Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

একটি মোবাইল যখন সম্পর্কের মাঝে দেওয়াল হয়ে দাঁড়ায়।

 

ভূমিকা

২১শ শতাব্দীকে আমরা ডিজিটাল যুগ বলি। মোবাইল ফোন এখন শুধু একটি যোগাযোগের মাধ্যম নয়; এটি আমাদের ব্যক্তিগত সহচর, আমাদের বিনোদনের উৎস, আমাদের অফিস, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে আমাদের পরিচয়ের অংশ। কিন্তু যে যন্ত্র মানুষকে কাছাকাছি আনার জন্য তৈরি হয়েছিল, সেটাই কি আজ মানুষের মধ্যে অদৃশ্য দেওয়াল তৈরি করছে? দাম্পত্য সম্পর্ক, প্রেমের সম্পর্ক, পিতা-মাতা ও সন্তান সম্পর্ক—সব ক্ষেত্রেই মোবাইল কখনও কখনও এক নীরব তৃতীয় পক্ষ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


মোবাইল ফোনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব

  • পরিসংখ্যান: ২০২৪ সালের একটি আন্তর্জাতিক জরিপ অনুসারে, একজন গড় মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৩-৫ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করে। কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে এটি ৭ ঘণ্টা ছাড়িয়ে যায়।
  • সামাজিক বাস্তবতা: আগে পরিবারের সবাই একসাথে গল্প করত, খেলাধুলা করত, সিনেমা দেখত। এখন প্রত্যেকে নিজের স্ক্রিনে ডুবে থাকে।
  • যোগাযোগের নতুন রূপ: মোবাইল ফোনে WhatsApp, Messenger, Instagram, ইত্যাদি থাকায় যোগাযোগ অনেক বেড়েছে, কিন্তু ব্যক্তিগত সংলাপ (face-to-face communication) কমেছে।

সম্পর্কের মাঝে দেওয়াল: সমস্যার মূল

১. অতিরিক্ত ব্যবহার (Overuse)

যখন একজন সঙ্গী সারাক্ষণ মোবাইলে ব্যস্ত থাকে—গেম খেলে, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে, ভিডিও দেখে—অন্যজন নিজেকে উপেক্ষিত মনে করে।

২. মোবাইল আসক্তি (Nomophobia)

গবেষণা বলছে, যারা মোবাইল ছাড়া থাকতে পারে না, তাদের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং সম্পর্কের জটিলতা বেড়ে যায়।

৩. বিশ্বাসের সংকট

মোবাইলে ব্যক্তিগত চ্যাট, কল লিস্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ফ্রেন্ড লিস্ট নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি সম্পর্ক ভেঙে দেয়।

৪. প্রেমের উষ্ণতা হারিয়ে যাওয়া

দাম্পত্য সম্পর্কে শারীরিক ও মানসিক ঘনিষ্ঠতা কমে যায়। একে বলে “ফোন ফ্যাটিগ”—যেখানে সঙ্গীরা একসাথে থাকলেও মানসিকভাবে দূরে থাকে।


মনোবিজ্ঞানের বিশ্লেষণ

  • ডোপামিন এফেক্ট: সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক, কমেন্ট আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন ক্ষরণ বাড়ায়, যা এক ধরনের আসক্তি তৈরি করে। ফলে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার চেয়ে ফোন দেখা বেশি আকর্ষণীয় লাগে।
  • অ্যাটাচমেন্ট থিওরি: সম্পর্কের নিরাপত্তা বোধ নষ্ট হলে মানুষ সঙ্গীর বদলে ফোনে আশ্রয় খোঁজে।
  • ফোমো (FOMO): ফোন না দেখলে কিছু মিস হয়ে যাবে—এই ভয় মানুষকে সারাক্ষণ ফোনের দিকে টেনে নেয়।

বাস্তব উদাহরণ

উদাহরণ ১:

সুদীপ ও মেঘলা বিবাহিত দম্পতি। অফিস থেকে ফিরে দুজনেই ক্লান্ত। একসময় তারা একসাথে গল্প করত, হাঁটতে যেত। এখন দুজনেই সোফায় বসে ফোনে ডুবে থাকে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে কথা বলা কমে যায়, ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে।

উদাহরণ ২:

একটি পরিবারে খাওয়ার টেবিলে প্রত্যেকে ফোন ব্যবহার করছে। বাবা সংবাদ পড়ছে, মা অনলাইন শপিং করছে, ছেলে গেম খেলছে। ফলে পরিবারে একসাথে সময় কাটানোর ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে।


সমাজে প্রভাব

  • বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বৃদ্ধি: বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে যে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বিবাহবিচ্ছেদ ও বিচ্ছেদের মামলা বেড়েছে।
  • শিশুদের উপর প্রভাব: যখন পিতা-মাতা ফোনে বেশি সময় দেয়, শিশুরা অবহেলিত বোধ করে। তাদের আবেগিক বিকাশে প্রভাব পড়ে।
  • বন্ধুত্ব ও সামাজিক সম্পর্ক ক্ষীণ হওয়া: অফলাইন সামাজিক মেলামেশা কমে যাচ্ছে।

সম্ভাব্য সমাধান

১. ডিজিটাল ডিটক্স: প্রতিদিন অন্তত ১-২ ঘণ্টা মোবাইল ছাড়া সময় কাটানো।
২. ফোন-মুক্ত সময়: খাওয়ার সময়, শোবার সময়, বা পরিবার একসাথে থাকলে ফোন দূরে রাখা।
৩. ওপেন কমিউনিকেশন: সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা যে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার তাকে কষ্ট দিচ্ছে।
৪. রিয়েল-টাইম এক্টিভিটি: একসাথে হাঁটা, রান্না করা, ভ্রমণ করা—যাতে একে অপরের সান্নিধ্যে সময় কাটানো যায়।
৫. মাইন্ডফুলনেস: সচেতনভাবে ফোন ব্যবহার করা এবং সময়সীমা নির্ধারণ করা।


