আপনি বুঝতে পারবেন প্রকৃতির সৌন্দর্য ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রসৈকতের বাইরে গোয়ার এই সবুজ অরণ্যে একবার ঘুরে এলে আপনার ভ্রমণ হবে আরও রঙিন ও স্মরণীয়।

Share This
Categories
প্রবন্ধ বিবিধ

গোয়ার বন্ডলা ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি – প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক শান্ত আশ্রয়।।

গোয়া মানেই অনেকের মনে প্রথমে ভেসে ওঠে সমুদ্রসৈকত, ক্যাসিনো আর পার্টির রঙিন ছবি। কিন্তু যারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য গোয়ার পাহাড়ি অরণ্যের কোলে রয়েছে এক শান্ত, সবুজ অভয়ারণ্য – বন্ডলা ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি (Bondla Wildlife Sanctuary)। এটি ছোট হলেও প্রকৃতিপ্রেমী, বন্যপ্রাণীপ্রেমী ও পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে সমান জনপ্রিয়।


📍 অবস্থান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

বন্ডলা স্যাংচুয়ারি গোয়ার উত্তর-পূর্ব অংশে, পন্ডা (Ponda) শহরের কাছে অবস্থিত। প্রায় ৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই সংরক্ষিত বনভূমি এক সবুজ গালিচার মতো। ঘন স্যাল, টিক ও অন্যান্য গাছপালার ছায়ায় ঢাকা এই বন যেন শহরের কোলাহল থেকে পালিয়ে আসা মানুষের জন্য প্রকৃতির কোলে বিশ্রামের স্থান।


🐒 বন্যপ্রাণীর ভাণ্ডার

এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো এর মিনি-জু এবং ডিয়ার সাফারি পার্ক। এখানে আপনি খুব কাছ থেকে দেখতে পারবেন –

  • স্তন্যপায়ী প্রাণী: চিতল হরিণ, সাম্বার হরিণ, ভারতীয় বাইসন (গৌর), স্লথ বিয়ার
  • প্রাণবন্ত পাখি: ময়ূর, মালাবার ট্রোগন, প্যারাকিট, ড্রোঙ্গো, উডপেকার
  • সরীসৃপ: পাইথন, মনিটর লিজার্ড, কচ্ছপ
  • প্রজাপতি: রঙিন নানা প্রজাতির প্রজাপতি যা বসন্তের সময় পুরো বনকে রঙিন করে তোলে।

এখানে একটি ছোট্ট রেসকিউ সেন্টার রয়েছে যেখানে আহত বা অসুস্থ প্রাণীদের সেবা ও চিকিৎসা করা হয়।


🌳 বিশেষ আকর্ষণ

  • ডিয়ার সাফারি: খোলা জায়গায় হরিণদের মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
  • ন্যাচার ট্রেইল ও গাইডেড ট্যুর: জঙ্গলের ভেতর ছোট ছোট হাঁটার পথ রয়েছে, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের খুব পছন্দ।
  • শিক্ষামূলক কেন্দ্র: স্কুলের বাচ্চাদের জন্য এখানে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।

🚙 ভ্রমণের অভিজ্ঞতা

বন্ডলা স্যাংচুয়ারি খুব বড় নয়, তাই একদিনেই এটি ঘুরে দেখা সম্ভব। পরিবারের ছোট সদস্যদের জন্যও এটি নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক। এখানে পিকনিক স্পট, গার্ডেন এবং ভিউপয়েন্ট রয়েছে, যেখানে বসে আপনি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।


🏖️ সেরা সময় ও ভ্রমণ টিপস

  • সেরা সময়: নভেম্বর থেকে মার্চ – আবহাওয়া মনোরম থাকে।
  • প্রবেশ সময়: সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা (সোমবার বন্ধ থাকে)।
  • টিপস: আরামদায়ক জুতো পরুন, পানি ও ক্যামেরা সঙ্গে নিন, বাচ্চাদের নিয়ে গেলে খাবারের ব্যবস্থা করে যান।

🏁 উপসংহার

বন্ডলা ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি ছোট হলেও এটি গোয়ার এক অমূল্য রত্ন। যারা শান্ত, পরিচ্ছন্ন, পরিবার-বান্ধব প্রকৃতির কোলে কিছু সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য এই জায়গাটি একেবারে উপযুক্ত। এখানে এসে বুঝতে পারবেন যে গোয়া শুধু সমুদ্রসৈকতের রাজ্য নয়, এটি প্রকৃতির এক চিরসবুজ ভান্ডার।

Share This