Categories
রিভিউ

আজ ১৬ অক্টোবর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৬ অক্টোবর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব খাদ্য দিবস ৷

 

(খ) বিশ্ব অ্যানাস্থেসিয়া দিবস ৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৮ – এনভার হোক্সা, আলবেনিয়া এন কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ।

এনভার হালিল হোক্সা ( 16 অক্টোবর 1908 – 11 এপ্রিল 1985) একজন আলবেনিয়ান রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি 1944 থেকে 1985 সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত আলবেনিয়ারএকনায়ক ছিলেন।তিনিআলবেনিয়ার পার্টি অফ লেবারএরপ্রথম সেক্রেটারি, এরপলিটব্যুরোর।আলবেনিয়ার ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টেরচেয়ারম্যানএবংআলবেনিয়ান পিপলস আর্মির। তিনি 1944 থেকে 1954 সাল পর্যন্ত আলবেনিয়ারবাইশতম প্রধানমন্ত্রী ছিলেনদেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবংপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী

 

১৯১৮ – লুই আলত্যুসের, ফরাসি মার্ক্সবাদী দার্শনিক।

লুই আলত্যুসের (১৬ অক্টোবর ১৯১৮ – ২২ অক্টোবর ১৯৯০) ছিলেন একজন ফরাসি মার্ক্সবাদী দার্শনিক। তিনি আলজেরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং প্যারিসের একল নর্মাল সুপেরিয়রে লেখাপড়া করেন ও পরবর্তীতে ওই প্রতিষ্ঠানের দর্শনের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।

 

১৯২১ – সীতা রাম গোয়েল, ভারতীয় ইতিহাসবিদ, প্রকাশক ও লেখক।

১৯২৫ – অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবারি, ব্রিটিশ-আইরিশ-মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯২৭ – গুন্টার গ্রাস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান সাহিত্যিক, চিত্রকর, ভাস্কর এবং নাট্যকার।

১৯২৯ – ফের্নান্ডা মন্টেনেগ্রো, ব্রাজিলীয় অভিনেত্রী।

১৯৪৮ – হেমা মালিনী, ভারতীয় অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক ও রাজনীতিবিদ।

 

১৯৫৬ – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশী কবি, গীতিকার।

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ – ২১ জুন ১৯৯১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি কবি ও গীতিকার৷ তার জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে অন্যতম “বাতাসে লাশের গন্ধ”৷ এই কবির স্মরণে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মোংলার মিঠেখালিতে গড়ে উঠেছে “রুদ্র স্মৃতি সংসদ”৷

 

১৯৫৮ – টিম রবিনস, মার্কিন অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক ও সঙ্গীতজ্ঞ।

১৯৬২ – ফ্লেয়া, অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান খাদ প্লেয়ার, গীতিকার ও অভিনেতা।

১৯৭০ – মেহমেট সচহল, জার্মান ফুটবলার ও ম্যানেজার।

 

১৯৭৫ – জ্যাক ক্যালিস, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।

জ্যাক হেনরি ক্যালিস ( জন্ম অক্টোবর ১৬, ১৯৭৫) দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার। তিনি একজন অলরাউন্ডার হিসাবে একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং ফাস্ট মিডিয়াম সুইং বোলার। তিনি ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টেস্ট ও ওডিআই ক্রিকেট এ ১১,০০০ এর বেশি রান এবং ২৫০ উইকেট নিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ক্যালিস ৩য় সর্বোচ্চ রানের অধিকারী।  ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সাথে টেস্ট সিরিজে তিনি অবসর ঘোষণা করেন।

 

১৯৮৬ – ডারক বেররিগটের, ডাচ ফুটবল।

১৯৯০ – আমিনা সাট, জাপানি গায়ক।

১৯৯৭ – নাওমি ওসাকা, হাইতিয়ান-জাপানি টেনিস খেলোয়াড়।

১৮৪০ – জাপান কুরডা কিয়টাকা, জাপানি রাজনীতিবিদ ও ২য় প্রধানমন্ত্রী।

 

১৮৫৪ – অস্কার ওয়াইল্ড, আয়ারল্যান্ডীয় নাট্যকার, ঔপন্যাসিক এবং কবি।

অস্কার ফিঙ্গাল ও’ফ্ল্যাহারটি উইলস ওয়াইল্ড (১৬ অক্টোবর, ১৮৫৪ – ৩০ নভেম্বর, ১৯০০) একজন আইরিশ নাট্যকার, ঔপন্যাসিক এবং কবি। তার জন্ম আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে।তিনি বহু ছোট গল্পও রচনা করেছেন। এছাড়া তিনি ফ্রিম্যাসন্স সোসাইটির সদস্য ছিলেন। ভিক্টোরীয় যুগের লন্ডন শহরে তিনি অন্যতম সফল নাট্যকার হিসেবে পরিচিত হন। তিনি তার চাতুর্যময় নাট্যরচনার মাধ্যমে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। তবে এক বিখ্যাত বিচারের রায়ের ফলে তার সাফল্যের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং তাকে বড় মাপের অশ্লীলতা এবং সমকামিতার দায়ে কারাদন্ড দেয়া হয়। তিনি ৪৬ বছর বয়সে প্যারিস শহরে মৃত্যুবরণ করেন।

 

১৮৬৩ – অস্টিন চেম্বারলেইন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও চ্যান্সেলর।

 

১৮৭৬ – জিমি সিনক্লেয়ার, প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

জেমস হিউ সিনক্লেয়ার (জন্ম: ১৬ অক্টোবর, ১৮৭৬ – মৃত্যু: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৩) কেপ উপনিবেশের সোয়েলেন্ডামে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৬ থেকে ১৯১১ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জিমি সিনক্লেয়ার।

 

১৮৮৮ – ইউজিন ওনিল, মার্কিন নাট্যকার।

১৭৫৮ – নোয়া ওয়েবস্টার, মার্কিন অভিধান লেখক, পাঠ্যপুস্তক লেখক ও বানান সংস্কারক।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০২০ – প্রথমবারের মতো কোন বেসরকারি সংস্থা হিসেবে স্পেস এক্স আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পৌঁছে দেয়।

১৯০৫ – বঙ্গভঙ্গ সংঘটিত হয়। লর্ড কার্জন প্রথম বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করলে পূর্ববঙ্গের জন্ম হয় এবং সারা বাংলায় এর বিরুদ্ধে অরন্ধনসহ প্রতিবাদ হয়।

১৯০৫ – স্বদেশী আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র কলকাতার ফেডারেশন হলের (ভগিনী নিবেদিতা প্রদত্ত নাম- মিলন মন্দির) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আনন্দমোহন বসু।

১৯১৫ – রাজকীয় ব্রিটেন বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯১৬- যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কসিটিতে প্রথম জন্মনিয়ন্ত্রক ক্লিনিক উদ্বোধেন।

১৯২৩ – ওয়াল্ট ডিজনি ও তার ভাই ডিজনি মিলে দি ওয়াল্ট ডিজনি কম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৩৪ – চীনে চিয়াং কাই শেকের বিরুদ্ধে এক লক্ষ সেনাসহ মাও সেতুংয়ের ৯ হাজার মাইল লং মার্চ।

১৯৪৩ – বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ে ও জলোচ্ছ্বাসে ৪০ হাজার লোকের জীবনাবসান ঘটে।

১৯৪৫ – কানাডার কুইবেকে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৪৯ – চীন ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৬৪ – চীনে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরেণ হয়।

১৯৭৩ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জর্ডান।

১৯৯৭- এক কোটি ৩৮ লাখ ডলার আত্মসাতের অভিযোগে সুইস তদন্তকারী কর্তৃক পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও তার পরিবার বর্গের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করে।

১৯৯৮ – লন্ডনে চিলির সাবেক স্বৈরশাসক অগুস্তো পিনোশ গ্রেফতার হন।

১৮১৫ – ওয়াটারলু যুদ্ধে পরাজয়ের পর নেপোলিয়ন বোনাপার্টকে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসনে পাঠানো হয়।

১৮২৯ – আমেরিকার প্রথম আধুনিক ট্রিমোন্ট হোটেল উদ্বোধন করা হয়।

১৮৩৪ – আগুনে লন্ডন পার্লামেন্টের অনেক মূল্যবান দলিল পুড়ে যায়।

১৮৬৭ – আলাস্কা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।

১৭১০ – ব্রিটিশ সৈন্যরা পোর্ট রয়্যাল দখল করে।

১৭৫৬ – মনিহারীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাছে শওকাত জং পরাজিত ও নিহত হন।

১৭৫৭ – অস্ট্রিয়ার সৈন্যরা বার্লিন দখল করে।

১৭৯৩ – ওয়াটারলু যুদ্ধে পরাজয়ের পর নেপোরিলয়ন বোনাপাটের হেরেনা দ্বীপে নিবার্সন করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০২২ – দিলীপ মহলানবিশ, ওআরএস-স্রষ্টা ভারতীয় বাঙালি শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। 

দিলীপ মহলানাবিশ (১২ নভেম্বর, ১৯৩৪—১৬ অক্টোবর, ২০২২) তিনি একজন ভারতীয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, বিশেষত ডায়রিয়াজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপির পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি কলকাতার জনস হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এ কলেরা এবং অন্যান্য ডায়রিয়াজনিত রোগ নিয়ে গবেষণা করেন। উনিশ শতকের সত্তরের দশকে তিনি জনস হপকিন্স সেন্টারের প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যা মৌখিক রিহাইড্রেশন থেরাপির নাটকীয় জীবন রক্ষাকারী কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছিল যখন ১৯৭১ সালে পূর্ববঙ্গ (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে যারা পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল তাদের মধ্যে কলেরা শুরু হয়েছিল।

 

১৯৫১ – লিয়াকত আলী খান, পাকিস্তানি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

