লেখক অভিজিৎ বছরের পর বছর ধরে নিজের উপন্যাস লিখছে—কিন্তু শেষ অধ্যায়টা লিখতেই পারছে না।
কারণ? গল্পে যে মেয়েটি আছে—মীরা—তার বাস্তব রূপকে সে হারিয়েছে পাঁচ বছর আগে।
এক সন্ধ্যায় বইমেলায় গিয়ে অভিজিৎ চমকে উঠল। সামনে দাঁড়িয়ে আছে মীরা—হুবহু একই।
মীরা বলল—“তোমার লেখা পড়েছি। সেখানে আমি কেন হারিয়ে যাই?”
অভিজিৎ বলল—
“কারণ বাস্তবে তুমিই হারিয়ে গিয়েছিলে… কারণ না জানিয়েই।”
মীরা চোখ নামিয়ে বলল—
“পরিস্থিতি ছিল… তুমি বুঝতে না।”
দু’জনই চুপ। বইমেলার ভিড়, আলো এবং গন্ধ যেন দূর হয়ে গেল।
মীরা বলল—
“এখন যদি বলি—আবার শুরু করতে চাই… তুমি রাখবে?”
অভিজিৎ দীর্ঘশ্বাস ফেলল—
“আমার গল্প তো আধখানা হয়ে বাকি আছে। শেষটা লিখব কী করে? যা হারিয়েছিলাম তা যদি ফিরেই আসে… তাহলে হয়তো শেষটা লিখতে পারব।”
মীরা ধীরে অনিকের হাত ধরল—
“শেষটা তবে আমাদের দু’জনের লেখা হোক।”