Categories
প্রবন্ধ

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ও স্বাস্থ্য সচেতনতা – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।।

প্রতি বছর ৩১শে মে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের আয়োজন করা হয় তামাক এবং এর পণ্য সেবনের ঝুঁকি এবং পরিবার, সমাজ এবং পরিবেশের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করার জন্য।

কোলনতামাক সেবনের কারণে প্রতি বছর ১ কোটির বেশি মানুষ মারা যায় বলে অনুমান করা হয়।
তামাক শুধু স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলে না, পরিবেশের ওপরও নানাভাবে প্রভাব ফেলে।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ : ইতিহাস—

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৮৭ সালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস প্রথম পালিত হয়েছিল। তামাকজাত পণ্যের ব্যাপক বাণিজ্যিক বিপণন এবং তামাক সেবনের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলির প্রতি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দিবসটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মানব স্বাস্থ্য.
তামাক সেবনের ফলে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং ধূমপান মুক্ত বিশ্বকে সমর্থন করে এমন নীতি প্রচার করাও WHO এর লক্ষ্য।
WHO এর মতে, তামাকজনিত রোগের ফলে প্রতি বছর 8 মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা যায়। ডব্লিউএইচও ২০৩০ সালের মধ্যে তামাকজনিত মৃত্যু রোধে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালাচ্ছে।
প্রচারাভিযানটি প্রমাণ-ভিত্তিক হস্তক্ষেপগুলিতে অ্যাক্সেস বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যেমন ধূমপান বন্ধ করার কর্মসূচি এবং তামাকজাত পণ্যের বিপণন কমাতে হস্তক্ষেপ।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ এর থিম

২০২৫ সালের বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য হল ‘উজ্জ্বল পণ্য। অন্ধকার উদ্দেশ্য। আবেদন উন্মোচন’ যা আকর্ষণীয় স্বাদ এবং প্যাকেজিংয়ে আসা তামাকজাত পণ্যের লুকানো বিপদগুলি তুলে ধরার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
“শিল্পের লাভের জন্য আমাদের শিশুদের নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিদিন, তামাক এবং নিকোটিন শিল্পগুলি সাবধানে তৈরি পণ্য এবং প্রতারণামূলক কৌশল ব্যবহার করে নতুন প্রজন্মের ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করে এবং বিদ্যমান ব্যবহারকারীদের ধরে রাখে। শিল্পকে বাইরে রাখুন,” WHO ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের গুরুত্ব (WNTD)—

সারা বিশ্বে বছরে প্রায় ৩৫ লাখ হেক্টর জমি তামাক চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়। তামাক চাষের কারণে বার্ষিক বন উজাড় হয় আনুমানিক ২ লাখ হেক্টর। তামাক উৎপাদন বাস্তুতন্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি বিধ্বংসী প্রভাব ফেলে কারণ তামাকের খামারের জমিগুলি মরুকরণের (জৈবিক উৎপাদনশীলতার ক্ষতি) প্রবণতা যেমন ভুট্টা চাষ এবং গবাদি পশু চারণের মতো অন্যান্য কৃষি কর্মকাণ্ডের তুলনায়। উপরন্তু, ক্রমবর্ধমান তামাকের জন্য রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার প্রয়োজন যার ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস হতে পারে, যার ফলে অন্যান্য খাদ্য শস্যের উৎপাদন হ্রাস পায়।
তামাক বাণিজ্যিক ফসল হিসেবে চাষ করলে দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে টেকসই খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে পড়তে পারে। বৃহত্তম তামাক-উত্পাদিত অঞ্চলগুলির সংখ্যাগরিষ্ঠ (৯০%) হল নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশ, যেখানে চারটি দেশ নিম্ন-আয়ের খাদ্য-ঘাটতি দেশগুলির বিভাগে রয়েছে।
উপরোক্ত পরিস্থিতির আলোকে, তামাক চাষ রোধ করার জন্য এবং অন্যান্য খাদ্য শস্যের চাষে রূপান্তরিত করতে কৃষকদের সহায়তা করার জন্য অবিলম্বে আইনী পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস সফলভাবে বার্ষিক থিম সহ প্রচারাভিযান পরিচালনা করে পূর্বোক্ত নির্দেশাবলী অর্জন করে।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫-এ কীভাবে অংশ নেবেন—-

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫-এ আপনি এবং আপনার ক্লাস/স্কুল অংশ নিতে পারেন এমন অনেক উপায় রয়েছে!
আপনি তামাক এবং এটি ব্যবহারের বিপদ সম্পর্কে শিশুদের সাথে কথা বলার জন্য একটি সমাবেশ করে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ শুরু করতে পারেন। আশাকরি এটি শিশুদের সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করবে।
যদি আপনার স্কুলে এমন কেউ থাকে যারা ধূমপান করে, তাহলে আপনি তাদেরকে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫-এর জন্য কমপক্ষে ২৪ ঘন্টার জন্য ধূমপান ত্যাগ করতে উত্সাহিত করতে পারেন। আপনি যদি চান, আপনি তাদের নতুন, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস চালু করতে সাহায্য করতে পারেন যা তারা গ্রহণ করতে পারে। তাদের ধূমপানের অভ্যাস প্রতিস্থাপন করুন।
আপনি ধূমপান এবং তামাক ব্যবহারের বিপদ সম্পর্কে নিজেকে এবং অন্যদের শিক্ষিত করতে আমাদের দুর্দান্ত সংস্থানগুলিও ব্যবহার করতে পারেন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী মহামারী রুখতে আজও হয়ে আসছে মা রক্ষাকালীর পুজো – জানুন ইতিহাস।।।।।

মহামারীর মৃত্যু মিছিল থেকে রক্ষার জন্য শুরু হয় মা রক্ষাকালীর পূজা।আনুমানিক প্রায় একশ বছর আগে এলাকায় মহামারীর আকার ধারণ করে এবং সেই মহামারীরতে মৃত্যু মিছিল হয়েছিল শুরু হয়েছিল বলে ই জানা যায় এলাকাবাসীর এবং বারোটির সম্পাদকের থেকে।

আর সেই সময় এলাকার বেশ কয়েকজন মানুষ এলাকাবাসীদের মহামারীর হাত থেকে বাঁচাতে শুরু করেন মা রক্ষাকালীর পূজো।