নবাবজাদা লিয়াকত আলি খান (২ অক্টোবর ১৮৯৬ – ১৬ অক্টোবর ১৯৫১) ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত মুসলিম রাজনীতিবিদ এবং পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতা হিসেবে তিনি রাজনীতিতে উঠে আসেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত বিভাগ ও পাকিস্তান সৃষ্টিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। পাকিস্তানের তিনি মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ্‌র ডানহাত হিসেবে পরিচিত। তিনি কায়েদ-এ-মিল্লাত, শহীদ-এ-মিল্লাত উপাধিতে ভূষিত হন। লিয়াকত আলি খান আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৩০-এর দশকে তিনি ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে উঠে আসেন। তিনি মুহাম্মদ আলি জিন্নাহকে ভারতে ফিরে আসতে আগ্রহী করে তোলেন ; এরই ফলশ্রুতিতেই এক পর্যায়ে পাকিস্তান আন্দোলন শুরু হয়। চল্লিশের দশকে লাহোর প্রস্তাব পাশ হবার পরে লিয়াকত আলি খান পাকিস্তান আন্দোলন এগিয়ে নিতে জিন্নাহকে সাহায্য করেন। পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশবাসীর পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেন ; বিশেষ ক’রে ভারত পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের বিষয় কাশ্মীর সমস্যাকে তিনি জাতিসংঘে উত্থাপন করেন।

 

১৯৫৬ – জুলে রিমে, ফরাসি ব্যবসায়ী।

 

১৯৫৯ – জর্জ মার্শাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা নায়ক, সেনা প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং তৃতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। 

জর্জ ক্যাটলেট মার্শাল, জুনিয়র (জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, ১৮৮০ – মৃত্যু: ১৬ অক্টোবর, ১৯৫৯) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন সেনা নায়ক, সেনা প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং তৃতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

 

১৯৭৮ – ড্যান ডেইলি, মার্কিন নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতা।

 

১৯৮১ – রাধিকা মোহন মৈত্র, বিংশ শতাব্দীর সেরা সরোদবাদক। 

রাধিকা মোহন মৈত্র (১৯১৭- ১৬ অক্টোবর, ১৯৮১) একজন ভারতীয় সরোদবাদক এবং নরেন্দ্রনাথ ধর, কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, অবনীন্দ্র মৈত্র, সমরেন্দ্রনাথ সিকদার ও ঐ প্রজন্মের আরও অনেক অসামান্য সংগীতশিল্পীদের গুরুদেবের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বিংশ শতাব্দীর সর্বকালের সেরা সরোদবাদক ছিলেন রাধিকা মোহন মৈত্র। তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছিলেন যেমন সংগীতচার্য উপাধি এবং ১৯৭১ সালে তিনি সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

 

 

১৯৮৭ – বিশিষ্ট সমাজসেবিকা ও কমিউনিস্ট নেত্রী মনোরমা বসু মাসিমা।

মনোরমা বসু, মাসিমা  (১৮ নভেম্বর, ১৮৯৭ – ১৬ অক্টোবর,১৯৮৬) ছিলেন অবিভক্ত বাংলার একজন দেশপ্রেমী সমাজসেবক ও স্বদেশী আন্দোলন ও সাম্যবাদী আন্দোলনের লড়াকু নেত্রী। বরিশাল জেলার বিভিন্ন নারীমুক্তি আন্দোলনে, সমাজসেবায় ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার কারণে দলমত নির্বিশেষে কমরেড মনোরমা বসু মাসিমা নামে পরিচিত ছিলেন।

 

১৯৮৯ – কর্নেল ওয়াইল্ড, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯৯২ – (ক)  বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও সাহিত্যিকে বাণী রায়।

(খ) শার্লি বুথ, মার্কিন অভিনেত্রী।

 

১৯৯৪ – সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র।

গজেন্দ্রকুমার মিত্র (জন্ম: ১১ নভেম্বর ১৯০৮ – মৃত্যু: ১৬ অক্টোবর ১৯৯৪) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক, প্রকাশক ও অনুবাদক। রবীন্দ্র-শরৎ উত্তর বাংলা সাহিত্যে বিভূতিভূষণ-তারাশঙ্করের পর বাঙালী মধ্যবিত্ত সমাজকে উপজীব্য করে যে সকল কথাসাহিত্যিক সার্থক সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তাঁদের মধ্যে গজেন্দ্রকুমার মিত্র অন্যতম।

 

২০০৩ – আভনি আরবাস, তুর্কি চিত্রশিল্পী।

২০০৫ – উরসুলা হওেলস, ইংরেজ অভিনেত্রী।

 

২০০৭ – ডেবরা কার, স্কটিশ অভিনেত্রী।

ডেবরা জেন কার-ট্রিমার, সিবিই (৩০ সেপ্টেম্বর ১৯২১ – ১৬ অক্টোবর ২০০৭) ছিলেন একজন স্কটিশ অভিনেত্রী। তিনি চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করতেন। কর্মজীবনে তিনি ছয়বার একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন, যা কোন পুরস্কার না জিতে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে সর্বাধিক মনোনয়নের রেকর্ড। তিনি সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র দ্য কিং অ্যান্ড আই (১৯৫৬)-এ অ্যানা লেওনোওয়েন্স চরিত্রে তার কাজের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল পুরস্কার জয় করেন।

 

২০১০ – বারবারা বিলিংসলির, আমেরিকান অভিনেত্রী।

২০২০ – প্রদীপ ঘোষ, বিশিষ্ট বাঙালি আবৃত্তিকার ও বাচিক শিল্পী।

 

১৮৯৬ – মনমোহন ঘোষ,কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম বাঙালি ব্যরিস্টার।

মনমোহন ঘোষ (১৩ই মার্চ ১৮৪৪ – ১৬ই অক্টোবর ১৮৯৬ খ্রিঃ) ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ব্যারিস্টার। নারীশিক্ষা বিস্তার, স্বদেশবাসীকে দেশপ্রেমে অনুপ্রেরণা দান এবং সংগঠিত রাজনীতিতে দেশের অন্যতম প্রথম ব্যক্তি হওয়ার কারণে তিনি উল্লেখযোগ্য।

 

১৭৯১ – গ্রেগরি পটেমকিন, রাশিয়ান সাধারণ ও রাজনীতিবিদ।

 

১৭৯৩ – মারি অঁতোয়ানেত, ফরাসি বিপ্লবে নিহত ফ্রান্সের সম্রাট ষোড়শ লুই-এর স্ত্রী। 

মারি অঁতোয়ানেত ( ২ নভেম্বর ১৭৫৫ – ১৬ অক্টোবর ১৭৯৩) ফরাসি বিপ্লবে নিহত ফ্রান্সের সম্রাট ষোড়শ লুই-এর স্ত্রী। সুন্দরী ও ব্যক্তিত্বপূর্ণ মারি এন্তনে-র জন্ম হয়েছিল অস্ট্রিয়াতে। ষোড়শ লুইয়ের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি হন ফ্রান্সের কুইন কনসর্ট। প্রথমে ফ্রেঞ্চ জনগণের প্রিয় হলেও পরে তার অমিতব্যয়িতা এবং বহুগামিতার জন্য অপ্রিয় হন। তবে অলংকার, পোশাক, জুয়া, ঘোড়দৌড় বাজি, প্রভৃতিতে তার অঢেল খরচের কাহিনী বিস্তৃত হয়। কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, তার জন্যই ফ্রান্স ফকির হয়ে গিয়েছিল ও তার ফলে বিপ্লব সূচিত হয়েছিল। বিপ্লবে ষোড়শ লুইয়ের শিরচ্ছেদের পর মারি অঁতোয়ানেতের বিচার ও মৃত্যুদণ্ড হয়।

 

১৫৫৩ – লুকাস ক্রানাচ এল্ডার, জার্মান চিত্রকর ও খোদকার।

১৩৫৫ – সিসিলির রাজা লুইস।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
কবিতা

নীল নির্জনে :: লাজু চৌধুরী।।

আমি এখন একা থাকতে চাই।
আমি সত্যি বলছি আমি ভালো নেই…
মাঝা মাঝে মন ও মনের সাথে প্রতারণা করে —-
কংক্রিটের এই শহর আমার সাথে আমার প্রতারণা করছে।

যতটুকু রেখেছি জীবনে —–
যতটুকু তোমাকে দিয়েছি।
বেলা শেষে অন্ধকারে তোমার ছায়ও আমার সাথে প্রতারণা করে।
ভীষন একা থাকতে চাই —–
ভীষণ ডুবে গিয়েছিলাম তোমাকে নিয়ে।

একটা হ্নদপিন্ড আমার চাই –
ভালোবাসার পোস্ট মোর্ডম করবো।
সিগারেটের নেশায় পুড়ে যাওয়া ঠোঁট…
রাস্তায় পড়ে থাকা শরীরে শার্টের দূর গন্ধ —-”
এমন একজনকে চাই।
না তোমাকে নয়।
তোমার তো হ্নদপিন্ভ নেই।

আমার বুকের বাম পাশটা খালি পড়ে আছে-
সেখানে একটি অসমাপ্ত জীবনের ডাইরি শুধু শুন্যতা —
বুকের ভিতরে পুড়ে শ্বশ্নান ঘাটা হবে —-
একটি অসমাপ্ত জীবন।

একদিন ভালোবাসা হঠাৎ গভীর রাতে আমাকে আচমকা
জড়িয়ে ধরে বলেছিল ভীষণ ভালোবাসি তোমাকে ।
সেই দিন রাতে আমাদের ভালোবাসার পোষ্ট মোর্ডম হয়েছিল ।

আবার তেমনি একদিন সূর্যের শুষে নেওয়া শিশির বিহীন ঘাস আমার ভালোবাসাকে প্রত্যাখ্যান করে ছিলো।

