Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আন্তর্জাতিক জনসেবা দিবস কি, কেন পালিত হয় জানুন।

ভূমিকা—

 

প্রতি বছর ২৩শে জুন বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করা হয়।   মূলতঃ জাতিসংঘের প্রস্তাবনা ও তত্ত্বাবধানে পালিত হয় বলে এই দিবসটি জাতিসংঘ জনসেবা দিবস নামেও পরিচিত; অন্যদিকে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১৭ সালে দিবসটিকে জাতীয় জনসেবা দিবস নামে পালিন করা হয়।

 

পালনের উদ্দেশ্যে—

 

আন্তর্জাতিক জনসেবা দিবস বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘ কর্তৃক পালিত একটি বিশেষ দিন, যা এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে প্রতিবছর ২৩ জুন তারিখে উদযাপিত হয়। এই দিনটি উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জনসেবার অবদানকে তুলে ধরতে এবং জনসাধারণের সেবাকে মূল্য দিতে।  এই দিনটি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জনসেবা সংস্থা এবং বিভাগ দ্বারা সমাজের উন্নয়ন এবং উন্নতিতে সরকারী কর্মচারীদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্যাপকভাবে পরিচিত।  অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের ডিভিশন অফ পাবলিক ইনস্টিটিউশন এবং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের সহযোগিতায় একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টের আয়োজন করবে, যার প্রতিপাদ্য ছিল “ভবিষ্যৎ উদ্ভাবন।  পাবলিক সার্ভিস: এসডিজিতে পৌঁছানোর জন্য একটি নতুন যুগের জন্য নতুন সরকারী মডেল”।

 

জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস দিবস: ইতিহাস–

২০ ডিসেম্বর ২০০২ তারিখে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি প্রস্তাব ৫৭/২৭৭ পাস করে প্রতি বছর ২৩ জুনকে জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস দিবস হিসেবে দেখার জন্য মনোনীত করে।  দিনটি সেই তারিখের বার্ষিকীকে চিহ্নিত করে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা শ্রম সম্পর্ক সংক্রান্ত কনভেনশন (পাবলিক সার্ভিস), 1978 (নং 151) বিশ্বজুড়ে সমস্ত বেসামরিক কর্মচারীদের কাজের অবস্থা নির্ধারণের জন্য গৃহীত হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে ২০০৩ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিবসটি পালিত হয়।

 

লক্ষ্য ও গুরুত্ব—

 

বিশ্বব্যাপী জনসেবা দিবস উদযাপনের কারণ হিসাবে জাতিসংঘের ঘোষণায় বলা হয় যে, “সম্প্রদায়ের কাছে জনসেবার মূল্য এবং গুণ উদযাপন করে;  উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জনসেবার অবদান তুলে ধরে;  সরকারী কর্মচারীদের কাজকে স্বীকৃতি দেয় এবং যুবকদের সরকারী সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহিত করে।”

 

পালিত কর্মসূচী—-

 

দিবসটি সম্প্রদায়ের কাছে জনসেবার গুরুত্ব, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় এর অবদান, কাজের স্বীকৃতি এবং যুবকদের সরকারি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে উত্সাহিত করে।

বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করার পাশাপাশি এদিন সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন সেবা দেয়ার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গকে তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন-পরিচালকগণ ছাড়াও সেবাগ্রহীতাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো ও বিভিন্ন ক্ষেত্র অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।

 

উপসংহার—

 

পাবলিক সার্ভিস দিবস এর লক্ষ্য সম্প্রদায়ের কাছে জনসেবার মূল্য উদযাপন করা, সরকারী কর্মচারীদের কাজের স্বীকৃতি দেওয়া এবং যুবকদের সরকারী সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহিত করা।  আসুন আজ আমাদের শহরে আমাদের সরকারি কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাদের সম্মান করার সুযোগটি উপলব্ধি করি!

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২২ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২২ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০০ – ভারতীয় বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী ও রাজনীতিবিদ গণেশ ঘোষ।

১৯০৩ – জন ডিলিঞ্জার, মার্কিন ব্যাংক ডাকাত।

১৯০৬ – বিলি ওয়াইল্ডার, অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ইহুদি মার্কিন সাংবাদিক এবং চিত্রনাট্যকার।

১৯১২ – সাগরময় ঘোষ, বাঙ্গালী লেখক ও বাংলা সাহিত্য-পত্রিকা ‘দেশ’এর সাবেক সম্পাদক।

১৯২২ – ভি বালসারা, ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক আবহসঙ্গীত পরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী।

১৯২৩ – গৌরকিশোর ঘোষ, প্রথিতযশা বাঙালি সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।

১৯৩২ – অমরিশ পুরি, ভারতীয় অভিনেতা ও থিয়েটার শিল্পী।

১৯৩২ – সোরায়া এসফানদিয়ারি-বখতিয়ারি, একজন ইরানি অভিনেত্রী।

১৯৪০ – আব্বাস কিয়রোস্তামি, বিশ্ববিখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, চিত্রগ্রাহক, আলোকচিত্রশিল্পী।

১৯৪৩ – ক্লাউস মারিয়া ব্রানডাউয়া, অস্ট্রীয় অভিনেতা ও পরিচালক।

১৯৪৪ – হেলমাট ডায়েটল, জার্মান চলচ্চিত্র পরিচালক এবং লেখক।

১৯৪৮ – পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত ভারতীয় সন্তুরবাদক পণ্ডিত ভজন সোপরি।

১৯৪৯ – মেরিল স্ট্রিপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা।

১৯৬০ – এরিন ব্রকোভিচ, মার্কিন আইনজ্ঞ।

১৯৬৪ – ড্যান ব্রাউন একজন মার্কিন রোমাঞ্চকর উপন্যাস লেখক।

১৯৭৪ – বিজয় (অভিনেতা) আসল নাম জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর, একজন ভারতীয় তামিল ছবির নায়ক।

১৯৮৪ – জেরোমি টেলর, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার।

১৯৮৭ – নিকিতা রাকাভেৎসা, অস্ট্রেলীয় পেশাদার ফুটবলার।

১৮৩৭ – পল মর্ফি, মার্কিন দাবাড়ু।

১৮৫৫ – স্যামুয়েল মরিস, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

১৮৫৬ – হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড, বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক।

১৮৮৯ – কবি শেখর কালিদাস রায়, রবীন্দ্রযুগের বিশিষ্ট রবীন্দ্রানুসারী কবি, প্রাবন্ধিক ও পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা।

১৮৯৮ – এরিখ মারিয়া রেমার্ক, জার্মান সাহিত্যিক ও স্বনামধন্য লেখক।

১৮৯৮ – এরিখ মারিয়া রেমার্ক, জার্মান লেখক।

১৭৬৭ – ভিলহেল্ম ফন হুম্বোল্ট, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী ছিলেন।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০২ – ইরানে ভূমিকম্পে ৫ শতাধিক লোক নিহত।

১৯০৪ – আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের (ফিফা) জন্ম।

১৯১১ – পঞ্চম জর্জ ব্রিটেনের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।

১৯১৫ – নেপোলিয়ন দ্বিতীয়বার সিংহাসনচ্যুত হন।

১৯২১ – ৫২টি দেশের ৬০৫ জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে মস্কোয় তৃতীয় কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়।

১৯৩৯ – সুভাষচন্দ্র বসু মুম্বাইয়ের সর্বভারতীয় অধিবেশনে সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৪১ – হিটলার অপারেশন বারবারোসা নামে পরিচিত সোভিয়েত রাশিয়া অভিযান শুরু করেছিলেন।

১৯৭২ – আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় (আইএলও) বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভ।

১৯৮১ – ইরানি প্রেসিডেন্ট বনী সদর ক্ষমতাচ্যুত।

১৯৮৬ – বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিখ্যাত হ্যান্ড অফ গড গোলটি করেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনা। ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জয়লাভ করে।

১৯৮৯ – পনেরো বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে এ্যাংগোলার বিবাদমান পক্ষগুলো যুদ্ধ বিরতি মেনে নিতে রাজি হয়।

১৮১৪ – লন্ডনে লর্ডের ক্রিকেট মাঠে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

১৭৬৭ – ভিলহেল্ম ফন হুম্বোল্ট, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী ছিলেন।

১৭৭২ – ব্রিটেন থেকে ক্রীতদাস প্রথা তুলে নেওয়া হয়।

১৬৩৩ – পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে- এই অভিমতের জন্য গ্যালিলিও গ্যালিলির বিচার শুরু হয়।

১৫১৯ – ব্রিটেনে দাসপ্রথা বাতিল।

১৫৫৫ – হুমায়ুন সিন্ধু নদী পার হয়ে লাহোর দখল করে নেন এবং সিকান্দর সুরিকে দিল্লীর সিংহাসন থেকে উৎখাত করেন।

১৫৫৫ – সিরহিন্দ যুদ্ধে জয়লাভের পর হুমায়ুনকে সম্রাট আকবরের উত্তরাধিকার ঘোষণা।

১৩৭৭ – দ্বিতীয় রিচার্ডের ইংল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৮ – জর্জ কার্লিন, আমেরিকান স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা, লেখক এবং সামাজিক সমালোচক ছিলেন।

২০২০ – অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট বাঙালি জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১৯৩৬ – মরিস শ্লিক, জার্মান দার্শনিক, পদার্থবিজ্ঞানী এবং যৌক্তিক ইতিবাদের উদ্গাতা।

