Categories
প্রবন্ধ

স্বাধীনতা আন্দোলনের অক্লান্ত কর্মী, মেদিনীপুরের মুকুটহীন সম্রাট, বীরেন্দ্রনাথ শাসমল : জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বহু মনুষ এই অন্দলনে সামিল হয়েছিলেন।  ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে  লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে বীরেন্দ্রনাথ শাসমল প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। বীরেন্দ্রনাথ শাসমল ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। বীরেন্দ্রনাথ শাসমল ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অক্লান্ত কর্মী।

 

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল  (২৬ অক্টোবর ১৮৮১ – ২৪ নভেম্বর ১৯৩৪) একজন আইনজীবী এবং রাজনৈতিক নেতা ছিলেন।  দেশের প্রতি ভালবাসা ও কাজ এবং স্বদেশী আন্দোলনে তার প্রচেষ্টার জন্য তিনি মেদিনীপুরের “দ্য আনক্রাউনড কিং” এবং “দেশপ্রাণ” নামে পরিচিত ছিলেন।

 

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কন্টাইতে জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পিতা ছিলেন একজন মহিষ্য জমিদার বিশ্বম্ভর শাসমল এবং মাতা আনন্দময়ী দেবী।  তিনি ১৯০০ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং কলকাতার মেট্রোপলিটন কলেজে ভর্তি হন এবং তারপরে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কলকাতার রিপন কলেজে স্থানান্তরিত হন।  কলেজ শেষ করার পর তিনি মিডল টেম্পলে আইন অধ্যয়নের জন্য ইংল্যান্ডে যান;  এই সময়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান সফর করেন।  ব্যারিস্টার হওয়ার পর তিনি ভারতে ফিরে আসেন।

 

রাজনৈতিক কারণে, ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক মেদিনীপুর জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করার প্রস্তাব করা হয় এবং বীরেন শাসমল এর প্রতিবাদ শুরু করেন।  তিনি এলাকা সফর করেন এবং প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করেন।  দেশভাগের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়।  তিনি ১৯০৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইন অনুশীলন শুরু করেন। ১৯১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ছেড়ে, বীরেন্দ্রনাথ কয়েক বছর মেদিনীপুর জেলা আদালতে প্র্যাকটিস করেন কিন্তু পরে তিনি আবার হাইকোর্টে যোগ দেন।  হাইকোর্টে তিনি চট্টগ্রাম সশস্ত্র ডাকাতি মামলার আসামিদের পক্ষে ছিলেন।  রাজা পঞ্চম জর্জের ব্রিটিশ ভারত সফরের সময় সাধারণ ধর্মঘট ডাকার জন্য ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক তাকে নয় মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছিল।  প্রেসিডেন্সি জেলে থাকার সময় তিনি স্রোটার ত্রিনা নামে তাঁর আত্মজীবনী লেখেন।  তিনি রাজনীতিকে সমাজকল্যাণের সমার্থক বলে মনে করেন এবং ১৯১৩, ১৯২০, ১৯২৬ এবং ১৯৩৩ সালের মেদিনীপুর বন্যার সময় ত্রাণকর্মী হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।

 

অসহযোগ আন্দোলন —

 

শাসমল ১৯২০ সালের জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং ১৯২১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব সমর্থন করেছিলেন।  ততক্ষণে শাসমল চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ্য পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।  নাগপুর অধিবেশন থেকে ফিরে আসার পর, তিনি তার লাভজনক পেশা ত্যাগ করেন এবং অসহযোগ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।  তাকে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সেক্রেটারি করা হয়।  এই সময়কালে তিনি মেদিনীপুরে স্থানীয় ইউনিয়ন বিরোধী বোর্ড আন্দোলনেও সফলভাবে নেতৃত্ব দেন।

 

নো-ট্যাক্স আন্দোলন —

 

বেঙ্গল ভিলেজ সেলফ গভর্নমেন্ট অ্যাক্ট ১৯১৯ সালে পাশ হয়। সেই আইন অনুসারে জেলায় ২২৭টি ইউনিয়ন বোর্ড গঠিত হয়েছিল।  বীরেন্দ্রনাথ তার জনগণের স্বার্থ গ্রহণ করেন এবং বয়কট আন্দোলনে নিমজ্জিত হন।  তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে যতক্ষণ না ইউনিয়ন বোর্ডগুলি বাতিল না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি খালি পায়ে হাঁটবেন।  ১৯২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর, ২২৬টি ইউনিয়ন বোর্ড বিলুপ্ত করা হয় এবং পরের বছর শেষটি বিলুপ্ত করা হয়।  জনসমাবেশে জনগণ তাদের নেতার পায়ে জুতা পরিয়ে দেয়।

 

লাবন সত্যাগ্রহ (১৯৩০)-

 

বীরেন্দ্রনাথের আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন।  জনগণকে সংগঠিত করতে তার অনুসারীরা সক্রিয় অংশ নেন।  সত্যাগ্রহীরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে লবণ আইন ভাঙতে নরঘাট ও পিছবনিতে আসেন।  সত্যাগ্রহ এলাকায় গণআন্দোলনের রূপ ধারণ করে।

 

আইন অমান্য আন্দোলন, কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচন, কেন্দ্রীয় আইনসভা —

 

১৯৩০ সালের আইন অমান্য আন্দোলনের সময়, তিনি গ্রেফতার হন।  মুক্তি পেয়ে তিনি কোনো ফি ছাড়াই অস্ত্রাগার রেইড মামলায় (১৯৩০) আসামিদের রক্ষা করতে চট্টগ্রামে ছুটে যান।  আবার ১৯৩২ সালে তিনি ডগলাস শ্যুটিং মামলায় প্রতিরক্ষা আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন।  তিনি রামসে ম্যাকডোনাল্ডের ‘সাম্প্রদায়িক পুরস্কার’-এর বিরোধিতা করার জন্য কংগ্রেস জাতীয়তাবাদী দলের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত কলকাতা সম্মেলনে যোগ দেন।  ১৯৩৩ সালে, বীরেন্দ্রনাথ কলকাতা কর্পোরেশনে নির্বাচিত হন।  পণ্ডিত মদন মোহন মালভিয়ার অনুরোধে, তিনি বর্ধমান বিভাগের একটি দুই-জেলা আসন থেকে কেন্দ্রীয় বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং এটি জিতেছিলেন কিন্তু ফলাফল ঘোষণার আগে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

মৃত্যু—

 

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল ১৯৩৪ সালের ২৪ নভেম্বর ৫৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

সাড়ে তিনশ বছরের প্রাচীন ভট্টাচার্য্য বাড়ির লাল দুর্গার রূপ রক্তবর্ণ হওয়ার পিছনে রয়েছে এক অলৌকিক কাহিনী।