দুঃখ বোধ আর বিষন্নতা ——–
ভুলে থাকা আর ভুলে যাওয়া এক নয় ।
আমি এখন রাত নিয়ে বেঁচে আছি।
দিনের আলো রাতের চেয়েও ভংকর।
আমার সদ্য একটা হ্নদপিন্ড চাই —–
আমি পোষ্ট মোর্ডম করবো
রাতের শহর গুলো এখন রাত জাগা কাব্য —–
পাহাড় সমান যন্ত্রণা গুলো জীবনের গা ঘেসে দাঁড়িয়ে আছে ——

ত্বীর্থের কাকের মত কাঠ ফাটা রোদ আর—-
তৃঞ্চাত্ব ভোর দুপুরে পুকুরে ঠোট ডুবিয়ে রাখবো না
আমার জীবনের সমস্ত সময়কে মৃত্যু দন্ড দিলাম ।

নীল পাহাড়ের চূড়ায় আমার দুঃখের বসবাস।

আমি পুড়নো স্মৃতিকে পড়িয়ে নিত্য দিনের আহার যূটে।
তাই নীল নির্জনে আছি এখান কোন মন নেই শহর নেই।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

দেবী এখানে মাটির প্রতিমা নন, এই রাজবাড়িতে দশভুজা পূজিত হন পটে আঁকা চিত্রে, ৫০০ বছরের প্রাচীন পঁচেটগড় রাজবাড়ি পুজো।

দেবী এখানে মাটির প্রতিমা নন, এই রাজবাড়িতে দশভুজা পূজিত হন পটে আঁকা চিত্রে। আগে মহালয়া থেকে পুজো শুরু হয়ে যেত। সময়ের সঙ্গে হারিয়েছে রাজ আমলের সেই জৌলুস। এখন ষষ্ঠী থেকে পুজো শুরু হয়। পুজো ঘিরে সাজো-সাজো রব পড়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পঁচেটগড় রাজবাড়ির দুর্গা দালানে। ইতিহাসের পাতা ওলটালে দেখা যাবে, প্রায় ৫০০ বছর আগে পঁচেটগড় রাজবাড়িতে শুরু হয় দুর্গাপুজো। যদিও সেই সময়কাল নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।

 

 

ওড়িশার কটক জেলার আটঘর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বাড়ির আদিপুরুষ কালুমুরারি মোহন দাস মহাপাত্র। এই দুঃসাহসিক যুবক আকবরের রাজ কর্মচারী ছিলেন। ওড়িশার রাজা মুকুন্দদেব আকবরের সঙ্গে সঙ্গবদ্ধ হয়ে উভয়ের সাধারণ শত্রু গৌড়ের রাজা গৌড়েশ্বর সুলেমন কররানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হন। সেই যুদ্ধে কালুমুরারির অসামান্য কৃতিত্ব প্রকাশ পায়। কথিত আছে, সেই সময় পটাশপুর পরগনায় এসে বাদশাহ প্রদত্ত নানকর ভূমি লাভ করে জমিদারি সূচনা করেন কালুমুরারি।

 

 

প্রথমে কল্যাণপুরে থাকতেন। পরে পঁচেট গ্রামে খাঁড়ে বিশাল গড় নির্মাণ করেন তিনি। পরবর্তীকালে সেখান থেকে উদ্ধার হয় এক শিবলিঙ্গ। সেই শিবলিঙ্গকে কেন্দ্র করে কালুমুরারি মোহন দাস মহাপাত্র তৈরি করেন পঞ্চেশ্বর মন্দির। এখানে বেনারস থেকে আরও চারটি শিবলিঙ্গ এনে স্থাপন করা হয়। ধীরে ধীরে পঞ্চেশ্বর নামটির প্রচার হতে থাকে। সে সময় রাজবাড়িতে শক্তি সাধনা হত। সেই শক্তি সাধনা করতে গিয়ে শুরু হয় দুর্গাপুজো। রাজাদের রাজত্ব আর নেই নেই।

 

 

রাজত্ব না থাকলেও রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও রয়ে গিয়েছে। সেকালের প্রাচীন নিয়মকানুন মেনেই আজও পুজো হয়। প্রতিবছর ষষ্ঠীতে ঢাক,ঢোল, কাঁসর, ঘন্টা ধ্বনি সহযোগে পঁচেটগড় রাজবাড়ির প্রাচীন পুকুর থেকে দুর্গাপুজোর ঘট স্থাপন করা হয়। মূলত ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত চলে রাজবাড়ির পুজো। তবে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে বাড়ির পূজোয়। রাজপরিবার শৈব থেকে বৈষ্ণব হয়েছে।

 

 

ফলে এক অলৌকিক কারণে বন্ধ হয়ে যায় মূর্তিপুজো। জমিদার বাড়িতে শোলা ও পটে আঁকা দুর্গাপুজোর শুরু তখন থেকেই। এখনো অবশ্য শোলা বাদ পড়েছে। নেই শেই পটে আঁকা দুর্গা। আগে বলি দেওয়া হলেও এখন সেই বলি প্রথা বন্ধ। বছরের অন্যান্য দিনগুলো রাজবাড়ির বর্তমান সদস্যরা বাইরে থাকলেও পুজোর কয়েকটা দিন বাড়িতেই ফিরে আসেন। ষষ্ঠী থেকে দশমী এলাকাবাসীর ভিড়ে গমগম করে রাজবাড়ি।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৫ অক্টোবর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৫ অক্টোবর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

 

(ক)  বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস।

(খ) বিশ্ব স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ দিবস

(গ) বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস ৷

(ঘ) বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস ৷

(ঙ) ‘বিশ্ব ছাত্র দিবস’।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৮ – জন কেনেথ গলব্রেইথ, মার্কিন অর্থনীতিবিদ।

জন কেনেথ গলব্রেইথ, ওসি, পি এইচ. ডি., এল এল. ডি. ছিলেন বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী মার্কিন অর্থনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম। তিনি কিনসীয় ও প্রতিষ্ঠানবাদী অর্থনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক উদারনীতিবাদ ও প্রগতিশীল মূল্যবোধের একজন অগ্রগণ্য সমর্থক ছিলেন। তিনি অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রচুর সহজপাঠ্য ও জনপ্রিয় বই লিখেছেন।

 

১৯২০ – মারিও পুজো, মার্কিন কথা সাহিত্যিক।

মারিও জিয়ানলুইগি পুজো একজন ইতালীয়-আমেরিকান কথাসাহিত্যিক ও চিত্রনাট্যকার। আমেরিকার মাফিয়াদের নিয়ে রচিত গডফাদার নামক উপন্যাসের জন্য তিনি বহুলভাবে সমাদৃত। তার গডফাদার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত গডফাদার চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ১৯৭২ ও ১৯৭৪ সালে সেরা চিত্রনাট্য বিভাগে একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।

 

১৯২৩ – ইতালীয় লেখক ইতালো কালভিনো।

১৯২৬ – ফরাসি সমালোচক ও প্রাবন্ধিক মিশেল ফুকো।

 

১৯৩১ – ড. এ পি জে আব্দুল কালাম, ভারতীয় বিজ্ঞানী ও একাদশ রাষ্ট্রপতি ।

আভুল পাকির জয়নুলাবেদিন আবদুল কালাম ( ১৫ অক্টোবর ১৯৩১ – ২৭ জুলাই ২০১৫) একজন ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ – ২০০৭) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা (এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি ও সামরিক সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও উৎক্ষেপক যান রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়।

 

১৯৪০ – পিটার সি. ডোহার্টি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রেলিয়ান সার্জন।

পিটার চার্লস ডোহার্টি (জন্ম ১৫ অক্টোবর ১৯৪০) একজন অস্ট্রেলিয়ান ইমিউনোলজিস্ট এবং নোবেল বিজয়ী।  তিনি ১৯৯৫ সালে বেসিক মেডিক্যাল রিসার্চের জন্য অ্যালবার্ট লাস্কার পুরস্কার, ১৯৯৬ সালে রল্ফ এম জিনকারনাগেলের সাথে যৌথভাবে ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পান এবং ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ডে অনারে তাকে নাম দেওয়া হয়।  জিঙ্কারনাগেলের সাথে তার কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়ার অর্ডারের সঙ্গী।  তিনি একটি জাতীয় ট্রাস্ট অস্ট্রেলিয়ান লিভিং ট্রেজারও।  ২০০৯ সালে Q150 উদযাপনের অংশ হিসাবে, Doherty-এর ইমিউন সিস্টেম গবেষণাকে একটি আইকনিক “উদ্ভাবন এবং উদ্ভাবন” হিসাবে ভূমিকা রাখার জন্য কুইন্সল্যান্ডের Q150 আইকনগুলির মধ্যে একটি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

 

১৯৪৪ – ডেভিড ট্রিম্বলে, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আইরিশ আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এর ৩য় প্রথম মন্ত্রী।

উইলিয়াম ডেভিড ট্রিম্বল, ব্যারন ট্রিম্বল , পিসি (১৫ অক্টোবর ১৯৪৪ – ২৫ জুলাই ২০২২) একজন উত্তর আইরিশ রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত উত্তর আয়ারল্যান্ডের উদ্বোধনী প্রথম মন্ত্রী ছিলেন এবং ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আলস্টার ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ইউইউপি) নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৯০ থেকে 2005 সাল পর্যন্ত আপার ব্যানের সংসদ সদস্য (এমপি) এবং ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত আপার ব্যানের আইনসভার সদস্য (এমএলএ) ছিলেন ।

 

 

১৯৪৮ – সিদ্ধার্থ ঘোষ, বাঙালি কল্পবিজ্ঞান লেখক।

সিদ্ধার্থ ঘোষ ( ১৫ অক্টোবর, ১৯৪৮ ― ৩১ অক্টোবর, ২০০২), বাংলা কল্পবিজ্ঞান জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় এক নাম। পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার হয়েও বহুমুখী প্রতিভার গুণে সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, সংগ্রাহক ও গবেষক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।