১৯৪০ – মন্টি নোবেল, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।

১৯৫৯ – তুলসী লাহিড়ী, নাট্যকার, অভিনেতা, সুরকার, বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার।

১৯৬৫ – ডেভিড ও. সেলৎসনিক, মার্কিন প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং চলচ্চিত্র স্টুডিও নির্বাহী।

১৯৬৯ – জুডি গারল্যান্ড, মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী ছিলেন।

১৯৭৬ – গোপীনাথ কবিরাজ, ভারতীয় বাঙালি সংস্কৃত-তন্ত্র পণ্ডিত ও দার্শনিক ছিলেন।

১৯৮৭ – ফ্রেড অ্যাস্টেয়ার, আমেরিকান অভিনেতা এবং নৃত্যশিল্পী।

১৯৯০ – ইলিয়া ফ্রাংক, সোভিয়েত পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৯৩ – প্যাট নিক্সন, আমেরিকান শিক্ষাবিদ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭তম রাষ্ট্রপতি জেরাল্ড ফোর্ডের সহধর্মণী।

১৪২৯ – জামশিদ গিয়াসউদ্দিন আল কাশি, মধ্যযুগের একজন প্রতিভাধর মুসলমান জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১০৩৭ – ইবনে সিনা, মধ্যপ্রাচ্যের কিংবদন্তীতুল্য দার্শনিক, চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২১ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২১ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক) বিশ্ব জললেখবিজ্ঞান দিবস (হাইড্রোগ্রাফি দিবস)।

(খ) আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

(গ) বিশ্ব সংগীত দিবস

(ঘ) উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে বড় দিন৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৫ – জঁ-পল সার্ত্র্‌, ফরাসি অসিত্ত্ববাদী দার্শনিক, নাট্যকার, সাহিত্যিক এবং সমালোচক।

১৯২১ – জুডি হলিডে, মার্কিন অভিনেত্রী, কৌতুকাভিনেত্রী ও গায়িকা।

১৯২৫ – মরিন স্ট্যাপলটন, আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৯৩৭ – জন এডরিচ, সাবেক ও বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯৪০ – বিকাশ ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত ভারতীয় চিত্রশিল্পী ।

১৯৪৩ – রাহিজা খানম ঝুনু, একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশী নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যশিক্ষক।

১৯৪৪ – টনি স্কট, একজন ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯৪৫ – নির্মলেন্দু গুণ, বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ কবিদের একজন।

১৯৪৭ – শিরিন এবাদি, ইরানের একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী।

১৯৪৮ – ইয়ান ম্যাকইউয়ান, খ্যাতিমান ইংরেজ ঔপন্যাসিক।

১৯৫২ – জেরেমি কোনি, সাবেক ও বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯৫৩ – বেনজীর ভুট্টো, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

১৯৫৫ – মিশেল প্লাতিনি, ফরাসি ফুটবলার এবং পরিচালক।

১৯৬১ – জোকো উইদোদো, ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি।

১৯৬৫ – ওয়াচৌস্কি ভ্রাতৃদ্বয়, আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।

১৯৬৭ – ইংলাক সিনাওয়াত্রা, থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

১৯৭৯ – ক্রিস প্রাট, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯৮২ – প্রিন্স উইলিয়াম, ডিউক অব কেমব্রিজ।

১৯৮৩ – এডওয়ার্ড স্নোডেন, আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক সদস্য।

১৮৩৯ – মাচাদো দে অ্যাসিস, ব্রাজিলের বিখ্যাত ঔপন্যাসিক, কবি, নাট্যকার ও ছোট গল্পকার ছিলেন।

১৮৫৬ – ফ্রিড্‌রিশ ক্লুগে, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।

১৮৮২ – লুইস কোম্পানিস, কাতালোনিয়ার ১২৩তম রাষ্ট্রপতি ।

১৭৮১ – সিমেওঁ দ্যনি পোয়াসোঁ, ফরাসি গণিতবিদ, জ্যামিতিবিদ, এবং পদার্থবিজ্ঞানী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০২ – বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পদত্যাগ। স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

২০০৪ – মহাশুন্যে প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান স্পেসশীপ ওয়ান সফলভাবে উড্ডয়ন করে।

২০২০ – বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত।

১৯১৬ – তুরস্কের বিরুদ্ধে আরবদের বিদ্রোহ।

১৯৩৫ – প্যারিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শিল্পী সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্যাসিবিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৪৮ – স্বাধীন ভারতের প্রথম ও শেষ গর্ভনর জেনারেল হন চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী

১৯৭০ – ব্রাজিলের তৃতীয়বার ‘জুলে রিমে’ কাপ বিজয় ও সে কাপের স্থায়ী অধিকার লাভ।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাম্বিয়া।

১৯৭৬ – ফ্রান্সের রেডিও স্টেশনের আমেরিকান মিউজিশিয়ান জোয়েল কোহেন প্রথম বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের প্রস্তাব করেন।

১৯৮১ – ইসলামী ইরানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবুল হাসান বনিসদরের প্রতি সংসদের অনাস্থা ও প্রেসিডেন্ট পদে তাকে অযোগ্য ঘোষণার রায় অনুমোদন করেন।

১৯৮৫ – সালের এই দিন থেকে ইউরোপ এবং পরে সারা বিশ্বে বিশ্ব সঙ্গীত দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়।

১৯৯০ – ইরানে ভূমিকম্পে ৪০ হাজার লোক নিহত।

১৯৯৪ – পশ্চিমি দুনিয়ার শর্ত মেনে নিয়ে রাশিয়া ন্যাটোতে যোগ দেয়।

১৮৬২ – অবিভক্ত ভারতের প্রথম ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্র মোহন ঠাকুর ইংল্যান্ডের লিংকন ইন থেকে ব্যারিস্টারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

১৮৯৮ – যুক্তরাষ্ট্র স্পেনের হাত থেকে গোয়াম দখল করে নেয়।

১৭৮৮ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান কার্যকর করা হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – লিওনেল ব্রিজোলা, ব্রাজিলিয়ান রাজনীতিবিদ।

২০১২ – সুনীল জানা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি ফটো সাংবাদিক।

১৯১৪ – বের্টা ফন জুটনার, অস্ট্রীয় ঔপন্যাসিক এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম নারী কবি।

১৯৩৯ – বাংলা মঞ্চ ও চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী, গায়িকা কঙ্কাবতী দেবী।

১৯৫৪ – গিডিয়ন সানবেক, সুয়েডীয়-আমেরিকান তড়িৎ প্রকৌশলী।

১৯৫৭ – ইয়োহানেস ষ্টার্ক, বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৭০ – সুকর্ণ, ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি।

১৯৯১ – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশি কবি, গীতিকার ।

১৯৯৭ – শিনতারো কাতসু, জাপানি অভিনেতা, গায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক।

১৮৫২ – ফেড্রিক ফ্রোবেল, জার্মান ধর্মযাজক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সূচনা কারী।

৮৭০ – আল-মুহতাদি, ছিলেন ১৪শ আব্বাসীয় খলিফা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৯ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১৯ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব সিকেল সেল দিবস ৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০১ – রাজচন্দ্র বসু, প্রখ্যাত ভারতীয় গণিতবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ।

১৯০৩ – ওয়ালি হ্যামন্ড, ইংল্যান্ডের একজন টেস্ট ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক।

১৯০৬ – এর্নস্ট বরিস কাইন, জার্মান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রাণরসায়নবিদ।

১৯১০ – পল জন ফ্লোরি, মার্কিন রসায়নবিদ।

১৯১৭ – যিহোশূয় নিকোমো, জিম্বাবুয়ের গেরিলা নেতা এবং রাজনীতিবিদ।

১৯১৯ – পলিন কেল, আমেরিকান চলচ্চিত্র সমালোচক।

১৯২২ – অউ নিলস বোর, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯২৬ – এরনা স্নেইডার হুভার, আমেরিকান গণিতবিদ এবং উদ্ভাবক।

১৯৩০ – জেনা রোলান্ডস, আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৯৪৫ – অং সান সু চি, বর্মী রাজনীতিক, কূটনীতিক এবং লেখিকা।

১৯৪৭ – আহমেদ সালমান রুশদি, বৃটিশ ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক।

১৯৫১ – আয়মান আল-জাওয়াহিরি, মিশরীয় ও বর্তমান আল কায়েদার প্রধান নেতা।

১৯৫৪ – ক্যাথলিন টার্নার, আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৯৬২ – আশিষ বিদ্যার্থী, ভারতীয় অভিনেতা।

১৯৬৪ – বরিস জনসন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবং লন্ডনের প্রাক্তন মেয়র।

১৯৭০ – রাহুল গান্ধী, ভারতীয় রাজনীতিবিদ।

১৯৭২ – জঁ দ্যুজার্দাঁ, ফরাসি অভিনেতা।

১৯৭৪ – মোশতাক আহমেদ রুহী, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য।

১৯৭৮ – জো সালডানা, আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৯৮৫ – কাজল আগরওয়াল, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

১৯৯২ – কিটন জেনিংস, দক্ষিণ আফ্রিকা বংশোদ্ভূত ইংলিশ ক্রিকেটার।

১৮৫১ – বিলি মিডউইন্টার, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৮৯৬ – রজনীপাম দত্ত, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বৃটিশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা-সভ্য।

১৮৯৬ – ওয়ালিস সিম্পসন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজকর্মী।

