আজ ১৯ অক্টোবর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯০৩ – রাইচাঁদ বড়াল, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক।
রাইচাঁদ বড়াল (ইংরেজি:Raichand Boral) একজন বাঙালি সুরশিল্পী সঙ্গীত পরিচালক ও সঙ্গতিয়া হিসাবে খ্যাতিমান ছিলেন। তিনি ১৯৪০ ও ১৯৫০ এর দশকে অসংখ্য বাংলা ও হিন্দী চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে অর্জন করেন।
১৯১০ – সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর, ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী।
সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী। তিনি এক তামিল পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে তারার বিবর্তন এবং জীবন চক্র সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য তাকে উইলিয়াম আলফ্রেড ফাউলারের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
১৯২৪ – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, ভারতীয় বাঙালি কবি।
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কবি। তিনি বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আবির্ভূত আধুনিক বাংলা কবিদের অন্যতম। উলঙ্গ রাজা তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থ লেখার জন্য তিনি ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। কবি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সাথে দীর্ঘকাল যুক্ত ছিলেন।
১৯২৮ – মিজানুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
মিজানুর রহমান চৌধুরী (১৯ অক্টোবর ১৯২৮ – ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৬) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের আমলে ৯ জুলাই ১৯৮৬ থেকে ২৭ মার্চ ১৯৮৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৬১ – সানি দেওল, ভারতীয় অভিনেতা ও প্রযোজক।
সানি দেওল (জন্ম অজয় সিং দেওল, ১৯ অক্টোবর, ১৯৫৬ ) একজন ভারতীয় অভিনেতা,নির্দেশক ও প্রয়োজক। তিনি বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের পুত্র ও ববি দেওলের ভাই। দেওল দুইবার করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৮৩ – রেবেকা ফার্গুসন, সুয়েডীয় অভিনেত্রী।
১৮৬৪ – ওগ্যুস্ত ল্যুমিয়ের, ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্রের অগ্রদূত।
১৮৯৬ – চারুচন্দ্র ভাণ্ডারী, প্রবীণ গান্ধীবাদী ও সর্বোদয় নেতা।
চারুচন্দ্র ভাণ্ডারী (১৯ অক্টোবর ১৮৯৬ – ২৪ জুন ১৯৮৫) ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান কংগ্রেসকর্মী, প্রবীণ গান্ধীবাদী এবং সর্বোদয় নেতা। তিনি আচার্য বিনোবা ভাবের ঘনিষ্ট সহযোগী হিসাবে বাংলায় সর্বোদয় আন্দোলনের প্রধান প্রচারক ছিলেন এবং ভূদান আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন।
১৮৯৭ – সেলিমুজ্জামান সিদ্দিকী, পাকিস্তানি শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী।
সলিমুজ্জামান সিদ্দিকী ( ১৯ অক্টোবর ১৮৯৭ – ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানি পণ্যের বিশেষায়িত মুহাজিস্ট বা ১৪ এপ্রিল ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক ড করাচির ।
১৮৯৯ – গুয়াতেমালার নোবেলজয়ী (১৯৬৭) কথাশিল্পী মিগুয়েল আনজেল আন্তুরিয়াস।
১৬০৫ – টমাস ব্রাউন, ইংরেজ সাহিত্যিক।