মন্দির নগরী নবদ্বীপ শহরের প্রাচীন পারিবারিক দুর্গাপূজোগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যোগথতলা এলাকার ভট্টাচার্য্য বাড়ির দুর্গা পুজো। শহরের বনেদি পরিবার হিসেবে পরিচিত ভট্টাচার্য্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহী দুর্গা প্রতিমার গাত্রবর্ণ টকটকে লাল। সর্বজন প্রচলিত আর পাঁচটা পারিবারিক দুর্গা প্রতিমার থেকে ভট্টাচার্য পরিবারের লাল দুর্গা প্রতিমা অনেকটাই আলাদা। প্রতিমার বর্ণ অতসী বর্ণের বদলে টকটকে লাল বা রক্তবর্ণের। এছাড়াও এই পরিবারে চণ্ডীপাঠ ছাড়াই পুজিত হন দেবী দুর্গা। আনুমানিক সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন লাল দুর্গার রূপ রক্তবর্ণ হওয়ার পিছনে রয়েছে এক অলৌকিক কাহিনী। সেই প্রসঙ্গে ভট্টাচার্য পরিবারের প্রবীণ ও একাদশতম সদস্য কুমারনাথ ভট্টাচার্য্য জানালেন,১৬৭০ খ্রিষ্টাব্দ অর্থাৎ ষোড়শ শতাব্দীর শেষ লগ্নে অবিভক্ত বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর দেওয়ান রাজা দর্পনারায়ণ রায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলার মিতরায় গ্রামে ভট্টাচার্য্য পরিবারের আদি বাসস্থান মন্দির প্রাঙ্গণে এই পূজোর প্রচলন করেন রাঘব ভট্টাচার্য। তখন দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী রূপ ছিল অতসী বর্ণের। এরপর প্রায় ১৫ বছর কেটে যায়। ১৬৮৫ খ্রিস্টাব্দে নবমীর দিন দক্ষিণমুখী অতসী বর্ণের দুর্গা প্রতিমার পূজার্চনা চলা কালীন তৎকালীন গৃহ কর্তা রাঘবরাম ভট্টাচার্য চণ্ডীপাঠ করছিলেন। তবে মহাষ্টমীর পুণ্য লগ্ন তিথি অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিনি দ্রুততার সাথে চণ্ডীপাঠ করতে থাকেন ।

 

 

সেই সময় পিতার দ্রুতলয় চন্ডী পাঠ শুনে পাঠে ত্রুটি হচ্ছে বলে নিজের গর্ভধারিনী মায়ের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রাঘবরাম ভট্টাচার্যের তৃতীয় পুত্র রামভদ্র। বিষয়টি শুনতে পেয়ে নিজের পুত্র কে দূর্গা মূর্তির সামনে বসে চন্ডী পাঠ করার নির্দেশ দেন ক্ষুব্ধ পিতা রাঘবরাম। সেইমত বাবার নির্দেশ অনুযায়ী নবমীর দিন মৃন্ময়ী দুর্গা মূর্তির সামনে চণ্ডীপাঠ শুরু করেন রাঘব পুত্র। ঠিক তখনই ঘটে যায় অলৌকিক ঘটনা ! আশ্চর্যজনক ভাবে দক্ষিণমুখী দুর্গা মূর্তি সহসা দিক পরিবর্তন করে পশ্চিমমুখী হয়ে যায়। এবং রাঘবরামের পুত্র রামভদ্রের সম্মুখে চলে আসে। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে মা দুর্গার গাত্রবর্ণও পরিবর্তন হয়ে অতসী বর্ণের বদলে টকটকে রক্তবর্ণে পরিণত হয়। পাশাপাশি চণ্ডীপাঠরত রাঘবরাম পুত্রের শরীর তখন ক্রমশ ফ্যাকাসে হতে শুরু করেছে। শেষে তাঁর দেহ প্রায় রক্তশূন্য হয়ে পড়ে।এরপর পরেরদিন বিজয়া দশমীতে রীতি মেনে মা দুর্গা গেলেন বিসর্জন যাত্রায়। অন্যদিকে রক্তশূন্য হয়ে প্রাণ হরালেন রামভদ্র। সেই সময়ে রাঘবরাম বলে গিয়েছিলেন,দুর্গা পুজোয় এই পরিবারে যেন আর কোনও দিন চণ্ডীপাঠ করা না হয়! সেই থেকে আজও পর্যন্ত প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় চণ্ডীপাঠ ছাড়াই দেবী দুর্গা পূজিত হন ভট্টাচার্য পরিবারের। এছাড়াও তৎকালীন সময় থেকে মা দুর্গা রক্তবর্ণ রূপেই পূজিত হয়ে আসছেন নবদ্বীপের যোগনাথ তলার ভট্টাচার্য্য বাড়িতে। পূর্বে বলিদান প্রথা থাকলেও বর্তমানে কুমড়ো বলি দেওয়া হয় দেবী দুর্গার সামনে। এবং দেবী দুর্গা পশ্চিমমুখী আসনে বিরাজ করেন এখানে।

 

 

এছাড়াও লালদুর্গার ভোগেও রয়েছে অনেক রকম বিশেষত্ব। নবমীর দিন দেবীর ভোগ হয় থোর আর বোয়াল মাছ দিয়ে। আর এই ভোগের নেপথ্যে থাকা অলৌকিক কাহিনী তুলে ধরেন ভট্টাচার্য পরিবারের প্রবীণ সদস্য কুমারনাথ ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, কোন এক সময় রাঘব ভট্টাচার্যের পুত্র রামচন্দ্র ভট্টাচার্য চার বছর ধরে অসম রাজ্যের কামাখ্যা মন্দিরে দেবী কামাখ্যার পুজো করতেন। এক নবমী তিথিতে কামাখ্যা মন্দিরের নিচে ভৈরবী মন্দিরে বালিকা রূপে দেবীর দর্শন লাভ করেন তিনি। দর্শন দিয়ে দেবী রামচন্দ্র কে বলেন, মন্দির সংলগ্ন সামনের পুকুরে ডুব দিলে তিনি সরাসরি পৌঁছে যাবেন তাঁর বাড়িতে। এবং সেখানে গিয়ে বাড়ির দেবী মূর্তির ঠোঁটে থোর আর বোয়াল মাছের অংশ দেখতে পাবেন। দেবীর গ্রহণ করা ওই থোর আর বোয়াল মাছের প্রসাদী অংশ গ্রহণ করার পর রামচন্দ্র যদি বাড়ির পুকুর ঘাটে ডুব দেন তাহলে পুনরায় ফিরে আসবেন পূর্বস্থানে। পৌরাণিক সেই রীতিনীতি মেনে ও অলৌকিকতার ওপর অগাধ বিশ্বাস ধরে রেখে আজও প্রতিবছর নিষ্ঠার সাথে লাল দূর্গার আরাধনা করে চলেছেন ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা। সারা বছর বাইরে থাকলেও পুজোর কদিন পরিবারের সকল সদস্যরা দূরদূরান্ত থেকে এসে পৌঁছান নবদ্বীপের যোগনাথ তলার ভট্টাচার্জি বাড়িতে। এমনকি পুজোর যাবতীয় ক্রিয়াকর্ম নিজ হাতে করেন পরিবারের সকলে মিলে।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

মায়ের হাতে মায়ের পুজো!