প্রযুক্তি বনাম মানবিক সম্পর্ক

প্রযুক্তি খারাপ নয়—এটি আমাদের জীবনের অংশ। কিন্তু প্রযুক্তিকে যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ না করি, তাহলে এটি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে নেয়। মোবাইল ফোনকে এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে এটি সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটায়, বিনাশ নয়।


উপসংহার

মোবাইল ফোন আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, কিন্তু সম্পর্ককে জটিলও করেছে। এই অদৃশ্য দেওয়াল ভাঙার দায়িত্ব আমাদেরই। আমাদেরই ঠিক করতে হবে, আমরা কি চাই—ডিজিটাল জগতে হারিয়ে যাওয়া, নাকি বাস্তব জীবনের ভালোবাসা ও সম্পর্ককে ফিরিয়ে আনা।

প্রযুক্তি ব্যবহার হবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে, সম্পর্কের ক্ষতি না করে বরং সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার জন্য।


এই প্রবন্ধটি সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে এক বাস্তব সমস্যার বিশ্লেষণ।

 

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

তুংনাথের পথে – এক অবিস্মরণীয় যাত্রা।

১. যাত্রার শুরু

সকালবেলায় কলকাতার হাওড়া স্টেশন।
প্ল্যাটফর্ম ভরতি মানুষের কোলাহল, গরম চা আর খবরের কাগজের গন্ধ—যেন এক বিশেষ ভ্রমণের ডাক।
আমরা চারজন বন্ধু—আমি, অর্ক, স্নিগ্ধা আর রোহন—নিশ্চিন্ত মনে দাঁড়িয়ে আছি।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে আমাদের বহু প্রতীক্ষিত উত্তরাখণ্ড ভ্রমণ।

গন্তব্য—তুংনাথ
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিবমন্দির। পাহাড়ের কোলে বসে থাকা এক দেবালয়, যার পথও এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা।


২. প্রথম গন্তব্য – হরিদ্বার ও ঋষিকেশ

ট্রেনে রাত কাটিয়ে সকালে পৌঁছলাম হরিদ্বারে।
সকালবেলার গঙ্গার ঘাট যেন স্বর্গীয় দৃশ্য—হালকা কুয়াশা, ঘণ্টাধ্বনি, ধূপের গন্ধ।
আমরা সকলে মিলে গঙ্গাজলে হাত ডুবিয়ে প্রণাম করলাম। মনে হল, ভ্রমণের শুরুতেই আশীর্বাদ পেয়ে গেলাম।

তারপর ছোট্ট বাসযাত্রা করে পৌঁছলাম ঋষিকেশ।
লক্ষ্মণ ঝুলা পার হওয়ার সময় গঙ্গার গর্জন কানে আসছিল।
স্নিগ্ধা ছবি তুলতে ব্যস্ত, অর্ক বলল—
— “দেখো না, আমরা যেন অন্য দুনিয়ায় এসে পড়েছি!”

ঋষিকেশের নিরিবিলি ক্যাফেতে বসে গরম কফি খেলাম। পাহাড়ি বাতাসে ক্লান্তি উড়ে গেল।


৩. চন্দ্রশিলা ট্রেকের সূচনা

পরদিন সকালে আমরা গাড়িতে করে পৌঁছলাম চোপতা।
এখান থেকেই শুরু হবে তুংনাথ ট্রেক।
চোপতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে মনে হয়, প্রকৃতি এখানে নিজের হাতে ছবি এঁকেছে—
সবুজ তৃণভূমি, বরফে ঢাকা দূরের শৃঙ্গ, আর পাখিদের গান।

ট্রেক শুরু করতেই প্রথমেই বোঝা গেল—এটা সহজ হবে না।
রাস্তা ঢালু, শ্বাস নিতে কষ্ট, কিন্তু দৃশ্য এত সুন্দর যে কষ্ট ভুলে যাচ্ছিলাম।
পথে দেখা পেলাম পাহাড়ি গ্রামের ছোট্ট বাচ্চাদের। তাদের হাসি যেন পাহাড়ের ঝর্ণার মতো স্বচ্ছ।


৪. তুংনাথ মন্দিরে পৌঁছানো

প্রায় তিন ঘণ্টার চড়াই পেরিয়ে অবশেষে আমরা পৌঁছলাম তুংনাথ মন্দিরে।
এখানে দাঁড়িয়ে মনে হল—মেঘের ওপরে দাঁড়িয়ে আছি।
নীচে সবুজ উপত্যকা, উপরে নীল আকাশ আর চারপাশে বরফে ঢাকা শৃঙ্গ।

মন্দির ছোট্ট, কিন্তু শান্তির অনুভূতি অসীম।
মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি, ঠান্ডা হাওয়া, আর পাহাড়ের নীরবতা—সব মিলে মনে হল যেন শিব স্বয়ং এখানে বিরাজমান।

আমরা চারজনই মন্দিরের সিঁড়িতে বসে চা খেলাম।
ক্লান্ত শরীরের মধ্যে এক অদ্ভুত শক্তি ফিরে এল।
এমন মুহূর্তে মনে হয়—এই কষ্টটাই তো আসল আনন্দের মূল্য।


৫. চন্দ্রশিলার শীর্ষে

মন্দির থেকে আরও এক ঘণ্টার ট্রেক করে আমরা পৌঁছলাম চন্দ্রশিলার শীর্ষে।
সেখান থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ—নন্দাদেবী, ত্রিশূল, চৌখাম্বা, কেদারনাথের শৃঙ্গ—সব একসঙ্গে দেখা যায়।

