Categories
প্রবন্ধ

প্রবীণ গান্ধীবাদী এবং সর্বোদয় নেতা চারুচন্দ্র ভাণ্ডারী’র জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বহু মনুষ এই অন্দলনে সামিল হয়েছিলেন। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে চারুচন্দ্র ভান্ডারী প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।চারুচন্দ্র ভান্ডারী ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।

চারুচন্দ্র ভান্ডারী ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অক্লান্ত কর্মী। চারুচন্দ্র ভান্ডারী ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ কংগ্রেস কর্মী, প্রবীণ গান্ধীবাদী এবং সর্বোদয় নেতা। তিনি আচার্য বিনোবা ভাবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বাংলায় সর্বোদয় আন্দোলনের প্রধান প্রচারক ছিলেন এবং ভূদান আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন।

জন্ম ও শিক্ষা জীবন—

চারুচন্দ্র ভান্ডারী ১৮৯৬ সালের ১৯ অক্টোবর বর্তমান ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার কুলপি থানার অন্তর্গত শ্যামসুরচক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

কর্মজীবন-

১৯৩০ সালে সারা দেশে লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু হলে চারুচন্দ্র ভান্ডারী মহাত্মা গান্ধীর নির্দেশে সুন্দরবনে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তিনি আইনজীবী পেশা ত্যাগ করে পুরোপুরি স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেন। লবণ সত্যাগ্রহে অংশ নেওয়ায় চারুচন্দ্রও পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাটুগঞ্জ, ডায়মন্ড হারবার, কুলপি, করঞ্জলি, হরিণাভি সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় খাদি মন্দির তৈরি করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামী বিশ্বরঞ্জন সেন ডায়মন্ড হারবারে ‘খাদি মন্দির’ প্রতিষ্ঠায় তার সহযোগীদের একজনের ভূমিকা পালন করেছিলেন। সে সময় সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামের অর্থনীতির ভিত্তি হয়ে উঠেছিল এই খাদি মন্দির। সেখানে চরকা থেকে তৈরি কাপড় গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই খাদি মন্দির থেকেই চারুচন্দ্র তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ঠিক করেন।

১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়, মহাত্মা গান্ধী চারুচন্দ্রের আমন্ত্রণে ডায়মন্ড হারবারে বর্তমান মহকুমা শাসকের অফিস সংলগ্ন ময়দানে একটি জনসভা করেছিলেন।
চারুচন্দ্র মহাত্মা গান্ধীর আন্দোলনের সাংগঠনিক ও সেবামূলক কাজের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
তিনি গান্ধীবাদী আদর্শে জন্মগ্রহণকারী আধুনিক বাংলাদেশের কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত অভয় আশ্রমের সাথেও যুক্ত ছিলেন।
চারুচন্দ্র ভান্ডারী আচার্য ছিলেন বিনোবা ভাবের একজন উল্লেখযোগ্য শিষ্য। চারুচন্দ্র পশ্চিমবঙ্গে তাঁর সর্বোদয় আন্দোলনের অন্যতম প্রধান প্রবর্তক ছিলেন। তাঁর মতে, সমবায় গ্রাম দান ও জমি দান আন্দোলনের মূলনীতি। চারুচন্দ্র ভান্ডারী বিনোবা ভাবের নীতিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। গয়াতে অনুষ্ঠিত সর্বোদয় সম্মেলনে তিনি আরও অনেকের সাথে জীবন ব্রত নিয়েছিলেন। তিনি ডায়মন্ড হারবারে পশ্চিমবঙ্গ ভূদানযজ্ঞ সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।

চারুচন্দ্র ভান্ডারী বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য ছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২০শে জুন তিনি বাংলার অবিভক্ত বিভাগ এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলেন। ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে, চারুচন্দ্র ভান্ডারী ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কিষান মজদুর প্রজা পার্টি (KMPP) এর সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষের মন্ত্রিসভায় প্রথম খাদ্যমন্ত্রী হন।

তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ—

ভূদানযজ্ঞ কি ও কেন (১৯৫৫), কোর-আন সার (আসামের অশান্তি প্রসঙ্গে (১৯৬১),

আমাদের জাতীয় শিক্ষা (১৯৬২)

সম্মাননা—

তার মৃত্যুর পর ডায়মন্ড হারবারে তার স্মরণে চারুচন্দ্র স্মৃতি কমিটি গঠন করা হয়। ডায়মন্ড হারবার শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ‘গার্লস স্কুল রোড’ পৌরসভা কর্তৃক ‘চারচন্দ্র ভান্ডারী সরণি’ নামকরণ করা হয়েছে এবং ডায়মন্ড হারবার মেইন রোড ও চারুচন্দ্র ভান্ডারী সরণির সংযোগস্থলে চারুচন্দ্র ভান্ডারীর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।

মৃত্যু—

চারুচন্দ্র ভান্ডারী ১৯৮৫ সালের ২৪ জুন মারা যান।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

লালন শাহ স্মরণে : সুরভি জাহাঙ্গীর।

মানবতার সাধক ফকির লালন শাহের আজ ১৭ অক্টোবর ১৩০তম প্রয়াণ দিবস। তাঁকে জানাই হৃদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি। লালন শাহ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন, সাঁইজী লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত ছিলেন। একাধারে তিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অন্যতম অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেই তাঁকে আখ্যায়িত করা হয়। তারূ গানের মাধ্যমেই ঊনিশ শতকে বাউল গান সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। তিনি ধর্ম-বর্ণ-গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতার ধর্মকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এ মনোভাব থেকেই তিনি তাঁর গান রচনা করেছেন। তাঁর গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাঁকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল।
#জন্ম_বিতর্ক
লালনের জীবন সম্পর্কে বিশদ কোনো বিবরণ পাওয়া যায় না। তাঁর জন্ম কোথায়, তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। লালন নিজে কখনো তা প্রকাশ করেননি। কিছু সূত্রে পাওয়া যায়, লালন ১৭৭৪ সালের ১৭ অক্টোবর যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহাকুমার হরিণাকুন্ডু থানার হারিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অবশ্য কোনো কোনো লালন গবেষক মনে করেন, লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার ভাড়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ তথ্যের সাথেও অনেকে দ্বিমত পোষণ করেন। বাংলা ১৩৪৮ সালের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত মাসিক মোহম্মদী পত্রিকায় এক প্রবন্ধে লালনের জন্ম যশোর জেলার ফুলবাড়ি গ্রামে বলে উল্লেখ করা হয়।
#ছেউড়িয়ায়_লালন
হিতকরী পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নিবন্ধে বলা হয়েছে, লালন তরুণ বয়সে একবার তীর্থভ্রমণে বের হয়ে পথিমধ্যে গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। তখন তাঁর সাথীরা তাঁকে মৃত ভেবে পরিত্যাগ করে চলে যায়। কালিগঙ্গা নদীতে ভেসে আসা মুমূর্ষু লালনকে উদ্ধার করেন মলম শাহ। তিনি ও তাঁর স্ত্রী মতিজান তাঁকে বাড়িতে নিয়ে সেবা-শুশ্রূষা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন। এরপর লালন তাঁর কাছে দীক্ষিত হন এবং কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়াতে স্ত্রী ও শিষ্যসহ বসবাস শুরু করেন। গুটিবসন্ত রোগে একটি চোখ হারান লালন। ছেউড়িয়াতে তিনি দার্শনিক গায়ক সিরাজ সাঁইয়ের সান্নিধ্যে আসেন এবং তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হন।
#ধর্মবিশ্বাস
লালনের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে গবেষকদের মাঝে বেশ মতভেদ রয়েছে, যা তাঁর জীবদ্দশায়ও বিদ্যমান ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত প্রবাসী পত্রিকার ‘মহাত্মা লালন’ নিবন্ধে লালনের প্রথম জীবনী রচয়িতা বসন্ত কুমার পাল উল্লেখ করেন, ‘সাঁইজি হিন্দু কি মুসলমান, এ কথা আমিও স্থির বলিতে অক্ষম।’ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, লালনের জীবদ্দশায় তাঁকে কোন ধরনের ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন করতেও দেখা যায়নি। লালনের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। নিজ সাধনাবলে তিনি সনাতন, ইসলাম ও বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। তাঁর রচিত গানে এর পরিচয় পাওয়া যায়। প্রবাসী পত্রিকার এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘লালনের সব ধর্মের লোকের সাথেই সুসম্পর্ক ছিল। মুসলমানদের সাথে সুসম্পর্কের কারণে অনেকে তাঁকে  মুসলমান মনে করতেন। আবার বৈষ্ণবধর্মের আলোচনা করতে দেখে হিন্দুরা তাঁকে বৈষ্ণব মনে করতেন। প্রকৃতপক্ষে লালন ছিলেন মানবতাবাদী এবং তিনি ধর্ম, জাত, কূল, বর্ণ, লিঙ্গ ইত্যাদি অনুসারে মানুষের ভেদাভেদ বিশ্বাস করতেন না।’

তবে বাংলা ১৩৪৮ সালের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত মাসিক মোহম্মদী পত্রিকায় এক প্রবন্ধে লালনকে জন্মসূত্রে মুসলিম উল্লেখ করা হয়। আবার কোন কোন লেখক লালন শাহকে হিন্দু বলেও উল্লেখ করেছেন। লালনের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে কবি ও ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘লালন ধার্মিক ছিলেন। তবে তিনি কোনো বিশেষ ধর্মের রীতিনীতি পালনে আগ্রহী ছিলেন না। সব ধর্মের বন্ধন ছিন্ন করে তিনি মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন।’ লালনের পরিচয় দিতে গিয়ে সুধীর চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘কাঙাল হরিনাথ তাঁকে জানতেন, মীর মশাররফ তাঁকে চিনতেন, ঠাকুরদের হাউসবোটে যাতায়াত ছিল, লেখক জলধর সেন বা অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় তাঁকে সামনাসামনি দেখেছেন কতবার, গান শুনেছেন, তবু জানতে পারেননি লালনের জাত-পরিচয়, বংশধারা বা ধর্ম।’