শোনা যায় মা রক্ষা কালীর পুজো হবার পর থেকেই অদ্ভুতভাবে মহামারির মৃত্যু মিছিল থেকে রক্ষা পায় বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামের মানুষজন এবং তারপর থেকেই প্রতিবছর নির্দিষ্ট দিনক্ষণে শুদ্ধাচারে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই পূজো হয়ে আসছে মা রক্ষাকালীর।

সময়ের তালে তাল মিলিয়ে সব ধরনের অনুষ্ঠানেই কিছু পরিবর্তন আসে তেমনি মা রক্ষারকালী পূজোতেও এসেছে কিছু চমক, যেমন যাত্রাভিনয় এবং অন্যান্য বিচিত্র অনুষ্ঠান। মা রক্ষাকালীর পুজোকে ঘিরে এলাকার পাশাপাশি দূর দূরান্তের শত শত মানুষ ভিড় জমান পূজোর মন্ডপে। ৮ থেকে ৮০ সবাই মেতে উঠে পূজোর আনন্দে এমনকি দূরদূরান্তে যারা চাকরি করে তারাও মা রক্ষাকালীর পুজো উপলক্ষে ফিরে আসে নিজে নিজে বাড়িতে।

পাহাড়পুর এলাকায় বাড়ি কুশুমিতা দে বর্তমানে বাস আমেরিকায় তিনিও মায়ের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে এসেছেন পূজো উপলক্ষে। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী মা রক্ষাকালীর পুজো করেন হাসল দীঘির ব্রাহ্মণ যা আজও হচ্ছে।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

জানুন, বাঘের সেবা কেমন করে করলেন কৃষ্ণদাস ! : রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক।।।।।

বৃন্দাবনের গোবর্দ্ধনে বাস করতেন শ্রীকৃষ্ণদাস নামক এক সাধু । তিনি গোফার মধ্যে ভজন করতেন । দিবানিশি কৃষ্ণ নাম অতি উচ্চঃস্বরে করতেন। নাম নিতে নিতে এমন হতো যে ক্ষুধা-তৃষ্ণা, আহার-বিহার সব ভুলে যেতেন । নামানন্দে বিভোর হয়ে থাকতেন সর্বদা । কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে এমন করে করুণ সুরে ডাকতেন যে, শুনলে প্রাণ কেমন করে উঠতো ।

কৃষ্ণপ্রেমে উন্মত্ত সাধু কৃষ্ণদাস প্রেমানন্দে মজে থাকতেন সদা সর্বদা।
একদিন কৃষ্ণ দাসের গোফার দ্বারে বিশাল আকারের এক বাঘ এসে দাঁড়ালো। ভয়ংকর উগ্র মূর্তি সেই বাঘের। দেখলেই ভয় লাগবে এমন। তবে কৃষ্ণদাস কিন্তু একটুও ভীত হলেন না। মনে মনে বাঘটিকে অতিথি ভাবলেন তিনি । বহু সম্মান দেখিয়ে একটি আসন গোফার দ্বারে পেতে বাঘটিকে আদরের সুরে বসতে বললেন ‌ । আর , বাঘটিও সুরসুর করে আসনের ওপর হাত-পা ছড়িয়ে বিশ্রাম নিতে বসে পড়লো যেন।
যত্ন করতে হবে বাঘটিকে । কৃষ্ণদাস ভাবতে থাকলেন অতিথি এসেছে, কেমন করে আতিথেয়তা করি ? কী খেতে দেই তাকে ? ঘরে তো কিছুই তেমন নেই !
কৃষ্ণদাস নিজেই মাধুকরী করে এনে প্রসাদ পান। ঘরে সঞ্চয় বলতে কিছুই থাকে না ! তার ওপর বাঘ আবার মাংসাশী প্রাণী। মাংস এখন কোথায় পাই ? অতিথিকে তুষ্ট করার কথা ভাগবতেও আছে। বলা হয়েছে , ক্ষমতা না থাকলে নিদেনপক্ষে বসার আসন আর পান করার জলটুকু দিয়েও অতিথি সৎকার করা উচিৎ। কিন্তু, মাংস ভিন্ন অপর কিছু দিয়ে তো আর বাঘ-অতিথিকে খুশী করা যাবে না ! —-এইসব নানান ভাবনার উদয় হল কৃষ্ণদাসের মনে। পরক্ষণেই কৃষ্ণদাস ভাবলেন , আমার নিজের অঙ্গের মাংসতেই যদি বাঘকে সম্মান জানাই, তবে কেমন হয় ? সেটাই বরং ভালো হবে। আর তাই কৃষ্ণদাস নিজের অঙ্গের নানান জায়গায় ছুরি চালিয়ে টুকরো টুকরো মাংস কেটে বের করে আনলেন। কষ্ট , যন্ত্রণা কী হচ্ছিল না তাঁর ? হচ্ছিল , অবশ্যই হচ্ছিল । কিন্তু, নিজের মনকে তিনি শ্রীমন্ মহাপ্রভুর মুখবাক্যের কথা ভেবেই বোঝাচ্ছিলেন যে , ‘সর্বজীবে দিবে সম্মান । জানি কৃষ্ণ অধিষ্ঠান।।’ অর্থাৎ, প্রতিটি জীবের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ অবস্থান করেন । তাই প্রতিটি জীবকে সম্মান দিতে হয় । জীবসেবার চেষ্টা করতে হয়।
বাঘের সম্মুখে পাতায় করে কৃষ্ণদাস রেখেদিলেন নিজের শরীরের কয়েকটি ছোট মাংসখণ্ড । বাঘ তৃপ্তি ভরে খেল। আর তারপর চুপচাপ চলে গেল। কৃষ্ণদাস তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে মনে মনে তৃপ্তি পেলেন এই ভেবে যে , যাক অতিথি আপ্যায়নটুকু তো কোনমতে হল !
কৃষ্ণ ভক্তের স্বভাব যে এমনই হয়। নিজের দুঃখ বা লাভালাভে কোন আকর্ষণ থাকে না তাঁদের । অপরকে সুখী করেই তাঁরা আনন্দ পান।

—- ভক্তকৃপা ভিখারিণী
রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩১ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ৩১ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস৷
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫৭৭ – নূর জাহান, মুঘল সম্রাজ্ঞী ও সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রধান মহিষী ছিলেন।

১৭২৫ – অহল্যাবাঈ হোলকার, ভারতের মারাঠা মালওয়া রাজ্যের হোলকর রাণী।
১৮১৯ – ওয়াল্ট হুইটম্যান, মার্কিন কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক।
১৮৩৪ – কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার, ঊনবিংশ শতকের বাঙালি কবি ও পত্রিকা সম্পাদক।
১৮৬০ – চিত্রশিল্পী ওয়াল্টার সিকার্ট।
১৯০৮ – ডন আমিচি, মার্কিন অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা।