রোহন চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম—
— “কি ভাবছিস?”
সে হেসে বলল—
— “মনে হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিন আজ।”

আমি মনে মনে ভাবলাম, এ সত্যিই এমন এক জায়গা যেখানে মানুষ নিজেকে নতুন করে খুঁজে পায়।


৬. ফেরার পথে অনুভূতি

নামার সময় সূর্যাস্ত হচ্ছিল।
আকাশে কমলা-গোলাপি রঙের মেলা বসেছে।
মনে হচ্ছিল পাহাড় আমাদের বিদায় জানাচ্ছে।

চোপতায় ফিরে আমরা আগুন জ্বালিয়ে বসে গান গাইলাম, গল্প করলাম।
সেই রাতের তারা ভরা আকাশ আজও আমার মনে সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতি হয়ে আছে।


গল্পের সারমর্ম

তুংনাথ ভ্রমণ আমাদের শিখিয়েছে—
জীবনের সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায় তখনই, যখন কষ্টকে জয় করে এগিয়ে যেতে পারো।
পাহাড়ের প্রতিটি বাঁকে, প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছিল নতুন এক অনুভূতি।

এই ভ্রমণ কেবল একটি ট্রেক ছিল না—এটা ছিল এক আত্মঅন্বেষণ।
আজও যখন চোখ বন্ধ করি, মনে হয় আমি সেই তুংনাথের সিঁড়িতে বসে আছি, আর দূরে নীল আকাশে ভেসে যাচ্ছে মেঘের দল।

 

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৬ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।।।

আজ ২৬ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
দিবস—–
(ক) ফুলবাড়ী দিবস।
(খ) নারী সমতা দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯১০ – মাদার তেরেসা, (শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক দা মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাত্রী।)।
১৯২০- ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (পশ্চিমবঙ্গের বাংলা চলচ্চিত্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা)।
১৯৫১ – এডওয়ার্ড উইটেন, (ফিল্ড্‌স পদক বিজয়ী মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী)।
১৯৮৮ – লার্স স্টিন্ডল, (জার্মান ফুটবল খেলোয়াড়)।
১৯৯০ – মাতেও মুসাচিও, আর্জেন্টিনার ফুটবলার।
১৯৯১ -(ক) ডিলান ও’ব্রায়েন, (আমেরিকান অভিনেতা)।
(খ) – আহমেদ দীপ্ত- সাংবাদিক, (লেখক)।
১৮৬৯ – দীনেন্দ্রকুমার রায়, (রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক)।
১৮৭৩ – (মার্কিন বেতার ও টিভি উদ্ভাবক) ডি ফরেস্ট।
১৮৮০ – (ফরাসি কবি) গিইয়াম আপোলিন্যায়ার।
১৮৮৫ – (বিখ্যাত ফরাসী লেখক) জুলিয়াস রোমেইন্স।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৫ – বুরুন্ডির এনকুরুন জিজার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।
২০০৬ – দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এশিয়া এনার্জি নামের একটি কোম্পানির কয়লা প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের বিশাল সমাবেশে সেই সময়ের বিডিআর গুলি চালালে তিনজন নিহত হন। আহত হন দুই শতাধিক আন্দোলনকারী।
১৯১৪ – জার্মান উপনিবেশ টোগোল্যান্ড দখল করে ফ্রান্স ও ব্রিটেন।
১৯২০ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়।
১৯২৭ – ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে।
১৯৪৩ – আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়।
১৯৫৫ – সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র ‘ পথের পাঁচালীর’ মুক্তি লাভ করে।
১৯৭০ – সুদান সরকার সংবাদ পত্র শিল্পকে জাতীয়করণ করে।
১৮৮৩ – ইন্দোনেশিয়ায় ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে ৩৬ হাজার লোকের মৃত্যু হয়।
১৭৬৮ – ক্যাপ্টেন জেমস কুক জাহাজ এইচএমএস এনডিভার নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে যাত্রা শুরু করেন।
১৭৮৯ – ফরাসি বিপ্লব বিজয়ের পর দেশটির সংসদ মানবাধিকারের ঘোষণাকে অনুমোদন করে।
১৩০৩ – আলাউদ্দিন খিলজি রাজস্থানের চিতোরগড় দখলে নেন।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৩ – বিমল কর,(ভারতীয় বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক)।
২০০৬ – সুবোধ রায় (স্বাধীনতা সংগ্রামী, কমিউনিস্ট নেতা ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিশিষ্ট গবেষক)।
২০২১ – গৌরী ঘোষ, (প্রখ্যাত বাঙালি বাচিক শিল্পী)।
১৯১০ – উইলিয়াম জেম্‌স, (মার্কিন অগ্রজ মনোবিজ্ঞানী ও দার্শনিক)।
১৯৩৪ – অতুলপ্রসাদ সেন, (বাঙালি কবি, গীতিকার এবং গায়ক) ।
১৯৬১ – চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য, (প্রখ্যাত অধ্যাপক ও লেখক )।
১৯৮২ – সুশোভন সরকার (প্রখ্যাত বাঙালি ঐতিহাসিক )।
১৯৮৮ – (প্রগতিবাদী নাট্যকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব) মন্মথ রায়।
১৭২৩ – (অণুবীক্ষণ যন্ত্রের উদ্ভাবক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী) আন্তেনি ভান লিউভেনহুক।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৪ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।।।।