অবশ্য কিছু লালন অনুসারী যেমন মন্টু শাহের মতে, তিনি হিন্দু বা মুসলমান কোনটিই ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন ওহেদানিয়াত নামক একটি নতুন ধর্মীয় মতবাদের অনুসারী। ওহেদানিয়াতের মাঝে বৌদ্ধধর্ম এবং বৈষ্ণব ধর্মের সহজিয়া মতবাদ এবং সুফিবাদসহ আরও অনেক ধর্মীয় মতবাদ বিদ্যমান। লালনের অনেক অনুসারী লালনের গানসমূহকে এই আধ্যাত্মিক মতবাদের কালাম বলে অভিহিত করে থাকে।
#আখড়া_স্থাপন
লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে একটি আখড়া তৈরি করেন, যেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের নীতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন। তাঁর শিষ্যরা তাকে “সাঁই” বলে সম্বোধন করতেন। তিনি প্রতি শীতকালে আখড়ায় একটি ভান্ডারা বা মহোৎসব এর আয়োজন করতেন। সেখানে সহস্রাধিক শিষ্য ও সম্প্রদায়ের লোক জড়ো হতেন এবং সেখানে সংগীত ও আলোচনা হতো। চট্টগ্রাম, রংপুর, যশোর এবং পশ্চিমে অনেক দূর পর্যন্ত বাংলার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বহুসংখ্যক লোক লালন ফকিরের শিষ্য ছিলেন। শোনা যায় তাঁর শিষ্যের সংখ্যা প্রায় দশ হাজারের বেশি ছিল।
#ঠাকুর_পরিবারে
কলকাতার জোড়া সাঁকোর ঠাকুর পরিবারের অনেকের সঙ্গে লালনের পরিচয় ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। বিরাহিমপুর পরগনায় ঠাকুর পরিবারের জমিদারিতে ছিল তাঁর বসবাস এবং ঠাকুর-জমিদারদের প্রজা ছিলেন তিনি। ঊনিশ শতকের শিক্ষিত সমাজে লালন শাহের প্রচার ও গ্রহণযোগ্যতার পেছনে ঠাকুর পরিবার বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু এই ঠাকুরদের সঙ্গে লালনের একবার সংঘর্ষও ঘটে। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালির কাঙাল হরিনাথ মজুমদার গ্রামবার্তা প্রকাশিকা নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন। এরই একটি সংখ্যায় তখন ঠাকুর-জমিদারদের প্রজাপীড়নের সংবাদ ও তথ্য প্রকাশের সূত্র ধরে উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মকর্তারা বিষয়টির প্রত্যক্ষ অনুসন্ধানে আসেন। এতে করে কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ঠাকুর-জমিদারেরা। তাঁকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে লাঠিয়াল পাঠালে শিষ্যদের নিয়ে লালন শাহ সশরীরে তা মোকাবিলা করেন এবং লাঠিয়াল বাহিনী পালিয়ে যায়।
লালনের জীবদ্দশায় তাঁর একমাত্র স্কেচটি তৈরি করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। লালনের মৃত্যুর বছরখানেক আগে ৫ মে ১৮৮৯ সালে পদ্মায় তাঁর বোটে বসিয়ে তিনি এই পেন্সিল স্কেচটি করেন- যা ভারতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। যদিও কারো কারো দাবী এই স্কেচটিতে লালনের আসল চেহারা ফুটে ওঠেনি।
#দেহাবসান
১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর প্রায় একমাস আগে থেকে তিনি পেটের সমস্যা ও হাত পায়ের গ্রন্থির সমস্যায় ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় তখন তিনি দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতেন না। এ সময়ে তিনি মাছ খেতে চাইতেন। মৃত্যুর দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত তিনি গান-বাজনা করেন এবং এক সময় তাঁর শিষ্যদের বলেন, ‘আমি চলিলাম’ এবং এর কিছু সময় পরই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর নির্দেশ বা ইচ্ছা না থাকায় তাঁর মৃত্যুর পর হিন্দু বা মুসলমান কোন ধর্মেরই রীতিনীতি পালন করা হয়নি। তাঁরই উপদেশ অনুসারে ছেউড়িয়ায় তাঁর আখড়ার মধ্যে একটি ঘরের ভিতর তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর মৃত্যুর ১২ দিন পর তৎকালীন পাক্ষিক পত্রিকা মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত হিতকরী-তে প্রকাশিত একটি রচনায় সর্বপ্রথম তাঁকে ‘মহাত্মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
#লালনতত্ত্ব
লালনের গানে মানুষ ও তাঁর সমাজই ছিল মুখ্য। লালন বিশ্বাস করতেন সকল মানুষের মাঝে বাস করে এক মনের মানুষ। আর সেই মনের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায় আত্মসাধনার মাধ্যমে। দেহের ভেতরেই মনের মানুষ থাকে, যাকে তিনি অচিন পাখি বলেছেন। সেই অচিন পাখির সন্ধান মেলে পার্থিব দেহ সাধনার ভেতর দিয়ে দেহোত্তর জগতে পৌঁছানোর মাধ্যমে। এটাই বাউলতত্ত্বে ‘নির্বাণ’ বা ‘মোক্ষ’ বা ‘মহামুক্তি’ লাভ বলে। তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানবতাবাদকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছেন। তাঁর বহু গানে এই মনের মানুষের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করতেন মনের মানুষ এর কোন ধর্ম, জাত, বর্ণ, লিঙ্গ, কূল নেই। মানুষের দৃশ্যমান শরীর এবং অদৃশ্য মনের মানুষ পরস্পর বিচ্ছিন্ন, কিন্তু শরীরেই মনের বাস। সকল মানুষের মনে ঈশ্বর বাস করেন। লালনের এই দর্শনকে কোন ধর্মীয় আদর্শের অন্তর্গত করা যায় না। তিনি মানব আত্মাকে বিবেচনা করেছেন এক রহস্যময়, অজানা এবং অস্পৃশ্য সত্তা রূপে। খাঁচার ভিতর অচিন পাখি গানে তিনি মনের অভ্যন্তরের সত্তাকে তুলনা করেছেন এমন এক পাখির সাথে, যা সহজেই খাঁচারূপী দেহের মাঝে আসা যাওয়া করে কিন্তু তবুও একে বন্দি করে রাখা যায় না।

আধ্যাত্মিক ভাবধারায় তিনি প্রায় দুই হাজার গান রচনা করেছেন। তার সহজ-সরল শব্দময় গানে মানবজীবনের রহস্য, মানবতা ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে। মানবতাবাদী লালন দর্শনের মূল কথা হচ্ছে মানুষ। আর এই দর্শন প্রচারের জন্য তিনি শিল্পকে বেছে নিয়েছিলেন। লালনকে অনেকে সাম্প্রদায়িক বলতে চেয়েছেন।
তবে লালন সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন,
‘লালন ফকির নামে একজন বাউল সাধক হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন ধর্মের সমন্বয় করে কী যেন একটা বলতে চেয়েছেন- আমাদের সবারই সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
#লালনের_প্রভাব
লালনের গান ও দর্শনের দ্বারা অনেক বিশ্বখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক প্রভাবিত হয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ লালনের মৃত্যুর ২ বছর পর তার আখড়া বাড়িতে যান এবং লালনের দর্শনে প্রভাবিত হয়ে ১৫০টি গান রচনা করেন। তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা ও রচনায় তিনি লালনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। লালনের মানবতাবাদী দর্শনে প্রভাবিত হয়েছেন সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এছাড়া আমেরিকান কবি এলেন গিন্সবার্গ লালনের দর্শনে প্রভাবিত হন এবং তাঁর রচনাবলিতেও লালনের রচনাশৈলীর অনুকরণ দেখা যায়। তিনি আফটার লালন (After Lalon) নামে একটি কবিতাও রচনা করেন। লালনের সংগীত ও ধর্ম-দর্শন নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা গবেষণা হয়েছে ও হচ্ছে।
#লালনস্মরণে
লালন স্মরণে অসংখ্য গল্প, কবিতা ও উপন্যাস রচিত হয়েছে এবং সিনেমাও নির্মিত হয়েছে।
লালন সাঁইজির জীবনীর নির্ভরযোগ্য তথ্য ও লালন-দর্শনের মূল কথা নিয়ে সাইমন জাকারিয়া রচনা করেছেন ‘উত্তরলালনচরিত’ শীর্ষক নাটক। নাটকটি ঢাকার সদর প্রকাশনী হতে প্রকাশিত হয়েছে। রণজিৎ কুমার লালন সম্পর্কে সেনবাউল রাজারাম নামে একটি উপন্যাস রচনা করেছেন। পরেশ ভট্টাচার্য রচনা করেছেন বাউল রাজার প্রেম নামে একটি উপন্যাস। কবি ও ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লালনের জীবনী নিয়ে রচনা করেছেন মনের মানুষ উপন্যাস। এই উপন্যাসে কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র ব্যতিরেকেই লালনকে হিন্দু কায়স্থ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছ, নাম দেয়া হয়েছে লালন চন্দ্র কর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস ‘গোরা’ শুরু হয়েছে লালনের গান ‘’খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়’ দিয়ে। ১৯৩৬ সালে সুনির্মল বসু লালন ফকিরের ভিটে নামে একটি ছোট গল্প রচনা করেন। শওকত ওসমান ১৯৬৪ সালে রচনা করেন দুই মুসাফির নামের একটি ছোটগল্প।
লালনকে নিয়ে কয়েকটি চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। ১৯৭২ সালে সৈয়দ হাসান ইমাম পরিচালনা করেন লালন ফকির চলচ্চিত্রটি। শক্তি চট্টোপাধ্যায় ১৯৮৬ সালে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ম. হামিদ ১৯৮৮ সালে পরিচালনা করেন তথ্যচিত্র দ্যাখে কয়জনা, যা বাংলাদেশে টেলিভিশনে প্রদর্শিত হয়। তানভীর মোকাম্মেল ১৯৯৬ সালে পরিচালনা করেন তথ্যচিত্র অচিন পাখি। ২০০৪ সালে তানভীর মোকাম্মেলের পরিচালনায় লালন নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। এ চলচ্চিত্রে লালনের ভূমিকায় অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং এটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।এছাড়া ২০১০-এ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে গৌতম ঘোষ মনের মানুষ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা ২০১০ সালে ৪১তম ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে। উল্লেখ্য, চলচ্চিত্রে লালনকে কোন উল্লেখযোগ্য সূত্র ছাড়াই হিন্দু হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হয়। ২০১১ সালে মুক্তি পায় হাসিবুর রেজা কল্লোল পরিচালিত ‘অন্ধ নিরাঙ্গম’ নামের চলচ্চিত্র। এ চলচ্চিত্রে লালনের দর্শন ও বাউলদের জীবনযাপন তুলে ধরা হয়েছে। (অসম্পূর্ণ)