 

১৯৫৭ – মীরা নায়ার, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেত্রী, পরিচালক ও প্রযোজক।

মীরা নায়ার (জন্ম: ১৫ অক্টোবর ১৯৫৭) একজন নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেত্রী। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম মীরাবাই ফিল্মস।

 

১৯৬৬ – জর্জ কাম্পোস, মেক্সিক্যান ফুটবলার ও ম্যানেজার।

হোর্হে কাম্পোস মেক্সিকোর জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক। তিনি ১৯৯০-এর দশকে মেক্সিকোর অন্যতম নামকরা ফুটবলার ছিলেন। গোলরক্ষক হলেও তিনি প্রায়ই পেনাল্টি বক্সের বাইরে বল নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন এবং ক্লাব পর্যায়ে বহু গোলও দিয়েছেন। নিজ হাতে তৈরি করা উজ্জ্বল নানা রঙের জার্সি পরে খেলার জন্যও তিনি পরিচিত ছিলেন।

 

১৯৭১ – অ্যান্ডি কোল, ইংরেজ ফুটবলার।

১৯৭৭ – দাভিদ ত্রেজেগে, ফরাসি ফুটবলার।

১৯৮৩ – স্টেফ্য টাং, হংকং গায়ক ও অভিনেত্রী।

১৯৮৬ – লি ডোঙ্গায়ে, দক্ষিণ কোরিয়ার গায়ক, গীতিকার ও অভিনেতা।

 

১৯৮৮ – মেসুত ওজিল, বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান ফুটবলার।

মেসুত ওজিল (জন্ম ১৫ অক্টোবর ১৯৮৮) হলেন একজন জার্মান প্রাক্তন পেশাদার ফুটবলার যিনি একজন আক্রমণকারী মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন।  তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সৃজনশীলতা, পাসিং দক্ষতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত, তাকে তার প্রজন্মের সর্বশ্রেষ্ঠ মিডফিল্ডার এবং প্লেমেকার হিসেবে গণ্য করা হয়।  তিনি একজন ওয়াইড মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলতে পারতেন।

 

১৮১৪ – মিখাইল লারমন্টভ, রাশিয়ান লেখক, কবি ও চিত্রশিল্পী।

১৮৪৪ – ফ্রিড্‌রিখ্‌ ভিল্‌হেল্‌ম নিটশে, জার্মান সুরকার, কবি ও দার্শনিক।

১৮৭৮ – ফ্রান্সের পল রেয়নাউড, ফরাসি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১১৮ তম প্রধানমন্ত্রী।

 

১৮৯২ – সাহিত্য সমালোচক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। 

শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় (জন্ম ১৫ অক্টোবর ১৮৯২ – মৃত্যু ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০) বিশিষ্ট অধ্যাপক ও বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য গবেষক।তার জন্ম বীরভূম জেলার কুশমোরে। পিতা মধুসূদন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক। ১৯০৬ সালে এন্ট্রান্স পাশ করে ১৯০৮ সালে হেতমপুর কলেজ থেকে এফ.এ. পরীক্ষায় চতুর্দশ স্থান অধিকার করেন ও স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ঈশান স্কলার হয়ে বি.এ. এবং ১৯১২ সালে এম.এ. পরীক্ষাতেও ইংরেজিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। ১৯২৭ সালে ‘রোমান্টিক থিওরি – ওয়ার্ডসওয়ার্থ অ্যান্ড কোলরিজ’ থিসিসের ভিত্তিতে পিএইচডি উপাধি অর্জন করেন। কর্মজীবনে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপনা করেন রিপন কলেজ, প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর কিছুকাল রাজশাহী কলেজে অধ্যাপনা করার পর পুনরায় কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ফিরে আসেন। এরপর সরকারি চাকুরি ত্যাগ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ী অধ্যাপক নিযুক্ত হন ও ১৯৫৫ সাল অবধি ওই পদে বহাল থাকেন। স্বাধীন ভারতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিতেও অংশ নিয়েছিলেন ও পশ্চিমবঙ্গের ব্যবস্থাপক সভার সদস্য হয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে ‘ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস’, ‘বঙ্গ সাহিত্যে উপন্যাসের ধারা’, ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা’, ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতির তীর্থসঙ্গমে’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

 

১৮৯৪ – মোশে শারেট, ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত ইসরায়েলি লেফটেন্যান্ট ও রাজনীতিবিদ ও ২য় প্রধানমন্ত্রী।

মোশে শেরট (  ১৫ অক্টোবর ১৮৯৪ – ৭ জুলাই ১৯৬৫) একজন ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মাপাইয়ের একজন সদস্য , Shartt এর মেয়াদ ডেভিড বেন-গুরিয়নের প্রিমিয়ারশিপের পূর্বে এবং সফল উভয়ই ছিল ।  ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে শারেট দেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

 

১৫৪২ ( কারো মতে ) – মোগল সম্রাট জালালুদ্দিন আকবর।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৮ – সুইডেনের স্টকহোমে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মোর্চা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ফর হ্যান্ডওয়াশিং সর্বপ্রথম হাত ধোয়া দিবসটি পালন করে।

২০২০ – বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোট আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গঠনে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ১৫ টি দেশের চুক্তি হয়।

১৯১৭-সালে জার্মানদের পক্ষে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে ডাচ নৃত্যাশিল্পী মাটা হ্যারিকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে হত্যা করা হয়।

১৯৪৫-সালে ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে লাভালের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।

১৯৪৬ – জার্মানির ন্যুরেমবার্গে যুদ্ধবন্দিদের প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়।

১৯৪৬ – ফিল্ড মার্শাল হারম্যান গোয়েরিং আত্মহত্যা করেন। দ্বিতীয় যুদ্ধপরাধের দায়ে তার প্রাণদন্ড কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি আত্মহত্যা করেন।

১৯৬৪-সালে চীনের প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা হয়।

১৯৬৪-সালে রক্ষণশীলদের পরাজিত করে ১৩ বছর পর ব্রিটেনে লেবার পার্টির ক্ষমতায় আসে।

১৯৬৪-সালে নিকিতা ক্রুশ্চেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে অপসারিত।

১৯৬৯-সালে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদুর রশিদ আলী শেরমারকি আততায়ীর গুলিতে নিহত।

১৯৮৫ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৩৯ জন ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি নিহত হয়েছিলো। তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতি বছর এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালন করা হয়।

১৯৮৫ – সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী মিখাইল গর্বাচেভ অর্থনৈতিক সংস্কারণীতি ‘পেরেস্ত্রইকা (পুনর্গঠন)’ ঘোষণা করেন।

১৯৮৬ – লে. জে. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৯৯৩ – নেলসন ম্যান্ডেলা এবং ডি ক্লার্ক উভয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।

১৯৯৫-সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথম রাশিয়া ও কিউবার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর।

১৯৯৯-সালে অভ্যুত্থানের দু’দিন পর পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি এবং জেনারেল মোশাররফের নিজেকে দেশের প্রধান নির্বাহী ঘোষণা।

১৮১৫ – সেন্ট হেলেনা দ্বীপে সম্রাট নেপোলিয়ন-এর নির্বাসন জীবন শুরু।

১৮৯৪ – ফরাসি গোলান্দাজ বাহিনীর ইহুদি ক্যাপ্টেন আলফ্রেড দারিফুসের বিচার রাজধানী প্যারিসে শুরু হয়। গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবনের কারাদন্ড দেওয়া হয় এবং ফ্রান্স গিনির অন্তর্ভুক্ত ডেভিসল আইল্যান্ডে তাকে নির্জন কারাবাসে পাঠানো হয়।

১৬৭৬ – ব্রিটেনের রাজার কাছ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে টাকা ও পয়সা মুদ্রণের অনুমতি লাভ করে।

১৫৮২-সালে ইতালি ও স্পেন গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার বা খ্রিষ্ট্রীয় সাল প্রবর্তিত। এর ফলে ৫ অক্টোবর ১৫ অক্টোবর হয়ে যায়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০০ – কনরাড এমিল ব্লচ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পোলিশ বংশোদ্ভূত আমেরিকান প্রাণরসায়নী।

২০১২ – নরোদম সিহানুক, কম্বোডিয়ার রাজনীতিবিদ ও ১ম প্রধানমন্ত্রী।

২০১৩ – টমি আন্ডেরসন, সুইডিশ অভিনেতা।

২০১৮ – পল অ্যালেন, মার্কিন ব্যবসায়ী এবং মাইক্রোসফট -এর সহপ্রতিষ্ঠাতা।

১৯১৭ – মাতা হারি, ডাচ নৃত্য শিল্পী, প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে জার্মানীর পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

১৯১৮ – শিরডি সাই বাবা, ভারতীয় ধর্মগুরু, যোগী ও ফকির।

১৯৩৮ – আবুল হুসেন, ব্রিটিশ ভারতীয় লেখক, চিন্তাবিদ, সমাজসংস্কারক এবং বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের প্রবক্তা।

১৯৪৫ – ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে লাভালের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

 

১৯৬২ – অতুলচন্দ্র ঘোষ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী, লোকসেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ও পুরুলিয়া জেলার বঙ্গভূক্তি আন্দোলনের মূখ্যস্থপতি। 

অতুলচন্দ্র ঘোষ (২ মার্চ ১৮৮১ — ১৫ অক্টোবর ১৯৬২) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কর্মী, লোকসেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) ও পুরুলিয়া জেলার বঙ্গভূক্তি আন্দোলনের মূখ্যস্থপতি।

 

১৯৭৫ – দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, ভারতীয় বাঙালি ভাস্কর, চিত্রশিল্পী এবং ললিতকলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি।

দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী এমবিই (১৮৯৯–১৯৭৫) একজন ভারতীয় ভাস্কর, চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি শ্রমের বিজয় এবং শহীদ স্মারক-সহ ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যের জন্য পরিচিত ছিলেন এবং আধুনিক ভারতীয় শিল্পের অন্যতম প্রধান শিল্পী হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করা হয়। ডি. পি. রায়চৌধুরী ১৯৬২ সালে ললিত কলা একাডেমীর একজন সহযোগী (ফেলো) নির্বাচিত হন। শিল্পক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৫৮ সালে ভারত সরকার তাঁকে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ প্রদান করে।

 

১৯৮৭ – টমাস সাঙ্কারা,বুর্কিনার ক্যাপ্টেন, রাজনীতিবিদ ও ৫ম প্রেসিডেন্ট।

থমাস ইসিডোর নোয়েল সানকারা (২১ ডিসেম্বর ১৯৪৯ – ১৫ অক্টোবর ১৯৮৭) ছিলেন একজন Burkinabè সামরিক কর্মকর্তা, মার্কসবাদী বিপ্লবী এবং প্যান-আফ্রিকানবাদী যিনি ১৯৮৩ সালে ১৯৮৩ সালে হাইসার্স দ্বারা তার অভ্যুত্থান থেকে বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ক  বিপ্লবের ক্যারিশম্যাটিক এবং আইকনিক ব্যক্তিত্ব।

 

১৫৬৪ – আন্দ্রে ভেসালিআস, বেলজিয়ান বংশোদ্ভূত গ্রিক শারীরস্থানবিৎ, চিকিৎসক ও লেখক।

আন্দ্রেআস ভেসালিউস ( ৩০ ডিসেম্বর ১৫১৪ – ১৫ অক্টোবর ১৫৬৪) বেলজিয়ামের ব্রাসেল শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৫২৯-১৫৩৩ পর্যন্ত অউভনিআ বিশ্বববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেন। তিনি ১৫৩৭ সালে আর-রাজির উপর গবেষণা করেন। তিনি শারীরসংস্থানবিদ্যার জনক। তিনি ১৫৪৪ সালে আন্নেন হ্যামকে বিয়ে করেন। ১৫৬৪ সালে গ্রিসের আয়োনীয় সাগরের দ্বীপ জাকিনথোসে তিনি মারা যান।

 

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস: এমন অভিনব দিন কেন পালন করা হয় জানেন? কবেই বা শুরু হয়েছিল, এর গুরুত্ব কি, জানুন।

গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে ২০২৩ তারিখ ১৫ অক্টোবর, এটি সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অত্যাবশ্যক অনুশীলন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি বিশ্বব্যাপী আহ্বান হিসাবে কাজ করে।  এটি রোগ প্রতিরোধে এবং জীবন রক্ষায় এই সহজ অভ্যাসের স্বাচ্ছন্দ্য এবং ব্যয়-কার্যকারিতার উপর জোর দেয়।

 

১৫ অক্টোবর, আমরা গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে পালন করি – সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিবেদিত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ।  এই সহজ কিন্তু কার্যকর অনুশীলনটি রোগ প্রতিরোধ এবং জীবন বাঁচানোর একটি সাশ্রয়ী উপায়।
কোভিড-১৯ মহামারীর পরে হাতের স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে।  গ্লোবাল হ্যান্ড ওয়াশিং ডে, প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর পালিত হয়, সর্বজনীন হাতের স্বাস্থ্যবিধি অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ হিসাবে কাজ করে।  এটির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর ভূমিকার উপর জোর দিয়ে হাত ধোয়াকে একটি দৈনিক আচারে পরিণত করা।

 

১৫ অক্টোবর পালিত গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলনের উপর আলোকপাত করে।  লক্ষ্য রোগ প্রতিরোধ এবং জীবন সংরক্ষণে এর সাশ্রয়ী মূল্যের এবং শক্তিশালী ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।  কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন হাতের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপক স্বীকৃতির পরে, উদ্যোগটি আরও বেশি আকর্ষণ লাভ করেছে।
১৫ অক্টোবর, বিশ্বব্যাপী হাত ধোয়া দিবস হিসাবে বার্ষিক পালিত হয়, বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন হাতের স্বাস্থ্যবিধি অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য একটি নিবেদিত প্রচেষ্টা হিসাবে দাঁড়িয়েছে।  এটি একটি বিশ্বব্যাপী অ্যাডভোকেসি দিবস যা সারা বিশ্বের মানুষের মঙ্গলের জন্য হাত ধোয়াকে একটি দৈনিক অভ্যাস করার গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

 

গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে ২০২৩ ওভারভিউ—

 

২০০৮ সাল থেকে, প্রতি ১৫ অক্টোবর গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং দিবসের বার্ষিক উদযাপনকে চিহ্নিত করে, সাবান এবং জল দিয়ে হাত ধোয়ার সহজ, কার্যকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের অভ্যাসকে সমর্থন করার জন্য নিবেদিত৷
গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে এই অভ্যাসটি অন্তর্ভুক্ত করা, যেমন টয়লেট ব্যবহার করার পরে বা খাওয়ার আগে, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে গভীর প্রভাব ফেলে, অবশেষে জীবন বাঁচায়।  এর বাইরে, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং COVID-19 সহ বিভিন্ন সংক্রমণ এবং ভাইরাসের বিস্তারের বিরুদ্ধে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হিসাবে কাজ করে।

 

গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে ২০২৩, ইতিহাস—-

 

গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং পার্টনারশিপ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পক্ষে ওকালতি করার জন্য নিবেদিত আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা, গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে ২০০৮ সালে আত্মপ্রকাশ করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৭টি০ দেশের ১২০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাসকে আলিঙ্গন করেছে।  তারপর থেকে, গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে বিকশিত হয়েছে, ক্রমাগতভাবে এর নাগাল এবং প্রভাবকে প্রসারিত করছে।
২০০৮ সালে, গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং পার্টনারশিপ (GHP) কিকস্টার্টার গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতিকে চ্যাম্পিয়ন করতে।  মিশনটি স্পষ্ট: হাত ধোয়ার স্বাস্থ্যের সুবিধাগুলিকে আলোকিত করা এবং বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের প্রচেষ্টায় হাত ধোয়ার আচরণের পরিবর্তনকে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে সমর্থন করা।
তার নম্র সূচনা থেকে, গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে একটি বৈশ্বিক প্রপঞ্চে পরিণত হয়েছে, লক্ষাধিক ক্রিয়াকলাপে জড়িত যা ভাল হাতের পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি করে এবং সংক্রামক রোগের বিস্তারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

 

গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে ২০২৩, থিম—

 

গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে ২-এর০২৩ থিম হল “একসাথে, আসুন সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং স্বাস্থ্যসেবায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করি৷  আসুন হাতের পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিরাপত্তা ও গুণমানের সংস্কৃতি গড়ে তুলি।”
গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে ২০২৩ স্লোগান: “একসাথে কাজ ত্বরান্বিত করুন।  জীবন বাঁচান: আপনার হাত পরিষ্কার করুন।

 

গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে ২০২৩ এর গুরুত্ব—

 

ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল হাতের সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি, বিশেষ করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।  এখন এবং ভবিষ্যতে উভয় সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এটি কেবল আমাদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যই রক্ষা করে না, এটি ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং বৃহত্তর বিশ্বের ভবিষ্যত গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  ১৫ অক্টোবর গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং দিবসটি আমাদের সুস্থতার ক্ষেত্রে হাত ধোয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বোঝার জন্য নিবেদিত৷

 

গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং ডে ২০২৩, তাৎপর্য—

 

গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং দিবসের সারমর্ম হ’ল হাত ধোয়ার সুবিধাগুলি গ্রহণ করা এবং স্বাস্থ্যকর পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তোলা।  আমাদের হাতগুলি রোগের প্রাথমিক প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করে তা স্বীকার করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সমস্ত বয়সের ব্যক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন হয়ে ওঠে।
এই অনুষ্ঠানটি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, নিয়মিত হাত ধোয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং উপযুক্ত প্রসাধন সামগ্রী গ্রহণের মতো অভ্যাসগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।  উপরন্তু, দিনটি নাগরিকদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব তৈরি এবং প্রচারে সরকারী উদ্যোগের স্বীকৃতি দেয়।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

