Categories
কবিতা

আতর বাড়ি :: রাণু সরকার।।

এই মেয়ে, শোন-
কেনোরে তুই, আতর দিয়ে গা ধুয়েছিস?
তোর গায়ের গন্ধে পাড়ায় থাকা দায় হয়েছে-
সবাই করে কানাকানি,এই গন্ধ কি লুকিয়ে রাখা যায়-
রাতবিরেতে দরজা এঁটে থাকবি তুই খাটে সেঁটে।

শোন বাবু, মাটা আমার গেলো মরে,
ছ’মাস পরে গেলো বাপটাও-
বাপের ছিলো টানের রোগ-কাজ ছিলো তার পরের রিক্সা টানা।

চলছিলো বেশ বাপ-বেটিতে,
বাপের আমি ছিলাম চোখের মনি, একা ফেলে গেলো চলে।

জানিস বাবু গভীর রাতে দমকা বাতাস
গন্ধ নিয়ে-ঢোকে আমার দরজা ঠেলে,
রঙবেরঙের ডালপালা সব গুঁতায় তারা ঘাড়ে-পিঠে।

ভোরের আলো ফোটার আগেই দমকা বাতাস পালায় ছুটে-
ভোরের আলো ফুটলে পরে গায়ের ক্ষত জ্বলতে থাকে–

ক্ষতরা সব আমায় দেখে ব্যথায় ব্যথায় দিন যে কাটে,
ভয়ে ভয়ে থাকি রাত যেন আর না আসে
বলতে পারো বাবুমশাই আমার কি দোষ?
কোন পাপেতে ডুবে আছি-
নিয়ে যাবে বাবুমশাই, তোমার বাড়ি?

সব কাজ করে দেবো গিন্নি মাকে-
সব কাজ আমি করতে পারি,
গায়ে আমার ব্যথা-ভীষণ কষ্ট হয়-
তোমার কাছে আমার কষ্ট একটুও কি কষ্ট নয়?

তোমারও তো মেয়ে আছে,
নেবে আমায় বাবুমশাই, তোমার সাথে?

এই বয়সে তোকে নিলে বদনাম হবে-
তুই যেমন আছিস তেমনই থাক-
আসবো না আর বলতে তোকে-
তোকে নিলে আমার বাড়ির নাম যে দেবে আতর বাড়ি।

Share This
Categories
কবিতা

বিদায় :: রাণু সরকার।।

যাকে ভালোবেসেছিলি তার হাত ধরে গেলি চলে
দুহিতা আমার-
চিরকাল সুখে থাক, এতো ছোট কালে নিলি বিদায়!
আমার ঘরের রত্ন ছিলি তুই,
এখন তুই অন্য ঘরের হোলি, তোর গুণের দ্বারা আশীর্বাদ যেন পাস।
ভেবেছিলাম দেখেশুনে দেবো তোকে তা আর হতে দিলি কই-
এক পরিবার থেকে অন্য পরিবারে মানিয়ে নেওয়া বড্ড কঠিন।
সুখে শান্তিতে থাকিস তনয়ের হাত ধরে,
যখন সময় পাবি- যত আছে দুঃখ জ্বালা ফেলে যাস্ আমাদের ঘরে।
ওখানে যে রাখতে নেই দুহিতা আমার মনে রাখিস।
ওটা এখন তোর শশুড়ের ঘর মনে যেন থাকে-
এলি যখন বিলম্ব না করে চলে যা দ্রুত-
আমি আর পারছি না সইতে তোর জ্বালা, বিলম্ব করলে দণ্ড দেবে তোকে।
কেনো রাখবো তোকে ধরে ওরা যে ডাকছে তোকে-
তোর কাছে রইল রাখা প্রাণাধিক ভালোবাসা। কাতরোক্তি এসে এসে যাস্ দিয়ে,
চোখের জল রাখার পাত্র রেখেছি হৃদয়ে গোপনে
যখন ইচ্ছে হবে নিজে হাতে খুলে রেখে যাস্ করবোনা বারন।
আমার থেকে কিছু হাসি,আনন্দ, সুখ,শান্তি নিয়ে যাস্ তোর শশুড় ঘরে।
সুখে থাক তাহাদের নিয়ে যা কিছু নিয়ে গেলি ভালো তাহাদের মধ্যে দিস বিলিয়ে।