১৯১২ – চিয়েন-শিউং উ, চীনা-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী যিনি তেজস্ক্রিয়তা গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
১ ৯১৫ – অস্টেলিয়ান কবি ও পরিবেশবিদ জুডিথ রাইট।
১৯২২ – ডেনহোম এলিয়ট, ইংরেজ অভিনেতা।
১৯২৬ – প্রবীর সেন প্রথম বাঙালি ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার।
১৯২৮ – পঙ্কজ রায়, ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৩০ – ক্লিন্ট ইস্টউড, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, প্রযোজক এবং কম্পোজার।
১৯৪৫ – রাইনার ভের্নার ফাসবিন্ডার, পশ্চিম জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা, নাট্যকার, মঞ্চ পরিচালক, সুরকার, চিত্রগ্রাহক, সম্পাদক ও প্রাবন্ধিক।

১৯৪৬ – স্টিভ বাকনর, জ্যামাইকার মন্টেগো বে এলাকার জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ার।
১৯৪৯ – টম বেরেঞ্জার, মার্কিন অভিনেতা।
১৯৬৩ – ভিক্টর অরবান, হাঙ্গেরির বিশিষ্ট ডানপন্থী রাজনীতিবিদ।
১৯৬৫ – ব্রুক শিল্ডস, আমেরিকান অভিনেত্রী, সুপারমডেল ও সাবেক শিশু তারকা।
১৯৬৬ – রোশন মহানামা, সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৮৪ – মিলোরাদ কেভিচ, সার্বিয়ান সাঁতারু।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৯০ – মার্কিন কপিরাইট আইন কার্যকর হয়।
১৮৫৫ – স্নানযাত্রার দিন মহাসমারোহে দক্ষিণেশ্বর কালিবাডিতে মা ভবতারিণীর মূর্তিপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৮৫৮ – ওয়েস্টমিনিস্টার জুড়ে প্রথম ধ্বনিত হয়েছিল বিগ বেনের শব্দ।
১৮৬৬ – দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮৯ – প্যারিসের আইফেল টাওয়ার উদ্বোধন।
১৯০২ – বোয়ের যুদ্ধের অবসান হয়।
১৯১০ – দক্ষিণ আফ্রিকান ইউনিয়ন গঠিত।
১৯৩২ – জাপানের প্রধানমন্ত্রী কি ইনুকাই নিহত হন।
১৯৩৫ – কোয়েটায় ভূমিকম্পে ৫০ হাজার লোকের মৃত্যু।
১৯৪১ – জার্মানিতে গোথিক হরফ নিষিদ্ধ ও রোমান হরফ চালু হয়।
১৯৫২ – ভলগা ডন খালের উদ্বোধন।
১৯৬১ – দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়।
১৯৮৯ – দক্ষিণ কোরিয়া রানার্স আপ।
২০০২ – দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৩২ – এভারিস্ত গালোয়া, ফরাসি গণিতবিদ।
১৯১০ – এলিজাবেথ ব্ল্যাকওয়েল, ব্রিটিশ চিকিৎসক।
১৯৬৮ – অমিয়চরণ ব্যানার্জি, ভারতীয় বাঙালি গণিতবিদ।
১৯৮৬ – জেমস রেইনওয়াটার, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
২০০২ – সুভাষ গুপ্তে, ভারতীয় ক্রিকেটার।
২০০৪ – বিক্রমণ নায়ার, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও অধ্যাপক।
২০০৬ – রেইমন্ড ডেভিস জুনিয়র, মার্কিন রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানী।
২০০৯ – কমলা দাস প্রখ্যাত মালায়ালম ও ইংরাজী সাহিত্যের কবি, ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার।
২০১৪ – মার্থা হাইয়ার, মার্কিন অভিনেত্রী।
২০২০ – আবদুল মোনেম, বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি।
২০২২ – ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী, কে কে নামে সুপরিচিত কৃষ্ণকুমার কুন্নথ।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ জাতীয় সৃজনশীলতা দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।।।।

৩০ মে জাতীয় সৃজনশীলতা দিবসের জন্য আপনার কল্পনা প্রকাশ করুন! আমাদের জীবনের অনেক কিছু (অবশ্যই প্রকৃতি ব্যতীত) কারও কল্পনা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। শিল্পী, লেখক, ভাস্কর, চলচ্চিত্র নির্মাতা, শেফ, ল্যান্ডস্কেপার, স্থপতি এবং আরও অনেক – এই বিশেষ দিনটি প্রত্যেককে সম্মান ও উদযাপন করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যারা প্রতিদিন নতুন জিনিস তৈরি করে, ঠিক আপনার মতো কেউ!