আজ ২৪ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯০৮ – শিবরাম রাজগুরু, (ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী)।
১৯১১ – বীণা দাস (ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী ও অগ্নিকন্যা)।
১৯২৮ – টমি ডোচার্টি, ( স্কটিশ ফুটবলার ও ফুটবল ম্যানেজার)।
১৯২৯ – ইয়াসির আরাফাত, (ফিলিস্তিনী নেতা ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী)।  .
১৯৪৭ – অ্যান আর্চার, (মার্কিন অভিনেত্রী)।
১৯৫৯ – আদ্রিয়ান কুইপার, (দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার)।
১৯৬৫ – মার্লি ম্যাটলিন, (মার্কিন অভিনেত্রী, লেখিকা ও সমাজকর্মী)।
১৯৯১ – পুনম যাদব,( ভারতীয় প্রমীলা ক্রিকেটার)।
১৮০৮ – জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় (বাঙালি সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ)।
১৮৫১ – টম কেন্ডল, (অস্টেলীয় ক্রিকেটার)।
১৮৯৩ – কৃষ্ণচন্দ্র দে (বাংলাসঙ্গীতের আদি ও প্রবাদ পুরুষ, কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী)।
১৮৯৮ – অ্যালবার্ট ক্লুঁদে (নোবেলবিজয়ী বেলজিয়ান-আমেরিকান চিকিৎসক ও কোষ জীববিজ্ঞানী)।
১৮৯৯ – হোর্হে লুইস বোর্হেস, (আর্জেন্টিনীয় সাহিত্যিক)।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৯০২ – জোয়ান অব আর্কের মূর্তি উন্মোচন করা হয় সেইন্ট পিয়েরে-লে-তে।
১৯১৩ – ফ্রান্স ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে এই দিনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় পরস্পরকে আক্রমণ না করার।
১৯১৪ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান বাহিনী নামুর দখল করে।
১৯২৯ – বায়তুল মোকাদ্দাসে নুদবা প্রাচীর আন্দোলন শুরু হয়।
১৯৪৪ – জার্মান থেকে প্যারিস মুক্ত।
১৯৪৯ – উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) গঠিত হয়।
১৯৬৬ – ভারতীয় সাঁতারু মিহির সেন জিব্রাল্টার প্রণালী অতিক্রম করেন।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পানামা ও উরুগুয়ে।
১৯৭৪ – ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হন।
১৯৮৮- সাংবাদিক, সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৮৯ – ৪৫ বছরের কমিউনিস্ট শাসনের পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন তাদেউজ মাজোউইকি।
১৯৯১ – তুর্ক মেনিয়ার সার্বভৌমত্ব ঘোষণা।
১৯৯১ – পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৮১৪ – ব্রিটিশ সেনাদল ওয়াশিংটন ডিসি অধিকার করে এবং হোয়াইট হাউস জ্বালিয়ে দেয়।
১৮১৫ – নেদারল্যান্ডসের আধুনিক সংবিধান এই দিনে গৃহীত হয়।
১৮২১ – মেক্সিকো স্পেনের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে ।
১৮৭৫ – ক্যাপ্টেন ম্যাথুওয়েব প্রথম ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন সাঁতার কেটে।
১৬০৮ – প্রথম সরকারিভাবে ইংলিশ প্রতিনিধি ভারতের সুরাতে আসেন।
১৬৯০ – ইংরেজ ব্যবসায়ী জব চার্নক সদলে সুতানুটিতে ইংল্যান্ডের জাতীয় পতাকা ওড়ান। দিনটিকে কলকাতা নগরীর পত্তন দিবস হিসেবে ধরা হয়।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৪ – আইভি রহমান, (বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী)।
২০১৩ – নিউটন ডি সর্দি, (ব্রাজিলীয় ফুটবলার।)
২০১৪ – রিচার্ড অ্যাটনবারা (ইংরেজ চলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক)।
১৯২৭ -( মিশরের জাতীয় নেতা) সাদ জগলুল পাশা।
১৯৫০ – আর্তুরো আলেস্‌সান্দ্রি, (চিলির রাষ্ট্রপতি)।
১৯৫৪ – (ব্রাজিলিয়ান স্বৈরশাসক) গেতুলিও বার্গাস।
১৯৫৬ – কেনজি মিজোগুচি, (জাপানি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার)।
১৯৬৮ – সিরিল ভিনসেন্ট, (দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার)।
১৯৮৮ – লিওনার্ড ফ্রে, (মার্কিন অভিনেতা)।
১৮৯৪ – (প্রথম বাঙালী স্থপতি) নীলমণি মিত্র।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৩ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।।।।।।