Share This
Categories
কবিতা

বেঁচে থেকে মৃত্যু : রাণু সরকার।।

মৃত্যু হলে নাকি সব শেষ হয়ে যায়-
সত্যিই কি তাই হয়?
তাহলে দাহ করে এসে তার স্মৃতিচারণ কেনো করি?
ঐন্দ্রজালে সৃষ্ট মায়াকানন তাই বিচরণ করি
এ জগত্ প্রপঞ্চময় সবই মিথ্যা-
ব্রহ্মই শুধু সত্য।
এই মায়াজালের মধ্যে আছে স্নেহ মমতা প্রভৃতির বন্ধন-

আমার দেখা কিছু মৃত্যু মানুষ কিভাবে যে হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে,আমার কিছু বলার ভাষা নেই,
ওদের দেখে দেখে মনে হয় আমিও ওদের মতো,
আসলে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।
ঐন্দ্রজালে জড়িয়ে আছি যে- উপলব্ধি করি না বা করার ক্ষমতা নেই- সবকিছুই ভুলে আছি মিথ্যায়।

আমার সাথে কথা বলে হাসে আবার কখনো কাঁদে আবার কখনো একান্তে নীরব স্থানে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে আসলে তাদের হৃদয়ের মৃত্যু হয়েছে,
তাই মৃত্যুই শেষ কথা নয়-
বেঁচে থেকে মৃত্যু হলে আসল মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া মন্থর গতিতে, এ মৃত্যু বড্ড ভয়ঙ্কর ধুঁকে ধুঁকে মরা, এটা একটা গভীর অন্ধকার জগৎ আলোতে আসার কোন পথ পায় না এরা খুঁজে।

Share This
Categories
কবিতা

কোথায় পাবো তারে :::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

মস্তিকের কোষে কোষে প্রবাহিত তরঙ্গ,
জীবনযুদ্ধে কালজয়ের আহবান,
পৃথিবী কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে একদিন কৃষ্ণ গবাক্ষে প্রস্থান,
রুদ্ধ নিঃশ্বাসে পূর্ণ বিষাক্ত বায়ুমণ্ডল , আজ এই কালবেলায়।

বিসর্জনের ডুলি ভরা ঢাকের কান্না নীল কণ্ঠ পাখির চোখেও-
নিরঞ্জনে দুঃখহীন আনন্দের স্রোতে অশ্লীল নীল জল,
বুকেতে জ্যোৎস্না লুকিয়ে এতযে উৎশৃঙ্খল মিলন সঙ্গম-
তুমি সতী পতিহীনা পরকিয়ায় সিঁদুর গ্রহণ।

উন্মত্ত ,ক্ষিপ্ত এলোকেশী রক্ত রাঙানো একহাত জিভ,
বুক স্পর্শ পদতলে সর্বনাশের লজ্জায় মরণ। তবুও সময় –
অবৈধতায় উত্থাল,পাথাল , মরে গেছে লজ্জাস্মরণ,
ইতিহাস রচে কলম কারিগর পাতায়,পাতায় অষ্ট প্রহর।

এখনও উপোস বাহাত্তুরে থুত্থুরে, বুকেতে স্নেহ,
ঘর, গৃহস্থলী হৃদয়ে রক্ষিত ,বারব্রত মঙ্গল ঝরায়।
শতযোনি ছিন্নভিন্ন লুক্কাইয়িত খুশি মেখে, মেখে ,
ক্ষমাহীন আগামী,অপ্রতিহত উদগ্র, হিংস্র উত্তরাধিকার …।

সংরক্ষিত/প্রবীর কুমার চৌধুরী।

Share This
Categories
কবিতা

কালবেলায় অবগাহন ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

আজানুলম্বিত বাহু মেলে মস্তিষ্কে হাত রাখে বিধাতা
হস্তেনির্গত বিষধর সাপ যেন বহুফনায় করে দংশন
নীলকণ্ঠ নহি,নীলাক্রান্ত মৃত্যুই প্রাত্যহিক উপসংহার।
তোমার আলিঙ্গনে নত মাথা, মিথ্যা অভিনয়ে শৃঙ্খল পরাও হে কালকূট।