জাতীয় সৃজনশীলতা দিবসের ইতিহাস—

সৃজনশীলতার ইতিহাস সম্পর্কে মানুষের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে এটি প্রাগৈতিহাসিক যুগে শুরু হয়েছিল যখন প্রাথমিক মানুষরা নিজেদেরকে ঢেকে রাখার জন্য পাতা ব্যবহার করত এবং শিকারের জন্য হাতিয়ার তৈরি করত। অন্যরা বিশ্বাস করেন যে এটি অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীদের থেকে উদ্ভূত হয়েছে। তারা ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় চলে গিয়েছিল, এই প্রক্রিয়ায় একটি অবিশ্বাস্যভাবে সৃজনশীল শিকারের সরঞ্জাম, বুমেরাং আবিষ্কার করেছিল। মানুষ মনে করে সৃজনশীলতার উৎপত্তি প্রাচীন মিশর, মেক্সিকো, এশিয়ায়। পিরামিড, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিদ্যা এবং উৎপাদন ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি সবই একটি সৃজনশীল বাঁকের উদাহরণ।
‘সৃজনশীলতা’ শব্দটি বছরের পর বছর ধরে পরিবর্তিত হয়েছে, বিভিন্ন সংস্কৃতি যেভাবে এটি উপলব্ধি করে তার সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। প্রাচীন গ্রীকরা শিল্প তৈরির ক্ষেত্রে নিয়মগুলি অনুসরণ করার পক্ষে কর্মের স্বাধীনতা এড়াতে পছন্দ করত, একটি অনুশীলন সৃজনশীল লোকেরা আজকের বিশ্বে পছন্দ করে না। গ্রীকদেরও ‘সৃজনশীলতা’-এর সাথে সম্পর্কিত কোনো নির্দিষ্ট শব্দ ছিল না, তবে একটি ব্যতিক্রম ছিল – ‘পয়েইন’ (যার অর্থ ‘বানানো’) শব্দটি বিশেষভাবে ‘পয়েসিস’ (‘কবিতা’) এবং ‘পয়েয়েটস’ (‘) এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কবি’ বা ‘নির্মাতা’)। গ্রীক সভ্যতার পরে, রোমানরা একটি নতুন শব্দভাণ্ডার, সাহিত্য, শিল্প এবং সবচেয়ে বিখ্যাত ভাস্কর্যের বিকাশ ঘটায়। মধ্যযুগীয় খ্রিস্টধর্ম ‘সৃজনশীলতা’ শব্দটিকে একটি নতুন অর্থ দিয়েছে। ল্যাটিন ‘সৃজনশীলতা’ ঈশ্বরের ‘ক্রিয়েটিও এক্স নিহিলো’ (‘শূন্য থেকে সৃষ্টি’) এর কাজকে উল্লেখ করেছে। এই সংজ্ঞার পরবর্তী পরিবর্তনগুলি সৃজনশীলতার দক্ষতাকে স্বাধীন হতে দেয় – এটি আর কেবল শিল্পের সাথে যুক্ত ছিল না। ইতিহাসে সৃজনশীলতার সর্বশ্রেষ্ঠ সময়কে বলা হয় রেনেসাঁর সময়কাল, যেখানে প্রত্যেকে নিজেদের প্রকাশ করতে চেয়েছিল, এবং সৃজনশীলতা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রস্ফুটিত হয়েছিল, এমনকি রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, শিল্প, দর্শন, বিজ্ঞান এবং শিক্ষার ক্ষেত্রেও।
গত দশকটি বিপ্লবে পূর্ণ হয়েছে, বিজ্ঞান সৃজনশীলতার দক্ষতার প্রতি আগ্রহ নিয়েছিল। আমাদের সৃজনশীলতাকে লালন করতে উৎসাহিত করতে এবং এইভাবে অন্যদেরও একই কাজ করতে অনুপ্রাণিত করতে, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং স্ক্রিনরাইটিংইউ-এর সভাপতি, হ্যাল ক্রাসমুন, স্ক্রিনরাইটিংইউ-এর সাথে একত্রে জাতীয় সৃজনশীলতা দিবস প্রতিষ্ঠা করেন।

জাতীয় সৃজনশীলতা দিবস কীভাবে উদযাপন করবেন—-

সৃজনশীল হও—

বিশ্বে আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ করুন। আপনার পছন্দের একটি সৃজনশীল কাজের দিকে আপনার শক্তিকে নির্দেশ করতে কিছু সময় নিন এবং এটির জন্য যান। কি আপনাকে অনুপ্রানিত করে? কি উত্তেজনাপূর্ণ চিন্তা সঙ্গে আপনার মন দৌড় পায়? আপনার আবেগ পরীক্ষা করুন এবং আপনার সৃজনশীলতা অন্বেষণ করুন, এমনকি যদি এটি শুধুমাত্র মজার জন্য হয়।

সৃজনশীলতাকে সমর্থন করুন—

সৃজনশীল শিল্পে তাদের স্বপ্নগুলি অনুসরণ করতে প্রিয়জনকে উত্সাহিত করুন। অন্তত, তাদের মনকে আলোকিত করার জন্য একটি নতুন সৃজনশীল শখ নিয়ে শুরু করুন। আপনি যে কোনো উপায়ে সৃজনশীল সম্প্রদায়কে সমর্থন করুন। আপনি যদি একটি নতুন স্থানীয় দোকান বিক্রয় শিল্প খুঁজে পেয়ে থাকেন, বিশদ শেয়ার করুন. ঘন ঘন সৃজনশীল ওয়েবসাইট এবং স্টুডিও. তাদের শিল্প, সঙ্গীত, এবং কাজ কিনুন. এই ভালবাসা শেয়ার করুন এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করুন।

সৃজনশীল দক্ষতা সম্পর্কে আরও জানুন—-

সৃজনশীল হতে শেখার সময়, হয়তো আপনি এই দক্ষতা আপনার জন্য কী করতে পারে, সৃজনশীলতা বাড়ানোর উপায় এবং আরও অনেক কিছু পড়তে পারেন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বাংলা চলচ্চিত্র জগতে পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ(Rituparno Ghosh) একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ঋতুপর্ণ ঘোষ ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সুনীল ঘোষ ছিলেন একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা এবং চিত্রকর। তিনি সাউথ পয়েন্ট স্কুলে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন এবং কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও লাভ করেন।