মায়ের হাতে মায়ের পুজো!এবার মালদহের বামনগোলা ব্লকে পাকুয়াহাট এলাকায় রায় বাড়ির দুর্গাপুজোয় এবার দেখা গিয়েছে মহিলা পুরোহিতকে পুজো করতে।এবছর বাংলায় প্রথম কোন মহিলা পন্ডিতা দ্বারা দুর্গাপূজার সম্পূর্ণ হচ্ছে। ষষ্ঠী ও সপ্তমী অতিক্রম করে অষ্টমীর পুজো করতে মহিলা পন্ডিত দ্বারা।দেবীর হাতে অশুভ শক্তি বিনাশ করেন।

 

 

নারীশক্তির জয়গান। মহাষ্টমীতে পুজোর রীতি রয়েছে বিভিন্ন জায়গা সাথে তাল মিলিয়ে মহিলা পুরোহিত দ্বারা দুর্গাপুজো।প্রতিবছর নিয়ম মেনে পুজো-হয়ে থাকে, তবে এবার যেটি হছে, তা হিন্দুশাস্ত্রে নজিরবিহীন ও বিরল ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমবার কোন মহিলা পুরোহিত পুজো করবেন বলে জানা গিয়েছে। রায় বাড়ির দুই মহিলা পুরোহিত পুজো করছেন।

 

 

ভারত সেবা আশ্রমের নটরাজ নামক একটি সংস্থা হাত ধরে দুর্গা পুজোয় পৌরহিত্যের হাত ধরে নারী জাগরণের সূচনা! জানা গিয়েছে, গত বছর পুজোর অভিজ্ঞ পুরুষ পুরোহিতের এই বছর অন্য কোন জায়গায় পুজো করছেন। তাই পরিবারের মহিলা পুরোহিত দিয়ে পুজো করানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে, বাঙালি বিয়েতে মহিলা পুরোহিতের চল শুরু হয়েছে। বিষয়টি যেমন অভিনব তেমন নারীর অধিকার ও ক্ষমতারও বিকাশ ঘটেছে।

 

 

এবারের দুর্গাপুজোয় মহিলা পুরোহিতে পুজো ঘিরে উৎসাহ বেশ চোখে পরার মতো।রায় পরিবারের তরফে শুক্লা বিশ্বাস রায় জানিয়েছেন দুই মহিলার সীমা হালদার বাইন, ও টুম্পা রানী মন্ডল এই দুই মহিলাই হলেন পণ্ডিত।তার বাড়ির এই পুজো করছেন সমস্ত নিয়ম মেনে পুজো হছে। তারা মহিলা পুরোহিত পেয়ে খুব খুশি।আগামীতে আরো বড় জায়গায় এগিয়ে যাক এটাই আমরা চাই।

 

যাঁরা হিন্দু শাস্ত্রে অন্যতম উদাহরণ তৈরি করেছেন। প্রতিটি মহিলাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত, কেউ অধ্যাপিকা, কেউ আবার দেবীর উপাসক। তিনি আরো বলেন নারী হওয়ায় পুজোর করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এমন ভাবাটা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে তা শোভা পায় না। মহিলারা কি গৃহস্থ ও পুজোর নানান অনুষ্ঠানে সবরকম ব্যবস্থা করেন না? দেবী হিসেবে যাঁকে পুজো করছি, তিনিও একজন নারী।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ রিভিউ

রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জনপ্রিয়তায় আজও জন জোয়ারে রাজবাড়ী, দেবীকে বরণ ডালা দিয়ে বরণ করে সিঁদুর খেলায় মাতলেন রাজবাড়ীর রানিমা।

বিষাদের সুরে উমাকে বিদায়, সকাল থেকেই রাজ বাড়িতে ডালি হাতে নিয়ে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড়। ভক্তবৃন্দদের সাথে সিঁদুর খেলায় মাতলেন রাজবাড়ীর রানিমা।

 

 

নদীয়ার কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণচন্দ্র রাজার রাজগৃহে দেবী দুর্গার আরাধনায় মাতোয়ারা হয় গোটা কৃষ্ণনগরবাসী। পূজার পাঁচটা দিন সকাল থেকে রাত্রি কাতারের কাতারের ভক্তদের আনাগোনা লেগেই থাকে রাজবাড়ীতে। তবে দশমীর দিন এক অন্য চিত্র ধরা পড়ে রাজবাড়ীতে।

 

 

শুধু নদীয়া জেলা নয় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসেন রানী মাকে একবার দেখার জন্য। যদিও দেবী দুর্গাকে প্রথমে বরণ করেন রাজবাড়ীর বর্তমান রানী মা অমৃতা রায়, এরপর অন্যান্য দর্শনার্থীদের বরণ করার সুযোগ মেলে। এখনো সাবিকি আনার ছোঁয়ায় যেন নজর কারে গোটা রাজবাড়ী।

 

 

তাই সিঁদুর খেলার মধ্যে দিয়ে মন ভার থাকলেও রাজবাড়ির সিঁদুর খেলায় সকলেই যে অংশগ্রহণ করতে চান তা প্রত্যেক বছর এই দশমীর দিনেই অনেকটাই বোঝা যায়।

 

 

তবে যদি নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে রাজবাড়ির সেই চিরাচরিত নিয়ম এখনো বজায় রয়েছে। সন্ধ্যের আগেই বেয়ারা দিয়ে দেবীকে রাজবাড়ীর পুকুরে বিসর্জন করা হয়, তবে সাবেকিআনার খামতি থাকে না এক ফোটাও।

Share This
Categories
নারী কথা রিভিউ

হাটি পরিবারে, দশমীতে শিবকে খেতে দেওয়া হয় চ্যাং মাছ এবং খাওয়ানো হয় গাঁজা!

শাস্ত্রীয় রীতিনীতি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে ৭০০ বছরের হাটি বাড়ির দুর্গাপুজো আজও হয়ে আসছে পূর্বের মতোই। পরিবার সূত্রে জানা যায় পুজোর বাসনপত্র সাজ সরঞ্জাম সবকিছুই দিয়েছিলেন ডঃ বিধান চন্দ্র রায়, কারণ এই পরিবারের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক, আর ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের দেওয়া সেই সমস্ত বাসনপত্র সাজ সরঞ্জাম আজও বিরাজ করছে হাটিবাড়ির দুর্গা পুজোর মন্ডপে।

 

 

হাটিবাড়ির দুর্গাপুজোর পূর্বের রীতি অনুযায়ী দশমীর দিন অদ্ভুতভাবে পুকুর থেকে খামারে উঠে আসে একটি চ্যাং মাছ আর সেটি লাগে পূজার কাজে । প্রচলন আছে যে দেবী দুর্গা কে শিব বলেছিলেন- তোমার বাপের বাড়িতে এসে শুধুমাত্র নিরামিষ খেলাম, অন্য কিছু তো পেলাম না।

 

 

তখন দেবী দুর্গা তাকে দিয়েছিলেন একটি জীবন্ত চ্যাং মাছ এবং বলেছিলেন তুমি ফিরে গিয়ে খেও আর সেই প্রচলিত প্রবাদ থেকেই দশমীর দিন সুতো কাটার পরে চ্যাং মাছ দেওয়া হয় শিবকে এবং খাওয়ানো হয় গাঁজাও। সচরাচর এই ধরনের আচার-আচরণ দেখা যায় না দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে শুধুমাত্র হাটি পরিবারের রীতি অনুযায়ী এই ধরনের আনুষ্ঠানিক পুজো হয়ে থাকে বলেই জানা যায় পরিবার সূত্রে।

 

।।কলমে : আবদুল হাই, বাঁকুড়া।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ রিভিউ