এ কালবেলা সরিয়ে চাদর ঘুমন্ত দাবনায় রাখে মাথা,
কামনায় আবৃত চোখে প্রস্ফুটিত স্তন পান করে জিঘাংসায়
নগ্নতায় ভরায় এ ধরণীর নির্মল সিঁথির সিঁদুর
তারপর বেশ্যাদ্বারের মাটি শুষে নেয় সহস্র সতীর অশ্রুবিন্দু।

শুস্ক নদীতে পচা, গলা,ফোলা প্রাণহীন শবেদের অবগাহন,
বালুকায় অষ্টপ্রহর ভাঙা গড়ার চিরাচরিত ইতিহাস।
অগ্নিদগ্ধ দক্ষিণা বাতাসের তৃপ্তিহীন দীর্ঘশ্বাস বাতায়নে,
শতসহস্র পরিযায়ী পাখি ফিরে যায় ক্ষত বিক্ষত ডানা মেলে।

গাছের ঝরা পাতার দীর্ঘশ্বাস ,দূষণ,শোষণ আর লোভে মৃত্যুর দিন গোনে ,
প্রতি প্রভাতে গণিকার ঘুম ভাঙে শত ব্যথার পাঁজরে,
পুরুষের প্রতিস্পধী দেবী মাটি খোঁজে কুমারের টুলিতে, টুলিতে,
অনুশোচনায় চোখ মোছে পরাধীন,অদৃশ্য বেড়ি পায়ে নব্য সতী।

সোনালী ধান প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়ায় সবুজ শস্য ক্ষেতে,
প্রাণহীন কাকতাড়ুয়া মহাশূন্যে হাত মেলে দীর্ঘ তপস্যায়।
আজ হয়তো কোন পোয়াতির গর্ভে অপেক্ষায় নির্ভীক-
পুরুষাকার, হয়তো দেশাত্ববোধের আগামী রূপকার।

সংরক্ষিত/ প্রবীর কুমার চৌধুরী।

Share This
Categories
কবিতা

তোমাকে চাই : : প্রবীর কুমার চৌধূরী।।।

পথে পথে,মিছিলে মিছিলে,প্রাত্যহিক সংগ্রামে,শুধু তোমাকে চাই
বঞ্চিত,শোষিত,রক্তাক্ত আর বুভুক্ষায় কঠোর প্রতিজ্ঞা বুকে চেপে
শেষশীতে কম্বলহীন,দাঁতে, দাঁত চেপে ছাই চাপা নিভন্ত মনের
আগুনের সন্ধ্যানে দিন রাত এককরা শেষ বিকেলের সূর্যস্নাত
দুর্বিনীত অভিশাপ বুকে শুধু তোমাকে চাই।

” ঊষর ধূসর ” হিংস্র হিংলাজে সময়কে চেপে দুইহাতে
প্রতিস্পর্ধি হওয়ার শেষ বাসনাতে,মৃত্যুর বুকে পা রেখে আসুক-
বজ্রসম মনোবল, প্রতিবাদের দ্রোহকাল ছিনিয়ে আনার সংকল্পে
জানি অজাতশত্রু কেহ নয়, সবারি আছে প্রাণে ভয়
তবুও মুক্তির খোঁজে নির্ভয়ে অধিকারের নিশান আঁকড়ে ধরবো- দুইহাতে।

এ আহবকাল দুরমুশ করে শান্ত জীবন,স্বপ্নগুলো ছিনিয়ে নেয়
তাই আজ আগামীর মিছিলে মিছিলে মুখে থাক সাম্যের শ্লোগান।
ব্যথিত হৃদয়ে থাক কঠোর প্রতিজ্ঞা,সবকিছু হারানোর প্রজ্বলিত ক্রোধের শিখায় এসো করাঘাতে জাগিয়ে তুলি,শপদে আশা
আর যেন কেউ কোত্থাও কারোর মুখের ভাত ছিনিয়ে না খায়।