তিনি ভারতীয় সিনেমায় প্রকাশ্যে এলজিবিটি ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং ভারতের কুইয়ার সম্প্রদায়ের আইকন হিসেবে বিবেচিত হন।
ঋতুপর্ণ ঘোষ ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, লেখক এবং গীতিকার। অর্থনীতিতে ডিগ্রী অর্জনের পর, তিনি একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় সৃজনশীল শিল্পী হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি তার দ্বিতীয় ফিচার ফিল্ম ইউনিশে এপ্রিলের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছিলেন যেটি সেরা ফিচার ফিল্মের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল। তাঁর সমসাময়িক অপর্ণা সেন এবং গৌতম ঘোষের সাথে ১৯টি জাতীয় পুরস্কার জিতে, ঋতুপর্ণ সমসাময়িক বাংলা সিনেমাকে আরও উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। ঘোষ ৩০ ​​মে ২০১৩ কলকাতায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঘোষ ভারতীয় সিনেমায় প্রকাশ্যে সমকামী ব্যক্তিত্বদের একজন ছিলেন। ঘোষ সত্যজিৎ রায়ের রচনা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একজন আগ্রহী পাঠক ছিলেন। ঠাকুরের কাজ প্রায়শই তার চলচ্চিত্রে উল্লেখ করা হয়। তিনি ঠাকুরের জীবনের উপর জীবনস্মৃতি নামে একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করেন। প্রায় দুই দশকের কর্মজীবনে তিনি ১২টি জাতীয় এবং অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছেন। তাঁর অপ্রকাশিত বাংলা চলচ্চিত্র সানগ্লাস (তাক ঝাঁক নামেও পরিচিত) ১৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত এবং মুক্তি পায়। তার চলচ্চিত্র নির্মাণ অপর্ণা সেন, তপন সিনহা, সত্যজিৎ রায়, সঞ্জয় লীলা বনসালি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।
১৯৯৪ থেকে ২০১৩, মাত্র ১৯ বছর। এর মধ্যেই ঋতুপর্ণ ঘোষের মেধা এবং প্রতিভার ফসল মোট ১৯টি ছবি। প্রত্যেকটি ছবিই সতন্ত্র,অনবদ্য। ১৯টি ছবির মধ্যে ১২টি জাতীয় পুরষ্কার জয় করেছিল। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক পরবর্তী বাংলা সিনেমার নতুন এক ধারা তৈরি করেছিলেন ঋতুপর্ণ। ‘হীরের আংটি’-র হাত ধরে পথ চলা শুরু। শেষ হয়ে গেল ‘চিত্রাঙ্গদায়’-য় এসে।তিনি মারা যাওয়ার ঠিক আগে, তিনি বাঙালি গোয়েন্দা ব্যোমকেশ বক্সীর উপর ভিত্তি করে তার শেষ চলচ্চিত্র সত্যান্বেষীর নির্মাণ কাজ শেষ করেছিলেন।
অভিনেতা ঋতুপর্ণ—
২০১১- আর একটি প্রেমের গল্প
২০১১- মেমরিস ইন মার্চ
২০১২- চিত্রাঙ্গদা
পরিচালক ঋতুপর্ণ—
১৯৯৪- হীরের আংটি, উনিশে এপ্রিল (জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক, জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- দেবশ্রী রায়), ১৯৯৭- দহন (জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ স্ক্রিন প্লে, জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- ইন্দ্রাণী হালদার, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত), ১৯৯৯- বাড়িওয়ালি (জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী-কিরণ খের, শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেত্রী- সুদীপ্তা চক্রবর্তী), অসুখ (জাতীয় পুরস্কার – বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ সিনেমা), ২০০০- উৎসব (শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জাতীয় পুরস্কার), ২০০২- তিতলি, ২০০৩- শুভ মহরত (জাতীয় পুরস্কার – বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ সিনেমা, শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেত্রী- রাখী), চোখের বালি (জাতীয় পুরস্কার – শ্রেষ্ঠ বাংলা সিনেমা), ২০০৪- রেনকোট (হিন্দি ভাষায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কার), ২০০৫- অন্তরমহল, ২০০৬- দোসর (জাতীয় পুরস্কার, বিশেষ জুরি পুরস্কার – প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী), ২০০৭- দ্য লাস্ট লিয়র (ইংরেজি ভাষায় শ্রেষ্ঠ ছবির জাতীয় পুরস্কার), ২০০৮- খেলা, সব চরিত্র কাল্পনিক (জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ বাংলা সিনেমা), ২০১০- আবহমান (জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক, বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ ছবির জাতীয় পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার), নৌকাডুবি, ২০১২- সানগ্লাস, চিত্রাঙ্গদা (বিশেষ জুরি পুরস্কার, অভিনেতা ঋতুপর্ণ ঘোষ), জীবনস্মৃতি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী অবলম্বনে নির্মিত তথ্যচিত্র)।
ঋতুপর্ণ ঘোষ ৩০ ​​মে ২০১৩ তারিখে তার কলকাতার বাসভবনে মারা যান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। তার পরিচারক দিলীপ এবং বিষ্ণু তাকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৪৯ বছর।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নাগড় জলে ঘেরা একটি বিচ্ছিন্ন ভূমি, আজও রাজ পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ময়নাগড়ের অভ্যন্তরে বাস করে।।।।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নাগড় জলে ঘেরা একটি বিচ্ছিন্ন ভূমি। আজও রাজ পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ময়নাগড়ের অভ্যন্তরে বাস করে। কিন্তু এই ময়নাগড় রাজবাড়ির পুরোটাই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে। ফলে ময়নাগড়ে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নৌকা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যে কটি রাজবাড়ী রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ময়নাগড় রাজবাড়ী।

দুটি পরীক্ষা দ্বারা বেষ্টিত একটি ভূখণ্ড। যেখানে রাজ পরিবারের মানুষজন আজও বাস করে। আর তাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হল নৌকা। প্রাচীন এই ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের হাতে সযত্নে লালিত পালিত হচ্ছে।
কালিয়াদহ ও মাকড়দহ এই দুটি পরিখা দ্বারা বেষ্টিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম প্রাচীন জনপদ ময়নাগড়। ময়নাগড়ের ইতিহাস অনেক পুরনো। দুটি বড় পরিখা দ্বারা বিচ্ছিন্ন এই ভূ ভাগে রয়েছে নানান ঐতিহাসিক নিদর্শন। বর্তমানে একটা পরিখার ওপর রাস্তা তৈরি হলেও। এখনও একটি পরিখা ওপর কোন রাস্তা হয়নি। বলা ভালো এ বিষয়ে রাজ পরিবারের সদস্যরা কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। আর তার কারণ হল ময়নাগড়ের ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলা। ফলে এখনও ময়নাগড়ের ভেতর যেসব রাজ পরিবারদের সদস্যদের বাস তাদের বাড়ি থেকে বেরোলেই নৌকো হয়ে ওঠে যাতায়াতের প্রধান অবলম্বন।
ময়নাগড় রাজ পরিবারের বর্তমান সদস্যরা ময়নগড়ের ভেতরেই বসবাস করে। তাদের যাতায়াতের জন্য ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা রয়েছে প্রত্যেক বাড়ির। প্রতিদিন দৈনন্দিন কাজে এই নৌকা গুলো তাদের যাতায়াতের প্রধান অবলম্বন হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে রাজ পরিবারের বর্তমান সদস্য কৌশিক বাহুবলীন্দ্র জানান, অতীতের ঐতিহ্য এখনও বর্তমান ময়নাগড়ে। ময়নাগরে রাজ পরিবারের যাতায়াতের সদস্যদের জন্য প্রত্যেক বাড়ির নিজস্ব ঘাট রয়েছে আর ঘাটে বাঁধা থাকে নৌকো। ময়নাগড়ে প্রতিটি মানুষ এই ডিঙ্গি নৌকো চালাতে জানে। প্রতিদিন নৌকোয় করে পরিখার জল পথ পেরিয়ে যাতায়াত চলছে। এই ঐতিহ্য আগামীতেও বজায় থাকবে।’
ধর্মমঙ্গল খ্যাত লাউসেনের কাহিনী আজও মানুষের মুখে মুখে ঘুরে। গৌড় থেকে লাউসেন তার রাজধানী ময়না স্থানান্তরিত করে। হাজার বছর ধরে আজও পূজিত হয় রঙ্কিনী দেবী। ধর্মমঙ্গল কাহিনীকে বাদ দিলেও ময়না গড়ের বয়স কিন্তু কম নয়। কলিঙ্গ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ‘জলৌতি দণ্ডপাট’ এর অধিকারী ছিল বাহুবলিন্দ্র রাজ পরিবারের পূর্ব পুরুষেরা। ‘জলৌতি দণ্ডপাট’ এর রাজধানী ছিল বালিসিতা গড়। এই বালিসীতা গড় থেকেই ১৫৬১ সালে বাহুবলীন্দ্র রাজ পরিবারের পূর্ব পুরুষ গোবর্ধননন্দ বাহুবলীন্দ্র প্রথম ময়নাগড়ে রাজধানী স্থাপন করেন। যা আজও মানুষের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩০ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ৩০ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক) জাতীয় সৃজনশীলতা দিবস