১৮৯৭ – চ্যরিল নরমান হিঙ্ঘলিউড, ইংরেজ ভৌত রসায়নবিদ।

১৬২৩ – ব্লেজ পাস্কাল, ফরাসি গণিতজ্ঞ, পদার্থবিদ, উদ্ভাবক, লেখক এবং ক্যাথলিক দার্শনিক।

১৫৯৫ – গুরু হরগোবিন্দ, ষষ্ঠ শিখ গুরু।

১৩০১ – জাপানের যুবরাজ মরিকুনি।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১১ – পর্তুগালকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়।

১৯২১ – ব্রিটেনে আদশুমারি হয়।

১৯৪৩ – টেক্সাসে জাতিগত দাঙ্গা হয়।

১৯৪৪ – ফিলিপিন সাগরে যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৫১ – নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশান বা ন্যাটো নামক সামরিক জোট গঠন করা হয়।

১৯৫৩ – গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে আমেরিকার বিপ্লবী দম্পতি জুলিয়াস রোজেনবার্গ ও এথেল রোজেনবার্গের মৃত্যুদণ্ড।

১৯৬১ – কুয়েত স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬৮ – পাকিস্তানের ইতিহাসের বহুল আলোচিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য) শুনানি শুরু।

১৯৮৯ – পোলান্ডের সাধারণ নির্বাচনে লেস ওয়ালেসার নেতৃত্বাধীন সলিডারিটি নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে।

১৯৯২ – ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বা ও.আই. সি জানায় সার্বদের মাধ্যমে অবরুদ্ধ ও মুসলমান অধ্যুষিত বসনিয়ার রাজধানী সারাজেভোর মানুষ জীবন বাচাতে ঘাস লতা-পাতা খাচ্ছে। একই দিনে ও.আই. সি বসনিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানায়।

১৯৯৩ – জাপানে মিয়াজাওয়া সরকারের পতনের পর এক মাসের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করা হয়।

১৮২৯ – বৃটেনে আইন পাশের মাধ্যমে মেট্রোপলিটান পুলিশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

১৮৬১ – অ্যানহেইম পোস্ট অফিস প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৬২ – যুক্তরাষ্ট্রে দাস প্রথা বিলুপ্ত হয়।

১৮৬৭ – অস্ট্রিয়ার যুবরাজ ম্যাক্সিমিলানকে ফাঁসী দেয়া হয়।

১৮৭৭ – ভূমি থেকে আকাশে উলম্বভাবে উড্ডয়নের ও আকাশ থেকে ভূমিতে অবতরণের এবং আকাশে স্থির থাকার যান তথা আদি যুগের হেলিকপ্টার পরীক্ষা করা হয়।

১৬২১ – তুরস্কের সেনাবাহিনীর কাছে পরাজিত হয় গ্রিস।

১৪৬৪ – ফ্রান্সের রাজা একাদশ লুই ডাক ব্যবস্থা চালু করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৮ – বরুণ সেনগুপ্ত, ভারতীয় সাংবাদিক, কলকাতার বাংলা দৈনিক “বর্তমান”-এর প্রতিষ্ঠাতা।

২০২০ – রাম চাঁদ গোয়ালা, বাংলাদেশের প্রথম বাম-হাতি স্পিনার।

১৯০২ – জন ডালবার্গ, ইংরেজ ইতিহাসবিদ।

১৯০৭ – উমেশচন্দ্র দত্ত, সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ।

১৯১৯ – অক্ষয় কুমার বড়াল, ঊনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।

১৯৬২ – ফ্রাংক বোরজেগি, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা।

১৯৮১ – সুভাষ মুখোপাধ্যায় ভারতে প্রথম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় নল-জাত শিশু দুর্গার সৃষ্টিকর্তা হিসেবে স্বীকৃত ভারতীয় চিকিৎসক।

১৯৮২ – নলিনী দাস, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী।

১৯৯৬ – স ম আলাউদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা, সাতক্ষীরার সাবেক এমএলএ।

১৮৪৪ – এতিয়েন জফ্রোয়া সাঁ-হিলের, ফরাসি প্রাণীবিদ ও জীববিজ্ঞানী।

১৭৪৭ – নাদের শাহ, ইরানের শাহ ও আফসারিদ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা।

১৩৫০ – ফাখরুল মুহাক্বেক্বীন, ইসলামি আইনবিদ ও পণ্ডিত।

৬২৬ – সোগা নো উমাকো, সোগা নো ইনামের জাপানি পুত্র ।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৮ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১৮জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক) আন্তর্জাতিক পিকনিক দিবস বা বনভোজন দিবস।

(খ) ফাদার্স ডে। (জুন মাসের তৃতীয় রবিবার ভারতে পালিত হয়  ‘ফাদার্স ডে’)।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৫০ – মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশী সাংবাদিক।

১৯৫২ – ক্যারল কেইন, আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৯৬২ – লিসা র‌্যান্ডল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক।

১৯৮৬ – রিশার গাস্কে, ফরাসি টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৮৭ – (গ) মঈন আলী, পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত একজন ইংরেজ ক্রিকেটার।

(খ) কাইল এ্যাবট, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

১৯০১ – অ্যানেস্তেশিয়া নিকোলায়েভনা, রুশ সম্রাট নিকোলাস দ্বিতীয় এর সবচেয়ে ছোট মেয়ে।

১৯০৩ – আলোন্‌জো চার্চ, মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ।

১৯০৬ – অনিলকুমার দাস, স্বাধীনতা সংগ্রামী।

১৯০৭ – ফ্রিটজফ শুয়ন, সুইজারল্যান্ডের আধ্যাত্মবাদী দার্শনিক।

১৯১৮ – অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, ভারতের বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক ।

১৯৩২ – ডাডলি হের্শবাখ, মার্কিন রসায়নবিদ।

১৯৪১ – আতাউর রহমান, একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশী মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা ও মঞ্চনাটক নির্দেশক।

১৯৪২ – রজার এবার্ট, আমেরিকান সাংবাদিক, সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৪২ – পল ম্যাককার্টনি, ইংরেজ পপ সঙ্গীত তারকা।

১৮৭৫ – সুনয়নী দেবী, স্বশিক্ষিত খ্যাতিমান ভারতীয় চিত্রশিল্পী ।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৪ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান।

১৯০৮ – ইউনিভার্সিটি অব ফিলিপিনস প্রতিষ্ঠা হয়।

১৯১৩ – মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘ভারতবর্ষ’ প্রকাশিত হয়।

১৯৪৪ – সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্তির সংগ্রাম শুরু করে।

১৯৫৩ – জেনারেল এম নাগিরকে প্রেসিডেন্ট করে মিসরকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা।

১৯৬৫ – এয়ার ভাইস মার্শাল এনগুয়েন কাওকির দ. ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী পদে ক্ষমতারোহণ।

১৯৭২ – বঙ্গবন্ধু সুপ্রিমকোর্ট উদ্বোধন করেন।

১৯৭৫ – সৌদি বাদশা ফয়সালকে হত্যার দায়ে তার ভাতিজা প্রিন্স মুসায়েদের প্রকাশ্যের শিরশ্ছেদ।

১৯৭৯ – যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ভিয়েনায় দ্বিতীয় সল্ট চুক্তি সম্পাদিত হয়।

১৯৯৭ – ক্রিকেটে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে স্ট্যাটাস মর্যাদা লাভ।

১৯৯৭ – তুরস্কের ইসলামপন্থী প্রধানমন্ত্রী নাজম উদ্দীন আরবাকান কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী সেনা বাহিনীর চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

১৯৯৭ – কম্বোডিয়ার পলাতক খেমারুজ নেতা পলপটের আত্মসমর্পণ।

১৯৯৯ – ২৯ বছর পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান।

১৮১২ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৮১৫ – ইংরেজ ও জার্মানদের মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে ওয়াটারলুর যুদ্ধে নেপোলিয়ন চূড়ান্ত পরাজয় বরণ করেন।

১৮৩০ – ফ্রান্স আলজেরিয়া দখল করে।

১৮৮৭ – জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে রি-ইনস্যুরেন্স চুক্তি সম্পাদিত হয়।

১৭৭৮ – আমেরিকার বিপ্লব যুদ্ধে ব্রিটিশরা ফিলাডেলফিয়া ত্যাগ করে।

১৫৭৬ – রানা প্রতাপ ও সম্রাট আকবরের মধ্যে হলদিঘাটের যুদ্ধ শুরু হয়।

৭০৬ – খলিফা ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালেক কর্তৃক বিখ্যাত মসজিদ জামে দামেস্ক নির্মিত।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০২ – নীলিমা ইব্রাহিম, বাঙালি শিক্ষাবিদ।

২০০৫ – মুশতাক আলী, ভারতীয় ক্রিকেটার।

২০০৯ – আলী আকবর খাঁ, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী।

২০১০ – হোসে সারামাগো, পর্তুগীজ কথাসাহিত্যিক।

২০২১ – ভারতের প্রথম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ক্রীড়াবিদ মিলখা সিং।

১৯০২ – ইংরেজ ব্যাঙ্গকবি স্যামুয়েল বাটলার।

১৯২২ – ইয়াকোবুস কাপ্টাইন, ওলন্দাজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১৯২৮ – রুয়াল আমুনসেন, নরওয়েজিয়ান পাইলট এবং এক্সপ্লোরার।

১৯৩৬ – মাক্সিম গোর্কি, বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক।

১৯৪৬ – খান বাহাদুর আবদুল মোমেন, বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের সদস্য, সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনের অফিসার।

১৯৫৩ – স্যার আবদুল হালিম গজনভি, বাঙালি রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি।