আজ ২৩ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
দিবস—–
(ক) আন্তর্জাতিক দাস প্রথা বিলোপ দিবস৷
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯০৮ – রুশ-ফরাসি নাট্যকার আর্থার আদমভ।
১৯১৮ – ভারতীয় পদার্থবিদ ও আবহাওয়াবিজ্ঞানী আন্না মনি।
১৯২৩ – এডগার কড, ইংরেজ কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
১৯৩১ – নোবেলজয়ী [১৯৭৮] মার্কিন অণুজীববিজ্ঞানী হ্যামিলটন ও থানেল স্মিথ।
১৯৬৮ – ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী, কে কে নামে সুপরিচিত কৃষ্ণকুমার কুন্নথ।
১৯৭৮ – কোবি ব্রায়ান্ট, প্রখ্যাত মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড়।
১৮৫২ -রাধাগোবিন্দ কর ব্রিটিশ ভারতের একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ।
১৭৪০ – রুশ সম্রাট ষষ্ঠ আইভান।
১৭৭৩ – জার্মান দার্শনিক জ্যাকব এফ ফ্রাইস।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৭ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস নামে পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে সেনাবাহিনী ও পুলিশের আক্রমণের প্রতিবাদে এ দিনটি কালো দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
২০১৬ – ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় কলকাতার রাজভবনে আকাশবাণী মৈত্রী চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
১৯১৪ – জাপান জার্মানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯২১ – প্রথম ফয়সাল ইরাকের বাদশা পদে অভিষিক্ত হন।
১৯২৫ – বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৩৯ – হিটলারের নেতৃত্বে জার্মানী এবং ষ্ট্যালিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৪২ – স্তালিনগ্রাদের ঐতিহাসিক যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৪৪ – রুমানিয়ার সামরিক শাসক উৎখাত।
১৯৬২ – বাংলাদেশে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়।
১৯৭৩ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আইভরি কোস্ট।
১৯৮৬ – পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য মস্কো ওয়াশিংটন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়
১৯৯১ – (ক) “ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন” প্রতিষ্ঠিত হয়।
(খ) – রুশ প্রজাতন্ত্রে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করেন।
(গ) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় এবং গর্বাচেভ পুনরায় ক্ষমতা ফিরে পান।
১৮২১ – মেক্সিকো স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৮২৫ – বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৩৩ – ব্রিটেন তার উপনিবেশগুলোতে ক্রীতদাস প্রথা বাতিল করে। ফলে ৭০ লাখ ক্রীতদাস মুক্ত হয়।
১৮৩৯ – ব্রিটেন চীনের কাছ থেকে হংকং দখল করে নেয়।
১৮৬৬ – প্রুশিয়া এবং অষ্ট্রিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক প্রাগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৮৭৫ – বাংলার প্রথম অভিনেত্রী-নাট্যকার গোলাপের সুকুমারী দত্ত সাহায্যার্থে তার রচিত ‘অপূর্ব সতি’ মঞ্চস্থ হয়। এটিই বাংলার প্রথম ফিল্মী-সহায়তা অভিনয় রজনী।
১৭৯৯ – নেপোলিয়ন মিসর ত্যাগ করে ফ্রান্সের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
১৬১৭ – লন্ডনে প্রথম ওয়ানওয়ে রাস্তা চালু হয়।
১৩২৮ – ফ্রান্সের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ সিংহাসনে অভিষিক্ত হন।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০১৮ – প্রথিতযশা প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার।
২০১৯ – (ক) অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
(খ) কারী আব্দুল গণী, বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও কারী।
১৯৪৪ – দ্বিতীয় আবদুল মজিদ, সর্বশেষ উসমানীয় খলিফা।
১৯৭৫ – অমল হোম, বাঙালি সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক।
১৯৮৭ – সমর সেন, ভারতীয় বাঙালি কবি এবং সাংবাদিক।
১৮০৬ – চার্লস অগাস্টিন কুলম্ব, ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৮৬ – পণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং সমাজসেবক।
৬৩৪ – ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২২ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।।।।

আজ ২২ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
দিবস—–
(ক) মাদ্রাজ (চেন্নাই) দিবস, ভারত।
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯০২ – লিনি রিয়েফেন্সটাহল, জার্মান অভিনেত্রী ও পরিচালক।
১৯০৯ – জুলিয়াস জে. এপস্টাইন,মার্কিন চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক।
১৯১১ – দেবব্রত বিশ্বাস, স্বনামধন্য ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়ক ও শিক্ষক।
১৯১৫ – শম্ভু মিত্র,বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব ।
১৯২০ – রে ব্যাডবেরি, মার্কিন লেখক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৩৯ – ভালেরি হারপার, মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়ক।
১৯৫৫ – চিরঞ্জীবি, ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক ও রাজনীতিবিদ।
১৯৫৮ – মুকুল চৌধুরী,বাংলাদেশী কবি ও গীতিকার।
১৯৬০- ফজলুর রহমান বাবু , একজন বাংলাদেশী অভিনেতা এবং সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৬৩ – টোরি আমস, মার্কিন গায়ক, গীতিকার, পিয়ানোবাদক ও প্রযোজক।
১৯৭১- কে এম মোশাররফ করিম, একজন বাংলাদেশী অভিনেতা।
১৯৭১ – রিচার্ড আরমিটাগে, ইংরেজ অভিনেতা।
১৯৮৫- রুমানা রশীদ ঈশিতা , বাংলাদেশের একজন টেলিভিশন অভিনেত্রী, পরিচালিকা এবং লেখিকা।
১৯৯১ – ফেদেরিকো মাচেডা, ইতালীয় ফুটবলার।
১৮৬২ – ক্লাউড ডেবুসয়,ফরাসি সুরকার।
১৮৭৪ – মাক্স সচেলের,জার্মান দার্শনিক ও লেখক।
১৮৭৭ – এ কে কুমারস্বামীর,সিংহলী শিল্পী।
১৮৯৪ – প্রগতিবাদী লেখক ও প্রতিষ্ঠাবান কবিরাজ রমেশচন্দ্র সেন।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৯১০ – জাপান কোরিয়াকে চুক্তির মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করে নেয় ও এভাবে চলতে থাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত।
১৯৩২ – বিবিসি প্রথম নিয়মিত টিভি সম্প্রচার শুরু করে।
১৯৪২ – ব্রাজিল জার্মানি ও ইতালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৪২ – জার্মান নাৎসি বাহিনী স্তালিনগ্রাদে অবরোধ করে।
১৯৪৪ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন রোমানিয়া দখল করে।
১৯৮৯: নেপচুন গ্রহে প্রথম বলয় দেখতে পাওয়া যায়।
১৬৪২ – ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু।
১৬৯৮ – সুইডেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া, ডেনমার্ক ও পোল্যান্ডের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০০ – অরুণ মিত্র বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রথিতযশা কবি ও ফরাসি ভাষা ও খ্যাতনামা অধ্যাপক ও অনুবাদক।
২০০৫ – সংগীত,নৃত্য ও অভিনয়ে পারদর্শিনী অমিতা সেন (আশ্রমকন্যা)
২০১৩ – আন্ড্রেয়া শেরভি, ইতালীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
২০১৫ – আর্থার মরিস, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।
১৯০৪ – কেট ছপিন, মার্কিন লেখক।
১৯২২ – মাইকেল কলিন্স, আইরিশ রাজনীতিবিদ ও ২য় মন্ত্রী।
১৯৫৮ – রজার মারটিন ডু গার্ড, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি লেখক।
১৯৭৭ – সেবাস্টিয়ান কাবট, ইংরেজ বংশোদ্ভূত কানাডীয় অভিনেতা ও গায়ক।
১৯৭৮ – কেনিয়ার নেতা জোমো কেনিয়াত্তা।
১৯৮২ – একনাথ রানাডে, ভারতের এক সমাজ সংস্কারক এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সংগঠক।
১৮১৮ – ওয়ারেন হেস্টিংস, ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর জেনেরেল।
১৮৫০ – নিকোলাস লেনাউ, রোমানীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রীয় কবি।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস, জানুন কেন পালন করা হয় এবং দিনটির তাৎপর্য ।।।।।।

বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস প্রতি বছর ২১ আগস্ট পালিত হয়।  ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো উদযাপনটি হয়েছিল। স্বাস্থ্যের অবনতি এবং বয়স্কদের নির্যাতনের মতো বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের প্রভাবিত করে এমন কারণ এবং সমস্যাগুলির বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই দিনটি।  এটি সমাজে বয়স্ক ব্যক্তিদের অবদানকে স্বীকৃতি ও স্বীকৃতি দেওয়ারও একটি দিন।
মানব সমাজে প্রবীণদের অবদান তুলে ধরা এবং তাদের সম্মান জানানোর জন্য এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। বয়স্কদের প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দিনটি উদযাপন করা হয়। যেমন, স্বাস্থ্য সমস্যা এবং অল্প বয়সী ব্যক্তিদের দ্বারা নির্যাতন, পরিবারে হোক কিংবা বহিরাগত ব্যক্তিদের দ্বারা নির্যাতন।  .
প্রবীণ মানুষের বিষয়গুলিকে আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসটি পালন করা হয়।
এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় সিনিয়র সিটিজেনস ডে নামেও পরিচিত।প্রতি বছর সারা বিশ্বে এই দিনটি পালিত হয়। ভারতও ব্যতিক্রম নয়। এদেশেও পালন করা হয় বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস।
বয়স্ক মানুষের জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকে প্রভাবিত করে এমন সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই দিনটি পালন করা হয়। কিন্তু এই দিনটি পালনের আরও কিছু উদ্দেশ্যও রয়েছে।
বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসের তাৎপর্য —
এই দিনে প্রবীণ নাগরিকদের সম্মান জানানো উচিত, তাঁদের আত্মত্যাগ, উৎসর্গ, কৃতিত্ব এবং তাঁরা সারা জীবন যে পরিষেবা দিয়েছেন, তার জন্য। এই দিনটিতে তাঁদের প্রশংসা করতে হবে।
যে কোনও সমাজের জন্য অবশ্যই প্রবীণ নাগরিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে কোনও সমাজ তার প্রবীণ নাগরিকদের থেকে জ্ঞান অর্জন করে এবং এগিয়ে চলে। আমরা যে বিশ্বে বাস করি, তা নির্মাণে প্রবীণ মানুষের অবদান অনস্বীকার্য।তাঁদের সেই অবদানকে সম্মান করতে শিখতে হবে।
এই দিনটি জনগণ এবং সরকারকে কল্যাণের জন্য কাজ করার এবং প্রবীণ নাগরিকদের সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের সমাজের প্রবীণরা তাঁদের বয়সের কারণে যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন হন, তা তরুণদের দ্বারা স্বীকার করা এবং সেই সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার একটি প্রচেষ্টাও এই দিনের অঙ্গ।
বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসের ইতিহাস—
বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসের ইতিহাস ১৯৮৮ সালে। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, রোনাল্ড রেগান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  তিনি ১৯ আগস্ট, ১৯৮৮-এ স্বাক্ষর করেছিলেন, ৫-এর৮৪৭ ঘোষণা, যা ২১ আগস্ট তৃতীয় যুগের জাতীয় দিবস হিসাবে উপস্থিত হয়েছিল।  রোনাল্ড রিগান ই প্রথম তৃতীয় যুগের প্রথম জাতীয় দিবস ঘোষণা করেন।রোনাল্ড রেগান বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রবীণ নাগরিকরা সারাজীবনে যা অর্জন করেছেন এবং তাঁরা যা করে চলেছেন, তার জন্য আমরা তাঁদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’ তার পর থেকেই এই দিনটি সারা পৃথিবী জুড়ে পালন করা হচ্ছে।
তাই বলা চলে ওয়ার্ল্ড সিনিয়র সিটিজেনস ডে হল একটি সুযোগ উদযাপন এবং প্রবীণ নাগরিকদের তাদের সেবা, কৃতিত্ব এবং উৎসর্গের জন্য প্রশংসা করার জন্য বিশেষ পালনীয় দিন যা তারা তাদের জীবনে দিয়েছে দেশ ও সমাজের জন্য।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২১ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।।।।।