সংরক্ষিত /প্রবীর কুমার চৌধুরী

Share This
Categories
কবিতা

তোমাকে চাই ::: প্রবীর কুমার চৌধূরী।।।

পথে পথে,মিছিলে মিছিলে,প্রাত্যহিক সংগ্রামে,শুধু তোমাকে চাই
বঞ্চিত,শোষিত,রক্তাক্ত আর বুভুক্ষায় কঠোর প্রতিজ্ঞা বুকে চেপে
শেষশীতে কম্বলহীন,দাঁতে, দাঁত চেপে ছাই চাপা নিভন্ত মনের
আগুনের সন্ধ্যানে দিন রাত এককরা শেষ বিকেলের সূর্যস্নাত
দুর্বিনীত অভিশাপ বুকে শুধু তোমাকে চাই।

” ঊষর ধূসর ” হিংস্র হিংলাজে সময়কে চেপে দুইহাতে
প্রতিস্পর্ধি হওয়ার শেষ বাসনাতে,মৃত্যুর বুকে পা রেখে আসুক-
বজ্রসম মনোবল, প্রতিবাদের দ্রোহকাল ছিনিয়ে আনার সংকল্পে
জানি অজাতশত্রু কেহ নয়, সবারি আছে প্রাণে ভয়
তবুও মুক্তির খোঁজে নির্ভয়ে অধিকারের নিশান আঁকড়ে ধরবো- দুইহাতে।

এ আহবকাল দুরমুশ করে শান্ত জীবন,স্বপ্নগুলো ছিনিয়ে নেয়
তাই আজ আগামীর মিছিলে মিছিলে মুখে থাক সাম্যের শ্লোগান।
ব্যথিত হৃদয়ে থাক কঠোর প্রতিজ্ঞা,সবকিছু হারানোর প্রজ্বলিত ক্রোধের শিখায় এসো করাঘাতে জাগিয়ে তুলি,শপদে আশা
আর যেন কেউ কোত্থাও কারোর মুখের ভাত ছিনিয়ে না খায়।

সংরক্ষিত /প্রবীর কুমার চৌধুরী

Share This
Categories
কবিতা

জাগুগ চেতনা ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

এসো ঈগলডানার অন্ধকারে
চোখের মুক্ত আলোয়
মাটিতে ছড়ানো যত কবিতার উর্ন-কঙ্কাল সরিয়ে
একটা আস্তানা গড়ে তুলি
যেখানে পরম সুখে বাস করবে আগামীর কবিতা
তারপর নিভৃতে,অন্তরালে সৃষ্টি করুক সত্যের অভিধান।

শৈশব থেকে উৎক্ষিপ্ত দীর্ঘশ্বাস-
আকাশ,বাতাস কাঁপায় একটাই প্রশ্ন
তাদের মুখরেখায় শান্ত নীল দীপ্ত প্রতিবাদের বর্ণছটা-
দুহাতে কেন অদৃশ্য শৃঙ্খল, কেন পবিত্র মাটিতে এত শব?
নীরব সময়ের সান্ত্রী,জিভহীন ,বাকরোহিত মুখবিবর
অসহায় মানবতা ককিয়ে ওঠে – আমরাই দায়ী।

আশে পাশের স্তরে,স্তরে তমসায় স্তাবকের কোলাহলে-
বন্ধ ঘড়ির হাতদুটি দুঃসহ নতজানু
আজ এসো আবেগহীন পথচলি, আবেগ যেন জন্মশত্রু
চেতনা প্রবাহের ভিতর জেগে উঠুক ক্রোধ, প্রতিবাদ
অগণিত সবুজপত্রে উচ্চারিত হোক অমোঘ সত্য
পাহাড় কেটেই শুরু হোক নবজীবনের চলার পথ।

নতজানু মাথারা উঠুক আকাশে
মৃত্যুর কোলে মাথা রেখে,বার,বার বলবো-
এ পৃথিবী আমাদের,আমরাই গড়বো
অকালে যাঁরা চলে গেলেন, সেই মৃত্যুর দায় বইবো।