১৯৫৯ – ইথেল ব্যারিমোর, আমেরিকান অভিনেত্রী

১৯৭৮ – রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী জাহেদুর রহিম।

১৯৮০ – গোপালদাস মজুমদার খ্যাতনামা প্রকাশক।

১৯৮৬ – ফ্রান্সেস স্কট ফিট্‌জেরাল্ড, মার্কিন লেখিকা, সাংবাদিক ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য।

১৯৮৭ – বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার,সঙ্গীতকার,গল্পকার,ঔপন্যাসিক অভিনেতা হীরেন বসু।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জেনে নেবো আজকের দিনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস, আন্তর্জাতিক পিকনিক দিবস ও বাবা দিবস সম্পর্কে কিছু কথা।

জেনে নেবো আজকের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস আন্তর্জাতিক পিকনিক দিবস ও ফাদার্স ডে সম্পর্কে কিছু কথা।

 

 

শুভ বাবা  দিবস—

 

দুনিয়ার সব কিছু বদলে গেলেও, বাবার ভালোবাসা কখনও বদলায় না। বাবা মানে শত শাসন সত্বেও এক নিবিড় ভালবাসা।

প্রতি বছর, বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘পিতৃ দিবস’ বা ‘ফাদার্স ডে’ (Father’s Day)। পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন সময়ে এই দিন উদযাপন হলেও, জুন মাসের তৃতীয় রবিবার ভারতে পালিত হয়  ‘ফাদার্স ডে’। এই বছর এই বিশেষ দিনটি পড়েছে ১৮ জুন।

 

কয়েকটি শব্দে বাবাদের (Fathers) সংজ্ঞা দেওয়া মুশকিল। বাবা এমন একজন যিনি সারা জীবন নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে যান…নিজের সব খুশি অবধি বিসর্জন দিয়ে দেন ইনি।পৃথিবীতে সবাই তোমাকে ভালবাসবে, সেই ভালোবাসা মাঝে যে কোনো প্রয়োজন লুকিয়েথাকে। কিন্তু একজন ব্যক্তি কোনো প্রয়োজন ছাড়াই তোমাকে ভালো বাসবে সে হলো বাবা ।  বলা চলে নিখাদ ভালবাসা এবং স্নেহের সঠিক সংজ্ঞা বাবা (Baba)। ভিন্ন ভাষা ও সমাজে ডাকা হয় আলাদা নামে। কিন্তু প্রায় সব বাবারাই তাদের সন্তানের কাছে বটবৃক্ষসম। হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের জীবনকে আরও উন্নত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যান তাঁরা।

এই দিনে আমরা সেই মানুষটিকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সন্মান জানাই যে মানুষটি কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই ছোট বেলায় আমাদের হাঁটতে শেখায় ও প্রপ্তবয়সে আমাদের পথ চলতে শেখায়। পিতারা আমাদের জীবনে বিশেষ মানুষ। একজন বাবা তার ছেলের প্রথম নায়ক এবং তার মেয়ের প্রথম প্রেম।

 

 

আন্তর্জাতিক পিকনিক দিবস—

 

আজ আন্তর্জাতিক বনভোজন দিবস। প্রতি বছর  ১৮ জুন পালিত হয় আন্তর্জাতিক পিকনিক ডে বা বনভোজন দিবস। আই পিকনিক শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ ‘pique-nique’ থেকে। ইতিহাস ঘটলে জানা যায় যে  ফ্রান্সে শুরুতে কিছু ব্যক্তি বাসা থেকে খাবার নিয়ে গিয়ে রাতে রেস্তোরাঁয় বসে খেতেন। সঙ্গে নিতেন ওয়াইন। সেই থেকেই পিকনিক শব্দটি মানুষের সংস্কৃতিতে জড়িয়ে পড়ে। এই বনভোজন এর পেছনে কিছু মানসিক শান্তির ভাবনা কাজ করে। এর পেছনে থাকে কিছু প্রাপ্তি যা আমাদের জীবনকে আনন্দ মুখর করে তোলে। বনভোজন এর উদ্দেশ্য হলো ভালো খাবার খাওয়া ও প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়া। সেই সঙ্গে মনকে চাঙা করা।  এই বিষয়টিকে আরো জনপ্রিয় করতে প্রতিবছরই ১৮ জুন পালিত হয় আন্তর্জাতিক বনভোজন দিবস। তবে বনভোজন এর এই ব্যপার গুলো আজ কেবল একটি মাত্র দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অনেকেই জটিল জীবনের এর কর্মব্যস্ততার মাঝে বেরিয়ে পরে সপরিবারে পিকনিক বা বনভোজনের উদ্যেস্যে। এই বিশেষ দিন গুলো মানুষের চলার পথে এক ঝলক দমকা ঠান্ডা বাতাসের মতন, যা জীবনী শক্তিকে যেমন বাড়িয়ে দেয় তেমনি পরিবারের মধ্যেও একটা মিষ্টি সম্পর্কের বাতাবরন আরো গভীর করে তোলে। তাই সময় সুযোগ পেলে সকলের ই উচিৎ এই একটি নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বনভোজনের আয়োজনে বেরিয়ে পরা।

 

উৎপত্তির ইতিহাস—

 

তবে, দিবসটি কবে থেকে শুরু হলো, কারা শুরু করল- সেটা জানা যায়নি। তবে কেউ কেউ মনে করেন, ফরাসিরাই এর উদ্যোক্তা। তবে বলা হয়, এর শুরুটা হয়েছে ফরাসি বিপ্লবের শেষের দিকের কোনো একটা সময়। অর্থাৎ, ১৭৯৯ সালের আশপাশে।
ফরাসি বিপ্লবের আগে বড় পার্কগুলোয় সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারত না। ফরাসি বিপ্লবের পর সাধারণ মানুষের জন্য প্রথমবারের মতো পার্কগুলো খুলে দেওয়া হয়। আর মানুষজন তখন পার্কে গিয়ে খানাপিনা করত, মজা করত। ‘পিকনিক’ শব্দের উৎপত্তিও কিন্তু ফরাসি ভাষা থেকে। কেউ কেউ মনে করেন পিকনিকের প্রচলনটি ভিক্টোরিয়ান যুগেরও হতে পারে। ভিক্টোরিয়ান যুগে পিকনিক খুব গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক International-Picnic-Day অনুষ্ঠান ছিল। তারা গৃহের বাইরে একসঙ্গে সময় কাটাত। ভালো খাওয়া-দাওয়া করত। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পিকনিকটি হয়েছিল ২০০৯ সালে পর্তুগালের লিসবনে। এতে ২২ হাজার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল।

 

বনভোজনের সময়—

 

আমরা চাইলেই যে কোনো সময় পিকনিকে মেতে উঠতে পরি। তবে বিশেষ দিন গুলোতে এই আয়োজন হলে তার মজা বা আনন্দ টা আলাদা অনুভূত হয়। তবে, বনভোজনের সময় কিন্তু দুনিয়ার সব দেশে এক রকম নয়। শীতপ্রধান দেশে বনভোজন হয় গরমকালে। আর আমাদের দেশসহ নাতিশীতোষ্ণ দেশে শীতকালে। শীতপ্রধান দেশে জুন মাসটাই হচ্ছে বনভোজনের সবচেয়ে সুন্দর সময়। শীতের সময় তো ওদের দেশের বনজঙ্গল সব বরফে ঢাকা থাকে। তখন বনভোজন কোথায় হবে? সে কারণে ওরা গ্রীষ্মেই বনভোজনে যায়। বিশেষ করে জুন-জুলাই মাসে। সে কারণে ১৮ জুন ওরা বনভোজন দিবস হিসেবে পালন করে।  সেখানে তাদের কাছে এটা মজার হলিডে। একই ধরনের ছুটি হিসেবে প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম সোমবার ‘অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরি’ পালিত হয়। এ অঞ্চলের পিকনিকের দিন সরকারি ছুটি হয়।

 

জায়গা—

 

বনভোজন মানে আনন্দ-উৎসব সহযোগে বনে কিংবা বাড়ির বাইরে ভোজন। সাধারণত মনোরম ও সুন্দরতম স্থানকেই বনভোজনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। পার্ক বা উদ্যান, হ্রদ কিংবা নদীর কিনারের মতো চিত্তাকর্ষক স্থানকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। নিজেদের পছন্দের জায়গা নির্বাচন করে নিয়ে আয়োজন করা হয়। সাধারণত

বনভোজন পরিবারের সদস্যদের ঘিরে হয়ে থাকে। তবে পরিবারের বাহিরে বন্ধু বান্ধব দের নিয়েও বনভোজনের আয়োজন করে থাকে অনেকেই। অন্যান্য ক্ষেত্রে দুজন ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি বড় ধরনের মিলনস্থলে রূপান্তরিত হয়। বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে এই আয়োজন বিশালাকারে পরিলক্ষিত হয়। সারাদিন ধরে ভূরি ভোজের মধ্য দিয়েই চলে গোটা দিন। সঙেথকে বিভিন্ন ধরনের ছোটো খাটো অনুস্ঠান, গান বাজ্না আরো কতোকি। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারীদের নির্মল আনন্দ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। নির্দিষ্ট স্থানে রান্না আয়োজনের মধ্যবর্তী সময়কালে অথবা ভোজন পরবর্তী সময়ে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।  সাধারণত বনভোজনে যাত্রাকালীন কিংবা ফিরে আসার সময় আনন্দ, হাসি-তামাশা ইত্যাদি বিষয়াবলি থাকে। মোট কথা আমরা জানি যতো দিন যাচ্ছে মানুষের কর্ম ব্যাস্ততা বাড়ছে বই কমছে না। মাঝে মাঝে যদি এমন একটা নির্ভেজাল দিন কাটানো যায় তা হলে জীবনে যেমন আননদ মুখর হয়, তেমনি গোটা পরিবারের মধ্যেও সম্পর্ক আরো গভীর হয়ে ওঠে। তাই আমাদের জীবনে এই বিশেষ দিন গুলোর গুরুত্ব অবদান অনস্বীকার্য।

।। তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বাবা দিবস বৃদ্ধাশ্রম এবং চোখের জল : মীর আব্দুল আলীম।

বিশ্ব বাবা দিবস আজ। বিশেষ এই দিনটিতে বাংলাদেশের বাবা মায়েরা ভালো
আছেনতো? সন্তানের কষ্টে কারো চোখের জল ঝড়ছে নাতো? বিনা চিকিৎসায় আর
অনাহারে নেইতো কেউ? আপনারা কেউ বৃদ্ধাশ্রমে আছেন কি? মনের কোনে উঁকিঝোকি
মারে এইসব প্রশ্ন। প্রশ্ন জাগার কারন আছে। পত্রিকার শিরোনাম যদি এমন হয়-
‘ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করা অসুস্থ বৃদ্ধ পিতাকে বৃদ্ধাশ্রমে প্রেরণ’;
অন্যটির শিরোনাম ’ ‘বাসস্ট্যান্ডে ফেলে রাখা বৃদ্ধ মায়ের ছেলের জন্য
অপেক্ষায় কাটলো একমাস’। তাহলেতো  প্রশ্ন জাগবেই। সংবাদ দুটি আমাদের
বিবেক, মূল্যবোধ, পারিবারিক বন্ধন এবং আত্মার সম্পর্ক বিষয়ক এতদিনকার
ধ্যান ধারণার ওপর প্রচন্ড আঘাত হানে। সংবাদ দু’টি সমাজের এক নগ্ন
বাস্তবতাকে উন্মোচন করে। হালযুগে বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানদের সন্তানদের দ্বায়ীত্ববোধ কমতে শুরু
করেছে। সবাই কেমন যেন ব্যস্থ হয়ে ওঠেছে। স্বার্থপরতো বটেই। তাই অনেক বাবা-মায়ের আশ্রয় হয় এখন বৃদ্ধাশ্রমে। আজকাল বৃদ্ধাশ্রমের সাথে বেশ
পরিচিত আমরা। এক দশক আগেও অধিকাংশ মানুষের মধ্যে বৃদ্ধাশ্রমের তেমন ধারণা ছিলো না। এখন দেশের অনেক জায়গায়ই বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে। আর নরক নামীয় এ বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় হচ্ছে অনেক বৃদ্ধ পিতা-মাতার। সেখানে যেতে তাদের বাধ্য করা হয়। অনেকে আবার জন্মদাতা পিতা-মাতার জন্য অতটুকুও ভদ্রতাও দেখান না। ওরা জন্মদাত্রীকে ফেলে আসেন রাস্তঘাটে, নর্দমায়। ঐপশুরা আমাদের অতি শ্রদ্ধেয় মুরব্বিদের কখনোবা ডাস্টবিনে ফেলে আসতেও দ্বিধা করেন না। এমন ঘটনা কতটা অমানবিক, কতটা বিবেকবর্জিত এবং আপত্তিকর, সেটা সহজেই বুঝা যায়।
এই অমানবিক বিষয়গুলোকে আমাদের সামনে আনা উচিৎ। সমাজ, রাষ্ট্র এবং পরিবারের অপরাপর লেখকদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত। এ নিয়ে আন্দোলন হতে পারে। পরিবারের লোকজন এ আন্দোলনে শামিল হবেন,
প্রতিবেশীরা যোগ দেবেন। রাষ্ট্রেরও এ ব্যাপারে দায় আছে। রাষ্ট্র এমন অমানবিক বিষয়কে আইনের আওতায় আনতে পারে। নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে কু-সন্তান কিংবা কু-পুত্রবধুদের তাৎক্ষণিক ৬ মাস কিংবা ততোধিক সময়ের জন্য সাজা দিতে পারে না। বিষয়গুলো জনসমক্ষে নিয়ে আসা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে আমাদেরও কর্তব্য আছে। পরিবারের অন্য সদস্য,
প্রতিবেশীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার কর্মস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে পারেন। লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। মোদ্দা কথা হলো, সকলকে
সকলের জায়গা থেকে ওদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিরোধ গড়তে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় নিজেরা নিজেদের থেকে ভালো হয়ে গেলে। ভাবনায় আনতে হবে, আমরা আমাদের পিতা-মাতার কারণেই পৃথিবীতে আসতে পেরেছি।
তাঁরাই আমাদের আলোর মুখ দেখিয়েছেন। তাঁরাই আমাদের আগুন, পানি, রোদ-বৃষ্টি
থেকে রক্ষা করেছেন। শিক্ষা দিয়েছেন, দিনদিন বড় করে তুলেছেন। মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন; যদিও আমরা অনেকে মানুষ না হয়ে
অমানুষই হয়েছি।
আমরা অমানুষ হয়ে যাচ্ছি বলেই আমাদের মা-বাবারা আমাদের সেবা থেকে বঞ্চিত
হচ্ছেন। ‘আপনের চেয়ে পর ভালো, পরের চেয়ে বৃদ্ধাশ্রম।’ কঠিন এক সত্য। আর এ
সত্যকে মেনেই অনেক বৃদ্ধ মা-বাবা আশ্রয় নেন বৃদ্ধাশ্রমে। সন্তানের কাছে
যাদের বেশি কিছু চাওয়ার নেই; শেষ বয়সে আদরের সন্তানের পাশে থেকে সুখ-দুঃখ
ভাগ করবার ইচ্ছা এতটুকুই যা চাওয়ার। আর এ নিয়েই প্রতিটি পিতা-মাতা প্রহর
গুনতে থাকেন দিবা-রজনী। কিন্তু অনেকেরই সেই সন্তানের কাছে আশ্রয় না হয়ে;
আশ্রয় হয় আপনজনহীন বৃদ্ধাশ্রমে। শেষ বয়সে ঘরের কোণেও জনমদুখী মা-বাবার
এতটুকুও জায়গা মিলে না। ওদের ছুঁড়ে দেয়া হয় প্রবীণ নিবাসনামীয় নরকে। তবুও
প্রতিবাদ দানা বাঁধে না; মন অভিশাপ দেয় না। নাড়ী ছেঁড়া ধন ওরা। তাই চুপ
থাকেন, একেবারে চুপ। তবে এ নিষ্ঠুরতা তাদের কেবলই কাঁদায়। এ কেমন নিয়তি?
ভাবি আমরা কতটাই না আধুনিক স্বার্থপর!
“বৃদ্ধাশ্রম থেকে সন্তানের কাছে মায়ের চিঠি” ফেসবুকে সেদিন এ শিরোনাম
একটি লেখার মন্তব্য আমি এভাবে লিখেছিলাম- “এই ছেলে তোকে কি বলে ডাকি
বলতো? কুকুর, বিড়াল, শুকর? না এ নামে তোকে ডাকলে পশুজাতীর যে আর মান
ইজ্জত রইবে না। ডাকা ডাকি বাদ দিই। বরং তোর মায়ের মতই তোর জন্য দোয়া করি-
“তুই বেঁচে থাক বছরের পর বছর অনন্তকাল”। খোদার কাছে প্রার্থনা এই যে,
তিনি যেন তোর অমানুষী মনে উপলব্ধি সৃষ্টি না করে তোর কাছে আজ্রাইল না
পাঠান। চিঠি পড়ে তোর মায়ে কষ্ট আমি পুরটা উপলব্ধি করতে পারছি না। এতো
বেশী কষ্ট উপলব্ধি করি কি করে? তোর জন্য ফরিয়াদ করি, খোদা যেন তোকে তোর
মায়ের মত সমকষ্ট দিয়ে পৃথিবী ত্যাগ করান। এর বেশী কষ্ট তোর জন্য বোধ করি
প্রয়োজন পড়বে না। তোর মা কষ্ট যেমনটা পেয়েছেন ঠিক তেমন কষ্টই তোকে দিক
খোদা। ভালো থাকিস.. ”। ফেসবুকে আমার এ মন্তব্যের পর এর সমর্থনে শতাধিক
মন্তব্য পেয়েছি যা পরলে অনেকেরই চোখে জল আসবে।
বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো ঐ মা তার ছেলেকে লিখেছেন-“খোকা তুই কেমন আছিসরে? বউমা
আর আমাদের ছোটো দাদুভাই সবাই ভালো আছে তো? জানি তোদের তিন জনের ছোট
সংসারে প্রত্যেকেরই খুব কাজ। তবুও তোদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ। একদিন
একটু সময় করে এই বুড়ি মাকে দেখতে আয় না! কিরে, আসবি না? ওঃ বুঝতে পেরেছি!
এখনো আমার উপর থেকে অভিমান যায়নি বুঝি! আমাকে যেদিন বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর
ব্যবস্থা করেছিলি, সেদিন ঝগড়া করেছিলাম বৃদ্ধাশ্রম থেকে আমাকে নিতে আসা
লোকজনদের সঙ্গে। জানি শেষ দিনটাতে একটু বেশি রকমেরই বাড়াবাড়ি করে
ফেলেছিলাম, তাছাড়া আর কিইবা আমি করব বল, সময় মতো ওরা এসে আমার জিনিসপত্র
সব জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নিল, তারপর বারবার তাগাদা দিতে লাগল। বাবা কারণ
আমি তোর সঙ্গে দেখা করে আসার জন্য তাদের কাছে সময় চেয়েছিলাম, তারা সময়
দিলেও শেষ পযর্ঞ্চন্ত তুই আসিসনি। তুই কাজে এত ব্যস্ত থাকিস তখন আমার মনে
ছিলনা। পরে মনে পড়েছিল, তাই তোর সঙ্গে দেখা না করেই চলে এসেছি। তুই রাগ
করিসনি তো? আর সেদিন আমার সেই জেদ দেখে বউমা তো রেগেই আগুন। তাছাড়া তার
তো রাগবারই কথা! আমাকে নিয়ে যেতে যারা এসেছিলো, অল কিছুক্ষণের মধ্যেই
তারা যা তড়িঘড়ি শুরু করে দিলৃতা দেখবার জন্য পাশের বাড়ি থেকে কেউ কেউ
উঁকি দিতে লাগলো। এতো বউমার একটু লজ্জাবোধ হবেই। সেদিন তোদের যে অপমান
করে এসেছি তোরা সেসব ভুলে যাস কেমন করে! আমার কথা ভাবিস না। আমি খুব ভালো
আছি! আর কেনই-বা ভালো থাকবনা বল? তোরা তো আমার ভালো থাকবারই বন্দোবস্ত
করে দিয়েছিস। তবে একটা কথা, আমার কথা যদি তোর কখনো-কোনোদিন মনে পড়ে; তখন
যেন নিজেকে তুই শেষ করে দিস না। তুই এখনো একশ বছর বেঁচে থাক।”
বৃদ্ধাশ্রম অবহেলিত বৃদ্ধদের জন্য শেষ আশ্রয়। তাঁদের সারা জীবনের অবদানের
যথার্থ স¡ীকৃতি, শেষ সময়ের সম্মান ও নিরাপত্তা দেয়া হয় এসব বৃদ্ধাশ্রমে।
এখানে তাঁরা নির্ভাবনায়, সম্মানের সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে বাকি দিনগুলো
কাটাতে পারেন। প্রয়োজনে অনেক বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসারও সুন্দর ব্যবস্থা করা
আছে। কিন্তু সকল প্রাপ্তির মাঝেও এখানে যা পাওয়া যায় না তা হলো নিজের
পরিবারের সান্নিধ্য। বৃদ্ধ বয়সে মানুষ তার সনত্মান, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে
একত্রে থাকতে চান। তাদের সঙ্গে জীবনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চান।
সারাজীবনের কর্মব্যস্ত সময়ের পর অবসরে তাদের একমাত্র অবলম্বন এই
আনন্দটুকুই। বলা যায় এর জন্যই মানুষ সমগ্র জীবন অপেক্ষা করে থাকে।
বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় পাওয়া যায়, সঙ্গীসাথী পাওয়া যায়, বিনোদন পাওয়া যায়,
কিন্ত শেষ জীবনের এই পরম আরাধ্য আনন্দটুকু পাওয়া যায় না যাঁর জন্য তারা
এই সময়টাতে প্রবল মানসিক যন্ত্রণা আর ভারাক্রানত্ম হৃদয়ে আবেগাপস্নুত হয়ে
ওঠেন।নেহায়েত অনন্যপায় হয়ে, ইচ্ছার বাইরে যাঁরা বাবা- মাকে বৃদ্ধাশ্রমে
পাঠান, তাঁদের কথা ভিন্ন। কিন্তু যাঁরা নিজের পর্যাপ্ত সম্পদ ও সময় সুযোগ
থাকার পরও শুধু অবহেলা করে পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়ে ভুলে
যান, তাঁদের স্মরণ রাখা দরকার, এমন সময় তাঁদের জীবনেও আসতে পারে। যে
বাবা-মা একসময় নিজে না খেয়েও সনত্মানকে মুখে তুলে খাইয়ে দিতেন, তাঁরা আজ
কোথায় কেমন আছেন সেই খবর নেয়ার সময় যাঁর নেই তাঁর নিজের সনত্মানও হয়ত
একদিন তাঁর সঙ্গে এমনই আচরণ করবে। বিভিন্ন উৎসবে, যেমন ঈদের দিনেও যখন
তারা তাদের সনত্মানদের কাছে পান না, সনত্মানের কাছ থেকে একটি ফোনও পান
না, তখন অনেকেই নীরবে অশ্রম্নপাত করেন আর দীর্ঘশ¡াস ছাড়েন। এমনকি সেই
সনত্মানকে অভিশাপ দিয়ে কামনা করেন, তাঁর সনত্মান তাঁর সঙ্গে যে আচরণ করল,
ভবিষ্যতে তাঁর ছেলের সনত্মানও যেন একই আচরণ করে।
একদিন যে সন্তানের জন্য বাবা-মা ছিলেন স্নেহময়, যে সন্তান একটু আঘাত
পেলেই বাবা হয়ে উঠতেন চিন্তিত। যে সন্তানকে নিজে হাত দিয়ে খাইয়ে দিয়েছেন,
কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছেন এবং কখনই নিজের অসুবিধার কথা সন্তানদের বুঝতে
দেননি। আজকাল সমাজে এমন কিছু সন্তান দেখা যায়, যারা কি না মা-বাবার এতোসব
আদর-যত্নের কথা ভুলে মা-বাবাকে ঠেলে দেয় অজানা গন্তব্যে। বৃদ্ধ ও অসহায় বলে তাদের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। ঘরের মধ্যে সবার থাকার জায়গা হলেও এখানে বৃদ্ধ মা-বাবার জায়গা হয় না। আসলে একজন মা-বাবা তার সন্তানদের জন্য যা করেন, তা তাদের পক্ষে সারা জীবনেও শোধ করা সম্ভব নয়। বুড়ো বয়সে এসে তারা চায় একটু শান্তি, ভালোবাসা ও স্নেহ। এ বয়সে একটু আদর-যত্ন পেলেই তারা খুশি হন। মা-বাবা চান সন্তানরা যেন তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনে।
আমাদের মনে রাখা উচিত আজ যিনি সন্তান, তিনিই আগামী দিনের পিতা কিংবা মা। বৃদ্ধ বয়সে এসে মা-বাবারা যেহেতু শিশুদের মতো কোমলমতি হয়ে যায়, তাই তাদের জন্য সুন্দর জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরি করাই সন্তানের কর্তব্য। আর যেন কখনো কোনো পতা-মাতার ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তাদের জন্য তৈরি করতে হবে একটা নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী।
আসলে মা-বাবা তার সন্তানদের জন্য যা করেন, তা তাদের পক্ষে সারা জীবনেও
শোধ করা সম্ভব নয়। বুড়ো বয়সে এসে তারা চান একটু শান্তি, ভালোবাসা ও স্নেহ। এ বয়সে একটু আদর-যত্ন পেলেই তারা খুশি হন। মা-বাবা চান সন্তানরা যেন তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনে। আমাদের মনে রাখা উচিত, আজ যিনি
সন্তান, তিনিই আগামী দিনের পিতা কিংবা মা। বৃদ্ধ বয়সে এসে মা-বাবারা যেহেতু শিশুদের মতো কোমলমতি হয়ে যায়, তাই তাদের জন্য সুন্দর জীবনযাত্রার
পরিবেশ তৈরি করাই সন্তানের কর্তব্য। আর যেন কখনো কোনো পিতা-মাতার ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তাদের জন্য তৈরি করতে
হবে একটা নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী।