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি : স্বামী আত্মভোলানন্দ।

ওঁ নমঃ শ্রী ভগবতে প্রণবায় ।

 

***পৃথিবীতে আমরা মানুষই একমাত্র প্রাণী কাঁদতে কাঁদতে জন্ম গ্রহণ করি। কিন্তু জীবন ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়টা  অভাব, অভিযোগ,প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করতে করতে বাঁচি। আর অবশেষে আমরা অনুশোচনা, আফসোস করতে করতে  মৃত্যু বরন করি। আমাদের মানুষের সৌন্দর্য অনেকটা  হৃদয়ও মস্তিষ্কে বসবাস করে, মানুষের শরীরে নয়, তাই, যার মস্তিষ্কের ভাবনা যত সুন্দর, সে মানুষ হিসেবেও ঠিক ততটাই সুন্দর ৷ আমাদের জীবন ও মৃত্যুর কোনও সূত্র ভগবান আমাদের  দেন নি৷ তাই জীবন ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়টা চিরন্তন আনন্দ উপভোগ করার জন্য৷ জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়টা মহান কাজএ  ব্যবহার করার জন্য৷ কারণ, একজন চমৎকার, বিস্ময়কর  মানুষ  সবসময় আমাদের স্মৃতিতে থাকে, একজন ভালো মানুষ সবসময় আমাদের স্বপ্নে থাকে। কিন্তু একজন আন্তরিক মানুষ সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবে।  তাই, নিজের জীবন  মহান করে তুলুন৷ সৎ  মানুষের জীবনে ধন, সম্পত্তি, পদমর্যাদা নয়,  সবথেকে প্রয়োজনীয় জিনিস হলো নিরোগ দেহ, পরিতৃপ্ত মন, সততা ও মানসিক প্রশান্তি পূর্ণ জীবন। ধন, জন, যৌবন ও নাম-যশ  সব নশ্বর। বন্ধুত্ব ও প্রেম ক্ষণস্থায়ী। ঈশ্বর সদগুরুদেব একমাত্র আমাদের পথ প্রদর্শক।
তাই:-
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন:-“ধর্ম এমন একটি ভাব, যাহা পশুকে মনুষ্যত্বে ও মানুষকে দেবত্বে উন্নীত করে।”

স্বামী প্রণবানন্দজী বলেছেন:-“যাহা তোমাকে তোমার লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাইয়া দিবে তাহাই প্রকৃত কর্ম ও সাধনা।”

মানুষের জীবনের ছোট ছোট জিনিসগুলোই সবচেয়ে খুব দামি এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নিজের যা আছে তার প্রশংসা করা এবং ঈশ্বর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত! বন্ধুত্ব এবং শান্তির প্রতীক  আমাদের হাসি এবং সন্তুষ্টি বিশ্বের সাথে  শেয়ার করা দরকার। কারণ, যখন আমাদের জীবনে সুখের একটি দরজা বন্ধ হয়ে যায়, সুখের অন্য দরজাটি খোলে, কিন্তু প্রায়শই আমরা বন্ধ দরজার দিকেই এতক্ষণ তাকিয়ে থাকি যে আমরা আমাদের জন্য খোলা সুখের অন্য দরজাটি দেখতে পাই না। কারণ, আমাদের হৃদয়ে পবিত্রতা, মনে স্বচ্ছতা, কর্মে আন্তরিকতা এবং মানসিক তৃপ্তি হল মানুষের জীবনে আসল সুখের,শান্তির সূত্র।
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ।
স্বামী আত্মভোলানন্দ

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৮ অক্টোবর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৮ অক্টোবর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০২ – মিরিয়াম হপকিন্স, আমেরিকান অভিনেত্রী। 

এলেন মিরিয়াম হপকিন্স (১৮ অক্টোবর ১৯০২ – ৯ অক্টোবর ১৯৭২) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ১৯৩০ সালে প্যারামাউন্ট পিকচার্সের সাথে প্রথম চুক্তিবদ্ধ হন এবং আর্নস্ট লুবিচ ও জোয়েল ম্যাক্রিয়াসহ অন্যান্য পরিচালকদের সাথে কাজ করেন। অভিনেত্রী বেটি ডেভিসের সাথে তার দীর্ঘকাল ব্যাপী দ্বন্দ্ব বিপুল আলোচিত ছিল। বেকি শার্প চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। হপকিন্স পরবর্তীকালে টেলিভিশন নাটকের অগ্রদূত হিসেবে আবির্ভূত হন।

 

১৯০৫ – ফেলিক্স হওফোয়েত-বোদরি, আইভেরিয়ান রাজনীতিবিদ এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি।

 

১৯০৬ – শিল্প ও সাহিত্যজগতের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব লেডি রাণু মুখোপাধ্যায়। 

লেডি রাণু মুখোপাধ্যায় বা রাণু মুখার্জি (১৮ অক্টোবর , ১৯০৬ – ১৫ মার্চ , ২০০০) রবীন্দ্র অনুরাগী ভারতের শিল্প ও সাহিত্যজগৎের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারতের চারুকলা প্রতিষ্ঠান অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা। ফরাসি সরকারের লিজিয়ঁ দ’নরে সম্মানিতা বাঙালি মহিলা।

 

১৯১৮ – পরিতোষ সেন, ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী।

পরিতোষ সেন ( অক্টোবর ১৮, ১৯১৮ – অক্টোবর ২২, ২০০৮) একজন প্রখ্যাত ভারতীয় চিত্রশিল্পী। চল্লিশের দশকে তিনি এবং আরও কয়েকজন মিলে তৈরি করেন ক্যালকাটা গ্রুপ – যা পরবর্তীতে ভারত ও বাংলার শিল্পের বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।

 

১৯১৯ – পিয়ের ট্রুডো, কানাডীয় রাজনীতিবিদ এবং কানাডার ১৫ তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯২০ – মেলিনা মার্কুরি, গ্রিক অভিনেত্রী, গায়িকা ও রাজনীতিবিদ।

 

১৯২৫ – ইলা মিত্র, বাঙালি মহীয়সী নারী এবং সংগ্রামী কৃষক নেতা।

ইলা মিত্র (১৮ অক্টোবর ১৯২৫- ১৩ অক্টোবর ২০০২) একজন বাঙালি মহীয়সী নারী এবং সংগ্রামী কৃষক নেতা। তিনি মূলত তেভাগা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। বাংলার শোষিত ও বঞ্চিত কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সংগ্রাম করেছেন। ভোগ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন।ইলা মিত্র বিষয়ে নাচোলে আলাউদ্দীন আহমেদ বটু একটি তথ্য সমৃদ্ধ বই প্রকাশ করেন যার নাম ইলা মিত্র ও নাচোল।

 

১৯২৬ – চাক বেরি, মার্কিন গায়ক, গীতিকার এবং রক এ্যান্ড রোল সংগীতের প্রবর্তক।

১৯২৬ – ক্লাউস কিন্‌স্কি, জার্মান অভিনেতা।

 

১৯২৭ – জর্জ সি. স্কট, মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। 

জর্জ ক্যাম্পবেল স্কট (১৮ অক্টোবর ১৯২৭ – ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯) হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি মঞ্চে তার কাজের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ভূমিকা হল স্ট্যানলি কুবরিকের ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ অর: হাউ আই লার্ন্ডস টু স্টপ ওরিং অ্যান্ড লাভ দ্য বম্ব (১৯৬৪)-এ জেনারেল বাক টারগিডসন, ফ্রাংকলিন স্ক্যাফনারের প্যাটন (১৯৭০)-এ জেনারেল জর্জ এস. প্যাটন এবং ক্লাইভ ডোনারের আ ক্রিসমাস ক্যারল (১৯৮৪)-এ এবেনেজার স্ক্রুজ।

 

১৯৩৩ – আরউইন মার্ক জ্যাকবস, তড়িৎ প্রকৌশলী।

১৯৩৯ – লি হার্ভে অসওয়াল্ড, মার্কিন রাষ্ট্রপতি জন এফ. কেনেডির আততায়ী।

 