স্যার থমাস ব্রাউন ( ১৯ অক্টোবর ১৬০৫ – ১৯ অক্টোবর ১৬৮২) ছিলেন একজন ইংরেজ পলিম্যাথ এবং বিভিন্ন কাজের লেখক যা বিজ্ঞান ও চিকিৎসা, ধর্ম এবং গুপ্ততত্ত্ব সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার ব্যাপক শিক্ষাকে প্রকাশ করে । তার লেখাগুলি প্রাকৃতিক জগতের প্রতি গভীর কৌতূহল প্রদর্শন করে , যা বেকোনিয়ান অনুসন্ধানের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং ক্লাসিক্যাল এবং বাইবেলের সূত্রগুলির পাশাপাশি তার নিজের ব্যক্তিত্বের আইডিওসিঙ্ক্রাসিসের উল্লেখ দ্বারা পরিবেষ্টিত হয় । যদিও প্রায়শই মেল্যাঙ্কোলিয়ার সাথে মিশে যাওয়া হিসাবে বর্ণনা করা হয়, ব্রাউনের লেখাগুলিও বুদ্ধি এবং সূক্ষ্ম হাস্যরসের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যদিও তার সাহিত্যের শৈলীটি ধারা অনুসারে বৈচিত্র্যময়, যার ফলে একটি সমৃদ্ধ, অনন্য গদ্য রয়েছে যা রুক্ষ নোটবুক পর্যবেক্ষণ থেকে পালিশ বারোক বাগ্মিতার পরিসরে রয়েছে।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৯২৩ – কামাল পাশার নেতৃত্বে আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪২ – চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রথম মাসিক পত্রিকা ‘চিত্রপঞ্জি’ প্রকাশিত হয়।
১৯৪৪ – ফিলিপাইনে মার্কিন সেনাদের সাথে জাপানী সৈন্যদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
১৯৫০ – জাতিসংঘ বাহিনী উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং দখল করে।
১৯৫১ – ব্রিটেন সুয়েজ খান অঞ্চল অধিকার করে।
১৯৫৪ – একদল অস্ট্রেলীয় অভিযাত্রী কর্তৃক পৃথিবীর ষষ্ঠ উচ্চতম পর্বত চো ওইয়ু বিজয়।
১৯৬২ – ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়।
১৯৬৫ – চীন-নেপাল আনুষ্ঠানিক প্রত্যক্ষডাক-ব্যবস্থা চালু হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় হন্ডুরাস।
১৯৭২ – বাংলাদেশ ইউনেস্কোর সদস্যপদ লাভ করে।
১৯৭৩ – স্পেনে বন্যায় ২শ’ লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৭৬ – ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আলী হাসান সালামাহ্ ইহুদীবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মুসাদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে লেবাননে শাহাদাত বরণ করেন।
১৯৭৭ – দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮ টি বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা।
১৯৮৩ – বামপন্থী সামরিক অভ্যুত্থানে গ্রেনেডার প্রধানমন্ত্রী মবিশ নিহত।
১৯৮৬ – দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্তে বিমান দুর্ঘটনায় মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট সামোর মাশেল ৩০ জন সহযাত্রীসহ নিহত হন।
১৯৮৮ – ভারতে পৃথক বিমান দুর্ঘটনায় ১৬৪ জন নিহত।
১৯৯১ – বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের অবসান হয়।
১৯৯৩ – পিপলস পার্টির নেত্রী বেনজীর ভুট্টো দ্বিতীয় বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়।
১৯৯৬ – বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সোনারগাঁয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর-এর উদ্বোধন হয়।
১৯৯৬ – পেইচিংয়ে চীনের প্রথম হট এয়ারশীপ ” চীন ১ নম্বর” সাফল্যের সঙ্গে আকাশে উড়ে ।
১৮১২ – প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে নেপোলিয়ন মস্কো ত্যাগে বাধ্য হন।
১৮৮৮ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন।
১৭৮১ – যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ সেনা প্রধান লর্ড কর্ণওয়ালিস মার্কিন সেনা প্রধান জর্জ ওয়াশিংটনের কাছে আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান ঘটে।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৩ – বসনিয়ার বিশিষ্ট লেখক ও রাজনীতিবিদ আলী ইজ্জাত বেগুভিচ।
২০০৪ – কেনেথ আইভার্সন, টুরিং পুরস্কার বিজয়ী কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