 

লেখক :  মহা সচিব- “কলামিস্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশ“। 

 

 

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৭জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১৭ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক) বিশ্ব মরুময়তা ও অনাবৃষ্টি প্রতিরোধ দিবস।

(খ) আইসল্যান্ড এর জাতীয় দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৩০ – (ক)  অনুপ কুমার, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা।

(খ) ব্রায়ান স্ট্যাথাম, ইংলিশ ক্রিকেটার।

১৯৪০ – জর্জ অ্যাকারলফ, মার্কিন অর্থনীতিবিদ।

১৯৪২ – মোহাম্মেদ এল বারাদেই, মিশরের একজন উপরাষ্ট্রপতি এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর ডিরেক্টর জেনারেল।

১৯৪৫ – টমি ফ্র্যাংক্‌স, মার্কিন সেনাপতি।

১৯৬৪ – স্টিভ রোডস, সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার ও কোচ।

১৯৭৩ – লিয়েন্ডার পেজ, ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৮০ – ভেনাস উইলিয়ামস, আমেরিকান পেশাদার মহিলা টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৮১ – শেন ওয়াটসন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

১৯৮১ – অমৃতা রাও, একজন মডেল এবং হিন্দী চলচ্চিত্রের নায়িকা।

১৯৮৫ – মার্কোস বাগদাতিস, সাইপ্রিয় পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৮৭ – কেন্ড্রিক লামার, মার্কিন র‍্যাপার এবং গীতিকার।

১৯৮৮ – স্টেফানি রাইস, অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারু।

১৯৯০ – জর্ডান হেন্ডারসন, ইংলিশ ফুটবলার।

১৯৯৫ – ক্লেমোঁ লংলে, ফরাসি ফুটবলার।

১৯৯৭ – কেজে অপা, নিউজিল্যান্ডের একজন অভিনেতা।

১৯০২ – অ্যালেক হারউড, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

১৯০৪ – রাফ বেলামি, মার্কিন অভিনেতা।

১৯২০ – সেতসুকো হারা, জাপানি অভিনেত্রী।

১৯২৪ – অধ্যাপক অম্লান দত্ত, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ চিন্তাবিদ।