১৯৪০ – পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেতা।

পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং মঞ্চ অভিনেতা। তিনি বাংলায় অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সন্দীপ রায় পরিচালিত সত্যজিৎ রায়-এর গল্পের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত যেখানে ভূতের ভয় চলচ্চিত্রে তিনি তাড়িনীখুড়ো চরিত্রে অভিনয় করেছেন  । এছাড়া তিনি জি বাংলার জনপ্রিয় কমেডি অনুষ্ঠান মীরাক্কেলের ) একজন নিয়মিত বিচারক। বর্তমানে তিনি জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক বয়েই গেলোতে অভিনয় করছেন।

 

১৯৫০ – ভারতীয় এবং ব্রিটিশ অভিনেতা ওম রাজেশ পুরী।

ওম রাজেশ পুরি ওবিই (জন্ম: ১৮ অক্টোবর ১৯৫০- মৃত্যু: ৬ জানুয়ারি, ২০১৭) ছিলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা যিনি মূলত ভারতীয় এবং ব্রিটিশ মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে থাকেন। এছাড়াও তিনি মুক্তধারার চলচ্চিত্র, আর্ট ফিল্ম এবং হলিউডে অসাধারন অভিনয়ের খ্যাতি রয়েছে। তিনি সর্বাধিক ৪ বার ভারতীয় বেসামরিক পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

 

১৯৫২ – রয় ডায়াস, শ্রীলঙ্কার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ।

১৯৫৬ – মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, বিখ্যাত আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ।

১৯৬১ – গ্ল্যাডস্টোন স্মল, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৬৪ – শেখ রাসেল, শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র।

১৯৬৫ – জাকির নায়েক, ইসলামি পণ্ডিত ও গবেষক।

১৯৬৮ – স্টুয়ার্ট ল, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার।

১৯৭৮ – জয়তিকা সারাভানান, ভারতীয় তামিল অভিনেত্রী।

১৯৮১ – নাথান হারিৎজ, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮৪ – ফ্রিডা পিন্টো, ভারতীয় অভিনেত্রী এবং মডেল।

১৯৮৪ – এস্পারেন্জা স্পলডিং, আমেরিকান জ্যাজ বেসবাদক, সেল্লোবাদক এবং গায়ক।

১৯৮৭ – জ্যাক এফ্রন, আমেরিকান অভিনেতা এবং গায়ক।

১৮০৪ – রাজা মংকুট, শ্যামদেশের (থাইল্যান্ডের) চক্রী রাজবংশের চতুর্থ রাজা ছিলেন।

১৮৫৪ – বিলি মারডক, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

১৮৫৯ – অঁরি বের্গসন, বিশিষ্ট ফরাসি দার্শনিক।

১৮৭৫ – লেন ব্রন্ড, বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৮৯৪ – এইচ. এল. ডেভিস, মার্কিন ঔপনাসিক ও কবি।

১৮৯৮ – লট্টে লেনিয়া, অস্ট্রীয়-মার্কিন অভিনেত্রী।

১৭৮৫ – টমাস লাভ পিকক, ইংরেজি ঔপন্যাসিক, কবি এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০১ – চীনের সাংহাইএ এপেকের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের নেতাদের মধ্যে সন্ত্রাস দমন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়। চীনের তৎকালীণ প্রেসিডেন্ট চিয়াং ছে মিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ যথাক্রমে এই শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেন।

২০০২ – চীনের তথ্যকরণ নেত্রী গ্রুপ ‘ চীনের জাতীয় অর্থনীতি আর সমাজ উন্নয়নের পঞ্চম দশম পালা পরিকল্পনার তথ্যকরণ পরিকল্পনা’ প্রকাশিত হয়।

২০২০ – দীর্ঘ ৩০ বছর পর সৌদি ও ইরাকের মধ্যে স্থলসীমান্ত উন্মুক্ত করা হয়।

১৯১০ – চীনের সাংহাইএর খ্রিষ্টিন ধর্মের যু্ব সমিতির উদ্যোগে চীনের প্রথম জাতীয় গেমসের উদ্বোধন হয়।

১৯১২ – ইতালী ও তুরস্কের ওসমানীয় খেলাফতের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯১২ – বুলগেরিয়া, সার্বিয়া, গ্রীস ও মন্ট্রিনিগ্রো ওসমানিয় তুর্কী সেনাদের ওপর হামলা শুরু করার মাধ্যমে প্রথম বলকান যুদ্ধ শুরু করে।

১৯৬৭ – রুশ মহাশূন্যযান ভেনাস-৪ প্রথমবারের মতো শুক্রে নিরাপদে অবতরণ করে।

১৯৭১ – পাক-ভারত সীমান্ত থেকে উভয়পক্ষের সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য মস্কোস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাব।

১৯৭২ – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বশান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পদক জুলিও কুরি লাভ করেন।

১৯৭৩ – মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো চা ও মেডিকেল টিম প্রেরণ করা হয়।

১৯৮৪ – আফ্রিকার মহা দেশে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় খরা দেখা দেয়। এ সব দেশের মধ্যে ইথিওপিয়ার দুর্যোগ সবচেয়ে গুরুতর। আফ্রিকার ৩৪টি দেশ সাংঘাতিক খরার শিকার হয় এবং ২৪টি দেশে অনাহার দেখা দেয়। কমপক্ষে এক কোটি লোক গৃহহারা হয়।

১৯৮৫ – দক্ষিণ আফ্রিকার বোথা সরকারের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ কবি বেঞ্জামিন মালায়েস [২৮]-এর ফাঁসি হয়।

১৯৮৫ – চীনের প্রথম জাতীয় কিশোর-কিশোরী গেমস চীনের জেনযৌ শহরে সাফল্যজনকভাবে সমাপ্ত হয়।

১৯৮৯ – পূর্ব জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান এরিক হোনেকার ক্ষমতা হারান।

১৯৯২ – চীনা কমিউনিস্ট পার্টি চতুর্দশ কংগ্রেসে সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতির প্রতি সমর্থন জানায়।

১৯৯৫ – চীনের রাজধানী পেইচিংএ চীন আর রাশিয়া দু’দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে দু’দেশের পশ্চিমাংশের সীমান্ত নির্ধারণ সংক্রান্ত চুক্তি অনুমোদন হয় ।

১৯৯৮ – এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের পরিবেশ আর উন্নয়ন সম্মেলনের ষষ্ঠ বার্ষিক অধিবেশন চীনের গুয়েলিন শহরে সমাপ্ত হয়।

১৮৬৬ – রাশিয়া সরকারিভাবে আলাস্কাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়।

১৭৪৮ – গ্রেট ব্রিটেন, স্পেন ও সার্ডিনিয়ার মধ্যে ‘আইলা শাপেল’-এর শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৫৬৫ – ফিলিপাইন আনুষ্ঠানিকভাবে স্পেনের উপনিবেশে পরিণত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – শঙ্কু মহারাজ প্রখ্যাত বাঙালি ভ্রমণ সাহিত্যিক। 

শঙ্কু মহারাজ (৭ মার্চ ১৯৩১ – ১৮ অক্টোবর ২০০৪; আসল নাম জ্যোর্তিময় ঘোষদস্তিদার) হলেন বাংলা সাহিত্যে সুপরিচিত ভ্রমণ কাহিনিকার।

 

২০০৫ – জনি হেইন্স, ইংরেজ ফুটবলার।

২০০৭ – লাকি ডুবে, দক্ষিণ আফ্রিকার একজন রেগে শিল্পী।

 

২০১৮ – আইয়ুব বাচ্চু, বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী। 

আইয়ুব বাচ্চু (১৬ আগস্ট ১৯৬২ – ১৮ অক্টোবর ২০১৮) একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতজ্ঞ, গায়ক-গীতিকার এবং গীটারবাদক ছিলেন। তিনি রক ব্যান্ড এল আর বি এর গায়ক ও গীটারবাদক হিসেবে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। তাকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতের ধারায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী এবং গীটারবাদক বলা হয়। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধীন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছিলেন।

 

১৯১৪ – কবি আজিজুর রহমান।

 

১৯২৩ – মোহাম্মদ নজিবর রহমান, বাংলা ভাষার ঔপন্যাসিক।

মোহাম্মদ নজিবর রহমান (১৮৬০ – ১৮ অক্টোবর, ১৯২৩) বাংলা ভাষার একজন ঔপন্যাসিক যিনি ঊনবিংশ শতাব্দীতে সাহিত্যের জগতে প্রবেশ করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে একজন ঔপন্যাসিক হিসাবে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তাকে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিকাশোন্মুখ মধ্যবিত্ত বাঙালি মুসলমান সমাজের প্রতিনিধি গণ্য করা হয়। তার আনোয়ারা উপন্যাসটি বিষাদসিন্ধুর পর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জগতে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি উপন্যাস।

 

১৯৩১ – টমাস আলভা এডিসন, মার্কিন উদ্ভাবক এবং ব্যবসায়ী।

টমাস এডিসন বা টমাস আলভা এডিসন (১১ ফেব্রুয়ারি, ১৮৪৭ – ১৮ অক্টোবর, ১৯৩১) ছিলেন মার্কিন উদ্ভাবক এবং ব্যবসায়ী। তিনি গ্রামোফোন, ভিডিও ক্যামেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী বৈদ্যুতিক বাতি (বাল্ব) সহ বহু যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা বিংশ শতাব্দীর জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।

 

১৯৭৮ – রামোন মের্কাদের, স্পেনীয় সাংবাদিক, লিওন ট্রটস্কির হত্যাকারী।

Ramon Mercader (Jaime Ramón Mercader del Rio, ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯১৩ – ১৮ অক্টোবর ১৯৭৮), ছিলেন একজন স্প্যানিশ কমিউনিস্ট এবং NKVD গোপন এজেন্ট যিনি ১৯৪০ সালের আগস্টে মেক্সিকো সিটিতে বিপ্লবী লিওন ট্রটস্কিকে হত্যা করেছিলেন। মার্কাডারকে মেক্সিকো সিটিতে 9 বছর এবং 8 মাস কারাবাস করা হয়েছিল  নির্বাসিত রাশিয়ান কমিউনিস্টকে বরফের কুঠার দিয়ে হত্যা করার জন্য।

