Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১০ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১০ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৩২ – নিকোলাস অটো, জার্মান প্রকৌশলী।  .

১৮৩৬ – সন্তদাস কাঠিয়াবাবা নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু।  .
১৯১৫ – সল বেলো, কানাডীয়-আমেরিকান লেখক।  .

১৯১৮ – ফররুখ আহমদ, বাঙালি কবি।  .

১৯২২ – জুডি গারল্যান্ড, মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী ছিলেন।

১৯৪২ – আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান: বাংলাদেশ) একজন শহীদ ছাত্রনেতা।

১৯৫৫ – প্রকাশ পাডুকোন, ভারতের অন্যতম ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়।

১৯৬০ – নন্দমুরি বলকৃষ্ণ, ভারতের তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পের একজন অভিনেতা।
১৯৬৫ – এলিজাবেথ হার্লি, ইংরেজ অভিনেত্রী ও মডেল।
১৯৭২ – এরিক উপশান্ত, শ্রীলঙ্কান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৮১ – আলবি মরকেল, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।

১৯৮৯ – ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।
১৯৮৯ – আলেক্সান্দ্রা স্তান, রোমানীয় সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীত লেখক।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৬১০- গ্যালিলিও শনি গ্রহের দ্বিতীয় চক্র আবিষ্কার করেন।
১৭৫২- বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ি উড়িয়ে বজ্র থেকে বিদ্যুৎ আহরণ করতে সক্ষম হন।
১৭৯০- ইংরেজ সেনাবাহিনী মালয় নামে পরিচিত বর্তমানকালের মালয়েশিয়ার ওপর হামলা চালায়।
১৮৮১- রাশিয়ার বিখ্যাত লেখক কাউন্ট লিও তলস্তয় চাষির ছদ্মবেশে একটি মঠের দিকে তীর্থযাত্রা শুরু করেন।
১৮৯০ – আজকের দিন রবিবার ছিল। এদিন থেকেই ভারতে সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার নির্ধারিত হয় এবং এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।
১৯০৫- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে বঙ্গীয় শিল্পকলা তথা বেঙ্গল স্কুল অব আর্ট গঠিত হয়।
১৯১৬ – হুসাইন বিন আলি উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের ঘোষণা দেন।
১৯২৬- তুরস্কে সর্বশেষ জানেসারী বিপ্লবের সূচনা।
১৯৪০- ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইতালির যুদ্ধ ঘোষণা।
১৯৪০- উইনস্টন চার্চিল তার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।
১৯৭২- ভারতের প্রথম তাপানুকূল যাত্রীবাহী জাহাজ হর্ষবর্ধনের সমুদ্রযাত্রা।
২০০১- মিডিয়া সম্রাট সিলভিও বালুসকনি দ্বিতীয়বারের মতো ইতালির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৭৭ – বাংলার অগ্রগণ্য সমাজপতি মহারাজা রমানাথ ঠাকুর।

১৯০২ – জ্যাসিন্ট ভার্ডাগুয়ের, কাতালান কবিদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।

১৯২৬ – অ্যান্টনি গাউদি, স্প্যানিশ কাতালান স্থপতি ছিলেন।

১৯৪৮- বাঙালি লেখক অতুলচন্দ্র সেন।
১৯৪৯ – সিগ্রিড উন্ড্‌সেট, নরওয়ান ঔপন্যাসিক।
১৯৫১ – এস ওয়াজেদ আলি, বাঙালি সাহিত্যিক।

১৯৬৫ – অতীন্দ্রনাথ বসু, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বাঙালি বিপ্লবী।
১৯৬৭ – স্পেন্সার ট্রেসি, মার্কিন অভিনেতা।

১৯৮২ – রাইনার ভের্নার ফাসবিন্ডার, পশ্চিম জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা এবং নাট্যকার।

১৯৮৭ – এলিজাবেথ হার্টম্যান, মার্কিন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৯৩ – বিশিষ্ট বাঙালি বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক সুধীরনাথ সান্যাল।
১৯৯৬ – জো ভ্যান ফ্লিট, আমেরিকান অভিনেত্রী।
২০০০ – হাফেজ আল-আসাদ, সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
২০০০ – ব্রায়ান স্ট্যাদাম, ইংলিশ ক্রিকেটার।
২০০১ – লেইলা পাহলভি, ইরানের রাজকন্যা।
২০১৪ – গ্যারি গিলমোর, প্রখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।
২০১৯ – গিরিশ কারনাড, ভারতীয় ভাষাবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
২০২১ – বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, ভারতীয় বাঙালি কবি ও চলচ্চিত্র পরিচালক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।।।।

মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে খাদ্য। সেই খাদ্যকে গুরুত্ব দিতেই ৭ জুনকে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয় যাতে খাদ্যজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনা এবং মানব স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস ২০২৫ এর থিম

২০২৫ সালের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের প্রতিপাদ্য হল :

“খাদ্য নিরাপত্তা: বিজ্ঞানের প্রয়োগ”

এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন কীভাবে খাদ্যজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং পরিচালনা করতে সাহায্য করে তা তুলে ধরা হয়েছে । এটি নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ভূমিকা তুলে ধরে:

বিপদ সনাক্তকরণে ডেটা এবং ডায়াগনস্টিকস ,

উন্নত অনুশীলন বিকাশে গবেষণা ,

এবং খামার থেকে শুরু করে কাঁটা পর্যন্ত সমগ্র খাদ্য শৃঙ্খলে স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষা বৃদ্ধির বৈজ্ঞানিক সমাধান ।

বিজ্ঞানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে , ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য প্রমাণ-ভিত্তিক নীতি নির্ধারণকে উৎসাহিত করে এবং নিরাপদ খাদ্য জীবন বাঁচায় এই ধারণাটিকে আরও শক্তিশালী করে ।