১৯২৯ – তিগ্রেন পেত্রোসিয়ান, আর্মেনিয়ান দাবা খেলোয়াড়।

১৮৮২ – ইগর স্ট্রাভিনস্কি, রাশিয়ান পিয়ানোবাদক, সুরকার এবং কন্ডাক্টর।

১৮৯৮ – এম. সি. এশ্যর, একজন ওলন্দাজ চিত্রলেখ শিল্পী।

১৬৩১ – গওহর আরা বেগম, মোগল রাজকন্যা এবং সম্রাট শাহজাহান ও তার স্ত্রী মুমতাজ মহলের চৌদ্দতম এবং সর্বকনিষ্ঠ সন্তান।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯০৫ – লন্ডনে টেমস নদীর ওপর বাষ্পীয় নৌপরিবহন চলাচল শুরু হয়।

১৯২৫ – জেনেভায় জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৪০ – সোভিয়েত ইউনিয়ন লাতভিয়া দখল করে নিয়েছিল।

১৯৪৩ – আমেরিকার রাজনীতিবিদ নিউট গিংগ্রিট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের একজন মনোনয়ন পদপ্রার্থী।

১৯৪৪ – আইসল্যান্ডের জনগণ ডেনমার্ক থেকে পুরোপুরি স্বাধীনতা লাভ করে এবং প্রতি বছর এই দিনটিকে তারা জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করে।

১৯৫৫ – পল্টন ময়দানের জনসভায় মওলানা ভাসানী কর্তৃক পাকিস্তানকে আসসালামু আলাইকুম জ্ঞাপন।

১৯৬৭ – চীন প্রথম হাইড্রোজেন বোমা তৈরী করে।

১৯৯১ – দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে গৃহীত আইনের বলে বর্ণবৈষম্যের অবসান ঘটে।

১৯৯৬ – দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন তহবিল প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৯৯৯ – কিংবদন্তি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকির কাছে দ. আফ্রিকার ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায়।

১৮৮৫ – নিউইয়র্ক বন্দরে স্ট্যাচু অব লিবার্টি দাঁড় করানো হয়।

১৭৫৬ – নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজ দখল থেকে কলকাতা পুনরুদ্ধারে অভিযান চালান।

১৭৭৫ – বাংকার হিলে আমেরিকার প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু।

১৬৩১ – মুমতাজ মহল, মোগল সম্রাট শাহজাহান এর স্ত্রী এর মৃত্যু। মুমতাজ মহলের স্মরণে শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করান ।

১৫৬৭ – স্কটিশ বিদ্রোহীদের হাতে স্কটরানী ম্যারি বন্দী।

১৫৭৬ – হল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের নেতা উইলিয়াম সিলেন্ডি স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

১৫৭৯ – স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক নিউ আলবিত্তনে কর্তৃক ইংল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা।

১৪৬২ – শুলে চড়ানোর জন্য কুখ্যাত ৩য় ভলাদ তুর্কী সম্রাট ২য় মাহমুদকে গুপ্তহত্যা করার প্রচেষ্টা চালান, এর ফলে মাহমুদ ওয়াল্লাচিয়া এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।

১৪৯৭ – ডেপ্টফোর্ডের সেতুর যুদ্ধে ইংল্যান্ডের রাজা ২য় হেনরির সেনাদের হাতে মাইকেল আন গফের সেনাবাহিনীর পরাজয় ঘটে।

৬৫৬ – খলিফা হজরত উসমান (রা.) বিদ্রোহী ঘাতকের হাতে নিহত হন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০১ – ডোনাল্ড জেমস ক্র্যাম, মার্কিন রসায়নবিদ।

২০০৬ – আনোয়ার পারভেজ, বাংলাদেশী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, ও সঙ্গীতজ্ঞ।

২০০৯ – গাজীউল হক, বাংলাদেশী লেখক, বুদ্ধিজীবী ও ভাষাসৈনিক।

২০১২ – রডনি কিঙ, আমেরিকান পুলিশ বর্বরতার শিকার।

২০১২ – ফৌজিয়া ওয়াহাব, পাকিস্তানি অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ।

২০১৩ – আতিকুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশী নাট্যকার ও প্রযোজক।

২০১৯ – মুহাম্মাদ মুরসি, মিশরীয় প্রকৌশলী, শিক্ষায়তনিক ও রাজনীতিক, এবং মিশরের ৫ম রাষ্ট্রপতি।

১৯২৮ – সমাজসেবক, সংস্কারক, সাংবাদিক, কবি ও প্রাবল্ধিক উৎকলমণি গোপবন্ধু দাস।

১৯৩২ – স্বাধীনতা সংগ্রামী অনিলকুমার দাস।

১৯৪০ – আর্থার হার্ডেন, ইংরেজ প্রাণরসায়নবিদ।

১৯৬০ – ফরাসি কবি পিয়ের রভের্দি।

১৯৭৬ – হাবীবুর রহমান, বাঙালি কবি, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

১৯৭৯ – হুবার্ট অ্যাশটন, ইংলিশ ক্রিকেটার এবং রাজনীতিবিদ।

১৯৮৫ – জর্জিয়া হেল, মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

১৯৯৬ – টমাস স্যামুয়েল কুন, মার্কিন বুদ্ধিজীবী।

১৮৩৯ – লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক, ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা ও প্রশাসক।

১৮৫৮ – লক্ষ্মী বাঈ, ঝাঁসির রাণী ও ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের পথিকৃৎ।

১৬৩১ – মুমতাজ মহল, মোগল সম্রাট শাহজাহান এর স্ত্রী। মুমতাজ মহলের স্মরণে শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেন।

১৬৭৪ – জীজা বাঈ, মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শিবাজির মাতা।

৬৫৬ – উসমান ইবন আফফান, ইসলামের তৃতীয় খলিফা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৬ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১৬ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক) যুব দিবস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
(Youth Day (South Africa))

(খ) আফ্রিকান শিশুর আন্তর্জাতিক দিবস (OAU)
(International Day of the African ChildAU (OAU))
(গ) ফুলের দিন
(Bloomsday)

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০২ – বারবারা ম্যাকলিন্টক, নোবেল বিজয়ী মার্কিন জীববিজ্ঞানী।

১৯০৬ – অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

১৯০৭ – জ্যাক অ্যালবার্টসন, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯১৫ – জন টুকি, মার্কিন পরিসংখ্যানবিদ।

১৯২০ – হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, বাংলার খ্যাতিমান কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী,সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯২৬ – এফ্রিয়ান রিস মন্ট, গুয়েতেমালা এন জেনারেল এবং রাজনীতিবিদ।

১৯২৭ – টম গ্রেভেনি, ইংলিশ ক্রিকেটার এবং স্পোর্টসকাস্টার।

১৯৩৭ – এরিখ সেগাল, আমেরিকান সাহিত্যিক, চিত্রনাট্যকার ও অধ্যাপক।

১৯৫০ – মিঠুন চক্রবর্তী, ভারতের চলচ্চিত্র জগতে খ্যাতিমান বাঙালি অভিনেতা, সমাজ সংগঠক ও উদ্যোক্তা।

১৯৫১ – রবার্তো দুরান, সাবেক পানামিয় পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা।

১৯৬১ – রবি কার, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৬৭ – ইয়ুর্গেন ক্লপ, জার্মান ফুটবল কোচ এবং সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৮০ – জোয় ইয়ুং, হংকংয়ের একজন গায়িকা এবং অভিনেত্রী।

১৯৮৬ – ফের্নান্দো মুসলেরা, আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণকারী উরুগুয়ের একজন পেশাদার ফুটবলার।

১৯৯৫ – জোসেফ স্কুলিং, বিশিষ্ট সিঙ্গাপুরী সাঁতারু।

১৮৮২ – মোহাম্মদ মোসাদ্দেক, তেহরানে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইরানি রাজনীতিবিদ।

১৮৮৮ – আলেক্সান্দ্র্‌ আলেক্সান্দ্রোভিচ ফ্রিদমান, রুশ গণিতজ্ঞ, বিশ্বতত্ত্ববিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী।

১৮৯০ – স্ট্যান লরেল, ইংরেজ কৌতুকাভিনেতা, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক।

১৭২৩ – অ্যাডাম স্মিথ, স্কটিশ দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ

১৭৩৩ – বৃটেনের বিখ্যাত রসায়নবিদ ও পদার্থ বিজ্ঞানী জোসেফ প্রিষ্টলি।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯০৩ – ফোর্ড মোটর কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯০৩ – জার্মানীর সাধারণ নির্বাচনে সমাজতান্ত্রিক পার্টি জয় লাভ করে ।

১৯২০ – লন্ডনে লীগ অব নেশন কাউন্সিলের প্রথম জনসভা।

১৯৪৪ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মার্কিন বিমান বাহিনী জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ফুকুলা শহরে হামলা শুরু করে।

১৯৫৮ – হাঙ্গেরীর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরে নগিরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর।

১৯৬৩ – রাশিয়া থেকে বিশ্বের প্রথম নারী নভোচারী ভেলেনটিনা তেরেসকোভামহাকাশ পাড়ি দেয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

১৯৭২ – নিউ ইয়র্কে জাজ সংগীতের জাদুঘর প্রথম দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

১৯৭৫ – বাংলাদেশে এক নায়ক বাকশাল সরকার কর্তৃক সংবাদপত্র ব্যবস্থাপনা আদেশ জারি করা হয় এবং চারটি দৈনিক পত্রিকা ও ১২৪ টি সাময়িকী ব্যতীত সকল পত্র পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়।