 

১৯৯৩ – শহীদ ডাঃ মিজানুর রহমান ও মোঃ বোরহান উদ্দিন শাহাদাত।

 

১৮৭১ – চার্লস ব্যাবেজ, ইংরেজ গণিতবিদ।

চার্লস ব্যাবেজ একজন ইংরেজ যন্ত্র প্রকৌশলী, গণিতবিদ, আবিষ্কারক ও দার্শনিক। তাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক মনে করা করা হয়। তিনি ডিফারেন্স ইঞ্জিন ও অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে দুইটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন।

 

১৬৭৮ – চিত্রশিল্পী ইয়াকপ ইয়োরদানস।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৭ অক্টোবর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৭ অক্টোবর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব ট্রমা দিবস৷

(খ) আন্তর্জাতিক দারিদ্র বিমোচন দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০০ – জাঁ আর্থার, আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা।

১৯১৫ – আর্থার মিলার, মার্কিন নাট্যকার, প্রাবন্ধিক এবং লেখক।

১৯১৭ – মার্টিন ডনেলি, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার।

১৯১৮ – রিটা হেওয়ার্থ, মার্কিন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী।

১৯১৯ – ঝাও জিয়াং, চীনা রাজনীতিবিদ।

১৯২০ – মন্টগামারি ক্লিফট, মার্কিন অভিনেতা।

১৯২৫ – ড. খালিদ মাহমুদ, পাকিস্তানি বিচারক ও দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত।

১৯৩৩ – উইলিয়াম অ্যান্ডার্স, হংকং বংশোদ্ভূত আমেরিকান জেনারেল ও মহাকাশচারী।

১৯৩৪ – জনি হেইন্স, ইংরেজ ফুটবলার।

১৯৩৭ – পাক্সটন হোয়াইটহেড, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯৪৪ – বিভু ভট্টাচার্য, বাঙালি অভিনেতা।

১৯৪৪ – রেইনহোল্ড মেসনার, ইতালিয়ান পর্বতারোহী এবং অভিযাত্রী।

১৯৪৭ – বৃন্দা কারাত, ভারতীয় রাজনীতিবিদ।

১৯৫৫ – স্মিতা পাতিল, ভারতীয় চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও মঞ্চ অভিনেত্রী।

 

১৯৬৫ – অরবিন্দ ডি সিলভা, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার।

পিন্নাদুয়াগে অরবিন্দ ডি সিলভা (জন্ম: ১৭ অক্টোবর, ১৯৬৫) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার সাবেক ও বিখ্যাত ক্রিকেট তারকা ও প্রশাসক। তাকে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাটসম্যানদের একজনরূপে গণ্য করা হয়। এছাড়াও, তিনি তার সময়কালে সর্বাধিক মার্জিত রূচিসম্পন্ন খেলোয়াড় ছিলেন। অদ্যাবধি বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৩ উইকেট লাভ করেছেন অরবিন্দ ডি সিলভা। স্বল্পকালের জন্য জাতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধান হিসেবে ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা দল থেকে পদত্যাগ করেন।

 

১৯৭০ – অনিল কুম্বলে, ভারতীয় ক্রিকেটার ও কোচ।

অনিল রাধাকৃষ্ণ কুম্বলে (জন্ম ১৭ অক্টোবর ১৯৭০) একজন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট কোচ এবং ধারাভাষ্যকার যিনি ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তার জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা লেগ স্পিন বোলারদের একজন হিসাবে বিবেচিত, তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ৬১৯ উইকেট নিয়েছিলেন এবং ২০২১ সাল পর্যন্ত সর্বকালের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।

 

১৯৭২ – ওয়াইক্লেফ জঁ, হাইতীয়-মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক।

১৯৭৯ – মার্ক গিলেস্পি, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার।

 

১৯৮০ – মোহাম্মদ হাফিজ, পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

মোহাম্মদ হাফিজ সারগোদায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি ক্রিকেট খেলোয়াড়। বর্তমানে তিনি পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের টি২০ ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করছেন। ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও মাঝে মধ্যে ডানহাতি অফস্পিন বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন।

 

১৯৯২ – মাহনাজ সানী রাজেন,বাংলাদেশী প্রকৌশলী

১৯৯৪ – বেন ডাকেট, ইংরেজ ক্রিকেটার।

 

১৮১৭ – সৈয়দ আহমদ খান, ভারতীয় উপমহাদেশের দার্শনিক ও রাজনীতিবীদ। 

স্যার সৈয়দ আহমদ খান বাহাদুর, সাধারণত স্যার সৈয়দ নামে সমধিক পরিচিত, ভারতের একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ যিনি ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতের মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন।

 

১৮২৬ – বের্নহার্ট রিমান, বিখ্যাত জার্মান গণিতবিদ।

 

১৮৭৮ – বার্লো কারকিক, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ও রাগবি খেলোয়াড়। 

উইলিয়াম ” বারলো ” কারকিক (১৭ অক্টোবর ১৮৭৮ – ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭) ছিলেন একজন অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়াবিদ যিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ক্রিকেট এবং ভিক্টোরিয়ার হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি এসেনডনের হয়ে ভিক্টোরিয়ান ফুটবল লীগে ( ভিএফএল) অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল খেলেছিলেন ।

 

১৮৮৯ – সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামী ও সশস্ত্র বিপ্লবী।

সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় (১৭ অক্টোবর ১৮৮৯―৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭) ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামী ও সশস্ত্র বিপ্লবী।

 

১৮৯০ – রয় কিলনার, ইংরেজ ক্রিকেটার।

 

১৭৭৪ – লালন, বাঙালি আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক, দার্শনিক, অসংখ্য অসাধারণ গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। 

মানবতার সাধক ফকির লালন শাহের আজ ১৭ অক্টোবর প্রয়াণ দিবস। তাঁকে জানাই হৃদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি। লালন শাহ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন, সাঁইজী লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত ছিলেন।

 

১৫৭৭ – ক্রিস্টফানো আলরি, ইতালীয় চিত্রশিল্পী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৫ – দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলন শরু।

১৯০৩ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান।

১৯০৫ – বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি।

১৯১৪ – গ্রিস ও এশিয়া মাইনরে প্রচন্ড ভূমিকম্পে ৩ হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে।

১৯২০ – প্রবাসে [তাসখন্দে] ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়।

 

১৯২৪ – হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির জন্য মহাত্মা গান্ধীর অনশন।

১৯৩৬ – ইরান-তুরস্ক শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়।

১৯৪০ – মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়।

১৯৪৪ – ওস্টল্যান্ড হতে এস্তোনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৪৮ – আরব ইসরাইল যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিন সংকট বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্ততাকারী কেন্ট বার্ণাডোট বায়তুল মোকাদ্দাসে ইহুদী অধ্যুষিত এলাকায় ইহুদীবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন।

১৯৫৭ – মালয়েশিয়া জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।

১৯৬২ – গণবিরোধী হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলায় ছাত্র আন্দোলন ও হরতাল পালিত হয়।

১৯৬৩ – জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে জেনিভা নিরস্ত্রিকরণ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ১৭টি দেশের উত্থাপিত একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এই প্রস্তাবে সকল দেশের উদ্দেশ্যে পরমাণু অস্ত্র অথবা অন্য যে কোনো গণ বিধ্বংসী অস্ত্র পৃথিবীর কক্ষপথে মোতায়েন না করার আহ্বান জানানো হয়।

১৯৭০ – জর্দান সেনা বাহিনী ফিলিস্তিনীদের উপর ব্যাপক গণহত্যা অভিযান শুরু করেছিল।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় হন্ডুরাস।

১৯৭৪ – বাংলাদেশ, গ্রানাডা এবং গিনি-বিসাউ জাতিসংঘে যোগদান করে।

১৯৮০ – নিকারাগুয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট আনাসতোসিও সমোজা দেবাইলি প্যারাগুয়েতে নিহত হন।

১৯৮০ – ইরানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শহীদ মোহাম্মাদ আলী রাজাই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে দেয়া ভাষণে তার দেশের ওপর ইরাকের ব্যর্থ সরকারের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা দেন।

১৯৮২ – হানাদার ইসরাইলী সেনারা লেবাননের সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয়গ্রহণকারী নিরিহ ফিলিস্তিনীদের উপর ব্যাপক গণহত্যা চালায়।

১৯৮৩ – ভ্যানেসা উইলিয়াম প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মিস আমেরিকান হন।

১৯৮৮ – সিউলে ১৬০টি দেশের অংশ গ্রহণে ২৪তম অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন হয়।

১৯৮৯ – যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোনির্য়া উত্তরাঞ্চলে প্রচন্ড ভূমিকম্প হয়। অনেক সড়ক আর সেতু এই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় । এই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৭১ জনের মৃত্যু হয়। তা ছাড়া, দুর্গত এলাকায় কমপক্ষে ৫০০ জন আহত।

১৯৯১ ‌ – উন্মুক্ত সোর্সকোড ভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কার্নেলের প্রথম সংস্করণ (0.01 Version) ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়।

১৯৯১ – এস্তেনিয়া, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, মাইক্রোনেশিয়া জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।

১৯৯৪ – চীনের শিনচিয়াংএর চিওহো প্রাচীন নগরে চীনের হ্যান রাজবংশের সমাধি সংগ্রহশালা আবিষ্কার করা হয়।

১৮৪৬ – সাপ্তাহিক ‘দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।

১৮৪৮ – সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ‘সাপ্তাহিক অরুণোদয়’ প্রকাশিত হয়।