দশমীকে কেন বলা হয় ‘বিজয়া’? জানুন আসল কারণ।

বিজয়াদশমী বিভিন্ন কারণে পালন করা হয় এবং ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়।  ভারতের দক্ষিণ, পূর্ব, উত্তর-পূর্ব এবং কিছু উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যে, বিজয়াদশমী দুর্গা পূজার সমাপ্তি চিহ্নিত করে, যা ধর্ম পুনরুদ্ধার ও রক্ষা করার জন্য মহিষের রাক্ষস মহিষাসুরের উপর দেবী দুর্গার বিজয়কে স্মরণ করে।  উত্তর, মধ্য এবং পশ্চিম রাজ্যগুলিতে, এটি রামলীলার সমাপ্তি চিহ্নিত করে এবং রাজা রাবণের উপর ভগবান রামের বিজয়কে স্মরণ করে।  বিকল্পভাবে, এটি দুর্গা বা সরস্বতীর মতো দেবীর একটি দিককে শ্রদ্ধা দেখায়।
বিজয়াদশমী উদযাপনের মধ্যে রয়েছে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ এবং কার্তিকেয়ের কাদামাটির মূর্তি নিয়ে নদী বা সমুদ্রের দিকে শোভাযাত্রা, গান ও মন্ত্রের সাথে, তারপরে ছবিগুলিকে জলে নিমজ্জিত করা হয় এবং বিদায় জানানো হয়।  অন্যত্র, অশুভের প্রতীক রাবণের সুউচ্চ মূর্তিগুলিকে আতশবাজি দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, মন্দের ধ্বংসকে চিহ্নিত করে।  উত্সবটি আলোর গুরুত্বপূর্ণ উত্সব দীপাবলির প্রস্তুতিও শুরু করে, যা বিজয়াদশমীর বিশ দিন পরে উদযাপিত হয়।

 

পুরাণ—

প্রাচীনকালে মহিষাসুর নামে এক ভয়ঙ্কর রাক্ষস ব্রহ্মার বর পেয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠে।  তিনি স্বর্গ, নশ্বর ও পাতাল তার ক্ষমতাবলে অধিকার করেন।  এমনকি মহিষাসুর দেবতা ইন্দ্রকে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেছিলেন।  ব্রহ্মা তাকে এমন বর দিয়েছিলেন যে কোন মানুষ তাকে হত্যা করতে পারেনি।  তাই দেবতারা সিদ্ধান্ত নিলেন যে মহিষাসুরকে বধ করতে হলে একজন নারীর সাহায্য নিতে হবে।  কিন্তু এমন নারী কোথায়?  তখন সকল দেবতার সম্মিলিত শক্তি থেকে দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে।  পুরাণে মহিষাসুর বধের কাহিনী অনুসারে নয় দিন নয় রাত যুদ্ধ করার পর শুক্লা দশমীতে মা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন।  এই বিজয় বিজয়া দশমী হিসাবে চিহ্নিত।

রামায়ণের গল্প—

ত্রেতা যুগে লঙ্কার রাজা দশানন রাবণ শ্রী রামচন্দ্রের স্ত্রী সীতা দেবীকে অপহরণ করেছিলেন।  পূর্বাবস্থায়, দেবী দুর্গার আশীর্বাদে, রাম তার স্ত্রীকে উদ্ধার করতে লঙ্কায় যাত্রা করেন।  তিনি শুক্লা দশমীতে রাবণ বধ করেন।  রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রামের এই বিজয় বিজয়া দশমী হিসাবে চিহ্নিত।

মহাভারতের গল্প—

মহাভারতেও এই বিশেষ তিথির উল্লেখ আছে।  বারো বছরের নির্বাসন এবং এক বছরের অস্পষ্টতার পর, আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে পাঁচ পাণ্ডব তাদের লুকানো অস্ত্রগুলি একটি শমী গাছের খাঁজে উদ্ধার করেন এবং নিজেদের ঘোষণা করেন।মহাভারতে বিজয়াদশমী সেই দিনটিকেও চিহ্নিত করে যেদিন পাণ্ডব যোদ্ধা অর্জুন কৌরবদের পরাজিত করেন । মহাকাব্যটি পাণ্ডব ভাইদের গল্প বলে যারা বিরাটের রাজ্য মৎস্যে গোপন পরিচয়ের অধীনে নির্বাসনের তেরো বছর অতিবাহিত করেছিল বলে জানা যায় । বিরাটে যাওয়ার আগে, তারা এক বছরের জন্য নিরাপদ রাখার জন্য শমী গাছে তাদের স্বর্গীয় অস্ত্রগুলি ঝুলিয়ে রেখেছিল বলে জানা গেছে। এই সময়েই কৌরবরা রাজ্য আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন যেখানে অর্জুন শমী গাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেন এবং সমগ্র কৌরব বাহিনীকে পরাজিত করেন।

বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে—

অনেকের মনেই বিজয়া দশমীর আসল নাম অশোক বিজয়া দশমী।  অশোক বিজয়া দশমী মৌর্য সম্রাট অশোক বিজয়া উৎসব কলিঙ্গ যুদ্ধে বিজয়ের পর 10 দিন ধরে পালন করেছিলেন।  সেখান থেকেই বিজয়া দশমী নামটি এসেছে।  এবং শুক্লা দশমীতে তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন।  তাই এই দিনটি বৌদ্ধদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।

বিজয়া দশমীর তাৎপর্য-

অনেকের মতে, এই দিনে দেবী মৃত মূর্তি থেকে মুক্তি পান।  তাই এটি বিজয়া দশমী নামে পরিচিত।  দেবী চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ী রূপে চারদিন ধরে পূজা করা হয়, দশমীতে অজু করার পর দেবী দুর্গা তার থেকে মুক্তি পান।

 

পশ্চিমবঙ্গে বিজয়া দশমীকে বিজয়া দশমী হিসাবে পালন করা হয়, নবমীর পরপরই ( দুর্গা পূজার নবম এবং শেষ দিন )। এটি শোভাযাত্রার দ্বারা চিহ্নিত যেখানে প্রতিমাগুলিকে একটি পুকুর, নদী বা সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হয় দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর জন্য, আতশবাজি ফাটানো, নাচ, ঢোল বাজানো, সঙ্গীত এবং আনন্দের সাথে। অনেকে তাদের মুখ সিঁদুর দিয়ে চিহ্নিত করে ( সিন্দুর ) বা লাল পোশাক পরে। এটি কিছু ভক্তদের জন্য, বিশেষ করে বাঙালি হিন্দুদের জন্য এবং এমনকি অনেক নাস্তিকদের জন্য একটি আবেগপূর্ণ দিন কারণ মণ্ডলী বিদায়ের গান গায়। শোভাযাত্রাটি জলে পৌঁছলে দুর্গা ও তার চার সন্তানের মাটির মূর্তিগুলোকে বিসর্জন দেওয়া হয়; কাদামাটি দ্রবীভূত হয় এবং তারা শিবের সাথে কৈলাশ পর্বতে এবং সাধারণভাবে মহাজগতে ফিরে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। লোকেরা মিষ্টি এবং উপহার বিতরণ করে এবং বন্ধু, আত্মীয়স্বজন এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে তাদের “শুভ বিজয়া” শুভেচ্ছা জানায়।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জোশ গ্রামীণ মহিলাদের গল্প তুলে ধরতে এনজিও বিন্দি ইন্টারন্যাশনালের সাথে হাত মিলিয়েছে।