১৯৭৬ – দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ দাঙ্গায় অনেক হতাহত হয়।

১৯৭৭ –  লিওনিদ ব্রেজনেভ সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট হন।

১৮১৯ – পশ্চিম ভারতের কচ্ছ জনপদে সপ্তাহব্যাপী ভূমিকম্প প্রবাহ শুরু হয়। প্রায় সাতবার ভূমিকম্পে সিন্দ্রিনগরসহ বহু স্থান সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যায়।

১৮৯৪ – ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৭৫৬ – নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাশিম বাজার কুঠি দখল।

১৭৭৯ – দুর্নীতির অভিযোগে ঘানার প্রাক্তন সামরিক শাসক জেনারেল অচিয়ামকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান।

১৭৭৯ – স্পেন ফ্রান্সের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০১২ – সুজান টাইরেল, মার্কিন অভিনেত্রী।

২০১৩ – খোন্দকার আশরাফ হোসেন, বাংলাদেশের একজন কবি এবং সাহিত্য সমালোচক।

২০১৫ – চার্লস কোরিয়া, ভারতীয় স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ।

২০১৭ – হেলমুট কোল, জার্মানির বিশিষ্ট রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ ও জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর।

২০২১ – স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, ভারতীয় বাঙালি মঞ্চাভিনেত্রী।

১৯২৫ – দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, বাঙালি আইনজীবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং রাজনীতিবিদ।

১৯৪৪ – আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায় একজন প্রখ্যাত বাঙালি রসায়ন বিজ্ঞানী।

১৯৫৩ – ইংল্যান্ডের প্রথম নারী কেবিনেট মন্ত্রী মার্গারেট বন্ডফিল্ড।

১৯৫৮ – ইমরে নাগি, হাঙ্গেরির বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিবিদ।

১৯৭৭ – ভের্নার ফন ব্রাউন, বিখ্যাত জার্মান-মার্কিন প্রকৌশলী ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী।

১৯৭৯ – নিকোলাস রে, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯৯৩ – লিন্ডসে হ্যাসেট, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার।

১৮৬৯ – অস্ট্রেলীয় আবিষ্কারক চার্লস স্টুর্স্ট।

১৮৬১ – হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক ও সমাজসেবক ।

১৮৭৮ – ক্রফোর্ড উইলিয়ামসন লং, মার্কিন শল্যচিকিৎসক ও ওষুধবিজ্ঞানী।

৬৭৯ – উন্মুল মোমেনিন হজরত উম্মে সালমা (রা.)।

 

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিশ্ব বায়ু দিবস কেন পালিত হয় এবং পালনের গুরুত্ব।

বিশ্ব বায়ু দিবস প্রতি বছর ১৫ জুন পালিত হয় বায়ু শক্তির তাৎপর্য এবং শক্তির একটি বিশুদ্ধতম রূপ হিসাবে এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার জন্য।
বিশ্ব বায়ু দিবস উদযাপনের পিছনে অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল বায়ু শক্তি সংগ্রহের সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা।  ক্ষতিকারক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানো থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিস্থিতির উন্নতি।  বায়ু শক্তির ব্যবহার টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমাদের অনেক উপায়ে সাহায্য করে।
বিশ্ব বায়ু দিবসে বায়ু শক্তির ইতিবাচক পরিবেশগত প্রভাব তুলে ধরতে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম, কর্মশালা, সম্মেলন, সেমিনার এবং ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ব বায়ু দিবসের স্বীকৃতি শুধুমাত্র টেকসই শক্তি অনুশীলনকে উৎসাহিত করে না বরং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।

গ্লোবাল উইন্ড ডে বা বিশ্ব বায়ু দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী ইভেন্ট। এটি উইন্ডইউরোপ এবং GWEC (গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল) দ্বারা আয়োজিত হয়।  এটি এমন একটি দিন যখন বায়ু শক্তি উদযাপন করা হয়, তথ্যের আদান-প্রদান করা হয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুরা বায়ু শক্তি, এর শক্তি এবং বিশ্বকে পরিবর্তন করার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারে।  EWEA এবং GWEC এর সহযোগিতায়, জাতীয় বায়ু শক্তি সমিতি এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলি বিশ্বের অনেক দেশে ইভেন্টের আয়োজন করে।  ২০১১ সালে, 4টি মহাদেশে 30টি দেশে ইভেন্ট সংগঠিত হয়েছিল।  ইভেন্টগুলির মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় এবং উপকূলীয় বায়ু খামার পরিদর্শন, তথ্য প্রচার, শহরগুলিতে প্রদর্শনী টারবাইন স্থাপন, বায়ু কর্মশালা এবং একটি বায়ু কুচকাওয়াজ।  গ্লোবাল উইন্ড ডে (১৫ জুন) নিজেই অনেক ঘটনা ঘটেছে, তবে তার আগের দিন এবং সপ্তাহগুলিতেও ঘটনা ঘটেছে।  ২০১২ সালে বিশ্বজুড়ে ২৫০টি ইভেন্ট ছিল এবং একটি খুব জনপ্রিয় ফটো প্রতিযোগিতা ছিল।

বিশ্ব বায়ু দিবস পর্যবেক্ষণের ইতিহাস—

 

ইউরোপিয়ান উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (EWEA) দ্বারা 2007 সালে প্রথম বায়ু দিবসের আয়োজন করা হয়েছিল কিন্তু এটি শুধুমাত্র 2009 সালে ছিল যে EWEA গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল (GWEC) এর সাথে মিলিত হয়েছিল এবং এটিকে একটি বিশ্বব্যাপী ইভেন্টে পরিণত করেছিল।  উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানুষকে বায়ু শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা।

 

বিশ্ব বায়ু দিবস পালন—

 

ইউরোপিয়ান উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন এবং গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল প্রতি বছর গ্লোবাল উইন্ড ডে উপলক্ষে বায়ু শক্তির প্রচারে বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করে।  অনেক জাতীয় বায়ু শক্তি সমিতি এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলিও তাদের সমস্ত দেশে ইভেন্ট করে।  তথ্য প্রচার, উপকূলীয় এবং উপকূলীয় বায়ু খামার পরিদর্শন, শহরগুলিতে টারবাইন স্থাপনের প্রদর্শনী, বায়ু কর্মশালা এবং বায়ু প্যারেড এই দিনে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত কিছু জনপ্রিয় অনুষ্ঠান।  অন্যান্য মজার ক্রিয়াকলাপ যেমন উইন্ড ফার্ম ওপেন ডে, ওয়ার্কশপ, রেগাটাস, ফটো প্রদর্শনী, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা ইত্যাদিও বিশ্ব বায়ু দিবস উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করে।

বিশ্ব বায়ু দিবসের তাৎপর্য—

বিশ্ব বায়ু দিবস হল বায়ু শক্তি, এর শক্তি এবং এটি ধারণ করতে পারে এমন সমস্ত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা উদযাপন করার একটি দিন।  এটি মানুষকে, বিশেষ করে শিশুদের, বায়ু শক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করার একটি দিন।  বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট গভীর হওয়ার সাথে সাথে এবং জলবায়ুর প্রতি রাজনৈতিক মনোযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বৈশ্বিক বায়ু দিবস পালন করা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।  বায়ু শক্তির সঠিক ব্যবহার অর্থনীতিকে ডিকার্বনাইজ করতে সাহায্য করতে পারে এবং চাকরি ও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং তাই এই দিনে আরও বেশি সংখ্যক কোম্পানিকে তাদের ব্যবসায়কে শক্তি দিতে পরিষ্কার, নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী বায়ু শক্তির দিকে যেতে উৎসাহিত করা হয়।

বায়ু শক্তি সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য—

বিশ্ব বায়ু দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে, আসুন বায়ু শক্তি সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নিই:

বায়ু শক্তি সবচেয়ে কার্যকরী এবং পরিবেশ বান্ধব শক্তির উত্সগুলির মধ্যে একটি।

২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে উইন্ডমিল ব্যবহার করা হচ্ছে।

এটি শুধুমাত্র ১৯৪০ এর দশকে প্রথম আধুনিক বায়ু টারবাইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্টে নির্মিত হয়েছিল।

বায়ু শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ টি রাজ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২০% এরও বেশি সরবরাহ করে।

সবচেয়ে বড় উইন্ড টারবাইন যা ২০ তলা লম্বা এবং একটি ফুটবল মাঠের দৈর্ঘ্যের ব্লেড যুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে অবস্থিত।

 

বায়ু শক্তির সবচেয়ে ইনস্টল ক্ষমতা জার্মানিতে।

জার্মান পদার্থবিদ, আলবার্ট বেটজ, বায়ু টারবাইন প্রযুক্তির প্রবর্তক।

উইন্ড টারবাইনগুলি দেখতে সহজ হতে পারে তবে বাস্তবে প্রায় ৮০০০ বিভিন্ন অংশ রয়েছে। যদি বাতাস প্রতি ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে প্রবাহিত হয়, তাহলে নিরাপত্তা সতর্কতা হিসাবে ব্লেডগুলি বাঁকানো বন্ধ করে দেয়।

বায়ু শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের দ্রুততম বর্ধনশীল মোড।

তাই, প্রতি বছরের মতো আজ ১৫ জুন সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বায়ু দিবস। বায়ু শক্তিকে ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহিত করতেই বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This