সনাতন ধর্ম অনুসারে তর্পণ এর গুরুত্ব কি জানুন।

মহৎ আলয় থেকেই মহালয় কথাটির উৎপত্তি বলে জানা যায়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা প্রতিপদ থেকে আশ্বিনের কৃষ্ণ পঞ্চদশী ,অর্থাৎ অমাবস্যা অবধি প্রেত লোক থেকে পিতৃপুরুষের আত্মারা  মর্ত্যলোকে ফিরে আসেন নিজের ছেড়ে দেওয়া গৃহ পরিজনের মায়ায় ।
সনাতন ধর্মে যেকোনো পারিবারিক শুভ কাজ করতে গেলে তাদের পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার , তর্পণ শুধু পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে নয় , পৃথিবীর  সমগ্র জীবকুলের মঙ্গল সাধনের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রেওয়াজ রয়েছে ।
ভগবান রামচন্দ্র লঙ্কা বিজয়ের পূর্বে তর্পণ করেছিলেন বলে পুরান সুত্রে জানা যায় । সেই অনুযায়ী এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ মাতৃহীন তারা তাদের পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলী প্রদান করে সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিন প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হলে তাদের আত্মার যে সমাবেশ ঘটে তাকে মহালয় বলে । এই দিনটিকেই পিতৃ পক্ষের শেষ দিন অর্থাৎ দেবী পক্ষের সূচনা কাল বলে ধরা হয় ।
মহাভারতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে ,প্রসিদ্ধ দাতা কর্নের মৃত্যু হলে তাঁর আত্মা স্বর্গে গমন করে । ঠিক তখনই তাকে স্বর্গে স্বর্ণ ও রৌপ্য খাদ্য হিসাবে প্রদান করা হয় । তার প্রতি এহেন আচরণে তিনি স্তম্ভিত হয়ে দেবরাজ ইন্দ্রের নিকট তার কারণ জানতে চান । উত্তরে দেবরাজ ইন্দ্র তার কাছে ব্যাখ্যা করেন , আপনি সারা জীবনই স্বর্ণ ও রৌপ্য প্রদান করে এসেছেন , পিতৃগণের উদ্দেশ্যে কোনরূপ খাদ্য খাবার প্রেরণ করেননি , সেই কারণেই আপনাকে স্বর্ণ ও রৌপ্য দেওয়া হয়েছে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করার জন্য । এরপর কর্ণ তার ভুল স্বীকারের সাথে সাথে জানান তিনি তার পিতৃ গণের সম্পর্কে অবগত ছিলেন না । নিজের ইচ্ছায় তিনি কিছুই করেন নি , ঠিক তখনই কর্ণকে ষোলো দিনের জন্য মর্ত্যে গিয়ে পিতৃ লোকের উদ্দেশ্যে জল ও অন্ন প্রদান করার অনুমতি দেওয়া হয় । প্রকৃত পক্ষে এই ষোলো দিনকেই পিতৃপক্ষ বলে অভিহিত করা হয় ।
আবার হিন্দু শাস্ত্র মতে সূর্য্য কন্যা রাশি তে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষের সূচনা হয় । সনাতন ধর্মাবলম্বী রা বিশ্বাস করে থাকেন এই সময় পিতৃপুরুষেরা পিতৃ লোক ত্যাগ করে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের গৃহে অবস্থান করেন । পরে জলঘন সূর্য্য যখন আবার বৃশ্চিক রাশি তে প্রবেশ করে তখন তারা আবার পিতৃ লোকে পুনর্গমন করেন । পূর্ব পুরুষরা যেহেতু তাদের গৃহে অবস্থান করেন তাই তর্পনের মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বী রা তাদের পূর্ব পুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । তবে আজকের শুভ দিন উপলক্ষে মৃৎশিল্পীরা দুর্গা প্রতিমার চক্ষুদান করে থাকেন।  শত্রু বিনাশ দিবস হিসেবে ধর্মীয় বিশ্বাসে পালিত হয়ে থাকে এই দিনটি ।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মহালয়া মানেই যে মুখ ভেসে ওঠে সকল বাঙালির মনে, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি বেতার সম্প্রচারক, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক।

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাংলা বেতার সম্প্রচারক, নাট্যকার, অভিনেতা এবং থিয়েটার পরিচালক। তিনি কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন। পঙ্কজকুমার মল্লিক এবং কাজী নজরুল ইসলামের সমসাময়িক বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ১৯৩০ সাল থেকে দীর্ঘকাল অল ইন্ডিয়া রেডিওতে রেডিও সম্প্রচারকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন।

এ সময় তিনি বেশ কিছু নাটক রচনা ও প্রযোজনাও করেন।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ তার রেডিও সঙ্গীত সংগ্রহ মহিষাসুরমর্দিনীর জন্য সর্বাধিক পরিচিত। ১৯৩১ সাল থেকে আজ অবধি, এই অনুষ্ঠানটি মহালয়ার দিনে কলকাতার আকাশবাণী থেকে ভোর 4 টায় সম্প্রচার করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের ভাষ্য ও শ্লোক পাঠ করেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় ও নির্দেশনাও দিয়েছেন। ১৯৫৫ সালে, তিনি ফরবিডেন ফ্রুট নামে একটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন।

প্রথম জীবন ও শিক্ষা—-

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ১৯০৫ সালের ৪ আগস্ট উত্তর কলকাতার মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল বুশি। পিতা রায় বাহাদুর কালীকৃষ্ণ ভদ্র এবং মাতা সর্বাবালা দেবী। পরে তার পরিবার দাদি যোগমায়া দেবীর কেনা 7, রামধন মিত্র লেনে চলে আসে। কালীকৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন বহুভাষী। তিনি ১৪টি ভাষা জানতেন। তিনি নিম্ন আদালতে দোভাষী হিসেবে কাজ করতেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলা সাহিত্যের জগতে একজন পরিচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। কালীকৃষ্ণ পুলিশ কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী কালীচরণ ঘোষের দ্বিতীয় সন্তান সরলাবালা দেবীকে বিয়ে করেছিলেন। ১৯২৭ সালে তিনি ‘রায়বাহাদুর’ উপাধি পান। কালীকৃষ্ণের দুই পুত্র ছিল – ভূপেন্দ্রকৃষ্ণ ও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ১৯২৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯২৮ সালে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক হন।

কর্মজীবন—-

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ বেশ কিছু ধ্রুপদী গল্পকে বেতার নাটকে রূপান্তরিত করেছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে যোগ দেন। সেই থেকে তিনি দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেবী দুর্গার পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে দুই ঘণ্টার সঙ্গীত অনুষ্ঠান মহিষাসুরমর্দিনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। অনুষ্ঠানটি লিখেছেন বাণীকুমার ভট্টাচার্য এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন পঙ্কজকুমার মল্লিক। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভাষ্য ও শ্লোক পাঠ প্রদান করেন। আজও এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হয়। তিনি সাতটি ছদ্মনামে অসংখ্য রেডিও শো হোস্ট করেছেন। তিনি অনেক উপন্যাস ও নাটক লিখেছেন।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ মেস নং ৪৯ সহ বেশ কিছু নাটক রচনা করেন। তিনি বিমল মিত্রের উপন্যাস সাহেব বিবি গোলাম মঞ্চস্থ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সুবর্ণ গোলক নাটকে অভিনয় করেন।

উত্তরাধিকার—-

আজও, দূর্গা পূজার শুরুতে মহালয়ার দিনে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানের একটি রেকর্ডিং কলকাতার আকাশবাণী থেকে প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠানটি এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে ১৯৭৬ সালে আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ বীরেন্দ্রকৃষ্ণের পরিবর্তে জনপ্রিয় অভিনেতা উত্তম কুমারকে নিয়ে আরেকটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করলে তা জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। আকাশবাণী কর্তৃপক্ষকে সেই অনুষ্ঠানের পরিবর্তে মূল মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে।
২০১৯ সালে, চলচ্চিত্র নির্মাতা সৌমিক সেন এই ঘটনাটি নিয়ে মহালয়া নামে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন। শুভাশীষ মুখোপাধ্যায় এতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। অন্যদিকে উত্তম কুমারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত।
২০০৬ সালের মহালয়া দিবসে, বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কন্যা সুজাতা ভদ্র তার পিতার মহান কৃতিত্বের জন্য রয়্যালটি হিসাবে সারেগামা ইন্ডিয়া লিমিটেড থেকে ৫০৯১৭ টাকার চেক পেয়েছিলেন।

রচনাবলি—-

হিতোপদেশ, ১৯৪৮; বিশ্বরূপ-দর্শন, ১৯৬৩; রানা-বেরানা, ১৯৬৫; ব্রতকথা সমগ্র, ১৯৮৫; শ্রীমদ্ভাগবত: সম্পূর্ণ দ্বাদশ স্কন্দ, উপেন্দ্রচন্দ্র শাস্ত্রীর সঙ্গে, ১৯৯০।

নাটক—

ব্ল্যাকআউট, সাত তুলসী, ১৯৪০।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৪ অক্টোবর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৪ অক্টোবর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব মান দিবস

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯২৭ – রজার মুর, ব্রিটিশ, জেমস বন্ড (চরিত্র) খ্যাত মডেল এবং অভিনেতা।

স্যার রজার জর্জ মুর কেবিই (14 অক্টোবর 1927 – 23 মে 2017) একজন ইংরেজ অভিনেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন তৃতীয় অভিনেতা যিনি ইওন প্রোডাকশনস / এমজিএম স্টুডিওস ফিল্ম সিরিজে কাল্পনিক গোপন এজেন্ট জেমস বন্ডের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, 1973 থেকে 1985 সালের মধ্যে সাতটি ফিচার ফিল্মে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। মুর বন্ড হিসাবে সাতটি উপস্থিতি, লাইভ অ্যান্ড লেট ডাই থেকে এ ভিউ পর্যন্ত কিল , ইওন-প্রযোজিত এন্ট্রিতে যেকোনো অভিনেতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

 

১৯৩০ – অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।

 

১৯৩০ – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ ভারতীয় বাঙালি লেখক। 

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ (14 অক্টোবর 1930 – 4 সেপ্টেম্বর 2012) একজন প্রখ্যাত ভারতীয় লেখক ছিলেন।  1994 সালে, তিনি তার পৌরাণিক মানুষ (আলেক মানুষ) উপন্যাসের জন্য সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পান, যা তার সবচেয়ে প্রশংসিত কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।  2005 সালে, তার ছোটগল্প “রানিরঘাটার ব্রিটান্টো” অঞ্জন দাসের ফালতু ছবিতে তৈরি হয়েছিল।  তিনি প্রায় 150টি উপন্যাস এবং 300টি ছোট গল্প লিখেছেন।  তিনি গোয়েন্দা চরিত্রের স্রষ্টা কর্নেল নীলাদ্রি সরকার ওরফে “গোয়েন্দা কর্নেল”, গোয়েন্দা কর্নেল।

 

১৯৩১ – পণ্ডিত নিখিল রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় মাইহার ঘরানার ভারতীয় ধ্রুপদী সেতার বাদক।

 

১৯৪১ – রমা চৌধুরী, বাংলাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীরাঙ্গনা। 