কেনেথ ইউজিন আইভার্সন (ডিসেম্বর ১৭, ১৯২০, ক্যামরোজ, আলবার্টা, কানাডা – অক্টোবর ১৯, ২০০৪, টরন্টো, ওন্টারিও, কানাডা) টুরিং পুরস্কার বিজয়ী একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি ১৯৫৭ সালে এপিএল প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করার জন্য সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন। গাণিতিক চিহ্নসমূহ এবং প্রোগ্রামিং ভাষা তত্ত্বের ব্যাপারে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৯ সালে তাকে টুরিং পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
২০১৪ – বাংলাদেশের ইতিহাসবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহমদ ।
এ. এফ. সালাহ্উদ্দীন আহমদ ভারতীয় উপমহাদেশের খ্যাতিমান উদারবাদী, মুক্তচিন্তক ঐতিহাসিক। পেশাগত জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি বিশ্বাসে ও আচরণে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত এবং মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। সত্য প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে সভ্যতার বীজতলা বলেই জেনেছেন।
২০১৮ – প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর
১৯২২ – চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়,যশস্বী বাঙালি লেখক।
১৯৩৬ – মহান চীনা সাহিত্যিক লু স্যুন ।
১৯৩৭ – আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, নিউজিল্যান্ডীয় নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৭৪- ফররুখ আহমদ,বাঙালি কবি।
সৈয়দ ফররুখ আহমদ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী কবি । এই বাঙালি কবি ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি বাংলা কাব্যজগতের সর্বাধিক সনেট রচয়িতা। তার কবিতায় বাংলার অধঃপতিত মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অনুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে।
১৯৯০ – অশোকবিজয় রাহা, ভারতীয় বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক।
অশোকবিজয় রাহা (১৪ নভেম্বর ১৯১০ – ১৯ অক্টোবর ১৯৯০)ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক এবং সমালোচক। তিনি রবীন্দ্র অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীতে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৫ – জহুরুল ইসলাম, শিল্পপতি ও “ইসলাম গ্রুপ” এর প্রতিষ্ঠাতা।
জহুরুল ইসলাম (১ আগস্ট ১৯২৮ – ১৯ অক্টোবর ১৯৯৫) ছিলেন একজন বাংলাদেশী উদ্যোক্তা। তিনি ছিলেন “ইসলাম গ্রুপ” এর প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান।
১৭৪৫ – ইংরেজ সাহিত্যিক জোনাথন সুইফট ।
জোনাথন সুইফট ( জন্ম: ৩০ নভেম্বর, ১৬৬৭ – মৃত্যু: ১৯ অক্টোবর, ১৭৪৫) ছিলেন বিখ্যাত অ্যাংলো-আইরিশ প্রাবন্ধিক, ব্যাঙ্গাত্মক-কবিতা লেখক ও পাদ্রী। তিনি ডাবলিনের সেন্ট প্যাট্রিক ক্যাথেড্রালের ডীন নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৭২৬ সালে গালিভার’স ট্রাভেলস নামের একটি ইংরেজি উপন্যাস রচনা করে তিনি স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। এটিকে ইংরেজি সাহিত্যের একটি ধ্রুপদি গ্রন্থ মনে করা হয়। এছাড়াও, এ টেল অব এ টাব (১৭০৪) ও এ মডেস্ট প্রোপোজাল (১৭২৯) নামের ছোট গল্পগুলোও তার অবিস্মরণীয় কীর্তিরূপে স্বীকৃত। ইংরেজি সাহিত্যে সুইফটকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাঙ্গাত্মক-কবিতা লেখক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রথমে হুইগ ও পরে কনজারভেটিভ (টোরি) দলের জন্যে ক্ষুদ্র পুস্তিকা রচনা করেছিলেন তিনি। ব্যাঙ্গাত্মক-কবিতার তুলনায় কবিতায় তিনি তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেননি। লেমুয়েল গালিভার, আইজ্যাক বিকারস্টাফ, এমবি ড্রাপিয়ারসহ বিভিন্ন ছদ্মনামে তার সকল রচনাসমগ্র প্রকাশ করেছেন।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।