Josh, একটি ভারতীয় বংশোদ্ভূত সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্ল্যাটফর্ম, একটি বড় এবং উৎসাহী ব্যবহারকারী সম্প্রদায়ের সাথে তার আধিপত্যকে সুসংহত করে বাজারে নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।  ব্যবহারকারীরা স্রষ্টা বা দর্শক হোক না কেন, তারা সর্বজনীনভাবে অ্যাপের দেওয়া সামগ্রীর প্রশংসা করে।

 

একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে, জোশ সম্প্রতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এনজিও, বিন্দি ইন্টারন্যাশনালের সাথে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে সহযোগিতা করেছেন, যার লক্ষ্য গ্রামীণ নারীদের গল্প তুলে ধরা এবং কীভাবে তারা জীবনে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে বিভিন্ন টেকসই কার্যক্রমে নিযুক্ত হচ্ছেন।

 

 

সহযোগিতার অংশ হিসেবে, সোম্য শেখাওয়াত, দীপ্তি শর্মা, দীপক যাদব এবং গোবিন্দ বিশুকর্মা নামে চারজন হিন্দি সম্প্রদায়ের প্রভাবশালীরা রাজস্থানের কিশানগড়ের ডিজিটাল কমিউনিটি স্কুল এবং হারমারা গ্রামের বিন্দি ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পাস উভয়ই পরিদর্শন করেছেন।

 

পরিদর্শনকালে, জোশের প্রভাবশালীরা গ্রামীণ নারীদের সাথে ডিজিটাল শিক্ষা, সৌর প্রশিক্ষণ, এবং স্যানিটারি প্যাড উৎপাদন সহ উদ্ভাবনী উদ্যোগের সাথে অর্থপূর্ণ মিথস্ক্রিয়া করেছে।  লাইভ স্ট্রীম এবং চিত্তাকর্ষক ভিডিওগুলির মাধ্যমে, তারা এই মহিলাদের দ্বারা নিযুক্ত উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলি তুলে ধরে।  কিশানগড়ের ডিজিটাল কমিউনিটি স্কুলে তাদের পরিদর্শনের সময়, বিষয়বস্তু নির্মাতারা শিশুদের সাথে নিযুক্ত হন এবং তাদের চিত্তাকর্ষক ডিজিটাল সাক্ষরতা দেখে বিস্মিত হন।  সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, বিন্দি ইন্টারন্যাশনালের হেড অফ কমিউনিকেশনস, স্বপ্না সরিতা মোহান্তি বলেন, “জোশের মাধ্যমে, আমরা আমাদের এনজিও এবং এই গ্রামীণ মহিলাদের দূর-দূরান্তে গৃহীত উদ্যোগগুলিকে তুলে ধরতে সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রভাবশালী বিপণনের শক্তিকে কাজে লাগাতে চাই৷  আমরা আশা করি এই একীকরণ এই ধরনের বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মনোবলকে এগিয়ে আসতে এবং তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে।”

 

 

জোশ অ্যাপটিতে #WonderWomen প্রচারাভিযান প্রবর্তন করেছেন, বিষয়বস্তু নির্মাতাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে লোকেরা কীভাবে এগিয়ে যেতে পারে এবং এই শক্তিশালী মহিলাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে পারে তা আলোকিত করতে।  জোশের স্রষ্টা গোবিন্দ, যিনি দিল্লি থেকে সমস্ত পথ বিন্দি ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছেন, তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এবং বলেছেন, “আমাকে এমন একটি হৃদয়গ্রাহী উদ্যোগের অংশ করার জন্য আমি জোশের কাছে কৃতজ্ঞ। এই গ্রামীণ মহিলাদের সাথে যোগাযোগ করা খুবই আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা ছিল।  এবং বাচ্চারা।”

 

Here is the challenge link:

https://share.myjosh.in/challenge/edb40945-053b-43f7-8434-479a82e626f6 Josh creators beautifully captured their on-ground visit. Here are the links: https://share.myjosh.in/video/947ee379-e4bb-478f-b48b-68d1e9c493c6?u=0xed5455a5ab39e987 https://share.myjosh.in/content/30822679-ae04-47cf-89af-2941eba647fe?ref_action=click&flow_id=36affe17-6334-4453-a5a8-445a640b4066 https://share.myjosh.in/content/9a45d49e-d591-4ff2-a245-aeb065759fcd?ref_action=click&flow_id=e14cdf22-31bb-49e7-a9c0-498bd8905589 https://share.myjosh.in/content/79f89416-89a3-49fa-b2ff-27333615b009?ref_action=click&flow_id=69ae59b9-2539-4374-80a2-997827e6cee8

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ রিভিউ

পূর্বপুরুষের শতবর্ষ প্রাচীন দুর্গাপূজার ঐতিহ্য পরম্পরা ধরে রাখতে লন্ডন থেকে এ প্রজন্মের সাহেব মেমেরা শান্তিপুরের আগা বাড়িতে।

লন্ডনের বাসিন্দা এরিন ,জেনি ,সাশা এরা কেউই জন্মসূত্রে ভারতীয় নয়, এমনকি তার মা দেবী পাল বর্নও নয়, তবে দাদু উৎপলেন্দু পাল নদীয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা ছিলেন। আর সেই সূত্রেই হয়তো তাদের রক্তে বইছে বাঙালিয়ানা। তাইতো সুদূর লন্ডন থেকে দাদুর সাথে বাবা লরেন্স মা দেবিপাল এর সাথে শান্তিপুরের তিলিপাড়ায় শতবর্ষ প্রাচীন দুর্গাপূজা দেখতে এসেছে। তাদের জীবনে এই প্রথম ভারতে আসা এবং দুর্গাপূজা দেখাও। তবে মা দেবী পাল ছোটবেলায় একবারই এসছিলেন বাবা উত্তলেন্দু পালের সাথে।
তিলিপাড়ার এই বাড়ি স্থানীয় আগা বাড়ি নামেই পরিচিত। শোনা যায় উৎপলেন্দু বাবুর দাদু নগেন্দ্র পাল একসময় বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন সেখানেই জমিদারদের বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের তত্ত্বাবধান করতেন পালকির আগে আগে চলতেন বলেই জমিদারদের দেওয়া উপাধি “আগা”।
তবে উৎপলেন্দু বাবু ছোট থাকাকালীন তার বাবা প্রবোধ রঞ্জন পালের হাত ধরে শান্তিপুরে আসা। বাবার সাথে ইংরেজদের সুসম্পর্কের কারণে তিনি আসামসহ দেশের বাইরে ইমারতী ব্যবসায়ী হিসাবে সুপ্রসিদ্ধ হয়ে ওঠেন অল্পদিনের মধ্যেই। ছেলে উৎপলেন্দু কে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পাঠান ইউনাইটেড কিংডমে।

 

 