আজ ২১ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
দিবস—–
(ক) বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯৭৩ – সের্গেই ব্রিন (রুশ বংশোদ্ভুত মার্কিন কম্পিউটার প্রকৌশলী ও সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা)।
১৯৮৬ – (বিশ্বের দ্রুততম মানব) উসাইন বোল্ট।
১৯৮৯ – আলেক্স ভিদাল, (স্প্যানিশ ফুটবলার)।
১৭৮৯ – অগুস্তাঁ লুই কোশি, (ফরাসি গণিতবিদ)।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৪ – ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়, সেই হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস আইভি রহমান অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।
২০০৭ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস নামে পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে সেনাবাহিনী ও পুলিশের আক্রমণের প্রতিবাদে এ দিনটি কালো দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
১৯১১ – লিওনার্দো দা ভিঞ্চির চিত্রকর্ম মোনা লিসার ছবিটি আজকের দিনে লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়।
১৯১৫ – ইতালি তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৫৯ – হাওয়াই আমেরিকার ৫০তম রাজ্যে পরিণত হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় প্যারাগুয়ে।
১৯৯১ – লাটিভা সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৮৭৮ – প্রথম আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৬ – ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব, (ভারতীয় সানাই বাদক)।
২০১৭ – নায়ক রাজ রাজ্জাক, (বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা)।
১৯৪০ – (রুশ বিপ্লবী নেতা) লিও ট্রটস্কি।
১৯৪৩ – (সাহিত্যে নোবেলজয়ী [১৯১৭] ডেনিশ লেখক) হেইনরিক পন্টোপপিডান।
১৯৭৮- বিনু মানকড়, (ভারতীয় ক্রিকেটার)।
১৯৯৫ – সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর (ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণকারী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী)।
১৬১৩ – (বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম) ঈশা খাঁ।
১৬১৩ – (বাংলায় শাসনকর্তা) ইসলাম খাঁ।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব মশা দিবস, জানুন দিন’টি কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।