এই খাদ্য নিরাপত্তা মানগুলি কৃষক এবং যারা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করে তাদের গাইড করে। সংযোজন, দূষক, কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ এবং পশুচিকিত্সা ওষুধের পরিমাণ যা আমাদের দ্বারা নিরাপদে সেবন করা যায়, পরিমাপ করা, প্যাকেজিং এবং পরিবহন করা যায়, সেগুলিও এই মানগুলির অধীনে নির্ধারিত হয়। পুষ্টি এবং অ্যালার্জেনের লেবেলগুলি গ্রাহকদের একটি জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
WHO প্রতি বছরের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের থিম ঘোষণা করে বিশ্বব্যাপী অংশগ্রহণকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সংগঠিত প্রচারাভিযান চালু করেছে। নিরাপদ খাদ্য সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যারান্টারগুলির মধ্যে একটি। অনিরাপদ খাবার অনেক রোগের কারণ এবং অন্যান্য খারাপ স্বাস্থ্যের অবস্থার জন্য অবদান রাখে, যেমন প্রতিবন্ধী বৃদ্ধি এবং বিকাশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি, অসংক্রামক বা সংক্রামক রোগ এবং মানসিক অসুস্থতা। বিশ্বব্যাপী, প্রতি দশজনের মধ্যে একজন খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। ক্যাম্পেইনটি বেশিরভাগ খাদ্যবাহিত রোগ প্রতিরোধ করার জন্য একটি টেকসই পদ্ধতিতে উন্নত স্বাস্থ্য সরবরাহ করার জন্য খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। খাদ্য ব্যবস্থার নীতি-নির্ধারক, অনুশীলনকারী এবং বিনিয়োগকারীদের স্বাস্থ্যের ফলাফলের উন্নতির জন্য নিরাপদ খাদ্যের টেকসই উৎপাদন এবং ব্যবহার বাড়ানোর জন্য তাদের কার্যক্রম পুনর্বিন্যাস করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস এর ইতিহাস–
কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস কমিশন (সিএসি), যা এফএও/ডব্লিউএইচও ফুড স্ট্যান্ডার্ড প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে, ২০১৬ সালে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস উদযাপনের একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করে। এক বছর পরে, জুলাই মাসে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সম্মেলন। এর ৪০ তম অধিবেশন ডব্লিউএইচও দ্বারা সমর্থিত একটি রেজোলিউশন গ্রহণ করে ধারণাটিকে সমর্থন করেছে।
অবশেষে, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ তার রেজোলিউশন ৭৩/২৫০ দ্বারা বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস প্রতিষ্ঠা করে। আরও, বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্যজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধ এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে সর্বাত্মক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে এবং তুলে ধরার জন্য 3 আগস্ট, ২০২০ তারিখে WHA73.5 রেজুলেশন পাস করে। খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা জোরদার করা।
বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস এর তাৎপর্য—
আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি খাদ্যে কীটনাশক, রাসায়নিক এবং সংযোজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে যা নিয়ন্ত্রিত না হলে ভোক্তাদের ক্ষতি করবে। পানি দূষণও একটি বড় সমস্যা। বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস নিশ্চিত করে যে সমস্ত ভোক্তাদের জন্য সর্বোত্তম স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে খাদ্যের মান মেনে চলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতিবছর প্রায় ৬০ কোটি মানুষ দূষিত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়। এ কারণে প্রতিবছর মারা যায় ৪ লাখ ৪২ হাজার মানুষ। এ ছাড়া পাঁচ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুদের ৪৩ শতাংশই খাবারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে প্রতিবছর প্রাণ হারায় ১ লাখ ২৫ হাজার শিশু।
পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কমে গেছে জীববৈচিত্র্য। অর্থাৎ, ফসলের জন্য উপকারী কীটপতঙ্গ কমে গেছে, বেড়েছে কিছু ক্ষতিকর পতঙ্গ। যার ফলে ব্যবহৃত হচ্ছে পতঙ্গনাশক ও রাসায়নিক সার। তাই প্রতি বছর খাদ্যজনিত সমস্যায় প্রায় ৬ কোটি মানুষ অসুস্থতায় ভোগেন। তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতরকণ বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খাদ্যজনিত অসুস্থতা সাধারণত সংক্রামক ও বিষাক্ত পদার্থের কারণে হয়ে থাকে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী ও নানা রাসায়নিক পদার্থের কারণে খাদ্য অনিরাপদ হয়ে পড়ে। আর, এই অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে রোগ জীবাণু ও দূষিত পদার্থ, যা অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
পরিবেশ দূষণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জমির মাটি ও ফসল। একই সাথে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করছে শস্যের মাঝে। পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কমে গেছে জীববৈচিত্র্য। অর্থাৎ, ফসলের জন্য উপকারী কীটপতঙ্গ কমে গেছে, বেড়েছে কিছু ক্ষতিকর পতঙ্গ। যার ফলে ব্যবহৃত হচ্ছে পতঙ্গনাশক ও রাসায়নিক সার। যা পরোক্ষ ভাবে আমাদের ই শরীরে প্রবেশ করছে। এতে মানুষের শরীরে ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু হচ্ছে না।
তাই মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনিরাপদ খাদ্য সৃষ্টি করে নানা রকম রোগ-বালাই ও দুর্বল দেহ। যেমন, শিশুর দুর্বল বা অক্ষম হয়ে বেড়ে ওঠা, পুষ্টির অভাব, সংক্রামক কিংবা অসংক্রামক রোগের সৃষ্টি এবং মানসিক অসুস্থতা।
তাই প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উদ্যোগে ৭ই জুন পৃথিবীব্যাপী দিবসটি পালন করা হচ্ছে। খাদ্যজনিত রোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ, চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ ও তার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এই দিনটি আয়োজিত হয়।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ০৭ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ০৭ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক)  বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস।
(খ) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস, বাংলাদেশ।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬৮ – মোহাম্মদ আকরম খাঁ, বাঙালি সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক এবং ইসলামী পণ্ডিত।

১৮৭১ – খাজা সলিমুল্লাহ, ঢাকার নবাব।
১৮৭৩ – প্রখ্যাত বাঙালি চিকিৎসাবিজ্ঞানী স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী।
১৮৭৯ -আর্নেস্ট হার্টসফিল্ড, জার্মানীর বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ ও ইরান-বিশেষজ্ঞ।

১৮৯৬ – রবার্ট সেন্ডারসন মুল্লিকেন, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী এবং রসায়নবিজ্ঞানী।
১৮৯৬ – ইমরে নাগি, হাঙ্গেরির বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিবিদ।
১৯০৯ – জেসিকা ট্যান্ডি, ব্রিটিশ অভিনেত্রী।

১৯১৭ – (ক)  রাজেন তরফদার, প্রখ্যাত বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক,অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার ।
(খ) ডিন মার্টিন, আমেরিকান গায়ক, অভিনেতা ও প্রযোজক।