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৭৯ – কলিন ব্লাইদ, প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।  .

১৮৯৫ – মরিস টেট, ইংলিশ ক্রিকেটার।

১৮৯৯ – আরভিং থালবার্গ, মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক।
১৯০৮ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ পদার্থবিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী উলফ গোস্তা আল্‌ফভেন ।

১৯১৭ – মার্কিন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি।

১৯২৮ – আনিয়েস ভারদা বেলজিয়ামে জন্মগ্রহণকারী ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক, আলোকচিত্রী ও চিত্রশিল্পী ।

১৯৩৪ – অ্যালেক্সি লিওনভ, সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়ান নভোচারী।

১৯৪০ – জগমোহন ডালমিয়া, বিশিষ্ট ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসক ছিলেন।
১৯৪৯ – বব উইলিস, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।
১৯৫০ – (ক)  ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা।

(খ) পরেশ রাওয়াল, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।
১৯৭৫ – ম্যারিসা ম্যায়ের, আমেরিকান ব্যবসায়িক নির্বাহী।
১৯৮০ – স্টিভেন জেরার্ড, ইংলিশ ফুটবলার।
১৯৯০ – আন্দ্রেই লোকতিয়োনোভ, রাশিয়ান আইস হকি খেলোয়াড়
১৯৯১ – জোনাথন ফক্স, ইংরেজ সাঁতারু
১৯৯২ – ড্যানিয়েল হেরাল্ড, ইংরেজ অভিনেতা
২০০১ – হীরা, মণি, মুক্তা বাংলাদেশের প্রথম ত্রয়ী টেস্টটিউব বেবী

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬৩১ – ফ্রান্সের প্রথম সংবাদপত্র লা গ্যাজেট প্রকাশিত হয়।
১৮০৭ – মোস্তফা চতুর্থ কর্তৃক তুরস্কের সুলতান সেলিম তৃতীয় ক্ষমতাচ্যুত।
১৮৫৯ – ইংল্যান্ডের বিগ বেন ঘড়ি প্রথমবারের মতো বেজে উঠে।
১৮৯৯ – কলকাতার ঘরে ঘরে বৈদ্যুতিক সরবরাহ শুরু।
১৯১৩ – আলবেনিয়া নতুন রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়।
১৯১৭ – প্রথম আলেকজান্ডার গ্রিসের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৯১৮ – প্রথম মহাযুদ্ধ চলাকালে ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মারনে নদীর কাছে জার্মান ও মিত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সমাপ্তি ঘটে।
১৯১৯ – জালিনওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ নিজের হাতে নাইটহুড ত্যাগের অবিস্মরণীয় চিঠি লেখেন তৎকালীন বড়লাট চেমসফোর্ডকে।
১৯৫৩ – নিউজিল্যান্ডের হিলারি ও নেপালের তেনজিংয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়।
১৯৫৪ – শেরেবাংলা ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বাতিল। পূর্ববাংলায় গভর্নর শাসন জারি।
১৯৬৭ – নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বিয়াফ্রা (১৯৬৭-৭০) স্বাধীনতা ঘোষণা করে, এর ফলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৮১-বাংলাদেশে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী কিছু সেনার হাতে রাষ্টপ্রতি জিয়া নিহত,ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান সংঘটিত।
১৯৯০ – বরিস ইয়েলৎসিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত।
১৯৯০ – কর্ণফুলী সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়।
১৯৯১ – ক্রোয়েশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা।
১৯৯৬ – বেনজামিন নেতানিয়াহু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।
১৯৯৭ – বাংলাদেশের তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক শুক্রবার-শনিবার দু’দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করে।
১৯৯৮ – আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে এক ভূমিকম্পে ৫০০০ লোক নিহত হয়।
১৯৯৯ – নাইজেরিয়ায় সামরিক শাসনের অবসান। ওলসেগুন ওবাসাঞ্জো ১৫ বছরের মধ্যে নাইজেরিয়ার প্রথম বেসামরিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৪৩১ – জোন অফ আর্ক, পরাধীন ফ্রান্সের মুক্তিদাত্রী বীরকন্যা এবং রূপকথাতুল্য এক নেত্রী।
১৫৯৩ – ক্রিস্টোফার মার্লো, ইংরেজ নাট্যকার, কবি ও অনুবাদক।
১৬০৬ – গুরু অর্জন, শিখধর্মের প্রথম শহিদ ও দশ জন শিখ গুরু মধ্যে পঞ্চম।
১৭৪৪ – আলেকজান্ডার পোপ, অষ্টাদশ শতকের জনপ্রিয় ইংরেজ কবি।
১৭৭৮ – ভলতেয়ার, ফরাসি লেখক ও দার্শনিক।
১৭৭৮ – ফ্রান্সের বিখ্যাত দার্শনিক ও লেখক ফ্রান্সোয়া মেরি আরোয়া।
১৯০৩ – সার্বিয়ার রাজা আলেকজান্ডার আর্বোনোভিচ।
১৯১২ – মার্কিন বিমান আবিষ্কারক উইলবার রাইট।
১৯৪১ – প্রজাধীপক, থাই রাজা।
১৯৬০ – বরিস লেয়োনিদভিচ পাস্তের্নাক, রুশ সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক এবং অনুবাদক।
১৯৬৫ – লুই ইয়েল্ম্‌স্লেভ, ডেনীয় ভাষাবিজ্ঞানী।