রমা চৌধুরী (১৪ অক্টোবর, ১৯৪১ – ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্যাতিত একজন বীরাঙ্গনা। ১৯৭১ সালের ১৩ মে ভোরে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিজ বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হন। সম্ভ্রম হারানোর পর পাকিস্তানি দোসরদের হাত থেকে পালিয়ে পুকুরে নেমে আত্মরক্ষা করেছিলেন। হানাদাররা গানপাউডার লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় তার ঘরবাড়িসহ যাবতীয় সহায়-সম্পদ। তিনি তার উপর নির্যাতনের ঘটনা একাত্তরের জননী নামক গ্রন্থে প্রকাশ করেন।

 

১৯৬২ – প্রচেত গুপ্ত, ভারতীয় বাঙালি লেখক ও সাংবাদিক।

প্রচেত গুপ্ত (১৪ অক্টোবর ১৯৬২) একজন বাঙালি সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে পরিচালক তরুণ মজুমদার তার ‘চাঁদের বাড়ি’ উপন্যাসটি অবলম্বনে একটি বাঙলা চলচ্চিত্র তৈরি করেন।২০১১ খ্রিষ্টাব্দে তার ‘চোরের বউ’ গল্পটি অবলম্বনে পরিচালক শেখর দাস ‘নেকলেস’ নামের একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেন। তিনি সমকালীন বাংলা সাহিত্যের একটি পরিচিত নাম। তার কিছু গল্প হিন্দি, ওড়িয়া এবং মারাঠি ভাষাতে অনূদিত হয়েছে। তিনি বাংলা পত্রিকা যেমন ‘উনিশ কুড়ি’, ‘সানন্দা’ এবং ‘দেশ’-এর নিয়মিত লেখক।

 

 

১৯৮১ – গৌতম গম্ভীর, ভারতীয় ক্রিকেটার, আই সি সি বর্ষসেরা ক্রিকেটার শিরোপাধারী।

গৌতম গম্ভীর (জন্ম: ১৪ অক্টোবর, ১৯৮১) নয়াদিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ভারতের একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং রাজনীতিবিদ। ২০১৯ সাল থেকে তিনি লোকসভার বর্তমান সদস্য। গৌতি ডাকনামে তিনি সমর্থকদের কাছে পরিচিত হয়ে আসছেন। বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি মাঠে নামতেন। ২০১০ সালের শেষার্ধ্ব থেকে ২০১১ সালের শেষার্ধ্ব পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করেছেন। এক সময় তিনি ভারতের পক্ষ হয়ে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে শীর্ষ রান সংগ্রহকারী ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবম সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবস্থান করছেন। সহ-খেলোয়াড় বীরেন্দ্র শেওয়াগ তাকে সুনীল গাভাস্কারের পর সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে উল্লেখ করেছেন।

 

১৯৮৮ – গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অস্ট্রেলীয় অল-রাউন্ডার।

১৯৯১ – জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, বাংলাদেশী মডেল এবং অভিনেত্রী, মিস বাংলাদেশ শিরোপাধারী।

১৮৪০ – বস্তুবাদী রুশ দার্শনিক ও সাহিত্য সমালোচক দমিত্রি পিসারিয়েভ।

১৮৮২ – আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতা ডি ভ্যালেরা।

 

১৮৮৪ – লালা হর দয়াল, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় বিপ্লবী। 

লালা হর দয়াল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সক্রিয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তিনি বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করার জন্য প্রেরণা ও উৎসাহিত করেছিলেন । এরজন্য তিনি আমেরিকায় গিয়ে গদর পার্টীর স্থাপন করেন। তিনি প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে দেশভক্তির অনুভব জাগান যা পরবর্তি সময়ে গভীর হয়ে উঠে। কাকোরী কাণ্ডের পর ১৯২৭ সনের মে মাসে লালা হর দয়ালকে ভারতে ফিরে আনার প্রচেষ্টা চালানো হয় যদিও এতে ব্রিটিশ সরকার অনুমতি না থাকায় প্রয়াস ব্যর্থ হয় । কিন্তু ১৯৩৮ সনে তাকে ভারতে আনার পুনরায় চেষ্টা করলে ব্রিটিশ সরকার অনুমতি দেন কিন্তু ১৯৩৯ সনের ৪ মার্চ তারিখে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়া নামক স্থানে রহস্যময় ভাবে তার মৃত্যু হয়।

 

১৮৮৮ – ইংরেজ লেখক ক্যাথারিন ম্যাসফিল্ড।

১৮৯০ – (ক)  বিংশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি কবি বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়।

(খ) ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪তম রাষ্ট্রপতি।

 

১৮৯৩ – লিলিয়ান গিশ, মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক ও লেখিকা। 

লিলিয়ান ডায়ানা গিশ ( ১৪ অক্টোবর ১৮৯৩ – ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩) ছিলেন একজন চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেত্রী এবং পরিচালক ও লেখক। ১৯১২ সালে নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তার কর্মজীবনের ব্যপ্তি ছিল ৭৫ বছর। তাকে মার্কিন চলচ্চিত্রের ফার্স্ট লেডি হিসেবে অভিহিত করা হয় এবং চলচ্চিত্র অভিনয়ের মৌলিক কৌশলের অগ্রদূত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাকে ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্রের সেরা নারী তারকা তালিকায় ১৭তম স্থান প্রদান করে।

 

১৮৯৪ – মার্কিন কবি ই ই কামিংস ।

১৭৭২ – বাউল কবি লালন শাহ।

১৬৪৪ – পেনসিলভানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম পেন।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০২০ – পৃথিবীকে অতিক্রম করে 2020 TB-9 ও 2020 ST-1 নামের দুটি গ্ৰহাণু।

১৯২৬ – অ্যালেন আলেকজান্ডার মিলনী রচিত জনপ্রিয় শিশুতোষ বই উইননি-দি-পু প্রথম প্রকাশিত হয়।

১৯৩৩ – নাজি জার্মানি কর্তৃক লীগ অব নেশনস ত্যাগ।

১৯৪৪ – জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিখ্যাত সেনাকমান্ডার এরউইন রোমেল হিটলারের আদেশে আত্মহত্যা করে। মার্শাল রোমেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে উত্তর আফ্রিকায় জার্মান বাহিনীর কমান্ডার ছিল এবং ব্রিটিশ সেনাদেরকে মিশরের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছিল।

১৯৪৬ – লন্ডনে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা বিশ্বব্যাপী পণ্যসেবার মান বজায় রাখতে মান নির্ধারক সংস্থা গঠনের বিষয়ে একমত হন। সংস্থাটি পরের বছর কার্যক্রম শুরু করে এবং সে হিসাবে ১৪ অক্টোবর বিশ্ব মান দিবস পালিত হয়।

১৯৫৩ – জর্দান নদীর পশ্চিম উপকূলীয় কাবিহ গ্রামে সশস্ত্র ইহুদিবাদীরা নির্যাতনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এই গ্রামে ইহুদিবাদীরা টানা দুই দিন আগ্রাসী হামলার মাধ্যমে নিরীহ ফিলিস্তিনীদের ওপর নির্বিচার গণহত্যা চালায় এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে।

১৯৫৫ – পূর্ববাংলার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান রাখা হয়।

১৯৫৬ – বাবাসাহেব আম্বেদকর তার ৩,৮৫,০০০ অনুসারীসহ সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন।

১৯৬৪ – তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব নিকিতা ক্রুশচেভ বহিস্কৃত হন।

১৯৭১ – মার্কিন নভোযান মেরিনার-৯ প্রথম খুব কাছে থেকে নেওয়া মঙ্গলের ছবি পৃথিবীতে পাঠায়।

১৯৮৬ – আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়।

১৯৯৩ – হাইতির বিরুদ্ধে পুনর্বার যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

১৯৯৭ – বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স স্মিথ কো-জেনারেল (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মধ্যে বেসরকারি খাতে বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত।

১৮০৬ – ফ্রান্স ও রাশিয়ার মধ্যে ইয়েনার যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

১৮৮২ – পাকিস্তানের লাহোরে ভারতীয় উপমহাদেশের চতুর্থ পুরাতন সর্ব্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (পাকিস্তানে প্রথম) পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০২২ – বিশ্ব বিখ্যাত চলচ্চিত্র সিরিজ হ্যারি পটারে হ্যাগ্রিড চরিত্রে অভিনয় করা কিংবদন্তি অভিনেতা রবি কোলট্রেন।

অ্যান্টনি রবার্ট ম্যাকমিলান ওবিই (30 মার্চ 1950 – 14 অক্টোবর 2022), পেশাদারভাবে রবি কোল্ট্রান নামে পরিচিত , একজন স্কটিশ অভিনেতা ছিলেন। হ্যারি পটার ফিল্ম সিরিজে রুবিউস হ্যাগ্রিড চরিত্রে অভিনয় করার জন্য 2000 এর দশকে তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন । নাটকে তার সেবার জন্য রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ কর্তৃক 2006 সালের নববর্ষ সম্মানে তাকে OBE নিযুক্ত করা হয়েছিল । 1990 সালে, কোলট্রেন ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড ব্রিটিশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পান  – কমেডির জন্য পিটার সেলার্স অ্যাওয়ার্ড । 2011 সালে, তিনি ব্রিটিশ একাডেমি স্কটল্যান্ড পুরস্কারে চলচ্চিত্রে তার ” অসামান্য অবদানের জন্য” সম্মানিত হন ।

 

১৯৪৩ – জিমি ম্যাথুজ, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

টমাস জেমস ম্যাথুজ (জন্ম: ৩ এপ্রিল, ১৮৮৪ – মৃত্যু: ১৪ অক্টোবর, ১৯৪৩) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার মাউন্ট গাম্বিয়ার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ লেগ ব্রেক বোলিং করতেন। পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন জিমি ম্যাথুজ। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে খেলেছিলেন তিনি।

 