১৯২৩ – সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, খ্যাতিমান বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
১৯২৮ – জেমস আইভরি, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৩১ – ভার্জিনিয়া ম্যাকেনা, ব্রিটিশ অভিনেত্রী।
১৯৩৫ – শ্যামা, ভারতীয় অভিনেত্রী।
১৯৪৭ – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত বাঙালি লেখক।
১৯৪৮ – জিম ওয়ালটন, আমেরিকান ব্যবসায়ী।
১৯৫২ – ওরহান পামুক, ২০০৬ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তুর্কী সাহিত্যিক।

১৯৫২ – লিয়াম নিসন, আইরিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৯৫৫ – রঞ্জন ঘোষাল, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, গায়ক,গীতিকার, লেখক ও নাট্যব্যক্তিত্ব।
১৯৫৮ – প্রিন্স রজার্স নেলসন, বিখ্যাত মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৫৯ – মাইক পেন্স, মার্কিন রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী।
১৯৬৪ – গ্রেইম লেব্রয়, সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৬৫ – মাইক ফোলি, আমেরিকান লেখক, অভিনেতা, এবং সাবেক পেশাদার কুস্তিগির এবং ধারাভাষ্যকার।
১৯৭০ – কাফু, ব্রাজিলীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৭২ – ফেরদৌস, বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪১৩ – নেপলসের রাজা ল্যাডিস্ল রোম দখল করেন।
১৫৪৬ – আরড্রেস শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ফ্রান্স ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ইংল্যান্ডের যুদ্ধাবসান ঘটে।
১৫৫৭ – ইংল্যান্ড ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৬৫৪ – ষোড়শ লুই ফ্রান্সের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৭৬৫ – উত্তর পারস্যে ভূমিকম্পে ৪০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করে।
১৮১০ – নবাব সৈয়দ জিনে উদ্দিন বাংলার মসনদে আরোহণ করেন।
১৮৭৯ – লাতিন আমেরিকার তিনটি দেশ পেরু, চিলি ও বলিভিয়ার মধ্যে পাঁচ বছরের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯০৪ – সুইডেনের কাছ থেকে নরওয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬৬ – ছয় দফার সমর্থন ও পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পূর্ব বাংলায় হরতাল পালিত হয়। পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিহত ও শত শত আহত হয়।
১৯৭১ – মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ৫শ’ ও ১শ’ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করা হয়।
১৯৭৩ – বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলে সন্তু লারমার নেতৃত্বে শান্তিবাহিনী গঠিত হয়।
১৯৭৫ – ইংল্যান্ডে প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৮০ – ইহুদিবাদী ইসরাইলের জঙ্গীবিমান ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাছে অবস্থিত ইরাকি পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করে।
১৯৮৮ – বাংলাদেশের সংসদে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী গৃহীত হবার মাধ্যমে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৯ – সুরিনামে বিমান দুর্ঘটনায় ১৬২ জন মৃত্যুবরণ করে।
১৯৯১ – পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২শ’ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।
১৯৯২ – আজারবাইজানে প্রথম বহুদলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবুলতাজ এলসিব জয়লাভ করেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৬৫ – হুসাইন নিজাম শাহ, দাক্ষিণাত্যের রাজা।
১৮২৬ – ইয়োসেফ ফন ফ্রাউনহোফার, জার্মান আলোকবিজ্ঞানী।
১৮৬৩ – রিচার্ড মার্শ হো, রোটারি ছাপাখানার মার্কিন উদ্ভাবক।
১৯৩৭ – জিন হার্লো, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৪৮ – লুই ল্যুমিয়ের, ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্রের অগ্রদূত।
১৯৫৪ – অ্যালান টুরিং, ইংরেজ গণিতবিদ, যুক্তিবিদ ও ক্রিপ্টোবিশেষজ্ঞ।
১৯৬৫ – জুডি হলিডে, মার্কিন অভিনেত্রী, কৌতুকাভিনেত্রী ও গায়িকা।
১৯৬৭ – ডরোথি পার্কার, আমেরিকান কবি, লেখক, সমালোচক এবং বিদ্রুপাত্মক রচনাকার।
১৯৭০ – এডওয়ার্ড মরগ্যান ফরস্টার, ইংরেজ ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার ও প্রাবন্ধিক।
১৯৭৮ – রোনাল্ড জর্জ রেফর্ড নোরিশ, ব্রিটিশ রসায়ন বিজ্ঞানী।
১৯৮০ – হেনরি মিলার, আমেরিকান লেখক।
২০০২ – বসপ্পা ধনপ্পা জত্তী, ভারতের পঞ্চম ভারতের উপরাষ্ট্রপতি।
২০১৫ – ক্রিস্টোফার লী, ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, লেখক এবং দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী।
২০১৫ – শেখ রাজ্জাক আলী, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক স্পিকার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ০৬ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ০৬ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৯৯ – আলেক্সান্দ্‌র পুশকিন, আধুনিক রাশিয়ান সাহিত্যের জনক হিসাবে আখ্যায়িত।  .

১৮৫০ – কার্ল ফের্ডিনান্ড ব্রাউন, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবক।
১৮৭৫ – জার্মান ঔপন্যাসিক ছোটগল্পকার ও প্রাবন্ধিক প’ল টমাস মান।

১৮৭৯ – উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী ও সাংবাদিক।

১৮৯৩ – ভারতপ্রেমিক, রবীন্দ্রস্নেহধন্য ও শ্রীনিকেতনের রূপকার লিওনার্ড নাইট এলমহার্স্ট।
১৯০১ – সুকর্ণ, ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি।

১৯১১ – নীহাররঞ্জন গুপ্ত, ভারতের বাঙালি চর্মচিকিৎসক ও ঔপন্যাসিক ।
১৯১৮ – এডুইন জি ক্রেবস, মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।

১৯২৯ – সুনীল দত্ত, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক ও রাজনীতিবিদ।
১৯৩০ – ফ্রাঙ্ক টাইসন, বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ।