১৮৭১ – সুইজারল্যান্ড মন্ট সেনিস রেলওয়ে টানেল উদ্বোধন করা হয়।

১৭৮৭ – ফিলাডেলফিয়ার পেনিসেলভেনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান স্বাক্ষরিত হয়।

১৬৩০ – আমেরিকার বোস্টন শহর প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

 

২০২২ – মাসুম আজিজ, একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশী অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা।

মাসুম আজিজ একজন বাংলাদেশী অভিনেতা এবং নাট্য নির্মাতা। এছাড়া তার মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খ্যাতি রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ৪০০ এর অধিক সংখ্যক নাটকে অভিনয় করেন।

 

১৯১৮ – গর্ডন হোয়াইট, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। 

গর্ডন চার্লস হোয়াইট (৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮২ – মৃত্যু: ১৭ অক্টোবর, ১৯১৮) কেপ প্রদেশের পোর্ট সেন্ট জোন্সে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৬ থেকে ১৯১২ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, লেগব্রেক বোলিং করতেন গর্ডন হোয়াইট।

 

১৯৩৩ – শৈলেন্দ্রচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী। 

শৈলেন্দ্রচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়  (ফেব্রুয়ারি, ১৯১৪ – ১৭ অক্টোবর, ১৯৩৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তিনি বাল্যকাল থেকেই গোপন বিপ্লবী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন। ১৭ বছর বয়সে আই.এস.সি. পড়ার সময় বন্দি হন। প্রথমে হিজলি বন্দিনিবাসে থাকেন। এখান থেকে বি.এ. পরীক্ষা দিয়ে ডিস্টিংশনসহ পাস করেন। পরে তাকে রাজস্থানের দেউলি বন্দীশিবিরে পাঠানো হয়। এখানে অসুস্থ হয়ে ভুল ব্যবস্থার জন্য মারা যান।

 

১৯৩৪ – নোবেলজয়ী [১৯০৬] স্পেনীয় জীববিজ্ঞানী শান্তিয়াগো রামন হাই কাজাল মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৩৭ – ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঠাকুর পরিবারের আদি ব্রাহ্মসমাজের কর্মী ও লেখক।

১৯৪৮ – এমিল লুধউইক জার্মানীর খ্যাতনামা জীবনীকার।

১৯৫৪ – সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার বাঙালি লেখক ও সম্পাদক।

সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার (( ১৮৯১ – ১৭ অক্টোবর, ১৯৫৪) বিংশ শতকের প্রথম দিকে অর্থাৎ প্রাক-স্বাধীনতার সময় বাংলায় তথা ভারতবর্ষের সংবাদপত্র জগতে, জাতীয়তাবাদকে সামনে রেখে নির্ভীক, তেজস্বী ও আপোসহীন সাংবাদিকতায় ও সম্পাদনায় যাঁরা দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তাদের অন্যতম ছিলেন। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথমদিকের সম্পাদক ছিলেন তিনি। তারই সময় বাংলা সাহিত্য পত্রিকা দেশ প্রথম প্রকাশিত হয়।

 

১৯৫৮ – চার্লি টাউনসেন্ড, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯৬১ – আদনান মেন্দেরেস, তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

১৯৬৩ – জাক আদামার, ফরাসি গণিতবিদ।

১৯৬৯ – চীনের ছিং রাজবংশের শেষ রাজা ফুই চিকিৎসার ব্যর্থতায় মারা যান।

১৯৭৭ – উইলিয়াম টলবোট, ইংরেজ উদ্ভাবক ও ফটোগ্রাফির পুরোধা।

 

১৯৮৩ – ফ্রান্সের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী রেমন্ড এ্যারন মৃত্যুবরণ করেন।

রেমন্ড ক্লদ ফার্দিনান্দ অ্যারন ( ১৪ মার্চ ১৯০৫ – ১৭ অক্টোবর ১৯৮৩) ছিলেন একজন ফরাসি দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক বিজ্ঞানী, ঐতিহাসিক এবং সাংবাদিক, ফ্রান্সের 0তম শতাব্দীর অন্যতম প্রধান চিন্তাবিদ।

 

১৯৮৭ – আব্দুল মালেক উকিল, বাংলাদেশী আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ।

 

১৯৯৩ – সাংবাদিক এস এম আলী।

 

১৯৯৭ – কার্লোস এস্কালেরাস, হন্ডুরীয় রাজনীতিবিদ ও পরিবেশবাদী। 

কার্লোস এস্কালেরাস মেজিয়া ( জন্ম: ১০ আগস্ট, ১৯৫৮ – মৃত্যু: ১৭ অক্টোবর, ১৯৯৭) কোলনের তোকোয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট হন্ডুরীয় রাজনীতিবিদ ও পরিবেশ বিষয়ক আন্দোলনকারী ছিলেন।

 

১৯৯৮ – হাকিম সাইদ, পাকিস্তানি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ।

১৮৩৭ – জহান নেপমুক হুমেল, অস্ট্রিয়ান পিয়ানোবাদক ও সুরকার।

 

১৮৪৯ – ফ্রেদেরিক ফ্রান্সিস শোপাঁ, পোলিশ পিয়ানোবাদক ও সুরকার।

ফ্রেদেরিক ফ্রান্সিস শোপাঁ (১ মার্চ ১৮১০ – ১৭ অক্টোবর ১৮৪৯) ছিলেন ফ্রেঞ্চ-পোলিশ বংশোদ্ভুত সুরকার, দক্ষ পিয়ানোবাদক এবং সংগীত শিক্ষক। তিনি রোমান্টিক সংগীতের অন্যতম সেরা গুরু ছিলেন। শোপাঁ ওয়ারসোর জেলাওয়াওলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ওয়ারশোতে বড় হন এবং সেখানেই সংগীত শিক্ষা সম্পন্ন করেন।

 

১৮৮৯ – রুশ সাহিত্যিক নিকোলাই চেরনিশেভস্কি।

 

১৮৯০ – লালন, বাঙালি আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক, দার্শনিক, অসংখ্য অসাধারণ গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। 

১৬৬৫ – স্পেনের রাজা চতুর্থ ফিলিপ।

১৫৮৬ – ফিলিপ সিডনি, ইংরেজ সভাসদ ও কবি।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামী ও সশস্ত্র বিপ্লবী।

ভূমিকা—

 

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে সাতকড়ি  ব্যানার্জী প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।সাতকড়ি  ব্যানার্জী  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। সাতকড়ি  ব্যানার্জী ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অক্লান্ত কর্মী। সাতকড়ি  ব্যানার্জী ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সংগ্রামী এবং সশস্ত্র বিপ্লবী।

 

ছাত্রজীবন—-

 

বিপ্লবী সাতকড়ি ব্যানার্জি ব্রিটিশ ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বেহালায় ১৭ অক্টোবর ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পিতার নাম মন্মথ নাথ ব্যানার্জী।  ছাত্র হিসাবে, তিনি বিপ্লবী আন্দোলনের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন এবং হরিণাভি স্কুলে পড়ার সময় ১৯০৫ সালে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানানোর জন্য মানবেন্দ্রনাথ রায়ের সাথে স্কুল থেকে বহিষ্কৃতদের মধ্যে ছিলেন।  এরপর তিনি যুগান্তর দলের প্রবীণ বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন।

 

জার্মান ষড়যন্ত্রে —–

 

১৯১৪ সালে, যখন গদর পার্টির বিপ্লবীরা ‘কোমাগাটামারু’ জাহাজে চড়ে আসেন, তখন তিনি গোপনে তাদের সাহায্য করেন।  তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় গেরিলা যুদ্ধের মানচিত্র এবং নকশাও সংগ্রহ করেছিলেন। ১৯১৫ সালে, বিপ্লবী বাঘা যতীন তাকে অস্ত্র আনলোড করার দায়িত্ব দিয়ে একটি জার্মান গানশিপের সাথে যোগাযোগ করতে হ্যালিডে দ্বীপে পাঠান।  তবে বিভিন্ন কারণে জাহাজটি অবতরণ করতে পারেনি।  এই বছরই বাঘা যতীনের দূত হিসাবে নিরালাম্বা স্বামীর সাথে পরামর্শ করতে গিয়েছিলেন।  তিনি যুগান্তর দলের পররাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

 

রাজনৈতিক হত্যার চক্রান্ত—

 

১৯৩০ সালে, সাতকড়ি অত্যাচারী পুলিশ কমিশনার চার্লস ট্যাগার্টের হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত ছিল।  যুগান্তরের বারুইপুর শাখার নেতা থাকাকালে শহীদ কানাইলাল ভট্টাচার্যের স্থানীয় গুরু ছিলেন সাতকড়ি।  ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই কানাইলাল তার পরামর্শে ‘বিমল গুপ্ত’ নামে বিচারক গার্লিককে হত্যা করেন।

 

কারাগার জীবন ও মৃত্যু—

 

১৯১৬ সালের ৪ মার্চ সাতকড়ি ব্যানার্জীকে বন্দী করা হলে, তাকে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়, পরে তাকে উত্তর প্রদেশের নাইনি জেলে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি রাজকীয় বন্দীদের সাথে খারাপ আচরণের প্রতিবাদে ৬৭ দিনের অনশনে গিয়েছিলেন।  ১৯২০ সালের ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আবার সংগঠনের কাজে নিযুক্ত হন।  ১৯২৪ সালে পুলিশ তাকে আবার গ্রেফতার করে এবং তিন বছরের জন্য কারারুদ্ধ করে।  যদিও তিনি ১৯২৭ সালে মুক্তি পান, সরকার তাকে ১৯৩০ সালে তার বিপ্লবী কার্যকলাপের জন্য গৃহবন্দী করে রাখে এবং পরে তাকে সম্পূর্ণরূপে গ্রেফতার করে এবং ১৯৩২ সালে তাকে রাজস্থানের দেউলি কারাগারে প্রেরণ করে। ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৭ সালে, সাতকড়ি ব্যানার্জী জেলে অসুস্থ হয়ে মারা যান।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস, জানুন দিনটির ইতিহাস, তাৎপর্য ও গুরুত্ব ।