বিশ্ব মশা দিবস বা বিশ্ব মশক দিবস প্রতিবছর ২০শে আগস্ট পালিত একটি দিবস। মশা বাহিত রোগগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক, এ কারণে প্রতিবছর বহু মৃত্যু হয়। ভারতবর্ষে শুধু নয় সারা বিশ্বে শুধু মশার আক্রমণে প্রতিবছর বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তাই বিশ্বজুড়ে ম্যালেরিয়া মুক্ত বিশ্ব গড়ার টার্গেট নিয়েই এই মশা দিবস পালন করা হয় ।
২০শে আগস্ট ‘মশা দিবস’ পালন করা হয় মূলত চিকিৎসক রোনাল্ড রসের আবিষ্কারকে সম্মান জানানোর জন্য।
দীর্ঘদিন গবেষণার পর ভারতীয় মেডিকেল সার্ভিসের মেডিকেল অফিসার রোনাল্ড রস ১৮৯৭ সালে প্রমাণ করেন অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া পরজীবী বহন করতে পারে। তিনি ২০ আগস্ট তার আবিষ্কারের এই দিনটিকে ‘মশা দিবস’ বলে অভিহিত করেন।  পরবর্তীকালে তিনি এই আবিষ্কারের জন্য ‘নোবেল’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।১৯৩০-এর দশক থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন তার আবিষ্কারের তাৎপর্য তুলে ধরতে ২০ আগস্ট বিশ্ব মশা দিবসের নামকরণ করেন।
বিভিন্ন ভয়াবহ অসুখের মধ্যে মশা বাহিত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু উল্লেখযোগ্য। তাই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি মশাবাহিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য এই দিন সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয়। মশা বাহিত রোগ থেকে সাবধান হওয়ার জন্য, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই দিনে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বেশ কিছু সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়।
দিন দিন মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এর জন্য চাই সচেতনতা। সচেতন না হলে এর পরিসংখ্যান বাড়বে। আমরা জানি মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেশী দেখা দেয় বর্ষায়। আর
বর্ষাকালের সময় মশাবাহিত রোগশোক গুলি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বর্ষাকাল মশাদের প্রজননের সময়। অতএব বর্ষার সময় মশার উপদ্রব দেখা যায় বেশি। তাই এই সময় আমাদের সচেতন থাকতে হবে অনেক বেশি।  তাই মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য কিছু জরুরী বিষয় মেনে চলা আমাদের দরকার–
(ক) মশার হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের প্রথম পালনীয় কর্তব্য হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। আমাদের আশপাশে সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।  বাড়ি ও তার আশেপাশে কোথাও জল জমতে দেবেন না জমা জল বা আবর্জনা জমতে দেওয়া মানেই মশার বংশবৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়া। তাই কেবল বাড়ি পরিষ্কার রাখলেই চলবে না, সতর্ক দৃষ্টি রাখুন আশপাশের এলাকার প্রতিও। ঠিকমতো জঞ্জাল পরিষ্কার করুন, ড্রেন পরিষ্কার করে রাখতে হবে। বাড়ির মধ্যে থাকা টবে জল জমতে দেবেন না, অ্যাকোয়ারিয়াম এর জল নিয়মিত পরিষ্কার করুন, ছেড়ে রাখুন গাপ্পির মতো মাছ যা মশার লার্ভা খেয়ে নেয়৷
(খ) বাড়ীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বজায় রাখুনঃ বাড়ির ছাদে, বাগানে বা বাড়ি সংলগ্ন স্থানে জল জমা হতে দেবেন না। কারণ এই জলেই প্রজনন করে মশা। তা ছাড়াও অপ্রয়োজনে দরজা, জানালা খোলা রাখবেন না। সপ্তাহে একদিন অন্ততঃ আমাদের বাড়ির ভেতর এবং বাইরে ঘুরে দেখা উচিৎ কোথাও কোন পাত্রে জল জমা আছে কিনা, যদি থাকে তাহলে সেটি ফেলে দেই অথবা উল্টিয়ে রাখি অথবা সেখানে মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(গ) পাশাপাশি বর্ষাকালে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ দেখা যায় সবচেয়ে বেশি। তাই জ্বর, ঠান্ডা লাগা, গাঁটে ব্যথা, বমির মতো লক্ষণ দেখা গেলে একদম দেরী না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যথা সময়ে সঠিক পরামর্শ নিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখুন।
মশা থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া উপায়—
তুলসী গাছ লাগান—
অনেকেই বিশ্বাস করে যে বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে নাকি মশা বা মাছি ঘরে ঢুকতে পারে না। ব্যালকনিতে বা জানলার কাছে তুলসী গাছ রেখে দেখতে পারেন।
মশা তাড়াতে রসুন কার্যকর–
কয়েক কোয়া রসুন নিয়ে থেঁতো করে নিন। তার পর সেটা খুব ভালো করে ফুটিয়ে নিন তিন কাপ জলে। জল ফুটে অর্ধেক হলে নামিয়ে ছেঁকে বোতলে ভরে রাখুন। ঠান্ডা হলে ঘরের কোণে কোণে স্প্রে করে দিন এই মিশ্রণ।
মশারি খাটিয়ে ঘুমোনো উচিৎ—
মশার কামড় থেকে বাঁচে হলে অতি অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন। এর কোন বিকল্প নেই। এখনো অনেকেই রাতে ঘুমোনর সময় মশারি ব্যবহার করেন না। এটা মোটেই ঠিক নয়। ঘুমোনোর সময় নিয়মিত মশারি খাটিয়ে ঘুমোনো উচিৎ এবং সকল মানুষ কে এই বিষয়ে সচেতন করা উচিৎ।
সর্বপরি বলাচলে সাধারণ মানুষের সচেতনতা এবং সম্পৃক্ততা মশা নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে এবং মশাবাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে পরিবার, পরিবেশ ও দেশ।
তাই, বিশ্বব্যাপী মশাবাহিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য প্রতিবছর ২০ আগস্ট দিবসটি পালন করা হয়ে আসছে।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২০ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২০ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
দিবস—–
(ক) বিশ্ব মশা দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯০১ – সরোজকুমার রায়চৌধুরী বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ।
১৯৪০ – রেক্স সেলার্স, ভারতীয়-অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার
১৯৪২ – মেহেরুন নেসা, বাংলাদেশী কবি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী।
১৯৪৪ – রাজীব গান্ধী, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
১৯৪৬ – এন আর নারায়ণ মূর্তি, ভারতীয় ব্যবসায়ী, ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা
১৯৫২ – জন এম্বুরি, ইংরেজ ক্রিকেটার এবং কোচ
১৯৮১ – বেন বার্নেস (অভিনেতা), ইংরেজ অভিনেতা
১৯৮৩ – অ্যান্ড্রু গারফিল্ড, মার্কিন-ইংরেজ অভিনেতা।
১৮৩৩ – বেঞ্জামিন হ্যারিসন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৩তম রাষ্ট্রপতি।
১৮৪৭ – অ্যান্ড্রু গ্রীনউড, ইংলিশ ক্রিকেটার।
১৮৫৮ – ওমর আল-মুখতার, ইতালীয় ঔপনিবেশবিরোধী লিবিয় গেরিলা যুদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী নেতা
১৮৬৩ – মৌলভী আবদুল করিম শিক্ষক, শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবী
১৮৬৪ – রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, বাঙালি বিজ্ঞান লেখক ও অধ্যাপক।
১৮৮৬ – রবীন্দ্রসাহিত্য সমালোচক ও সাহিত্যিক অজিতকুমার চক্রবর্তী।
১৮৯০ – এইচপি লাভক্রাফট, আমেরিকান ছোট গল্পের লেখক, সম্পাদক ও ঔপন্যাসিক।
১৮৯৬ – গোষ্ঠ পাল, ভারতীয় ফুটবলার।
১৭৭৯ – জনস জ্যাকব বার্জেলিয়াস, আধুনিক রসায়নের সহপ্রতিষ্ঠাতা।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৯১৪ – জার্মান নাজি বাহিনী বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস দখল করে।
১৯৪১ – সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত এস্তোনিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬১ – পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির মধ্যে বার্লিন প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ হয়।
১৯৭০ – জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
১৯৭১ – ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শহীদ হন।
১৯৮৮ – দীর্ঘ আট বছর পর ইরান-ইরাক যুদ্ধ বিরতি কার্যকর।
১৮২৮ – (৬ ভাদ্র ১২৩৫ বঙ্গাব্দ) হিন্দুধর্ম সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩) ও তার বন্ধুবর্গ মিলে এক সর্বজনীন উপাসনার মাধ্যমে কলকাতায় ব্রাহ্মসমাজ শুরু করেন।
১৮৯৭ – চিকিৎসক রোনাল্ড রস অ্যানোফিলিস মশা বাহিত ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেছিলেন।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০১৩ – নরেন্দ্র দাভোলকার, ভারতীয় চিকিৎসক, সমাজসেবী,যুক্তিবাদী ও মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি।
২০২২ – সমর বন্দ্যোপাধ্যায়, কিংবদন্তি ভারতীয় বাঙালি ফুটবলার যিনি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত ছিলেন।
১৯০৬ – আনন্দমোহন বসু, বাঙালি রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবক।
১৯১৫- নোবেলজয়ী (১৯০৮) জার্মান জীবাণুবিদ পল এইরলিখ।
১৯১৯ – গ্রিগর ম্যাকগ্রিগর, স্কটিশ ক্রিকেটার এবং রাগবি খেলোয়াড়।
১৯৩০ – চার্লস ব্যানারম্যান, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এবং আম্পায়ার।
১৯৬১- নোবেলজয়ী (১৯৪৬) মার্কিন পদার্থবিদ পার্সি ইউলিয়াম ব্রিজম্যান।
১৯৮৬ – (ক) গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার,বাংলা আধুনিক ও চলচ্চিত্র সঙ্গীতের বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার।
(খ) আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, ভারত উপমহাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
১৯৭১ – বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বাংলাদেশের ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This