সংরক্ষিত।

Share This
Categories
কবিতা

এখনও প্রতীক্ষায় ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

তোমার দংস্ট্র,বিষিয়েছে প্রেম ,
বিষুবরেখা থেকে সূর্যের দক্ষিণে –
বাঁচার আকুল আর্তনাদে ভেসে যাই আমি ,
দণ্ডপাণি এসেছে ,হেসেছে অকালেই ।

তোষামোদি যত চাটুকার –
স্বার্থের অন্বেষণে ঘুরে মরে পথময় ,
ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্য নেই আছে শুধু ত্রিপাপ।
ত্রিদিব বিষিয়েছে ত্রিদোষ অনুকার ।

আছে কি কোন ত্রিকালজ্ঞ –
বলে দেবে আগামী ভবিষ্যত ?
অক্ষমতার দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে –
এখন প্রতিবাদহীন প্রতিবন্দি আমরা ।

স্নেহ,মায়া,মমতা দুয়ারের বাইরে অপেক্ষা রত-
প্রবেশ নিষেধ নোটিশ হাতে অনুপরিবার ,
আজকের শিশুর মুখের হারানো নিষ্পাপ হাসি –
ফিরবে কি ঠাকুমার ঝুলি হাতে,বৃদ্ধ,বৃদ্ধার প্রবেশাধিকার?

সংরক্ষিত / প্রবীর কুমার চৌধুরী ২৩-১১-১৮

Share This
Categories
কবিতা

দিতে পার কি যতটুকু চাই ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

আলো খুঁজতে খুঁজতেই আকাশে অন্ধকার আসে,
সূর্য হাসে,একসময় ছুট দেয় পশ্চিমে ।
ফাল্গুনের যৌবনপ্রাপ্ত বসন্ত প্রেম খোঁজে-
অলি,গলির ফাঁক, ফোকরে,তীক্ষ্ণ নজরে।
পোকায় ধরা ক্ষয়াটে কালচে দাঁতের ফাঁকে নির্লজ্জ হাসি।

সময়ের ঝড়ে এলোমেলো সবকিছু,
দিগন্ত থেকে দিগন্তে আলো মাখে ধুলো,
হাড় বের করা বুকে দুর্বল ধুকপুক, বুড়ি ছুঁয়ে থাকে-
কোনমতে। সবলের আস্ফালন শুনতে শুনতে
হেঁটে যায় প্রতীক্ষা,লালা বয়ে বাসা বাঁধে দামি, দামি গুটিপোকা।

তবুও দীপ্ত পায়েই হেঁটে চলা, কথা বলা,ছলাকলা,
প্রাত্যহিক কাস্তেতে শান দিয়ে দিয়েই দীর্ঘ অপেক্ষা,
বুকের কোন থেকে রিনিরিনি শব্দে সুরে সুরে গান গায় স্বপ্ন।
দীর্ঘ ধৈর্য আর অপেক্ষারা পাশা খেলে সময় কাটায় হৃদয় চত্বরে।
মাঝে মাঝেই মনে পড়ে চরকা কাটা বুড়ির চুল ,ফেলে আসা বাল্য।

রবীন্দ্রনাথ জেগে ওঠেন করুন সুরে,,জীবনানন্দের বনলতা সেন
ক্ষয়াটে শরীরে কোনমতে বুকে চেপে রাখেন একতাল মাংসপিন্ড।
ছেঁড়া গেঞ্জির উচ্ছাসের বুকপকেটেখুচরো পয়সা আওয়াজ তোলে- আর বলে ,আমিই প্রেম,আয়ু,মহাজীবন কিছুক্ষণ বেঁচে থাকা।
আমিই লাঠির মাথার ঝান্ডা,মিছিলের গতিপ্রকৃতি,দিকনিরূপন ।

একে একে ঘুরে যায় কাল চক্রের চাকা,
সত্যি,মিথ্যা,মিথ্যা,সত্যি পাক খায় ক্রমান্বয়ে ।
সময়ের ঝড়ে এলোমেলো আজ বিশ্বাস শেষ ফাগুনের বিকালে,
রক্তাক্ত পদাতিক,মিছিলে মিছিলে শ্লোগান তোলে –
একমুঠো আলো দাও, ফিরিয়ে দাও বিশ্বাস ,হাসতে দাও নিশ্চিন্তে …….।

Share This