১৯৮১ – জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান এবং বীর উত্তম উপাধিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৮৪ – বাঙালি লেখিকা ও ঔপন্যাসিক শান্তা দেবী (নাগ)।
২০০৬ – রবার্ট স্টার্লিং, আমেরিকান অভিনেতা।
২০১১ – রোজালিন ইয়ালো, আমেরিকান চিকিৎসাক, পদার্থবিদ এবং রেডিওইমিউনোঅ্যাসে। (জ. ১৯২১)
২০১২ – অ্যান্ড্রিউ ফিল্ডিং হ্যাক্সলি, ইংরেজ শারীরতত্ত্ববিদ এবং জীবপদার্থবিজ্ঞানী।
২০১৩ – ঋতুপর্ণ ঘোষ, ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক অভিনেতা লেখক ও গীতিকার ।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং দিনটির ইতিহাস।।।

২৯ মে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের আন্তর্জাতিক দিবস সংগঠনের শান্তির জন্য পরিবেশনকারী ইউনিফর্মধারী কর্মী এবং বেসামরিক নাগরিকদের অটুট প্রতিশ্রুতি এবং ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। দিবসটি চিহ্নিত করার গভীর অর্থ রয়েছে – তাদের অমূল্য অবদানের প্রশংসা করা এবং ১৯৪৮ সাল থেকে কর্তব্যরত ৪০০০ জনেরও বেশিকে সম্মান জানানো।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের আন্তর্জাতিক দিবস থিম ২০২৫-

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস ২০২৫ এর থিম

প্রতি বছর এই দিনে শান্তিরক্ষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ব্যক্তিদের সম্মান জানাতে এই থিমটি বরাদ্দ করা হয়।

এই বছর, ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের প্রতিপাদ্য এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের আন্তর্জাতিক দিবসের ইতিহাস–

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত, এটি ২৯ মে, ১৯৪৮ সালে প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন – জাতিসংঘের যুদ্ধবিগ্রহ তদারকি সংস্থা (UNTSO) – ইসরায়েল এবং আরব রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ফিলিস্তিনে UNTSO-এর কার্যক্রম শুরুর সাথে মিল রেখে চিহ্নিত করে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার বিবর্তন—

৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, এটি একটি বিশ্বব্যাপী পালিত দিবসে পরিণত হয়েছে যারা শান্তি বজায় রাখার জন্য তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ পুরুষ ও মহিলাদের সাহসিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। বিভিন্ন দেশের বাহিনী মোতায়েন করা এবং ক্রমবর্ধমান সংকটের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মধ্যে মূল শক্তি নিহিত। তরুণ শান্তিরক্ষীরা উল্লেখযোগ্যভাবে সাফল্য সক্ষম করে।

বিশ্বব্যাপী প্রভাবের উত্তরাধিকার—
প্রায় ৭২ টি সফল অপারেশন বিশ্বব্যাপী অগণিত জীবন বাঁচিয়েছে। অগ্রগামী মধ্যপ্রাচ্য মিশন সংঘাতের সমাধান এবং শান্তির প্রতি জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে – পরবর্তী সমালোচনামূলক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি উত্তরাধিকার।

স্মারক কার্যক্রম—

মহাসচিব পতিত শান্তিরক্ষীদের সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন যারা বিপদের মধ্যে কাজ করেছেন। জাতিসংঘের কার্যালয়, সদস্য রাষ্ট্র এবং এনজিওগুলি পালন করে। ২০২২ থিম ‘মানুষ। শান্তি। অগ্রগতি। অংশীদারিত্বের শক্তি’ শান্তিরক্ষা বিজয়ের জন্য অত্যাবশ্যক সহযোগিতার ওপর জোর দেয়।

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের তাৎপর্য—

বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা-
বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রচার করে, শান্তিরক্ষীদের প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্যভাবে জীবন রক্ষা করে এবং সংঘাতের বৃদ্ধি রোধ করে।

শান্তিরক্ষীদের সহায়তা—

মনোবল বৃদ্ধি এবং সমর্থন নিশ্চিত করার একটি দিন হিসাবে, এটি স্বীকৃতির মাধ্যমে দক্ষ কর্মক্ষমতা অনুপ্রাণিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সচেতনতা বৃদ্ধি—-

জনসাধারণকে অপারেশন এবং অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে, এটি নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার দিকে শান্তিরক্ষীদের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টাকে স্পটলাইট করে।
উপসংহারে, এই আন্তর্জাতিক দিবসটি শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগের জন্য বিশ্বব্যাপী কৃতজ্ঞতা এবং শান্তির প্রতি তাদের মহৎ কাজকে সক্ষম করে রাখার জন্য একটি শক্তিশালী আহ্বান হিসাবে দাঁড়িয়েছে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও বীরভোগ্যা বসুন্ধরা : স্বামী আত্মভোলানন্দ।।।।।

ওঁ নমঃ শ্রী ভগবতে প্রণবায় ….। আমাদের পরম পবিত্র ভারতভূমিতে যৌথ পরিবার ছিল, পারিবারিক, সামাজিক বন্ধন গুলো খুব সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। কিন্তু, বর্তমানে ভারতবর্ষে আমাদের সমাজে নিঃস্ব রিক্ত মানুষের জীবনে বিপদে আপদে কেউ পাশে থাকেনা, মানুষ তার বিপদেই পাশে থাকে যার অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানটা শক্তপোক্ত।