১৯৪০ – টাইগার ল্যান্স, দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৪৩ – আসিফ ইকবাল (ক্রিকেটার), ব্রিটিশ ভারতের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৪৪ – ফিলিপ এ শার্প, মার্কিন জিনবিজ্ঞানী এবং আণবিক জীববিজ্ঞানী।
১৯৭০ – সুনীল জোশী, ভারতীয় ক্রিকেটার।
১৯৮৫ – ড্রু ম্যাকইন্টায়ার, স্কটিশ পেশাদার কুস্তিগির।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৬৫৪ – সুইডেনের রানী ক্রিস্টিনার রাজসিংহাসন ত্যাগ।
১৬৬০ – সুইডেন ও ডেনমার্কের দীর্ঘদিনের যুদ্ধাবসান।
১৭৫২ – একটি ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডের ফলে মস্কোর ১৮ হাজার ঘরবাড়িসহ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শহর পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
১৮০১ – স্পেন ও পর্তুগালের মধ্যে বাদাহস চুক্তি স্বাক্ষর।
১৮০৮ – নেপোলিয়নের ভাই জোসেফ বোনাপার্ট স্পেনের রাজা হন।
১৮০৯ – সুইডেনের সংবিধান প্রনয়ণ করা হয়।
১৮৩৩ – আমেরিকার প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি ট্রেনে চড়েন।
১৮৪৪ – খ্রিস্টীয় যুবাদের দেহ মন চেতনা বিকাশের জন্য এক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াই এম সি এ বা YMCA লণ্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮২ – আরব সাগরে উত্থিত সাইক্লোনের আঘাতে বোম্বে শহরে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে।
১৮৮৪ – ভারতের সেনাবাহিনী সেদেশের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসর শহরে শিখদের বৃহৎ স্বর্ণ মন্দিরে অভিযান চালায় এবং প্রায় এক হাজার শিখ গেরিলাকে হত্যা করে।
১৯০৩ – হীরালাল সেন প্রথম আলিবাবা ও চল্লিশ চোর নামের থিয়েটার চলচ্চিত্রায়িত করেন এবং জবাকুসুম হেয়ার অয়েল’ আর ‘এডওয়ার্ডস টনিক’-এর ওপর বিজ্ঞাপনী ছবি তৈরি করেন।
১৯১৯ – সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ফিনল্যান্ডের যুদ্ধ ঘোষণা।
১৯৩৬ – ইন্ডিয়ান স্টেট ব্রডকাস্টিং সার্ভিসের নাম হয় অল ইন্ডিয়া রেডিও। ১৯৫৬ সালে এর পাশাপাশি আকাশবাণী হিসাবে পরিচিতি পায়।
১৯৬৪ – ব্রিটেনের কাছ থেকে মালাবির স্বাধীনতা লাভ। কামুজাবান্দা প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইকুয়েডর।
১৯৭৫ – বাংলাদেশে সকল বেসরকারী সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৯৮২ – দখলদার ইসরাইলী বাহিনী আবারও লেবাননে হামলা চালায়।
১৯৮৩ – কলকাতা দূরদর্শন থেকে রঙিন অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়।
১৯৮৯ – সোভিয়েত ইউনিয়নে চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক লোক নিহত।
১৯৯১ – ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হওয়ার ঘোষণা দেয়।
১৯৯৩ – সাইবেরিয়ায় ৪৬০ শরণার্থীকে গণহত্যা, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
১৯৯৪ – কলম্বিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১ হাজার মানুষ নিহত।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭৫৫ – ফরাসি লেখক লুই সেন সিমুন।

১৭৭৭ – দীনহীন অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় মুসাফিররূপে আজমীর শরীফের বাইরে বাংলার ভাগ্য বিড়ম্বিত নবাব মীর কাসিম আলী।
১৮৩২ – জেরেমি বেন্থাম, ইংরেজ দার্শনিক, আইনতত্ত্ববিদ এবং সমাজ সংস্কারক।
১৮৬৭ – কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম বাঙালি বিচারপতি শম্ভুনাথ পণ্ডিত।
১৯১৯ – রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী বাঙালি বিজ্ঞান লেখক ও অধ্যাপক ।
১৯৬৮ – রবার্ট এফ কেনেডি, আমেরিকান রাজনীতিক এবং আইনজীবী।
১৯৭১ – ভারতীয় উপমহাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অন্যতম ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা লাবণ্যপ্রভা দত্ত।
১৯৭২ – হুমায়ুন কবির, বিশ শতকের বাংলা ভাষার কবি।
১৯৭৪ – সুধীররঞ্জন খাস্তগীর, বঙ্গীয় শিল্পকলার ভারতীয় চিত্রকর ।
২০১৪ – বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহবুবুল আলম
২০১৬ – ভিক্টর কর্চনই, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিখ্যাত গ্র্যান্ডমাস্টার দাবাড়ু ও লেখক ছিলেন।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

“বিশ্ব পরিবেশ দিবস” সম্পর্কে কিছু কথা : দিলীপ রায় ।।।

“আজ বাঁচাও সবুজ, জাগাও সবুজ, ঘোচাও হিংসার রেশ
মনের সবুজ বাঁচলে তবেই
বাঁচবে এ পরিবেশ ।”

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের তাৎপর্য হলো, দিবসটি বিশ্বের বা একটি নির্দিষ্ট দেশের সম্মুখীন পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি করতে পালন করা ।