যদিও সেখানেই সু প্রতিষ্ঠিত হয়ে তিনি বিবাহ করেন সে দেশের মেম। চাকুরিরত সময়কালের মধ্যে কয়েক বছর বাদে বাদে কলকাতায় বাগবাজারের বাড়ি চট্টগ্রামের জমি জমা সম্পত্তি এবং শান্তিপুরের এই বাড়িসহ নতুনহাট ডাকঘর এলাকায় তাদের বিষয় সম্পত্তি দেখাশোনা করা এবং সেই সাথে এই দুর্গা পুজোর আয়োজন করতেন মাঝে মাঝে। তবে অবসর গ্রহণের পর প্রায় প্রত্যেক বছরই তিনি এই দুর্গা পুজোতে আসেন। কাটিয়ে যান দীর্ঘ সময়, থাকেন দূর্গা পূজার লক্ষ্মীপূজো কালীপুজো পর্যন্ত।
মেয়ে জামাই দু নাতনি নিয়ে আসা 89 বছর বয়সী মনের দিক থেকে তরতাজা এই যুবক উৎপলেন্দু পাল জানান,
তার ঠাকুর দাদা নগেন্দ্র পাল এই বাড়িতে দুর্গা পুজোর সূচনা করেন ছোটবেলায় এই বাড়িতে পুজোর কটা দিন এক দেড়শ পরিবার সদস্যদের ভিড় থাকতো সবসময়।

 

 

বর্তমানে পেশার কাজে বাইরে থাকার সুবাদে কিংবা এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে আবেগ কমে যাওয়ার কারণে এখন শান্তিপুরে থাকা দুটি পরিবার কলকাতার এক পরিবার এবং লন্ডনে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যরা এ কটা দিন একসঙ্গে মজা করেন।যদিও দুর্গাপুজোর আগে কালী পূজার সূচনা হয়, বাড়ির এই ঠাকুরদালান স্থাপিত হয়েছে ১৩৪৮ সালে অর্থাৎ ঠাকুরদালানের বয়স ৮২ বছর। কিন্তু দুর্গা বা কালি দুই পুজোই শতাব্দী প্রাচীন। তবে বাবার হাতে কার্তিক পূজার সূচনা। বাংলাদেশ থেকে এ দেশে বর্তমান এই বাড়িতে শুধুমাত্র একটি মাটির ঘর ছিলো ।
সেই সময় থেকে বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের নিমাই দাস জানান। যেহেতু শূদ্রের ঘরে দুর্গাপুজো তাই আজও তিলি পাড়ার বারোয়ারির তত্ত্বাবধানে ব্রাহ্মণ দিয়ে ভোগ রান্না করিয়ে মাকে দেওয়া হয়।
উৎপলেন্দু বাবুর ভাই স্বরাজ পালের পুত্র সৌমক এ প্রজন্মের ছেলে, তার স্ত্রী গৌরবীকে সাথে নিয়ে এ পুজোর ধারাবাহিকতা রেখে চলেছে ছোটবেলা থেকে।

 

 

মফস্বলের সকলে ঠাকুর দেখতে কলকাতা মুখি হলেও স্ত্রী পুত্রসহ পূজোর কটা দিন শান্তিপুরের বাড়ির পুজোর দিকে থাকে মন। সৌমক বলে মায়ের কাছে প্রতিবারই তিনি প্রার্থনা করেন সন্তান যেন এই পুজোর ধারাবাহিকতা আগামীতে বজায় রাখতে পারেন।
অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ননদ নন্দাই এবং তাদের মেয়েদের প্রসঙ্গে বাড়ির বউ গৌরবী বলেন, ঢাক কাঁসর উলু শঙ্খ ধ্বনি দেওয়া পুজোর যাবতীয় জোগাড় করা পর্যন্ত তারা নিজেদের আগ্রহে শিখে নিয়েছে এই দুদিনেই। বাঙালি খাদ্য খাবার থেকে শুরু করে কিছুটা ইংরেজি মেশানো কথাবার্তা এবং আকার ইঙ্গিততে ওরা আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। তবে এবার পুজোর বাড়তি পাওনা সকলকে একসাথে পাওয়ার খুশি। তবে কলকাতায় মেয়ে এবং শ্বশুর বাড়ি হয়েও আদি শশুর বাড়ি শান্তিপুরেই পূজোর সেরা আনন্দ পাওয়া যায় ।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক – রাইচাঁদ বড়াল, ভারতে প্রথম কার্টুন চিত্রের নির্মাতা হিসাবে আজও স্মরণীয়।

রাইচাঁদ বড়াল একজন বাঙালি সুরকার ছিলেন যিনি একজন সঙ্গীত পরিচালক এবং সঙ্গী হিসেবে বিখ্যাত। তিনি ১৯৪০ এবং ১৯৫০ এর দশকে অনেক বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্রের গান রচনা করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে, তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে জিতেছিলেন।

রাইচাঁদ বড়াল ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

বাবা ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী লালচাঁদ বড়াল। রাইচাঁদ ছিলেন তাঁর তিন পুত্রের মধ্যে কনিষ্ঠ। বাকি দুজন হলেন বিষানচাঁদ ও কিষাণচাঁদ। বাবার কাছ থেকে সঙ্গীত শিক্ষা। প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রীটের ১/১-এ তাদের বাড়িটি তখন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। বিশ্বনাথ রাও, রাধিকা গোস্বামী, মিয়া রমজান খানের মতো গুণী সঙ্গীতশিল্পীরা যখন বাড়িতে গান গাইতে আসেন, তখন রাইচাঁদের হৃদয় ডুবে যায়।

অল্প বয়সে, রাইচাঁদ কলকাতার সঙ্গীত আসরে তবলায় আমাদের সঙ্গী করেন এনায়ে খান, হাফিজ আলী খান, জদ্দন বাই, গো জান, জ্ঞান গোঁসাই, ভীষ্মদেব প্রমুখ। ১৯২৭ সালে কলকাতায় ডিও প্রতিষ্ঠিত হলে, বেতারে যোগ দেন। মজুমদারের নির্দেশনায় কেন্দ্র ও গানের প্রযোজক হন। 1930 সালে চলচ্চিত্র জগতে এবং নির্বাক চলচ্চিত্র ‘চাসার মায়ি’-এর মাধ্যমে তিনি প্রথম সঙ্গীত জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।

সবাক যুগের অসামান্য সঙ্গীত সংগঠন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এদেশে সচিত্র বিবর্তনে তাঁর অর্জন বিশেষ। নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগে আন্তর্জাতিক নৈপুণ্যে তিনি ‘চোর কান্ত’ ও ‘চাষা মে’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সময় ফিগারের সাহায্যে উপযুক্ত আবহসংগীত তৈরি করেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত “চণ্ডীদাস”-এ তিনি এদেশের প্রথম পরিবেষ্টিত সঙ্গীতকে জনপ্রিয় করেছিলেন। প্রায় এলাকা-শো চলচ্চিত্রে সুরসুর। ১৯৩৫ সালে, নিউ থিয়েটার্সের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার মুকুল বোসের সহায়তায়, গান রেকর্ড করার সময় যে অসুবিধা হয়েছিল তার সাথে ‘ভাগ্যচ’ ফিল্ম যুক্ত করে নৃত্য ও গিটার রেকর্ড করার একটি নতুন পদ্ধতি কাটিয়ে ওঠে। ভারতের প্রথম কার্টুন নির্মাতা হিসেবেও তিনি উল্লেখযোগ্য। ডব্লিউ. ডিজনি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, তিনি ১৯৩৪ সালে নিউ থিয়েটার্সের ব্যানারে “পি ব্র্যাড” তৈরি করেন। স্থানীয় পঙ্কজকুমার মল্লিক, কুন্দনলাল সায়গল, কৃষ্ণচন্দ্র দেব, কান দেবী, চন্দ্রাবতী দেবী, উমাশ, পরী সান্যাল প্রাচীন মহিলাদের গানে রায়চাঁদের সুরেলা গুণাবলী।