আজ, ১৭ অক্টোবর, জাতিসংঘ ঘোষিত দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস।  জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতি বছর এই দিনে সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়।  দিবসটির মূল লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও মানবিক বৈষম্য দূর করা।  আমাদের দেশেও দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়।

 

১৯৯৫ সালকে জাতিসংঘ দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক বছর হিসাবে ঘোষণা করেছে।  জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পর্যবেক্ষণে দেশে দারিদ্র্য ও বঞ্চনার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।  ১৯৯০-এর দশকে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে দারিদ্র্য ও বঞ্চনা দূরীকরণ একটি অগ্রাধিকার হয়ে ওঠে।  এ ক্ষেত্রে দারিদ্র্য ও বঞ্চনা দূরীকরণে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখে ১৯৯২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ বিষয়ে কয়েকটি এনজিওর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হয়।
বিশেষ করে, ফরাসি ভিত্তিক এনজিও এটিডি ফোর্থ ওয়ার্ল্ড সহ চরম দারিদ্র্য নির্মূলের জন্য তাদের আন্দোলনের সাফল্যের জন্য ১৭ অক্টোবরে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস উদযাপনের পর্যালোচনা করা হয়েছিল।  এই আলোকে সাধারণ পরিষদও উল্লিখিত বৈঠকে ১৭ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

 

দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবসের লক্ষ্য হল দারিদ্র্য এবং সমাজে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া এবং সংলাপকে উন্নীত করা।  এটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে দারিদ্র্য একটি জটিল, বহুমুখী সমস্যা যা আয়ের অভাবের পরিবর্তে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মতো বিষয়গুলিকে প্রভাবিত করে৷  যদিও দারিদ্র্য নির্মূল করা একটি কঠিন কাজ, সমস্যাটি মোকাবেলা করা পণ্য-নির্ভর অঞ্চলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, বহুমুখীকরণ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।  দিবসটি দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা, মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল্য তুলে ধরে।  এটি একটি গুরুতর তবে আশাব্যঞ্জক উপলক্ষ।  থিম থেকে ইতিহাস পর্যন্ত, দিনটি সম্পর্কে আরও জানতে নিচে স্ক্রোল করুন।

 

দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৩ থিম—-

 

দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য এই বছরের আন্তর্জাতিক দিবসের প্রতিপাদ্য হল “শালীন কাজ এবং সামাজিক সুরক্ষা: সকলের জন্য চর্চায় মর্যাদা রাখা,” যার লক্ষ্য হল শালীন কাজের সর্বজনীন প্রবেশাধিকার এবং সমস্ত মানুষের জন্য মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার উপায় হিসাবে সামাজিক সুরক্ষা।

 

 

 

দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবসের ইতিহাস—-

 

দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবসটি প্রথম ১৭ অক্টোবর, ১৯৮৭ তারিখে পালিত হয়েছিল। সেই দিন ১০০০০০ এরও বেশি লোক প্যারিসের ট্রোকাডেরোতে উপস্থিত হয়েছিল, যা ১৯৪৮ সালের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র লেখার স্থান ছিল, যারা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।  চরম দারিদ্র্য, সহিংসতা এবং ক্ষুধায় মারা গিয়েছিল।  তারা যুক্তি দিয়েছিল যে দারিদ্র্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এবং সেই অধিকারগুলি সমুন্নত রাখতে সহযোগিতা প্রয়োজন।  তারপর থেকে, ১৭ অক্টোবর, বিভিন্ন বয়স, ধর্ম এবং সামাজিক ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকেরা তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করতে এবং সুবিধাবঞ্চিতদের প্রতি তাদের সহানুভূতি দেখাতে একত্রিত হয়েছে।  জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজুলেশন ৪৭/১৯৬, ২২ ডিসেম্বর, ১৯৯২ তারিখে গৃহীত হয়েছে, ১৭ অক্টোবরকে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে।

 

দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস তাৎপর্য—

 

 

 

এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে কারণ এটি তার সমস্ত মাত্রায় দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের বিশ্বব্যাপী অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।  এটি এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের দুঃখকষ্ট দূর করার জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে দারিদ্র্য থেকে উদ্ভূত গভীর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানবাধিকারের সমস্যাগুলি মোকাবেলার প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়।  এই দিনটি সংহতি এবং টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের অন্বেষণের আহ্বান জানায় যা নিশ্চিত করে যে কেউ পিছিয়ে থাকবে না, কারণ আমরা এমন একটি বিশ্বের জন্য সংগ্রাম করি যেখানে দারিদ্র্য ব্যক্তিদের মর্যাদা, সুযোগ এবং আশার জীবনযাপনে আর বাধা দেয় না।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

অতুলচন্দ্র ঘোষ : এক অগ্নিবীরের কথা।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে অতুল চন্দ্র ঘোষ প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। অতুল চন্দ্র ঘোষ ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।অতুল চন্দ্র ঘোষ ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অক্লান্ত কর্মী।

 

অতুল চন্দ্র ঘোষ (২ মার্চ ১৮৮১ – ১৫ অক্টোবর ১৯৬২) ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন কর্মী, লোক সেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এবং পুরুলিয়া জেলার বঙ্গভূক্তি আন্দোলনের প্রধান স্থপতি।

 

অতুল চন্দ্র ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষে জন্মগ্রহণ করেন।  পিতার নাম মাখনলাল ঘোষ।  বর্তমান অযোধ্যার পুরুলিয়া জেলায় পৈতৃক হিটলাল ঘোষের কাছে তাঁর শৈশব কেটেছে।  পরে সেখানকার একজন আইনজীবী মেসোমশাই তাকে লালন-পালন করেন।  ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান মহারাজা স্কুল থেকে প্রবেশিকা এবং ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে কলেজ থেকে এফএ এবং কলকাতা মেট্রোপলিটন কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।  ক্লাসে যোগ দিন।  ১৯০৪ সালে বিএ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন এবং ১৯০৮ সালে পুরুলিয়ায় আইন অনুশীলন শুরু করেন। তিনি স্কুলের গ্রন্থাগারিক-অ্যাকাউন্টেন্ট অঘোরচন্দ্র রায়ের কন্যা লাবণ্য প্রভাকে বিয়ে করেন।

 

 

 

অতুল চন্দ্র এবং লাবণ্যপ্রভা স্বামী-স্ত্রী মহাত্মা গান্ধী ও নিবারণ চন্দ্র দাশগুপ্তের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় হন।  ১৯২১ সালে তিনি আইন ব্যবসা ছেড়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন।  বিহার প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারি (১৯২১ – ১৯৩৫) এবং মানভূম জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি (১৯৩৫-১৯৪৭) হিসাবে মানভূম এবং কাছাকাছি এলাকায় অনেক কাজ করেছেন।  ১৯২১ সালে মানভূমে কংগ্রেস পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে নিবারণ চন্দ্র দাশগুপ্ত এবং অতুল চন্দ্র ঘোষ যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।  ১৯৩৫ সালের ১৭ জুলাই নিবারণবাবুর মৃত্যুর পর অতুল চন্দ্র রাষ্ট্রপতি হন।  তিনি জেলা সত্যাগ্রহ কমিটির সেক্রেটারি হন (১৯৩০) এবং লবণ সত্যাগ্রহে এবং পরে ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য এবং জাতীয় সপ্তাহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য জেলে যান (১৯৪৫)।  মানভূমের ভাষা নীতি নিয়ে কংগ্রেস সরকারের সাথে মতবিরোধের কারণে তিনি জাতীয় কংগ্রেস (১৯৪৭) ত্যাগ করেন এবং একই বছরে লোক সেবক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিহার সরকারের প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত নীতির বিরুদ্ধে তার আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।  মানভূম কেশরী নামে পরিচিত হয়।  তিনি ১৯৫০-১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বহুবার সত্যাগ্রহ করেছিলেন।  ১৯৫৩ সাল থেকে সংঘ ‘টুসু’ গানের আয়োজন করেছে।  সংঘ রাজ্য পুনর্গঠন কমিটির কাছে স্মারকলিপি পেশ করে (১৯৫৩-১৯৫৫)।  তিনি বিশ্বাস করতেন যে বাঙালি-বিহার সীমান্ত সমস্যাটি বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সমাধান করা যেতে পারে।  তারপর ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে পুরুলিয়া জেলা গঠিত হয়।  এজন্য তাকে বঙ্গভূক্তি আন্দোলনের স্থপতিও বলা হয়।  তিনি মহাত্মা গান্ধীর গণতন্ত্র পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠা, গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়ন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ ইত্যাদি আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। অতুল চন্দ্র ঘোষ বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘মুক্তি’-এর সম্পাদক ছিলেন।  তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা লাবণ্যপ্রভা ঘোষ সম্পাদনার দায়িত্ব নেন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিশ্ব এনেস্থেশিয়া দিবস: থিম, ইতিহাস এবং তাৎপর্য।

বিশ্ব অ্যানেস্থেশিয়া দিবস সম্পর্কে আপনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জানা দরকার:

 

বিশ্ব অ্যানেস্থেশিয়া দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ইভেন্ট যা প্রতি বছর 16ই অক্টোবর চিকিৎসায় অ্যানেস্থেশিয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পালিত হয়।  এই দিনটি অ্যানেস্থেশিয়া পেশাদারদেরও স্বীকৃতি দেয়, যারা প্রায়শই অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট হিসাবে পরিচিত, যারা রোগীদের কোনও অস্বস্তি না অনুভব করেই অস্ত্রোপচার করতে সহায়তা করে।