আমাদের এই পৃথিবী হল বীরভোগ্যা বসুন্ধরা। বীরের বীরত্ব তার কর্মেই। তাই বসুন্ধরার প্রতি সঠিক কর্তব্য পালনের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কর্মক্ষম থেকে বসুন্ধরাকে যথাযোগ্য সম্মান করা। আর সেই জন্য দরকার শারীরিক দৃঢ়তা ও মানসিক সুস্থতা। নিজেকে সুস্থ রাখার ব্যাপারটা সাধনার অঙ্গ। আর, দেখবেন শরীর সুস্থ থাকলে সব কাজ সহজ হয়ে যায়। যেমন আমাদের জীবনে সত্য এবং মিথ্যা পাশাপাশি থাকে। যখন আমরা সত্যকে মিথ্যার উপর আনতে পারি তখন সত্য মিথ্যাকে দাবিয়ে দেই। তেমনই যখন আমরা মিথ্যাকে সত্যর উপর আনতে পারি তখন মিথ্যা সত্যকে দাবিয়ে দেই। এর জন্য দরকার আমাদের প্রচন্ড পুরুষকার। পুরুষকার সত্যকে মিথ্যার উপরে বিজয় লাভ করতে সাহায্য করে। আমাদের পুরুষার্থের অভাবে সত্য সব সময় বিজয় লাভ করে না। যা আমাদের ধারণ করে থাকে তাই ধর্ম। জলের যেমন প্লবতা শক্তি বা অগ্নির যেমন দাহিকা শক্তি তেমনই মানুষের যে গূণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না তাই ধর্ম – অর্থাৎ মনুষ্যত্ব। ধর্ম অর্থ এখানে সত্য। ধর্ম মানে ধারণ করা, সত্য যে রক্ষা করে সত্য তাকে রক্ষা করে। সত্য রক্ষার মধ্যেই পুরুষার্থ লুকিয়ে আছে। তাই, তো বীরভোগ্যা বসুন্ধরা।
ভবিষ্যত তাদেরই যারা তাদের স্বপ্নের সৌন্দর্যে বিশ্বাস করে। সৌন্দর্য মূলত আধ্যাত্মিক। প্রকৃত সৌন্দর্য মানুষের হৃদয়ে নিহিত থাকে। এটি এক একজনের, এক এক রকম ভাবে চরিত্রে রয়েছে। সৌন্দর্য বিশুদ্ধতায় বাস করে। গুণে সৌন্দর্য উজ্জ্বল হয়। প্রেম সমগ্র সৃষ্টির সাথে একত্বের একটি পরিমার্জিত, সহজাত অনুভূতি। প্রেম হল আত্মত্যাগ, নিঃস্বার্থতা। আমাদের এক চোখ কখনো আরেক চোখকে দেখেনা, তবুও এক চোখের কিছু হলে আরেক চোখে অশ্রু না ঝড়িয়ে পারে না। তেমনই ভালবাসা হল হৃদয়ের পবিত্রতা। ভালবাসা হল অবাধ সদিচ্ছা, করুণা, সহানুভূতি এবং সহনশীলতা। প্রেম হল কামুকতার অনুপস্থিতি। হৃদয় এবং সৌন্দর্যের মধ্যে একটি সম্পর্ক আছে। এটি হল উদ্দেশ্য, অনুভূতি এবং চিন্তার বিশুদ্ধতা। সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হল আত্ম অহংকার ও আত্ম গুরুত্বের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। এটি একটি নিঃস্বার্থ হৃদয়ে পাওয়া যায়, যা না চাইতেই দিতে প্রস্তুত। আমি কবে মুক্ত হব? যখন ‘আমি’ আমি হওয়া বন্ধ হয়ে যাব। ভালো সময় যেমন চিরস্থায়ী নয় ঠিক তেমনই খারাপ সময়ও চিরস্থায়ী হয় না, তাই ধৈর্য্য ধরুন আর ভগবানের ওপরে ভরসা রাখুন, দেখবেন খুব তারাতাড়ি আপনার খারাপ সময়টাও পেরিয়ে যাবে । সরল জীবনযাপন এবং উচ্চ চিন্তাই মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য। সুখ সবার কাছেই মনের কোনে হৃদয়ে গোপন থাকে। মানুষের হৃদয়ে সুখ ছাড়া সৌন্দর্য নেই। এখানেও সেই পুরুষার্থ লুকিয়ে আছে। তাই, তো বীরভোগ্যা বসুন্ধরা।
ভগবান শুধু আবেগের জন্য ক্ষুধার্ত, ভগবান ভক্তির কাঙাল, আবেগ দিয়েই তাকে পাওয়া যায়। প্রাণীরাও তাদের জীবনকে ভালোবাসে, তারাও মানুষের মতো দুঃখ-কষ্ট, সুখ-দুঃখ অনুভব করে। মানুষের মতো তারাও চায় কেউ যেন তাদের হত্যা বা হয়রানি না করে।দেবদেবীর সাথে যে কোনো পশু বা পাখির মেলামেশাও পশুর সুরক্ষার প্রতীক। আমাদের হিন্দু ধর্মে সর্বত্র নিরপরাধদের প্রতি অহিংসার কথা বলা হয়েছে এবং সর্বত্র হিংসা না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেখবেন যদি সবাই আপনাকে নিয়ে খুশি হয়, তবে আপনি অবশ্যই আপনার জীবনে অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। আর আপনি যদি সবাইকে নিয়ে সুখী হন, তাহলে নিশ্চয়ই আপনি অন্যের অনেক দোষ উপেক্ষা করেছেন। আমাদের জীবনে সততা একটি বিরল, ব্যয়বহুল উপহার। এটি সস্তা মানুষের কাছে আশা করবেন না। তাই নিজে কখনো যদি খারাপ থাকেন, কখনো কারো কাছে প্রকাশ করবেন না, ভুল করেও কখনো এটা প্রত্যাশাও করবেন না যে, কেউ আপনার খারাপ থাকার কথা শুনে, ছায়ার মতো আপনাকে আগলে রাখবে, এক নিষ্ঠ মনে আপনার ভালো করার চেষ্টা করবে, সব সময় মনে রাখবেন! বর্তমান কালে খারাপ সময়টা একান্তই আপনার নিজের, এই সময়টাতে আপনিই আপনার একমাত্র পরীক্ষক, আপনি নিজের যতটা পরীক্ষা নিতে পারবেন, যতটা নিজের পরিপক্কতার দক্ষতা রাখতে পারবেন ততোই আপনার সফলতা নিশ্চিত। ‘আমি ভালো নেই’ বা ‘ আমি খারাপ আছি’ এই কথাটা কখনো কারো কাছে প্রকাশ করতে যাবেন না, মানুষ আপনার খারাপ থাকার গল্পটাই শুধু দীর্ঘায়িত করবে, সংকুচিত করার কোনো চেষ্টাও করবে না। মানুষ আপনার খারাপ থাকার গল্প শুনে সামনে আপনাকে কে মিথ্যে মিথ্যে স্বান্তনা দিয়ে, অন্যের কাছে খারাপ থাকার গল্প শুনিয়ে মজা করবে। আপনার পুরুষার্থ দিয়ে খারাপ সময়টা আপনাকেই জয় করতে হবে। তাই,তো আমাদের এই বসুন্ধরা বীরভোগ্যা। সুখ সব সৌন্দর্যের রহস্য। সুখ ছাড়া সৌন্দর্য নেই। জীবন আপনারও সুন্দর, অর্থপূর্ণ, মজাদার এবং পরিপূর্ণ হতে পারে, যদি আপনার পুরুষকার দিয়ে আপনি এটি জয় করতে পারেন।
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ….!

স্বামী আত্মভোলানন্দ

Share This