রাইচাঁদ বড়াল রচিত বা পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল-

‘পরিত্রাণ’ (১৯৫২), ‘মা’ (১৯৫২), ‘নীলাচল মহাপ্রভু’ (১৯৫৭), ‘দেনা পাওনা’ (১৯৩১), ‘পুনর্জন্ম’ (১৯৩২), ‘কপালকুণ্ডলা’ (১৯৩৩), ‘মীরাবাঈ’ (১৯৩৩), ‘রূপলেখা’ (১৯৩৪), ‘চণ্ডীদাস'(১৯৩২), ‘রাজরানী মীরা’ (১৯৩২), ‘মাসতুতো ভাই’ (১৯৩৩), ‘ভাগ্যচক্র’ (১৯৩৫), ‘গৃহদাহ’ (১৯৩৬), ‘বডবাবু’ (১৯৩৭), ‘দিদি’ (১৯৩৭), ‘চিরকুমার সভা (১৯৩২), ‘পল্লীসমাজ’ (১৯৩২), ‘বিদ্যাপতি’ (১৯৩৭), ‘পরাজয়’ (১৯৩৯), ‘অভিনেত্রী’ (১৯৪০), ‘সাথী’ (১৯৩৮), ‘সাপুডে’ (১৯৩৯), ‘পরিচয়’ (১৯৪১), ‘উদয়ের পথে’ (১৯৪৪), ‘বিরাজ বৌ’ (১৯৪৬), ‘মন্ত্রমুগ্ধ’ (১৯৪৯), ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’ (১৯৪৯), ‘বড় বৌ’ (১৯৫০), ‘সাগর সঙ্গমে’ (১৯৫৯), ‘নতুন ফসল’ (১৯৬০), ‘রজত জয়ন্তী’ (১৯৩৯)।

রাইচাঁদ বড়াল ২৫শে নভেম্বর ১৯৮১-এ ৭৮ বছর বয়সে মারা যান। বাবুল সুপ্রিয় হলেন রাইচাঁদ বড়ালের নাতি, একজন বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী এবং ভারত সরকারের মন্ত্রী।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৯ অক্টোবর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৯ অক্টোবর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৩ – রাইচাঁদ বড়াল, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক।

রাইচাঁদ বড়াল (ইংরেজি:Raichand Boral) একজন বাঙালি সুরশিল্পী সঙ্গীত পরিচালক ও সঙ্গতিয়া হিসাবে খ্যাতিমান ছিলেন। তিনি ১৯৪০ ও ১৯৫০ এর দশকে অসংখ্য বাংলা ও হিন্দী চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে অর্জন করেন।

 

১৯১০ – সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর, ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী।

সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী। তিনি এক তামিল পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে তারার বিবর্তন এবং জীবন চক্র সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য তাকে উইলিয়াম আলফ্রেড ফাউলারের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 

১৯২৪ – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, ভারতীয় বাঙালি কবি।

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কবি। তিনি বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আবির্ভূত আধুনিক বাংলা কবিদের অন্যতম। উলঙ্গ রাজা তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থ লেখার জন্য তিনি ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। কবি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সাথে দীর্ঘকাল যুক্ত ছিলেন।

 

 

১৯২৮ – মিজানুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

মিজানুর রহমান চৌধুরী (১৯ অক্টোবর ১৯২৮ – ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের আমলে ৯ জুলাই ১৯৮৬ থেকে ২৭ মার্চ ১৯৮৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

 

১৯৬১ – সানি দেওল, ভারতীয় অভিনেতা ও প্রযোজক।

সানি দেওল (জন্ম অজয় সিং দেওল, ১৯ অক্টোবর, ১৯৫৬ ) একজন ভারতীয় অভিনেতা,নির্দেশক ও প্রয়োজক। তিনি বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের পুত্র ও ববি দেওলের ভাই। দেওল দুইবার করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।

 

১৯৮৩ – রেবেকা ফার্গুসন, সুয়েডীয় অভিনেত্রী।

১৮৬৪ – ওগ্যুস্ত ল্যুমিয়ের, ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্রের অগ্রদূত।

 

১৮৯৬ – চারুচন্দ্র ভাণ্ডারী, প্রবীণ গান্ধীবাদী ও সর্বোদয় নেতা। 

চারুচন্দ্র ভাণ্ডারী (১৯ অক্টোবর ১৮৯৬ – ২৪ জুন ১৯৮৫) ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান কংগ্রেসকর্মী, প্রবীণ গান্ধীবাদী এবং সর্বোদয় নেতা। তিনি আচার্য বিনোবা ভাবের ঘনিষ্ট সহযোগী হিসাবে বাংলায় সর্বোদয় আন্দোলনের প্রধান প্রচারক ছিলেন এবং ভূদান আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন।

 

১৮৯৭ – সেলিমুজ্জামান সিদ্দিকী, পাকিস্তানি শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী।

সলিমুজ্জামান সিদ্দিকী ( ১৯ অক্টোবর ১৮৯৭ – ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানি পণ্যের বিশেষায়িত মুহাজিস্ট বা ১৪ এপ্রিল ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক ড করাচির ।

 

১৮৯৯ – গুয়াতেমালার নোবেলজয়ী (১৯৬৭) কথাশিল্পী মিগুয়েল আনজেল আন্তুরিয়াস।

 

১৬০৫ – টমাস ব্রাউন, ইংরেজ সাহিত্যিক।

স্যার থমাস ব্রাউন (  ১৯ অক্টোবর ১৬০৫ – ১৯ অক্টোবর ১৬৮২) ছিলেন একজন ইংরেজ পলিম্যাথ এবং বিভিন্ন কাজের লেখক যা বিজ্ঞান ও চিকিৎসা, ধর্ম এবং গুপ্ততত্ত্ব সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার ব্যাপক শিক্ষাকে প্রকাশ করে । তার লেখাগুলি প্রাকৃতিক জগতের প্রতি গভীর কৌতূহল প্রদর্শন করে , যা বেকোনিয়ান অনুসন্ধানের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং ক্লাসিক্যাল এবং বাইবেলের সূত্রগুলির পাশাপাশি তার নিজের ব্যক্তিত্বের আইডিওসিঙ্ক্রাসিসের উল্লেখ দ্বারা পরিবেষ্টিত হয় । যদিও প্রায়শই মেল্যাঙ্কোলিয়ার সাথে মিশে যাওয়া হিসাবে বর্ণনা করা হয়, ব্রাউনের লেখাগুলিও বুদ্ধি এবং সূক্ষ্ম হাস্যরসের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যদিও তার সাহিত্যের শৈলীটি ধারা অনুসারে বৈচিত্র্যময়, যার ফলে একটি সমৃদ্ধ, অনন্য গদ্য রয়েছে যা রুক্ষ নোটবুক পর্যবেক্ষণ থেকে পালিশ বারোক বাগ্মিতার পরিসরে রয়েছে।