১৯৫৬ – মহেন্দ্রনাথ দত্ত, বাঙালি লেখক ও স্বামী বিবেকানন্দর অনুজ। 

মহেন্দ্রনাথ দত্ত (১ আগস্ট ১৮৬৮ — ১৪ অক্টোবর ১৯৫৬) ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের এক ভক্ত, গৃহী সন্ন্যাসী ও লেখক। তিনি ভারতীয় হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং সমাজ সংস্কারক  স্বামী বিবেকানন্দর অনুজ।

 

১৯৮০ – শুট ব্যানার্জী, ওরফে শরদিন্দুনাথ ব্যনার্জী, ভারতীয় জাতীয় দলের ক্রিকেটার। 

শরদিন্দুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (সুঁটে ব্যানার্জী নামে পরিচিত) (জন্ম: ৩ অক্টোবর, ১৯১১ – মৃত্যু: ১৪ অক্টোবর, ১৯৮০) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশের কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

 

১৯৮৪ – রবীন্দ্রবিশারদ পুলিনবিহারী সেন ।

পুলিনবিহারী সেন( ১১ আগস্ট, ১৯০৮ ― ১৪ অক্টোবর, ১৯৮৪) খ্যাতনামা রবীন্দ্র বিশারদ। তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে, পরম নিষ্ঠার সঙ্গে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে রবীন্দ্রচর্চা ও গবেষণায় এক অসামান্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন রবীন্দ্র সঙ্গীতের ভাণ্ডারী ছিলেন, পুলিনবিহারী ছিলেন রবীন্দ্র রচনা ও সাহিত্যের ভাণ্ডারী।

 

১৯৮৯ – বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তী।

শৈল চক্রবর্তী (English Shaila Chakraborty) ( ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৯ – ১৪ অক্টোবর, ১৯৮৯), পুরো নাম শৈলনারায়ণ চক্রবর্তী ছিলেন ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী, ইলাসট্রেটর, কার্টুন শিল্পী, পুতুল শিল্পী এবং গ্রন্থকার। তিনিই বাংলায় ‘স্ট্রিপ’ কার্টুনের প্রবর্তন করেন। শিশু সাহিত্যের জন্য ভারত সরকারের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার লাভ করেন।

 

১৯৯৯ – জুলিয়াস নেরিরি, তাঞ্জানিয়ার ঔপনিবেশ-বিরোধী কর্মী ও রাজনীতিবিদ। 

জুলিয়াস কামব্যরেজ নেরিরি (১৩ই এপ্রিল ১৯২২ – ১৪ই অক্টোবর ১৯৯৯) একজন তাঞ্জনিয়ান ঔপনিবেশ-বিরোধী কর্মী ও রাজনীতিবিদ । তিনি ১৯৬১ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ট্যাংগানিকা কে শাসন করেন, যার পর তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত এর উত্তরাধিকারী রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তিনি তাঙ্গানিকা আফ্রিকান ন্যশনাল ইউনিয়ন পার্টি এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, যে সংগঠনটি ১৯৭৭ সালে চামা চা মাপিন্দুজি পার্টি তে পরিণত হয়। তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই সংগঠনটিকে নেতৃত্ব দেন। মতাদর্শগতভাবে তিনি একজন আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী ও সমাজতন্ত্রী ,যিনি উজামা নামক একপ্রকার রাজনৈতিক দর্শন প্রচার করেন।

 

১৫১৪ – পণ্ডিত কবি এবং সম্রাট আকবরের সভাশিক্ষক ফয়েজি ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

রানাঘাটের ঘোষ বাড়ির পুজো আজও তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।

রানাঘাট শুধু নয় নদিয়ার প্রাচীন পূজোর পূজোর মধ্যে অন্যতম ঘোষ বাড়ির পুজো। অভুক্ত বাংলার তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বর্ষ।১৫২০ খিস্টাব্ধ চৌতন্য চরণ ঘোষ তিনি হুগলি জেলা আকনা থেকে এই খানে আসেন ব্রম্ভডাঙ্গা যা পরে রানাঘাট নাম হয় আমদের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এবং দুর্গা পূজো সূচনা করেন।চৌতন্য চরণ ঘোষ নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি মারা যাবার পর তার ছোট ভাই মকারন্ধ ঘোষের বংশধররা দুর্গা পুজো করে আসছেন। বর্তমানে ২৯তম বংশ পরম্পরায় এই পূজো হচ্ছে। এই বংশের ২৯তম পুরুষ রঙ্গীত ঘোষ বলেন দুর্গা পুজো প্রথম  শুরুর  যে মাটি দিয়ে পাটা তৈরি হয়েছিল সেই মাটি দিয়ে আজও পাটা তৈরি হয়ে আসছে। ওই মাটি তুলে রাখা হয় কিছু মাটি ।

 

 

সেই মাটি দিয়ে নতুন মাটি দিয়ে পাটা তৈরি হয় বছরের পর বছর। এই ভাবে হয়ে আসছে দেবী মূর্তি।৫০৪ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পূজো। একটা সময় ৫১টি পাঠা ও মোষ বলি হতো ১৯৩৪সালে পাঠা বলি বন্ধ হয়ে যায় স্বপ্নাদেশে। এবং ঘোষ বংশের রামগোপাল ঘোষ মারা যান। ক্ষয় ক্ষতি হয় তার পর থেকে আর বলি হয়নি বন্ধ হয়ে যায়। পঞ্চমীতে বোধন শুরু হয় ষষ্ঠী তে নয়। তারপর অধিবাসের সময় রক্ষা প্রদীপ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। প্রদীপ জ্বালান এই বংশের পুরুষ সেই প্রদীপ নেবে না। বিসর্জন হয়ে গেলে পাঠ ভেঙে সেইরক্ষা প্রদীপের থেকে প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির বিভিন্ন ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় । সেই প্রদীপের আলোতে ১০৮বার দুর্গা নাম লেখা হয় কলাপাতার ওপর লেখা হয় তারপর চূর্ণী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয় নয় তো তুলসী তলায় দেওয়া হয়।

 

 

এরপর মুড়ি মুড়কি, পকান্ন দেওয়া হয়। নবমীর দিন থোর ও মোচার ভোগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাদা খেলা হয়। রান্না করা ভোগ অষ্টমী দিন দেওয়া হয়। আর অন্য দিন গুলি কাচা ভোগ দেওয়া হয়। মশলা, চাল, দেওয়া হয়। দশমীর দিন শুক্ত মাছ ভাত খাইয়ে বরণ করা হয়। ওই দিন টাটকা ফুলে পূজো হয়না বাশি ফুলে পূজো হয়। এই প্রাচীন পূজো দেখতে তাই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসেন পাশাপাশি এইখানে পূজো ও অঞ্জুলি দেন অনেকে। রানাঘাটের ঘোষ বাড়ির পুজো আজও তার ঐতিজ্য বহন করে চলেছে।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

অজ বিশ্ব মান দিবস, জানব দিনটির ইতিহাস, থিম ও তাৎপর্য।

বিশ্ব মান দিবস হল প্রতি বছর ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে পালিত একটি দিবস।  এই দিবসটি পণ্য ও পরিষেবার মান উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী কাজ করে এমন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অবদানকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে।  এই দিবসটি মূলত কর্তৃপক্ষ, উদ্যোক্তা এবং ভোক্তাদের পণ্য ও সেবার মান উন্নয়ন ও বজায় রাখার বিষয়ে সচেতন করার উদ্দেশ্যে পালন করা হয়।

 

বিশ্ব মান দিবসের ইতিহাস—

 

প্রথম বিশ্ব মান দিবস পালিত হয়েছিল ১৯৪৬ সালে লন্ডনে, যে বছর আন্তর্জাতিক মানক সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  প্রতি বছর ১৪ অক্টোবর, I.E.C., I.S.O., I.T.U. এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানককরণ সংস্থার সদস্যদের সহ সারা বিশ্বের লোকেরা, বিশেষজ্ঞ, স্বেচ্ছাসেবক এবং বিশ্বব্যাপী প্রমিতকরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকলের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা উদযাপন করে।  এই উদযাপন বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য লিখিত মানগুলির তাৎপর্য তুলে ধরতে কাজ করে’,

 

১৪ অক্টোবর, ১৯৪৬-এ, লন্ডনে, বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা পণ্য ও পরিষেবার বৈশ্বিক মান বজায় রাখার জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান-সেটিং সংস্থার সাথে সম্মত হন, যা পরের বছর তার কার্যক্রম শুরু করে।  দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালিত হয়।  আইএসও ১৯৭০ সাল থেকে এই দিবসটি পালন করে আসছে। প্রতি বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় বর্তমান বিষয়গুলোকে ঘিরে।

 

বিশ্ব মান দিবস ২০২৩ থিম—

 

 

 

বিশ্ব মান দিবস ২০২৩ এর থিম হল, “একটি উন্নত বিশ্বের জন্য ভাগ করা দৃষ্টিভঙ্গি”।

 

বিশ্ব মান দিবস ২০২৩ তাৎপর্য—

 

প্রমিতকরণের মূল্য সম্পর্কে গভীরভাবে বোঝার এবং এটি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার সুযোগটি ২০২৩ সালের বিশ্ব মান দিবস দ্বারা প্রদান করা হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (ITU), ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (ISO) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইলেক্ট্রোটেকনিক্যালের যৌথ প্রকল্প।  কমিশন (আইইসি), যা বিশ্ব সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করার জন্য প্রতি বছর প্রচারের উপাদান তৈরি করে।  আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি দিক মান দ্বারা প্রভাবিত হয়।  তারা নিশ্চিত করে যে পণ্য এবং পরিষেবাগুলি প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করে, জীবনের মান উন্নত করে এবং এটিকে নিরাপদ করে।  আরও ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য ২০৩০ এজেন্ডা অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This