উদ্ভিদ, মানুষ যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে জীবন যাপন করে এবং যে দৃশ্য ও অদৃশ্য উপাদান মানুষের জীবন জীবিকার উপর প্রভাব বিস্তার করে — সম্মিলিতভাবে তাকে পরিবেশ বলে ।
মানুষের চারিদিকে যে প্রাকৃতিক ও মানবিক স্পর্শ রয়েছে যাদের ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব সম্ভব নয়, সেসব বিষয়গুলিকে একত্রিতভাবে বলা হয় পরিবেশ ।
সোজা কথা – আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই আমাদের পরিবেশ । অর্থাৎ মাটি, জল, বায়ু, গাছপালা, জীবজন্তু, ইত্যাদি আমাদের পরিবেশ । পরিবেশ সম্পর্কে মাসটন বেটস্‌ বলেছেন, “পরিবেশ হলো সেসব বাহ্যিক অবস্থার সমষ্টি যা জীবনের বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে ।”
এবার দিবসটির ইতিহাসের দিকে নজর দেওয়া যাক । ১৯৬৮ সালের ২০শে মে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায় সুইডেন সরকার । চিঠির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাঁদের গভীর উদ্বেগের কথা । সে বছরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের আলচ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয় । পরের বছর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধানের উপায় খুঁজতে সদস্য রাষ্ট্রগুলীর সম্মতিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালে ৫ থেকে ১৫ জুন জাতিসংঘের মানব পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনটি ইতিহাসের প্রথম পরিবেশ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের স্বীকৃতি পায় । ১৯৭৪ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ই জুনকে জাতিসংঘ “পরবেশ দিবস” হিসেবে ঘোষণা করে । বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস । প্রতি বছর ৫ জুন ‘পরিবেশ’ দূষণের হাত থেকে এ বিশ্বকে বাঁচানোর অঙ্গীকার নিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে । বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রতি বছর ৫ই জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত দিবস ।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিকমতো বজায় রেখে মানুষ যাতে এই পৃথিবীর বুকে অন্যান্য সমস্ত জীবের সাথে একাত্ম হয়ে এক সুন্দর পরিবেশে বেঁচে থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাই বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল উদ্দেশ্য ।
এবার আসছি পরিবেশবিদরা কী বলছেন ? বিভিন্ন পরিবেশবিদরা বলছেন, পর্যাপ্ত গাছের অভাবে জলের বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেছে, এর ফলে এখানে মাইক্রোক্লাইমেট তথা আশেপাশের এলাকা থেকে ভিন্ন জলবায়ু পরিস্থিতি বিরাজ করছে । গাছ না লাগালে আগামী ২০বছর পর এখানে অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দিতে পারে ।
অনেক পরিবেশবিদরা বলছেন, গাছ মূলত ‘বাষ্পমোচন ও ঘনীভবন’ — এই দুটি প্রক্রিয়ায় বৃষ্টি আনতে সাহায্য করে । গাছ তার শোষিত জলের ১০ শতাংশ সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহার করে । আর বাকী ৯০ শতাংশই প্রকৃতিতে বাষ্পমোচন করে দেয় । এতে বাতাসে ভাসমান জলীয়কণার পরিমান বাড়ে, যা বৃষ্টির প্রধান উপাদান । বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এখন গাছও কম, তাই বৃষ্টি কম ।
“দূষণ মুক্ত সবুজ পৃথিবী গড়তে
গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান ।”
এখানে একটি ঘটনার উল্লেখ না করে পারলাম না । জানেন কি, এক টাকাও খরচ না করে দেশের স্বচ্ছতম নদীর তকমা পেয়েছে মেঘালয়ের এক পাহাড়ি নদী । শুধুমাত্র স্থানীয় মানুষের সচেতনতার ফল । মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড় জেলায় অবস্থিত ছোট্টো পরিচ্ছন্ন এবং তকতকে শহর ডাউকি । ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত ডাউকি কিন্তু দেশের আর পাঁচটা সীমান্তের মতো সবসময় উত্তপ্ত থাকে না । পরিবেশ যেন সর্বদাই মনোরম। যদিও সেনা টহল সবসময় । ডাউকির কাছেই অবস্থিত এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিনং । ডাউকির সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হল উমঙ্গট নদী ।
অথচ গঙ্গা দূষণ রোধে ও পরিবেশ রক্ষায় না জানি ভারত সরকার কত হাজার কোটি টাকা খরচ করে যাচ্ছে ! অথচ ফল কী হচ্ছে, আজও মানুষেরা অজানা !
এবছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম – প্লাস্টিক-দূষণ মোকাবিলার পথ সন্ধান করা । ২০২৩ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো “প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে ।” দিবসের স্লোগান নির্ধারন হয়েছে, “সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ ।” দেশের সুশীল নাগরিক সমাজও পরিবেশ দিবসের স্লোগানের সাথে সামিল হন, আবেদন রইলো । (তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত)
——-০———–

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।।।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস হল একটি বার্ষিক উদযাপন যা পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আমাদের গ্রহকে রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপের প্রচারের জন্য নিবেদিত। এটি পরিবেশের অবস্থা প্রতিফলিত করার এবং আরও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে পদক্ষেপ নেওয়ার একটি দিন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস, প্রতি বছর ৫ জুন পালিত হয়, পরিবেশ রক্ষার জন্য আমাদের ভাগ করা দায়িত্বের একটি বাধ্যতামূলক অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।

আমরা সকলেই আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে টেকসই অভ্যাস গ্রহণ, সম্পদ সংরক্ষণ এবং পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগের প্রচারের মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখতে পারি। এমনকি ছোট কাজ, যেমন গাছ লাগানো, বর্জ্য কমানো, বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি অনুমোদন করা, উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। আসুন আমাদের গ্রহের জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টায় একতাবদ্ধ হই!

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ : তারিখ—

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ বুধবার, ৫ জুন পালিত হবে। এটি বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং দেশগুলির জন্য পরিবেশগত ওকালতি এবং পদক্ষেপে নিযুক্ত হওয়ার জন্য একটি পুনরাবৃত্ত সুযোগ প্রদান করে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ : থিম—-

প্রতি বছর, জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP) একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত সমস্যা প্রতিফলিত করে এমন একটি থিম নির্বাচন করে, যা জাতি, সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করে। ২০২৫ সালের থিমটি জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা, টেকসই জীবনযাপন এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপর জোর দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী মানুষকে পরিবেশবান্ধব অনুশীলন এবং নীতি গ্রহণের আহ্বান জানাবে যা একটি স্বাস্থ্যকর গ্রহের জন্য অবদান রাখে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ : ইতিহাস—-

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ১৯৭২ সালে স্টকহোম মানব পরিবেশ সম্মেলনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম উদযাপন ১৯৭৩ সালে সংঘটিত হয়েছিল এবং তারপর থেকে, এটি ১৫০ টিরও বেশি দেশ জড়িত একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর, দিবসটি একটি ভিন্ন দেশ দ্বারা হোস্ট করা হয়, যেখানে সরকারী ইভেন্টগুলি নির্দিষ্ট পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ এবং সমাধানগুলিকে তুলে ধরে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ : তাৎপর্য—-

বিশ্ব পরিবেশ দিবস বিভিন্ন কারণে তাৎপর্যপূর্ণ:

সচেতনতা বাড়ায়: এটি পরিবেশগত সমস্যাগুলিকে জনসচেতনতার সামনে নিয়ে আসে, ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলিকে পদক্ষেপ নিতে উত্সাহিত করে।
ক্রিয়াকলাপের প্রচার: এটি পরিবেশগত প্রভাব কমাতে এবং টেকসই অনুশীলনকে সমর্থন করার জন্য তাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন করতে অনুপ্রাণিত করে।
একটি নির্দিষ্ট থিমের উপর ফোকাস করে: প্রতি বছরের থিম একটি চাপা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জকে হাইলাইট করে, যা লক্ষ্যবস্তু সমাধান এবং সহযোগিতার জন্য অনুমতি দেয়।
বিশ্বকে একত্রিত করে: বিশ্ব পরিবেশ দিবস সীমানা এবং সংস্কৃতিকে অতিক্রম করে, পরিবেশের প্রতি বিশ্বব্যাপী দায়িত্ববোধের উদ্রেক করে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ০৫ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ০৫ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব পরিবেশ দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব – সক্রেটিস গ্রিক দার্শনিক।  .
১৭২৩ – এডাম স্মিথ, স্কটিশ অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক।
১৭৭০ – তুরস্কের সুলতান দ্বিতীয় মুস্তফা।
১৮৬৫ – সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভারতে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ ।
১৮৮৩ – জন মেনার্ড কেইনস, ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ।
১৮৯৮ – ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা, স্পেনীয় কবি নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক।
১৯০০ – দেনেশ গাবর, হাঙ্গেরীয়-ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবক।
১৯১১ – জন সি. উডস, নুরেমবার্গ‌ বিচারের মৃত্যুদন্ড কার্যকরকারী আমেরিকান জল্লাদ।
১৯১২ – এরিক হোলিস, ইংলিশ ক্রিকেটার।
১৯১৬ – সিড বার্নস, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।
১৯২৮ – টনি রিচার্ডসন, ইংরেজ নাট্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯৩১ – জাক দ্যমি, ফরাসি অভিনেতা, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার।
১৯৪৪ – হুইটফিল্ড ডিফি, মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
১৯৪৯ – কেন ফলেট, ব্রিটিশ রোমাঞ্চ এবং ঐতিহাসিক উপন্যাস রচয়িতা।
১৯৫২ – মুকেশ ভাট, ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজক।
১৯৫৪ – (ক)  ফিল নীল, সাবেক ও বিখ্যাত ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট তারকা।
(খ) আমেরিকান অভিনেত্রী ন্যান্সি স্টাফোর্ড।
১৯৫৬ – স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৭১ – মার্ক ওয়ালবার্গ, মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা, প্রযোজক এবং র‌্যাপার।
১৯৭২ – তানিয়া আহমেদ, বাংলাদেশী মডেল, অভিনেত্রী, পরিচালক ও উপস্থাপিকা।
১৯৭৪ – মারভিন ডিলন, ত্রিনিদাদিয়ান ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৮৩ – ফ্রান্সে জনসমক্ষে প্রথম বাষ্পচালিত বেলুন উড়িয়ে দেখান মন্টগলফারায় ভাইয়েরা।
১৮০৬ – লুই বোনাপাত হলান্ডের রাজা নিযুক্ত।
১৮২৭ – উসমানীয় সাম্রাজ্যের কাছে গ্রিক রাজধানী এথেন্সের পতন
১৮৪৯ – ডেনমার্কে রাজতন্ত্র সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায়।
১৮৭০ – তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল শহরের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে যায়।
১৯১৫ – ডেনমার্কে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান।
১৯১৬ – তুর্কিদের বিরুদ্ধে আরব বিপ্লব শুরু হয়।
১৯২৬ – তুরস্কে সর্বশেষ জানেসারি বিপ্লবের সূচনা।
১৯৪০ – প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়।
১৯৪২ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা।
১৯৬৭ – ছয়দিনের যুদ্ধ শুরু।
১৯৭২ – সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ‘জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন’ শুরু।
১৯৭২ – স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
১৯৭৫ – কমন মার্কেট থাকা না থাকা নিয়ে ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম গণভোট। অধিকাংশ ভোট কমন মার্কেট থাকার পক্ষে পড়ে।
১৯৭৬ – আট বছর বন্ধ থাকার পর সুয়েজ খাল পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।
১৯৮৩ – অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা। উগ্রপন্থী ৬’শ হিন্দু নিহত।
১৯৯৭ – আলজেরিয়ায় প্রথম বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৬ – বিজিবি’র প্রথম নারী সদস্যদের পথচলা শুরু।
২০২২ – চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জন মারা যায়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩১৬ – ফ্রান্সের রাজা দশম লুই।
১৮৮৯ – ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্ত।
১৯১০ – ও হেনরি, মার্কিন ছোটগল্পকার।
১৯৬৮ – আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রবার্ট কেনেডি।
১৯৯৬ – সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্র সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।
২০০৪ – রোনাল্ড রেগন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম রাষ্ট্রপতি।
২০১১ – আজম খান, বাংলাদেশি পপ সঙ্গীত শিল্পী।
২০১২ – রে ব্র্যাডবেরি, মার্কিন লেখক ও চিত্রনাট্যকার।
২০১৫ – তারেক আজিজ, ইরাকি রাজনীতিবিদ, ইরাকি বাথ সোশ্যালিষ্ট পার্টির নেতা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ০৪ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ০৪ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) জাতীয় চা দিবস (বাংলাদেশ)।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮২৯ – অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম ভারতের বেসামরিক কর্মকর্তা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ।

১৯০৭ – রোজালিন্ড রাসেল, মার্কিন অভিনেত্রী, কৌতুকাভিনেত্রী, চিত্রনাট্যকার ও গায়িকা।

১৯১৫ – ওয়াল্টার হ্যাডলি, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার।
১৯১৬ – রবার্ট ফ্রান্সিস ফার্চগট, মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।

১৯৩৬ – (ক) নূতন সমর্থ, ভারতীয় অভিনেত্রী।
(খ) ব্রুস ডার্ন, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯৪৬ – এস.পি. বালসুব্রহ্মণ্যম, ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী,সঙ্গীত পরিচালক ও অভিনেতা।

১৯৬১ – জুলি হোয়াইট, মার্কিন অভিনেত্রী ।
১৯৬৬ – ভ্লাদিমির ভয়েভদস্কি, রাশিয়ান গণিতবিদ।

১৯৭৫ – অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, মার্কিন অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মানবহিতৌষী। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্ম। তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দু’বার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার ও একবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হন। বিশ্বব্যাপী মানবতার প্রচার ও শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি বিশেষভাবে সমাদৃত।