 

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯২৩ – কামাল পাশার নেতৃত্বে আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৪২ – চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রথম মাসিক পত্রিকা ‘চিত্রপঞ্জি’ প্রকাশিত হয়।

১৯৪৪ – ফিলিপাইনে মার্কিন সেনাদের সাথে জাপানী সৈন্যদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

১৯৫০ – জাতিসংঘ বাহিনী উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং দখল করে।

১৯৫১ – ব্রিটেন সুয়েজ খান অঞ্চল অধিকার করে।

১৯৫৪ – একদল অস্ট্রেলীয় অভিযাত্রী কর্তৃক পৃথিবীর ষষ্ঠ উচ্চতম পর্বত চো ওইয়ু বিজয়।

১৯৬২ – ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়।

১৯৬৫ – চীন-নেপাল আনুষ্ঠানিক প্রত্যক্ষডাক-ব্যবস্থা চালু হয়।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় হন্ডুরাস।

১৯৭২ – বাংলাদেশ ইউনেস্কোর সদস্যপদ লাভ করে।

১৯৭৩ – স্পেনে বন্যায় ২শ’ লোকের প্রাণহানি ঘটে।

১৯৭৬ – ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আলী হাসান সালামাহ্ ইহুদীবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মুসাদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে লেবাননে শাহাদাত বরণ করেন।

১৯৭৭ – দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮ টি বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা।

১৯৮৩ – বামপন্থী সামরিক অভ্যুত্থানে গ্রেনেডার প্রধানমন্ত্রী মবিশ নিহত।

১৯৮৬ – দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্তে বিমান দুর্ঘটনায় মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট সামোর মাশেল ৩০ জন সহযাত্রীসহ নিহত হন।

১৯৮৮ – ভারতে পৃথক বিমান দুর্ঘটনায় ১৬৪ জন নিহত।

১৯৯১ – বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের অবসান হয়।

১৯৯৩ – পিপলস পার্টির নেত্রী বেনজীর ভুট্টো দ্বিতীয় বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়।

১৯৯৬ – বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সোনারগাঁয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর-এর উদ্বোধন হয়।

১৯৯৬ – পেইচিংয়ে চীনের প্রথম হট এয়ারশীপ ” চীন ১ নম্বর” সাফল্যের সঙ্গে আকাশে উড়ে ।

১৮১২ – প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে নেপোলিয়ন মস্কো ত্যাগে বাধ্য হন।

১৮৮৮ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন।

১৭৮১ – যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ সেনা প্রধান লর্ড কর্ণওয়ালিস মার্কিন সেনা প্রধান জর্জ ওয়াশিংটনের কাছে আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান ঘটে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৩ – বসনিয়ার বিশিষ্ট লেখক ও রাজনীতিবিদ আলী ইজ্জাত বেগুভিচ।

 

২০০৪ – কেনেথ আইভার্সন, টুরিং পুরস্কার বিজয়ী কম্পিউটার বিজ্ঞানী।

কেনেথ ইউজিন আইভার্সন (ডিসেম্বর ১৭, ১৯২০, ক্যামরোজ, আলবার্টা, কানাডা – অক্টোবর ১৯, ২০০৪,  টরন্টো, ওন্টারিও, কানাডা) টুরিং পুরস্কার বিজয়ী একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি ১৯৫৭ সালে এপিএল প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করার জন্য সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন। গাণিতিক চিহ্নসমূহ এবং প্রোগ্রামিং ভাষা তত্ত্বের ব্যাপারে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৯ সালে তাকে টুরিং পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

 

২০১৪ – বাংলাদেশের ইতিহাসবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহমদ ।

এ. এফ. সালাহ্উদ্দীন আহমদ ভারতীয় উপমহাদেশের খ্যাতিমান উদারবাদী, মুক্তচিন্তক ঐতিহাসিক। পেশাগত জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি বিশ্বাসে ও আচরণে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত এবং মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। সত্য প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে সভ্যতার বীজতলা বলেই জেনেছেন।

 

২০১৮ – প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর

১৯২২ – চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়,যশস্বী বাঙালি লেখক।

১৯৩৬ – মহান চীনা সাহিত্যিক লু স্যুন ।

১৯৩৭ – আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, নিউজিল্যান্ডীয় নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৭৪- ফররুখ আহমদ,বাঙালি কবি।

সৈয়দ ফররুখ আহমদ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কবি । এই বাঙালি কবি ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি বাংলা কাব্যজগতের সর্বাধিক সনেট রচয়িতা। তার কবিতায় বাংলার অধঃপতিত মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অনুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে।

 

১৯৯০ – অশোকবিজয় রাহা, ভারতীয় বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক।

অশোকবিজয় রাহা (১৪ নভেম্বর ১৯১০ – ১৯ অক্টোবর ১৯৯০)ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক এবং সমালোচক। তিনি রবীন্দ্র অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীতে দায়িত্ব পালন করেন।

 

 

১৯৯৫ – জহুরুল ইসলাম, শিল্পপতি ও “ইসলাম গ্রুপ” এর প্রতিষ্ঠাতা।

জহুরুল ইসলাম (১ আগস্ট ১৯২৮ – ১৯ অক্টোবর ১৯৯৫) ছিলেন একজন বাংলাদেশী উদ্যোক্তা। তিনি ছিলেন “ইসলাম গ্রুপ” এর প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান।

 

১৭৪৫ – ইংরেজ সাহিত্যিক জোনাথন সুইফট ।

জোনাথন সুইফট ( জন্ম: ৩০ নভেম্বর, ১৬৬৭ – মৃত্যু: ১৯ অক্টোবর, ১৭৪৫) ছিলেন বিখ্যাত অ্যাংলো-আইরিশ প্রাবন্ধিক, ব্যাঙ্গাত্মক-কবিতা লেখক ও পাদ্রী। তিনি ডাবলিনের সেন্ট প্যাট্রিক ক্যাথেড্রালের ডীন নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৭২৬ সালে গালিভার’স ট্রাভেলস নামের একটি ইংরেজি উপন্যাস রচনা করে তিনি স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। এটিকে ইংরেজি সাহিত্যের একটি ধ্রুপদি গ্রন্থ মনে করা হয়। এছাড়াও, এ টেল অব এ টাব (১৭০৪) ও এ মডেস্ট প্রোপোজাল (১৭২৯) নামের ছোট গল্পগুলোও তার অবিস্মরণীয় কীর্তিরূপে স্বীকৃত। ইংরেজি সাহিত্যে সুইফটকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাঙ্গাত্মক-কবিতা লেখক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রথমে হুইগ ও পরে কনজারভেটিভ (টোরি) দলের জন্যে ক্ষুদ্র পুস্তিকা রচনা করেছিলেন তিনি। ব্যাঙ্গাত্মক-কবিতার তুলনায় কবিতায় তিনি তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেননি। লেমুয়েল গালিভার, আইজ্যাক বিকারস্টাফ, এমবি ড্রাপিয়ারসহ বিভিন্ন ছদ্মনামে তার সকল রচনাসমগ্র প্রকাশ করেছেন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This