এই দিনে, বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা, চিকিৎসা পেশাজীবী, হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলি একত্রে যোগদান করে এবং অ্যানেস্থেশিয়ার প্রথম সফল প্রদর্শনীকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, প্রদর্শনী এবং সেমিনারের মতো বেশ কয়েকটি ইভেন্ট এবং প্রচারাভিযান পরিচালনা করে।

 

 

 

অ্যানেস্থেশিয়ার প্রকারগুলি:—

1. সাধারণ এনেস্থেশিয়া
2.স্থানীয় এনেস্থেশিয়া
3. আঞ্চলিক এনেস্থেশিয়া

4. মেরুদণ্ড এবং এপিডুরাল এনেস্থেশিয়া
5.শমন

 

বিশ্ব এনেস্থেশিয়া দিবসের ইতিহাস:—

 

1846 সালের 16 অক্টোবর বিশ্ব অ্যানেস্থেশিয়া দিবসটি অ্যানেস্থেশিয়া ব্যবহারের প্রথম প্রদর্শনীর স্মরণ করে। ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তাররা প্রথমবারের মতো রোগীর উপর ইথার ব্যবহার করেন।  এটি অস্ত্রোপচারের ইতিহাসে একটি জলাবদ্ধ মুহূর্ত ছিল।
প্রথম অ্যানেস্থেটিক পদ্ধতির পর থেকে 170 বছরে অনেকগুলি অগ্রগতি হয়েছে, তবে প্রায় 5 বিলিয়ন লোক এখনও নিরাপদ অ্যানেস্থেশিয়া অনুশীলনের অ্যাক্সেসের অভাব রয়েছে, WFSA অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে।

 

বিশ্ব এনেস্থেশিয়া দিবস 2023 থিম—

 

এই বছর 2023, বিশ্ব অ্যানেস্থেসিয়া দিবসের থিম হল “অ্যানেস্থেসিয়া এবং ক্যান্সারের যত্ন”, ক্যান্সারের চিকিৎসায় অ্যানেস্থেসিয়া যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান এবং ক্যান্সার রোগীর ফলাফল বাড়ানোর জন্য অ্যানেস্থেশিয়া পরিষেবাগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য পরামর্শ দেওয়া।

বছর বছর, বিশ্ব এনেস্থেশিয়া দিবসের থিমগুলি হল:

বিশ্ব এনেস্থেশিয়া দিবস 2022 থিম: ওষুধের নিরাপত্তা

বিশ্ব এনেস্থেশিয়া দিবস 2021 থিম: টিমওয়ার্ক

বিশ্ব এনেস্থেশিয়া দিবস 2020 থিম: অ্যানাস্থেসিওলজিস্টদের পেশাগত সুস্থতা

বিশ্ব এনেস্থেশিয়া দিবস 2019 থিম: পুনরুত্থান

 

বিশ্ব এনেস্থেশিয়া দিবসের গুরুত্ব—

 

অ্যানেস্থেসিয়া হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা রোগীদের অস্ত্রোপচার, টিস্যু নমুনা অপসারণ (যেমন, ত্বকের বায়োপসি), দাঁতের কাজ, নির্দিষ্ট স্ক্রীনিং এবং ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার মতো চিকিত্সার সময় ব্যথা অনুভব করা থেকে বিরত রাখে।  এটি রোগীদের সার্জারি করতে সক্ষম করে যা তাদের স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘ জীবন উন্নত করে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রায় 80% রোগীর চিকিত্সা বা উপশম করার জন্য অ্যানেস্থেশিয়া এবং অস্ত্রোপচারের যত্ন প্রয়োজন।  ক্যান্সার রোগীদের সু-সমন্বিত বহুবিষয়ক চিকিত্সার প্রয়োজন, এবং অবেদনকে অবশ্যই এটির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে দেখা উচিত এবং উপযুক্তভাবে সংস্থান করা উচিত।

অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়ার জন্য, ডাক্তাররা অ্যানেস্থেটিক নামক ওষুধ ব্যবহার করেন।  বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রভাব সহ চেতনানাশক ওষুধের একটি সংগ্রহ তৈরি করেছেন।  এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে সাধারণ, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় অ্যানেস্থেটিক।
সাধারণ অ্যানেস্থেসিয়া পুরো শরীরকে প্রভাবিত করে, রোগীদের অজ্ঞান করে এবং নড়াচড়া করতে অক্ষম করে।  স্থানীয় চেতনানাশক শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশের চিকিত্সা করে, যেমন একটি একক দাঁত।  ছানি অপসারণ এবং আঁচিল এবং আঁচিলের মতো ত্বকের ছোট বৃদ্ধির মতো চোখের প্রক্রিয়াগুলির জন্য এগুলি ঘন ঘন দন্তচিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।  আঞ্চলিক চেতনানাশক শরীরের আরও বিশিষ্ট অংশ যেমন একটি বাহু, একটি পা, বা কোমরের নীচের কিছুর চিকিত্সা করে।  এই ধরনের নান্দনিক সাধারণত হাত এবং জয়েন্ট সার্জারির জন্য, প্রসবের যন্ত্রণা কমাতে বা সি-সেকশন ডেলিভারির সময় ব্যবহৃত হয়।

ক্যান্সারের বিশ্বব্যাপী বোঝা বাড়ছে, এবং মামলার সংখ্যা 2040 সালের মধ্যে 19∙3 থেকে 28∙4 লাখে উন্নীত হবে। সাধারণ ব্যথা ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে গুরুতর যত্নের জন্য বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত অ্যানেস্থেশিয়া সংস্থান থাকা অপরিহার্য।

প্রথম চেতনানাশক অস্ত্রোপচারের 170 বছর অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এবং এটি সফল হওয়া অগণিত সাফল্যের পরেও, প্রায় 50 কোটি মানুষ নিরাপদ অ্যানেস্থেশিয়া কৌশলগুলিতে অ্যাক্সেসের অভাব অব্যাহত রেখেছে, তাই বিশ্ব অ্যানেস্থেটিক দিবস রাজনৈতিক ইচ্ছাকে সংগঠিত করার, জনসাধারণকে শিক্ষিত করার জন্য একটি শক্তিশালী অ্যাডভোকেসি হাতিয়ার হতে পারে।  , এবং বিশ্বব্যাপী চেতনানাশক সম্প্রদায়ের অর্জনকে শক্তিশালী করা।

 

বিশ্ব এনেস্থেশিয়া দিবস: তাৎপর্য—

 

এটি একটি দিন বিশ্বব্যাপী অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের তাদের প্রচেষ্টা এবং রোগীর যত্নে তাদের ভূমিকার জন্য স্বীকৃতি দেওয়ার।  বিশ্ব অ্যানেস্থেশিয়া দিবসে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে এখনও প্রচলিত সমস্যাগুলিকে মোকাবেলা করার জন্য বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস নিয়ে কিছু কথা।

বিশ্ব খাদ্য দিবস 2023: সঠিক খাদ্য এবং পুষ্টির অ্যাক্সেস একটি মৌলিক মানবাধিকার।  যাইহোক, বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যকর খাবার এবং জলের অ্যাক্সেস নেই, বিশ্ব খাদ্য দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং এই গ্রহের প্রতিটি মানুষ যাতে সঠিক পুষ্টি এবং সঠিক খাবারের অ্যাক্সেস পায় তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়ার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।  খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্ষুধার মোকাবিলা করাও বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু।  প্রতি বছর, বিশ্ব খাদ্য দিবস অনেক নতুন উদ্যোগ এবং সংস্থাগুলির নতুন ধারণার সাথে পালন করা হয়।  আমরা বিশেষ দিনটি উদযাপন করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে এখানে কয়েকটি জিনিস জানার আছে।

 

বিশ্ব খাদ্য দিবস 2023 ইতিহাস:—

 

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা 1945 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর চৌত্রিশ বছর পর, 1979 সালে, FAO সম্মেলনে, বিশ্ব খাদ্য দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব ছুটির দিন হিসাবে গৃহীত হয়েছিল।  এর পরে, 150 টিরও বেশি দেশ বিশ্ব খাদ্য দিবসকে উদযাপনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য দিন হিসাবে গ্রহণ করতে একত্রিত হয়েছিল।

 

বিশ্ব খাদ্য দিবস 2023 তাৎপর্য:—

 

এ বছর বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- পানিই জীবন, পানিই খাদ্য।  কাউকে পিছু ছাড়বেন না।  “পৃথিবীতে জীবনের জন্য জল অপরিহার্য। এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে, আমাদের দেহের 50% এরও বেশি তৈরি করে, আমাদের খাদ্য উত্পাদন করে এবং জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু এই মূল্যবান সম্পদ অসীম নয়, এবং আমাদের এটি গ্রহণ করা বন্ধ করতে হবে।  স্বীকৃত। আমরা যা খাই, এবং কীভাবে সেই খাদ্য উত্পাদিত হয় তা সবই জলকে প্রভাবিত করে। একসঙ্গে, আমরা খাদ্যের জন্য জলের পদক্ষেপ নিতে পারি এবং পরিবর্তন হতে পারি,” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও কৃষি সংস্থাগুলি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লিখেছেন।  এই দিনে, সংস্থাগুলি গ্রহের প্রত্যেকের জন্য খাদ্য এবং জলের সমান অ্যাক্সেসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একত্রিত হয়।

 

2023বিশ্ব খাদ্য দিবস থিম: “জলই জীবন, জলই খাদ্য। কাউকে পিছিয়ে রাখবেন না”

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This