১৯৭৬ – টিম রজন, বিখ্যাত কানাডিয়ান অভিনেতা।
১৯৮৪ – রইনই যং, তাইওয়ান অভিনেত্রী।
১৯৮৫ – লুকাস পোদোলস্কি, জার্মান ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৯১ – বেন স্টোকস, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৫৯ – মেজেন্টা যুদ্ধে ফ্রান্সের কাছে অস্ট্রিয়ানদের পরাজয়।
১৮৭৬ – তুরস্কের সুলতান আবদুল আজিজ আততায়ীর হাতে নিহত হন।
১৮৭৮ – সাইপ্রাসকে ব্রিটেনের নিকট হস্তান্তর করে উসমানীয় সাম্রাজ্য (বর্তমান তুরস্ক)
১৯২০ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধশেষে প্যারিস সম্মেলনে মিত্র ও সহযোগী শক্তির সাথে হাংগেরির ত্রিয়ানোঁ চুক্তি (Traité de Trianon) স্বাক্ষরিত।
১৯২৪ – বিজ্ঞানাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু কোয়ান্টাম মেকানিসক্স-এর উপর তার গবেষণাপত্র, (যেটি পরবর্তীতে “বোস- আইনস্টাইন কনডেনসেট” নামে পরিচিত হয়) আইনস্টাইনের কাছে পাঠান।
১৯৪২ – প্রশান্ত মহাসাগরের মিডওয়ে দ্বীপে মিত্রশক্তি ও জাপানের মধ্যে নৌযুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৪৩ – আর্জেন্টিনায় এক সেনা অভ্যুত্থানে কাস্টিলো ক্ষমতাচ্যুত হন।
১৯৪৬ – জুয়ান ফেরোন আর্জেনটিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৫৫ – ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সরাসরি টেলিফোন যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
১৯৭০ – প্রশান্ত মহাসাগরে ১৬৯টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত টোঙ্গা স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৮৯ – চীনে ছাত্রদের আন্দোলনে সামরিক বাহিনীর তিয়েনআনমেন স্কয়ার গণহত্যা বা ৪ জুন গণহত্যা সংগঠিত হয়।
১৯৮৯ – আয়াতুল্লাহ খোমেনির মৃত্যুর পর ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের সুপ্রিম লিডার নির্বাচিত হন আলি খোমেনি।
১৯৯৬ – বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৭৬ – আব্দুল আজিজ (উসমানীয় সুলতান), উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৩২ তম সুলতান।
১৯২৬ – ফ্রেড স্পফোর্থ, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।
১৯৩১ – হুসাইন বিন আলি, মক্কার শরিফ, আরব নেতা ও হেজাজের বাদশাহ।
১৯৩২ – মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত ‘শ্রীম’ নামে পরিচিত শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য ও ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’ রচয়িতা।
১৯৪১ – দ্বিতীয় ভিলহেম, জার্মানির সম্রাট।
১৯৪২ – রাইনহার্ট হাইড্‌রিখ, জার্মান নাৎসি কর্মকর্তা এবং হলোকস্টের মূল হোতা।
১৯৭১ – গোর্গি লুকাস, হাঙ্গেরীয় মার্কসবাদী দার্শনিক, নন্দনতত্ত্ববিদ, সাহিত্য ইতিহাসবিদ এবং সমালোচক।
১৯৭৩ – মোরিস রনে ফ্রেশে, ফরাসি গণিতবিদ।
১৯৮৩ – সতীশচন্দ্র সামন্ত, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও লোকসভা সদস্য ।
১৯৮৯ – আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি, ইরানের ধর্মীয় নেতা।
২০২০ – (ক)  বলিউডের কিংবদন্তি পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার বাসু চ্যাটার্জী।
(ক) উত্তমকুমারের প্রিয়চিত্রগ্রাহক বৈদ্যনাথ বসাক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৩ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ০৩ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব সাইকেল দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৯১ – ভারতীয় বাঙালি বিপ্লবী ও কমিউনিস্ট নেতা অবনীনাথ মুখোপাধ্যায়।

১৯০৬ – জোসেফিন বেকার, আমেরিকান বংশদ্ভুত ফ্রেন্স নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেত্রী।

১৯০৬ – ওয়াল্টার রবিন্স, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার।
১৯১০ – পলেট গডার্ড, আমেরিকান অভিনেত্রী এবং মডেল।
১৯১১ – এলেন কর্বি, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯১৯ – ছায়া দেবী(চট্টোপাধ্যায়), প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্রাভিনেত্রী।

১৯২০ – অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার, বিশিষ্ট অধ্যাপক, গবেষক ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি’র ভূতপূর্ব সভাপতি।

১৯২৪ – করুণানিধি মুথুবেল, ভারতীয় রাজনীতিক এবং তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।
১৯২৫ – টনি কার্টিস, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা।
১৯২৬ – অ্যালেন গিন্সবার্গ, মার্কিন কবি এবং লেখক।
১৯২৮ – জন রিচার্ড রিড, সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৩১ – রাউল কাস্ত্রো, কিউবার রাষ্ট্রপতি এবং ফিদেল কাস্ত্রোর ভাই।
১৯৬০ – কার্ল রেকেম্যান, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৬৬ – ওয়াসিম আকরাম, সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেট খেলোয়াড়।
১৯৬৮ – সাফ্রন, ইংরেজ গায়িকা।
১৯৮২ – ইয়েলেনা ইসিনবায়েভা, ভলগোগ্রাদে জন্মগ্রহণকারী রাশিয়ার বিখ্যাত প্রমিলা পোল ভল্টার।
১৯৮৫ – উকাশ পিশ্চেক, পোল্যান্ডের একজন পেশাদার ফুটবলার।
১৯৮৬ – রাফায়েল নাদাল, স্পেনের একজন পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৯১ – উকাশ তেওদোর্চেক, পেশাদার ফুটবলার।
১৯৯২ – মারিও গোটজে, জার্মান ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫০২ – পর্তুগীজ নৌ অভিযাত্রী ভাস্কো-দা-গামা ভারতের কালিকট বন্দরে এক নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো।
১৬৬৫ – ডিউক অব ইয়র্ক জেমস স্টুয়ার্ট ওলন্দাজ নৌ-রণতরীকে পরাজিত করেন।
১৬৬৫ – লোয়েস্টফটের যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে ওলন্দাজদের পরাজয়।
১৭৮৯ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় লবণ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে।
১৯১৫ – ব্রিটিশ সরকার রবীন্দ্রনাথকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করে।
১৯৩৬ – অবিভক্ত ভারতের সিভিলিয়ান রেডিওর নাম পরিবর্তন করে অল ইন্ডিয়া রেডিও নামকরণ।
১৯৪০ – ব্যাটল্‌ অব ডানকার্ক।
১৯৪০ – জার্মান বিমানবাহিনী ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপর বোমা বর্ষণ শুরু করে।
১৯৪০ – সিঙ্গাপুর বৃটিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৪৬ – ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক নেতারা ব্রিটিশ সরকার প্রস্তাবিত ভারত বিভাজন প্রস্তাব মেনে নেন।
১৯৪৭ – বৃটিশ সরকার ভারত বিভাগের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।
১৯৪৯ – আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬৯ – ভাষা বিজ্ঞানী অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল হাই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হন।
১৯৭১ – জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে হানাদার বাহিনীর অত্যাচার মানব ইতিহাসের সর্বাধিক বিষাদময় ঘটনা।
১৯৭৮ – বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান বিজয় লাভ করে।
১৯৮৪ – ভারত সরকার শিখদের পবিত্র হরমন্দির সাহিব দখলের জন্য অপারেশন ব্লু স্টার শুরু করে; এটি ৮ জুন পর্যন্ত পরিচালিত হয়।
১৯৮৯ – চীন সরকার তিয়েনআনমেন স্কয়ার থেকে অবরোধকারীদের বিতারণের জন্য সেনা প্রেরণ করে।
১৯৯৯ – যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোভেদান মিলোশোভিচ কোসভো থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে সম্মত হয়।
২০০০ – মন্টেনিগ্রো কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা।
২০১০ – রাজধানী ঢাকার নিমতলি মহল্লায় অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
১৬৫৭ – উইলিয়াম হার্ভে, ইংরেজ চিকিৎসক।
১৯০৮ – গোপাল সেনগুপ্ত, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।
১৯২৪ – ফ্রান্‌ৎস কাফকা, জার্মান ও চেক উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক।

১৯৬১ – কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ ও লেখক।
১৯৬৩ – নাজিম হিকমত, তুর্কি কবি এবং লেখক।
১৯৬৩ – ধর্মগুরু ত্রয়োদশ পোপ জনের মৃত্যু।

১৯৬৯ – মুহম্মদ আবদুল হাই, বাংলা ভাষার ধ্বনিবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক।
১৯৭৭ – আর্চিবাল্ড ভি. হিল, ইংরেজ শারীরতত্ত্ববিদ।
১৯৭৫ – এইসাকু সাতো, জাপানী রাজনীতিবিদ।
১৯৮৪ – ঐতিহাসিক আবু মহামেদ।
১৯৮৭ – রুহুল্লাহ্‌ খামেনেই, ইরানি ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ।
১৯৯০ – রবার্ট নয়েস, আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী এবং ইন্টেল কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
২০০১ – অ্যান্থনি কুইন, মার্কিন অভিনেতা।
২০১৪ – প্রবীণ সাংবাদিক বেনজীর আহমেদ।
২০১৫ – সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী বিজয়া রায়।
২০১৬ – মোহাম্মদ আলী, মার্কিন বক্সার।
২০২০ – বলিউডের বিশিষ্ট গীতিকার আনোয়ার সাগর।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বাঁকুড়ার শুশুনিয়া গ্রামে আজও বহু মানুষ তৈরি করেন বেলের মালা – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।

বেল ফল দিয়ে কি হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবেন, গরমকালে বেলের শরবত পান করা হয়। আবার কেউ বলবেন বেল গাছের আধ্যাত্মিক প্রেক্ষাপটের কথা। তবে এছাড়াও বেল দিয়ে করা হয় আরও একটি কাজ। এই কাজ করে উপার্জন করা যায় অর্থ। এমনটাই করছে বাঁকুড়ার একটি গোটা গ্রাম। বাঁকুড়ার শুশুনিয়া গ্রামে বহু মানুষ তৈরি করেন বেলের মালা।

অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়া। গাছ থেকে বেল পারার পরও রয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সূক্ষ্ম ব্যবহার। তারপরই তৈরি হয় এই মালা। শুশুনিয়া গ্রামের ছাতাতলা এলাকার, দাস পরিবার প্রায় ৩৬ বছর ধরে এই কাজ করছে।

আঞ্চলিক গাছ থেকে বেল যোগাড় করা হয়, আবার বিষ্ণুপুর থেকে ১৬০ পিস বেলের খোলা ৪০০ টাকা মূল্যে কিনে আনেন বেলমালা প্রস্তুতকারকরা। এরপর ভেতর থেকে বেলের শাঁস বের করে দেওয়া হয়। বেলের খোলার উপরের ছাল ভালো করে চেঁচে ছুলে তৈরি করা হয় পরের ধাপের জন্য। এবার সেই দু’দিক ছুলে নেওয়া, বেলের খোলার ভিতরে যন্ত্রের ব্যবহার করে হাতের সাহায্যে গোল গোল দাগ করা হয়। তারপর ওই একই যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে, দাগ দেওয়া গোল গোল অংশগুলিকে বেলের খোলা থেকে আলাদা করা হয়। এবার এক ধরনের বিশেষ ছুঁচ ব্যবহার করে গাঁথা হয় বেলের মালা। প্রতিটি মালা বিক্রি করা হয় ৫ টাকা মূল্যে। অর্থাৎ কুড়িটি মালা ১০০ টাকায়। গ্রামের মালা প্রস্তুতকারকেরা, এই বেল মালা সরাসরি তুলে দেন মহাজনদের হাতে। এরপর সেই মালা বিক্রি হয়ে যায় বিভিন্ন বাজারে।

বেলমারা প্রস্তুতকারক সঞ্জয় দাস জানান, এই কাজ করে কোনওরকমে দিন চলে। খুব দ্রুততার সঙ্গে সারাদিন কাজ করলে, আড়াইশো থেকে ৩০০ টাকা উপার্জন করা যায়।মুদ্রাস্ফীতির কারণে দু’শো আড়াইশো টাকায় কিছুই হয় না বলে জানিয়েছেন মালা এই প্রস্তুতকারক। তাছাড়া এই কাজে সরকারি কোনও হস্তক্ষেপ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মালা প্রস্তুতকারকরা। শিল্পী ভাতা পেলে জীবনধারণ করা কিছুটা কম কঠিন হবে বলে মনে করছেন তারা। তবে নতুন প্রজন্ম এই ব্যবসা থেকে ইতোমধ্যেই মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।
পাথর শিল্পেও টান পড়েছে শুশুনিয়া গ্রামে। তবে এখনো জীবিত রয়েছে পাথর শিল্প। এই গ্রামের বেলমালা তৈরি করার কথা অনেকেরই অজানা। তবে পশ্চিমবঙ্গের বাজারে যে বেলমালা গুলি বিক্রি হয়, সেগুলির অধিকাংশই যোগান দিয়ে থাকে এই গ্রাম। তাই পরেরবার বাজারে গিয়ে বেলমালা কিনলে, হয়ত আপনার বেলমালাতে ছোঁয়া লেগে থাকবে বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার।

।।নীলাঞ্জন ব্যানার্জী।।

Share This